WBBSE Class 5 Bangla Chapter 4 এতোয়া মুন্ডার কাহিনি মহাশ্বেতা দেবী Solution | Bengali Medium

Class 5 Chapter 4 Solution

এতোয়া মুন্ডার কাহিনি মহাশ্বেতা দেবী

1. Very Short Question Answer

 1. সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।

উত্তর: সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।

2. এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?

উত্তর: এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?

3. ছোটনাগপুর ছাড়লাম।

উত্তর: ছোটনাগপুর ছাড়লাম।

4. জঙ্গল নষ্ট করি নাই।

উত্তর: জঙ্গল নষ্ট করি নাই।

5. যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?

উত্তর: যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে।

6. স্রোত কী জোরালো!

উত্তর: বিস্ময়বোধক বাক্য।

7. কচি ছেলে, কিছুই জানে না।

উত্তর: নির্দেশক বাক্য।

8. সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।

উত্তর: সন্দেহদ্যোতক বাক্য।

9. নামটা বদলে গেল কেন গো?

উত্তর: প্রশ্নবোধক বাক্য।

10. কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!

উত্তর: বিস্ময়বোধক বাক্য।

2. Short Question Answer

1. লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?

উত্তর: লেখালেখি ছাড়াও মহাশ্বেতা দেবী অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের উপকারে জীবন সঁপে দিয়েছিলেন।

2. আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: মহাশ্বেতা দেবী আদিবাসীদের জীবন নিয়ে অনেকগুলি বই লিখেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘অরণ্যের অধিকার’।

3. ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: ছোটোদের জন্যও মহাশ্বেতা দেবী বেশ কিছু বই লিখেছেন। তার মধ্যে ‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ বিখ্যাত।

5. “সেও এক ভীষণ যুদ্ধ”- কোন্ যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সিধু-কানুর নেতৃত্বে ১৮৫৭-৫৮ খ্রি. সাঁওতালেরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছিল এখানে সেই যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। 

6. গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?

উত্তরঃ মোতিবাবুদের পূর্বপুরুষদের একটা মস্ত হাতিশালা ছিল। হাতিশালাটা ছিল পাথরের। তাতে ছিল তিরিশটা ঘর। সেই বিশাল হাতিশালাটা থেকে গ্রামের নাম হয়ে গেল হাতিঘর। 

7. গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?

উত্তরঃ মোতিবাবুদের পূর্বপুরুষদের একটা মস্ত হাতিশালা ছিল। হাতিশালাটা ছিল পাথরের। তাতে ছিল তিরিশটা ঘর। সেই বিশাল হাতিশালাটা থেকে গ্রামের নাম হয়ে গেল হাতিঘর। 

8.সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর,”- কোন্ জলের কথা বলা হয়েছে? তার বর্ণনা দাও।

উত্তর: এখানে সুবর্ণরেখা নদীর জলের কথা বলা হয়েছে। সুবর্ণরেখা নদীর জল গেরুয়া রঙের। মানুষের কোমর অবধি সে জল। স্রোত খুবই জোরালো। এতোয়া মোষের পিঠে চেপে সে নদী পার হয়ে যায়।

9. লোধা পুরোহিত পূজা করে”।-লোধা পুরোহিত কোথায়, কার পূজা করে?

উত্তর: লোধা পুরোহিত বোম্বে রোডের ধারে গুপ্তমণি মন্দিরে দেবী বড়াম-মার পূজা করে।

10.”কতদিন এতোয়া ওকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।”-কার কথা বলা হয়েছে? এতোয়া তাকে কোথা থেকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে?

উত্তর: এখানে লোধা বুড়ো অন্ধ ভজন ভুক্তার কথা বলা হয়েছে। ভজন ভুক্তা প্রতি সপ্তাহে হাটবারে হাটতলায় গল্প বলে, গান গায়। এতোয়া সেখান থেকে অনেকদিন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

11 ভজন ভুক্তা কী নিয়ে দুঃখ করছিল?

উত্তর: এতোয়া যে স্কুলে যায় না-এই নিয়ে ভজন ভুক্তা দুঃখ করছিল। এছাড়া গ্রামে স্কুল হওয়া সত্ত্বেও গ্রামের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়তে যায় না। পেটের জ্বালায় বাবা-মায়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠায় না। এসব নিয়েও ভজন দুঃখ করছিল।

12. পদ পরিবর্তন করো: বন, গ্রাম, আকাশ, মুখ, সাঁওতাল, লোক, মাটি, জঙ্গল, জল, ঝড়।

উত্তর : বন-বন্য। গ্রাম-গ্রাম্য। আকাশ – আকাশি। মুখ-মৌখিক। সাঁওতাল-সাঁওতালি। লোক-লৌকিক; মাটি-মেটে। জঙ্গল-জংলি। জল- জলীয়। ঝড়-ঝড়ো।

3. Long Question Answer

1. ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত?

উত্তর: ভজন ভুক্তা অন্ধ মানুষ। অনেক গল্প জানে সে। সে এতোয়াকে আদিবাসী রাজার গল্প বলেছিল। তার পাশাপাশি জানিয়েছিল। এতোয়া খুব ভালো ছেলে। কিন্তু সে স্কুলে যায় না বলে। তার দুঃখ। গরিবদের ছেলেরা বাবুদের গোরু চরাবে, বন থেকে কাঠ আনবে, স্কুলে যেতে পারে না। পেটের জ্বালায়। গরিবরা এতোয়ার মতো ছোটো ছেলেদের বাবুদের কাজে। লাগিয়ে দেয়, স্কুলে পাঠায় না। অথচ এখন গ্রামেই স্কুল।। স্কুলের সাঁওতাল মাস্টাররা ঘরে ঘরে গিয়ে সকলকে বলেন ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে। অথচ এতোয়ারা স্কুলে যেতে পারে না। অন্ধ ভজন ভুক্তা দুঃখ করে এতোয়াকে সেই কথাই বলে।

2. হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: কলকাতা থেকে হাতিঘর যেতে গেলে হাওড়া রেলস্টেশন থেকে রেলগাড়ি চেপে যেতে হবে খঙ্গাপুর। সেখানে থেকে বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে নামতে হবে। গুপ্তমণি থেকে রোহিণী যাওয়ার বাস পেলে ভালো, না পেলে সাত – আট মাইল হেঁটে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে যেতে হবে। যেতে । যেতে ছোট্ট নদী পার হতে হবে। রোহিণী গ্রাম পেরিয়ে। আরও দক্ষিণে যেতে যেতে পড়বে ডুলং নদী। সেই নদী। পার হয়ে আরও খানিকটা হেঁটে যেতে যেতে যেই আকাশ। ছোঁয়া শাল আর একটা অর্জুন গাছ দেখা যাবে তখনই বুঝে নিতে হবে পৌঁছে গেছি হাতিঘর-এতোয়াদের গ্রামে।

3. এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।

উত্তর: দশ বছরের বালক এতোয়া গ্রামের মোতিবাবুর কাছে কাজ। করে। ওর কাজ গোরু-ছাগল চরানো। সে গোরু-ছাগল। চরানোর সঙ্গে জ্বালানির জন্য কাঠকুটা, শুকনো পাতা কুড়িয়ে নেয়। হাটে গিয়ে একটা বস্তায় যা কিছু পায় পুরে নেয়। মজা পুকুরের পাড় থেকে শাক তোলে। তারপর গোরু নিয়ে ভুলং পেরিয়ে সে চরে ওঠে। ঘন সবুজ ঘাসবনে গোরু-মোষ ছেড়ে দেয়। তারপর ছুটে যায় সুবর্ণরেখার চরে। বাঁশেবোনা জালটা পাতে সেখানে। ধরা মাছ, তোলা শাক এইসব খাওয়ার কথা ভাবে। নদীর চরে, বনের মধ্যে বাগান এতোয়া নিজেকে মনে করে নদী, আকাশ, চরের রাজা। তাছাড়া মাস্টারের কাছে গল্পশোনা, অন্ধ ভজন ভুক্তাকে। হাত ধরে এগিয়ে দেওয়া এইসব তার রোজকার কাজ। শুধু সে স্কুলে যাওয়ার সময় আর সুযোগ পায় না।

4. নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত গেল। কোনো গ্রামে মাদল বাজছে। পরব এসে গেল। এখানে সব স্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এবারের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে…

উত্তরঃ অগ্রহায়ণ মাস শেষ হয় হয়। পরীক্ষার পালাও শেষ। এখন খাতা দেখা, ফল তৈরির পালা চলছে। স্কুলের ক্লাস বন্ধ। আমাদের ছুটি। এই ছুটিটাকে আমরা মজার ছুটি বলি। এই জন্য বলি, এই সময় স্কুল নেই, পড়া নেই। শুধুই খেলা, শুধুই মজা। অন্তত পনেরোটা দিন।

     মাঠের ধানকাটা প্রায় শেষ। ধান মাঠ ফাঁকা। কোনো কোনো মাঠে সরষে গাছ বেশ লম্বা হয়ে উঠেছে। হাওয়ায় দুলছে। পরিষ্কার আকাশ। উজ্জ্বল সূর্যালোক। মাঝারি শীত। আমরা ক’জন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম সুবর্ণরেখা নদীর চরে গিয়ে বনভোজন করব। সারাদিন বনে মাঠে চরায় চরে বেড়াব।

     বড়োরা আপত্তি করল না। বরং ছোটকা, মানে শ্যামুর ছোটোকাকা বলল, আমি তোদের রান্না করে দেব। তোরা ঘুরবি ফিরবি আর শুকনো কাঠ জড়ো করে আনবি।

      হারাধনের দশটা ছেলের মতো আমরা দশবন্ধু মালপত্তর নিয়ে ছোট্‌স্কার নেতৃত্বে গ্রাম থেকে ভোরবেলায় বেরিয়ে পড়লাম। বনপথ গ্রাম্যপথ পেরিয়ে নদীর চরে পৌঁছোলাম প্রায় দেড়ঘণ্টা পর। টানা চার মাইল হাঁটা হল। একটু দেরি হল-হাঁটতে হাঁটতে গান হল, কথা হল, আর হল হরেক রকমের পাখির গান শোনা।

     জলখাবার খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম নদীর চরায় ঘোরার জন্য। তার আগে শুকনো ডালপালা কুড়িয়ে ছোট্টাকে দিয়ে আসা হয়েছে। রান্নাটাতো করতে হবে।

      চরার নীচে জল, কোথাও হাঁটু জল, কোথাও বুকজল। পাথরও জেগে আছে অনেক জায়গায়। নদীর ওপরে ঘন বন। বড়ো বড়ো গাছ। শাল, সাবু, অর্জুন যেমন আছে, পলাশ, মহুয়াও কম নেই। আর কত যে পাখি আর তাদের কলকাকলি শুধু মানুষজন নেই বললেই হয়।

    হঠাৎ বল্লা জলে ঝাঁপ দিল। এই ঠান্ডায়! ওর শীত করে না। বুক জলে সাঁতার দেয়। একজন জাল ফেলে মাছ ধরছিল। বল্লা তার কাছ থেকে চাঁদা পুঁটি খয়রা এসব অনেক মাছ নিয়ে পারে উঠে এল। 

    দুপুরে পেট ভর্তি খাওয়া হল। ছোটকা না থাকলে এ সব হত না। ছায়াটা ক্রমশ লম্বা হয়ে যাচ্ছিল। ছোেট্টা বলল, Iশীতের বেলা বড্ড ছোটো। এখনই হাঁটা না দিলে পথে অন্ধকার নেমে আসবে। সারা পথটা গান গাইতে গাইতে চলা হল। গ্রামের মধ্যে ঢুকেও গান থামতে চায় না। এমন দিন কেন রোজ হয় না!

4. Fill In the blanks

আর হাতিশালাটা ছিল———————-।

উত্তরঃ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের

২.২ এতোয়ার দাদু বলে একসময় এটা ছিল———————- গ্রাম।

উত্তর: এতোয়ার দাদু বলে একসময় এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।

২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার———————- নাতিটার দিকে তাকায়।

উত্তরঃ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।

২.৪ তবে জঙ্গল তো———————– । 

উত্তরঃ তবে জঙ্গল তো মা

২.৫ ———————— স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।

উত্তর: প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।