Class 5 Chapter 20 Solution
মাস্টারদা
Very Short Question Answer
1. আমাদের দেশের নাম কী?
উত্তর: আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ।
2. আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস কোন্ দিনটিতে পালিত হয়ে থাকে?
উত্তর: আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট দিনটিতে পালিত হয়ে থাকে।
3. আমাদের দেশ কবে স্বাধীনতা লাভ করে?
উত্তর: আমাদের দেশে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভ করে।
4. স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপ্লবীর নাম লেখো। [OEQ]
উত্তর: স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপ্লবীর নাম ক্ষুদিরাম বোস, ভগৎ সিং।
5. চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে কোন্ দেশে অবস্থিত?
উত্তর: চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত।
6. রচনায় – কলকাতা/ঢাকা/খুলনা/চট্টগ্রাম শহরের কথা আছে।
উত্তরঃ রচনায় চট্টগ্রাম শহরের কথা আছে।
7. বিপ্লবীরা রেললাইন ভেঙে ফেলেছিল-এক জায়গায়/ দু’জায়গায়/তিন জায়গায়/চার জায়গায়।
উত্তরঃ রেললাইন ভেঙে ফেলেছিল দু’জায়গায়।
8. মাস্টারদা ছিলেন – বাংলা/অঙ্ক / ইংরাজি/বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক।
উত্তর: মাস্টারদা ছিলেন অঙ্ক বিষয়ের শিক্ষক।
9. নোটিশ ঝুলছিল – অফিসে/আদালতে/ ক্লাবে/ রেস্তোরাঁয়।
উত্তরঃ নোটিশ ঝুলছিল রেস্তোরাঁয়।
10.রবীন্দ্রনাথকে সূর্য সেন বলতেন-কবিগুরু/করিরাজ/ কবিরাজ/কবি সম্রাট।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথকে সূর্য সেন বলতেন কবি সম্রাট।
11. সূর্য সেনের প্রিয় কবি ছিলেন-নজরুল/সুকান্ত/ জীবনানন্দ/রবীন্দ্রনাথ।
উত্তরঃ সূর্য সেনের প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
12. ইংরাজ-শাসন থেকে মুক্ত।
উত্তর: চট্টগ্রাম ইংরাজ-শাসন থেকে মুক্ত।
13. হাইস্কুলের শিক্ষক
উত্তর: উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক সূর্যকুমার সেন।
14. ছিলেন তাঁর আদর্শ পুরুষ।
উত্তর: বিবেকানন্দ ছিলেন তাঁর আদর্শ পুরুষ।
15. জামা মাস্টারদা পড়তেন না।
উত্তর: রঙিন জামা মাস্টারদা পড়তেন না।
16. মাস্টারদার প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: মাস্টারদার প্রকৃত নাম হল সূর্যকুমার সেন।
2. Short Question Answer
1. নীচের শব্দগুলির যা অর্থ, সেই একই অর্থ বোঝায় এমন শব্দ মাস্টারদার কাহিনিতে রয়েছে, বুঝে নিয়ে শব্দগুলো লেখো: দৈত্য, যোগ্য, নগর, যুদ্ধ, যোগ্য, অবাক, ঐশ্চর্য, কম বয়স যার, ভয়ঙ্কর কাণ্ড
উত্তরঃ দৈত্য – দানব, নগর- শহর, যুদ্ধ লড়াই, যোগ্য উপযুক্ত, অবাক – আশ্চর্য, ঐশ্বর্য- সম্পদ, কমবয়স যার – অল্পবয়সি, ভয়ঙ্কর কাণ্ড- সাংঘাতিক।
2. একটি, দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি, ছয়টি শব্দের বাক্য ‘মাস্টারদা’ রচনা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর: রাশভারী। (একটি শব্দের বাক্য)
তিনি গম্ভীর? (দুইটি শব্দের বাক্য) প্রতিরোধ গড়ে উঠবেই। (তিনটি শব্দের বাক্য) কেমন মানুষ এই মাস্টারদা? (চারটি শব্দের বাক্য) এমন অন্যায় বেশিদিন চলে না। (পাঁচটি শব্দের বাক্য) অঙ্কে ভুল হলে কড়া শাস্তি দেন? (ছয়টি শব্দের বাক্য)
3. চট্টগ্রামের ছেলেরা আগুন লাগিয়েছিল টেলিফোন টেলিগ্রাফের অফিসে। কথা বলবার সময় নীচে দাগ দেওয়া শব্দগুলোর মতো এমন অনেক বিদেশি শব্দই আমরা ব্যবহার করি। একেবারে ইংরেজি শব্দ বলে চিনতে পারছ, এমন আর কী কী শব্দ খুঁজে পাও মাস্টারদার কাহিনিতে? [OEQ]
উত্তর: ব্রিটিশ, ইউনিয়ন জ্যাক, শার্ট, হাইস্কুলের, লাইন, হাইস্কুলের রেস্তোরাঁ, অফিস, রাইফেল, মেস, জেল, ব্রিটিশ, মাস্টার।
4. খেলাধুলো’, ‘নরম-সরম’ এইরকম শব্দ রয়েছে, ‘মাস্টারদা’র গল্পে। এখানে একটা শব্দেই জড়ানো রয়েছে দুটো শব্দ, প্রথম শব্দটার মানে যেখানে আসল, আর তার সঙ্গে মিলিয়ে এসেছে দ্বিতীয় শব্দটা, সব সময় যার তেমন মানে নেই। এই ধরনের আর ক-টি শব্দ মাস্টারদার কাহিনিতে খুঁজে পাও।
উত্তর: তিনটি। রাজপাট, চুপচাপ, হাসিখুশি। কোনো কোনো সময় আবার এইরকম দুটো শব্দের মানেই। এক, যেমন-‘হাঁটা-চলা’ বা ‘রাইফেল-বন্দুক’। এরকম কয়েকটি শব্দ নিজে লেখো।
উত্তরঃ মেলামেশা, হাসিখুশি, হাসি-কান্না, চুপচাপ, রাশভারী।
5. মাস্টারদা হাসিমুখে মেলামেশা করতেন ছোটো-বড়ো সবার সঙ্গে। এইরকম জোড়া শব্দ, যার একটির মানে অন্যটির বিপরীত, কয়েকটি লেখো। [OEQ]
উত্তর: আগা-গোড়া, আপাদমস্তক, উপর-নীচ, চলা-ফেরা। রাত
দিন, সকাল-সন্ধ্যা, ঠান্ডা-গরম, ভালোমন্দ, সুখ-দুঃখ, আকাশ-পাতাল।
6. উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষককে তোমার কেমন লাগল, এইভাবে লেখো:
উত্তর: উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষককের নাম সূর্যকুমার সেন। সাদাসিধে মানুষটিকে দেখে সব সময়ে বোঝা যেত না তিনি কতখানি বড়ো নেতা। তাঁর ছাত্রেরা তাঁকে খুব সম্মান করত। তিনি ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা। তিনি চেয়েছিলেন চট্টগ্রামকে ইংরেজ কবল থেকে মুক্ত করতে। এই মানুষটিকে আমার শতকোটি প্রণাম।
7 . উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকটির প্রিয় কবি কেছিলেন, তা কেমন করে জানতে পারো এ গল্প থেকে?
উত্তর: উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকটির প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কারণ তাঁর রবীন্দ্রনাথের কবিতা ছিল মুখস্থ। তিনি জেলের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তেন, জালালাবাদ পাহাড়ে লড়াইয়ের আগেও তিনি রবীন্দ্রনাথের গল্প-কবিতা শুনেছেন। চিঠিতেও রবীন্দ্রকবিতার লাইন লিখতেন।
8. কোন্ কবিতা পড়তে তোমার খুব ভালো লাগে? তাঁর যে কবিতাটি তোমার পছন্দ সবচেয়ে, সেটির দুটি লাইন লিখতে পারো?
উত্তর: আমার রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে খুব ভালো লাগে। ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থের ৪৮নং কবিতা আমার খুব পছন্দের-“এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় দূর করে দাও তুমি, সর্ব তুচ্ছভয়,-“।
9. “আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রামের অফিসেও।” – কারা এমন করেছিল? কেন করেছিল?
উত্তর: চট্টগ্রাম শহরের কিছু কমবয়সি ছেলে মাস্টারদা সূর্যসেনের কথামতো চট্টগ্রামকে ইংরেজ-শাসনমুক্ত করতে এমন করেছিল।
10. ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে কোন্ পতাকা উড়ত? তার বদলে বিপ্লবীরা কেমন পতাকা ওড়ালেন?
উত্তর: ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে ‘ইউনিয়ন জ্যাক’ পতাকা উড়ত। তার বদলে বিপ্লবীরা উড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পতাকা।
11. ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা কেমন আচরণ করত?
উত্তর: ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা দুর্ব্যবহার করত। ভারতবাসী দিনের পর দিন খেটে গেছে আর সেই খাটুনির ফল ভোগ করেছে সাদা চামড়ার ইংরেজ। প্রতিবাদ করতে গেলেই অত্যাচার জুটেছে। আর অপরদিকে ইংরেজদের স্পর্ধা হয়েছিল আকাশছোঁয়া।
12. মাস্টারদার কথামতো ছাত্ররা কী করত?
উত্তর: মাস্টারদার কথা মতো ছাত্ররা ভোর চারটার সময় উঠে ময়দানে ব্যায়াম করত, সংস্কৃত স্তোত্র আবৃত্তি করত।
1. রবীন্দ্রনাথের প্রতি মাস্টারদার যে ভালোবাসার কথা রচনাংশে উল্লিখিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রবীন্দ্রনাথকে ‘কবিসম্রাট’ বলতেন। অনেক কবিতাই তাঁর। মুখস্থ ছিল। জালালাবাদের লড়াইয়ের সময়েও তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনেছেন। জেলের মধ্যেই কবির কবিতা পড়েছেন। চিঠিতে উদ্ধৃত করেছেন রবীন্দ্রনাথের কবিতার অনেক লাইন। সাথিদের অনুরোধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে। তিনি বলতেন রবীন্দ্রনাথ দেশের মহান সম্পদ।
2. ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল?
উত্তরঃ ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়ায়। প্রতিরোধ-প্রতিবাদ গড়ে তোলে। ইংরেজ দানবদের তাড়াতে চেয়েছিল ছেলের দল। তাই তারা শিখেছিল বন্দুক-চালানো। তারা ইংরেজদের গোলাবারুদের ভাণ্ডার দখল করেছিল। আগুন লাগিয়েছিল অস্ত্রাগারে। টেলিগ্রাম- টেলিফোনের অফিসও আগুনের কবল থেকে বাদ যায়নি। বিপ্লবীদের দল রেললাইনও ভেঙেছিল।
3. Long Question Answer
3. মহান বিপ্লবীদের ছবি সংগ্রহ করো, খাতায় লাগাও, সেখানে তাঁদের জীবনকথা জেনে নিয়ে সংক্ষেপে লিখে রাখো।
উত্তর: (১) অরবিন্দ ঘোষ (১৮৭২-১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ): সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রখ্যাত নেতা অরবিন্দ ঘোষ ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে আই. সি. এস.-এর মতো লোভনীয় চাকরি ত্যাগ করে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী কার্যকলাপের অভিযোগে অন্যন্যদের সঙ্গে অরবিন্দকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আলিপুরে মানিকতলা বোমার মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ আইনজীবীরূপে অরবিন্দর পক্ষ নেন।
(২) রাসবিহারী বসু: পাঞ্জাব ও উত্তর ভারতে বিপ্লবীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব নেন রাসবিহারী বসু। তিনি ছিলেন বনবিভাগের দেরাদুনের কর্মচারী। তাঁর পরিকল্পনায় ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে বড়োলাট হার্ডিঞ্জের উপর বসন্ত বিশ্বাস বোমা মারেন। তাঁর ‘গদর’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে ‘গদর’ দল। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় অনেক বিপ্লবী ধরা পড়লে তিনি জাপানে ‘পি. এন. ঠাকুর’ ছদ্মনামে পালিয়ে যান।
(৩) ক্ষুদিরাম বসু: ১৯০৮ এর এপ্রিল নাগাদ মজঃফরপুরের ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড হত্যার ষড়যন্ত্র হয়, তিনি স্বদেশি মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি কঠোরভাবে দিতেন। তাঁকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসুর ওপর। প্রফুল্লচাকীর সহযোগী ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। কিন্তু কিংসফোর্ডের কোনো ক্ষতি না হলেও দুই নিরীহ ইংরেজ মহিলা বোমা নিক্ষেপের জন্য মারা যায় (৩০ এপ্রিল, ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে)। বোমা মেরে পালাতে না পেরে প্রফুল্ল চাকী আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম ধরা পড়লে বিচারে ফাঁসি হয়। ক্ষুদিরামের ফাঁসি সারাদেশে তুমুল আলোড়ন জাগায়। তরুণসমাজ বিপ্লবী আদর্শে আরও অনুপ্রাণিত হয়।
4. সাংঘাতিক কাণ্ড’। কোন্ কাণ্ডটিকে, কেন সাংঘাতিক বলা হয়েছে?
উত্তর: মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের কিছু ছেলে ইংরেজদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিল। এখানে সেই কাজের কথাই বোঝানো হয়েছে।
মাস্টারদার বুদ্ধিমতো কিছু ছেলে ইংরেজদের সঙ্গে লড়ে তাদের গোলাবারুদের ভাণ্ডার দখল করে নিয়েছিল। আগুন। লাগিয়েছিল টেলিফোন আর টেলিগ্রামের অফিসে। দু’জায়গায় । ৬। রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছিল। তাদের এই কাজগুলিকেই লেখক ‘সাংঘাতিক কাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।
5. “এ ভারি আশ্চর্যের কথা।”- ভারি আশ্চর্যের কথা কোন্টি?
উত্তর: মাস্টারদা সূর্য সেন একজন সাদাসিধে মানুষ। কথাবার্তা কম বলেন। পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবি বা ধুতি শার্ট। হাঁটাচলাতে শব্দ হয় না প্রায়। এই চুপচাপ ধরনের মানুষ কী করে এত ছেলেদের ভারতমাতার মুক্তির নেশায় খেপিয়ে তুললেন, রাইফেল-বন্দুক নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়লেন-তা ভারি আশ্চর্যের কথা।
6. রবীন্দ্রনাথের প্রতি মাস্টারদার যে ভালোবাসার কথা রচনাংশে উল্লিখিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রবীন্দ্রনাথকে ‘কবিসম্রাট’ বলতেন। অনেক কবিতাই তাঁর। মুখস্থ ছিল। জালালাবাদের লড়াইয়ের সময়েও তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনেছেন। জেলের মধ্যেই কবির কবিতা পড়েছেন। চিঠিতে উদ্ধৃত করেছেন রবীন্দ্রনাথের কবিতার অনেক লাইন। সাথিদের অনুরোধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে। তিনি বলতেন রবীন্দ্রনাথ দেশের মহান সম্পদ।
7. মাস্টারদা কীভাবে ছেলের দলকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন? উত্তরঃ মাস্টারদা দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের পণ করেছিলেন। তিনি
ছেলেদের বলেছিলেন দেশ হল ‘মা’। সেই মা-কে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। তিনি ছেলেদের দেশ সম্পর্কে নানা কথা জানিয়েছিলেন। খেলাধুলা, বন্দুক চালানো শিখিয়ে ছেলেদের দেশপ্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিলেন।
8. “রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো। সম্পদ।”-সাথিদের একথা বলতেন মাস্টারদা সূর্য। সেন। কাব্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান সম্পর্কে। একটি অনুচ্ছেদ লেখো। প্রশ্নমান-৫।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথকে চিনতে হলে তাঁর কবিতা পড়া দরকার। তাঁর লেখা ‘শিশু’ কবিতার বইটি পড়লে বোঝা যায় যে। ছোটোদের মনের সঙ্গে তাঁর গভীর সংযোগ ছিল। ‘বিজ্ঞ’, ‘মাস্টারমশাই’, ‘বীরপুরুষ’-এই কবিতাগুলি পড়লেই তা বোঝা যায়। এছাড়া সুন্দর ভাষা, আবেগ-সৃজনশীল চিন্তার প্রকাশও তাঁর এই লেখার মাধ্যমে ঘটেছে। এটাও বলা যায়, রবি ঠাকুরের কবিতা পড়লে কবিতা লিখতে চেষ্টা করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।