WBBSE Class 7 Chapter 1.2 Science Solution | Bengali Medium

আলো (Light)

MCQs Question Answer

1. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি যদি বড়ো করা হয়, তার প্রতিকৃতির প্রকৃতি-

(a) আরও স্পষ্ট হবে

(b) আরও অস্পষ্ট হবে

(c) পরিবর্তন হবে না

(d) প্রতিকৃতি তৈরি হবে না

[Contai Model Institution]

2. সূচিছিদ্র ক্যামেরার বাক্সের দৈর্ঘ্য বাড়ালে প্রতিকৃতির আকার-

(a) একই থাকবে

(b) ছোটো হবে

(c) বড়ো হবে

(d) অদৃশ্য হবে

3. সূচিছিদ্র ক্যামেরার সাহায্যে দেখা যায়-

(a) ছায়া

(b) প্রতিকৃতি

(c) প্রতিবিম্ব

(d) প্রচ্ছায়া

4. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড়ো হলে, প্রতিকৃতি-

(a) আরও স্পষ্ট হবে

(b) আরও অস্পষ্ট হবে

(c) কোনো পরিবর্তন হবে না

(d) আরও উজ্জ্বল হবে

5. বড়ো গাছের পাতা ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে মাটিতে গোল গোল অসংখ্য আলোর পটি তৈরি করে যা-

(a) সূর্যের প্রতিকৃতি

(b) গাছের পাতার প্রতিকৃতি

(c) মাটির কণার প্রতিকৃতি

(d) এর কোনোটাই নয়

6. মোমবাতির শিখাকে সূচিছিদ্রের কাছে আনলে প্রতিকৃতি-

(a) ছোটো হবে

(b) বড়ো হবে

(c) একই থাকবে

(d) অদৃশ্য হবে

উত্তর: 1 (b) 2 (c) 3 (b) 4 (b) 5 (a) 6 (b)

1. বিন্দু উৎসের সামনে অবস্থিত অস্বচ্ছবস্তুর ছায়ায়

(a) প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া উভয়ই থাকে

(b) প্রচ্ছায়া থাকে, কিন্তু উপচ্ছায়া থাকে না

(c) প্রচ্ছায়া থাকে না, কিন্তু উপচ্ছায়া থাকে

(d) প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কোনোটাই হবে না

2. ছায়া পড়ার কারণ-

(a) আলোর বিচ্ছুরণ ধর্ম

(b) আলোর প্রতিফলন ধর্ম

(c) আলোর প্রতিসরণ ধর্ম

(d) আলোর সরলরেখায় চলাচল করার ধর্ম

1. বিন্দু উৎসের সামনে অবস্থিত অস্বচ্ছবস্তুর ছায়ায়

(a) প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া উভয়ই থাকে

(b) প্রচ্ছায়া থাকে, কিন্তু উপচ্ছায়া থাকে না

(c) প্রচ্ছায়া থাকে না, কিন্তু উপচ্ছায়া থাকে

(d) প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কোনোটাই হবে না

2. ছায়া পড়ার কারণ-

(a) আলোর বিচ্ছুরণ ধর্ম

(b) আলোর প্রতিফলন ধর্ম

(c) আলোর প্রতিসরণ ধর্ম

(d) আলোর সরলরেখায় চলাচল করার ধর্ম

3. প্রচ্ছায়াকে ঘিরে থাকা আবছা অন্ধকার অংশটা হল-

(a) ছায়া

(b) উপচ্ছায়া

(c) প্রতিফলন

(d) প্রতিসরণ।

4. বস্তুকে আলোক উৎসের কাছে নিয়ে গেলে ছায়ার আকার-

(a) ছোটো হবে

(b) বড়ো হবে

(c) একই থাকবে

(d) ছায়া গঠিত হবে না

5. বিন্দু উৎস থেকে নির্গত আলোকরশ্মি বস্তুর পিছনে কী ধরনের ছায়া গঠিত হয়?

(a) প্রচ্ছায়া

(b) উপচ্ছায়া

(c) ছায়া গঠিত হয় না

(d) আবছা অন্ধকার হয়

6. আলোক উৎস বড়ো হলে-

(a) প্রচ্ছায়া

(b) উপচ্ছায়া

(c) প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া উভয়ই গঠিত হবে।

(d) কোনোটিই গঠিত হয় না

7. ছায়ার আংশিক আলোকিত অঞ্চলকে-

(a) প্রচ্ছায়া বলে

(b) উপচ্ছায়া বলে

(c) আলোকউৎস বলে

(d) ছায়াচ্ছন্ন অংশ বলে।

উ: 1.(b) 2.(d) 3.(b) 4.(b) 5. (a) 6.(c) 7.(b).

3. প্রচ্ছায়াকে ঘিরে থাকা আবছা অন্ধকার অংশটা হল-

(a) ছায়া

(b) উপচ্ছায়া

(c) প্রতিফলন

(d) প্রতিসরণ।

4. বস্তুকে আলোক উৎসের কাছে নিয়ে গেলে ছায়ার আকার-

(a) ছোটো হবে

(b) বড়ো হবে

(c) একই থাকবে

(d) ছায়া গঠিত হবে না

5. বিন্দু উৎস থেকে নির্গত আলোকরশ্মি বস্তুর পিছনে কী ধরনের ছায়া গঠিত হয়?

(a) প্রচ্ছায়া

(b) উপচ্ছায়া

(c) ছায়া গঠিত হয় না

(d) আবছা অন্ধকার হয়

6. আলোক উৎস বড়ো হলে-

(a) প্রচ্ছায়া

(b) উপচ্ছায়া

(c) প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া উভয়ই গঠিত হবে।

(d) কোনোটিই গঠিত হয় না

7. ছায়ার আংশিক আলোকিত অঞ্চলকে-

(a) প্রচ্ছায়া বলে

(b) উপচ্ছায়া বলে

(c) আলোকউৎস বলে

(d) ছায়াচ্ছন্ন অংশ বলে।

উ: 1.(b) 2.(d) 3.(b) 4.(b) 5. (a) 6.(c) 7.(b).

1. টর্চের বালব থেকে নির্গত আলোকরশ্মি হল-

(a) সমান্তরাল

(c) অভিসারী

(b) অপসারী

(d) প্রতিফলিত।

2. আলো গমন করে-

(a) বক্ররেখায়

(b) সরলরেখায়

(c) যেকোনো রেখায়

(d) কোনোটিই নয়।

3. ঘষাকাচ হল-

(a) স্বচ্ছমাধ্যম

(b) অস্বচ্ছ মাধ্যম

(c) ঈষৎস্বচ্ছ মাধ্যম

(d) কোনোটি নয়।

4. এই রশ্মিগুচ্ছ হল-

(a) অভিসারী

(b) অপসারী

(c) সমান্তরাল

(d) কোনোটিই নয়

5. আলোর জন্য বায়ু হল-

(a) স্বচ্ছ মাধ্যম

(b) অস্বচ্ছমাধ্যম

(c) ঈষৎস্বচ্ছ মাধ্যম

(d) কোনোটিই নয়

6. কুয়াশা হল

(a) স্বচ্ছ মাধ্যম

(b) ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম

(c) অস্বচ্ছ মাধ্যম

(d) কোনোটিই নয়

7. অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছ-

(a) আঁকাবাঁকা পথে ছড়িয়ে পড়ে

(b) সরলরেখায় বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে

(c) সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে চলে

(d) একটি নির্দিষ্টবিন্দু অভিমুখী হয়

৪. কোল্টিন্ট অস্বচ্ছ মাধ্যমের উদাহরণ-

(a) জল

(b) লোহা

(c) কুয়াশা

(d) বায়ু

9. অপ্রভবস্তু নয়-

(a) ইট

(b) কাঠ

(c) জোনাকি

(d লোহা

10. একটি স্বপ্রভবস্তু হল-

(a) আয়না

(b) সূর্য

(c) চাঁদ

(d) বই

11. মাখন লাগানো একটি কাগজ কোন্ মাধ্যমরূপে গণ্য হয়-

(a) ঈষৎ স্বচ্ছমাধ্যম

(b) স্বচ্ছমাধ্যম

(c) অস্বচ্ছমাধ্যম

(d) সমসত্ত্ব মাধ্যম

উত্তর: 1.(b) 2. (b) 3. (c) 4. (b) 5. (a) 6. (b) 7. (b) 8. (b) 9. (c) 10 (b) 11(a)

1. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি যদি বড়ো করা হয়, তার প্রতিকৃতির প্রকৃতি-

(a) আরও স্পষ্ট হবে

(b) আরও অস্পষ্ট হবে

(c) পরিবর্তন হবে না

(d) প্রতিকৃতি তৈরি হবে না

2. সূচিছিদ্র ক্যামেরার বাক্সের দৈর্ঘ্য বাড়ালে প্রতিকৃতির আকার-

(a) একই থাকবে

(b) ছোটো হবে

(c) বড়ো হবে

(d) অদৃশ্য হবে

3. সূচিছিদ্র ক্যামেরার সাহায্যে দেখা যায়-

(a) ছায়া

(b) প্রতিকৃতি

(c) প্রতিবিম্ব

(d) প্রচ্ছায়া

4. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড়ো হলে, প্রতিকৃতি-

(a) আরও স্পষ্ট হবে

(b) আরও অস্পষ্ট হবে

(c) কোনো পরিবর্তন হবে না

(d) আরও উজ্জ্বল হবে

5. বড়ো গাছের পাতা ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ করে মাটিতে গোল গোল অসংখ্য আলোর পটি তৈরি করে যা-

(a) সূর্যের প্রতিকৃতি

(b) গাছের পাতার প্রতিকৃতি

(c) মাটির কণার প্রতিকৃতি

(d) এর কোনোটাই নয়

6. মোমবাতির শিখাকে সূচিছিদ্রের কাছে আনলে প্রতিকৃতি-

(a) ছোটো হবে

(b) বড়ো হবে

(c) একই থাকবে

(d) অদৃশ্য হবে

উত্তর: 1 (b) 2 (c) 3 (b) 4 (b) 5 (a) 6 (b)

Very Short Question Answer

1. প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়ার মধ্যে কোনটি গাঢ়?

উত্তরঃ প্রচ্ছায়া।

2. কোন্ ক্ষেত্রে প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া-এই দুটিই উপস্থিত থাকে?

উত্তর: বিস্তৃত আলোক উৎসের ক্ষেত্রে

3. বিস্তৃত উৎসের ক্ষেত্রে বস্তুর উপচ্ছায়া গঠিত হওয়ার জন্য আলোর কোন্ ধর্ম বিশেষভাবে দায়ী?

উত্তর: আলোর সরলরৈখিক গতি- ধর্মটি।

1. প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়ার মধ্যে কোনটি গাঢ়?

উত্তরঃ প্রচ্ছায়া।

2. কোন্ ক্ষেত্রে প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া-এই দুটিই উপস্থিত থাকে?

উত্তর: বিস্তৃত আলোক উৎসের ক্ষেত্রে।

3. বিস্তৃত উৎসের ক্ষেত্রে বস্তুর উপচ্ছায়া গঠিত হওয়ার জন্য আলোর কোন্ ধর্ম বিশেষভাবে দায়ী?

উত্তর: আলোর সরলরৈখিক গতি- ধর্মটি।

6. বিন্দু আলোক উৎসের সামনে বিস্তৃত অস্বচ্ছবস্তু রাখলে কীভাবে ছায়া গঠিত হয় তা উপযুক্ত চিত্রসহ আলোচনা করো।

উত্তর: 5 নং প্রশ্নের উত্তরের অনুসরণে লেখো।

1. জলের মধ্য দিয়ে কি আলো যেতে পারে?

উত্ত: হ্যাঁ, কারণ জল একটি স্বচ্ছ মাধ্যম।

2. আলোকরশ্মি কাকে বলে?

উ: আলোক মাধ্যমে আলোর গতিপথকে আলোকরশ্মি বলে।

3. আলোর একটি প্রধানধর্ম লেখো।

উত্তর: আলো সরলরেখায় চলে।

4. সোজা পাইপ দিয়ে মোমবাতির শিখার আলো দেখা যায়, কিন্তু বাঁকা পাইপ দিয়ে মোমবাতির শিখা দেখা যায় না – আলোর কোন্ ধর্ম এরজন্য দায়ী? [পাঠ্যবই- 18]

উত্তর: আলো সরলরেখায় চলে এই ধর্ম।

6. অসমসত্ত্ব মাধ্যম কাকে বলে?  2

উত্তর: যে মাধ্যমে আলোর গতিবেগ সবদিকে সমান নয়, সেটি অসমসত্ত্ব আলোক মাধ্যম। যেমন- কোয়ার্জ (quartz), অভ্র।

5. সমসত্ত্ব মাধ্যম কাকে বলে?

উত্তর: যে মাধ্যমে আলোকের গতিবেগ সবদিকে সমান সেটি হল সমসত্ত্ব আলোক মাধ্যম। যেমন- বায়ু, জল, কাচ।

2. প্রচ্ছায়ার সংজ্ঞা দাও: 2

: কোনো আলোক উৎসের ঠিক বিপরীতে থাকা বস্তুর পিছনে সৃষ্ট অন্ধকার আকৃতির মাঝের অংশটি গাঢ় হয়। এই গাঢ় অন্ধকার অংশটি হল প্রচ্ছায়া।

3. উপচ্ছায়া সংজ্ঞা দাও। 2

উত্তর: প্রচ্ছায়া অংশটি ঘিরে থাকে একটা আবছা অন্ধকার অংশ, একেই উপচ্ছায়া বলে।

4. ছায়া গঠনের মূল উপাদানগুলি কী কী? 2

উত্তর: ছায়া গঠনের মূল উপাদানগুলি হল যথাক্রমে- (1) আলোর উৎস, (2) অস্বচ্ছ বাধাদানকারী বস্তু, (3) পর্দা।

2. প্রচ্ছায়ার সংজ্ঞা দাও: 2

: কোনো আলোক উৎসের ঠিক বিপরীতে থাকা বস্তুর পিছনে সৃষ্ট অন্ধকার আকৃতির মাঝের অংশটি গাঢ় হয়। এই গাঢ় অন্ধকার অংশটি হল প্রচ্ছায়া।

3. উপচ্ছায়া সংজ্ঞা দাও। 2

উত্তর: প্রচ্ছায়া অংশটি ঘিরে থাকে একটা আবছা অন্ধকার অংশ, একেই উপচ্ছায়া বলে।

4. ছায়া গঠনের মূল উপাদানগুলি কী কী? 2

উত্তর: ছায়া গঠনের মূল উপাদানগুলি হল যথাক্রমে- (1) আলোর উৎস, (2) অস্বচ্ছ বাধাদানকারী বস্তু, (3) পর্দা।

Short Question Answer

7. একটি জ্বলন্ত মোমবাতির সামনে একটি ছিদ্রযুক্ত পিচবোর্ডের সামনে হাতের তালু রাখলে তার উলটো দিকের দেয়ালে ছায়ার সৃষ্টি হয়। কখন হাতের দৈর্ঘ্য ও ছায়ার দৈর্ঘ্য সমান হবে এবং কখন ছায়ার দৈর্ঘ্য হাতের দৈর্ঘ্যের চেয়ে বড়ো হবে? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং-19]

উত্তর: এক্ষেত্রে সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত পিচবোর্ডটিকে বিন্দু উৎস হিসেবে ধরা যায়। এখানে পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং- 19 এর মোমবাতির ছবিটি দ্যাখো।

(i) বিন্দু উৎস ও হাতের দূরত্ব বাড়াতে থাকলে হাতের সমদৈর্ঘ্য ছায়া গঠিত হবে।

(ii) অন্যদিকে হাতের ও বিন্দু উৎস এর দূরত্ব কমাতে থাকলে ছায়ার দৈর্ঘ্য, হাতের দৈর্ঘ্যের চেয়ে বড়ো হবে।

7. আলোকীয় মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: যে মাধ্যমের মধ্যে আলো চলাচল করতে পারে তাকেই আলোক মাধ্যম বলে। মাধ্যমে পদার্থ থাকতে পারে বা মাধ্যম পদার্থশূন্য হতে পারে।

জেনে রাখোঃ

আধুনিক মতবাদ জানায় আলোর দ্বৈতরূপের কথা (dual Nature) তরঙ্গ ও কণিকা। কিন্তু আলো তার দুটোরূপের পরিচয় কখনও একসঙ্গে প্রকাশ করে না।

2. সংজ্ঞাসহ লেখো: (i) স্বচ্ছ মাধ্যম (ii) অস্বচ্ছ মাধ্যম (iii) ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম

উ: (i) স্বচ্ছমাধ্যম যে মাধ্যমের মধ্যদিয়ে আলো সহজেই যাতায়াত করতে পারে তাকে স্বচ্ছ মাধ্যম বলে। (যেমন – বায়ু, জল ইত্যাদি।)

(ii) অস্বচ্ছ মাধ্যম যে মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আলো একেবারেই যেতে পারে না। তাকে অস্বচ্ছ মাধ্যম বলে। যেমন- কাঠ, পাথর ইত্যাদি।

(iii) ঈষৎস্বচ্ছ মাধ্যম কিছু বিশেষ মাধ্যমে বস্তুর মধ্য দিয়ে আলো ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারে না। তাই এই সমস্ত মাধ্যমকে “ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম” বলে। যেমন- ঘষা কাচ, কুয়াশা ইত্যাদি।

3. অপসারী আলোক রশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝো? 2

উত্তর: একটি বিন্দুউৎস থেকে নির্গত আলোর রশ্মিগুচ্ছ পরস্পরের থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে বাইরের অভিমুখে ছড়িয়ে পড়া আলোকরশ্মিকে অপসারী আলোক রশ্মি বলে।

যেমন: গাড়ির হেডলাইট থেকে নির্গত আলোকরশ্মি রাস্তার চারিপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

4. অভিসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝো? 2

উত্তর :একগুচ্ছ রশ্মিগুচ্ছ একটি নির্দিষ্ট বিন্দু অভিমুখে একত্রিত হয়ে মিলিত হওয়াকে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ বলা হয়। এক্ষেত্রে বিস্তৃত অঞ্চল থেকে রশ্মিগুচ্ছ একত্রিত হয়ে একটি বিন্দুতে মেশে। যেমন- আতসকাচের দ্বারা প্রতিসৃত হওয়া আলোকরশ্মি গুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ বলা হয়।

1. সূচিছিদ্র ক্যামেরার মূলনীতি কী? অথবা, সূচিছিদ্র ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য কী?[ অনুরূপ প্রশ্ন।]

উত্তর: একটি সূচিছিদ্র বাক্সের দেয়ালে ঘষাকাচ লাগানো অংশে মোমবাতির শিখা ছিদ্রের মধ্য দিয়ে উলটানো প্রতিকৃতি দেখা যাবে।

সূচীছিদ্র ক্যামেরার মূলনীতি:

• আলো সরলরৈখিক পথে চলে- এই ধর্ম অবলম্বন করে ক্যামেরার সামনে কোনো বস্তু রাখলে, ঘষাকাচের পর্দায় উলটো প্রতিকৃতি সৃষ্টি হবে।

• ছিদ্রের আকার ছোটো রাখলে প্রতিকৃতি স্পষ্ট হয়, ছিদ্র বড়ো হলে তার অস্পষ্টতা বাড়ে।

• ক্যামেরার মধ্য দিয়ে যেন অবাঞ্ছিত আলো প্রবেশ না করে, তার জন্য ভেতরের দেয়ালে কালো রং, করা হয়।

4. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড়ো হলে প্রতিকৃতির কী পরিবর্তন হয়?

অথবা, সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি যথাসম্ভব ছোটো করা হয় কেন?

উত্তর: সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড়ো হলে প্রতিকৃতি অস্পষ্ট হবে।

• একটি বড়ো ছিদ্র অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের সমষ্টি, তাই এই ছিদ্র দিয়ে অনেকগুলি আলোকরশ্মি প্রবেশ করে অনেকগুলি প্রতিকৃতি সৃষ্টি করে, যা প্রতিকৃতিকে আবছা করে দেয়।

• প্রতিকৃতিগুলি একে অপরের ওপর পড়ে অধিক্রমণ একটা আবছা ও অস্পষ্ট প্রতিকৃতি সৃষ্টি করে। তাই ছিদ্রটি যথাসম্ভব ছোটো রাখা দরকার।

5. দিনেরবেলায় অনেক উঁচু দিয়ে এরোপ্লেন বা পাখি উড়ে গেলে ওদের ছায়া মাটিতে পড়ে না কেন?

উত্তর: সূর্য থেকে আসা আলোক উৎসকে একটি (S) বিস্তৃত উৎস হিসেবে ধরা হয়। তার সামনে পাখি বা এরোপ্লেন AB বস্তুরূপে আলোর গতিপথে বাধা হলে ছায়া গঠিত হয়। কিন্তু

সূর্য (উৎস) থেকে বস্তুর দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় তার থেকে উৎপন্ন বিন্দুর মতো প্রচ্ছায়া অংশটি মাটি থেকে অনেক দূরে সৃষ্টি হয়। এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে তার ত্রিকোণাকার অপসারী শঙ্কু (CA’B’) ব্যাসের ছায়া পড়ে যার অন্ধকারের গাঢ়ত্ব এতই কম তাই বোঝা যায় না, তাই মাটিতে ছায়াও পড়ে না।

Long Question Answer

অথবা, সমতল দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর : সমতলদর্পণে গঠিত অথবা আয়নায় গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যাবলি হল-

(i) দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব = দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্ব

(ii) বস্তুর আকার = প্রতিবিম্বের আকার

(iii) অপ্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্বীয় পরিবর্তন হয়।

(iv) প্রতিবিম্ব বস্তুর সমশীর্ষ হয়।

(v) বিন্দুবস্তু ও তার প্রতিবিম্বের সংযোজকে, সরলরেখা দর্পণকে লম্বভাবে ছেদ করে।

(vi) সদ্বস্তুর অসদ্‌ প্রতিবিম্ব ও অসদ্বস্তুর সদ্‌ প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।

পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগৃহীত প্রশ্নাবলি

4. একটি কাচের গ্লাসের মধ্যে একটি পেন বা কাঠি রাখো। এবার গ্লাসে জল ঢালো, কী কী পরিবর্তন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও:

(i) পেনটির কোনো অংশ কি কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেছেন? পরিবর্তন হলে কোন্ অংশে?

(ii) পেনটির নীচের অংশ যেখান থেকে জলের ভিতর আছে সেখান থেকে পেনটিকে বাঁকা লাগে কেন?

(iii) পেনটিকে জল থেকে তুলে দেখো, পেনটি সত্যিই বেঁকেছে কিনা? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা – 34]

: (i) পেনটিকে কাচের গ্লাসের মধ্যে আংশিক তির্যকভাবে ডুবিয়ে দিলে, পেনের জলে নিমজ্জিত অংশটি কিছুটা বেঁকে গেছে বলে মনে হয়। পাশ থেকে দেখলে মনে হয় পেনটি আড়াআড়িভাবে সরে এসেছে।

(ii) গ্লাসে জল ঢালার পর গ্লাসের ভিতরে দুটো মাধ্যম থাকে- (a) জল (ঘনতর মাধ্যম) (b) বায়ু (লঘুতরমাধ্যম) পেনের জলের তলার অংশ থেকে আলো যখন (ঘনতর মাধ্যম) প্রতি ছবি বায়ুতে (লঘুতর মাধ্যমে) পৌঁছায় তখন মাধ্যম দুটির বিভেদতল থেকে আলো বেঁকে চোখে এসে পড়ে। কারণ তখন আসল পেনের নিমজ্জিত অংশ নয়, পেন এর নিমজ্জিত অংশের প্রতিবিম্বটি দেখা যাচ্ছে, প্রতিসরণের জন্য প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।

(iii) পেনটিকে জল থেকে তুললে দেখা যাচ্ছে পেনটি ঠিক আগের মতোই অপরিবর্তিতই আছে। পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং- 34 এর প্রথম ছবিটি দ্যাখো)

4. লঘুতর মাধ্যম থেকে ঘনতর মাধ্যমে আলোকরশ্মির প্রতিসরণ একটি চিত্রের সাহায্যে দেখাও: চিত্রে আপতিতরশ্মি, প্রতিসৃতরশ্মি আপতনকোণ ও প্রতিসরণকোণ, অভিলম্ব চিহ্নিত করো।

A) AO = আপতিত রশ্মি

B) OB = প্রতিসৃত রশ্মি

C) ∠AON = আপতন কোণ (1)

D) ∠BON’ = প্রতিসারণ কোণ (r)

E) অভিলম্ব = NON’

চিত্রের লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসরণ:

.. আপতন কোণ (i) > প্রতিসরণ কোণ (r)

এইধরনের প্রতিসরণের ক্ষেত্রে প্রতিসৃতরশ্মি অভিলম্বের দিকে সরে আসে।

মনে রেখো: (পরম প্রতিসরাঙ্ক) এর মান নির্ভর করে মাধ্যম

দুটির প্রকৃতি ও আলোর বর্ণের ওপর। প্রতিসরাঙ্ক সবসময় আপেক্ষিক। µ> L হলে বুঝতে হবে আলোক সাপেক্ষে প্রথম মাধ্যমটি লঘুতর এবং দ্বিতীয় মাধ্যমটি ঘনতর।

3. আয়নায় গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো:

অথবা, সমতল দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর : সমতলদর্পণে গঠিত অথবা আয়নায় গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যাবলি হল-

(i) দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব = দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্ব

(ii) বস্তুর আকার = প্রতিবিম্বের আকার

(iii) অপ্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্বীয় পরিবর্তন হয়।

(iv) প্রতিবিম্ব বস্তুর সমশীর্ষ হয়।

(v) বিন্দুবস্তু ও তার প্রতিবিম্বের সংযোজকে, সরলরেখা দর্পণকে লম্বভাবে ছেদ করে।

(vi) সদ্বস্তুর অসদ্‌ প্রতিবিম্ব ও অসদ্বস্তুর সদ্‌ প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।

পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগৃহীত প্রশ্নাবলি

4. একটি কাচের গ্লাসের মধ্যে একটি পেন বা কাঠি রাখো। এবার গ্লাসে জল ঢালো, কী কী পরিবর্তন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও:

(i) পেনটির কোনো অংশ কি কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেছেন? পরিবর্তন হলে কোন্ অংশে?

(ii) পেনটির নীচের অংশ যেখান থেকে জলের ভিতর আছে সেখান থেকে পেনটিকে বাঁকা লাগে কেন?

(iii) পেনটিকে জল থেকে তুলে দেখো, পেনটি সত্যিই বেঁকেছে কিনা? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা – 34]

: (i) পেনটিকে কাচের গ্লাসের মধ্যে আংশিক তির্যকভাবে ডুবিয়ে দিলে, পেনের জলে নিমজ্জিত অংশটি কিছুটা বেঁকে গেছে বলে মনে হয়। পাশ থেকে দেখলে মনে হয় পেনটি আড়াআড়িভাবে সরে এসেছে।

(ii) গ্লাসে জল ঢালার পর গ্লাসের ভিতরে দুটো মাধ্যম থাকে- (a) জল (ঘনতর মাধ্যম) (b) বায়ু (লঘুতরমাধ্যম) পেনের জলের তলার অংশ থেকে আলো যখন (ঘনতর মাধ্যম) প্রতি ছবি বায়ুতে (লঘুতর মাধ্যমে) পৌঁছায় তখন মাধ্যম দুটির বিভেদতল থেকে আলো বেঁকে চোখে এসে পড়ে। কারণ তখন আসল পেনের নিমজ্জিত অংশ নয়, পেন এর নিমজ্জিত অংশের প্রতিবিম্বটি দেখা যাচ্ছে, প্রতিসরণের জন্য প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।

(iii) পেনটিকে জল থেকে তুললে দেখা যাচ্ছে পেনটি ঠিক আগের মতোই অপরিবর্তিতই আছে। পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং- 34 এর প্রথম ছবিটি দ্যাখো)

Fil In The Blanks

1. যে বস্তুর নিজস্ব আলো নেই, তাকে — বস্তু বলে।

2. সূর্য থেকে আসা আলোকরশ্মি গুচ্ছকে  — গুচ্ছ বলা যেতে পারে। আলোকরশ্মি

3.—— বস্তুগুলো থেকে নিজস্ব আলো নির্গত হয়।

4. আলোকরশ্মিগুচ্ছ — ধরনের হয়।

5. বিন্দু আলোক উৎসের চেয়ে আকারে বড়ো আলোক উৎসকে — বলে।

উত্তর:1. (অপ্রভবস্তু) 2. (সমান্তরাল) 3. (স্বপ্রভবস্তু) 4. (তিন) 5.

(বিস্তৃতউৎস)

1. সূচিছিদ্র ক্যামেরায় ছিদ্র যত ছোটো হবে ——- তত সূক্ষ্ম

হবে।

2. সুচিছিদ্র ক্যামেরায় গঠিত বস্তুর প্রতিকৃতি সব সময় ——- হয়। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠানং-24]

3. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্র যত ছোটো হবে প্রতিকৃতি তত ——- হবে।

4. ক্যামেরার দৈর্ঘ্য যত বাড়ানো হবে প্রতিকৃতি তত —— হবে।

5. সূচিছিদ্র ক্যামেরায় বস্তুর —— গঠিত হয়।

6.——- প্রতিফলনে আপতিত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল হলেও প্রতিফলনের পর তারা আর —— থাকে না।

উত্তরঃ 1. (প্রতিকৃতি), 2. (সমান), 3. (স্পষ্ট), 4. (বড়ো) 5. (প্রতিকৃতি), 6. (বিক্ষিপ্ত, সমান্তরাল)

1. আলোক উৎস ——– হলে প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া দুটি গঠিত হয়।

2. প্রচ্ছায়াকে ঘিরে থাকা আবছাঅন্ধকার অংশটি হল ——–

3. বিস্তৃত উৎসের সামনে, বাধাদানকারী বস্তু ও পর্দার দূরত্ব বাড়াতে থাকলে ছায়াটি ক্রমে —— হবে।

উত্তর: 1. (বিস্তৃত) 2. (উপচ্ছায়া) 3. (বড়ো)।

1. সূচিছিদ্র ক্যামেরায় ছিদ্র যত ছোটো হবে ——- তত সূক্ষ্ম

হবে।

2. সুচিছিদ্র ক্যামেরায় গঠিত বস্তুর প্রতিকৃতি সব সময় ——- হয়। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠানং-24]

3. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্র যত ছোটো হবে প্রতিকৃতি তত ——- হবে।

4. ক্যামেরার দৈর্ঘ্য যত বাড়ানো হবে প্রতিকৃতি তত —— হবে।

5. সূচিছিদ্র ক্যামেরায় বস্তুর —— গঠিত হয়।

6.——- প্রতিফলনে আপতিত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল হলেও প্রতিফলনের পর তারা আর —— থাকে না।

উত্তরঃ 1. (প্রতিকৃতি), 2. (সমান), 3. (স্পষ্ট), 4. (বড়ো) 5. (প্রতিকৃতি), 6. (বিক্ষিপ্ত, সমান্তরাল)

1. অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে কোশের ——– অণুর ক্ষতি হয় এবং ওজোন স্তর ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পৃথিবীতে ক্যানসার ক্রমশ বাড়াচ্ছে।

2. X-Ray আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ———

3. সমস্ত জীবজগৎকে সূর্যের অতিবেগুনিরশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে ——— স্তর।

4 . ——— রশ্মি শরীরের চামড়া ও মাংসপেশি ভেদ করতে পারে, কিন্তু হাড় ভেদ করতে পারে না।

উত্তর: 1 (DNA, ত্বকের) 2 (বিজ্ঞানী রন্টজেন) 3 (ওজোন) 4 (এক্সরশ্মি)

Ture And False

1. আলো চলাচলের জন্য মাধ্যম অবশ্যই দরকার।

2. আলো সরলরেখায় চলে।

3. যে-কোনো শূন্যস্থান হল সম্পূর্ণ স্বচ্ছমাধ্যম।

4. সমসত্ত্ব মাধ্যমে আলো সবদিকে সমানগতিতে চলে।

5. সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে আলো চলাচল করে অস্বচ্ছ মাধ্যমে।

উত্তর: 1. (সত্য) 2. (সত্য) 3. (সত্য) 4. (সত্য) 5. (মিথ্যা)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *