জিলমিল/ভাউথা/বাথুয়া/ভাটুয়া (লাল), ইংরেজি নাম: রেড গুজফুট, বৈজ্ঞানিক নাম: সেনোপোডিয়াম অ্যালবাম

প্রকৃতি: সাধারণত বর্ষামৌসুমে বাড়ির সবজি ও অন্যান্য উর্বর বাম স্থানে এই সবজি পাওয়া যায়। দুটি জিলমিল শাকসবজি রয়েছে। একটি দেখতে লাল এবং লম্বা। অন্যটি সাদা এবং স্ট্রেসযুক্ত। এর পাতা গুলো খুবই সূক্ষ্ম।

গুণ: এই সবজি সাদা স্রাবের রোগ দূর করে। পেটের অসুখে রসুন ও আদা দিয়ে জিলমিল শাক-সবজি খুঁড়ে এর রস নিরাময় করে খাওয়াতে হবে। এটি কৃমি কৃমি ধ্বংস করে। প্রিপার্টম এবং প্রসবোত্তর পরে মহিলাদের দুটি ধরণের হরমোন প্রয়োজন। এই দুটি হরমোন হ’ল ইস্ট্রোজেন এবং অক্সিটো ‘সিন’ এবং এই দুটি হরমোনই জিলমিল পাতায় পাওয়া যায়। শুকনো কাশি হলেও এর তরকারি রান্না করে খাওয়ালে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। অ্যাসিডিটি, আজিনকিশ, কোষ্ঠকাঠিন্যে জিলমিল শাকসবজি উপকারী। পুরো উদ্ভিদের রস বর্ধিত প্লীহা, বায়ু রোগ (পেট ফাঁপা), ফুসকুড়ি ইত্যাদি নিরাময়ে উপকারী। এটি আমাদের সুস্থতাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে যেমন ভাল ত্বক, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, স্নায়ু শক্তিশালী রাখা, রক্তকণিকা বৃদ্ধি, হৃদরোগ প্রতিরোধ, পেশী ক্র্যাম্প, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, শরীরকে শক্তিশালী করা, হাড় কে শক্তিশালী করা ইত্যাদি। অন্যান্য কিছু সবজির সাথে একত্রে রান্না করা কুসুম আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং জৈব রাসায়নিক সরবরাহ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

রান্নার স্টাইল: খুতারা মাটি কান্দুরি, লস্সি, ধনিয়া প্রভৃতির সঙ্গে জিলমিল শাকসবজি খেলে এবং পেঁয়াজ দিয়ে শুকনো করে ভাজা ভালো। জিলমিল সাক, লাইজাবাড়ী, মাটিকাদুরি, মারিয়া শাক (ফুতুকি বন), বন জালুক, ডোরন বন, পালং শাক, মান্ধানিয়া, লাই, মুলাশাক পাতা, লোসাকির আগ, হাথি খুত্রার কুমলিয়া পুলি বা পাও, জাতি খুত্রা, বর মনিমুনি, ছোট মণিমুনি, সরু মনিমুনি, চেংমারার কুমলিয়া পাতা, মালভোগ খুত্রা। এই ধরনের মিশ্র শাকসবজি অঞ্জা আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং জৈব রাসায়নিক সরবরাহ করে।