WBBSE Class 3 Amader Paribesh Chapter 6 Solution | Bengali Medium

আকাশ

Very Short Question Answer

১। সাদা মেঘের পিছনে আকাশের কী রং হয়?

উত্তরঃ নীল রং হয়।

২। মেঘকে কেন কালো দেখায়?

উত্তরঃ অনেক ছোটো ছোটো জলকণা থাকে বলে মেঘকে কালো দেখায়।

৩। কখন মেঘ ছাই ছাই দেখায়?

উত্তরঃ জলকণা বড়ো বড়ো থাকলে দেখায়।

৪। রাতের আকাশ কেমন দেখায়?

উত্তরঃ রাতের কালো আকাশে তারা ঝিকমিক করে।

৫। রাতের আকাশে কী ঝিকমিক করে?

উত্তরঃ রাতের আকাশ কালো দেখায়।

৬। আকাশে চাঁদের কাছাকাছি জায়গাটায় মাঝে মাঝে কী দেখা যায়?

উত্তরঃ আকাশে চাঁদের কাছাকাছি জায়গাটায় মাঝে মাঝে আলো

দেখা যায়।

৭। দিনেরবেলায় সূর্য থেকে দূরের আকাশটা কেমন হয়?

উত্তরঃ দিনেরবেলায় সূর্য থেকে দূরের আকাশটা নীল হয়।

৮। দিনেরবেলায় কোথাকার আকাশটা ঠিক নীল নয়?

উত্তরঃ সূর্যের কাছের আকাশটা।

৯। সোজাসুজি সূর্যের দিকে তাকালে কীসের ক্ষতি হয়?

উত্তরঃ চোখের ক্ষতি হয়।

১০। কোন্ দিকে সূর্য তা বোঝার উপায় কী?

উত্তরঃ নিজেকে দেখে বোঝা যায়। কারণ ছায়ার উলটো দিকে সূর্য থাকে।

১১। বিকেলে সূর্য কোন্ দিকে থাকে?

উত্তরঃ পশ্চিম দিকে থাকে।

১২। পশ্চিম দিকে সূর্য থাকলে তোমার ছায়া কোন্ দিকে থাকবে?

উত্তরঃ আমার ছায়া পূর্বদিকে থাকবে।

১। মৌমাছিদের যাওয়া- শেষ নেই।

উত্তরঃ আসার

২। অনেক ছোটো ছোটো থাকলে মেঘ কালো।

উত্তরঃ  জলকণা

৩। রাতে তো আকাশে তারা ঝিকমিক করে।

উত্তরঃ কালো

৪। সূর্য থেকে দূরের আকাশটা হয়।

উত্তরঃ  নীল

৫। বিকেলে সূর্য দিকে থাকে।

উত্তরঃ পশ্চিম

৫। সোজাসুজি সূর্যের দিকে তাকালে- (চোখের/দৃষ্টির) ক্ষতি হয়।
উত্তরঃ কাছাকাছি

১। নানা সময়ে আকাশের রং কেমন হয়?

উত্তরঃ নানা রকমের হয়।

২। আকাশের রং কি বদলে যায়?

উত্তরঃ  বাতাসের ধূলিকণার তারতম্যের কারণে সূর্যালোকে আকাশের রং-এর বৈচিত্র্য দেখা যায়।

৩। আকাশে যে রং আমরা দেখি তার কারণ কী?

উত্তর: বাতাসে নানান ধূলিকণার ওপর সূর্যালোক পড়লে রং-এর ছটা বেরোয়।

৪। রাতে কার আলো দেখা যায়?

উত্তরঃ রাতে চাঁদের আলো দেখা যায়।

৫। চাঁদের আলোয় কত দূরের কোনো চেনা জিনিসকে দেখা যায়?

উত্তর: চাঁদের আলোয় আট-দশ মিটার দূর পর্যন্ত কোনো চেনা জিনিসকে চেনা যায়।

৬। অমাবস্যার রাতে কত দূরের কোনো কিছুকে আমরা দেখতে পাই?

উত্তর: অমাবস্যার রাতে সামনে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলেও আমরা ভালো করে দেখতে পাই না।

৭। পূর্ণিমার রাতে কেন তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে নীচের লোককে দেখা যায়?

উত্তরঃ পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলো থাকার জন্য তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে নীচের লোককে দেখা যায়।

৮। দিনের কোন্ সময় আলো কমে যায়?

উত্তরঃ বিকেলে আলো কমে যায়।

৯। দিনেরবেলায় বিকেলে আলো কমলে গরম কি কমে যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, দিনেরবেলায় বিকেলে আলো কমলে গরমও কমে যায়।

১০। কী কারণে দিনেরবেলায় সূর্যের আলো কমে যেতে পারে?

উত্তর:  মেঘের কারণে দিনেরবেলায় সূর্যের আলো কমে যেতে পারে।

১১। মেঘের কারণে দিনেরবেলায় সূর্যের আলো কমলে কি গরমও কমে যায়?

উত্তরঃ না। অনেক সময় মেঘ করলে সূর্যের আলো কমলেও গরম কমে না।

১। আকাশের রং নেই।

উত্তরঃ  কোনো

২। চাঁদের কম।

উত্তরঃ আলো

৩। বিকেলে সূর্যের কমে যায়।

উত্তরঃ আলো

৪। মেঘ করলে আলো কমে যায়, কিন্তু কমে না।

উত্তরঃ গরম

৫। রাতে আকাশে চাঁদ থাকে না।

উত্তরঃ অমাবস্যার।

১। সকাল সাতটার সময় ছায়া কোন্ দিকে পড়বে?

উত্তরঃ পশ্চিম    দিকে পড়বে।

২। সকাল দশটার সময় ছায়া কোন্ দিকে পড়বে?

উত্তরঃ পশ্চিম দিকে পড়বে।

৩। কোন্ সময় লম্বা ছায়া দেখা যাবে?

উত্তর: সকাল ৭টায় এবং বিকেল ৫টায় লম্বা ছায়া দেখা যাবে।

৪। ছবিতে সকাল ৭টার ছায়া দেখাতে ক-টি রেখা ব্যবহার করা হয়েছে?

উত্তরঃ তিনটি রেখার ব্যবহার করা হয়েছে।

৫। সকাল ৭টায় পৃথার ছায়ার রেখাচিত্রে কোন্ রেখাটি সবচেয়ে বড়ো আর কোন্টি সবচেয়ে ছোটো?

উত্তরঃ সূর্য থেকে পৃথার মাথা পর্যন্ত রেখাটি সবচেয়ে বড়ো। আর পৃথাকে দেখানো রেখাটা সবচেয়ে ছোটো।

৬। পৃথার স্কুল আসার সময় সূর্য কোথায় ছিল?

উত্তর: সূর্য পূর্বদিকে ছিল, কিন্তু প্রায় মাথার ওপরে।

৭। সকাল ১০টার সময় পৃথা ও পৃথার ছায়ার রেখার মধ্যে কী পার্থক্য দেখা গেল?

উত্তর: পৃথার নিজের রেখার থেকে তার ছায়ার রেখা বড়ো ছোটো।

৮। দুপুরে মাথার ওপর সূর্য থাকলে ছায়া কোথায় পড়বে এবং কত বড়ো হবে?

উত্তরঃ সূর্য মাথার ওপর থাকলে ছায়া পায়ের চারদিকে পড়বে ও এই ছায়া খুবই ছোটো হবে।

১। আর ছায়ার উলটো দিকে

উত্তরঃ সূর্য

২। দশটার সময় সূর্য প্রায় ওপরে।

উত্তরঃ মাথার

৩। দশটার সময় খাটো।

উত্তরঃ ছায়া

৪। সকাল সাতটায় লম্বা।

উত্তরঃ ছায়া

৫। ছায়া দেখতে গেলে চাই আলো।

উত্তরঃ সূর্যের

১। শুক্লপক্ষ কবে শুরু হয়?

উত্তর: অমাবস্যার পরের দিন থেকে শুরু হয়।

২। শুক্লপক্ষের প্রথমা তিথিতে কি চাঁদ দেখা যাবে?

উত্তর: না, চাঁদ দেখা যাবে না।

৩। কোন্ তিথিতে চাঁদ দেখা যায় না?

উত্তর: শুক্লপক্ষের প্রথমা তিথিতে চাঁদ দেখা যায় না।

৪। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে চাঁদ কেমন দেখতে হয়?

উত্তর: কাস্তের ফালির মতো দেখতে হয়।

৫। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে চাঁদকে কোন্ দিকের আকাশে দেখা যাবে?

উত্তর: পশ্চিম আকাশে দেখা যাবে।

৬। কোন্ তিথি থেকে চাঁদ পরপর বড়ো হতে থাকে?

উত্তর:  শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির পর থেকে।

৭। কোন্ তিথি থেকে চাঁদ ক্রমশ মাঝ আকাশের দিকে সরতে থাকে?

উত্তর: শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির পর থেকে সরতে থাকে।

৮। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় চাঁদকে কেমন দেখায়?

উত্তরঃ কমলালেবুর কোয়ার মতো দেখতে হয়।

৯। পূর্ণিমার সন্ধ্যায় চাঁদ কোন্ দিকের আকাশে ওঠে?

উত্তর:  পূর্ব আকাশে ওঠে।

১০। পূর্ণিমার চাঁদ কেমন দেখতে?

উত্তরঃ গোল থালার মতো দেখতে হয়।

১১। পূর্ণিমার আকাশে তারা কেমন দেখা যায়?

উত্তরঃ বেশি দেখা যায় না।

১২। কৃষ্ণপক্ষ কবে থেকে শুরু হয়?

উত্তরঃ পূর্ণিমার পর থেকে শুরু হয়।

১৩। কৃষ্ণপক্ষের প্রথম সন্ধ্যাকে কী বলে?

উত্তরঃ কৃষ্ণপক্ষের প্রথমা বলে।

১। পূর্ব আকাশে স্টিফেনের দেখা তিনটি তারা কোন্ দিকে সরে গেল?

উত্তরঃ পশ্চিমদিকে সরে গেল।

২। আকাশে তারাগুলি কি সরে যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সরে যায়।

৩। কিছু তারা ছোটো দেখায় কেন?

উত্তরঃ ওরা খুব দূরে থাকে বলে ছোটো দেখায়।

৪। দূরে থাকলে বড়ো আলো কেমন দেখাবে?

উত্তরঃ দূরে থাকলে বড়ো আলো ছোটো দেখাবে।

৫। রাস্তার আলোকে অনেক দূর থেকে দেখলে কী মনে হয়?

উত্তরঃ মনে হয় যেন একটি টুনি বালব।

৬। দূরের তারাগুলি কি আকারে ছোটোও হতে পারে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, দূরের তারাগুলি আকারে ছোটোও হতে পারে।

৭। ছায়াপথ কাকে বলে?

উত্তরঃ রাতের আকাশে একদিক থেকে অন্যদিকে ছড়িয়ে থাকা আলোর আভাকে ছায়াপথ বলে।

৮। ছায়াপথে কী থাকে?

উত্তরঃ অসংখ্য ছোটো-বড়ো তারা থাকে।

৯। আকাশের ছায়াপথ কোন্ দিকে দেখা যায়?

উত্তরঃ আকাশের প্রায় উত্তর-দক্ষিণে দেখা যায়।

১০। ছায়াপথকে আর কী নামে ডাকা হয়? ?

উত্তরঃ আকাশ গঙ্গা নামে ডাকা হয়।

১। আকাশে তারাগুলি কোন্ দিক থেকে কোন্ দিকে সরে যায়?

উত্তরঃ আকাশের তারাগুলি পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে সরে যায়।

২। মেঘ কী কারণে সৃষ্টি হয়?

উত্তর: জলীয় বাষ্পের কারণে মেঘ সৃষ্টি হয়।

৩। জলের বাষ্প কীভাবে দেখা যায়?

উত্তরঃ ফোটানো জলের উপরিস্থ ধোঁয়া দেখে বোঝা যায়।

৪। জলের বাষ্প কী?

উত্তরঃ জলের বাষ্প হলো জলকণা।

৫। শীতকালে পুকুরের ওপরে যে ধোঁয়া দেখা যায় তাকে কী বলে?

উত্তর: জলীয় বাষ্প বলে।

৬। আমাদের সামনের বাতাসে কী জলীয় বাষ্প রয়েছে?

উত্তর: হ্যাঁ, আমাদের সামনের বাতাসে জলীয় বাষ্প রয়েছে।

৭। বাতাসে ভেসে থাকা জলকণাগুলি কার গায়ে জমে?

উত্তরঃ বাতাসে ভেসে থাকা ধূলিকণার গায়ে জলকণাগুলি জমে।

৮। সূর্যের আলোকে কে আটকে দেয়?

উত্তরঃ সূর্যের আলোকে মেঘ আটকে দেয়।

৯। জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে কী সৃষ্টি করে?

উত্তরঃ জলকণা সৃষ্টি করে।

১০। জলকণা বাতাসে কীসের গায়ে মেশে?

উত্তরঃ ধুলোকণার গায়ে মেশে।

১১। মেঘের জন্য কী প্রয়োজন?

উত্তরঃ জলকণাগুলির পাশাপাশি অবস্থানের প্রয়োজন।

১। কী রকম শব্দ করে বাজ পড়া শুরু হলো?

উত্তরঃ  কড়কড় শব্দ করে বাজ পড়া শুরু হলো।

২। মেঘে মেঘে ঘষা লাগলে কী হয়?

উত্তরঃ আগুন বেরোয়, বাজ পড়ে।

৩। কাক ইলেকট্রিকের দুটি তারে ধাক্কা খাওয়ার সময় কী হয়েছিল?

উত্তরঃ জোর শব্দ হয়েছিল আর ভীষণ আলো বেরিয়েছিল।

৪। মেঘের এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় কী যায়?

উত্তরঃ বিদ্যুৎ যায়।

৫। মেঘের এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় বিদ্যুৎ যাওয়ার সময় কীসের ঝলক দেখা যায়?

উত্তরঃ বিদ্যুতের ঝলক দেখা যায়।

৬। আমরা কাকে বাজ বলি?

উত্তরঃ মেঘ থেকে মাটিতে বিদ্যুৎ গেলে আমরা বাজ বলি।

৭। কোন্ কোন্ গাছের ওপর বাজ বেশি পড়ে?

উত্তরঃ নারকেল ও তাল গাছের ওপর।

৮। নারকেল বা তালগাছে বাজ বেশি পড়ে কেন?

উত্তরঃ ওই গাছগুলির মাথা মাটি থেকে অনেক উঁচুতে থাকে বলে বাজ এই ধরনের গাছের মাথায় বেশি পড়ে।

১। প্রথম আকাশে কয়টা রং গোনা গেল?

উত্তরঃ প্রথমে আকাশে চারটা রং- নীল, সবুজ, হলুদ আর লাল গোনা গেল।

২। নীলের আগে কোন্ রং-এর আভা দেখা গেল?

উত্তরঃ নীলের আগে একটু বেগুনি রং-এর আভা দেখা গেল।

৩। আকাশে নীল রঙের কটা ভাগ আছে?

উত্তরঃ দিদিমণি বললেন নীলের দুটো ভাগ আছে- একটু গাঢ় আর একটু হালকা।

৪। আকাশ এমনি কেমন রং-এর দেখায়?

উত্তর: হালকা নীল দেখায়।

৫। হালকা নীল রংটাকে কী বলে?

উত্তরঃ আকাশি রং বলে।

৬। কমলা রং কোথায় দেখা যায়?

উত্তরঃ হলুদ আর লালের মাঝে কমলা রং দেখা যায়।

৭। সব নিয়ে আকাশের মোট কটি রং দাঁড়াল?

উত্তরঃ সব নিয়ে আকাশের মোট সাতটা রং দাঁড়াল।

৮। সাতটি রং কী কী?

উত্তরঃ বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা আর লাল।

৯। রংগুলির প্রথম অক্ষর নিয়ে লিখলে কী দাঁড়ায়?

উত্তরঃ রংগুলির প্রথম অক্ষর নিয়ে লিখলে দাঁড়ায়- বেনী আস হকলা।

১০। খানিক পরে আকাশে ওই রংগুলি মিলিয়ে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ যেহেতু রংগুলি জলের ফোটার জন্য তৈরি হয় সেহেতু ওই জলের ফোঁটা বাষ্পে পরিণত হলে ওই রংগুলি মিলিয়ে যায়।

Short Question Answer

১। আকাশে রং-এর ছটা কখন চোখে পড়ল এবং ওই | ছটার কটি রং রয়েছে?

উত্তরঃ আকাশে রং-এর ছটা বৃষ্টি থামার পর রোদ উঠতে চোখে । পড়ল। ওই রং-এর ছটায় সাতটা রং রয়েছে। লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, আকাশি, নীল ও বেগুনি।

২। আকাশে রং-এর ছটা কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ আকাশে রং-এর ছটা জলের ফোঁটা আর সূর্যালোকের । কারণে সৃষ্টি হয়। সেগুলি থেকে সাতটি রং-এর আলো চোখে আসে। এইভাবে আকাশে রং-এর ছটা তৈরি হয়।।

৩। আকাশে দেখতে পাওয়া রং-এর ছটা কিছু সময়ের পর আর দেখা যায় না কেন?

অথবা, বৃষ্টি হওয়ার পর রোেদ উঠলে রামধনু দেখা যায় না কেন?

উত্তরঃ রং-এর ছটা জলের ফোঁটার ওপর সূর্যালোক পড়ার কারণে হয়। যখন ওই জলের ফোঁটা বাষ্পে পরিণত হয় তখন আর ওই রং-এর ছটা দেখা যাবে না। তাই আকাশে দেখতে পাওয়া রং-এর ছটা কিছু সময়ের পর রোদ উঠলে আর দেখা যায় না।

১। বাজ পড়ার ঘটনাটি কী রকম?

অথবা, ‘বিদ্যুৎ’ বিষয়ের ওপর দুটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ মেঘের একটা জায়গা থেকে আর- একটা জায়গায় বিদ্যুৎ যায়। তাতে আলোর ঝলক দেখা যায়। তখন আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘ থেকে মাটিতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।

২। উঁচু গাছের মাথায় বাজ পড়ে কেন?

উত্তরঃ উঁচু গাছের মাথা মাটি থেকে অনেক ওপরে উঠে থাকে। অর্থাৎ মেঘের একটু কাছে থাকে। ফলে ওইসকল উঁচু গাছের মাথায় বাজ পড়ে।

৩। বাজ পড়ে গাছ মারা গেলে ওই কাছের গুঁড়িকে কী করা হয়?

উত্তরঃ বাজ পড়া গাছকে সাধারণত কেউ কাটে না। তবে বাজ পড়ে গাছ মরে গেলে কিছু করার থাকে না। তখন গাছটা ফেলে না দিয়ে নানাভাবে কাজে লাগানো হয়। যেমন, পুকুরঘাট বাঁধানোর কাজে প্রায়ই লাগানো হয়ে থাকে।

১। জলীয় বাষ্পকে বোঝার উপায় কী?

উত্তরঃ জলীয় বাষ্পকে বোঝার দুটি ভালো উপায় আছে- (ক) যদি হাঁড়িতে আমরা জলকে ফোটাই তবে হাঁড়ি থেকে ধোঁয়ার মতো জিনিসকে ওপরের দিকে বেরোতে দেখব। (খ) যদি শীতকালে সকালের দিকে আমরা পুকুরের জলের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব একটি ধোঁয়াটে স্তর। ওটাই জলীয় বাষ্প।

২। মেঘ কী করে সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ নদী, সাগরের জল শুকিয়ে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ে। ওই বাষ্প ঠান্ডা হয়। তারপর বাতাসে ভেসে থাকা ধুলোর কণার গায়ে জলকণা হয়ে জমে পাশাপাশি ভাসে। তারা সূর্যের আলো আটকে দেয় বা নানা দিকে ছড়িয়ে দেয়। একে মেঘ বলে।

১। ছায়াপথের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ কখনো কখনো আকাশের একদিক থেকে অন্য দিক অবধি একটা আবছা আলোর আভা ছড়িয়ে আছে দেখতে পাওয়া যায়। এই আবছা আলোর আভাটাই হলো ছায়াপথ। ছায়াপথে ছোটো-বড়ো অনেক তারা থাকে।

২। তারাগুলি ছোটো-বড়ো দেখায় কেন?

উত্তরঃ তারাগুলি আকাশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে এবং ওই অবস্থানও বিভিন্ন দূরত্বে হয়ে থাকে। যদি কোনো বড়ো তারা দূরে থাকে তবে তা যেমন- ছোটো দেখাবে তেমনি কোনো ছোটো তারা যদি কাছে থাকে তবে তা বড়ো দেখাবে। এছাড়া তারাগুলির আকারের সঙ্গেও এই ঘটনা জড়িত। যেমন-দূর থেকে রাস্তার বাল্ব টুনি-বাল্বের মতো দেখায়।

১। কোন্ দিন চাঁদকে কখনোই দেখা যাবে না আর কোন্ দিন চাঁদকে সারারাত দেখা যাবে?

উত্তরঃ অমাবস্যায় চাঁদকে কখনোই দেখা যাবে না। পূর্ণিমায় চাঁদকে সারারাত ধরে দেখা যাবে।

২। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া ও ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় চাঁদকে কেমন দেখাবে?

উত্তরঃ  শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির সন্ধ্যায় চাঁদকে বাঁকা কাস্তের মতো সরু একটা ফালির মতো দেখাবে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় চাঁদকে কমলালেবুর কোয়ার মতো দেখাবে।

৩। চাঁদকে ক্রমশ বড়ো হতে কখন দেখা যাবে এবং কখন চাঁদকে গোল থালার মতো দেখতে হবে?

উত্তরঃ পূর্ণিমার দিকে যত যাবে চাঁদকে তত বড়ো হতে দেখা যাবে। পূর্ণিমায় চাঁদকে গোেল থালার মতো দেখতে হবে।

৪। কখন থেকে কৃষ্ণপক্ষ ও শুক্লপক্ষ শুরু হয়?

উত্তরঃ পূর্ণিমার পর থেকে কৃষ্ণপক্ষ শুরু হয়। আর অমাবস্যার পর থেকে শুক্লপক্ষ শুরু হয়।

১। সকাল সাতটার সময় পৃথার ছায়া চিত্রের রেখাগুলির মধ্যে কোন্ কোন্ রেখা কীভাবে মাটিতে অবস্থান করবে?

উত্তরঃ সকাল সাতটার সময় পৃথার ছায়ার রেখাটি পুরোপুরি মাটিতে থাকবে। সূর্য থেকে পৃথিবীর মাথায় ছুঁয়ে আসা রেখাটি মাটিকে স্পর্শ করবে। পৃথার অবস্থানের রেখার নিম্নপ্রান্তটি মাটিকে স্পর্শ করবে।

২। পৃথা সকাল ৭টা থেকে প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর সারাদিনের ছায়া নিয়ে রেখাচিত্র আঁকল। ওই ছায়াগুলিতে কী কী পরিবর্তন দেখা গেল?

উত্তরঃ ছায়া ক্রমশ পশ্চিম দিক থেকে সরতে সরতে শরীরের কাছাকাছি এল। দৈর্ঘ্যে ছোটো হলো। এরপর ছায়া পূর্বদিকে লম্বা হতে শুরু করল। বিকেলের সন্ধে নাগাদ ছায়া আবছা হতে হতে মিলিয়ে গেল।

১। আকাশের কি কোনো রং আছে?

উত্তর: না। আকাশের কোনো রং নেই। দিনেরবেলায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার ওপর সূর্যালোেক পড়লে নানান রং-এর ছটা বেরোয়। তাই আমরা আকাশের নানা রং দেখতে পাই।

২। রাতের আকাশ কালো কেন?

উত্তরঃ রাতে সূর্য থাকে না। তাই সূর্যের আলো পড়ে না বাতাসের ধূলিকণার ওপর, চাঁদের আলো পড়ে। কিন্তু ওই আলো খুবই কম। সূর্যের আলোর মতো ধূলিকণার দেহ থেকে রং-এর ছটা তৈরি করতে পারে না। তাই রাতের আকাশ কালো।

৩। চাঁদের আলোতে আমরা কি সবকিছু দেখতে পাই?

উত্তরঃ না। চাঁদের আলোতে আমরা সূর্যালোকের মতো সবকিছু দেখতে পাই না। চাঁদের আলোতে আট-দশ মিটার দূরের কোনো চেনা জিনিসকে চিনতে পারি। তিনতলা বাড়ির নীচ থেকে ছাদের মানুষটিকে চিনতে পারি। এর বেশি দূরের কোনো কিছুকে দেখতে পাই না।

৪ । সূর্যের আলোর সঙ্গে কি গরমও বাড়ে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সূর্যের আলোর সঙ্গে গরম বাড়ে। কখনো-কখনো মেঘলা হলে সূর্যের আলো কমে গেলেও গরম কিন্তু কমে না। কিন্তু বিকেলে সূর্যালোেক কমে গেলে গরমও কমে যায়।

১। মেঘ কখন কালো ও কখন ছাই ছাই দেখায়?

উত্তরঃ যখন অনেক ছোটো ছোটো জলকণা থাকে তখন মেঘ কালো দেখায়। আর জলকণাগুলি বড়ো বড়ো হয়ে গেলে মেঘ ছাই ছাই দেখায়।

২। রাতের আকাশ কেমন দেখায়?

উত্তরঃ রাতের আকাশ কালো দেখায় এবং আকাশে তারাগুলি ঝিকমিক করতে থাকে। তবে চাঁদের কাছাকাছি জায়গাটায় মাঝে মাঝে আলো দেখা যায়।

৩। দিনেরবেলায় সূর্যের কাছের এবং দূরের আকাশ কেমন দেখায়?

উত্তরঃ দিনেরবেলায় সূর্যের কাছের আকাশ ঠিক নীল নয় এবং দূরের আকাশটা নীল দেখায়।

৪। পশ্চিম দিকে সূর্য থাকলে তোমার ছায়া কোন্ দিকে পড়বে এবং ছায়ার দিকে মুখ করে দাঁড়ালে অন্য দিকগুলি কোন্ দিকে হবে?

উত্তরঃ পশ্চিম দিকে সূর্য থাকলে আমার ছায়া পড়বে পূর্বদিকে। তখন আমার পিছন দিকটা পশ্চিম দিক, ডানদিকটা দক্ষিণ দিক এবং বামদিকটা উত্তর দিক হবে।

১। পিনাকী মামার সঙ্গে যেতে যেতে কী দেখল?

উত্তর: পিনাকী মামার সঙ্গে যেতে যেতে দেখল আকাশটা গাছের মাথায় মিশে গেছে। আবার ওই গাছের কাছে পৌঁছে দেখল আকাশটা অনেক উঁচুতে।

২। দিগন্তরেখা কী?

উত্তর: ফাঁকা জায়গায় দূরে তাকালে দেখা যাবে অনেক দূরে আকাশটা যেন মাটিতে মিশে গেছে। আকাশের এই মাটিতে মিশে যাওয়ার রেখাকে দিগন্তরেখা বলা হয়। দিগন্তরেখাকে দিচক্ররেখাও বলা হয়।

৩। দিগন্তরেখা কত দূরে হতে পারে?

উত্তরঃ দিগন্তরেখা কত দূরে হবে তা নির্ভর করে ফাঁকা জায়গা কত বড়ো তার ওপর। অর্থাৎ ফাঁকা জায়গা যত দূরে হবে দিগন্তরেখাও তত দূরে চলে যাবে।

৪। পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে তাকালে আয়ুবের কী মনে হয়?

উত্তরঃ পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে তাকালে আয়ুবের মনে হয় যেন গাছগুলি অনেক দূরে গিয়ে আকাশে মিশে গেছে।

Fil In The Blanks

১। শুক্লপক্ষের প্রথমা —————– চাঁদ দেখা যায় না।

উত্তরঃ তিথিতে

২। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় চাঁদটা কমলালেবুর ——————- মতো দেখায়।

উত্তরঃ  কোয়ার

৩। পূর্ণিমার দিকে—————- যাবে চাঁদটা তত বড়ো হবে।

উত্তরঃ যত

8।———————পর থেকে কৃষ্ণপক্ষ শুরু হয়।

উত্তরঃ  পূর্ণিমার

১। রাতের আকাশে কত ———————–।

২। মাঝ আকাশে আলোর একটা ———————।

৩। ——————— সরে যায়।

৪। বড়ো ———————- বড়ো দেখাবে।

৫। রাস্তার আলো ঘরের ———————– চেয়ে বড়ো।

উত্তরঃ ১। তারা, ২। নদী, ৩। তারাগুলি, ৪। আলো, ৫। আলোর।

১। তারাগুলি পূর্ব থেকে —————— সরে যায়।

উত্তরঃ পশ্চিমে

২। জলের বাষ্প স্বাভাবিকভাবে বাতাসে ———————- যায় না।

উত্তরঃ দেখা

৩। শীতকালে পুকুরের ওপরে যে ধোঁয়া দেখা যায় তা হল————————  |

উত্তরঃ  জলীয় বাষ্প

৪। ধুলোকণার সঙ্গে ————————- জমে।

উত্তরঃ জলকণা

৫। মেঘে ——————-আটকা পড়ে।

উত্তরঃ সূর্য

১। মেঘ নিয়ে কথা হতে হতেই ——————– বৃষ্টি এল।

উত্তর: সত্যিই

২। মেঘে ——————— ঘষা লাগে।

উত্তর: মেঘে

৩। ————————  থেকে মাটিতে বিদ্যুৎ গেলে আমরা বলি বাজ পড়ল।

উত্তর:  মেঘ

৪। এমনিতে এসব গাছ ———————– কাটে না।

উত্তর: কেউ 

১। হালকা নীল রং ——————কে রং বলা হয়।

উত্তর: আকাশি

২। হলুদ আরলালের মাঝে একটি ———————- রং দেখা যায়।

উত্তর: কমলা

৩। জলের ——————– সূর্যালোক থাকলেও হবে না। ছাড়া আকাশে রং-এর ছটা

উত্তর: ফোঁটা

৪। আকাশে রং-এর ছটা মিলিয়ে যায় জলের ফোঁটা —————— পরিণত হলে।

উত্তর:  বাষ্পে

১। দিগন্তরেখার অপর নাম————————।

উত্তরঃ দিচক্ররেখা

২। সেখানে গিয়ে আবার দেখবে——————– কোথায়।

উত্তরঃ আকাশটা

৩। ফাঁকা জায়গাটা যত বড়ো হবে ———————- তত দূরে চলে যাবে। 

উত্তরঃ  দিগন্তরেখা

৪। আমাদের বাড়ির পিছনে ——————– সারি গাছ।

উত্তরঃ সারি।

Ture And False

১। ছায়াপথকে ইংরেজিতে ‘Milky Way’ বলে। (√)

২। ছায়াপথ আসলে আবছা আলোর আভা। (√)

৩। তারা কখনও সরে না। (x)

৪। তারা দেখতে ছোটো লাগে। (√)

৫। দূরে থাকলে রাস্তার আলোও টুনি বাল্বের মতো দেখতে লাগে। (√)

১। আকাশে মেঘ থাকলে তারা দেখতে সুবিধা হয়। (x)

২। সূর্যের তাপে পুকুরের জল বাষ্প হয়। (√)

৩। বাষ্প জমে মেঘ তৈরি হয়। (√)

৪। ধুলোর কণার গায়ে জল জমতে পারে না। (x)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *