Class 3 Chapter 2 Solution
খাদ্য
Very Short Question Answer
১। আগুনের ব্যবহার শেখার পর মানুষ কীভাবে মাংস খেত?
উত্তরঃ মাংস পুড়িয়ে খেত।
২। কুমোর কীসের সাহায্যে মাটির হাঁড়ি তৈরি করেন?
উত্তরঃ কুমোর কাঠের ছাঁচের সাহায্যে মাটির হাঁড়ি তৈরি করেন।
৩। নিমপাতা ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা কী কী?
উত্তরঃ নিমপাতা খোসপ্যাঁচড়া আটকায় ও মোচা রক্তাল্পতার সমস্যা কমায়।
৪। খাবার খারাপ হয়ে যায় কী কী কারণে?
উত্তরঃ ভ্যাপসা গরমে পচে যাওয়া, বাসি হওয়া ইত্যাদি কারণে খাবার খারাপ হয়ে যায়।
একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
১। জিভের জলের কাজ কী? (শেখার সেতু)
উত্তরঃ জিভের জলের কাজ হলো খাবার হজম করতে সাহায্য করা।
২। চানাচুর তৈরি করতে কী কী লাগে?
উত্তরঃ চানাচুর তৈরি করতে বেসন, কালোজিরে, নুন ইত্যাদি লাগে।
৩। অন্য দেশ থেকে এদেশে এসেছে এমন দুটি খাবারের নাম লেখো।
উত্তরঃ আলু ও ফুলকপি।
৪। “কাঁচা থাকলে অনাজ কিন্তু পাকলে ফল”- এমন দুটি ফলের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পেঁপে ও কাঁকুড় কাঁচা থাকলে আনাজ, কিন্তু পাকলে ফল।
১। খানিকক্ষণ পর পর শরীর কী চায়?
উত্তরঃ শরীর খাবার চায়।.
২। খাদ্য দেখে জিভে যে জল আসে আসলে তা কী?
উত্তরঃসেটি হলো মুখের লালা।
৩। মুখের লালা কী কাজে লাগে?
উত্তরঃ খাদ্য হজম করতে মুখের লালা কাজে লাগে।
৪। কখন জিভে বেশি জল আসে?
উত্তরঃ পছন্দসই খাবার দেখলে জিভে জল আসে।
১। একটা উপকারী শাকের নাম করো।
উত্তরঃ একটা উপকারী শাক হল ব্রাহ্মী শাক।
২। শাকের সঙ্গে কোন্ জিনিস গুলিয়ে যায়?
উত্তরঃ শাকের সঙ্গে ঘাস গুলিয়ে যায়।
৩। যা খেয়ে হজম করা যায়, তাকে কী বলে?
উত্তরঃ যা খেয়ে হজম করা যায়, তাকে খাদ্য বলে।
৪। ঘাস কার খাদ্য?
উত্তরঃ ঘাস গোরু ও ছাগলের খাদ্য।
৫। জলে জন্মায় এমন একটি শাকের নাম লেখো।
উত্তরঃ কলমি শাক জলে জন্মায়।
১। খাদ্য হজম না হলে কী হয়?
উত্তরঃ পেট খারাপ হয়, বমি হয়।
২। কী কী কারণে হজম হয় না বলে দিদিমণি বললেন?
উত্তর: খাবার বেশি খেলে এবং খারাপ হয়ে যাওয়া খাদ্য খেলে।
৩। ভ্যাপসা গরমে খাদ্য কী হতে পারে?
উত্তরঃ খাদ্য পচে যেতে পারে।
৪। বাসি খাদ্য কীভাবে খারাপ হতে থাকে?
উত্তরঃ খাদ্য নষ্ট হয়।
৫। খাদ্যে ছাতা পড়লে কী হয়?
উত্তর: ভিতরে ভিতরে খারাপ হতে হবে।
৬। কী ধরনের খাদ্য খেতে নেই?
উত্তরঃ বাসি, পচা খাদ্য খেতে নেই।
১। বদহজমের দুটি কারণ লেখো।.
উত্তর: বদহজমের কারণ হলো-একসাথে বেশি খেয়ে ফেলা এবং পচা বা বাসি খাবার খাওয়া।
২। খাদ্য কীভাবে নষ্ট হতে পারে?
উত্তর: ভ্যাপসা গরমে, বাসি হলে, ছাতা পড়ে নষ্ট হতে পারে।
১। ধান কী?
উত্তর: ধান হলো ধানগাছের বীজ।
২। ভাত কী থেকে হয়?
উত্তর: চাল থেকে ভাত হয়।
৩। চাল কীভাবে পাওয়া যায়?
উত্তর: ধানের খোসা ছাড়িয়ে চাল পাওয়া যায়।
৪। আটা কী থেকে হয়?
উত্তরঃ গমের বীজ থেকে আটা হয়।
৫। গমের বীজ থেকে আটা কীভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ গমের বীজ গুঁড়ো করে আটা পাওয়া যায়।
৬। রুটি কী দিয়ে হয়?
উত্তরঃ আটা দিয়ে রুটি হয়।
৭। আটা থেকে রুটি কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ জল দিয়ে মেখে, বেলে, সেঁকে তৈরি হয়।
৮। ফুলকপি কি ফুল?
উত্তরঃ না, ফুল নয়, ওটা কুঁড়ি।
৯। পেঁয়াজকলি কীসের বোঁটা?
উত্তরঃ পেঁয়াজকলি হলো কুঁড়ির বোঁটা।
১০। শিমের কোন্ অংশটা খাদ্য?
উত্তরঃ শিমের সবটাই খাদ্য।
১১। কড়াইশুঁটির কোন্ অংশ আমরা খাই?
উত্তরঃ কড়াইশুঁটির বীজ আমরা খাই।
১২। কড়াইশুঁটির খোসা কে খায়?
উত্তরঃ গোরু খায়।
১৩। পেঁয়াজ কী?
উত্তরঃ পেঁয়াজ গাছের কাণ্ড হলো পেঁয়াজ।
১৪। ধান, গম, ডালের কোন্ অংশ খাদ্য?
উত্তরঃ ধান, গম, ডালের বীজ হলো খাদ্য।
১৫। পুষ্ট হয়ে গেলে কীসের বীজ আর ভালো খাদ্য থাকেনা?
উত্তরঃ উচ্ছে, পটোল ও লাউ-এর বীজ আর ভালো থাকে না।
১৬। সজনে ডাঁটা কী?
উত্তৰ:সজনের ডাঁটা হলো সজনের ফল।
১৭। সজনের বীজ কী খাদ্য?
উত্তরঃ কচি অবস্থায় খাদ্য, পেকে গেলে অখাদ্য।
১৮। শাক গাছ বড়ো হলে তার কী খাই?
উত্তরঃ শাক গাছের ডাঁটা খাই।
১৯। নটে ও পুঁইয়ের ডাঁটা আসলে কী?
উত্তরঃ ওইসব গাছের কাণ্ড।
১। কচি অবস্থায় ঢ্যাঁড়স ছাড়া কী কী কাঁচা খাওয়া যায়?
উত্তর: ঝিঙে, কাঁকুড় খাওয়া যায়।
২। যখন মানুষ রাঁধতে শেখেনি তখন কীভাবে খেত?
উত্তর: কাঁচা অবস্থায় খাবার খেত।
৩। সবজি আর আনাজ কি একই?
উত্তর: কী, এগুলি একই।
৪। আনাজ রান্না হওয়ার পর কী নামে বোঝানো হয়?
উত্তর: আনাজ রান্না হলে তাকে তরকারি বলে।
৫। অনেকে কাঁচা আনাজকে কী বলেন?
উত্তর: তরকারি বলেন।
৬। হোপা কী?
উত্তরঃ চিচিঙ্গার আর-এক নাম হোপা।
৭। ঢ্যাঁড়শের আর কী নাম আছে?
উত্তর: ঢ্যাঁড়শের অন্য নাম ভেন্ডি।
৮। মাটির নীচের একটি আনাজের নাম লেখো।
উত্তরঃ আলু মাটির নীচে জন্মায়।
৯। ওল ও কচু কি আনাজ?
উত্তর: হ্যাঁ, ওল ও কচু আনাজ।
১০। ওল কি কাঁচা খাওয়া যায়?
উত্তরঃ না, খাওয়া যায় না।
১১। নিমপাতা খেলে কী উপকার হয়?
উত্তর: খোসপ্যাঁচড়া হয় না।
১২। কাঁচকলা কিসে উপকারী?
উত্তর: রক্তাল্পতায় উপকারী।
১৩। হজমে কে সাহায্য করে?
উত্তরঃ পেঁপে হজমে সাহায্য করে।
১৪। বিট, গাজর কী প্রতিরোধে সাহায্য করে?
উত্তর: গুরুতর রোগ প্রতিরোধ সাহায্য করে।
১৫। মোচা কীসের সমস্যা কমায়?
উত্তর: রক্তাল্পতার সমস্যা কমায়।
১। মাটির নীচের সবজিগুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ গোল আলু, রাঙাআলু, খামালু, মেটেআলু, ওল, কচু প্রভৃতি মাটির নীচের সবজি।
২। কাঁচা খাওয়া যায় কোন্ কোন্ সবজি?
উত্তর: ঢ্যাঁড়শ, পেঁয়াজ, ঝিঙে, কাঁকুড়, রাঙা আলু প্রভৃতি কাঁচা খাওয়া যায়।
৩। রোগ নিবারণে কোন্ কোন্ শাকসবজি কার্যকরী হয়?
উত্তর: নিমপাতা, কাঁচকলা, মোচা, বিট, গাজর প্রভৃতি রোগ নিবারণের জন্য ব্যবহৃত।
৪। স্যালাড কীসে হয়?
উত্তর: কাঁচা শশা, টম্যাটো, পেঁয়াজ, গাজর প্রভৃতি দিয়ে স্যালাড তৈরি হয়।
৫। পেঁপে কি সবজি? পেঁপের একটি উপকারিতা লেখো।
উত্তর: হ্যাঁ, কাঁচা পেঁপেকে সবজি বলা হয়। পেঁপে খাদ্য হজম করায় সাহায্য করে।
১। জল কীসে সাহায্য করে?
উত্তরঃজল হজমে সাহায্য করে।
২। জলের কাজ কী?
উত্তরঃ শরীর থেকে অখাদ্য বের করা হলো জলের কাজ।
৩। দিনে কত জল খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ অন্তত দু-তিন লিটার জল খাওয়া উচিত।
৪। ফলের কোন্ কোন্ অংশ শরীরের জন্য খুব উপকারী?
উত্তরঃ রস আর শাঁস শরীরের জন্য খুব উপকারী।
৫। রোগ আটকাতে কী খাওয়া দরকার?
উত্তরঃ ফল খাওয়া দরকার।
৬। রোগীর পথ্য হিসেবে ফল গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তরঃ ফল সহজে হজম হয় বলে ফল গুরুত্বপূর্ণ।
৭। মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কীসে কমানো যায়?
উত্তরঃ ফল বেশি খাওয়ার অভ্যাসে কমে।
৮। কোন্ ফল খেলে আর জল খাওয়ার দরকার হয় না?
উত্তরঃ ডাব খেলে।
৯। ডাব পাকলে কী হয়?
উত্তরঃ নারকেল হয়।
১০। কোন্ অসুখে ডাবের জল উপকারী?
উত্তরঃ পেটের অসুখে ডাবের জল উপকারী।
১১। নারকেল বীজের মধ্যে কী থাকে?
উত্তরঃ শাঁস থাকে।
১২। আমরা নারকেলের কী খাই?
উত্তরঃ আমরা নারকেলের শাঁস খাই।
১৩। কোন্ ফলে বেশিরভাগটাই জল থাকে?
উত্তরঃ ডাবে বেশিরভাগটাই জল থাকে।
১৪। ফল কী থেকে হয়?
উত্তরঃ গাছের ফুল থেকে ফল হয়।
১৫। ফলের আবরণকে কী বলে?
উত্তরঃ খোসা বলে।
১৬। খেজুর রস কোন্ সময় পাওয়া যায়?
উত্তর: শীতকালে পাওয়া যায়।
১৭। কোন্ ফল কাঁচা অবস্থায় রান্না করা হয়?
উত্তরঃ পেঁপে কাঁচা অবস্থায় রান্না করা হয়।
১৮। কোন্ ফল পাকা অবস্থায় রান্না করা হয়?
উত্তরঃ শশা পাকা অবস্থায় রান্না করা হয়।
১। অচেনা জাম খেয়ে সিধুর মায়ের কী হয়েছিল?
উত্তরঃ পেট ব্যথা হয়েছিল।
২। খুব ব্যথার কারণে সিধুর মাকে কোথায় ভরতি করতে হয়েছিল?
উত্তরঃ শহরের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল।
৩। কেতকী কার কাছ থেকে সিধুর মায়ের ঘটনা শুনেছে?।
উত্তরঃ তার বড়ো ঠাকুরমার কাছ থেকে।
৪। বিষ খেলে কী হয়?
উত্তরঃ শরীর খারাপ করে।
৫। বেশি বিষ খেলে মানুষের কী হতে পারে?
উত্তরঃ মানুষ মরেও যেতে পারে।
৬। মানুষ কবে থেকে ফল চিনতে শিখেছে?
উত্তরঃ অনেক আগে। যখন চাষবাস, রান্না করতে জানত না।
৭। অচেনা ফল খাওয়া উচিত নয় কেন?
উত্তরঃ বিষ ফল হলেও হতে পারে, তাই খাওয়া উচিত নয়।
৮। কিছু কিছু বিষ ফলের গায়ে কী আছে?
উত্তরঃ কাঁটা আছে।
৯। কাঁটা নেই এমন বিষ ফল কি আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আছে।
১। অনেকে ডিম পছন্দ করে কেন?
উত্তর: কাঁটা নেই এবং দাঁতে জড়ায় না বলে পছন্দ করে।
২। কী খেলে দাঁতে আটকে যায়?
উত্তরঃ মাংস খেলে দাঁতে আটকে যায়।
৩। কখন লুৎফার চাচারা পুকুরে ছোটো ছোটো পোনা ছাড়েন?
উত্তরঃ বর্ষার শুরুতে ছাড়েন।
৪। কবে থেকেলুৎফার চাচারা পুকুর থেকে মাছ ধরা শুরু করেন?
উত্তর: মাছ ছাড়ার তিনমাস পর থেকে মাছ ধরা শুরু করেন।
৫। সর্দি-কাশির ধাতের জন্য আকবরকে রোজ সকালে তার মা কী খেতে দেন?
উত্তরঃ মধু খেতে দেন।
৬। যেসব খাদ্য প্রাণী থেকে পাওয়া যায় তাদের কী বলা হয়?
উত্তরঃ প্রাণীজ খাদ্য বলা হয়।
২। লুৎফার পছন্দের মাছগুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ লুৎফার পছন্দের মাছগুলি হলো-বুই, মৃগেল, ট্যাংরা, বেলে ও ইলিশ।
৪। প্রাণীজ খাদ্যের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ প্রাণীজ খাদ্যের উদাহরণ: ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, মধু।
১। নেমন্তন্ন বাড়ির মজা কোন্ কোন্ খাবারে আছে?
উত্তরঃ চিনিপাতা দই, রসগোল্লা আর সন্দেশে আছে।
২। শরীরে বল আনতে কী খাওয়ানো উচিত?
উত্তরঃ ছানা খাওয়ানো উচিত।
৩। মালাই কি শুধু দুধ দিয়ে হয়?
উত্তরঃ না, ওর সঙ্গে অন্য জিনিস মেশাতে হয়।
৪। কী করতে গেলে দুধকে গরম করতে হয়?
উত্তরঃ ছানা করতে গেলে দুধকে গরম করতে হয়।
৫। কী করতে গেলে দুধকে ঠান্ডা করতে হয়?
উত্তরঃ আইসক্রিম তৈরি করতে গেলে দুধকে ঠান্ডা করতে হয়।
৬। কোন্ বিস্কুট তৈরিতে দুধ দরকার হয়?
উত্তরঃ পমক্রিম বিস্কুট তৈরিতে দুধ দরকার হয়।
১। দুটি মুখরোচক অথচ ভাজা খাবারের নাম লেখো।
উত্তর: চানাচুর, নিমকি ভাজা খাবার।
২। প্যাকেট চানাচুর খাওয়া ঠিক নয় কেন?
উত্তরঃ অনেক দিনের আগে ভাজা, পুরোনো তেলের গন্ধের কারণে খাওয়া ঠিক নয়।
৩। প্যাকেট চানাচুর কীসের সমতুল্য?
উত্তরঃ বিষের সমতুল্য।
৪। কোন্ ভাজা খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ বাড়িতে ভাজা বেগুনি ও চপ খাওয়া ভালো।
৫। মুড়ি বাড়ির কোন্ কোন্ ভাজা দিয়ে খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ চপ, বেগুনি ভাজা দিয়ে খাওয়া ভালো।
৬। প্যাকেট চানাচুর বেশ কিছুদিন ভালো থাকার কারণ কী?
উত্তরঃ কিছু মেশানো হয় বলে ভালো থাকে।
৭। বাড়িতে তেলে ছেঁকে ভাজা পিঠে ক-দিন ভালো রাখা যায়?
উত্তরঃ বেশ কয়েকদিন ভালো থাকে।
৮। দোকানে প্যাকেটে কি আলুভাজা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, পাওয়া যায়।
৯। প্যাকেটের চানাচুর, নিমকি কতদিন ভালো থাকে?
উত্তরঃ দু-তিন মাস ভালো থাকে।
১০। প্যাকেট চানাচুর কতদিনের মধ্যে খাওয়ার যোগ্য কী করে বুঝবে?
উত্তরঃ প্যাকেটের গায়ে লেখা তারিখ পড়ে বুঝবে।
১১। পাউরুটি কি তেলে ভাজা?
উত্তরঃ না, আগুনে সেঁকা হয়।
১২। পাউরুটি ক-দিন ভালো থাকে?
উত্তরঃ দু-তিন দিন ভালো থাকে।
১৩। বাজারে প্যাকেটে করে যেসব খাবার বিক্রি হয় তাকে কী বলে?
উত্তরঃ প্যাকেট খাবার বলে।
১। অনেক দিন আগে লোকে কী করতে পারত না?
উত্তরঃ আগুন জ্বালাতে পারত না বলে রাঁধতে শেখেনি।
২। অনেক আগে লোকে কী করে খেত?
উত্তরঃ হ্যাঁ, রান্না করা যায়।
৩। আগের মানুষেরা রাঁধতে শেখেনি কেন?
উত্তরঃ দেশলাই ব্যবহার করে আগুন জ্বালানো হয়।
৪। কেরোসিনের স্টোভে কি রান্না করা যায়?
উত্তর: কাঁচা কিংবা পুড়িয়ে খেত।
৫। বাড়িতে কীভাবে আগুন জ্বালানো হয়?
উত্তর: রাঁধতে পারত না।
৬। দেশলাইয়ের কোথায় বারুদ থাকে?
উত্তর: গায়ে এবং কাঠিতে।
৭। দেশলাই ছাড়া আর কী করে আগুন জ্বালানো যায়?
উত্তরঃ লাইটারে আগুন জ্বালানো যায়।
৮। আগুন থেকে কি আগুন জ্বালানো যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, যায়।
৯। কীসের জন্য উনুন চাই?
উত্তরঃ রান্না করার জন্য উনুন চাই।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (Short Questions)
১। অনেক দিন আগে লোকে কী করতে পারত না আর কীসের ব্যবহার জানত না?
উত্তর: অনেক দিন আগে লোকে রাঁধতে পারত না। তারা তেল-মশলার ব্যবহার জানত না।
২। অনেক দিন আগে লোকে কী করে খেত?
উত্তরঃ অনেক দিন আগে পুড়িয়ে খেত। কাঁচাও খেত।
৩। অনেক দিন আগে লোকে কোন্ খাদ্যকে কাঁচা খেত?
উত্তরঃ যেসব খাদ্যকে পোড়াতে পারত না সেগুলিকে কাঁচা খেত।
Short Question Answer
১। প্যাকেট চানাচুর খেতে গেলে তামিমের নানা তামিমকে কী বলেন?
উত্তরঃ ওগুলি অনেকদিন আগের ভাজা। ওতে পুরোনো তেলের গন্ধ। ওগুলি বিষের মতো। তার চেয়ে বাড়িতে ভাজা চপ, বেগুনি দিয়ে মুড়ি খাও।
২। প্যাকেট খাবার কী কী দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তরঃ ময়দা, বেসন, ডাল প্রভৃতি দিয়ে তৈরি হয়। এসব তৈরি করে খাবারগুলি প্যাকেট করা হয়।
৩। প্যাকেট খাবার কতদিনের মধ্যে খাওয়ার যোগ্য?
উত্তরঃ দু-তিন মাসের মধ্যে এবং এটা বুঝতে হবে প্যাকেটের গায়ে লেখা তারিখ দেখে।
৪। পাউরুটি কি এক ধরনের তেলেভাজা?
উত্তরঃ না, পাউরুটি তেলেভাজা খাবার নয়। আগুনে সেঁকা হয়ে থাকে। দু-তিন দিন ভালো থাকে।
৫। তৈরি খাবার কী?
উত্তরঃ খাওয়ার যোগ্য করে আগে থেকে তৈরি করে যে সকল জিনিসকে প্যাকেটে পুরে বাজারে বিক্রি করা হয়, তাকে তৈরি খাবার বলে। যেমন-চিপস্।
১। দুধ থেকে তৈরি হয় এমন কিছু খাবারের নাম লেখো।
উত্তরঃ দুধ থেকে তৈরি হয় ছানা, দই, রসগোল্লা, সন্দেশ, কফি, বিস্কুট, কেক, চকোলেট, আইসক্রিম বা মালাই বরফ।
২। দুগ্ধ জাতীয় খাবার তৈরিতে দুধকে কী করতে হয় বলে দিদিমণি বললেন?
উত্তরঃ দুধের সঙ্গে কিছু কিছু জিনিস মেশাতে হয়। কম-বেশি গরম বা ঠান্ডা করতে হয়।
৩। দুধ গরম ও ঠান্ডা করে কী কী তৈরি করা যায়?
উত্তরঃ ছানা তৈরি করতে গেলে দুধ গরম করতে হয়। আইসক্রিম তৈরি করতে গেলে দুধকে ঠান্ডা করতে হয়।
১। অনেকের ডিম পছন্দ করার কারণ কী?
উত্তর: ডিমে কাঁটা নেই। তাই মাছ খাওয়ার মতো সমস্যা হয় না। আবার মাংসের মতো দাঁতেও আটকায় না। খাওয়ার সুবিধের জন্য ডিম খেতে অনেকে ভালোবাসে।
৩। লুৎফার চাচারা কীভাবে পুকুরে মাছ চাষ করেন ও ধরেন?
উত্তরঃ বর্ষার শুরুতে ছোটো ছোটো পোনা ছাড়েন পুকুরে। খাবার দেন নিয়মিত। তিনমাস পর থেকেই জাল দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরা শুরু করেন।
১। সিধু সোরেনের মাকে শহরের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ সিধুর জঙ্গল থেকে আনা অচেনা জামের মতো ফল খেয়ে তার মায়ের খুব পেট ব্যথা হয়। তাই তাঁকে শহরের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়।
২। বিষ খেলে কী অসুবিধা সৃষ্টি করে?
উত্তর: একটু খেলেই শরীর খারাপ হয়। হাত-পা অবশ হয়ে যায়। বেশি বিষ খেলে মানুষ মরেও যায়।
৩। কোন্ ফল বিষ তা কী করে জানা গেছে?
উত্তর: মানুষ খেয়ে বুঝেছে কোল্টা বিষ ফল। যেটা বিষ ফল তা খেয়ে অসুখ হয়েছে। কেউ মারা গেছে। কখনো-কখনো পশুপাখিকেও ওইসব ফল খেয়ে মারা যেতে দেখেছে। এসব দেখে কোন্ ফল বিষ তা জানা গেছে।
৪। বিষ ফল কীভাবে চেনা যায়?
উত্তর: কোনো কোনো বিষ ফলের গায়ে কাঁটা থাকে। তাতে ওগুলি চেনা যায়। তবে কাঁটা ছাড়াও বিষ ফল রয়েছে। এগুলিকে চিনে নিতে হয় বড়োদের সাহায্যে।
১ । ফল থেকে আমরা কী কী পাই?
উত্তরঃ ফল থেকে আমরা জল পাই, খাদ্য হজমের বস্তু পাই।পুষ্টিলাভ করে রোগগ্রস্ত শরীরকে সুস্থ করতে পারি। শরীরের মেদ বৃদ্ধি কমাতে পারি। খাদ্য হিসেবে খেয়ে পেট ভরাতেও পারি।
২। কোন্ ফলে জল বেশি পাই এবং কোন্ অবস্থায় তা পাই?
উত্তরঃ ডাব ফলে আমরা জল বেশি পাই। ডাব নারকেল গাছের ফল। কারণ ডাব নারকেলের কচি অবস্থা। ওই অবস্থায়। আমরা ডাবের জল পাই। ডাব পাকলে নারকেল হয়ে যায়।
৩। খেজুর রস কোথা থেকে এবং কখন পাওয়া যায়?
উত্তরঃ খেজুর রস খেজুর গাছ থেকে পাওয়া যায়। শীতকালে খেজুর রস পাওয়া যায়।
৪। ফল কী থেকে হয় এবং তার গায়ে কী থাকে?
উত্তরঃ ফল ফুল থেকে হয়। ফলের গায়ে আবরণ থাকে। তাকে খোসা বলা হয়।
৫। কাঁচায় কোন্ কোন্ ফল সবজি আর পাকা অবস্থায় সরাসরি খাদ্য?
উত্তরঃ কাঁকুড়, পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সবজি। রান্না করে টম্যাটো তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। কিন্তু এগুলি পেকে গেলে ফল হিসেবে সরাসরি খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয়।
৬। শশা কি ফল? একে আমরা কীভাবে পাই?
উত্তরঃ হ্যাঁ, শশা ফল। একে কাঁচা অবস্থায় আমরা ফল হিসেবে সরাসরি খাই, কখনও খোসা ছাড়িয়ে কখনও বা খোসা না ছাড়িয়ে। আবার শশা পেকে গেলে সবজি হিসেবে রান্না করে তরকারি খাই।
১। কোন্ উদ্ভিদের বীজ আমরা কীভাবে খাই তা লেখো। |
উত্তরঃ আমরা ধান, গম, ডাল, শিম, বিনস, কড়াইশুঁটি, বরবটি, | পটোল, উচ্ছে, লাউ প্রভৃতির বীজ খাই। ধানের থেকে চাল বের করে ভাত খাই। গমকে পিষে আটা তৈরি করে জলে মাখিয়ে বেলে, সেঁকে রুটি তৈরি করে খাই। ডাল, শিম, বিনস, কড়াইশুঁটি, বরবটি, পটোল, উচ্ছে ও লাউ-এর বীজ সিদ্ধ করে খাই।
২। পেঁয়াজ গাছের কোন্ অংশ আমরা খাই?
উত্তরঃ পেঁয়াজ গাছের কলি অর্থাৎ পেঁয়াজ গাছের কুঁড়ির বোঁটা আমরা খাই। ওই গাছের কাণ্ডকে পেঁয়াজ হিসেবে সবসময় খেয়ে থাকি।
৩। সজনে গাছের কোন্ কোন্ অংশ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি?
উত্তরঃ কচি পাতা, ফুল ও ফলকে আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। সজনের ফলকে সজনে ডাঁটা বলা হয়। ওই ডাঁটার মধ্যে ফল থাকে। ওই ফল কচি অবস্থায় খাওয়া যায়। কিন্তু পেকে গেলে আর খাওয়া যায় না।
৪। কোন্ কোন্ গাছের কাণ্ডকে আমরা ডাঁটা হিসেবে খাই?
উত্তরঃ নটে ও পুঁই গাছের। অবশ্য লাউ, কুমড়ো প্রভৃতির কান্ডকেও আমরা ডাঁটা হিসেবে খেয়ে থাকি।
৩। কোন্ জিনিস টাটকা হলেও আমাদের খাদ্য নয় এবং কেন?
উত্তরঃ ঘাস টাটকা হলেও আমাদের খাদ্য নয়। কারণ আমাদের খাদ্যাভ্যাস সেভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই ঘাস খেয়ে আমরা হজম করতে পারব না।
১। কতকগুলি শাকের নাম করো।
উত্তরঃ কতকগুলি শাক হলো-বেলে শাক, ব্রাহ্মী শাক, ঢেঁকি শাক, হিঞ্চে শাক, পুঁই শাক ইত্যাদি।
২। শাক ও ঘাসের তফাত কীভাবে বুঝবে?
উত্তরঃ চোখ মেলে দেখলেই শাক ও ঘাসের তফাত বোঝা যাবে। আর এক মাস বাগানে ঘুরলে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।
৩। খাদ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যা খেয়ে হজম করা যায়, তাই হলো খাবার জিনিস বা খাদ্য। যেমন-মানুষের খাদ্য আপেল, কলা।
৪। ঘাস কেন গোরুর খাদ্য, আমাদের নয়?
উত্তরঃ গোরু ঘাস খেয়ে হজম করতে পারে, তাই ঘাস গোরুর খাদ্য। কিন্তু আমরা পারি না বলে আমাদের খাদ্য নয়।
Fill In The Blanks
১। বেশি খেয়ে ফেললে অনেক সময়——————— যায়। হয়ে
২। ——————মানুষের কাছে অখাদ্য।
৩। ছাতা পড়েও———————- নষ্ট হয়ে যায়।
8। ——————–হজম না হলে পেট খারাপ হয়।
৫। —————– গরমে খাদ্য পচে যেতে পারে।
উত্তরঃ (১) বমি, (২) ঘাস, (৩) খাদ্য, (৪) খাদ্য, (৫) ভ্যাপসা
১। লাউয়ের বীজ একটু পুষ্ট হয়ে গেলে আর——————— যায় না।
২। গমের বীজ গুঁড়ো করে হয়—————————-।
৩। চাল সিদ্ধ করলে———————- তৈরি হয়।
৪। পেঁয়াজ হলো গাছের————————–।
৫। সজনে ডাঁটা সজনে গাছের————————- ।
উত্তর: ১। খাওয়া, ২। আটা, ৩। ভাত, ৪। কাণ্ড
১। কাঁচা ঢ্যাঁড়শ খেতে————————– নয়।
২। সবজিকে রান্নার পরে——————–বলে।
৩। কচু —————-খেতে নেই।
৪। কাঁচকলা ——————— উপকারী।
৫। —————খোসপ্যাঁচড়া হতে দেয় না।
উত্তরঃ (১) মন্দ, (২) তরকারি, (৩) কাঁচা, (৪) রক্তাল্পতায়, (৫) নিমপাতা।
১। ——————সাহায্য করে জল।
২। —————–খেলে আর জল খাওয়াই লাগে না।
৩। খেজুর রস—————- পাওয়া যায়।
৪ । বেশিরভাগ ————- সহজে হজম হয়।
৫। নারকেল বীজের মধ্যে————- থাকে।
উত্তরঃ ১। হজমে, ২। ডাব, ৩। শীতকালে, ৪। ফল, ৫। শাঁস।
১। পাড়ার সিধু জঙ্গলে গিয়েছিলেন——————– আনতে।
২। ————–একটু খেলেই শরীর খারাপ হয়।
৩। বিষ ফল খেয়ে পশুপাখিও———— যেতে পারে।
৪। আম————- ফল নয়।
৫। কিছু কিছু বিষ ফলের—————- কাঁটা আছে।
উত্তরঃ ১। মধু, ২। বিষ, ৩। মারা, ৪। বিষ, ৫। গায়ে।
১। যেদিন দুপুরের খাওয়ায় ————-. থাকে সেদিন খুব মজা।
২। পুকুরে—————— চাষ করা হয়।
৩। সর্দি-কাশির ধাতে——————-উপকারী।
৪। মাংস খেলে অনেক সময়——————- আটকে থাকে।
৫। দুধ —————–খাদ্য।
উত্তরঃ ১। ডিম, ২। মাছ, ৩। মধু, ৪। দাঁতে, ৫। প্রাণীজ।
১। চিনুকে তার মা ছোটোবেলায়——————- খাওয়াতেন।
২। রিঙ্কুর মা —————–কফি মিশিয়ে খান।
৩। চিনি দিয়ে পাতা—————— খাওয়ায়। নেমন্তন্ন বাড়িতে
8 । ——————করতে গেলে দুধ গরম করতে হয়।
৫। আইসক্রিম করতে গেলে দুধ ——————-করতে হয়।
উত্তরঃ ১। ছানা, ২। দুধে, ৩। দই, ৪। ছানা, ৫। ঠান্ডা।
১। তার চেয়ে বরং বাড়ির চপ-বেগুনি ——————হোক।
২। ————খুব মুখরোচক।
৩। বাড়িতে গরম তেলে —————–ভাজা পিঠে হয়।
৪। চানাচুর ——————-থেকে হয়।
৫। পাউরুটি ————- তৈরি করা হয়।
উত্তরঃ ১। ভাজা, ২। নিমকি, ৩। ছেঁকে, ৪। ডাল, ৫। অন্যভাবে।
True And False
১। নিমপাতা খোসপ্যাঁচড়া আটকায়। (✓)
২। আনাজকে রান্নার পর কারুকর্ম বলে। (x)
৩। ওল কাঁচা খেলে গলা ধরে। (✓)
৪। মোচা রক্তাল্পতা কমায়। (✓)
১। প্যাকেট চিপস্ খুব স্বাস্থ্যকর খাদ্য। (x)
২। পুরোনো তেলের গন্ধযুক্ত খাবার খেতে নেই। (x)
৩। খাবারের প্যাকেটে কতদিনের মধ্যে খেতে হবে, তার উল্লেখ থাকে। (√)
৪। সেঁকা পাউরুটি দু-তিনদিন ভালো থাকে। (√)
১। নদীর কাছে ঘরবাড়ি করলে খাবার জল পেতে সুবিধা হত।(√)
২। ধান হলো গাছের বীজ। (√)
৩। পেঁয়াজ হলো গাছের মূল। (x)
৪। সয়াবিন একটি প্রাণীজ খাবার। (×)