Class 4 Chapter 1 Solution
পরিবেশের উপাদান ও জীবজগৎ
Very Short Quetion Answer
১। পিঁপড়ে কোথায় ডিম দিয়েছিল?
উত্তর: ইটের তলায়।
২। শ্যাওলা কার গায়ে ছিল?
উত্তর: ইটের গায়ে।
৩। ইট থেকে কী ইট হতে পারে?
উত্তর: না, হতে পারে না।
৪। ইট সংখ্যায় বাড়েনি কেন?
উত্তর: ইট জড়বস্তু বলে।
৫। পিঁপড়ের সংখ্যা বেড়েছে কেন?
উত্তর: পিঁপড়ে জীব, তাই সংখ্যায় বেড়েছে।
৬। জীবদের স্পর্শ করলে কী করে?
উত্তর: সাড়া দেয়।
৭। কার জন্ম ও মৃত্যু আছে?
উত্তর: জীবের।
৮। কে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে পারে না?
উত্তর: জড় পদার্থ।
৯। কারা কী মজা করে খেল?
উত্তর: মাছেরা পিঁপড়ের ডিম মজা করে খেল।
১০। আমরা কীসের সাহায্যে অনেক কাজ করি?
উত্তর: দু’টো হাত এবং দুটো পায়ের সাহায্যে।
১১। কাঠবেড়ালি পেয়ারা কীভাবে খায়?
উত্তর: দু’হাতে ধরে খায়।
১২। কাঠবেড়ালি কয় পায়ে দৌড়ায়?
উত্তর: চারপায়ে।
১৩। পিঁপড়ে কোথা থেকে খাবার বয়ে নিয়ে যায়?
উত্তর: অনেক দূর থেকে।
১৪। গাছের ডাল ঠোঁটে করে কে নিয়ে যায়?
উত্তর: পায়রা, চড়াই।
১৫। পায়রা, চড়াই, ঠোঁটে করে গাছের ডাল নিয়ে যায় কেন?
উত্তর:বাসা বাঁধার জন্য।
১৬। মাছের গন্ধ কে বুঝতে পারে?
উত্তর: বিড়াল।
১৭। কাঠবেড়ালির হাত দৌড়াবার সময় কীসের কাজ করে?
উত্তর: কাঠবেড়ালির হাত দুটো দৌড়াবার সময় পায়ের কাজ করে।
১৮। চড়াই, পায়রা বাসা বাঁধে কীভাবে?
উত্তর: চড়াই, পায়রা ঠোঁট দিয়ে গাছের ডাল বয়ে নিয়ে
১৯। বিড়াল মাছের সন্ধান কীভাবে পায়?
উত্তর: বিড়াল মাছের গন্ধ বুঝতে পারে। সেই গন্ধেব় কারণে সে মাছের কাছে চলে যায়।
২০। পাখিদের কিচিরমিচির কখন শুরু হয়?
উত্তর: ভোরবেলা।
২১। হীরামতিদের বাগানে আসা যে-কোনো দুটি পাখির নাম লেখো।
উত্তর: চড়াই, ময়না।
২২। সুমিতদের পুকুরে রয়েছে এমন একটি মাছের নাম লেখো।
উত্তর:পুঁটি, রুই।
২৩। কারা কুঁড়ো খায়?
উত্তর: মাছেরা।
২৪। বাবলুদের বাগানে পাওয়া যায় এমন দুটি ফুলের গাছ উল্লেখ করো।
উত্তর:গাঁদা, জবা।
২৫। নরেনদের পাহাড়ে কোন্ গাছ বেশি দেখা যায়?
উত্তর: ঝাউ, পাইন।
২৬। বাবলুদের বাগানের গাছগুলির নাম লেখো।
উত্তর: আম, কাঁঠাল, কুমড়া, মেহগনি, কলকে, গাঁদা, জবা, নিম ও আরও অনেক ধরনের গাছ।
২৭। পাইন, ঝাউগাছে কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: পাহাড়ি অঞ্চলে পাইন, ঝাউগাছ দেখা যায়।
২৮। সাপ কী খায়?
উত্তর: ইঁদুর খায়।
২৯। সাপ না থাকলে কী হবে?
উত্তর:ইঁদুরের সংখ্যা বেড়ে যাবে ও আমাদের বিপদ হবে।
৩০। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে আগে কে ডাকত?
উত্তর: ব্যাং ডাকত।
৩১। ব্যাং কী খায়?
উত্তর: পোকামাকড়।
৩২। হরিণ কী খায়?
উত্তর: ঘাস খায়
৩৩। বাঘ কাকে খায়?
উত্তর: হরিণকে খায়।
৩৪। জিরাফ কী খায়?
উত্তর: উঁচু গাছের পাতা খায়।
৩৫। ছোটো গাছের পাতা কে খায়?
উত্তর: ছাগল।
৩৬। আমরা সবাই কার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছি?
উত্তর: পোকামাকড়
৩৭। আমাদের পরিবেশ কীভাবে টিকে আছে?
উত্তর: সবার উপর নির্ভর করে।
৩৮। পুকুরে বেশি হয় এমন একটা উদ্ভিদের নাম করো?
উত্তর: পানী।
৩৯। কোন্ গাছের গায়ে অনেক কাঁটা?
উত্তর: ফণীমনসা গাছের গায়ে।
৪০। কোন্ গাছে কোনো দিনও জল দিতে হয় না?
উত্তর:ফণীমনসা গাছে
৪১। কোন্ গাছে আঠা থাকে?
উত্তর: জিওল গাছে।
৪২। কোন্ গাছে তুলো হয়?
উত্তর: শিমুল গাছে।
৪৩। পলাশ গাছের ফুল কেমন রঙের হয়?
উত্তর: আগুন–বা়ঙা
৪৪। গরান গাছ থেকে কী পাওয়া যায়?
উত্তর: কাঠ
৪৫। পাইন গাছ কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: দার্জিলিং-এ।
৪৬। কোন্ গাছ থেকে আঠা এবং কোন গছলে তুলো পাওয়া যায়?
উত্তর: জিওল গাছ থেকে আঠা পাওয়া যায়। শিক্ থেকে তুলো পাওয়া যায়।
৪৭। খালি চোখে দেখা যায় না এমন প্রাণী কি পৃথিবীতে আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, আছে।
৪৮। খালি চোখে দেখা যায় না এমন কয়েকটি প্রাণীর নাম উত্তর লেখো।
উত্তর: ম্যামিবা, প্লাজমোডিয়াম, ইউপ্লিনা।
৪৯। খালি চোখে যে সব প্রাণী দেখা যায় না তাদের কীভাবে দেখা যাবে?
উত্তর: অণুবীক্ষণ যন্ত্রের (মাইক্রোস্কোপ) সাহায্যে।
৫০। ছোঁয়া লাগলে কেন্নো কী করে?
উত্তর: গোল হয়ে গুটিয়ে যায়।
৫১। শিরদাঁড়া নেই এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: কেন্নো, আরশোলা।
৫২। শিরদাঁড়া আছে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: ব্যাং, মানুষ।
৫৩। শিরদাঁড়া থাকা সত্ত্বেও দেহকে গুটিয়ে নিতে পারে কোন্ প্রাণী?
উত্তর: সাপ।
৫৪। গাছে সাপটার গায়ের রং কী ছিল?
উত্তর: সবুজ ছিল।
৫৫। শজারুর গায়ে কী আছে?
উত্তর: কাঁটা আছে।
৫৬। কার শিং আছে?
উত্তর: গোরুর।
৫৭। কার গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকে?
উত্তর: বাঘের গায়ে।
৫৮। কোন্ প্রাণীর শুঁড় ও দাঁত আছে?
উত্তর: হাতির।
৫৯। কার থাবায় নখ আছে?
উত্তর: ভালুকের থাবায়।
৬০। একটি আঁশওয়ালা মাছের নাম লেখো।
উত্তর: রুই।
৬১। একটি আঁশবিহীন মাছের নাম লেখো।
উত্তর: শিঙি।
৬২। মাছ কীসের সাহায্যে সাঁতার কাটে?
উত্তর: পাখনার সাহায্যে সাঁতার কাটে।
৬৩। মাছের গায়ে আঁশ কোথায় থাকে?
উত্তর: মাছের সারা শরীর জুড়ে আঁশ থাকে।
৬৪। মাছের আঁশগুলি কেমান?
উত্তর: মাছের আঁশগলি বেশ শক্তপোক্ত।
৬৫। মাছের আঁশের কাজ কী?
উত্তর: মাছকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করা।
৬৬। কোন্ কোন্ মাছের কাঁটা খুব সুচালো?
উত্তর: শিঙি ও মাগুর মাছের কাঁটা খুব সুচালো।
৬৭। কাঁকড়ার দাঁড়াগুলো কেমন?
উত্তর: কাঁকড়ার দাঁড়াগুলো বেশ খাঁজকাটা।
৬৮। শক্ত খোলকেশরীর ঢাকা এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: কচ্ছপ।
৬৯। হাঁস কী সাঁতার কাটতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, হাঁস সাঁতার কাটতে পারে।
৭০। সাঁতার কাটার জন্য হাঁসের পায়ের আঙুলগুলো কেমন?
উত্তর:জোড়া।
৭১। শিঙি ও মাগুরের কী দেখে তাদের শত্রুরা ভয় পেয়ে যায়?
উত্তর: সুঁচালো কাঁটা দেখে।
৭২। দুটি প্রাণীর নাম লেখো যাদের পায়ের আঙুলগুলো
উত্তর: ব্যাং, হাঁস-এর পায়ের আঙুলগুলো জোড়া। কারণ
৭৩। মাছ ছাড়া জলে আর কোন কোন প্রাণী থাকে।
উত্তর: শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, চিংড়ি, কচ্ছপ, কুমির, ইস
৭৪। ওড়বার জন্য কী থাকা চাই?
‘উত্তর: ডানা থাকা চাই।
৭৫। পাখির কয়টা ডানা আছে?
উত্তর: পাখির দুটো ডানা আছে
৭৬। পাখিদের আঙুলের নখগুলো কেমন?
উত্তর: বেশ সুঁচালো।
৭৭। পাখিদের সুঁচালো নখ কী কাজে সাহায্য করে?
উত্তর: গাছের ডালে বসে থাকার কাজে সাহায্য করে।
৭৮। পাখির ২টি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: পাখির আঙুলের নখগুলি সুঁচালো এবং বাঁকা হয়। তাই গাছের ডালে বসলে এরা সহজে পড়ে যায় না।
৭৯। তোমার বইয়ে কোন্ কোন্ পাখির ছবি রয়েছে?
উত্তর: চড়াই, ধনেশ, ময়ূর, টুনটুনি, পেঁচা, শালিক, কাঠঠোকরা।
৮০। কখন বলা হবে যে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
উত্তর: যখন একটা বাঘও পৃথিবীতে আর থাকবে না।
৮১। বন্যেরা কোথায় সুন্দর?
উত্তর: বনেই সুন্দর
৮২। জন্তুরা শিকার করার জন্য কোথায় লুকিয়ে থাকে?
উত্তর: বড়ো গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে।
৮৩। আমরা জঙ্গল কেটে কী করি?
উত্তর: বাড়ি তৈরি করি।
৮৪। আমরা হরিণ, বুনো শুয়োর শিকার করি কেন?
উত্তর: মাংস খাওয়ার জন্য।
৮৫। আমরা হরিণ, বুনো শুয়োর শিকার করলে বাঘের কী সমস্যা দেখা দেবে?
উত্তর: বাঘের খাদ্যাভাব দেখা দেবে।
৮৬। আজকাল সুন্দরবনের বাঘ কোথায় ঢুকে পড়েছে বলে শোনা যায়?
উত্তর: লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে শোনা যায়।
৮৭। কোথায় ডোডো পাখি আজ আর নেই?
উত্তর: মরিশাসে ডোডো পাখি আজ আর নেই।
৮৮। ডোডো পাখি দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর: ডেডো পাখি দেখতে অনেকতা হাঁশেব় মতেো ।
৮৯। ডোডো পাখিকে কি আবার ওই দ্বীপে দেখা যেতে পারে?
উত্তর: না, কারণ ওই পাখিদের কেউ আর বেঁচে নেই।
৯০। যে সব প্রাণী হারিয়ে গেছে তাদের কী বলা হয়?
উত্তর: তাদের বিলুপ্ত প্রাণী বলা হয়।
৯১। যে সকল প্রাণীদের সংখ্যা ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে
উত্তর: তাদের বিপন্ন প্রাণী বলা হয়।
৯২। আমাদের চারপাশের গাছপালাকে চেনার দরকার কী?
উত্তর:ওদের বাঁচানোর জন্য আমাদের চেনার দরকার।
৯৩। গাছপালাকে বাঁচানোর দরকার কী?
উত্তর: গাছপালাদের উপর নির্ভর করে আমরা বেঁচে আছি। তাই আমাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে ওদের বাঁচানো দরকার ।
৯৪। একটি লুপ্ত প্রাণী ও একটি বিপন্ন প্রাণীর উদাহরণ দাও।
উত্তর: একটি লুপ্ত প্রাণী হল ভারতের গোলাপি হাঁস। একটি বিপন্ন প্রাণী হল কৃষ্ণসার হরিণ।
৯৫। হারিয়ে যেতে বসেছে এমন একটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: অলিড রিডলে কচ্ছপ হারিয়ে যেতে বসেছে।
৯৬। হারিয়ে গেছে এবং হারিয়ে যেতে চলেছে এমন দুটি বাঘের উদাহরণ দাও।
উত্তর: হারিয়ে গেছে বালিদ্বীপের বাঘ। তাবিয়ে যেতে চলেছে বয্যাল বেঙ্গল টাইগার।
৯৭. জলে জন্মায় এমন দুটি গাছের নাম লেখো। [শেখার সেত।
উত্তর: পদ্ম, শালুক।
৯৮. পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে এমন দুটি প্রাণীর নাম ।
উত্তর: বালিদ্বীপের বাঘ ও রেডপান্ডা
৯৯. রুইমাছ ও চিংড়ির একটি মিল ও অমিল লেখো।
উত্তর: রুই ও চিংড়ি দুটিই জলে থাকে। তবে রুইমাছের মেরুদণ্ড থাকলেও চিংড়ি মাছের মেরুদণ্ড থাকে না।
১০০. কেন্নোকে ছুঁলে গোল হয়ে যায়। কিন্তু টিকটিকিকে ছুঁলে গোল হয় না কেন?
উত্তর: কেন্নোর শিরদাঁড়া নেই বলে গোল হতে পারে। আর টিকটিকির শিরদাঁড়া আছে বলে গোল হতে পারে না।
১০১. প্রজাপতি আর পাখির মধ্যে একটি মিল ও একটি অমিল লেখো।
উত্তর: প্রজাপতি আর পাখি দুটোই উড়তে পারে। কিন্তু পাখির মতো প্রজাপতির শরীরে বায়ুথলি নেই।
১০২. মাছের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: মাছের শিরদাঁড়া আছে। মাছ আঁশযুক্ত ও আঁশছাড়া দুই-ই হতে পারে।
Short Quetion Answer
১। ইট থেকে ইট না হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: ইট থেকে ইট হয় না। কারণ ইট হল জড় পদার্থ। জড় পদার্থ আকারে বাড়ে না বা নতুন জড় পদার্থের জন্ম দিতে পারে না।
২। জীবের লক্ষণ কী?
উত্তব়: রজীবের লক্ষণ হল-স্পর্শ করলে সাড়া দেওয়া। শ্বাস নিতে পারা ও ছাড়তে পারা। নিজেই জায়গা জের: পরিবর্তন করতে পারে। এদের জন্ম যেমন হয় তেমন এরা মারাও যায়।
৩। ব্যাঙ কেন জীব?
উত্তর: ব্যাঙ শ্বাস নিতে ও ছাড়তে পারে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে, এদের জন্ম হয়, মারাও যায়।
৪। হীরামতি কাদের কী খেতে দেয়?
উত্তর: হীরামতি পায়রা, চড়াই, ময়না, টুনটুনি, শালিক আরও কত রকমের নাম না জানা পাখিদের ঘুম থেকে উঠে মুড়ি খেতে দেয়।
৫। সুমিতদের পুকুরে কী কী মাছ আছে এবং সুমি ওদের কী খেতে দেয়?
উত্তর: সুমিদের পুকুরে নানা রকমের মাছ আছে। যেমন-পুঁটি, তেলাপিয়া, বুই, কাতলা প্রভৃতি। সুমি প্রতিদিন ওদের কুঁড়ো খেতে দেয়।
৬। এখন ব্যাং কমে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: ব্যাং পোকামাকড় খায়। জমিতে পোকা মারার বিষ দেওয়ার কারণে পোকা মারা যায়। ফলে ব্যাং-এর খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। অর্থাৎ খাদ্যাভাবে ব্যাং মারা যায়।
৭। সব সাপ মেরে ফেললে কী হবে?
উত্তর: সাপ ইঁদুর খায়। ইঁদুর আমাদের শস্যের ক্ষতি করে।
তাই সব সাপ মেরে ফেললে ইঁদুরের সংখ্যা বেড়ে যাবে। ফসলের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। সুতরাং আমাদের বিপদ হবে।
৮। হরিণ, বাঘ, জিরাফ কী খায়?
উত্তর: হরিণ ঘাস খায়। বাঘ মাংস খায়, তাই হরিণ, মোষ ইত্যাদি শিকার করে খায়। জিরাফ উঁচু গাছের কচিপাতা খায়।
৯। পুকুরের পানা কীভাবে পরিষ্কার করা হয়?
উত্তর: আগে খড় বেঁধে বিরাট দড়ি তৈরি করে নিতে হয়। তারপর ওই দড়ি দিয়ে পুকুর জুড়ে বিছিয়ে দিয়ে দু’দিক থেকে ধীরে ধীরে টান দিতে হয়। এরফলে সব পানা একজায়গায় চলে আসে। তারপর ওই পানাগুলোকে জল থেকে পাড়ে তুলে ফেলাম।
১০। আমাদের চারপাশের প্রাণীরা কী ধরনের হয়?
উত্তর: আমাদের চারপাশের প্রাণীরা কেউ উড়ে বেড়ায়।দলে করি বলাবলি, তারপরে লিখে ফেলিকেউ বুকে হেঁটে চলে। কেউ পাতায় থাকে, কেউ জলে থাকে। কেউ মাটির তলায় থাকে। কারও অনেক পা, কারও পা নেই। প্রত্যেকের নানা রং আছে।
১১। গিরগিটি গায়ের রং কেন বদল করে?
উত্তর: গিরগিটি গায়ের রং বদল করে যাতে অন্য প্রাণী বা মানুষ তাকে মেরে ফেলতে না পারে। কারণ গিরগিটি যার ওপর বসে ওই বসা বস্তুর রং-এর মতো নিজের গায়ের রং বদল করে নেয়। এর ফলে কেউ সহজে তাকে দেখতে পাবে না।
১২। পাখিরা অনেকক্ষণ ওড়ে, তবু ক্লান্ত হয় না কেন?
উত্তর: পাখিদের দেহে বায়ুথলি আছে। উড়বার আগে সেই বায়ুথলিতে বাতাস জমা করে নেয়। তাই অনেকক্ষণ উড়লেও ক্লান্ত হয় না।
১৩।বন্যপ্রাণীরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: গাছ কেটে অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। ফলে বাসস্থান হারিয়ে বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও চোরাশিকারিরা চামড়া, নখ, হাড়, দাঁতের লোভে প্রাণীদের মেরে ফেলছে। ফলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
১৪। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ২টি উপায় লেখো।
উত্তর:ন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ২টি উপায় হল- (i) গাছ না কেটে অরণ্য ধ্বংস না করে তাদের বাসভূমি সংরক্ষণ করা। (ii) চোরাশিকার বন্ধ করা।
১৫। চোরাশিকারিরা কেন বন্যপ্রাণী শিকার করেন?
উত্তর: বাঘের চামড়া, সাপের চামড়া, হাতির দাঁত, গন্ডারের খঙ্গ, ইত্যাদির লোভে চোরাশিকারিরা বন্যপ্রাণী শিকার করে। কারণ এই সকল জিনিসগুলির বাজারে দাম অনেক বেশি।
১৬। সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ে কেন?
উত্তর: বাসস্থান তৈরির জন্য সুন্দরবনের সুন্দরী, হেঁতালের জঙ্গল কেটে ফেলা হচ্ছে। ফলে ওই জঙ্গলে থাকা বাঘের খাদ্য প্রাণী-হরিণ, শূকর, ইত্যাদির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। খাদ্যের জন্য সুন্দরবনের বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।
১৭। মরিশাসের ডোডো পাখিরা আজ পৃথিবী থেকে কেন হারিয়ে গেছে?
উত্তর: মরিশাস হল ভারত মহাসাগরের বুকের একটি দ্বীপ। এই দ্বীপে বাইরে থেকে মানুষের সঙ্গে জাহাজে করেপ্রচুর বিড়াল, ইঁদুর, কুকুর, বানরের দল এসে পৌঁছান। মানুষ ও ওই সকল প্রাণী দ্বারা ডোডো পাখিরা আক্রা হল এবং মারা গেল। লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারাব না বলে আস্তে আস্তে তারা আজ পৃথিবী থেকে হারিয়ে। গেছে।
১৮. জীব ও জড় পদার্থের মধ্যে পার্থক্য লেখো:
উত্তর: একটা জীব থেকে অন্য জীব তৈরি হয়। জড় পদার্থের ক্ষেত্রে এটা হয় না। জীবের প্রাণ থাকলেও জড় পদার্থের প্রাণ থাকে না।
১৯. সংরক্ষণের কয়েকটি উপায় উল্লেখ করো। [শেখার সেতু] অথবা, বণ্যপ্রাণী রক্ষার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় বলো।
উত্তর: সংরক্ষণের জন্য জঙ্গলের গাছপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। বন্যপ্রাণী শিকার করা যাবে না। এসব নিয়ম যারা মানবে না, তাদের শাস্তি দিতে হবে।
২০.’প্রাণীরা একে অন্যকে খেয়ে বেঁচে থাকে’- উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: হরিণ খেয়ে বাঘ, চিতা বাঘ, সিংহরা বেঁচে থাকে। বিভিন্ন পোকামাকড়, ছোটো প্রাণী খেয়ে বহু পাখিও বেঁচে থাকে। ব্যাঙ ও অন্যান্য ছোটোখাটো প্রাণী খেয়ে সাপ, শিয়ালরা বেঁচে থাকে।.
২১. কী কী কারণে বিভিন্ন জীব হারিয়ে যাচ্ছে?!
উত্তর: বেশি করে গাছপালা কেটে ফেলা, বাঘ-হরিণ ইত্যাদি প্রাণীকে শিকার করা, গাছ কাটলে গাছ না লাগানো ইত্যাদি কারণের জন্য বিভিন্ন জীব হারিয়ে যাচ্ছে।
Fill In The Blanks
১।————— একটা ইটে হোঁচট খেলাম।
২। দৌড়ে একটা —————–নিয়ে এসে প্যাকেটে ভরলাম।
৩। ইটের————- কিন্তু একই আছে।
8।——————-পদার্থ শ্বাস নিতে ও ছাড়তে পারে না।
৫। —————-স্পর্শ করলে সাড়া দেয়।
উত্তর: (১) শ্যাওলাধরা, (২) চামচ, (৩) সংখ্যা, (৪) জড়, (৫) জীবদের।
৬।—————–কিচিরমিচির শব্দ করে।
৭। নিম গাছ—————- বাগানে রয়েছে।
৮।———————-পাইনগাছ বেশি দেখা যায়।
উত্তর: (৬) পাখিরা, (৭) বাবলুদের, (৮) পাহাড়ে।
৯।———— ইঁদুর খায়।
১০। ব্যাং————— খায়।
১১। হরিণকে————— খায়।
১২। আমরা —————– সবার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছি।
উত্তর: (৯) সাপ, (১০) পোকামাকড়, (১১) বাঘ, (১২) সবাই।
১৩। পাইন গাছ খুব————- হয়।
১৪। ফণীমনসার——————- গায়ে থাকে।
১৫। পানা——————-উদ্ভিদ।
১৬। পলাশের ফুল —————-রঙা।
উত্তর: (১৩) বড়ো, (১৪) কাঁটা, (১৫) জলজ, (১৬) আগুন।
১৭। বুকে হেঁটে চলে————–।
১৮। অনেকগুলি পা আছে.—————–।
১৯। জলে সাঁতার কাটে——————-।
২০। কৃমির————— নেই।
উত্তর: ১৭। গিরগিটি ১৮। চিংড়ির ১৯। মাছ। ২০। শিড়দাঁড়া।
২১। পাখির—————– আছে।
২২। কুমিরের শিরদাঁড়া————————-।
২৩। আরশোলার——————– নেই।
উত্তর:২১। ডানা। ২২। নেই। ২৩। শিরদাঁড়া।
২৪। —————-গায়ে কাঁটা আছে।
২৫। ভালুকের থাবায়—————– আছে।
২৬। গোরুর শিং —————-সাহায্য করে।
২৭। হাতি শুঁড়ের সাহায্যে ————–করে।
উত্তর: (২৪) শজারুর, (২৫) নখ, (২৬) গুঁতোতে, (২৭) আত্মক্ষা।
২৮। হাঁস এক প্রকারের—————-.।
২৯। শিঙি মাছের আছে—————–।
৩০। কুমির থাকে—————————–।
৩১। শামুকের নরম শরীর ———————–ঢাকা।
৩২। হাঁসের পায়ের আঙুলগুলি————————-.।
উত্তর: (২৮) পাখি, (২৯) কাঁটা, (৩০) জলে, (৩১) খোলকে, (৩২) জোড়া।
৩৩। পাখিদের আঙুলের———————- বেশ সূঁচালো।
৩৪। পাখিদের শরীরের ভেতরে————————– ভরা থলি আছে।
৩৫। ডানা আছে বলে—————— উড়তে পারে।
৩৬।—————— পাখিরা বাসায় ফেরে।
উত্তর: (৩৩) নখগুলো, (৩৪) বাতাস, (৩৫) পাখিরা, (৩৬)সন্ধ্যাবেলায়।
৩৭। বাঘ————–শিকার করে।
৩৮। জঙ্গলে নানা————— সমাহার।
৩৯। বনদপ্তরের———————- এসে বাঘকে উদ্ধার করে।
8০।———————–ভারত মহাসাগরের বুকে একটি ছোট্ট দ্বীপ।
৪১। ডোডো এক ধরনের—————- ।
উত্তর:(৩৭) হরিণ, (৩৮) গাছপালার, (৩৯) লোক, (৪০) মরিশাস, (৪১) পাখি
৪২।—————–প্রাণীরা আজ ইতিহাস হয়ে গেছে।
৪৩। নিউজিল্যান্ডের—————— – মাছ হারিয়ে গেছে।
৪৪। আমাদের চোখের সামনে কত——————কত প্রাণী।
৪৫। হারিয়ে যেতে চলেছে—————— হরিণ।
উত্তর: (৪২) বিলুপ্ত, (৪৩) গ্রেলিং, (৪৪) গাছপালা, (৪৫) গন্ডার।
৪৬. সাঁতার কাটার জন্য হাঁসের পায়ের আঙুলগুলো———————-।
৪৭. পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মানো একটি গাছ হল—————-।
৪৮. চিংড়ি একটি জলজ—————–।
৪৯. সাপ—————- খায়।
৫০. গায়ের রং বদলাতে পারে এমন একটি প্রাণী হল————————-।
৫১. মাছের সারা গায়েৃ—————থাকে।
উত্তর: ৪৬.-জোড়া; ৪৭.-পাইন; ৪৮.-প্রাণী; ৪৯-ব্যাং;
৫০.-গিরগিটি; ৫১.-আঁশ।
True And False
(1)ঠিক উত্তরের পাশে ” চিহ্ন, ভুল উত্তরের পাশে ‘x’ চিহ্ন দাও:
১। পিঁপড়ে কাঠকুটো, গাছের ডাল দিয়ে বাসা বাঁধে।
২। কাঠবিড়ালি চার হাত-পা দিয়ে দৌড়াতে পারে।
৩। বিড়াল মাছ দেখে রান্নাঘর থেকে মাছ খেয়ে গেছে।
৪। বিপদ বুঝলে কোনো জীবই পালায় না।
উত্তর: ১।”। ২।”।৩।’x’ ৪1’x’।
৫। দিদিমণি ক্লাসে প্রাণীদের নানা- (কাজ/খাবার) নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
৬। বিড়াল গন্ধ-(শুকে/বুঝে) রান্না ঘর থেকে মাছ খেয়ে গেছে।
৭। পায়রা-(ঠোঁটে/পায়ে) গাছের ডাল বয়ে নিয়ে যায়।
৮। পায়রা, চড়াই বাসা-(বাঁধে/করে)।
৯। পিঁপড়ে খাবার বয়ে নিয়ে যেতে-(পারে/ অপারগ)।
উত্তর: (৫) কাজ, (৬) শুঁকে, (৭) ঠোঁটে, (৮) বাঁধে, (৯) পারে।
১০। মাছ (কুঁড়ো/প্লাস্টিক/লাঠি) খায়।
১১। (পেঙ্গুইন/পুঁটি/গুগলি) এক ধরনের মাছ।
১২। আম (ফুলের/ফলের/শেওলার) গাছ।
উত্তর: ১০। কুঁড়ো, ১১। পুঁটি, ১২। ফলের
১৩। থানকুনি, সজনে হল উদ্ভিদ।
১৪। পুঁটি, ট্যাংরা হল পাখি।
১৫। হাতি, ভালুক, মশা এরা হল প্রাণী।
উত্তর: ১৩।’✓’। ১৪। ‘×’।১৫।’✓’।
১৬। পায়রা, চড়াই, তেলাপিয়া
১৭। ব্যাঙের ছাতা, সজনে, ব্যাং।
১৮। বুই, কাতলা, হাঁস।
উত্তর: ১৬। তেলাপিয়া। ১৭। ব্যাং। ১৮। হাঁস
১৯। বাঘ-(হরিণ/ঘাস) খায়।
২০। আমরা অন্য জীবদের উপর-(নির্ভর/দয়া) করে বেঁচে থাকি।
২১। জমিতে (পোকা/ইঁদুর) মারার জন্য আমরা বিষ দিই।
উত্তর: (১৯) হরিণ, (২০) নির্ভর, (২১) পোকা।
২২। উঁচু গাছের পাতা খেতে পারে হরিণ।
২৩। ব্যাং সাপ খেয়ে বেঁচে থাকে।
২৪। মাছরাঙা জলের মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে।
২৫। জিরাফ মাছ খায়।
উত্তর: ২২। ‘x’। ২৩। ‘x’।’২৪’।’✓’।’২৫’। ‘x’
২৬। (শিমুল/পলাশ)- গাছে আগুন-রাঙা ফুল।
২৭। জিওল গাছ থেকে- (আঠা/তুলো) পাওয়া যায়
২৮। (ফণীমনসা/গরান) – গাছ কাঠের জন্য বিখ্যা ।
উত্তর: (২৬) পলাশ, (২৭) আঠা, (২৮) গরান
২৯। ফণীমনসা গাছে রোজ জল দিতে হয়।
৩০। পানা ডাঙাতে জন্মায়।
৩১। দার্জিলিং-এ পাইন গাছ জন্মায়
উত্তর: ২৯। ‘x ‘।৩০। ‘x’।৩১। ‘✓’।
৩২। গায়ে কাঁটা আছে (সাপ/সজারু/শামুক)
৩৩। হাতির (শুঁড়/শিং/ধারালো নখ) আছে।
৩৪ (বাঘের/ভালুকের/ সিংহের)-গায়ে ডোরাকাটা দাগ
উত্তর: (৩২) শজারুর, (৩৩)শুঁড় , (৩৪)বাঘেব়
৩৫। মাছের আঁশ মাছকে বাইরের- (আঘাত/শত্রু) থেকে বাঁচায়।
৩৬। (মাছ/হাঁস) – পাখনার সাহায্যে সাঁতার কাটে।
৩৭। জলে ঝিনুক থাকে কিন্তু সাঁতার- (কাটে/কাটে না)।
৩৮। ব্যাং জলে (হাঁটতে/সাঁতরাতে) পারে।
৩৯। (কাঁকড়ার/কচ্ছপের) – দাঁড়াগুলো বেশ খাঁজকাটা।
উত্তর: (৩৫) আঘাত, (৩৬) মাছ, (৩৭) কাটে না, (৩৮) সাঁতরাতে, (৩৯) কাঁকড়ার।
৪০। মাছ জোড়া পায়ের আঙুলের সাহায্যে জলে সাঁতার কাটে।
৪১। বোয়াল মাছের সারা দেহে আঁশ থাকে না।
৪২। মাগুর মাছের কাঁটা থাকে।
৪৩। শামুকের দেহ নরম খোলকে আবৃত থাকে।
উত্তর: ৪০। ‘X’ । ৪১। ‘✔’। ৪২।”। ‘✔’। ৪৩। ‘X’
৪৪। পাখিদের শরীরের ভেতর বাতাস ভরা- (ফুসফুস/থলি) আছে।
৪৫। পাখিদের আঙুলের- (নখগুলো/নখর) বেশ সুঁচালো।
৪৬। বাতাস ভরা থলিতে পাখিরা বাতাস ভরে নেয় ওড়ার (আসে/সময়)
৪৭। পাখির শব়ীব়ে থাকে (লোম/পালক)
৪৮। পাখিরা আকাশে উড়তে পারে, কারণ তাদের- (ফুলকা/শুড়/বাতাস ভরা থলি আছে)
উত্তর: (৪৪) থলি, (৪৫) নখগুলো, (৪৬) আগে, (৪৭) পালক, (৪৮) বাতাস।
৪৯। পাখির দেহে লোম থাকে।
৫০। পাখিরা একজোড়া ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
৫১। পাখির আঙুলের নখগুলি সোজা।
৫২। পাখি বায়ুথলিতে জল ভরে
উত্তর: ৪৯।’x’। ৫০। ‘✔’।৫১। ‘x’। ৫২।’✔’।
৫৩। বাঘ – (হরিণ/ফলমূল) যায়।
৫৪। আমরা জঙ্গল- (সাফ/সুন্দর) করি।
৫৫। প্রায় (পাঁচশো/সাতশো) বছর আগে মরিশাসেনানা পশুপাখি মহা আনন্দে ছিল।
৫৬। ডোডো- (হাঁসের/পায়রার) মতো এক ধরনের
৫৭। বর্তমানে পৃথিবীতে নেই। (ডোডো/মরিশাস) আর
উত্তর: (৫৩) হরিণ, (৫৪) সাফ, (৫৫) পাঁচশো, (৫৬) হাঁসের, (৫৭) ডোডো।