WBBSE Class 7 Sahityamela “সাহিত্য়মেলা” Answer (Bengali Medium) | কাজী নজরুলের গান Chapter Answer

Class 7 Sahityamela

কাজী নজরুলের গান

অধ্যায় ১৮

কাজী নজরুলের গান

• লেখক পরিচয়

রামকুমার চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে। উত্তর কলকাতার দর্জিপাড়া হল তাঁর জন্মস্থান। ছিলেন বাংলা সংগীত জগতের প্রবাদপুরুষ। এই শিল্পীর সংগীত সাধনার পীঠস্থান ছিল কলকাতা শহর। ইনি পুরাতনী হারিয়ে যাওয়া গানকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন। আলোচ্য পাঠ্যাংশটি তাঁর ‘পুরাতনী’ নামক আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

• সারাংশ

লেখক একদিন ছোটোবেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় দেখলেন হেদো পার্কের কাছে খুব ভিড়। সেখানে নেতাজি বক্তৃতা দিতে আসবেন আর কাজী আসবেন গান গাইতে। লেখক উত্তেজনায় টগবগ করতে লাগলেন। নজরুল এলেন, গান গাইলেন। এই গান শুনলে বোঝা যায় কাজীর গান কী! এই গান শুনতে শুনতে লেখকের রক্ত টগবগ করে ফুটতে আরম্ভকরল। লেখক দৌড়ে বাড়ি ফিরে আসেন। উত্তেজনা লুকোতে লেখক তবলা বাজাতে আরম্ভ করেন।

• সঠিক অর্থ অভিধান

ভিড়—অনেক মানুষের একত্রিত হওয়া; বক্তৃতা-ভাষণ; ইশকুল-ইংরেজি ‘School’ শব্দটি থেকে ইশকুল শব্দটি এসেছে; রোল উঠল-শোরগোল উঠল; দেবদূত- ভগবানের দূত; গৌরবর্ণ-ফরসা রং; উন্নত ললাট-প্রশস্ত বা চওড়া কপাল; অতীব-খুব; আবির্ভাব-আগমন; স্বয়ং-নিজে; রীতি-প্রথা; স্তব্ধ-চুপচাপ; তবলার বোল-তবলার ভাষা।

হা তে ক ল মে

১. কাজী নজরুল ইসলাম ব্যতীত কোন মনীষীর নাম পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?

উত্তর:

২. ‘এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং-এর রীতি’। -কোন্ রীতির কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর:

৩. পাঠ্যাংশে কার, কেমন দেহসৌষ্ঠবের পরিচয় ধরা পড়েছে?

 উত্তর:

৪. টীকা লেখো:

> কাজী নজরুল ইসলাম বিশ শতকের সর্বাপ্রেক্ষা জনপ্রিয় কবি হলেন কাজি নজরুল ইসলাম। ১৮৯৮, মে মাসের ২৫ তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৩-১৪ বছর বয়সে তিনি ‘লেটো’র দলে যোগদান করেন। ১৯১৭-তে তিনি সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯২০-তে ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় লেখেন বিদ্রোহী কবিতা। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা (১৯২২)। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল-

১. বিষের বাঁশি (১৯২৪)

২. ভাঙার গান (১৯২৪)

৩. প্রলয় শিখা (১৯২৪)

৪. ছায়ানট (১৯২৪)

৫. সাম্যবাদী (১৯২৫)

৬. চক্রবাক্ (১৯২৯)

৭. নতুন চাঁদ (১৯৪৫)

কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি রূপে অভিহিত করা হয়। ইনি তাঁর রুনার মধ্যে দিয়ে বিদ্রোহের বাণী প্রচার করেছেন। তাঁর রচিত গানগুলি তখনকার যুগের অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েদের দেশসেবায় আত্মনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল ইসলামকে সাম্মানিক ডি.লিট উপাধি প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘একুশে পদক’ দিয়ে সম্মানিত করেন। ১৯৪২ থেকে তিনি বাশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এই প্রতিবাদী কবির ১৯৭৬-আগস্টে মাসের ২৯ তারিখে দেহাবসান হয়।

> নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু: দেশকে স্বাধীন করার জন্য যেসব মনীষী তাঁদের সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অন্যতম। ১৮৯৭, জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে উড়িষ্যার কটকে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বিলেতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। কিন্তু কখনও তিনি চাননি বিদেশির পদানত থাকতে ফলে চাকুরি গ্রহণ করেননি। দেশ সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। দুবার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন। গণিজির সঙ্গে মতান্তর হওয়ার কারণে তিনি ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ তৈরি করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্যে তিনি দেশত্যাগ করেন। প্রথমে জার্মানি ও পরে জাপান যান। তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ জাপানি যুদ্ধ জাহাজের সাহায্য নিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করেন। এই দুটি দ্বীপের নামকরণ করা হয় ‘শহিদ দ্বীপ’ ও ‘স্বরাজ দ্বীপ’ ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করলে নেতাজি তাঁর বাহিনীকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। তাঁর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা মতান্তর ও মনান্তর রয়েছে।

> স্বদেশি যুগ: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায় হল এই স্বদেশি যুগ। বাঙালির ঐক্য আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্যে বড়োলাট লর্ড কার্জন ১৯০৫, জুলাই মাসের ২০ তারিখে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এরই প্রতিবাদে দেশ জুড়ে চলে বিক্ষোভ, আন্দোলন, অনশন এবং বিপ্লব ও বিদ্রোহ। এই আন্দোলন দুটি ভাগে বিন্যস্ত হয়। যথা-

১. বয়কট আন্দোলন: এটি নেতিমূলক।

২. স্বদেশি আন্দোলন: এটি গঠনমূলক।

এই স্বদেশি যুগে আমাদের দেশের পোশাক-পরিচ্ছদ, ঐতিহ্য ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়েছে। জাতীয় শিল্প, জাতীয় শিক্ষালয়, বস্ত্র শিল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বদেশি কবিতা, গান, নাটক, রচনা হয়েছে। এই স্বদেশি যুগে আমরা অনেক মনীষীদের পেয়েছি যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।

৫. কাজী নজরুল ইসলামের গান শুনে লেখকের মনে কোন্ অনুভূতির সৃষ্টি হলো? তখন তিনি কী করলেন?***

উত্তর:

৬. শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নীচের বিষয়গুলির মধ্যে কাজী

নজরুলের কোন কোন গান খুঁজে পেলে লেখো।

স্বদেশপ্রেম বিষয়ক, প্রকৃতি বিষয়ক, হাসির গান, ছড়ার গান, প্রেমের গান, ধর্মীয় অনুষঙ্গের গান।

উত্তর: স্বদেশপ্রেম বিষয়ক গান: ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু

দুস্তর পারাবার…’

• ধর্মীয় অনুষঙ্গের গান ‘খড়ের প্রতিমা পূজিস তোরা মাকে তোরা পূজিস না…’

সংযোজিত প্রশ্ন

একটি বাক্যে উত্তর দাও:

১. ইস্কুল যাবার পথে লেখক কী দেখেছিলেন?

উত্তর:

২. ভিড়ের লোকজনকে প্রশ্ন করে লেখক সেদিন কী জেনেছিলেন?

উত্তর:

৩. কোথায় বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন নেতাজি?

উত্তর:

৪. একটু পরে আবার কী রোল উঠল?

উত্তর:

৫. বেশ অনেকক্ষণ পরে লেখক কী দেখলেন?

উত্তর:

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১. ‘তখন মঞ্চে আরও একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে’-কে এই ‘আরও একজন’ ব্যক্তি? আগের ব্যক্তিটি কে? আগের ব্যক্তিটি তখন কী করলেন?

উত্তর:

২. লেখক রামকুমার যে সময়ের উল্লেখ করেছেন, সেই সময়কার স্বদেশি মিটিং-এর রীতি কীরকম ছিল?

উত্তর:

৩. কাজীর গান কীভাবে হল- লেখকের অনুসরণে তা উল্লেখ

করো।

উত্তর:

৪. সরকার বাগানের সভায় গানের পরে যে বক্তৃতা হয়েছিল, তা আজ বহু বছর পরে লেখকের কি মনে আছে? বক্তৃতা ছাড়াও যে গান হয়েছিল, তার স্মৃতি লেখকের মনে আজও কেমনভাবে রয়েছে?

উত্তর:

৫. ছেলেবেলায় জীবনে প্রথম কাজী নজরুলের গান শোনবার পরে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

উত্তর:

ব্যাকরণেরসহজ পাঠ

১. কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:

১.১ যত এগোচ্ছি, দেখছি হেদো পার্কের কাছে বেশ ভিড়। উত্তর: হেদো পার্কের সম্বন্ধ পদে ‘এর’ বিভক্তি।

১.২ উত্তেজনায় আমি তখন টগবগ করছি।

 উত্তর:

১.৩ তবে আমি দেখলাম, অত ছোটো বয়েসেই আমার রক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করেছে।

উত্তর:

২. নিম্নলিখিত কথাগুলির অর্থ লেখো:

রোল উঠল, উন্নত ললাট, তবলা, স্বদেশি-মিটিং

উত্তর:

৩. বিপরীত শব্দ লেখো:

গৌরবর্ণ, উন্নত, ভিড়, আবির্ভাব, আরম্ভ।

উত্তর:

****