জাতিলাও/ পানিলাও, ইংরেজি নাম: লাউ, বৈজ্ঞানিক নাম: ল্যাজেনারিয়া সিকেরারিয়া

প্রকৃতি: দূর-দূরান্তে বেড়ে ওঠা একটি বৃহৎ পাতাযুক্ত গাছ হলো এক বছরের পুরোনো লতাগাছের মতো। বড় ফলের ঘাড়ের আকার রয়েছে এবং কোমল অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে। এর ডাল এবং পাতাগুলিতে সূক্ষ্ম গুঁড়ো রয়েছে।

গুণাবলী: জাতিলাওতে প্রচুর পরিমাণে সূক্ষ্ম পুষ্টি (স্বর্ণ, রৌপ্য, টিন, মলিবডোনাম জাতীয় মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টস) রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য অল্প পরিমাণে প্রয়োজন। জন্ডিসে পাতার রস উপকারী। শাকসবজি হিসেবে রান্না করা, সুন্দর ত্বক, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, স্নায়ু শক্তিশালী রাখা, হৃদরোগ প্রতিরোধ, পেশী শিথিল করা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, শরীর মজবুত করা, হাড় মজবুত করা ইত্যাদি। আমাদের সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। লাউ খেলে আমাদের শরীর ও মন ঠাণ্ডা থাকে। নড়িয়া থেকে উঠে আসা ব্যক্তিকে নির্ভীকভাবে জাতিলাও তরকারি খাওয়ানো যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাট কম থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও জাতিলা খুব উপকারী।

রান্না: এটি কোমল পাতা বা আগর সবজি হিসাবে রান্না করা এবং খাওয়া হয়। ছাল, পাতা বা অগ্রভাগ সহ সবকিছু খাওয়া হয়। লাও বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। লাও বাকলের চাটনি তৈরি করে খাওয়াও সন্তোষজনক। এ ছাড়া অনেক সুস্বাদু খাবার যেমন লাও ভাজি, চুড়া, লাওর পায়া, কপ্তা ইত্যাদি। প্রস্তুত করে খাওয়া যায়। যে কোনও জীবন্ত মাছের খাবার টমেটো বা অন্যান্য টক ময়দার সাথে জাতিলাও দিয়ে খাওয়া হয়।