Class 6 Chapter 12 Solution
পিঁপড়ে
Very Short Question Answer
1. পরম সহানুভূতিতে পিঁপড়েদের জন্য কবির একান্ত প্রার্থনা কী?
উত্তর:পরম সহানুভূতিতে পিঁপড়েদের জন্য কবির একান্ত প্রার্থনা হল- পিঁপড়েরা যেন আলোর গন্ধ ছুঁয়ে সারা ভুবন ভরিয়ে তোলে আর তাদের সর্বাঙ্গে যেন লেগে থাকে ধুলোর রেণু।
২. পিঁপড়েদের ক্ষেত্রে কবি কী চান না?
উত্তর:শৃঙ্খলাবদ্ধ পিঁপড়েদের কাউকে সরিয়ে দিয়ে, কবি তাদের দুঃখ দিতে চান না।
3.পিঁপড়েরা কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: পিঁপড়েরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে, মাটির নীচে, গাছের ফাঁকা গর্তে বা উপযুক্ত কোনো স্থানে বাসা তৈরি করে একত্রে বসবাস করে।
4.আর ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে’ কথাটি কত বার ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর:’পিঁপড়ে’ কবিতায় ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে’ কথাটি তিন বার ব্যবহৃত হয়েছে।
5. পরম সহানুভূতিতে পিঁপড়েদের জন্য কবির একান্ত প্রার্থনা কী?
উত্তর:পরম সহানুভূতিতে পিঁপড়েদের জন্য কবির একান্ত প্রার্থনা হল- পিঁপড়েরা যেন আলোর গন্ধ ছুঁয়ে সারা ভুবন ভরিয়ে তোলে আর তাদের সর্বাঙ্গে যেন লেগে থাকে ধুলোর রেণু।
6 পিঁপড়েদের ক্ষেত্রে কবি কী চান না?
উত্তর:শৃঙ্খলাবদ্ধ পিঁপড়েদের কাউকে সরিয়ে দিয়ে, কবি তাদের দুঃখ দিতে চান না।
8.পিঁপড়েরা কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: পিঁপড়েরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে, মাটির নীচে, গাছের ফাঁকা গর্তে বা উপযুক্ত কোনো স্থানে বাসা তৈরি করে একত্রে বসবাস করে।
9.আর ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে’ কথাটি কত বার ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর:’পিঁপড়ে’ কবিতায় ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে’ কথাটি তিন বার ব্যবহৃত হয়েছে।
10. অমিয় চক্রবর্তী কোথায় অধ্যাপনা করতেন?
উত্তর: অমিয় চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।
11. তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর:তাঁর দুটি কবিতা বইয়ের নাম হল ‘পারাপার’, ‘পালাবদল’।
12. কবির কী দেখে ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে?
উত্তর: পিঁপড়ের ব্যস্ত মধুর চলা দেখে কবির ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ বলে মনে হয়েছে।
13. ‘কেমন যেন চেনা লাগে’- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:ছোটো পিঁপড়ের ঘোরাফেরা, ব্যস্ততা, মধুর চলায় কবির মনে পরিচিত কোনো মানুষের কথা ও তাঁর অভিব্যক্তির স্মৃতি জেগে ওঠায় তিনি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
14. কবি কাউকে দুঃখ দিতে চাননি কেন?
উত্তর: ছোটো পিঁপড়েরা সারাদিন তাদের নিজেদের কর্মব্যস্ততায় বুঁদ হয়ে থাকে। ছোটো ছোটো পায়ে তারা পথ চলতেই থাকে। তাদের এই পথচলা ব্যস্ত এবং মধুর। নিজেদের কাজে পিঁপড়েরা ভীষণভাবে
নিযুক্ত থাকে। সংবেদনশীল কবি তাদের এই নিয়মানুবর্তিতা ও ছন্দময় আচরণ দেখে মুগ্ধ হয়ে কাউকেই অহেতুক বিরক্ত করতে বা দুঃখ দিতে চাননি।
15. ‘সেই অতলে ডাকুক’-কে, কাকে এই ডাক দেয়?
উত্তর: ছোটো পিঁপড়ে সাধারণ মানুষ বা মাটির বুকে যারা দু-দিনের ঘরে আছে, তাদের ডাক দেয়।
Short Question Answer
1. কবি আজ প্রাণের কোন্ পরিচয় পেয়েছেন?
উত্তর: ক্ষুদ্রাকার পিঁপড়েরাও তাদের কর্মব্যস্ত জীবন নিয়ে গাছের তলায় নীচের দিকে গভীর অতল প্রবেশ করে চলেছে। তাদের এই চলায় কবি মানবজীবনের জন্ম থেকে কর্মজীবন পার হয়ে মৃত্যুর পথে যাত্রা করার ধ্রুব সত্যটিকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। প্রাণের এই ধ্রুবসত্যই কবির কাছে প্রাণের পরিচয়রূপে ধরা দিয়েছে।
2. ‘দু-দিনের ঘর’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর:কবিতার ‘দু-দিনের ঘর’ শব্দটি অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। পৃথিবীতে কোনো প্রাণই অবিনশ্বর নয়। প্রত্যেক প্রাণেরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবলুপ্তি অনিবার্য। মৃত্যু এসে একদিন জীবনকে ছিনিয়ে নেবেই। সেই জীবনপর্বে পৃথিবীর বুকে সমস্ত জীবেরই জীবনযাপন শেষ হবে। মৃত্যুচেতনার সেই গভীর সত্য উপলব্ধি করেই কবি পৃথিবীকে ‘দু-দিনের ঘর’ বলেছেন।
3. পিঁপড়েদের ক্ষেত্রে কবি কী চান না?
উত্তর:শৃঙ্খলাবদ্ধ পিঁপড়েদের কাউকে সরিয়ে দিয়ে, কবি তাদের দুঃখ দিতে চান না।
4.পিঁপড়েরা কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: পিঁপড়েরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে, মাটির নীচে, গাছের ফাঁকা গর্তে বা উপযুক্ত কোনো স্থানে বাসা তৈরি করে একত্রে বসবাস করে।
5.আর ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে’ কথাটি কত বার ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর:’পিঁপড়ে’ কবিতায় ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে’ কথাটি তিন বার ব্যবহৃত হয়েছে।
Long Question Answer
1.বিভিন্ন রকমের পিপড়ে এবং তাদের বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপ্রণালী সম্বন্ধে তোমার পর্যবেক্ষণগুলি একটি খাতায় লেখো। প্রয়োজনে ছবিও আঁকতে পারো।
উত্তর: পৃথিবীতে যত পিঁপড়ে আছে তাদের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় এক লাখের কিছু বেশি। তবে আমরা আমাদের চারপাশে যে-সমস্ত পিঁপড়ে দেখি, তাদের মধ্যে দু-তিন শ্রেণির পিঁপড়েদের, তাদের বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপ্রণালী সম্পর্কে পর্যবেক্ষণজাত অভিজ্ঞতাগুলি নীচে তুলে ধরা হল-
টিপ পিঁপড়ে:
বাসস্থান: সাধারণত যে-সমস্ত গাছের পাতা বড়ো এবং অমসৃণ হয়, সেইসব গাছের পাতায় এদের দেখা যায়, যেমন-চালতা গাছ, সবেদা গাছ, গোলাপজাম গাছ ইত্যাদি।
জীবনপ্রণালী: নিজেদের লালা দিয়ে গাছের পাতা জুড়ে এরা ঘরের মতো তৈরি করে। মাঝখানটি ফাঁকা রাখে। সেখানে তারা ডিম পাড়ে। ডিমগুলি হয় সাদা সাদা, বড়ো বড়ো লম্বাটে ধরনের। সেই ডিম থেকে জন্ম নেয় নতুন প্রজন্ম।
খাদ্যাভাস: গাছের পাতার টাটকা সবুজ রস এরা খায়।
কাঠ পিঁপড়ে:
বাসস্থান : লাল রঙের পৌঁনে এক ইঞ্চি লম্বা এই পিপঁড়ের পিছন দিকটি কালো এবং শরীরের সামনের দিকটি হয় লাল রঙের। সাধারণত সবেদা গাছ, শিরীষ গাছের শুকনো ডালে গর্ত করে এরা বসবাস করে। এদের হুলে থাকে প্রচণ্ড বিষ কামড়ালে ব্যথা করে।
জীবনপ্রণালী : এরা যূথবদ্ধভাবে চলাচল করে। খাদ্যকণা সংগ্রহের জন্য মাটিতেও চলাফেরা করে। তবে গৃহস্থের বাড়িতে সাধারণত ঢোকে না। বাড়ির মধ্যে বেল গাছ থাকলে এদের সেই গাছে দেখতে পাওয়া যায়।
খাদ্যাভাস: নানারকম খাদ্যকণা, ফল, পোকামাকড়ের মৃতদেহ এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। খাদ্য সংগ্রহের পথে বাধা পেলে পিছনের বিষগ্রন্থিতে সঞ্চিত বিষ প্রয়োগ করে এরা শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষা করে।
ভোলা পিঁপড়ে:
বাসস্থান: সারা শরীর কালো রঙের। এরা মাটিতে গর্ত করে থাকে। এদের মুখের দুটি ধারালো ঠোঁটের স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে।
জীবনপ্রণালী: এরা দলবদ্ধভাবে চলে। মাটির দুর্বল অংশে এরা বাসা বেঁধে থাকে। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের অনেক সময় কামড়ে মাংস তুলে নেয়। তবে এদের শরীরে বিষ নেই।
খাদ্যাভাস: মিষ্টি, বাতাসা, মুড়কি, চিনি, কেক, দানাদার, রসগোল্লার গন্ধ পেলে এরা ছুটে চলে আসে।