WBBSE Class 3 Amader Paribesh  Chapter 1 Solution | Bengali Medium

Class 3 Chapter 1 Solution

শরীর

MCQs Question Answer

১। আঙুলে কাঁটা ফুটলে বুঝতে পারা যায় যে ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে  সেটি হলো-

(ক) চামড়া

(খ) কান

(গ) চোখ

(ঘ) নাক (শেখার সেতু)

২। তোমরা নানারকম খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য যে অঙ্গটি ব্যবহার করো। সেটি হলো-

(ক) নাক

(খ) জিভ

(গ) চোখ

(ঘ) নাক (MCQ, Activity)

৩। পঞ্চেন্দ্রিয়ের মধ্যে পড়ে না-

(ক) চোখ

(খ) কান

(গ) নখ

(ঘ) চামড়া (MCQ, Activity)

৪। ফুটবল খেলার সময় সবচেয়ে বেশি কাজ হয়-

(ক) হাতের

(খ) পায়ের

(গ) কোমরের

(ঘ) কাঁধের (Activity)

৫। কাঁচা আমের স্বাদ পাওয়া যায় যে ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে তা। হলো-

(ক) চামড়া

(খ) চোখ

(গ) জিভ

(ঘ) কান (Activity)

৬। তোমার ইন্দ্রিয়গুলি নানানভাবে বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। ইন্দ্রিয় ও উদ্দীপনার বিষয়ে যে জোড়টি যথাযথ নয় তা চিহ্নিত করো-

(ক) খুব গরমে শরীরে অনেক ঘাম হয়

(খ) হঠাৎ চোখে আলো পড়লে চোখ বুজে যায়

(গ) খুব মিষ্টি খাবারে জিভ জ্বালা করে

(ঘ) অনেকক্ষণ খুব জোরে আওয়াজ শুনলে কষ্ট হয়।

উত্তরঃ (১) (ক) চামড়া; (২) (খ) জিভ; (৩) (গ) নখ; (৪) (খ) পায়ের; (৫) (গ) জিভ; (৬) (গ) খুব মিষ্টি খাবারে জিভ জ্বালা করে।

Very Short Question Answer

৪.১ ব্লেড দিয়ে নখ কাটতে গেলে কী বিপদ হতে পারে?

উত্তর: ব্লেড দিয়ে নখ কাটতে গেলে আঙুল কেটে যেতে পারে। 

৪.২ সাঁতার কাটার উপকারিতা কী কী? (শেখার সেতু)

উত্তরঃ সাঁতার কাটলে শরীরের জোড়গুলির সচলতা বাড়ে। এছাড়াও পেশিগুলি জোরালো হয়।

৪.৩ দাঁত ভালো রাখতে কী কী অবশ্যই করা উচিত? (শেখার সেতু)

উত্তর: দাঁত ভালো রাখতে রোজ দুবেলা দাঁত ব্রাশ করা উচিত। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

৪.৪ শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের কোন্ কোন্ বিষয়ে মিল আছে?

উত্তর: শিম্পাঞ্জি মানুষের মতো দু-পায়ে দাঁড়াতে পারে। দু-হাতে জিনিসপত্র ধরতে পারে।

১। দুটি ঘরোয়া খেলার নাম লেখো। [বেগম রোকেয়া স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়]

উত্তর: দুটি ঘরোয়া খেলা হলো-লুডো, দাবা।

২। বিমলরা কোন্ খেলা খেলেছিল?

উত্তর: বিমলরা ফুটবল খেলেছিল।

৩। তিতলি দিদিমণিকে কী বলল?

উত্তর: বিমল খুব ভালো ফুটবল খেলে।

৪। কোন্ খেলায় পায়ের কাজ অনেক বেশি?

উত্তর: ফুটবল খেলায় পায়ের কাজ অনেক বেশি।

৫। কোন্ খেলায় খুব ছুটতে হয়?

উত্তর: ফুটবল খেলায় খুব ছুটতে হয়।

৬। হামিদ কী বলল?

উত্তর: হামিদরা ক্রিকেট খেলেছিল।

৭। কোন্ খেলায় হাত ও পা- দুয়েরই অনেক কাজ?

 উত্তর : ক্রিকেট খেলায় হাত ও পা-দুয়েরই অনেক কাজ।

৮। ক্রিকেট খেলায় কী কী করতে হয়?

 উত্তর : ক্রিকেট খেলায় ব্যাট করতে হয়, বল করতে হয়, রান নিতে হয়, ফিল্ডিংও করতে হয়।

৯। ক্রিকেট খেলায় হাত ও পায়ের কাজ থাকার কারণ কী?

উত্তর: ক্রিকেট খেলায় ব্যাট করতে হয়, বল করতে হয়, রান নিতে হয় এবং ফিল্ডিং করতে হয়, তাই হাত ও পায়ের কাজ থাকে।

১০। এক্কাদোক্কা খেলায় কী করতে হয়?

উত্তরঃ একপায়ে লাফাতে হয়।

১১। এক্কাদোক্কা খেলায় পায়ের কোন্ অংশের কাজ থাকে?

উত্তর: পায়ের পাতা, গোড়ালি ও হাঁটুর কাজ থাকে।

১২। কে রোজ স্কিপিং করে বলল?

উত্তর: সাবিনা রোজ স্কিপিং করে বলল।

১৩। বিকেলে কত রকমের খেলার কথা ক্লাসে আলোচনা হলো? |

উত্তরঃ পাঁচ রকমের খেলার কথা আলোচনা হলো।

১৪। ক্লাসের আলোচনার ভিত্তিতে বিকেলের খেলাগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ ফুটবল, ক্রিকেট, এক্কাদোক্কা, লুকোচুরি ও স্কিপিং।

 ফুটবল খেলায় কী করতে হয় এবং তাতে কী লাভ হয়?

উত্তরঃ ফুটবল খেলায় খুব ছুটতে হয়। বলকে পায়ের সাহায্যে খেলতে হয়। এর ফলে পায়ের অনেক কাজ হয়।

২। ক্রিকেটে হাত-পা দুয়েরই কাজ হয় কী কারণে?

উত্তরঃ ক্রিকেটে ছুটে হাত দিয়ে বল করতে হয়। আবার ফিল্ডিং-এ দৌড়াতে গেলে যেমন পায়ের কাজ হয়, তেমনি ক্যাচ ধরতে বা বল কুড়োতেও হাতের কাজ হয়।

৩। একপায়ে লাফিয়ে খেলার নাম কী? এতে কী কাজ হয়?

উত্তরঃ একপায়ে লাফিয়ে খেলার নাম এক্কাদোক্কা। এতে পায়ের কাজ বেশি হয়, বিশেষ করে পায়ের পাতা, গোড়ালি, হাঁটুর কাজ হয়ে থাকে।

১। কাবাডি খেলায় কীসের প্রয়োজন?

উত্তর: কাবাডি খেলায় খুব দমের প্রয়োজন।

২। রিনার দল কবাডি খেলায় জেতে কেন?

উত্তর: রিনার খুব দম বলে কবাডি খেলায় জেতে।

৩। মিন মিন করে ‘কাবাডি’ ‘কাবাডি’ বলার সঙ্গে কীসের সন্দেহ হয়?

উত্তরঃ দম নিয়ে বলছে কি না সেই সন্দেহ হয়।

৪। কী নিয়ে কাবাডি খেলায় খুব ঝগড়া হয়?

উত্তরঃ দম নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে।

৫। রিনা সীমার কোন্ কথা মানতে চায় না?

উত্তর: দম নিয়েছে এমন কথা মানতে চায় না।

৬। রিনাকে সীমার মতো অন্যরা বলে না কেন?

উত্তরঃ ওরা কানে কম শোনে।

৭। কানে কম শুনতে পাওয়ার কারণ হিসেবে দিলীপ কী বলল?

উত্তর: কান বুজে যাওয়ার কথা বলল।

৮। কান বুজে যায় কোন্ কারণে?

উত্তর: কানে ময়লা জমলে কান বুজে যায়।

৯। নিশার কান বুজে যাওয়ার কারণ কী বলল?

 উত্তর : কানে খোল জমে যাওয়ার কথাটা বলল।

১০। কানে খোল হলে কী করতে হবে?

উত্তর: কানে খোল হলে পরিষ্কার করতে হবে।

১১। দিদিমণি কানে খোেল কীভাবে পরিষ্কার করার কথা বললেন?

উত্তরঃ সাবধানে কান পরিষ্কার করার কথা বললেন।

১২। কানের ভিতরে কী আছে?

উত্তর: কানের ভিতরে একটি পাতলা পর্দা আছে।

১৩। কানের পর্দাটা কি বাইরে থেকে দেখা যায়?

উত্তর: না, দেখা যায় না।

১৪। কানের পর্দায় আঘাত লাগলে কী হবে?

উত্তর: মুশকিল হবে অর্থাৎ ব্যথা, শোনার সমস্যা ইত্যাদি হবে।

১৫। দিলীপের কান কে পরিষ্কার করে দেয়?

উত্তর: দিলীপের কান তার দাদু পরিষ্কার করে দেয়।

১৬। কানের ময়লা পরিষ্কারের ব্যাপারে কার সাহায্য নেওয়া উচিত?

উত্তর: বড়োদের কথা শোেনা উচিত। 

১। খেলতে খেলতে কোথায় ময়লা জমে?

উত্তর: আঙুলের নখের নীচে ময়লা জমে।

২। নখ সহজে কীভাবে পরিষ্কার করা যায়?

উত্তর: নেলকাটারে নখ কেটে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সহজে পরিষ্কার করা যায়।

৩। সাবান লাগানোর পর নখগুলিকে কী করতে হবে?

উত্তর: একটু ঘষে নিতে হবে।

৪। ‘নেল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘নেল’ শব্দের অর্থ নখ।

৫। কাটার কাকে বলে?

উত্তর: যা দিয়ে কাটা হয় তাকে ইংরেজিতে ‘কাটার’ (cutter) বলে।

৬। নেলকাটার দিয়ে কী করতে হয়?

উত্তর: নেলকাটার দিয়ে নখ কাটতে হয়।

৭। নেলকাটার ছাড়া আর কী দিয়ে নখ কাটা যায়?

উত্তরঃ ব্লেড দিয়ে নখ কাটা যায়।

৮। ব্লেড দিয়ে নখ খুব সাবধানে কাটতে হয় কেন?

উত্তর: আঙুল কেটে যাওয়ার ভয়ে সাবধানে কাটতে হয়।

৯। নেলকাটার ও ব্লেড ছাড়া আর কী দিয়ে নখ কাটা যায়?

উত্তরঃ নরুন দিয়ে নখ কাটা যায়।

১০। গায়ের চামড়ার কোথায় নোংরা জমতে পারে?

উত্তর: যেখানে ভাঁজ আছে সেখানে নোংরা জমতে পারে।

১১। চোখ যায় না শরীরের এমন কোন্ কোন্ অংশে নোংরা জমে?

উত্তর: পিঠ, ঘাড় এবং কানের পিছনের অংশে।

১২। শীতকালে পায়ের পাতায় নোংরা জমলে কী হয়?

 উত্তর : পায়ের চামড়া ফেটে যায়।

১৩। শীতকালে গোড়ালি ফেটে যায় কেন?

উত্তর: নোংরা জমে যাওয়ার জন্য।

১৪। গোড়ালির নোংরা কীভাবে পরিষ্কার করা উচিত?

উত্তর: সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।

১৫। সাবান মাখার পর ময়লা তোলার জন্য কী করতে হয়?

উত্তর: হাত দিয়ে ঘষে ধুতে হয়।

১৬। চামড়া কীভাবে পরিষ্কার হয়?

 উত্তর : সাবান দিয়ে হাতে ঘষে ময়লা তুললে পরিষ্কার হয়।

১৭। চামড়া থেকে সাবানের সাহায্যে ময়লা পরিষ্কারের পর কী করা উচিত?

উত্তর:চামড়ায় একটু তেল মাখা উচিত।

১৮। নিয়মিত কী কী পরিষ্কার করা উচিত?

উত্তর: মাথা, গা, হাত-পা নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।

১৯। নখ কখন কাটা উচিত?

উত্তর: নখ বড়ো হলে কাটা উচিত।

১। জিভে কি নোংরা জমে?

উত্তরঃ উত্তর: হ্যাঁ, জিভে নোংরা জমে।

২। জিভের নোংরা কীভাবে পরিষ্কার করবে?

উত্তর: মুখ থেকে গন্ধ বের হয়।

৩। জিভ ছোলা দিয়ে জিভের নোংরা তুলে কী করে মুখ থেকে বার করবে?

উত্তরঃ জল দিয়ে ভিজিয়ে নরম করে পরিষ্কার করবে।

৪। নাকে নোংরা শক্ত হয়ে থাকতে পারে।

উত্তর: মুখ থেকে গন্ধ বের হয়।

৫। দাঁতের নোংরা কীভাবে পরিষ্কার করবে?

উত্তর: পেস্ট সহযোগে ব্রাশ চালিয়ে পরিষ্কার করবে।

৬। দাঁতে কীভাবে ব্রাশ চালাবে?

উত্তর : নীচের পাটির দাঁতে ব্রাশকে দাঁতের গোড়া থেকে ওপর । দিকে আর ওপরের পাটির দাঁতে ব্রাশ ওপর থেকে দাঁতের দিকে চালাতে হবে।

৭ । নীচের দাঁতের নোংরা পরিষ্কার করতে ব্রাশকে দাঁতের কোথা থেকে টানবে?

উত্তরঃ দাঁতের তলা থেকে ওপরের দিকে।

৮। ওপরের দাঁতের নোংরা পরিষ্কার করতে ব্রাশ কীভাবে চালাবে?

উত্তরঃ দাঁতের ওপর থেকে নীচে চালাবে।

৯। চোখে কিংবা নাকে কি নোংরা থাকে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, চোখে ও নাকে নোংরা থাকে।

১০। চোখে, নাকে ময়লা থাকলে কী করতে হয়?

 উত্তর : পরিষ্কার করতে হয়।

১১। চোখে, নাকে ময়লা যদি শক্ত হয়ে জমে থাকে তা হলে কীভাবে পরিষ্কার করবে?

উত্তরঃ জল দিয়ে ভিজিয়ে নরম করে পরিষ্কার করবে।

১২। রোজ সকালে কী কী পরিষ্কার করা দরকার?

উত্তরঃ দাঁত, জিভ, নাক, চোখ ও মুখ পরিষ্কার করা দরকার। দাঁত ব্রাশ করার ছবি

১। শরীরের কোথায় পেনসিল ছোঁয়ালে বোঝা যায়?

উত্তরঃ চামড়ায় পেনসিল ছোঁয়ালে বোঝা যায়।

২। আমরা কোন্ ইন্দ্রিয়কে ‘স্পর্শেন্দ্রিয়’ বলতে পারি?

উত্তর: চামড়াকে ‘স্পর্শেন্দ্রিয়’ বলতে পারি।

৩। কোন্ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে স্পর্শ অনুভব করা যায়?

উত্তর: চামড়ার সাহায্যে স্পর্শ অনুভব করা যায়।

৪। কাঠিগজা কোথায় ছোঁয়ালে মিষ্টি লাগে?

উত্তর: জিভে ছোঁয়ালে মিষ্টি লাগে।

৫। চোখ বুজলে দিনের বেলায় কেন কিছু দেখা যাবে না?

উত্তর: চোখে আলো ঢুকবে না বলে।

৬। কোনো কিছু দেখার জন্য চোখের কী প্রয়োজন হয়?

 উত্তর : আলোর প্রয়োজন হয়।

৭। কান বন্ধ করে রাখলে কী হবে?

 উত্তর : কিছু শোনা যাবে না।

৮। নাক বন্ধ করলে কী পাবে না?

 উত্তর : নাক বন্ধ করলে গন্ধ পাবে না।

৯। কাউকে কীভাবে চেনা যেতে পারে?

উত্তর: দেখে কিংবা গলা শুনে চেনা যেতে পারে।

১০। যারা চোখে দেখে না তারা কোন্ ইন্দ্রিয়কে বেশি কাজে লাগায়?

উত্তরঃ কান নামক ইন্দ্রিয়কে বেশি কাজে লাগায়।

১১। যারা চোখে দেখতে পায় না তারা কীভাবে চিনতে পারে?

উত্তর: কানের সাহায্যে গলার শব্দ শুনে চিনতে পারে।

১২। ঠাকুরমা চোখে দেখতে পান না আর কানেও শুনতে পান না, তাহলে তোমাকে কীভাবে চিনতে পারবেন?

উত্তর: গা ছুঁয়ে চিনতে পারবেন।

১৩। জিভেগজা জিভে ছোঁয়ালে মিষ্টি লাগার কারণ কী?

উত্তর: জিভের মিষ্টি, টক, ঝাল ইত্যাদি বিভিন্ন স্বাদ গ্রহণ করার ক্ষমতা আছে-এটাই এর কারণ।

১৪। নাক নামক ইন্দ্রিয় আমাদের কীসে সাহায্য করে?

উত্তর: গন্ধ বুঝতে সাহায্য করে।

১৫। চোখে কী প্রবেশ না করলে আমরা দেখতে পাব না?

উত্তর: চোখে আলো প্রবেশ না করলে আমরা দেখতে পাব না।

১। পঞ্চেন্দ্রিয়ের নাম লেখো এবং তাদের কাজ উল্লেখ করো। । 

উত্তরঃ চোখ, কান, নাক, জিভ ও চামড়া হলো পঞ্চেন্দ্রিয়। চোখ দেখতে সাহায্য করে, কান শুনতে সাহায্য করে, নাক গন্ধ

২। গলা শুনেও কে ডাকছে তা বোঝা যায় কোন্ ইন্দ্রিয়ের কারণে?

উত্তর: কান নামক ইন্দ্রিয়ের কারণে। যারা চোখে কম দেখে বা দেখতে পায় না, তাদের কান অনেক বেশি সজাগ হয়ে থাকে।

৩। কাউকে চেনার কত রকমের উপায় আছে?

উত্তরঃ কাউকে চেনার তিন রকমের উপায় আছে। যথা- চোখ দিয়ে দেখে, কিংবা তার গলা শুনে কিংবা তাকে ছুঁয়ে।

১। কানামাছি খেলায় সবাই কানামাছিকে ঘিরে কী করে?

উত্তরঃ সবাই ছোটে।

২। কানামাছি খেলায় একটা দলে ক-জন কানামাছি হয়?

উত্তরঃ একজন কানামাছি হয়।

৩। দিদিমণি কানামাছি খেলায় একটা দলে ক’জন থাকবে বললেন?

উত্তরঃ ছ-জন থাকবে বললেন।

৪। একটি দলে ছ-জনের মধ্যে রেফারি ক-জন হয়?

উত্তর: একজন রেফারি হয়।

৫। কানামাছি খেলায় রেফারি আর কানামাছি ছাড়া একটা দলের আর ক-জন থাকে?

উত্তর: চারজন থাকে।

৬। রেফারি আর কানামাছি ছাড়া বাকি চারজন কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে?

উত্তর: কানামাছির থেকে একটু দূরে।

৭। দলের ওই চারজন কী বলতে থাকবে?

উত্তরঃ কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ।

৮। দলের চারজন ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/ যাকে পাবি তাকে ছোঁ’- ক-বার করে বলবে?

উত্তরঃ চারবার করে বলবে।

৯। কানামাছি কী শুনবে?

উত্তর: কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ শুনবে।

১০। ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/ যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ কথাগুলি শুনে কানামাছি কী করবে?

উত্তর: আন্দাজ করবে, শব্দ কোথা থেকে আসছে।

১১। ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ শব্দগুলি কোথা থেকে আসছে আন্দাজ করার পর কানামাছি কী করবে?

উত্তর: কানামাছিকে খুঁজতে যাবে।

১২। কানামাছি কোন্ একজনকে কত সময়ের মধ্যে ছোঁবে?

উত্তর: এক মিনিটের মধ্যে।

১৩। এক মিনিটের মধ্যে যদি কানামাছি কাউকে ছুঁতে না পারে তবে কী হবে?

উত্তর: অন্যরা সরে যাবে।

১৪। অন্যরা সরে গিয়ে কী করবে?

উত্তরঃ আবার চারবার করে ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ বলবে।

১৫। তিয়ানের নিয়মে কানামাছি খেলায় কেউ কানামাছিকে   কীভাবে ঠকাতে পারে?

উত্তর: গলার স্বর পরিবর্তন করে ঠকাতে পারবে।

১৬। কানামাছি খেলায় কানামাছির চোখ কীভাবে ঢাকা থাকে?

উত্তর: কাপড়ে ঢাকা থাকে।

১৭। কানামাছি খেলায় কোন্ ইন্দ্রিয় বেশি ব্যবহার করি?

উত্তর: কান বেশি ব্যবহার করি।

১৮। রেফারির কানামাছি খেলা পরিচালনার জন্য কোন্ কোন্ ইন্দ্রিয় ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: কান, চোখ ও জিভ।

১। গতকাল রিনা স্কুলে আসেনি কেন?

উত্তরঃ তার পেটের অসুখ হয়েছিল বলে স্কুলে আসেনি।

২। রিনার পেটের অসুখের কথা শুনে দিদিমণি কী বললেন?

উত্তরঃ চোখ কমজোরি হলে বেশি মাথাব্যথা করে।

৩। কোন্ ইন্দ্রিয় কমজোরি হলে মাথাব্যথা করে?

উত্তরঃ এটা-সেটা খুব খাওয়ার কথা বললেন।

৪। দিদিমণি পিন্টুকে বই চোখের খুব কাছে নিয়ে পড়াতে কী বুঝলেন?

উত্তরঃ ও দূরের কিছু ঠিকমতো দেখতে পায় না।

৫। ঠিকমতো দেখতে না পেলে কী অসুবিধা হবে বলে দিদিমণি জানালেন?

উত্তর: এই সুন্দর পৃথিবীকে জানার অসুবিধা হবে।

৬। চোখ কী চিনে আমাদের দেখতে সাহায্য করে?

উত্তর: আলো চিনে দেখতে সাহায্য করে।

৭। চোখের যত্ন না নিলে কী অসুবিধা দেখা দিতে পারে?

উত্তরঃ খুব অল্প বয়সে চশমা নিতে হতে পারে।

৮। দিদিমণি কোথাকার জিনিস ঠিকমতো দেখতে পান না?

উত্তরঃ কাছের জিনিস ঠিকমতো দেখতে পান না।

৯। কাছের জিনিস ভালো করে দেখতে না পাওয়ার জন্য দিদিমণিকে কী করতে হয়েছে?

উত্তরঃ চশমা নিতে হয়েছে।

১০। পল্টুর মাসতুতো ভাইয়ের চিকিৎসা চলছে কেন?

উত্তরঃ ও চোখ দিয়ে রং চিনতে পারে না বলে চিকিৎসা চলছে।

১১। পল্টুর মাসতুতো ভাইয়ের রং চিনতে না পারার কারণ হিসেবে দিদিমণি কী বললেন?

উত্তর: চোখের কিছু জিনিস থাকে যা রং চিনতে সাহায্য করে। পল্টুর চোখে হয়তো সেগুলি ঠিকমতো কাজ করছে না।

১২। কী কারণে ইমরান রাতে দেখতে পায় না বলে মনে করা হলো?

উত্তর: ওর রাতকানা রোগ হয়েছে বলে মনে করা হলো।

১৩। ইমরানের কী করা দরকার?

উত্তর: চোখের ডাক্তার দেখানো দরকার।

১। চোখের সমস্যায় কোথাকার জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়?

উত্তর: চোখের সমস্যায় দূরের জিনিস কিংবা কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়।

২। চোখের সমস্যা হলে কী অসুবিধা দেখা দেয়?

উত্তরঃ মাথাব্যথা করতে থাকে। বিশেষ করে পড়তে গেলেই ওই সমস্যাটা বেড়ে চলে।

৩। কেউ কেউ চোখের দ্বারা রং চিনতে পারে না কেন?

উত্তরঃ চোখে এমন কিছু জিনিস আছে যা আমাদের রং চিনতে সাহায্য করে। সেইসব জিনিসের অভাবের জন্য রং চিনতে পারে না।

৪। কেন তপন রাতের বেলায় দেখতে পায় না?

উত্তর: ইমরানের মতে তপনের রাতকানা রোগ হয়েছে। তাই রাতের বেলায় ও দেখতে পায় না।

১। টিভি দেখার সময় তোমার কোন্ ইন্দ্রিয়টি কাজ করে? |

উত্তর: চোখ ও কান কাজ করে।

২। জিয়ানা গোলাপের ডাল ধরার পর ‘আঃ’ করে ছেড়ে দিল কেন?

উত্তর: তার আঙুলে কাঁটা ফুটেছে বলে।

৩। জিয়ানার চোখে জল এসে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর: চামড়ায় কাঁটা ফোটায় কষ্ট লাগার জন্য চোখে জল এসেছিল।

৪। আঙুলে কাঁটা ফোটার কারণে চোখে জল আসার কারণ হিসেবে দিদিমণি কী বললেন?

উত্তর: এক ইন্দ্রিয়ের আঘাত লাগলে অন্য ইন্দ্রিয়েরও কষ্ট হয়। কারণ, চামড়াও একটা ইন্দ্রিয়।

৫। বকলে কোনো ইন্দ্রিয় কাজ করে না তাহলে চোখে জল আসার কারণে দিদিমণি কী উত্তর দিলেন?

উত্তর: কেউ বকলে মনে কষ্ট হয় বলে চোখে জল আসে।

৬। বকা ছাড়া আর কী কারণে কান্না পায়?

 উত্তর: ভয় লাগলেও কান্না পায়।

৭। চারপাশের উদ্দীপকের প্রভাবে ইন্দ্রিয়গুলি কী করে?

উত্তর: সাড়া দেয়।

৮। হঠাৎ অনেক আলো এসে পড়লে চোখের কী হয়?

উত্তর: চোখ বুজে যায়।

৯। গরমে চামড়া থেকে কী বেরোয়?

উত্তরঃ  দরদর করে ঘাম বেরোয়।

১০। কীসে চামড়া ফেটে যায়?

 উত্তরঃ ঠান্ডায় চামড়া ফেটে যায়।

১১। কীসে কানে তালা ধরে যায়?

উত্তরঃ বাজ পড়ার শব্দে কানে তালা ধরে যায়।

১২। জিভ কখন জ্বালা করে?

উত্তরঃ  খুব ঝাল খেলে জিভ জ্বালা করে।

১৩। নাকে কিছু ঢুকে গেলে কী হয়?

উত্তরঃ নাক সুড়সুড় করে।

১৪। ইন্দ্রিয়গুলি সবসময় কী অবস্থায় থাকে?
উত্তর: সজাগ অবস্থায় থাকে।

১। স্কুলের বড়োদিদিমণি পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কী দেখলেন?

উত্তর: একদল ছেলেমেয়েকে সাঁতার কাটতে দেখলেন।

২। টিকাই জলে নামার আগে কী শুরু করল?

উত্তরঃ ব্যায়াম শুরু করল।

৩। স্কুলে সাঁতার প্রতিযোগিতায় কে পুরস্কার পেয়েছে?

উত্তর: যারা সাঁতার কাটছে তাদের কেউ।

৪। সাঁতারে কোন্ হাত তুলতে হয়?

উত্তরঃ দু-হাত তুলতে হয়-একবার ডান হাত, একবার বাঁ হাত।

৫। সাঁতার শেখানোর ব্যাপারে দিদিমণি সঙ্গে কাকে নিতে বললেন?

উত্তর: সাঁতার জানেন এমন বড়ো কাউকে সঙ্গে নিতে বললেন।

৬। সাঁতার কাটলে কী হয়?

উত্তরঃ খুব ভালো ব্যায়াম হয়।

৭। সাঁতারে কোন্ কোন্ অঙ্গ নড়ে?

উত্তর: হাত ও পা নড়ে।

৮। সাঁতারে কোথায় জলের ধাক্কা লাগে?

 উত্তর : বুকে ও পিঠে জলের ধাক্কা লাগে।

৯। দিদিমণি কনুই-এর কাছটা কী করে দেখালেন?

উত্তর: ভাঁজ করে দেখালেন।

১০। কবজির কাছে দুটো হাড়ের কী আছে?

উত্তরঃ জয়েন্ট বা জোড় আছে।

১১। সারা শরীরে কত জোড় আছে?

উত্তরঃ অনেক।

১২। সাঁতার কাটলে হাড়ের জোড়ের কী হয়?

উত্তরঃ নাড়াচাড়া হয়।

১৩। জোড়গুলোর নাড়াচাড়া হলে কী হয়?

উত্তর: জোড়গুলো সুস্থ থাকে।

১৪। সাঁতার কাটলে বার বার কীরকম শ্বাস নিতে হয়?

উত্তরঃ লম্বা শ্বাস নিতেই।

১৫। সফিকুল কোন্ খেলার কথা বললেন যাতে লম্বা শ্বাস নিতে হয়?

উত্তর: ফুটবল।

৪। সাঁতার অন্য ব্যায়ামের থেকে বেশি উপকারী কেন?
উত্তর: সাঁতারে একসঙ্গে শরীরের সব জোড়ের নাড়াচাড়া হয়।

১। রেহানা আর বিহান কাদের ডেকে রোজ বাড়ি নিয়ে যায়?

উত্তর: হাঁসেদের।

২। রেহানা বিহানদের হাঁসগুলি সকালে কী খেয়ে জলে নামে?

উত্তর: কুঁড়োমাখা খেয়ে জলে নামে।

৩। হাঁস সারাদিন কোথায় থাকে?

উত্তর: জলে থাকে।

৪। সকাল হলে চড়াইরা কোথায় চলে আসে?

উত্তর: রিমলিদের জানালার কাছে চলে আসে।

৫। রিমলি চড়াইদের কী খেতে দেয়?

উত্তর: ধান খেতে দেয়।

৬। টুনকির শালিকদের কী খাওয়ায়?

 উত্তর: কেঁচো খাওয়ায়।

৭। টুনকি কেঁচো কীভাবে সংগ্রহ করে?

 উত্তর: মাটি খুঁড়ে সংগ্রহ করে।

৮। টিকটিকি কোথায় থাকে?

উত্তর: টিকটিকি ঘরের মধ্যে থাকে।

৯। গিরগিটি কোথায় থাকে?

উত্তর:  গিরগিটি গাছে থাকে।

১০। কে রং বদলায়?

উত্তর: গিরগিটি রং বদলায়।

১১। টিকটিকি কী খায়?

উত্তর: টিকটিকি ঘরের পোকামাকড় ধরে খায়।

১২। প্রজাপতি কোথায় দেখা যায়?

উত্তর: বাগানে দেখা যায়।

১৩। ইতু মাছেদের কী খাওয়ায়?

উত্তর: ইতু মাছেদের ভাত খাওয়ায়।

১৪। ইতুর মাছগুলি কোথায় থাকে?

উত্তর: ইতুর মাছগুলি পুকুরে থাকে।

১৫। জলে ভাত ছুঁড়ে দিলে কী হয়?

উত্তর: এক ঝাঁক মাছ চলে আসে।

৪। টিপাই কী দেখে বেড়ায়?

উত্তরঃ টিপাই ফড়িং দেখে বেড়ায়। নানা রকম ফড়িং। কেউ লাফায়, কেউ বা ওড়ে।

১। কাঠবিড়ালি কী খেতে পছন্দ করে?

উত্তরঃ শিম্পাজি বেশি খাড়া হয়ে দাঁড়ায়।

২। কাঠবিড়ালি ক-পায়ে দৌড়োয়?

উত্তরঃ  চার পায়ে দৌড়োয়।

৩। হনুমানের চেয়েও বেশি খাড়া হয়ে দাঁড়ায় কে?

উত্তরঃ শিম্পাঞ্জি হাত দিয়ে ফল ছোঁড়ে।

৪। কোন্ প্রাণীরা হাতে ধরে কিছু খেতে পারে না?

উত্তরঃ কুকুর-ছাগল হাতে ধরে খেতে পারে না।

৫। শিম্পাঞ্জি হাত দিয়ে কী করে?

উত্তরঃ পেয়ারা খেতে পছন্দ করে।

৬। শিম্পাঞ্জির ক-টা হাত ও কটা পা আছে?

উত্তরঃ দুটো হাত ও দুটো পা আছে।

১। নীল পাখিটা হীরামতির ডাকে কী করল?

উত্তরঃ ওর দিকে তাকাল না, উড়ে গেল।

২। পাখি ডানা দুটো মেলে হাওয়ায় কী করে?

উত্তরঃ যেন সাঁতার কাটে।

৩। কে যতক্ষণ খুশি জলে থাকতে পারে?

উত্তরঃ মাছ যতক্ষণ খুশি জলে থাকতে পারে।

৪। মানুষ উড়ে যাওয়ার জন্য কী বানিয়েছে?

উত্তরঃ উড়োজাহাজ বানিয়েছে।

৫। মানুষ জলের নীচ দিয়ে কীসে অনেকদূর যেতে পারে?

উত্তরঃ ডুবোজাহাজে করে যেতে পারে।

৬। উড়োজাহাজ ও ডুবোজাহাজ মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভব হলো কী করে?

উত্তরঃ বুদ্ধির জোরে এগুলি বানানো সম্ভব হলো।

৭। হনুমানের বুদ্ধি থাকার নমুনা কী?

উত্তরঃ হনুমান অনেক কিছু মনে রাখে।

৮। সাইনা শিম্পাঞ্জি নিয়ে কী বলল?

উত্তরঃ শিম্পাঞ্জির বুদ্ধি আরও বেশি হতে পারে বলল।

Short Question Answer

১। হীরামতি কখন, কোন্ পাখিকে কোথায় দেখেছিল?

উত্তর: হীরামতি ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে পাখিকে গাছে বসে থাকতে দেখেছিল। পাখিটা নীল রং-এর ছিল।

২। নীল পাখিটাকে দেখে হীরামতি কী করেছিল এবং তার ফল কী হয়েছিল?

উত্তর: নীল পাখিটাকে দেখে হীরামতি ডেকেছিল। যাতে পাখিটা এসে তার জানালায় বসে। কিন্তু পাখিটা ওর দিকে তাকালই না। উড়ে গেল।

৩। কারা, কী কারণে বাতাসে এবং জলে সাঁতার কাটতে পারে?

উত্তর: পাখি বাতাসে সাঁতার কাটতে পারে। কারণ তার ডানা আছে। আর মাছ জলে সাঁতার কাটতে পারে, কারণ তার পাখনা আছে।

৪। মানুষ কি বাতাসে বা জলে চলাফেরা করতে পারে? অথবা, উড়োজাহাজ ও ডুবোজাহাজের কাজ লেখো ?

উত্তরঃ পাখি বা মাছের মতো করে মানুষ এসব কাজ করতে পারে না। তবে হাওয়ায় উড়োজাহাজে করে পাখির মতো উড়তে পারে। আর জলের নীচে ডুবোজাহাজে মাছের মতো সাঁতরাতে পারে।

৫ । মানুষের সঙ্গে অন্য জীবজগতের লক্ষণীয় তফাত কোথায় এবং কীভাবে?

উত্তর: বুদ্ধিতে তফাত আছে। কারণ মানুষের ডানা নেই তবুও বাতাসে উড়তে পারে। পাখনা নেই তবুও জলে সাঁতরে ডুবোজাহাজ যেতে পারে। মানুষ তার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে উড়োজাহাজ ও ডুবোজাহাজ বানিয়েছে। অন্য জীব- জন্তুদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।

১। কাঠবিড়ালি তার পা দুটো দিয়ে কী করে?

উত্তরঃ কাঠবিড়ালি চার পায়ে দৌড়োয়। আর ফল ধরে খাওয়ার জন্য সামনের পা দুটোকে হাতের মতো ব্যবহার করে।

২। চিড়িয়াখানায় কোন্ কোন্ বানরজাতীয় প্রাণী দেখা যায়?

উত্তরঃ চিড়িয়াখানায় শিম্পাঞ্জি, গিবন, হনুমান ইত্যাদি বানরজাতীয় প্রাণী দেখা যায়।

৩। শিম্পাঞ্জি তার হাত দিয়ে কী কী করে?

উত্তরঃ শিম্পাঞ্জি হাতগুলিকে হাঁটার সময়ে ‘পায়ের মতো ব্যবহার করে। আবার হাত দিয়ে গাছের ফল ছিঁড়ে ছুঁড়েও মারতে পারে।

১। রিমলি চড়াইদের কীভাবে দেখাশোনা করে?

উত্তরঃ রিমলির এক ঝাঁক চড়াই আছে। সকাল হলেই তারা চলে আসে। জানালার পাশে তারা বসে যায়। রিমলি দু-মুঠো ধান ছড়িয়ে দেয়। চড়াইগুলি খেয়ে নেয়। ওদের ওতে চাহিদা মিটে যায়।

২। শালিকদের টুনকি কীভাবে খাওয়ায়?

উত্তরঃ শালিক কেঁচো খায়। কেঁচো মাটির মধ্যে ঢুকে থাকে। শালিক ঠোঁট দিয়ে মাটি খুঁড়ে কেঁচো ধরে খায়। টুনকি এটা জানে। তাই ও নিজে মাটি খুঁড়ে কেঁচো বের করে এক জায়গায় রাখে, শালিক এলে খাওয়াবে বলে।

৩। কুটুস কী দেখে অবাক হয়?

উত্তর: টিকটিকির ঘরে পোকা ধরে খাওয়া, গিরগিটির গাছে গাছে ঘোরা এবং বারে বারে রং বদলানোর দৃশ্য দেখে কুটুস অবাক হয়।

৫। ইতু মাছেদের কী এবং কীভাবে খাওয়ায়?

উত্তর: ইতু মাছেদের ভাত খাওয়ায়। নিজে খাওয়ার সময় পাতে একটু ভাত রেখে দেয়। সেগুলি নিয়ে চলে আসে পুকুর ঘাটে। জলে ছুঁড়ে দিলেই এক ঝাঁক মাছ চলে আসে।

১। রিমলি চড়াইদের কীভাবে দেখাশোনা করে?

উত্তরঃ রিমলির এক ঝাঁক চড়াই আছে। সকাল হলেই তারা চলে আসে। জানালার পাশে তারা বসে যায়। রিমলি দু-মুঠো ধান ছড়িয়ে দেয়। চড়াইগুলি খেয়ে নেয়। ওদের ওতে চাহিদা মিটে যায়।

২। শালিকদের টুনকি কীভাবে খাওয়ায়?

উত্তর: শালিক কেঁচো খায়। কেঁচো মাটির মধ্যে ঢুকে থাকে। শালিক ঠোঁট দিয়ে মাটি খুঁড়ে কেঁচো ধরে খায়। টুনকি এটা জানে। তাই ও নিজে মাটি খুঁড়ে কেঁচো বের করে এক জায়গায় রাখে, শালিক এলে খাওয়াবে বলে।

৫। সাঁতার ছাড়া আর কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে লম্বা শ্বাস নিতে হয়?

উত্তরঃ ফুটবল খেলায় খুব ছোটাছুটি করে হাঁফিয়ে উঠলে, কাবাডি খেলায় হাঁফিয়ে উঠলে লম্বা শ্বাস নিতে হয়।

৬। সাঁতার কাটা খুব ভালো কেন?

উত্তরঃ সাঁতারে একসঙ্গে শরীরের সব জায়গার ব্যায়াম হয়। এটা খুব কম সময়ে সম্ভব হয় এবং ভালো হয়।

৭। সাঁতার কাটার আগে কী কী করলে সাঁতার কাটা ভালো হয়?

উঃ সাঁতার কাটার আগে একটু ব্যায়াম করলে, একটু হাত-পা টানটান করলে এবং একটু তাড়াতাড়ি শ্বাস নেওয়ার ও ছাড়ার অভ্যাস করলে শরীর বেশি সচল হয়। ফলে সাঁতার কাটা ভালো হয়। নৈর্ব্যক্তিক

১। সাঁতার কাটলে কী হয়?

উত্তর: সাঁতার কাটলে খুব ভালো ব্যায়াম হয়। হাত নাড়া হয়, পা নাড়া হয়। বুকে পিঠে জলের ধাক্কা লাগে। কোথাও ব্যথা-বেদনা হতে পারে না।

২। দিদি কনুইয়ের কাছটা ভাঁজ করে কী বললেন?

উত্তর: কবজির কাছে দুটো হাড়ের জয়েন্ট বা জোড় আছে। এইরকম সারা শরীরে অনেক জোড় আছে। সাঁতার কাটলে ওইসব জোড়ের নাড়াচাড়া হয়। জায়গাগুলি সুস্থ থাকে। 

৩। সাঁতারের উপকার অন্য ব্যায়ামে কী হয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, হয়। সব ব্যায়ামেই শরীরের উপকার হয়। যেমন পিটিতে দু-হাত ওপরে তোলার ফলে হাত আর কাঁধের জোড়ের নাড়াচাড়া হয়।

১। গোলাপের কোন্ অংশের সঙ্গে আমাদের কোন্ ইন্দ্রিয়ের কাজ বোঝা গেল?

উত্তর: গোলাপের কাঁটার সঙ্গে আমাদের চামড়ার এবং গন্ধের সঙ্গে নাকের কাজ বোঝা গেল। চামড়া কাঁটা ফোটার কষ্ট বুঝিয়ে দেয়। আর নাক গন্ধের অনুভূতি প্রদান করে।

২। হাতে কাঁটা ফুটলে চোখে জল আসার ঘটনাকে দিদিমণি কী বলে বোঝালেন?

উত্তর: আমাদের কোনো এক বন্ধুর যদি আঘাত লাগে তবে আমাদেরও কষ্ট হয়। একইভাবে চামড়া একটি ইন্দ্রিয় আবার চোখও একটি ইন্দ্রিয়। তাই চামড়ার কষ্টে চোখেরও ব্যথা লাগে এবং তা জল আসায় প্রকাশ পায়।

৩। আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি চারপাশের প্রভাবে কীভাবে সাড়া দেয় তা উল্লেখ করো।

উত্তর: হঠাৎ চোখে আলো এসে পড়লে চোখ বুজে যায়। ঠান্ডায় চামড়া ফেটে যায়। গরমে চামড়া ফেটে যায়। গরমে চামড়া থেকে দরদর করে ঘাম বেরোয়। বাজ পড়ার শব্দে কানে তালা ধরে যায়। খুব ঝালে জিভ জ্বালা করে। নাকে কিছু ঢুকলে নাক সুড়সুড় করে।

৫। রাতকানা রোগ হলে কী করা দরকার এবং কেন?

উত্তরঃ রাতকানা রোগ হলে ডাক্তার দেখানো দরকার। কারণ, এর ফলে রাতে দেখতে পাওয়ার শক্তি সে ফিরে পাবে। অর্থাৎ রাতকানা রোগ চিকিৎসায় সেরে যায়। 

৬। চোখের খুব যত্ন নেওয়ার কী প্রয়োজন?

উত্তরঃ চোখ আমাদের সবকিছু দেখতে শেখায়, চিনতে শেখায়, শিখতে শেখায়। তাই চোখ ঠিক থাকা বিশেষ প্রয়োজন। সে কারণে চোখের খুব যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন।

৪। স্কিপিং খেলায় কীসের কাজ থাকে? এতে শরীরের কোন্ কোন্ অংশের কাজ হয়?

উত্তরঃ স্কিপিং খেলায় হাতে দড়ি ধরে লাফ দিতে হয়। তাই হাত ও পায়ের কাজ থাকে। এছাড়া হাত দিয়ে দড়ি ধরে লাফানোর কারণে আঙুল, কবজি, কনুই, কাঁধসহ পুরো শরীরের কাজ হয়।

নৈর্ব্যক্তিক ।

১। কানামাছি খেলায় কয়-জন নিয়ে একটা দল এবং তাদের কাজ কী?

উত্তর: কানামাছি খেলায় ছ-জন নিয়ে একটা দল হয়। ওই ছ-জনের একজন হয় রেফারি, আর একজন হয় কানামাছি। বাকি চারজন দূরে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকে চারবার করে ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ বলতে থাকবে।

২। কানামাছি খেলায় কানামাছি কী করে তাদের কোনো একজনকে ছোঁবে যারা ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ বলতে থাকবে?

উত্তর: এক মিনিট ধরে কানামাছি ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ শব্দগুলি শুনতে শুনতে আন্দাজ করবে কোথা থেকে শব্দগুলি আসছে। তারপর তাদের কাউকে ছুঁতে হবে।

৩। ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/ যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ চারবার বলার এক মিনিটের মধ্যে যদি কানামাছি কাউকে ছুঁতে না পারে তবে কী হবে?

উত্তর: তবে খেলাটি আবার শুরু হবে। অন্যরা যেমন দূরে সরে গিয়ে ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে ছোঁ’- প্রত্যেকে চারবার করে বলতে থাকবে। ‘কানামাছি’ শব্দ শুনে আন্দাজ করে যার চোখ বাঁধা হয়েছে সে কোনো একজনকে ছোঁয়ার চেষ্টা করবে।

৪। তিয়ানের নিয়মে কানামাছি খেলাটি কেমনভাবে হবে?

উত্তর: তিয়ানের নিয়মে প্রথমে সবাই ঘুরতে ঘুরতে ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ’ বলবে। এরপর রেফারি একজনকে বলতে বলে ওই ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ’। এবার ওই একজনের গলার স্বর শুনে কানামাছিকে বলতে হবে ওটা কার গলা।

Fill In The Blanks

১। তবে ———————————- খেলতেও খুব ছুটতে হয়।

২। ফুটবল খেলায় ——————————– কাজ অনেক বেশি।

৩। ———————————- খেলায় হাত ও পা দুয়েরই কাজ থাকে।

৪। স্কিপিং খেলায় ——————————— শরীরের কাজ হয়।

৫। একপায়ে লাফাতে গেলে ————————— বেশি হয়। কাজ আরও

৬। —————————-খেলায় কাঁধের কাজ হয়।
উত্তরঃ (১) লুকোচুরি, (২) পায়ের, (৩) ক্রিকেট, (৪) পুরো, (৫) পায়ের, (৬) স্কিপিং।

১। দাঁতে নোংরা জমলে মুখে  ———————–হয়।

২। জিভে নোংরা তুলতে জিভ ছোলা দিয়ে————————————- ঘষে নিতে হবে।

৩। নীচের দাঁতে —————————— থেকে ওপরে ব্রাশ টানবে।

৪। নাকে নোংরা শক্ত হয়ে ——————————- থাকতে পারে।

৫। দাঁত, জিভ, নাক, চোখ ও মুখ পরিষ্কার করতে ——————————– প্রয়োজন।

উত্তরঃ (১) গন্ধ, (২) জিভকে, (৩) তলা, (৪) জমে, (৫) জলের।

১। আন্দাজ —————– করবে কোথা থেকে শব্দ আসছে।

২। কোনো একটা দলে————– একজন হয়।

৩। কানামাছি খেলায় একটা দলে থাকে—————– জন।

৪। কানামাছি খেলায় বলতে হয় কানামাছি ভোঁ ভোঁ/যাকে পাবি তাকে

৫। কানামাছিকে কাউকে ছুঁতে হবে—————- মিনিটের মধ্যে।

উঃ (১) কানামাছি, (২) রেফারি/কানামাছি, (৩) ছয়, (৪) ছোঁ, (৫) এক।

১ । গোলাপের কাঁটা ————–ফুটে যায়।

২। নাকে গোলাপের ———-অনুভব করা যায়।

৩। কেউ বকলে মনে——————- হয়।

8 ।——————- চামড়া ফেটে যায়।

৫। ইন্দ্রিয়গুলি সবাই খুবই ——————

৬। গরমে————- থেকে দরদর করে ঘাম বেরোয়।

উত্তরঃ (১) চামড়ায়, (২) গন্ধ, (৩) কষ্ট, (৪) ঠান্ডায়, (৫) সজাগ, (৬) চামড়া।

১। সব ব্যায়ামেই————– উপকার হয়।

২। সাঁতারে নামার আগে একটু—————– করে নিলে ভালো।

৩। কবজির কাছে দুটো হাড়ের———- বা জোড় রয়েছে।

৪। সাঁতারে———— পিঠে জলের ধাক্কা লাগে।

৫। সাঁতারে একসঙ্গে সব জায়গায়———– হয়।

 উত্তর : (১) শরীরের, (২) ব্যায়াম, (৩) জয়েন্ট, (৪) বুকে, (৫) ব্যায়াম।

১। কাঠবিড়ালি ————— খেতে পছন্দ করে।

২। কাঠবিড়ালি খেতে বসারসময় সামনের দুটো পা——————- হয়ে যায়।

৩। হনুমান————- পায়ে দাঁড়াতে পারে।

8। ————–গায়ে কিছু লাগলে গা ঝাড়াঝাড়ি করে। | 

উত্তরঃ (১) পেয়ারা, (২) হাত, (৩) দুই; (৪) কুকুর/বিড়াল।

True And False

১। কাঠবিড়ালি মাংসাশী প্রাণী। (x)

২। শিম্পাঞ্জি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে। (✔)

৩। কুকুর হাতে ধরে জিনিস খায়। (x)

৪। শিম্পাঞ্জি গাছে উঠতে পারে। (√)

৩। ঠিক বাক্যের পাশে ‘✓’ ও ‘x’ ভুল বাক্যের পাশে চিহ্ন দাও:             

৩.১ সাঁতার কাটলে একসঙ্গে শরীরের অনেক জায়গার ব্যায়াম হয়। । (√)

৩.২ স্কিপিং-এ হাতের কবজির কোনো কাজ হয় না।  (X)

৩.৩ শীতকালে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। ()