Class 6 Chapter 18 Solution
বঙ্গ আমার ! জননী আমারঅ !
MCQs
১.১ মা তোর (শুষ্ক/সজল/শীতল) নয়ন।
উত্তরঃ শুষ্ক
১.২ দেশমাতার সন্তান (ত্রিশ/তেত্রিশ/ছত্রিশ) কোটি।
উত্তরঃ ত্রিশ
১.৩ ন্যায়ের বিধান দিলেন (রঘুপতি/নিমাই/রঘুমণি)।
উত্তরঃ রঘুমণি
১.৪ যুদ্ধ করিল (প্রতাপাদিত্য/অশোক/রঘুমণি)।
উত্তরঃ প্রতাপাদিত্য
১.৫ নবীন গরিমা ভাতিবে আবার (ললাটে/হৃদয়ে/শিরে)।
উত্তরঃ ললাটে।
২.১ ত্রিশ কোটি মানুষের মিলিত কণ্ঠে কী ডাক শোনা যায়?
Very Short Question Answer
উত্তরঃ ত্রিশ কোটি মানুষের মিলিত কণ্ঠে ‘আমার দেশ’- এই ডাকটি শোনা যায়।
২.২ এখনও জগতের অর্ধেক মানুষ কার চরণে মাথা নত করেন?
উত্তরঃ এখনও জগতের অর্ধেক মানুষ ভগবান বুদ্ধের চরণে মাথা নত করেন।
২.৩ কে প্রেমের বাণী ছড়িয়েছিলেন?
উত্তরঃ নিমাই অর্থাৎ, শ্রীচৈতন্যদেব প্রেমের বাণী ছড়িয়েছিলেন।
২.৪ ন্যায়শাস্ত্রের একজন বিখ্যাত পণ্ডিত কে ছিলেন?
উত্তরঃ ন্যায়শাস্ত্রের একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন রঘুমণি।
২.৫ ভারতীয়দের কাছে সকল সাধনার কেন্দ্রস্থল কোন্টি?
উত্তরঃ ভারতীয়দের কাছে ভারতবর্ষের মাটিই সকল সাধনার কেন্দ্রস্থল।
২.৬ মোক্ষ-দ্বার’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘মোক্ষ-দ্বার’ কথাটির অর্থ- মুক্তির দরজা বা নির্বাণ প্রাপ্তির পথ।
২.৭ চন্ডীদাস কে ছিলেন?
উত্তরঃ চন্ডীদাস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত বৈয়ব পদকর্তা ও বাসুলিদেবীর উপাসক।
২.৮ “ত্রিংশ কোটি মিলিত-কণ্ঠে ডাকে যখন আমার দেশ”। -কার ত্রিংশ কোটি সন্তান?
উত্তরঃ ভারতমাতার ত্রিংশ কোটি সন্তান।
২.৯ “আজিও জুড়িয়া অর্ধ-জগৎ ভক্তি-প্রণত চরণে যাঁর;”-‘যাঁর’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘যাঁর’ বলতে এখানে ভগবান বুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
২.১০ “অশোক যাঁহার কীর্তি ছাইল…” -এখানে কার কীর্তির কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে ভগবান বুদ্ধের কীর্তির কথা বলা হয়েছে।
২.১১ “আমরা ঘুচাব মা তোর দৈন্য” -কে, কোন্ মায়ের দৈন্য ঘোচাবে?
উত্তরঃ ভারতমাতার সকল, সন্তান ভারতমাতার দৈন্য ঘোচাবে।
২.১২ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা গানগুলিকে কী গান বলা হয়?
উত্তরঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা গানগুলিকে দ্বিজেন্দ্রগীতি।
২.১৩ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের স্বদেশপ্রেমমূলক একটি নাটকের নাম লেখো।
উত্তরঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের স্বদেশমূলক একটি নাটক হল- ‘মেবার পতন’।
Short Question Answer
৮.১ কবি দেশকে কী কী নামে সম্বোধন করেছেন?
উত্তরঃ কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর ‘বঙ্গ আমার! জননী আমার!’ কবিতায় আমাদের দেশ ভারতবর্ষকে বিভিন্ন নামে সম্বোধন করেছেন। এই দেশকে তিনি কখনও ‘বলা’, কখনও ‘জননী’ এবং কখনও ‘ধাত্রী’ বলেছেন, আবার কখনওবা ‘দেবী’, ‘সাধনা’ এবং ‘স্কা’ বলে সম্বোধন করতেও দ্বিধা করেননি।
৮.২ “কেন-গো মা তোর মলিন বেশ?” ‘মা’ বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন? তাকে ‘মা’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ ‘মা’ বলতে কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় জন্মভূমি ভারতবর্ষকে বুঝিয়েছেন।
ভারতবর্ষকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করার কারণ, একজন মা যেমন তাঁর সন্তানদের অকৃপণ হাতে লালনপালন করেন, ঠিক তেমনই আমাদের দেশ ভারতবর্ষও বেঁচে থাকার সমস্ত উপকরণ জুগিয়ে আমাদেরকে লালনপালন করে থাকেন। আমরা এই দেশেরই জল-আলো-বাতাস-মাটি গ্রহণ করেই বেড়ে উঠি।
৮.৩ ‘মা’-এর বেশ মলিন ও কেশ রুক্ষ কেন?
উত্তরঃ আমাদের দেশ ভারতবর্ষের ওপর একে একে বিদেশি শাসক সম্প্রদায়ের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এসেছে সাম্রাজ্যলোভী শক-হুন- পাঠান ও মোগলের দল। তাঁরা এদেশে এসেছে, লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে ধনসম্পদ। তারপর এসেছে প্রবল ক্ষমতাশালী ইংরেজ। তারা এদেশের ওপর চালিয়েছে নির্মম অত্যাচার। দীর্ঘ কয়েকশো বছরের এই জ্বালা-যন্ত্রণার ফলে মায়ের বেশ আজ মলিন এবং তাঁর কেশও রুক্ষ।
৮৪ অশোক কোথায় কোথায় তাঁর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন?
উত্তরঃ অশোকের ‘ত্রয়োদশ শিলালেখ’ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধধর্মের অহিংসা তথা মৈত্রীর বাণী প্রচারের জন্য সম্রাট অশোক কখনও ব্রহ্মদেশ, কখনও পশ্চিম এশিয়া, কখনওবা মিশর, সিরিয়া এমনকি অ সুদূর ম্যাসিডনের ধর্মদূত প্রেরণ করেন। তিনি তাঁর সাম্রাজ্যব্যাপী পর্বতগাত্রে, প্রস্তরস্তম্ভে বৌদ্ধধর্মের সারাৎসার লিপিবদ্ধ করেন। বৌদ্ধধর্ম প্রচারের বিষয়টিকে অশোক নিজেই ‘ধম্মবিজয়’ বলে আখ্যা দেন।
৮.৫ “অর্ধ-জগৎ ভক্তি-প্রণত চরণে যাঁর;”-‘অর্ধ-জগৎ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কার চরণে তা প্রণত হয়েছে?
উত্তরঃ ‘অর্ধ-জগৎ’ বলতে, কবি সমগ্র পৃথিবীর অর্ধাংশকে বুঝিয়েছেন। সারা পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ জাগতিক কামনা-বাসনা থেকে মুক্তিলাভের জন্য গৌতম বুদ্ধের চরণে ভক্তি-বিনম্র চিত্তে শরণাপন্ন হন।
খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৬ অব্দে কপিলাবস্তুর লুম্বিনি উদ্যানে জন্মগ্রহণকারী মহাজ্ঞানী বুদ্ধের চরণে সমগ্র পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ প্রণত হয়েছে।
৮.৬ “যুদ্ধ করিল প্রতাপাদিত্য” প্রতাপাদিত্য কে ছিলেন? তিনি কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন?
উত্তরঃ ষোড়শ শতকে দিল্লির মোগল সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গিরের রাজত্বকালে, অধুনা বাংলাদেশে বারোজন বিখ্যাত ভূস্বামী ছিলেন। তাঁরা একত্রে ‘বারো ভূঁইয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ভূস্বামী ছিলেন রাজা প্রতাপাদিত্য। যশোর, খুলনা ও চব্বিশ পরগনার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল অর্থাৎ, ধুমঘাট ছিল তাঁর শাসনাধীন।
বাংলায় মোগলরা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে, প্রতাপাদিত্য মোগল রাজশক্তির বিরুদ্ধে ভয়ানক যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছিলেন।
৮.৭ “ধন্য আমরা,” ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? আমরা কখন নিজেদের ধন্য বলে মনে করতে পারি?
উত্তরঃ ‘আমরা’ বলতে সমগ্র ভারতবাসীকে বোঝানো হয়েছে। আমরা দীর্ঘ কয়েকশো বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েও যখন দেখি আমাদেরই দেশে একসময় আবির্ভূত হয়েছেন বুদ্ধ, অশোক, রঘুমণি, নিমাই, চণ্ডীদাস এবং প্রতাপাদিত্যের মতো ব্যক্তি, তখন আমরা নিজেদেরকে ধন্য বলে মনে করি। এঁরা প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। এঁদের খ্যাতি ও প্রভাব দেশ-বিদেশে পরিব্যাপ্ত। এঁরা সকলেই আমাদের প্রণম্য ব্যক্তি। এঁরা প্রত্যেকেই ভারত-সন্তান। তাই আমরাও ভারতবাসী হিসেবে নিজেদেরকে ধন্য বলে মনে করি।
Long Question Answer
৮.৮ নবীন গরিমা কীভাবে ললাটে ফুটে উঠবে?
উত্তরঃ আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বহু বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হলেও এই দেশেই একদা বুদ্ধ, অশোক, নিমাই ও প্রতাপাদিত্যের মতো বিভিন্ন খ্যাতিমান মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাঁদের খ্যাতি দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও পরিব্যাপ্ত হয়েছিল। সেই দেশের ঔজ্জ্বল্যে আজ ঘনিয়ে এসেছে ঘোর অন্ধকার। কিন্তু কবির দৃঢ় বিশ্বাস, সাম্রাজ্যবাদ যেহেতু মানবকল্যাণ করে না, তাই তা কখনও স্থায়ী হয় না। এই কারণেই ভারতের আকাশে ঘনিয়ে আসা ঘোর অন্ধকারের মেঘ অচিরেই কেটে গিয়ে ভারতমাতার কপালে নতুন গৌরবের আলো পুনরায় ফুটে উঠবে।
৮.৯ আমরা কীভাবে বঙ্গজননীর দুঃখ, দৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারি?
উত্তরঃ নানা জাতি ও নানা ভাষাভাষীর দেশ হল এই ভারতবর্ষ। বিভিন্ন ধর্মের মানুষও এখানে একত্রে বাস করে। তবে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য হল- আমরা সকলে ভারতবাসী। তাই আমরা যদি জাতিধর্মবর্ণগত ভেদাভেদ ভুল গিয়ে ‘এক জাতি এক প্রাণ’ মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বিদেশি শত্রুর হাত থেকে আমাদের ভারতমাতাকে মুক্ত করতে পারি, তাহলেই আমরা একদিন বঙ্গজননীর দুঃখ দৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারব। সুতরাং, পারস্পরিক ঈর্ষা, বিদ্বেষ দূর করে আমাদের কর্মযজ্ঞে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে হবে। দেশের হারানো গৌরবকে ফিরিয়ে এনে জগৎসভায় ভারতবর্ষকে আবার শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে পারলে তবেই বঙ্গজননীর দুঃখ দৈন্য, লজ্জা দূরীভূত হবে।
Fil in the blanks
১.১ কেন-গো মা তোর নয়ন
উত্তরঃ শুষ্ক
১.২ যেখানে বুদ্ধ-আত্মা।
উত্তরঃ উদিল
১.৩ বিজয়-সেনানি হেলায় করিল জয়।
উত্তরঃ লঙ্কা
১.৪ নবীন ভাতিবে আবার ললাটে তোর।
উত্তরঃ গরিমা
১.৫ দেবী আমার! আমার! স্বর্গ আমার।
উত্তরঃ সাধনা
২. বিপরীত শব্দ লেখো:
২.১ স্বর্গ, ২.২ মানুষ, ২.৩ ন্যায়, ২.৪ ভক্তি।
উত্তরঃ ২.১ নরক; ২.২ অমানুষ; ২.৩ অন্যায়; ২.৪ অভক্তি
Grammar
নীচের বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দগুলি নির্দেশমতো লেখো:
(উদাহরণ: মা নিমিত্ত একবচন মায়ের জন্য)
৫.১ আমি + সম্বন্দ্বপদ + বহুবচন = ।
উত্তরঃ আমি + সম্বন্দ্বপদ + বহুবচন = আমাদের।
৫.২ + কর্তৃকারক + বহুবচন = আমরা
উত্তরঃ আমি + কর্তৃকারক বহুবচন আমরা।
৫.৩ + সম্বন্দ্বপদ + একবচন তোর
উত্তরঃ তুই সম্বন্দ্বপদ + একবচন তোর।
৫.৪ যিনি সম্বন্দ্বপদ + একবচন = ।
উত্তরঃ যিনি সম্বৎপদ একবচন যাঁর।
একইরকম অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো:
গৌরব, সুর, মুক্তি, নতুন, জলধি।
উত্তরঃ গৌরব-গরিমা। সুর-তান। মুক্তি-মোক্ষ। নতুন-নবীন। জলধি-সাগর।