WBBSE Class 6 History Chapter 2 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 2 Solution

ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ

MCQs

1. এপ থেকে আলাদা হয়ে যে-মানব পরিবার তৈরি হয়েছিল তার নাম হল-

(i) হোমো স্যাপিয়েন্স

(ii) হোমো হাবিলিস

(iii)হোমিনিড

উত্তর:  (iii)হোমিনিড

2. কোনোভাবে দাঁড়াতে পারা প্রথম মানুষকে বলা হত-

(i) অস্ট্রালোপিথেকাস

(ii) হোমো ইরেকটাস

(iii) হোমো হাবিলিস

উত্তর: (i) অস্ট্রালোপিথেকাস

3. দক্ষ মানুষ বলা হত-

(i) হোমো ইরেকটাসকে

(ii) হোমো হাবিলিসকে

(iii) হোমো স্যাপিয়েন্সকে

উত্তর: (ii) হোমো হাবিলিসকে

4. অস্ট্রালোপিথেকাসের বৈশিষ্ট্য হল-

(i) এরা ছোটো ও তীক্ষ্ণ অস্ত্র ব্যবহার করত

(ii) এরা হাতকুঠার ব্যবহার করত

(iii) এরা পাথর ও গাছের ডাল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত

উত্তর: (iii) এরা পাথর ও গাছের ডাল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত

5. হোমো হাবিলিস মানব গোষ্ঠীর একটি বৈশিষ্ট্য হল-

(i) কোনোরকম দাঁড়ানো

(ii) পাথরের অস্ত্রের ব্যবহার

(iii) মাংস পুড়িয়ে খাওয়া

উত্তর: (ii) পাথরের অস্ত্রের ব্যবহার

6. বর্শা জাতীয় পাথরের অস্ত্র বানাতে পারত-

(i) হোমো স্যাপিয়েন্সরা

(ii) হোমো ইরেকটাসরা

(iii) হোমো হাবিলিসরা

উত্তর: (i) হোমো স্যাপিয়েন্সরা

7. বুদ্ধিমান মানুষ হল-

(i) হোমো হাবিলিস

(ii) হোমো ইরেকটাস

(iii) হোমো স্যাপিয়েন্স

উত্তর: (iii) হোমো স্যাপিয়েন্স

৪. পাথরের যুগকে সাধারণভাবে ভাগ করা হয়-

(i)  তিনটি পর্যায়ে

(ii)  চারটি পর্যায়ে

(iii) পাঁচটি পর্যায়ে

উত্তর: (i)  তিনটি পর্যায়ে

9. হোমো ইরেকটাস কথার অর্থ হল-

(i) দণ্ডায়মান মানুষ

(ii)  দক্ষ মানুষ

(iii) বুদ্ধিমান মানুষ

উত্তর: (i) দণ্ডায়মান মানুষ

10. জাঁতার মতো যন্ত্র দেখা গেছে-

(i) সোয়ান উপত্যকাতে

(ii) সরাই নহর রাইতে

(iii) আদমগড়ে

উত্তর: (ii) সরাই নহর রাইতে

11. আদিম মানুষ প্রথম কৃষিকাজ শেখে-

(i) নতুন পাথরের যুগে

(ii) পুরোনো পাথরের যুগে 

(iii) মাঝের পাথরের যুগে

উত্তর: (iii) মাঝের পাথরের যুগে

12. পুরোনো পাথরের যুগের মাঝের পর্বে প্রধান হাতিয়ার ছিল-

(i) গাছের ডাল

(ii) ছুরি

(iii) তিরধনুক

উত্তর: (iii) তিরধনুক

13. আফ্রিকা মহাদেশের ইথিয়োপিয়ার হাদার নামক জায়গায় যে-ছোটো মেয়ের কঙ্কাল পাওয়া গেছে তার নাম-

(i) হোমো হাবিলিস

(ii) লুসি

(iii) ট্যরো ট্যরো

উত্তর: (ii) লুসি

14. আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরি আবিষ্কার-

(i) ধাতু

(ii) আগুন

(iii) চাকা

উত্তর: (iii) চাকা

15. ভীমবেটকা অবস্থিত-

(i) পশ্চিমবঙ্গে

(ii) রাজস্থানে

(iii) রজস্থান 

উত্তর: (ii) রাজস্থানে

16. হুন্সগি উপত্যকা অবস্থিত-

(i) কেরলে

(ii) দিল্লিতে

(iii) কর্ণাটকে 

উত্তর: (ii) দিল্লিতে

17. ট্যরো কথার অর্থ হল-

(i) ঘোড়া

 (ii) ষাঁড়

(iii) বন্যপ্রাণী 

উত্তর: (iii) বন্যপ্রাণী 

18. হাতকুঠার বানিয়েছিল-

(i)  এপ মানুষ

(ii)  দক্ষ মানুষ

(iii) হোমো ইরেকটাস

উত্তর: (iii) হোমো ইরেকটাস

19. আদিম মানুষ স্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছিল, কারণ তারা-

(i)  কৃষিকাজ শিখেছিল

(ii)  পশুপালন শিখেছিল

(iii) হাতিয়ারের ব্যবহার শিখেছিল
উত্তর: (i) কৃষিকাজ শিখেছিল

  1. সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে—————-।

(i) পূর্ব আফ্রিকাতে

(ii) ভারতে

(iii)পশ্চিম চিনে

উত্তর: (i) পূর্ব আফ্রিকাতে

2. লেজহীন এক ধরনের বড়ো বানরদের ——————– বলা হত ।

(i) গিবন

(ii) ওরাং ওটাং

(iii) এপ

উত্তর:  (ii) ওরাং ওটাং

3. মূলত ————এর আকারের ওপর ভিত্তি করে আদিম মানুষকে অস্ট্রালোপিথেকাস, হোমো হাবিলিস, হোমো ইরেকটাস ও হোমো স্যাপিয়েন্স প্রভৃতি বিভাগে ভাগ করা যায়।

(i)  মস্তিষ্ক

(ii) দেহ

(iii)  মুখ

উত্তর: (i)  মস্তিষ্ক

4. দলবদ্ধভাবে গুহায় থাকতৃ ——————। 

(i) হোমো হাবিলিস

(ii)  হোমো ইরেকটাস

(iii) হোমো স্যাপিয়েন্স

উত্তর: (ii)  হোমো ইরেকটাস

5. বনে লাগা আগুনকে বলা হয়——————–।

(i) অগ্ন্যুৎপাত

(ii) ভূমিকম্প

(iii)দাবানল

উত্তর:  (iii)দাবানল

6. লুসি নামক কঙ্কালটি পাওয়া গেছে————————-।

(i)   ভারতে

(ii)  ইথিয়োপিয়ায়

(iii)  চিনে

উত্তর:  (ii)  ইথিয়োপিয়ায়

7. পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে কাশ্মীরের —————-উপত্যকায়।

(i)  সোয়ান

(ii)  উলার

(iii)  ডাল

উত্তর:  (i)  সোয়ান

8. —————–তে পুরোনো গুহাবসতির নজির রয়েছে।

(i) ভীমবেটকা

(ii) অজন্তা

(iii) ইলোরা

উত্তর:  (i) ভীমবেটকা

9. —————– খ্রিস্টাব্দে হুন্সগিতে পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে।

(i)  ১৯৫৭

(ii)  ১৯৮৩

(iii)  ১৯৯৩

উত্তর:  (ii)  ১৯৮৩

10. রাজস্থানের দিদওয়ানা অঞ্চলে —————— মানুষের প্রত্নতাত্ত্বিক সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রজাতির

(i)  হোমো ইরেকটাস

(ii)  হোমো হাবিলিস

(iii)  হোমো স্যাপিয়েন্স

উত্তর: (i)  হোমো ইরেকটাস

11. উত্তরপ্রদেশের সরাই নহর রাইতে ধারওলা ——————-পাওয়া গেছে।

(i)   তিরের ফলা

(ii)   তুরপুন

(iii)   ছুরি

উত্তর:  (ii)   তুরপুন

12. রাজস্থানের—————এর মানুষ গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল।

(i)  মহাদহা

(ii)  বাগোড়

(iii)  দমদমা

উত্তর: (ii)  বাগোড়

13. নর্মদা নদীর আদমগড়ের মানুষেরা —————–শিখেছিল।

(i)  পশুপালন

(ii)  কৃষিকাজ

(iii)  কুমোরের চাকার ব্যবহার

উত্তর:  (i)  পশুপালন

14. ———————-পাথরের যুগে মানুষেরা পাথরের উন্নত হাতিয়ার বানানোর কৌশল শিখেছিল।

(i)  পুরোনো 

(ii)  মাঝের

(iii)  নতুন

উত্তর:  (iii)  নতুন

15. আদিম মানুষের যাযাবর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে —————-এর ফলে।

(i) চাকার আবিষ্কার 

(ii) কৃষির আবিষ্কার

(iii) আগুন আবিষ্কার

উত্তর:  (ii) কৃষির আবিষ্কার

1. বিবৃতি: হোমো ইরেকটাস-এর আর-এক নাম দণ্ডায়মান মানুষ।

(i) এরা দলবদ্ধভাবে গুহায় বসবাস করত। 

(ii) এরা প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখেছিল। 

(iii) এরা সোজাভাবে দাঁড়াতে পারত।

উত্তর: (iii) এরা সোজাভাবে দাঁড়াতে পারত।

2. বিবৃতি : পুরোনো পাথরের যুগে মানুষের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি ছিল ভারী ও এবড়োখেবড়ো।

(i) এই সময় মানুষেরা পাথরের অস্ত্র ব্যবহার করত।

 (ii) এই সময় মানুষেরা গুহায় বসবাস করত।

(iii) এই সময় মানুষেরা পাথরকে হালকা ও তীক্ষ্ণ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি।

উত্তর:  (iii) এই সময় মানুষেরা পাথরকে হালকা ও তীক্ষ্ণ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি।

3. বিবৃতি : ধীরে ধীরে পাথরের হাতিয়ারগুলি বদলে যাচ্ছিল।

(i) পাথরের গায়ে আঘাত করে কোনাচে অংশগুলি বের করে তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হত।

(ii) আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাথরগুলিও বদলে যাচ্ছিল।

(iii) পাথরগুলি আগের চেয়ে হালকা হয়ে গিয়েছিল।

উত্তর: (i) পাথরের গায়ে আঘাত করে কোনাচে অংশগুলি বের করে তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হত।

বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:

1. টিয়া, ময়না, শিম্পাঞ্জি, চড়ুই

উত্তর:  শিম্পাঞ্জি    

2 . হাদার, ইথিয়োপিয়া, লুসি, হুন্সগি উপত্যকা

উত্তর:  হুন্সগি উপত্যকা 

3. বাগোড়, আলতামিরা, ট্যুরো, স্পেন

উত্তর: বাগোড়

4. বর্শা, ছুরি, হাতকুঠার, গুহা

উত্তর: গুহা

5. শীত, বর্ষা, গরম, স্যাঁতসেঁতে

 সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: 

1. (i) লুসি – হাতিয়ার

(ii) কর্ণাটক – বাগোড়

(iii) ট্যরো – আলতামিরা

(iv) রাজস্থান – হুন্সগি উপত্যকা

উত্তর:  (iii) ট্যরো – আলতামিরা

2. (i) হোমো ইরেকটাস – দক্ষ মানুষ

(ii) হোমো হাবিলিস দণ্ডায়মান মানুষ

(iii) হোমো স্যাপিয়েন্স বুদ্ধিমান মানুষ

(iv) হোমো হোমিনিড – উন্নত মানুষ

উত্তর:   (iii) হোমো স্যাপিয়েন্স বুদ্ধিমান মানুষ

3.(i) চকমকি পাথর — আগুন

(ii)কুমোরের চাকা কৃষিকাজ

(iii)হাতকুঠার মাছ ধরা

(iv)ভারী নুড়ি পাথর – ছুরি

উত্তর:  (i) চকমকি পাথর — আগুন

4. (i) উত্তরপ্রদেশ —  আদমগড়

   (ii) মধ্যপ্রদেশ সরাই নহর রাই

  (iii) হিমাচল প্রদেশ কুর্নুল

  (iv)কর্ণাটক হুন্সগি

উত্তর: (iv)কর্ণাটক হুন্সগি

5. (i) ভীমবেটকা গুহা – পাকিস্তান

 (ii) আলতামিরা গুহা স্পেন

 (iii)সাংঘাও গুহা ভারত

 (iv) বাগোড় চিন
উত্তর: (ii) আলতামিরা গুহা স্পেন

Very Short Question Answer

1.এপ কী?

উত্তর:   লক্ষ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকার পূর্বদিকে ঘন জঙ্গলে লেজহীন এক ধরনের বড়ো বানর বসবাস করত, তাদের এপ বলা হয়।

 2.একটি এপ শ্রেণিভুক্ত প্রাণীর নাম করো।

উত্তর:  শিম্পাঞ্জি হল একটি এপ শ্রেণিভুক্ত প্রাণী।

3.প্রাচীন মানব পরিবার কী নামে পরিচিত ছিল?

উত্তর:  প্রাচীন মানব পরিবার হোমিনিড নামে পরিচিত ছিল।

 4.অস্ট্রালোপিথেকাসদের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

উত্তর:  অস্ট্রালোপিথেকাসদের একটি বৈশিষ্ট্য হল এদের চোয়াল ছিল শক্ত ও সুগঠিত।

5.কত বছর পূর্বে মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখেছে?

 উত্তর: আনুমানিক ২০ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বছর পূর্বে মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখেছে।

6.কোন্ মানব প্রজাতিকে আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ বলা হয়?

উত্তর:  অস্ট্রালোপিথেকাস প্রজাতিকে আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ বলা হয়।

 7.প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল কোন প্রাচীন মানবগোষ্ঠী?

উত্তর:   প্রাচীন মানবগোষ্ঠী হোমো হাবিলিস প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল।

8.কোন্ যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ বলা হয়?

উত্তর:  মধ্যপ্রস্তর যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ বলা হয়।

 9.হোমো হাবিলিস কী?

উত্তর:  আদিম মানুষের মধ্যে দক্ষ মানুষকে হোমো হাবিলিস বলে।

10. আদিম মানুষের জীবনে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার কোন্টি?

উত্তর:   আদিম মানুষের জীবনে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল আগুন।

11.পুরোনো পাথরের যুগের সঙ্গে নতুন পাথরের যুগের একটি পার্থক্য উল্লেখ করো।

উত্তর:  পুরোনো পাথরের যুগের তুলনায় নতুন পাথরের যুগের অস্ত্রগুলি ছিল হালকা ও ধারালো।

12.দু-দিকে ধারওয়ালা ছুরি কোথায় পাওয়া গেছে?

উত্তর:  উত্তরপ্রদেশের সরাই নহর রাইতে দু-দিকে ধারওয়ালা ছুরি পাওয়া গেছে।

13.কোন্ যুগে মানুষ ছোটো ছোটো বসতি বানানো শুরু করে?

উত্তর:   মাঝের পাথরের যুগে মানুষ ছোটো ছোটো বসতি বানানো শুরু করে।

14.নতুন পাথরের যুগের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার কী?

উত্তর:  নতুন পাথরের যুগের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার কৃষিকাজ।

15.আদিম মানুষ কীসের চিত্র গুহার গায়ে আঁকত?

উত্তর:  আদিম মানুষ শিকারের চিত্র গুহার গায়ে আঁকত।

16.আদিম মানুষের প্রথম গৃহপালিত পশুর নাম করো।

উত্তর:   আদিম মানুষের প্রথম গৃহপালিত পশু হল কুকুর।

 17.আদিম মানুষের সর্বশেষ গৃহপালিত পশুর নাম করো।

উত্তর:  ঘোড়া হল আদিম মানুষের সর্বশেষ গৃহপালিত পশু।

18.মানুষের ব্যবহৃত প্রথম হাতিয়ারের নাম কী?

উত্তর:  মানুষের ব্যবহৃত প্রথম হাতিয়ার ছিল ভোঁতা পাথর।

19.ভারতের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে?

উত্তর:  কাশ্মীরের সোয়ান উপত্যকায় ভারতের সবচেয়ে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে।

20.ভীমবেটকায় কত খ্রিস্টাব্দে গুহার খোঁজ পাওয়া যায়?

উত্তর:  ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভীমবেটকায় গুহার খোঁজ পাওয়া যায়।

21.হুন্সগি উপত্যকার মাটি খুঁড়ে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে কত খ্রিস্টাব্দে?

উত্তর:  ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে হুন্সগি উপত্যকার মাটি খুঁড়ে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে।

22.আলতামিরা গুহা কোন দেশে অবস্থিত?

উত্তর:   আলতামিরা গুহা স্পেনে অবস্থিত।

23.ট্যরো কথার অর্থ কী?

উত্তর:   ট্যরো কথার অর্থ হল ষাঁড়।

24.আলতামিরা গুহার ছাদে কোন পশুর ছবি রয়েছে?

উত্তর:  আলতামিরা গুহার ছাদে ষাঁড়ের ছবি রয়েছে।

25.প্রদেশের কোথায় হাড়ের তৈরি তিরের ফলা পাওয়া গেছে?

উত্তর:  উত্তরপ্রদেশের সরাই নহর রাই-তে হাড়ের তৈরি তিরের ফলা পাওয়া গেছে।

26.রাজস্থানের কোথায় আদিম মানুষের বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে?


উত্তর:
  রাজস্থানের বাগোড়ে আদিম মানুষের বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

Short Question Answer                             

 1.এপ কাদের বলা হয়?

উত্তর: লক্ষ লক্ষ বছর আগে এক ধরনের শিম্পাঞ্জি, গোরিলা জাতীয় লেজহীন বড়ো আকারের বানরের মতো প্রাণীকে এপ বলা হত।

2.আদিম মানুষের সন্ধান কোথায় পাওয়া গেছে?

উত্তর: গবেষক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের নানা জায়গা থেকে আদিম মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল, হাড়গোড় আবিষ্কার করেছেন। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, ওইসব অঞ্চলে আদিম মানুষের বসবাস ছিল। সবচেয়ে পুরোনো মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে পূর্ব আফ্রিকাতে।

3. আদিম মানুষ দেখতে কেমন ছিল?

উত্তর: আদিম মানুষদের দেহের গঠন অনেকটা শিম্পাঞ্জি, গোরিলা কিংবা বড়ো বানরের মতো ছিল। তাদের নাক ছিল চ্যাপটা, ঠোঁট ছিল পুরু ও ওলটানো এবং চোয়াল ছিল শক্ত ও সুগঠিত। তাদের হাত ছিল নীচ পর্যন্ত ঝোলানো।

4.এপ ও মানুষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী ছিল?

উত্তর:  এপ ও মানুষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য ছিল এই যে, মানুষ হাতিয়ার তৈরি করতে পারত; কিন্তু এপরা তা পারত না।

 5.ভারতীয় উপমহাদেশে পুরোনো পাথরের যুগের কী কী হাতিয়ার পাওয়া গেছে?

উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে পুরোনো পাথরের যুগে পাওয়া কয়েকটি হাতিয়ার হল-হাতকুঠার, বল্লম, ছুরি, হারপুন, র‍্যাঁদা প্রভৃতি।

6.ন নতুন পাথরের যুগের মানুষের হাতিয়ারগুলি কীরূপ ছিল?

উত্তর: নতুন পাথরের যুগের মানুষের হাতিয়ারগুলি ছিল অনেক মসৃণ, হালকা ও ধারালো। পুরোনো ও মাঝের পাথরের যুগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত।

 7.নতুন পাথরের যুগের কয়েকটি হাতিয়ারের নাম করো।

উত্তর: নতুন পাথরের যুগের কয়েকটি হাতিয়ারের নাম হল- ফসল কাটার কাস্তে, কোদাল। এ ছাড়া কুলো, শিলনোড়া, হামানদিস্তা, জাঁতা, হাতুড়ি, বাটালি প্রভৃতি।

 8.পুরোনো পাথরের যুগ বলতে কোন সময়কালকে ধরা হয়?

উত্তর: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০ লক্ষ বছর থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১০ হাজার বছর পর্যন্ত মানবসভ্যতার সময়কালকে পুরোনো পাথরের যুগ হিসেবে ধরা হয়।

 9.লুসির কঙ্কাল কবে, কোথায় খুঁজে পাওয়া যায়?

উত্তর: ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে প্রায় ৩২ লক্ষ বছর আগের একটি ছোটো মেয়ের কঙ্কালের কিছু অংশ আফ্রিকার ইথিয়োপিয়ার হাদার নামক স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়। এর নাম দেওয়া হয়েছিল লুসি।

10.ভারতীয় উপমহাদেশে কোথায় কোথায় হোমো ইরেকটাস প্রজাতির প্রমাণ পাওয়া গেছে?

উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে কর্ণাটকের হুন্সগি উপত্যকায়, রাজস্থানের দিদওয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নেভাসাতে হোমো ইরেকটাস প্রজাতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

11.ভীমবেটকা গুহা কীজন্য বিখ্যাত?

উত্তর: মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা গুহা বিখ্যাত তার কারণ হল, এই গুহার দেয়ালে পুরোনো পাথরের যুগের মানুষের আঁকা বিভিন্ন পশু-পাখির ছবি ও পশুশিকারের দৃশ্য রয়েছে। যা প্রাচীনকালে মানুষের জীবিকা ও শিল্প রসবোধের কথা স্মরণ করায়।

 12.ভারতীয় উপমহাদেশের কোথায় মাঝের পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে?

উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে উত্তরপ্রদেশের মহাদহা, মধ্যপ্রদেশের আদমগড় প্রভৃতি অঞ্চলে মাঝের পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে।

 13. উপমহাদেশে নতুন পাথরের যুগের মানুষ কীভাবে ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল?

উত্তর: একসময়ে মেয়েরা গাছপালা দেখতে দেখতে বুঝতে পারে কীভাবে বীজ থেকে চারাগাছ হয়, আবার চারাগাছ থেকে বড়ো গাছ হয়। তখন তারা মাটিতে বীজ পুঁতে ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল।

14. এপ থেকে কীভাবে মানুষের উৎপত্তি হল?

উত্তর: পৃথিবীতে একসময় আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে গাছপালার সংখ্যা কমে যেতে থাকে। তখন এপ-রা খাবারের সন্ধানে গাছ থেকে মাটিতে নেমে আসে। তারা দু-পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। দীর্ঘদিনের নানারকম প্রচেষ্টায় তাদের শরীরের নানা পরিবর্তন ঘটে। এভাবেই এপ থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তনের মধ্যদিয়ে আদিম মানুষের সৃষ্টি হয়।

Long Question Answer

 1.অস্ট্রালোপিথেকাসদের সম্পর্কে কী জানা যায়?

উত্তর: অস্ট্রালোপিথেকাস-এর পরিচয়-

(i) আনুমানিক ৪০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে মানব প্রজাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ অস্ট্রালোপিথেকাস গোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটে।

(ii) এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে কোনোক্রমে দাঁড়াতে পারত।

(iii) এরা গাছের ডাল দিয়ে ধাক্কা মারত, পাথর ছোঁড়ার চেষ্টা করত।

• প্রাচীনকালে দক্ষ মানুষরা কেমন ছিল?

অথবা, হোমো হাবিলিসদের সম্পর্কে কী জানা যায়?

• পুরোনো দক্ষ মানুষদের পরিচয়-

(i) আনুমানিক ২৬ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে হোমো হাবিলিস বা দক্ষ মানুষদের উদ্ভব ঘটে।

(ii) এরা দলবদ্ধভাবে থাকত এবং হাঁটতে পারত। তারা ফলমূলের পাশাপাশি কাঁচা মাংসও খেত।

(iii)এরাই প্রথম পাথরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য একটি পাথরের টুকরোকে আর-একটি 

পাথর দিয়ে আঘাত করে পাথরের অস্ত্র বানাত।

2. পুরোনো পাথরের যুগে হাতিয়ারগুলির প্রকৃতি কেমন ছিল?

পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ারের প্রকৃতি ছিল-

(i) পুরোনো পাথরের যুগের প্রথমদিকে মানুষেরা ভারী নুড়ি পাথর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করত।

(ii) পরের দিকে পাথরগুলি ভেঙে তার কোণার অংশগুলি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত।

(iii) এই যুগের হাতিয়ারগুলি ছিল বৃহদাকৃতি ও অমসৃণ।

3. ‘নব্যপ্রস্তর যুগের বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো?

উত্তর:  প্রাচীন প্রস্তর যুগে পিকিং মানব, জাভা মানব, নিয়ানডারথাল মানব, হোমো ইরেকটাস-এর জন্ম হয়েছিল। অস্ট্রালোপিথেকাস-রাই সর্বপ্রথম পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার শুরু করেছিল। নব্যপ্রস্তর যুগে কৃষিকাজ-সহ মানবসভ্যতায় অতিদ্রুত কিছু গভীর পরিবর্তন ঘটেছিল। মানুষেরা স্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছিল। নব্যপ্রস্তর যুগে মানবসভ্যতার এই গভীর পরিবর্তন লক্ষ করে ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড একে ‘নব্যপ্রস্তর যুগের বিপ্লব’ বলেছেন।

4. ভীমবেটকা গুহার চিত্রগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

উত্তর:   ভীমবেটকা গুহার চিত্রগুলির বৈশিষ্ট্য ছিল-

(i) ভীমবেটকা গুহায় ছবিগুলির অধিকাংশ ছিল বন্য পশু, পাখি, মাছ প্রভৃতির।

(ii) একা কিংবা দলবদ্ধভাবে মানুষের শিকারের ছবি এখানে আঁকা রয়েছে।

(iii) এখানকার ছবিগুলিতে সবুজ ও হলুদ রঙ ব্যবহার হলেও সাদা এবং লাল রং-এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

5. হোমো ইরেকটাস বা দণ্ডায়মান মানুষদের সম্পর্কে কী জানা যায়?

উত্তর:  হোমো ইরেকটাস মানুষদের পরিচয় সম্বন্ধে নিম্নে আলোচনা করা হল-

(i) আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে হোমো ইরেকটাস বা দণ্ডায়মান মানুষদের উদ্ভব ঘটে।

(ii) এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারত এবং দলবদ্ধভাবে গুহায় বসবাস করত।

(iii) এরা একসঙ্গে পশু শিকারে যেত। এরাই প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখেছিল।

6. আদিম মানুষ কীভাবে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল?

উত্তর:  প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র মানুষই আগুন জ্বালাতে ও ব্যবহার করতে পারে। প্রথম দিকে তারা বনে লাগা আগুন (দাবানল) বা অন্যভাবে জ্বলে ওঠা আগুন দেখত। কোনো একসময় তারা জ্বলন্ত গাছের ডাল গুহায় নিয়ে আসত এবং তা নিভতে দিত না। এইভাবে হঠাৎ একদিন পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে গিয়ে চকমকি জাতীয় পাথরের ঠোকাঠুকিতে আগুন জ্বালিয়ে ফেলে। এভাবেই তারা আগুনের ব্যবহার শিখেছিল। আবার অনেকে মনে করেন শুকনো কাঠে কাঠ ঘষে তারা আগুন জ্বালাতে শিখেছিল।

7. ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

(i) নতুন পাথরের যুগে মানুষেরা কৃষিকাজ করতে শিখেছিল। আদিম মানুষেরা এই সময় খাদ্যসংগ্রাহক থেকে খাদ্য উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়েছিল।

(ii) এই যুগে মানুষ কৃষির প্রয়োজনে পশুপালন করতে শুরু করে। এ ছাড়াও পরিবহনের জন্য পশুকে কাজে লাগানো হয়।

(iii) এই সময় মানুষেরা যাযাবর জীবন বাদ দিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে।
(iv) সমাজের বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজন মেটাতে এই সময় কারিগর শ্রেণির জন্ম হয়।

   a. মানবজাতির বিবর্তনের ইতিহাস আলোচনা করো।

উত্তর: এটি মনে করা হয় যে, মানব সদৃশ্য জীবের প্রথম আবির্ভাব হয়েছিল প্রায় ৫.৬ লক্ষ বছর আগে। আর আধুনিক মানবের জন্ম হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার বছর আগে। মাঝখানের এই দীর্ঘ পথ ধরে চলেছিল মানববিবর্তন। এই বিবর্তনের পথে জন্ম নিয়েছিল বিভিন্ন মানব প্রজাতি বা গোষ্ঠী। এই প্রজাতি বা গোষ্ঠীগুলি ছিল-

• হোমিনয়েড: হোমিনয়েড হল ‘এপ’ জাতীয় প্রাণী- গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর আবির্ভাব প্রায় ৪০ লক্ষ বছর আগে হয়েছিল। এদের বৈশিষ্ট্য হল মস্তিষ্ক ছোটো, চার পায়ে হাঁটা এবং সামনের অংশের (হাতের) নমনীয়তা ছিল।

• হোমিনিড : হোমিনয়েড বিবর্তিত হয়ে এসেছিল হোমিনিড নামক গোষ্ঠী। এদের বৈশিষ্ট্য হল বড়ো মস্তিষ্ক, তারা দু-পায়ে দেহের ভার রক্ষা করতে অভ্যস্থ ছিল এবং হাতের ব্যবহার করতে পারত।

• অস্ট্রালোপিথেকাস: অস্ট্রালোপিথেকাস গোষ্ঠীর সদস্যরা বেশিরভাগ সময় গাছে থাকত। তাদের হাত দুটি ছিল লম্বা, বাঁকা এবং এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে কোনোক্রমে দাঁড়াতে পারত। প্রায় ৪০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ বছর পূর্বে এই প্রজাতির উদ্ভব ঘটে।

হোমো হাবিলিস: হোমো হাবিলিস গোষ্ঠীর উৎপত্তি হয়েছিল প্রায় ২৬ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে। এই প্রজাতি হাতিয়ার তৈরিতে অধিক পারদর্শী ছিল। হোমো ইরেকটাস: প্রায় ২০ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে হোমো ইরেকটাস গোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়েছিল। হোমো হাবিলিস গোষ্ঠীর বিবর্তনের মাধ্যমে হোমো ইরেকটাস প্রজাতির আবির্ভাব হয়েছিল। এদের মস্তিষ্কের আকার ছিল বড়ো (১০০০ ঘনসেমি) এবং এদের পেশিশক্তি ছিল বেশি।

• হোমো স্যাপিয়েন্স: হোমো ইরেকটাস প্রজাতি বিবর্তনের মাধ্যমে হোমো স্যাপিয়েন্স প্রজাতিতে পরিণত হয়। এই প্রজাতি প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার বছর পূর্বে আবির্ভূত হয়। এরা অনেক বেশি বুদ্ধিমান ও হাতের ব্যবহারে তুলনামূলকভাবে পারদর্শী ছিল। এদের থেকেই আধুনিক মানুষের উৎপত্তি হয়েছে।

b. পুরোনো পাথরের যুগ ও নতুন পাথরের যুগের মানুষের হাতিয়ারগুলির মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য দেখা যায়?

উত্তর:  লক্ষ লক্ষ বছর ধরে আদিম মানুষ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করেছিল। পুরোনো ও নতুন পাথরের যুগে পাথরের হাতিয়ারগুলির আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে এই দুটি যুগের হাতিয়ারের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।

• প্রকৃতি: পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ারগুলি ছিল বড়ো ও ভারী, এবড়োখেবড়ো এবং ভোঁতা। অন্যদিকে, নতুন পাথরের যুগের হাতিয়ারগুলি ছিল অনেক হালকা, ধারালো এবং মসৃণ।

• হাতল: পুরোনো পাথরের যুগে কোনো কোনো হাতিয়ারকে হাতের মুঠিতে ধরার জন্য পাথরের একদিকে ফুটো করে হাতল লাগানো হত। অন্যদিকে, নতুন পাথরের যুগের অনেক হাতিয়ারই ছিল হাতল লাগানো।

• ব্যবহার: পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ারগুলি মূলত বাঁচার তাগিদে ব্যবহার করা হত। অন্যদিকে নতুন পাথরের যুগের হাতিয়ারগুলি নিজেকে বাঁচানো ছাড়াও পশু শিকার, পশুর মাংস কাটা, বীজ বপন ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহার করা হত।

 হাতিয়ারের নাম: পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ারের

মধ্যে ছিল পাথরের ছুরির ফলা, পাথরের দা, হাতকুঠার, কাঠের তিরধনুক প্রভৃতি। অন্যদিকে নতুন পাথরের যুগের হাতিয়ারগুলির মধ্যে ছিল হাতকুঠার, করাত, কপিকল, হাতুড়ি, কোদাল, কাস্তে, জাঁতা, বাটালি, ছুঁচ প্রভৃতি।

 c.পুরোনো পাথরের যুগ ও নতুন পাথরের যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর:  মানুষের ইতিহাসের একটি বড়ো অংশ হল পাথরের যুগ। এই যুগ প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত, যথা-পুরোনো পাথরের যুগ, মাঝের পাথরের যুগ এবং নতুন পাথরের যুগ। ওই যুগগুলিতে আদিম মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন ঘটেছিল। পুরোনো পাথরের যুগ ও নতুন পাথরের যুগে মানুষের জীবনযাত্রার যেসব পরিবর্তন ঘটেছিল তার ওপর ভিত্তি করে কতকগুলি পার্থক্য লক্ষ করা যায়। যথা-

• বাসস্থানজনিত পার্থক্য: পুরোনো পাথরের যুগে মানুষের বাসস্থান ছিল খোলা আকাশের নীচে, কখনও-বা পাহাড়ের গুহায়। কিন্তু নতুন পাথরের যুগে মানুষ স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে কৃষিজমির পাশে কিংবা জলাশয়ের ধারে।

• খাদ্যজনিত পার্থক্য: পুরোনো পাথরের যুগে মানুষ ছিল খাদ্যসংগ্রাহক অর্থাৎ, খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা পশুশিকার ও ফলমূল জোগাড় করত। কিন্তু নতুন পাথরের যুগে মানুষ হয়ে উঠেছিল খাদ্য উৎপাদক। কৃষিকাজ জানার ফলে তারা নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল এবং সেই সঙ্গে পশুপালন করতে শুরু করেছিল।

• হাতিয়ারজনিত পার্থক্য: পুরোনো পাথরের যুগে পাথরের তৈরি মানুষের হাতিয়ারগুলি ছিল বড়ো, এবড়োখেবড়ো ও ভোঁতা। কিন্তু নতুন পাথরের যুগে মানুষের হাতিয়ার ছিল অনেক মসৃণ, হালকা ও ধারালো।
 জীবনযাত্রাজনিত পার্থক্য: পুরোনো পাথরের যুগে মানুষের জীবন ছিল খুবই কষ্টের ও বিপদে ভরা। নিজেদের বাঁচাতে ও খাদ্য জোগাড় করতে তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হত। অন্যদিকে নতুন পাথরের যুগে মানুষ কৃষিকাজ জানার ফলে তাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। এই সময় মানুষের চিন্তাশক্তি নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনে সাহায্য করেছিল।

d. আদিম মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল?

উত্তর:  আদিম মানুষের খাদ্য ছিল বনের ফলমূল ও কাঁচা মাংস। তাদের জীবন ছিল খুবই কষ্টের ও বিপদের। তাদের প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হত।

• জীবজন্তুর মতো: আদিম মানুষ জীবজন্তুর মতোই জঙ্গলে বা পাহাড়ের গুহায় জীবন কাটাত। তাদের ওপর নেমে আসত হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ। এইসব প্রাণীর মুখোমুখি পড়ে প্রাণ হারানো ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

• বিপদে ভরা জীবন: আদিম মানুষের অনেকেই কুড়ি বছর বয়স পার হওয়ার আগেই মারা যেত হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে, না হয় অসুখে কিংবা অনাহারে।

• কষ্টকর জীবন : আদিম মানুষের জীবন ছিল খুবই কষ্টের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন-ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাত, তুষারপাত, ভূমিকম্প প্রভৃতির কাছে মানুষ ছিল শিশুর মতো অসহায়। বরফের যুগেও তারা কষ্ট করে টিকে থাকতে পেরেছিল।

• বাসস্থান : আদিম মানুষের প্রথম বাসস্থান ছিল অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে পাহাড়ের গুহা। কখনো-কখনো তারা গাছের ডালের কোটরে কিংবা জলাশয়ের ধারে বসবাস করত।

• খাবার : আদিম মানুষের বেঁচে থাকার মতো খাবারের সুযোগ ছিল না। তারা বনের ফলমূল ও শিকার করা পশুপাখির কাঁচা মাংস খেয়ে দিন কাটাত।

• কঠোর কাজকর্ম : নিজেকে বাঁচাতে এবং নিয়মিত খাবার পেতে মানুষ কঠোর কাজকর্মও শুরু করে।

ধীরে ধীরে মানুষ জমিতে ফসল ফলানো, পশুপালন, পোশাক তৈরি, বসতবাড়ি গড়ে তোলা প্রভৃতি কাজ করতে শুরু করে।

True and False

1. ধীরে ধীরে এপ থেকে মানুষের উদ্ভব হল।

উত্তর:   ঠিক

2. আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে পূর্ব আফ্রিকাতে।

উত্তর:   ঠিক

3. হোমো ইরেকটাস প্রজাতির মানুষেরা হাতকুঠার বানিয়েছিল।

উত্তর:  ঠিক

4. চকমকি পাথরের ঠোকাঠুকিতেই আগুন জ্বলে ওঠে।

উত্তর: ঠিক

5. পুরোনো পাথরের যুগে মানুষ ছিল যাযাবর।

উত্তর:  ঠিক

6. আদিম মানুষ ঝলসানো মাংস খাওয়ার ফলে তাদের চোয়াল ও দাঁতের জোর বেড়ে গেল।

উত্তর:  ভুল

7. ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ আফ্রিকা থেকেই এসেছিল।

উত্তর:  ঠিক

৪. পুরোনো পাথরের যুগে আদিম মানুষের জীবন ছিল বেশ কঠিন ও কষ্টের।

উত্তর:  ঠিক

9. ভীমবেটকা গুহার ছবিগুলিতে সবুজ, হলুদ, সাদা এবং লাল রঙের ব্যবহার দেখা যায়।

উত্তর: ঠিক

10. প্রায় ৫০ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে আলতামিরা গুহার ছবিগুলি সেই সময়ের মানুষের আঁকা।

উত্তর: ভুল

11. পুরোনো পাথরের যুগের ছোটো হাতিয়ারগুলি গাছের ডালের সঙ্গে গেঁথে নেওয়া হত।

উত্তর:  ভুল

12. নতুন পাথরের যুগ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮ হাজার থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৬ হাজার বছর।

উত্তর: ভুল

13. বাগোড়েতে আদিম মানুষের বসতি ছিল।
উত্তর:  ঠিক