Class 8 Chapter 2 Solution
আঞ্চলিক শক্তির উত্থান
1. MCQs Question Answer
1. ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুর্শিদকুলি খান ছিলেন বাংলার-
(a) দেওয়ান (b) ফৌজদার
(c) নবাব (d) জমিদার
উত্তর: (a) দেওয়ান।
2. ঔরঙ্গজেব-এর পর ভারতের সিংহাসনে বসেন-
(a) ফারুখশিয়ার
(b) বাহাদুর শাহ
(c) জাহান্দার শাহ
(d) আজম শাহ
উত্তর: (b) বাহাদুর শাহ।
3. মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট হলেন-
(a) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (b) মহম্মদ শাহ
(c) জাহান্দার শাহ (d) ফারুখশিয়ার
উত্তর: (a) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।
4. বাংলায় বর্গি আক্রমণ শুরু হয়-
(a) মুর্শিদকুলি খানের সময় (b) আলিবর্দি খানের সময়
(c) সিরাজের সময় (d) মিরজাফরের সময়
উত্তর: (b) আলিবর্দি খানের সময়।
5. কলকাতার নাম আলিনগর রাখেন- (আড়িয়াপাড়া হাই স্কুল)
(a) মুর্শিদকুলি খান (b) আলিবর্দি খান
(c) সিরাজ-উদ্-দৌলা (d) মিরজাফর
উত্তর: (c) সিরাজ উদ-দৌলা।
6. জগৎ শেঠ উপাধি পেয়েছিলেন- (হুগলি কলেজিয়েট স্কুল)
(a) খোজা ওয়াজেদ (b) ফতেহ চাঁদ
(c) উমি চাঁদ (d) হীরা চাঁদ
উত্তর: (b) ফতেহ চাঁদ।
7. আসফ ঝা উপাধি পেয়েছিলেন-(মিত্র ইনস্টিটিউশন মেন)
(a) সাদাত খান (b) নিজাম-উল-মূলক।
(c) আলিবর্দি খান (d) মিরজাফর
উত্তর: (b) নিজাম-উল-মূলক
8. অন্ধকূপ হত্যার প্রচারক ছিলেন- (পর্যদ নমুনা প্রশ্ন)
(a) রজার ড্রেক (b) অক্ষর কুমার মৈত্রেয়
(c) হলওয়েল (d) রবার্ট ক্লাইভ
উত্তর: (c) হলওয়েল।
9. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি চালু করেন- (কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুল)
(a) লর্ড কর্ণওয়ালিশ (b) লর্ড হেস্টিংস
(c) লর্ড ওয়েলেসলি (d) লর্ড ডালহৌসি
উত্তর: (c) লর্ড ওয়েলেসলি।
10. স্বত্ববিলোপ নীতি চালু করেন- (আড়িয়াপাড়া হাইস্কুল)
(a) লর্ড ওয়েলেসলি (b) লর্ড ডালহৌসি
(c) লর্ড কর্ণওয়ালিস (d) ওয়ারেন হেস্টিংস
উত্তর: (b) লর্ড ডালহৌসি।
2. Very Short Question Answer
1. কবে থেকে মুঘল শাসনে ছোটো বড়ো সমস্যা দেখা দিয়েছিল?
উত্তর: সম্রাট জাহাঙ্গির ও শাহজাহানের সময় থেকেই মুঘল শাসনে ছোটো বড়ো সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
2. কোন মুঘল সম্রাট মুরশিদকুলি খানকে ‘বাংলার দেওয়ান’ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন?
উত্তর: মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মুরশিদকুলি খানকে ‘বাংলার দেওয়ান’ হিসেবে পাঠিয়ে ছিলেন।
3. ঔরঙ্গজেব কত খ্রিস্টাব্দে মারা যান?
উত্তর: 1707 খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব মারা যান।
4.কত খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন?
উত্তর: 1739 খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন।
5. বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন? (আড়িয়াপাড়া হাই স্কুল)
উত্তর: মুর্শিদকুলি খান বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন।
6. ফারুখশিয়ারের ফর্মান কবে জারি হয়? (রায়গঞ্জ করনেশন হাই স্কুল)
উত্তর: 1717 খ্রিস্টাব্দে ফারুখশিয়ারের ফর্মান জারি হয়।
7. কী উদ্দেশ্যে মারাঠা খাল খনন করা হয়? (বালিগঞ্জ গভঃ হাইস্কুল)
উত্তর: বর্গি তথা মারাঠাদের আক্রমণের হাত থেকে কলকাতাকে রক্ষা করার জন্য মারাঠা খাল খনন করা হয়।
8. মুর্শিদকুলি খানের পর কে বাংলার নবাব হন?
উত্তর: মুর্শিদকুলি খানের পর সুজা-উদ্-দিন বাংলার নবাব হন।
9. কাদের মধ্যে গিরিয়ার যুদ্ধ হয়?
উত্তর: সরফরাজ খান ও আলিবর্দি খানের মধ্যে গিরিয়ার যুদ্ধ হয়।
10. কে স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: চিন-কুলিচ খান স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
11. জগৎশেঠদের মূল ব্যাবসাটি কী ছিল? (বারুইপুর হাইস্কুল)
উত্তর: জগৎশেঠদের মূল ব্যাবসাটি ছিল ‘মুদ্রাতৈরি ও মহাজনি ব্যাবসা।
12. অযোধ্যার নবাবি আমলের সূচনা কে করেন?
উত্তর: অযোধ্যার নবাবি আমলের সূচনা করেন সাদাত খান।
13. আলিবর্দি খানের পর কে বাংলার নবাব হন?
উত্তর: আলিবর্দি খানের পর সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব হন।
14. আলিবর্দি খান কার সেনাপতি ছিলেন?
উত্তর: আলিবর্দিখান নবাব মুরশিদকুলি খানের সেনাপতি ছিলেন।
15. সিরাজ-উদ-দৌলা কবে কলকাতা দখল করেন?
উত্তর: 1756 খ্রিস্টাব্দে 20শে জুন সিরাজ-উদ-দৌল্লা কলকাতা দখল করেন।
16. আলিনগরের সন্ধি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: 1757 খ্রিস্টাব্দের ৭ই ফেব্রুয়ারি ইংরেজ ও সিরাজ-উদ্- দৌলার মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
17. কোন্ সন্ধির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্যিক অধিকার ফিরে পায়? (যাদবপুর বিদ্যাপীঠ)
উত্তর: আলিনগরের সন্ধির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্যিক অধিকার ফিরে পায়।
18. পলাশির যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর: সিরাজ-উদ্-দৌলা এবং ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল।
19. সিরাজ-উদ্-দৌলা কার হাতে নিহত হন?
উত্তর: সিরাজ-উদ্-দৌলা মীরনের নির্দেশে মহম্মদী বেগ কর্তৃক নিহত হন।
20. কাদের মধ্যে বিদেরার যুদ্ধ হয়?
উত্তর: ইংরেজ ও ওলন্দাজদের মধ্যে বিদেরার যুদ্ধ হয়েছিল।
21. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে চালু করেন? (রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ)
উত্তর: রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চালু করেন।
22. কত খ্রিস্টাব্দে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে? (টাকি গভঃ স্কুল ফর বয়েজ)
উত্তর: 1772 খ্রিস্টাব্দে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে।
23. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কবে হয়?
উত্তর: 1176 বঙ্গাব্দ অর্থাৎ 1770 খ্রিস্টাব্দে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়।
24. ‘পেশোয়া’ শব্দের অর্থ কী? (আড়িয়াপাড়া হাইস্কুল)
উত্তর: ‘পেশোয়া’ শব্দের অর্থ প্রধানমন্ত্রী।
25. সলবাঈয়ের সন্ধি কবে হয়েছিল? (টাকি গভঃ স্কুল)
উত্তর: 1782 খ্রিস্টাব্দে সলবাঈয়ের সন্ধি হয়েছিল।
26. কোন্ পেশোয়া অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন?
উত্তর: দ্বিতীয় বাজীরাও অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন।
27. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে চালু করেন?
উত্তর: লর্ড ওয়েলেসলি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি চালু করেছিলেন।
28. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রথম গ্রহণ করেন? (হিন্দু স্কুল)
উত্তর: হায়দ্রাবাদের নিজাম প্রথম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন।
29. স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন? (হিন্দুস্কুল)
উত্তর: লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন।
30. আলিনগর নামটি কার দেওয়া? (দিনহাটা হাইস্কুল)
উত্তর: নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা আলিনগর নামটি দিয়েছিলেন।
31. ‘জগৎ শেঠ’ উপাধি কে লাভ করেন? (বারুইপুর হাইস্কুল)
উত্তর: ব্যবসায়ী ফতেহ চাঁদ ‘জগৎ শেঠ’ উপাধি লাভ করেন।
32. এলাহাবাদের প্রথম সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর: ইংরেজ কোম্পানি ও অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ্-দৌলার মধ্যে এলাহাবাদের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
33. এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর: সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ও ইংরেজদের মধ্যে এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
34. বক্সারের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর: বাংলার নবাব মিরকাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ্-দৌলা, মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজদের বক্সারের যুদ্ধ হয়েছিল।
35. মিরকাশিম বাংলার রাজধানীকে কোথায় স্থানান্তরিত করেন? (কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুল)
উত্তর: মিরকাশিম বাংলার রাজধানীকে মুঙ্গেরে স্থানান্তরিত করেন।
36. জোসেফ ডুপ্লে কে? (জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয়সিং বিদ্যামন্দির)
উত্তর: জোসেফ ডুপ্লে ছিলেন পন্ডিচেরির ফরাসি গভর্নর জেনারেল।
37. বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন? (কৃয়নগর কলেজিয়েট স্কুল)
উত্তর: রবার্ট ক্লাইভ ছিলেন বাংলার প্রথম গভর্নর।
38. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে চালু করেন?
উত্তর: রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চালু করেন।
39. রেসিডেন্ট কাদের বলা হত?
উত্তর: যে সমস্ত ব্রিটিশ প্রতিনিধি বিভিন্ন দেশীয় রাজার দরবারে থাকতেন, তাদের রেসিডেন্ট বলে।
40. স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: হায়দার আলি ছিলেন স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
41. কার আমলে মহীশূরের পতন ঘটে?
উত্তর: টিপু সুলতানের আমলে 1799 খ্রিস্টাব্দে মহীশূরের পতন ঘটে।
42. মারাঠাদের শেষ পেশোয়া কে ছিলেন?
উত্তর: মারাঠাদের শেষ পেশোয়া ছিলেন দ্বিতীয় বাজিরাও।
43. কে স্বাধীনতার বৃক্ষ রোপণ করেছিলেন?
উত্তর: টিপু সুলতান স্বাধীনতার বৃক্ষ রোপণ করেছিলেন।
3. Short Question Answer
1. বর্গি আক্রমণ কাকে বলে? (বারুইপুর হাইস্কুল)
উত্তর: আলিবর্দি খানের আমলে বাংলাদেশে মারাঠাদের আক্রমণ ঘটেছিল। বাঙালিদের কাছে এরাই বর্গি নামে পরিচিত।
2. মুঘল সাম্রাজ্য পতনের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর: মুঘল সাম্রাজ্য পতনের দুটি কারণ হল-(ক) ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালে উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব এবং (খ) বিভিন্ন আঞ্চলিক শাসকদের স্বাধীনতা ঘোষণা।
3. দস্তক কাকে বলে? (জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল)
উত্তর: 1/17 খ্রিস্টাব্দে ফাররুখশিয়র ইংরেজদের বাৎসরিক তিন হাজার টাকা শুল্কের বিনিময়ে বাংলায় বিনা শুল্কে বাণিজ্যের অধিকার প্রদান করেন। এই অধিকার সম্বলিত আদেশনামা দস্তক নামে পরিচিত।
4. কারা, কবে, কার কাছ থেকে দস্তক ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল?
উত্তর: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দস্তক ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল। মুঘল সম্রাট ফারুখশিয়রের কাছ থেকে 1717 খ্রিস্টাব্দে তারা এই আদেশ বা দস্তক ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল।
5. কবে কেন নাদিরশাহ ভারত আক্রমণ করেন?
উত্তর: পারস্যের দূতকে আটক রাখা, মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্বলতার খবর লাভ এবং ধনরত্ন লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে 1739 খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন।
6. ‘সুবা’ কথাটির অর্থ কী? (উচ্চ বালিকা বিদ্যাপীঠ, বড়িশা)
উত্তর: ‘সুবা’ কথাটির অর্থ হল প্রদেশ। মুঘল আমলে সমগ্র ভারত কয়েকটি ‘সুবা’ বা প্রদেশে বিভক্ত ছিল। আকবরের সময় 13টি সুবা ছিল। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম নিয়ে বাংলা সুবা গঠিত হয়েছিল।
7. রজার ড্রেক কে ছিলেন? (বারাসাত গভঃ হাইস্কুল)
উত্তর: রজার ড্রেক ছিলেন ইংরেজদের কলকাতা কুঠির গভর্নর। নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার কলকাতা আক্রমণ কালে তিনি সদলবলে পালিয়ে ফলতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
8. সিরাজ-উদ-দৌলা কবে কীভাবে বাংলার নবাব হন?
উত্তর: সিরাজ-উদ-দৌলা 1756 খ্রিস্টাব্দে বাংলার নবাব হন।
আলিবর্দি খানের কনিষ্ঠা কন্যা আমিনা বেগমের পুত্র উত্তরাধিকার বলে এবং আলিবর্দি খানের মনোনীত হিসেবে নবাবের মৃত্যুর পর বাংলার নবাব হন।
9. অন্ধকূপ হত্যা বলতে কী বোঝো? (আড়িয়া পাড়া হাইস্কুল)
উত্তর: 1756 খ্রিস্টাব্দের ২০শে জুন কলকাতা আক্রমণ ও দখল করেন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। তাঁর হাতে বন্দি হলওয়েল লেখেন যে, নবাব 146 জন ইংরেজকে বন্দি করে আলো বাতাসহীন একটা ছোট্ট ঘরে আটকে রেখেছিলেন। ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে 123 জন মারা যান।
হলওয়েল বর্ণিত এই ঘটনা অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।
10.’দস্তক’ কী?
উত্তর: ‘দস্তক’ হল বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার ছাড়পত্র, মুঘলসম্রাট ফারুকশিয়র ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে একটি ফরমান জারির মাধ্যমে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ‘দস্তক’ বা এই ছাড়পত্র দেন, যা দেখিয়ে ইংরেজ কোম্পানি বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য চালাতে থাকে।
11. কবে, কাদের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর: 1757 খ্রিস্টাব্দের 23শে জুন পলাশির যুদ্ধ হয়। বাংলার নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা এবং ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের মধ্যে এই যুদ্ধ হয়েছিল।
12. পলাশির যুদ্ধের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর: পলাশির যুদ্ধের দুটি কারণ হল-(i) নতুন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলাকে আনুগত্যের নির্দেশ স্বরূপ নজরানা ইংরেজরা প্রথমে পাঠায়নি। (ii) নবাবের নির্দেশ সত্ত্বেও ঢাকার দেওয়ান রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাসকে ইংরেজরা আশ্রয় দিয়েছিলেন।
13. পলাশির যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল? (বড়িশা হাইস্কুল)
উত্তর: পলাশির যুদ্ধের ফলে- (i) ইংরেজরা বাংলার প্রভূত সম্পদ লাভ করে। এই অর্থ দাক্ষিণাত্য যুদ্ধে ব্যয় করা সম্ভব হয়। (ii) যুদ্ধের পর বাংলার প্রকৃত রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠে ইংরেজ কোম্পানি। নবাব ছিল তার হাতের পুতুল।
14. মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের দুটি কারণ লেখো। (বড়িশা উচ্চবালিকা বিদ্যাপীঠ)
উত্তর: মিরকাশিমের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও ইংরেজ কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যে দস্তক ব্যবহার করতে থাকে। (ii) নবাব দেশীয় বণিকদের বিনাশুল্কে ব্যবসা করার অধিকার দিলে ইংরেজরা ক্রুদ্ধ হয়।
15. পলাশির লুণ্ঠন কাকে বলে? (সাঁইথিয়া হাইস্কুল)
উত্তর: পলাশির যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নানা অজুহাতে মিরজাফরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। যা পলাশির লুণ্ঠন নামে পরিচিত।
16. দেওয়ানি লাভ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: 1765 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বার্ষিক 26 লক্ষ টাকা খাজনা প্রদানের শর্তে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের অধিকার ইংরেজদের দান করেন।
নবাবের এই ঘোষণার ফলে বাংলা সুবার দেওয়ানি ইংরেজরা লাভ করেছিল।
17. বন্দিবাসের যুদ্ধের তাৎপর্য কী ছিল? (বাওয়ালী হাইস্কুল)
উত্তর: 1763 খ্রিস্টাব্দে কর্ণাটকের বন্দিবাসে ইংরেজ ও ফরাসি সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।
এই যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজরা ভারতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির থেকে বহুগুণ এগিয়ে যায়। ফরাসি সহ অন্যান্য কোম্পানিগুলির কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা আর ছিল না।
18. কে, কীভাবে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন? (হোলিচাইল্ড ইনস্টিটিউট)
উত্তর: পাঠ্যপুস্তকের অনুশীলনীর প্রদত্ত প্রশ্নোত্তরের ১-এর ‘খ’ প্রশ্নটি দেখো।
19. 1707 ও 1757 সালের গুরুত্ব কী ছিল? (জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল)
উত্তর: 1707 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মারা যাওয়ার পর থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা হয়।
1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ-দৌলার পরাজয়ের পর বাংলা তথা ভারতে ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তারের সূচনা হয়।
20. পেশোয়াতন্ত্র বলতে কী বোঝো? (আড়িয়াপাড়া হাইস্কুল)
উত্তর: প্রথম পেশোয়া বালাজি বিশ্বনাথ মারাঠা রাজ শাহুর কাছ থেকে এই মর্মে আদেশনামা লাভ করে যে বালাজি বিশ্বনাথের বংশ থেকেই মারাঠা রাজ্যের পেশোয়া বা প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবে।
কার্যক্ষেত্রে পেশোয়া হয়ে ওঠে মারাঠা সাম্রাজ্যের রক্ষা ও বিস্তার কর্তা। একেই পেশোয়াতন্ত্র বলা হয়।
21. 1818 খ্রিস্টাব্দকে ভারত ইতিহাসের জল বিভাজিকা বলা হয় কেন? (আড়িয়াপাড়া হাইস্কুল)
উত্তর: 1818 খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠাদের পরাজয়ের ফলে ইংরেজদের বাধা দেওয়ার মতো কোনো শক্তি আর ভারতে ছিল না। এইসময় থেকে প্রকৃত অর্থেই ভারতে ইংরেজ শাসনের সূচনা হয়েছিল। এইজন্য 1818 খ্রিস্টাব্দকে ভারত ইতিহাসের জলবিভাজিকা বলা হয়।
4. Long Question Answer
1. ফারুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কি ছিল?
উত্তর: ফারুখশিয়রের ফরমান: 1717 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফারুরখশিয়র বাৎসরিক মাত্র 3,000 টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের অধিকার ইংরেজদের প্রদান করেন।
গুরুত্ব: এর ফলে-(i) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই প্রথম ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার রাজস্ব আদায়ের আইনগত অধিকার লাভ করে। (ii) এখন থেকে কোম্পানি এদেশের অর্থেই পণ্যসম্ভার কিনে নিজেদের দেশে পাঠাতো। ফলে সম্পদের নির্গমন’ প্রক্রিয়া শুরু হয়। (iii) ইংরেজদের ‘কূটনৈতিক মর্যাদা’ বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। (iv) বাংলার রাজস্ব শুল্ক থেকে নবাবের আয় কমে যায়।
মূল্যায়ন: এইজন্য অনেকেই এই ফরমানকে ‘ব্রিটিশ বাণিজ্যের মহাসম্পদ’ বলেছেন।
2. কে, কীভাবে ও কবে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর: মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকি, যিনি চিন কুলিচ খান নামে পরিচিত। তিনি হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
মুঘল সম্রাট ফারুখশিয়র চিন কুলিচ খানকে হায়দ্রাবাদের সুবাদার রূপে নিযুক্ত করেন। হায়দ্রাবাদ পৌঁছে তিনি নিজাম উপাধি ধারণ করে নামমাত্র আনুগত্য প্রদানের বিনিময়ে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। 1724 খ্রিস্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
3. পলাশির লুণ্ঠন কাকে বলে? (পুরুলিয়া গভ: গার্লস এইচ. এস. স্কুল)
উত্তর: পলাশির লুণ্ঠন: 1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার নবাব হন মিরজাফর। নতুন নবাব ইংরেজ কোম্পানিকে-(i) বাংলায় বিনা শুল্কে ব্যাবসা করার অধিকার দেন। (ii) 24 পরগনা জেলার জমিদারি লাভ করে ইংরেজরা। (iii) সিরাজের কলকাতা আক্রমণের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কোম্পানি
1 কোটি 77 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ লাভ করে। (iv) কোম্পানির বড়ো, মাঝারি ও ছোটো কর্মচারীরা প্রত্যেকেই কমবেশি পারিতোষিক লাভ করে। (v) সব মিলিয়ে প্রায় ও কোটি টাকার সম্পদ নবাবের কাছ থেকে ইংরেজরা লাভ করে।
এইভাবে নানা অজুহাতে ইংরেজরা নবাবের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে রাজকোষ শূন্য করে দেয়।
মূল্যায়ন: একেই পলাশির লুণ্ঠন বলা হয়।
4. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা: 1765 খ্রিস্টাব্দে বাৎসরিক 26 লক্ষ টাকা কর প্রদানের বিনিময়ে ইংরেজরা মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের অধিকার সম্বলিত দেওয়ানি লাভ করে।
দেওয়ানি লাভের পর কোম্পানি বাংলার নবাব নজম-উদ্-দৌলাকে বাৎসরিক 53 লক্ষ টাকা প্রদানের শর্তে রাজস্ব আদায়ের অধিকার নবাবের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। কিন্তু প্রশাসনিক দায়িত্ব ন নবাবের উপর অর্পিত হয়।
এর ফলে ইংরেজরা লাভ করল দায়িত্বহীন ক্ষমতা এবং নবাবের উপর অর্পিত হয় ক্ষমতাহীন দায়িত্ব।
মূল্যায়ন: একেই দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। নানা কারণে এই ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল।
5. ব্রিটিশ রেসিডেন্টদের কাজ কী ছিল?
উত্তর: ব্রিটিশ রেসিডেন্টদের কাজ: 1764 খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর ইংরেজ কোম্পানি বাংলা, অযোধ্যা ও হায়দ্রাবাদের দরবারে প্রতিনিধি পাঠায়। তবে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তনের পর থেকে রেসিডেন্টদের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
রেসিডেন্টদের কাজগুলি হল- (i) বিভিন্ন রাজ্যের শাসকদের কাজের উপর নজরদারি চালানো। (ii) রাজদরবারে শাসন কার্য চালানোর ক্ষেত্রে আঞ্চলিক শাসকদের পরামর্শ দেওয়া। (iii) কোম্পানিকে আগ্রাসী নীতি গ্রহণে পরামর্শ দেওয়া।
মূল্যায়ন : লর্ড কর্নওয়ালিসের আমলে রেসিডেন্টদের কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়ে পড়লেও লর্ড ডালহৌসির আমলে তাদের পরামর্শেই বহু দেশীয় রাজ্য কোম্পানি দখল করে নেয়।
6. অষ্টাদশ শতকে ভারতে প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের পিছনে মুঘল সম্রাটদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতাই কেবল দায়ী ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: ভূমিকা : অষ্টাদশ শতকে ভারতে আঞ্চলিক শাসকদের উত্থানের পিছনে শাসকদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতা এক মাত্র কারণ না হলেও প্রধানতম কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
কারণ : আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের পিছনে কারণগুলি হল-
(ক) মুঘল সম্রাটদের অযোগ্যতা : 1707 খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ঔরঙ্গজেব-এর মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যেমন-
(ⅰ) কেন্দ্রীয় শাসনের অবনতি : মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সময়েই কেন্দ্রীয় শাসন দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর এই দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থান সহজতর হয়।
(ii) উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব: ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্রগণ সিংহাসন দখল নিয়ে পারস্পরিক দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হয়। নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য তারা অভিজাতদের সাহায্য নেওয়া শুরু করলে আঞ্চলিক শাসকদের প্রভাব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
(iii) রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থতাঃ সিংহাসনের দখল বজায় রাখার কাজে সম্রাটরা এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে রাজস্ব আদায়ের প্রতি সেইরূপ নজর দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে অর্থের জন্য শাসকরা আঞ্চলিক শক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে আঞ্চলিক শক্তির উৎপত্তির পথ সহজসাধ্য হয়।
(iv) জায়গিরদারি ও মনসবদারি সংকট: মুঘলদের শাসন কাঠামোকে বিপর্যস্ত করে জায়গিরদারি ও মনসবদারি সংকট। যার প্রভাব পড়ে অর্থনীতির ওপর।
(খ) আঞ্চলিক শাসকদের স্বাধীনতা স্পৃহা: বাংলা, অযোধ্যা, হায়দ্রাবাদ প্রভৃতি অঞ্চলের শাসকদের স্বাধীনতা স্পৃহা আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের পিছনে যথেষ্ট দায়ী ছিল। মুঘল রাজদরবারের দলাদলি দেখে বীতশ্রদ্ধ চিন কুলিচ খান হায়দ্রাবাদে এবং সাদাৎ খান অযোধ্যায় স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে বাংলা অনেক আগে থেকেই স্বাধীন ছিল।
মূল্যায়ন: মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পিছনে শাসকদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতা অথবা আঞ্চলিক শাসকদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছাড়াও দায়ী ছিল বৈদেশিক আক্রমণ, সামরিক বাহিনীর দুর্বলতা এবং অভিজাতদের দলাদলি। সুতরাং কোনো একটি কারণে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হয়নি। সামগ্রিক কারণ এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়েছিল।
7. পলাশির যুদ্ধ ও বক্সারের যুদ্ধের মধ্যে কোন্ট ব্রিটিশ কোম্পানির ভারতে ক্ষমতা বিস্তারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: ভূমিকা: পলাশির যুদ্ধ অপেক্ষা বক্সারের যুদ্ধে ভারতে ইংরেজ কোম্পানির ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে আমি মনে করি।
স্বপক্ষে যুক্তি: বক্সারের যুদ্ধকে ব্রিটিশ কোম্পানির পক্ষে আর্থিক লাভদায়ক বলার যুক্তিগুলি হল-
(i) পলাশির যুদ্ধ ছিল নিছক কয়েকটি কামানের গোলার লড়াই। মিরজাফরের নেতৃত্বে নবাবের মূল বাহিনী যুদ্ধে অংশ নেয়নি বলে ইংরেজ শক্তির সামরিক ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজরা লড়াই করেছিল বাংলা, অযোধ্যা ও মুঘল সম্রাটের মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে জয় লাভ করে তারা নিজেদের সামরিক শক্তির পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছিল।
(ii) পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার রাজনীতিতে ইংরেজদের পরোক্ষ অনুপ্রবেশ ঘটেছিল।
কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের ফলে শুধু বাংলা নয়, অযোধ্যা এবং দিল্লিতেও ইংরেজদের রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটে।
(iii) পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের পর কোম্পানি নানাবিধ সুযোগসুবিধা ও 1 কোটি 70 লক্ষ টাকা লাভ করেছিল।
কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর ইংরেজরা দেওয়ানি লাভের পর বাংলা সুবার সকল আর্থিক অধিকার নিজেদের কুক্ষিগত করে। যার ভিত্তিতে সারা ভারতে প্রাধান্য বিস্তারে অগ্রসর হয়।
মূল্যায়ন: বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের সাফল্য এবং অপরিমিত অর্থের বলে দাক্ষিণাত্যে ইঙ্গ-ফরাসি ও ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে তাদের সাফল্য লাভ ঘটে। এইজন্য পলাশি অপেক্ষা বক্সার ইংরেজদের কাছে অধিক লাভদায়ক হয়েছিল।
8. মিরকাশিমের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধের ক্ষেত্রে কোম্পানির বণিকদের ব্যক্তিগত ব্যাবসার কী ভূমিকা ছিল? বাংলার দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার প্রভাব কী হয়েছিল?
উত্তর: ভূমিকা: গোপন ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে মিরজাফরকে সিংহাসনচ্যুত করে মিরকাশিম ইংরেজদের সাহায্যে নবাবি পদে আসীন হন। তবে অচিরেই উভয়ের মধ্যে বিরোধের সূচনা হয়। এর পিছনে ইংরেজ বণিকদের ভূমিকা নেহাৎ কম ছিল না। যেমন-
দস্তকের অপব্যবহার: মুঘল সম্রাট ফাররুখাশয়র প্রদত্ত দস্তক বা ছাড়পত্র অনুযায়ী কেবলমাত্র ইংরেজ কোম্পানি বাংলায় বিনা শুল্কে বাণিজ্য করতে পারতো। কিন্তু কোম্পানির কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দস্তকের ব্যবহার শুরু করলে নবাব ক্ষুব্ধ হন।
চুক্তি অস্বীকার: তৎকালীন গভর্নর ভ্যান্সিটার্ট নবাবের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তিতে বলা হয় কোম্পানির কর্মচারীদের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা হবে। কিন্তু ইংরেজ কাউন্সিলের সদস্যরা এই চুক্তির বিরোধিতা করে।
দেশীয় বণিকদের শুল্ক মুক্তি: ইংরেজ কর্মচারীদের অবৈধ বাণিজ্যের কারণে দেশীয় বণিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এইজন্য মিরকাশিম বণিকদের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলে ইংরেজদের সঙ্গে তাঁর বিরোধিতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
যুদ্ধের সূচনা: নবাবের সিদ্ধান্তে ক্রুদ্ধ হয়ে পাটনার ইংরেজ গভর্নর এলিস পাটনা আক্রমণ ও দখল করে নেয়। নবাবের বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে তিনি পরাজিত ও নিহত হলে যুদ্ধের সূচনা হয়।
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার প্রভাব: বাংলায় দ্বৈত শাসনব্যবস্থা কায়েম করার পর ব্রিটিশ কোম্পানির একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে যত বেশি সম্ভব রাজস্ব আদায় করা। এর ফলে বাংলায় দুর্ভিক্ষ রূপে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেখা দেয়।
9. ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি থেকে স্বত্ববিলোপ নীতিতে বিবর্তনকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?
উত্তর: ভূমিকা: ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তারে যে দুটি নীতি সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন গ্রহণ করেছিল সেগুলি হল অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ও স্বত্ববিলোপ নীতি। দ্বিতীয়টি ছিল প্রথমটির পরিপূরক।
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি: 1798 খ্রিস্টাব্দে এদেশের গভর্নর জেনারেল হিসাবে এসে লর্ড ওয়েলেসলি লক্ষ করেন যে, দেশীয় শক্তিগুলি পরস্পর বিবাদমান এবং তারা প্রত্যেকেই ইংরেজদের সাহায্য লাভে উৎসাহী। এসব লক্ষ করেই তিনি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন।
শর্তাবলি: যেসব দেশীয় রাজ্য অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করতো তাদের কিছু শর্ত পালন করতে হতো। এগুলি হল-
(i) মিত্রতায় ইচ্ছুক রাজ্যের একটি অংশ ইংরেজ কোম্পানিকে প্রদান করতে হবে।
(ii) মিত্রতায় আবদ্ধ দেশীয় রাজ্যে একদল ব্রিটিশ সেনা থাকবে।
(iii) মিত্রতায় আবদ্ধ দেশীয় রাজ্যে একজন ব্রিটিশ প্রতিনিধি থাকবে।
(iv) মিত্রতায় আবদ্ধ দেশীয় রাজ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী থাকবে।
(v) মিত্রতায় আবদ্ধ দেশীয় রাজ্য ইংরেজদের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে বন্ধুত্বস্থাপন, যুদ্ধ ঘোষণা এমনকি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। বিনিময়ে-
(vi) ইংরেজরা ওই রাজ্যকে অন্যরাজ্যের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
প্রতিক্রিয়া: অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি ঘোষিত হওয়ার পর দেশীয় রাজ্যগুলি একে একে মিত্রতায় আবদ্ধ হয়। ফলে ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল ইংরেজদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শাসনাধীনে চলে আসে।
স্বত্ববিলোপ নীতি: 1848 খ্রিস্টাব্দে এদেশের গভর্নর জেনারেল হিসাবে এসে লর্ড ডালহৌসি লক্ষ করেন যে অধীনতামূলক মিত্রতায় আবদ্ধ রাজ্যগুলির কোনো প্রতিরোধ নি শক্তি অবশিষ্ট নেই। তিনি এই রাজ্যগুলিকে ‘শাসক হিসাবে অযোগ্য, শত্রু হিসাবে ক্লীব এবং বন্ধু হিসেবে বোঝাস্বরূপ’ মনে করতেন। তাই দেশীয় রাজ্যগুলি দখলের জন্য তিনি স্বত্ববিলোপ নীতি চালু করেন।
শর্তাবলি: স্বত্ববিলোপ নীতি অনুযায়ী তিনি দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে যেগুলি ব্রিটিশ দ্বারা সৃষ্ট এবং যে রাজ্যগুলি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অধীনতামূলক মিত্রতায় আবদ্ধ হয়েছিল তাদের দত্তক পুত্র গ্রহণের অধিকার কেড়ে নেন।
প্রতিক্রিয়া: এর ফলে ঝাঁসি, সাতারা, নাগপুর, ভগত প্রভৃতি রাজ্যগুলি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
মূল্যায়ন : অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির দ্বারা ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের যে সূচনা হয়েছিল, স্বত্ববিলোপ নীতির দ্বারা তা সম্পূর্ণ হয়। অর্থাৎ প্রথমটির পরিপূরক ছিল দ্বিতীয় নীতিটি।
10. মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খানের সময় বাংলার সঙ্গে মুঘল শাসনের সম্পর্কের চরিত্র কেমন ছিল?
উত্তর: ভূমিকা : মুর্শিদকুলি খান ও আলিবর্দি খান এর সময় বাংলার সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্কের বেশ কিছু চারিত্রিক পার্থক্য দেখা যায়।
মুর্শিদকুলি খান-এর আমলঃ ঔরঙ্গজেবের বিশ্বস্ত অনুচর মহম্মদ হাদি 1700 খ্রিস্টাব্দে বাংলার দেওয়ান রূপে নিযুক্ত হন। ঔরঙ্গজেব তাকে মুর্শিদকুলি খান নামে অভিহিত করেন।
দাক্ষিণাত্য যুদ্ধে ব্যস্ত ঔরঙ্গজেব সেনাবাহিনীর ব্যয় নির্বাহের জন্য মুর্শিদকুলি খানের ওপর নির্ভর করতেন।
বাহাদুর শাহের সঙ্গেও মুর্শিদকুলি খানের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি নিয়মিত রাজস্ব পাঠানোর বিনিময়ে প্রায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। ফারুখশিয়ার তাঁকে বাংলার নাজিম বা নবাব পদে নিয়োগ করেন। আমৃত্যু তিনি মুঘল শাসকদের অনুগত ছিলেন।
আলিবর্দি খানের আমল ঔরঙ্গজেব-এর একজন মনসবদার হিসাবে মির্জা মহম্মদ বা আলিবর্দি খানের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।
আজমশাহের মৃত্যুর পর তিনি উড়িষ্যায় সুজাউদ্দিন-এর অধীনে চাকুরি নেন। পরে রাজমহলের ফৌজদার রূপে অসামান্য কৃতিত্বের পরিচয় দেন। এজন্য তাঁকে আলিবর্দি খান নামে ভূষিত করা হয়। পরবর্তী নবাব সরফরাজ খান-এর সঙ্গে তাঁর বিরোধিতা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত 1740 খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে সরফরাজকে পরাজিত করে তিনি বাংলার নবাব হন।
আলিবর্দি খান প্রথম থেকেই দিল্লির অধীনতা থেকে মুক্ত ছিলেন। মুঘল শাসকের সঙ্গে তার কোনো সুসম্পর্ক ছিল না। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে আলিবর্দি খান কখনো মুঘল শাসকদের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেনি।
11. ধরো তুমি নবাব আলিবর্দি খান-এর আমলে বাংলার একজন সাধারণ মানুষ। তোমার এলাকায় বর্গি আক্রমণ হয়েছিল। তোমার ও তোমার প্রতিবেশীর মধ্যে বর্গি হানার অভিজ্ঞতা বিষয়ে একটি কথোপকথন লেখো।
উত্তর: চরিত্র:
আমি
আমার প্রতিবেশী-সুন্দর
সময়কাল-1752 খ্রিস্টাব্দ
কথোপকথন
আমি: এই যে সুন্দর চললে কোথায়?
সুন্দর: জমির দিকে যাচ্ছি একবার। দেখি ফসল এবার কেমন হয়?
আমি: চলো। আমিও আমার জমিটা একবার দেখে আসি। আগাছা পরিষ্কার করার সময় হয়েছে বোধহয়।
সুন্দর: ক’ বছর ধরে যা চলছিল, কখনো জমিতে বর্গি হানা, কখনো বাড়ি লুঠপাট, ঘরের সবকিছু কেড়ে নিয়ে বর্গিদের চলে যাওয়া। আর আমাদের না খেয়ে থাকা।
আমি: আর বলিস না ভাই, এইসব দিনের কথা ভাবলেই শিউরে উঠি। আশেপাশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে তাদের অত্যাচারের চিহ্ন নেই। তবুও ভালো এই যে শেষ পর্যন্ত নবাব আলিবর্দি খান বর্গিদের সঙ্গে চুক্তি করে আমাদের রক্ষা করেছে।
সুন্দর: চুক্তির শর্তগুলো জানিসতো? উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব রঘুজি ভোঁসলেকে দিয়ে দিতে হয়েছে। তাছাড়া বাৎসরিক একটা টাকাও নাকি পাঠাতে হবে।
আমি: দেখ সুন্দর, নবাব ভাস্কর পণ্ডিতকে কিন্তু অন্যায়ভাবে হত্যা করেছিল।
সুন্দর: ভাস্কর পণ্ডিতের অত্যাচারের কথা একবার ভেবে দেখ। আমি: তা অবশ্য ঠিক তবে এটাও ঠিক যে নবাব চুক্তি করেছিল বলেই আমরা বর্গির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছি। ভেবে দেখ আমাদের গ্রামের কত মানুষ বর্গির হাতে মারা গেছে। সুন্দর : খুব কষ্ট হয় ভাই। আমার দাদাও মারাঠাদের হাতে মারা গেছে।
আমি: আমার বাবা, কাকাও ওদের হাতে মারা গেছে। শোক কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে ভাই।
সুন্দর: সে তো লাগবেই।
আমি: এবছর ঠিক সময়ে বৃষ্টি হয়েছে বলে ফসল খুব ভালো হবে বলে মনে হয়।
সুন্দর: ঠিক বলেছিস ভাই।
আমি: আমার জমি এসে গেছে ভাই, আমি দেখি গাছে পোকামাকড় লেগেছে কিনা। আসি ভাই।
12. ধরো তুমি ব্রিটিশ কোম্পানির একজন কর্তা ব্যক্তি। ৭৬-এর মন্বন্তর-এর সময় তুমি বাংলায় ঘুরলে তোমার কী ধরনের অভিজ্ঞতা হবে? মন্বন্তরের সময় মানুষকে সাহায্যের জন্য কোম্পানিকে কী কী করতে পরামর্শ দেবে তুমি?
উত্তর: আমি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্তাব্যক্তি। 1769 ও 1770 খ্রিস্টাব্দে বাংলার মন্বন্তর আমি নিজের চোখে দেখেছি। কোম্পানির পদস্থ কর্মচারী হিসাবে বাণিজ্যিক কাজে সারা বাংলা আমাকে ঘুরতে হয়েছিল।
পরপর দু-বছর অনাবৃষ্টির কারণে বাংলার কোনো জায়গাতেই চাষবাস হতে পারেনি। সাধারণ মানুষের ঘরে এক বিন্দু খাদ্য শস্য ছিল না। এর উপর রেজা খাঁর রাজস্ব আদায়ের কড়াকড়ি, এই মন্বন্তরের বছরেই রেজা খাঁ কোম্পানিকে 25 লক্ষ টাকা রাজস্ব প্রদান করেছে। নিশ্চয়ই তাদের থেকে অনেক বেশি আদায় করেছে।
আমি দেখেছি ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছে। নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে এক মুঠো খাবারের জন্য। রাস্তায় যেখানে সেখানে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। সৎকার করার লোক পাওয়া যায়নি। এইসব মৃতদেহের পচা গন্ধে চারদিক বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য মানুষ গ্রাম থেকে পালিয়ে এসেছে শহরে। কিন্তু শহরেও খাদ্যের আকাল দেখা যায়। বাংলার এক-তৃতীয়াংশ ঘন জঙ্গলে পরিণত হয়ে যায়। রাস্তায় দিনে শিয়াল বেরোয় দিনে দুপুরেই মারা যায় বাংলার প্রায় অর্ধেক মানুষ। ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আমি কোম্পানির কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করি অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য। এগুলি হল-
1. রাজস্ব আদায় আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।
2. রেজা খানকে অপসারণ করতে হবে।
3. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
4. দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের জন্য কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
5. অনাবৃষ্টি জনিত কারণে ফসল হানি বন্ধ করার জন্য কূপ । বা খাল খননের ব্যবস্থা করতে হবে।
Fill In The Blanks
(ক) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুর্শিদকুলি খান ছিলেন বাংলার । (দেওয়ান/ফৌজদার/নবাব)
উত্তর: দেওয়ান।
(খ) আহমদ শাহ আবদালি ছিলেন । (মারাঠা/আফগান/পারসিক)
উত্তর: আফগান।
(গ) আলিনগরের সন্ধি হয়েছিল (মিরজাফর ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে/মিরকাশিম ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে)
উত্তর: সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে।
(ঘ) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলা-বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার দেন । (সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম/সম্রাট ফারুখ শিয়র/সম্রাট ঔরঙ্গজেব)
উত্তর: সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম।
(ঙ) স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি মেনে নিয়েছিলেন । (টিপু সুলতান/সাদাৎ খান/নিজাম)
উত্তর: নিজাম।