WBBSE Class 6 Bangla Chapter 15 Solution | Sahityamela “সাহিত্যমেলা” Bengali Medium

Class 6 Chapter 15 Solution

আশীর্বাদ

MCQs

১.১ একটি পিঁপড়ে আশ্রয় নিয়েছে একটি (গাছের / ঘাসের / গর্তের) নীচে।

উত্তরঃ ঘাসের,

১.২ খলখল করে হেসে উঠল (বাতাস / মাটি/ জল)।

উত্তরঃ জল

১.৩ কাশবনকে (হেমন্তে/বসন্তে/শরতে) হাসতে দেখা যায়।

উত্তরঃ শরতে

১.৪ বাদল চলে যাওয়ার পর আসবে (গ্রীষ্ম / শরৎ / হেমন্ত)।

উত্তরঃ শরৎ

১.৫ (মেঘের ফাঁক / জানালার ফাঁক / দরজার ফাঁক) দিয়ে সূর্যের হাসি দেখল।

উত্তরঃ মেঘের ফাঁক

১.৬ “ডাঙায় রোদ্দুরের দিনে পুড়ে মরি” কে পুড়ে মরে? (ঘাস / পাতা / পিঁপড়ে)।

উত্তরঃ পিঁপড়ে

১.৭ “তুমি যে কাজের লোক ভাই।” -বক্তা কে? (বৃষ্টি / সূর্য / ঘাসের পাতা)।

উত্তরঃ ঘাসের পাতা

১.৮ “মাটি আমাদের, পৃথিবীটা তোমাদের।”-‘তোমাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? (পশুপক্ষী / মানুষজন / সবুজ ঘাস-পাতা)।

উত্তরঃ সবুজ ঘাস-পাতা

১.৯ “ভাই অমন কথা বোলো না;” -বক্তা কীভাবে কথাটি বলেছিল? (জোড় হাতে / চিৎকার করে / শিউরে)।

উত্তরঃ শিউরে

১.১০ “মেঘের আড়াল থেকেও শুনেছি।” -কে, কার কী শুনেছিল?

(পিঁপড়ে বৃষ্টির কথা শুনেছিল / বৃষ্টি পিঁপড়ের কথা শুনেছিল / ঘাস বৃষ্টির কথা শুনেছিল)।

উত্তরঃ বৃষ্টি পিঁপড়ের কথা শুনেছিল

১.১১ “তুমি গান গাচ্ছ, আমিও গাই।” -বক্তা কে? (জল/ ঢেউ / বন্যা)।

উত্তরঃ জল

১.১২ ‘আশীর্বাদ’ গল্পে বর্ষার ঘাস শরতে কী করে? (বেড়ে ওঠে / কাশবন হয়ে হাসে / ছাগলের খাদ্যে পরিণত হয়)।

উত্তরঃ কাশবন হয়ে হাসে

১.১৩ “বাদল চলে যাবে, চলে যাবে এ জল নিশ্চয়।” তারপর কী হবে? (শরৎ আসবে / পুজো আসবে / বেড়াতে যাওয়া যাবে)।

উত্তরঃ শরৎ আসবে

১.১৪  “আসতে আসতে, থামল।” -কী থামল? (পিঁপড়ের চোখের জল / বর্ষা / ঝড়)।
উত্তরঃ পিঁপড়ের চোখের জল

Very Short Question Answer

1.1 দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?

উত্তরঃ রূপকথা, উপকথা ও লোককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।

1.2 তিনি শিশুসাহিত্যের জন্য কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ শিশুসাহিত্যের জন্য তিনি ‘ভুবনেশ্বরী পুরস্কারে’ পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

1.3 বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয়?

উত্তরঃ বন্যায় থইথই জলে সমস্ত স্থলভাগ ডুবে যায়।

1.4 পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল?

উত্তরঃ একটি ঘাসের পাতার নীচে পিঁপড়ে আশ্রয় নিয়েছিল।

1.5 বৃষ্টির সময়ে ঘাসের পাতা কাঁপছিল কেন? 

উত্তরঃ ঘাসের পাতার নীচে পিঁপড়েটি আশ্রয় নেওয়ায় পাতাটি কাঁপছিল।

1.6 পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কী করল?

উত্তরঃ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্যে ঘাসের পাতার শিরা কামড়ে ধরেছিল।

1.7  পিঁপড়ে কখন ‘বাপ! বাঁচলেম’ বলে উঠল?

উত্তরঃ বৃষ্টি একটু ধরায় ঘাসের পাতাটি সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখন ঠিকই পিঁপড়ে এ কথা বলেছিল।

1.8 জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল?

উত্তরঃ জল খলখল শব্দ করে হেসে উঠেছিল।

1.9 “বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।” কেন এমন হল?
উত্তরঃ পিঁপড়ে যখন নিজেকে সামান্য প্রাণী ভাবতে লাগল, তখন ঠিক দুঃখ-কষ্ট-হতাশা ও অসহায়তায় তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।

1.20 একটি পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছে?

উত্তরঃ একটি পিঁপড়ে ঘাসের পাতার ঠিক নীচে আশ্রয় নিয়েছে।

1. “জোরে আঁকড়ে ধরো। কামড়ে ধরো আমাকে”- কে বলেছিল?

উত্তরঃ পাতা তার বন্ধু পিঁপড়েকে এ কথা বলেছিল।

2. কে পিঁপড়েকে ‘কাজের লোক’ বলেছিল?

উত্তরঃ পাতা পিঁপড়েকে ‘কাজের লোক’ বলেছিল।

3. কে চিরদিন সবুজ হয়ে ওঠে?

উত্তরঃ ঘাসপাতা চিরদিন সবুজ হয়ে ওঠে।

4. বর্ষাতে কার মুখ শুকিয়ে গেল?

উত্তরঃ বর্ষাতে পিঁপড়ের মুখ শুকিয়ে গেল।

5. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার কোন্ ধরনের গল্পের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতেন?

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মুজমদার রূপকথা, উপকথা এবং লোককথার গল্পগুলির ওপর আকর্ষণ বোধ করতেন।

6. আলোচ্য কবিতায় কার প্রতি কার আশীর্বাদের কথা অনুভব করা যায়?

উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় পৃথিবীর সমস্ত জীবকূলের প্রতি প্রকৃতির আর্শীবাদের কথা অনুভব করা যায়।

7.”মাটি আমাদের, পৃথিবীটা তোমাদের”-‘আমাদের’ ও ‘তোমাদের’ বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ‘আমাদের’ বলতে পিঁপড়ে এবং ‘তোমাদের’ বলতে ঘাসপাতার কথা বোঝানো হয়েছে।

8. কাশফুল কোন্ সময়ে ফোটে?

উত্তরঃ কাশফুল শরৎকালে ফোটে।

9. আলোচ্য কবিতায় কারা পিঁপড়েকে সাহস জুগিয়েছিল?

উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় ঘাসের পাতা, বৃষ্টি ও জল পিঁপড়েকে সাহস জুগিয়েছিল।

1. বিপরীত শব্দ লেখো:

২.১ বিদেশ, ২.২ দুর্ভাগ্য, ২.৩ অনাবৃষ্টি, ২.৪ আর্শীবাদ, ২.৫ আশ্রয়।
উত্তরঃ ২.১ স্বদেশ, ২.২ সৌভাগ্য, ২.৩ অতিবৃষ্টি, ২.৪ অভিশাপ, ২.৫ নিরাশ্রয়।

1.আমরা সাঁতার জানি। আমরা হাঁটতে জানি।

উত্তরঃ আমরা সাঁতার কাটতে এবং হাঁটতে জানি।

2.তোমরা পৃথিবীর ওপরে হাসো, ফুলটুল ফুটাও। (দুটো বাক্যে ভেঙে লেখো।) 

উত্তরঃ তোমরা পৃথিবীর ওপরে হাসো। তোমরা পৃথিবীর ওপর ফুলটুল ফুটাও।

3. তত বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। (‘যখন-তখন’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো।)

উত্তরঃ যখন বর্ষা খুব নেমেছে, তখন নীচেও ডেকেছে বান।

4.আমরা নড়তেও পারিনে। কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই। (‘কিন্তু’ অব্যয়টি দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো।)

উত্তরঃ আমরা নড়তে পারিনে কিন্তু কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই।

5. এক ঢোঁক জল খেল এবং পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না। (‘এবং’ অব্যয়টি তুলে দিয়ে বাক্যদুটিকে একটি বাক্যে লেখো।)

উত্তরঃ এক ঢোঁক জল খেলেও পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না।

6. পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তরঃ ‘আশীর্বাদ’ গল্পে প্রত্যক্ষভাবে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে। দুটি বাক্যবন্ধে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। যেমন-

বর্ষা: “বর্ষা খুব নেমেছে।” 

শরৎ: “…শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে!”

এ ছাড়াও গ্রীষ্মঋতুর পরিস্থিতিগত অনুষঙ্গও রয়েছে এ রচনায়। 

দৃষ্টান্ত: “আমরা চলে যাই বিদেশে, ফিরে এসে দেখি, রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে আছে।”

7.পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে?

উত্তরঃ পাতা, মূলত গাছের খাদ্যপ্রস্তুতিতে কাজে লাগে। এ ছাড়া কোনো কোনো গাছের পাতা বংশবৃদ্ধিতেও সহায়তা করে, যেমন- পাথরকুচি। আবার পাতার সৌন্দর্য পরোক্ষভাবে পরাগমিলনে সহায়তাকারী পতঙ্গদের আকৃষ্ট করে। 

8.পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ ক. বেশিরভাগ পিঁপড়ে মাটিতে বসবাস করলেও অনেক পিঁপড়ে গাছে গর্ত করে বসবাস করে।

খ. যেসব পিঁপড়ের বাসস্থান মাটির গর্ত, বৃষ্টি হলে তাদের দুর্গতির সীমা থাকে না।

গ. পিঁপড়েরা দলবদ্ধভাবে খাদ্যসংগ্রহ করে এবং ভবিষ্যতের জন্য বাসায় খাদ্য সঞ্চিত রাখে।

9.বৃষ্টি পাতাকে কোন্ পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?

উত্তরঃ বৃষ্টি পাতাকে ‘বন্ধু’-র পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে। পিঁপড়ে বর্ষা ও বন্যার প্রকোপ দেখে সন্ত্রস্ত ও ভীত হয়ে উঠলে বৃষ্টি তাকে জানায় যে, সে তার ‘পাতা বন্ধুটিকে’ কোনোদিন ভয়া পেতে দেখেনি।

10. সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল?

উত্তরঃ সবার কথা শুনে পিঁপড়ে চোখ তোলে এবং অনুশোচনার সঙ্গে প্রশ্ন করে যে, পৃথিবী কোনোদিনও আবার তার হবে কি না।

11. প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে।
উত্তরঃ শরতের আশীর্বাদ প্রকৃতির বুকে পরম মমতায় ঝরে পড়ে। বর্ষা যে ঘাসকে জলে ডুবিয়ে, কাদায় লুটিয়ে দিয়ে ছোটে, শরতে সেই ঘাসই আবার কাশবনের প্রসন্ন হাসির মতো হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও সৌন্দর্যে প্রকৃতিকে ভরিয়ে তোলে।

Short Question Answer

1.পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন?

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার-এর ‘আশীর্বাদ’ গল্পে যে পিঁপড়ের উল্লেখ আছে, তার বাসা ছিল মাটির নীচে গর্তে। খুব বর্ষায় চারদিক জলে ভেসে থইথই করায় তার বাসাও জলে ডুবে যায়। এই কারণেই পিঁপড়ে শরণার্থীর মতো গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল।

2.পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?

উত্তরঃ প্রচণ্ড বর্ষণে চতুর্দিক জলে থইথই করছিল। ঘাসের পাতায় আশ্রয় নেওয়া পিঁপড়ে যাতে জলের তোড়ে ভেসে না-যায়, সেইজন্যই সহমর্মী পাতা পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল।

3.পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন?

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার-এর ‘আশীর্বাদ’ গল্পে যে পিঁপড়ের উল্লেখ আছে, তার বাসা ছিল মাটির নীচে গর্তে। খুব বর্ষায় চারদিক জলে ভেসে থইথই করায় তার বাসাও জলে ডুবে যায়। এই কারণেই পিঁপড়ে শরণার্থীর মতো গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল।

4.পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল? ‘কাজে আসে না কোনোটাই’-এখানে তার কোন্ কাজে না-আসার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ পাতা পিঁপড়েকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে প্রবোধ দেওয়ার জন্য তার কানে কানে বলেছিল, সে যেন ভয় না-পায়, একটুও দুশ্চিন্তা না-করে। বাদল একদিন চলে যাবে। জলও নিশ্চয় নেমে যাবে। আর তারপরই আসবে শরৎ। তারপরই পৃথিবী সবার হবে। এই জল থইথই পরিবেশে পিঁপড়ের সাঁতার জানা, হাঁটা বা দৌড়ানো কোনো কাজে আসে না।

5. “তাই আজ বেঁচে গেলাম”-বক্তার ‘আজ বেঁচে যাওয়ার’ কারণ কী?
উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটির বক্তা পিঁপড়ে। বর্ষা এত নেমেছে আর বান ডেকেছে যে, চারদিকে জল থইথই করছে। এতে পিঁপড়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে। পিঁপড়ের মাটির বাসা ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। এমন অবস্থায় একটি ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় নিয়ে, পিঁপড়ে পাতাকে কামড়ে ধরে প্রাণে বেঁচেছে। পাতার সাহায্য ও আশ্রয় পিঁপড়েকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তাই পিঁপড়ে উদ্ধৃতাংশটি বলেছে।

Long Question Answer

1. “মাটি সবারই”-পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন্ সত্য ফুটে উঠেছে?

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার-এর ‘আশীর্বাদ’ গল্পে পিঁপড়ে আর গাছের কথোপকথনের মধ্যে পিঁপড়ে বলেছিল যে, মাটি তাদের আর পৃথিবীটা হল পাতাদের। এ কথার বিরোধিতা করে পাতা বলে মাটি আসলে সবারই। আসলে পিঁপড়েরা যেখানে জন্মায়, তাদের আমৃত্যু সেখানেই থাকতে হয়। মাটি ছেড়ে বেরোনোর কোনো উপায় থাকে না। মাটিতেই তাদের বাসা, মাটির অভ্যন্তরে অন্ধকারেই তাদের আশ্রয়। অন্যদিকে গাছ থাকে পৃথিবীর ওপরে, আলোর জগতে। সে হাসে, ফুল ফোটায়। গাছ যখন বলে ‘মাটি সবারই’, তখন এ বক্তব্যে আলাদা মাত্রা যুক্ত হয়, কারণ মাটি না-থাকলে গাছ, পিঁপড়ে-কারোরই আশ্রয় থাকত না। এমনকি, পৃথিবীর বুকে যে বিচিত্র জলাধার-পুকুর, খাল, ডোবা, নদী, সাগর, মহাসাগর-সেসব কিছুরও কোনো অস্তিত্ব থাকত না জগতে। সমস্ত প্রাণের অস্তিত্বের সঙ্গে মাটির গভীর এবং অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া, মাটির অন্ধকারে থাকার কারণে পিঁপড়ের মনে যে দুঃখবোধ দেখা গিয়েছে, সেই দুঃখের ভার মুক্ত করার জন্য গাছের মাধ্যমে লেখক আলোচ্য কথা বলেছেন।

2.মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল?

উত্তরঃ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি পিঁপড়ে ও পাতার কথোপকথন শুনেছিল, জেনেছিল পিঁপড়ের ভয়ের কথা। বর্ষার থইথই যে জল, সে-জল পিঁপড়ে কী করে পার হবে-এই কথা তার কানে এসেছিল।

 এ কথা শোনার পর বৃষ্টি পিঁপড়েকে বলেছিল যে, পাতাকে সে কোনোদিনই ভয় পেতে দেখেনি। সে এও জানায়, ঋতুচক্র প্রকৃতপক্ষে সদাসর্বদা প্রবহমান। এভাবেই বসন্ত বা গ্রীষ্মের পর যখন বর্ষার আগমন ঘটে, তখন প্রকৃতির রুক্ষ বুক সরস-সবুজ হয়ে ওঠে, আর সেও গাছের সমস্ত পাতার ধুলো মুছে দেয়। সবুজের স্পর্শে সে আনন্দে গান গেয়ে ওঠে।

3. শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে-বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।

উত্তরঃ শরৎ ঋতুর প্রকৃতি অপূর্ব ও মনোমুগ্ধকর। এ সময়ে বর্ষার থইথই জল আর থাকে না। জলাধারে সঞ্চিত জল যেন নির্মল হাসি হাসে। মাটির বুকে জমে-থাকা কাদাও ধুয়ে যায়। কাশফুলে ভরে ওঠে কাশবনের ঝোপ। ঘাসেরা বর্ষায় যারা নুয়ে পড়েছিল, তারাও তখন মাথা তোলে। শুভ্র নীলাকাশ বর্ষণশেষের সৌন্দর্য নিয়ে, বিশেষত গভীর নীলের আভরণে, রঞ্জিত করে তোলে আপন অস্তিত্ব। সমস্ত প্রকৃতির মধ্যে একটি সুস্থির আশ্রয়ের আস্থা ও আবহ বিরাজ করে। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা দেখা যায়। জলাশয়ে পদ্ম এবং মাটিতে শিউলি ফুলের সুবাস প্রকৃতিতে আরও সুন্দর করে তোলে।

4. মাতা পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদে লেখো।

উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের গল্প ‘আশীর্বাদ’-এ বন্যা কবলিত পরিস্থিতিতে দুটি ছোটো ও আপাতনগণ্য প্রাণের কষ্টের কথা জানতে পারা যায়। পিঁপড়ে দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছে যে, সে সাঁতার কাটতে পারে, দৌড়াতে পারে, হাঁটতেও জানে। কিন্তু এসবের কোনোটিই প্রবল বর্ষায় তার কাজে লাগে না। উপরন্তু, রোদের দিনে সে ডাঙায় সূর্যের তাপে পুড়ে মরে। অন্যদিকে, পাতা জানিয়েছে যে তারা নড়তে পারে না, চলতেও পারে না। কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়ায়। শেষে ঘাসের পাতা দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছে যে, কেবলমাত্র এক জায়গায় আটকে থেকে জীবনযাপন করা কোনো কাজের কথা নয়, দৌঁড়ে-হেঁটে-চলাচল করাই হল কাজের কথা। একইসঙ্গে পিঁপড়ের কর্মমুখরতাকে পাতা তারিফও করেছে।

5. বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয়, সে-সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে লেখো।

উত্তরঃ আমার জন্ম গ্রামে। সেখানে বর্ষাকালে দিনের বেলায় সারাদিন ধরে বৃষ্টি হলে দেখেছি চারদিকের মাঠ-ঘাট-পুকুর সব জলে থইথই করছে। চাষের খেতে একহাঁটু জল, তার ওপর বাতাস প্রবাহিত হয় এমনভাবে, যেন মনে হয় দূর-প্রসারিত সমুদ্র তার পরিসর বিছিয়ে রেখেছে। কখনো-কখনো পুকুরের পাড় ছাপিয়ে উপচে- পড়া জলের সঙ্গে মাছ ভেসে চলে আসে উঠোনে, কখনো-কখনো আবার আমার পায়ের কাছে খেলা করে সূর্যমণি মাছ।

অন্যদিকে, রাতের বেলা বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির মধ্যে জোনাকির আলো জ্বল জ্বল করে। জোলো বাতাসের সঙ্গে বয়ে আসে কামিনী ফুলের সুমিষ্ট সুবাস যার মাদকতায় ভরে ওঠে মন-প্রাণ।

১. সন্ধি বিচ্ছেদ করো:

নিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চয়, আশীর্বাদ।

উত্তরঃ নিশ্বাস = নিঃ+ শ্বাস, নিশ্চয় = নিঃ+ চয়, বৃষ্টি = বৃষ + তি, আশীর্বাদ = আশিঃ + বাদ।

1. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো:

৪.১ সারা দিনরাত খাটি।

উত্তরঃ অকর্মক ক্রিয়া- খাটি।

৪.২ আমরা যাই, আসি, দেখি।

উত্তরঃ অকর্মক ক্রিয়া যাই, আসি, দেখি।

৪.৩ ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উত্তরঃ সকর্মক ক্রিয়া দাঁড়িয়েছে।

৪.৪ কায় এ জল কী করে পার হব?

উত্তরঃ সকর্মক ক্রিয়া পার হব।

৪.৫ পৃথিবী তোমার হবে।
উত্তরঃ সকর্মক ক্রিয়া হবে।