Class 6 Chapter 4 Solution
মন-ভালো-করা
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
Very Short Question Answer
১.১ শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন্ কলেজের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম- ‘সোনার মাছি খুন করেছি’ ও ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’।
১.২ ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় ক-টি রঙের উল্লেখ আছে ও কী কী?
উত্তর: ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মোট চারটি রঙের উল্লেখ আছে। সেগুলি হল-নীল, লাল, হরিদ্রা, সবুজাভ।
১.৩ ‘মন-ভালো-করা’ কবিতাটি কোন্ বিশেষ পাখিকে নিয়ে লেখা?
উত্তর: ‘মন-ভালো-করা’ কবিতাটি মাছরাঙা পাখিকে নিয়ে লেখো।
১.৪ রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: রোদ্দুরকে কবি মাছরাঙা পাখির গায়ের রঙের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
১.৫ একই অর্থ যুক্ত শব্দজোড় কবিতা থেকে খুঁজে বের করে লেখো।
উত্তর: কবিতায় উল্লিখিত একই অর্থযুক্ত শব্দজোড় হল- ‘হাওয়ায়-বাতাসে’।
১.৬ কবিতায় ক-টি প্রশ্নবোধক বাক্য আছে?
উত্তর: ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মোট চারটি প্রশ্নবোধক বাক্য আছে।
১.৭ “মাছরাঙাটির গায়ের মতন?”- এই পঙ্ক্তিটি কবিতায় কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি কবিতায় মোট তিনবার ব্যবহৃত হয়েছে।
১.৮ ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মোট ক-টি রঙের কথা আছে? সেগুলি কী কী?
উত্তর: ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মোট চারটি রঙের কথা আছে।
> রংগুলি হল-নীল, লাল, হরিদ্রা ও সবুজাভ।
১.৯ মার “কেন ওর রং খর ও শান্ত”-পঙ্ক্তিটিতে কার কথা বলা হয়েছে? ‘খর’ ও ‘শান্ত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: > পঙ্ক্তিটিতে মাছরাঙা পাখির কথা বলা হয়েছে।
> ‘খর’ শব্দের অর্থ হল তীব্র, আর ‘শান্ত’ শব্দের অর্থ হল ধীর, অচল।
১.0 মাছরাঙার গায়ে পড়া আলোর প্রভাবে কী হয়?
উত্তর: মাছরাঙার গায়ে পড়া আলোর প্রভাবে হাওয়ায় পাতারা নড়ে ওঠে। সেইসঙ্গে পাখিটির গায়েও হাওয়া-বাতাস লাগে।
২.১ মাতা ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মাছরাঙা পাখির নাম কতবার উল্লেখিত আছে?
উত্তর: ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মাছরাঙা পাখির নাম পাঁচবার উল্লিখিত আছে।
২.২ মাছরাঙা পাখির যা স্বভাব, তা ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় নেই। কী সেই স্বভাব?
উত্তর: মাছরাঙা পাখির মাছ শিকারের স্বভাবটির কথা আলোচ্য কবিতায় নেই।
২.৩ মাছরাঙার মতো আর কোন্ কোন্ পাখিকে মাছ শিকার করতে দেখেছ?
উত্তর: মাছরাঙার মতো আর যেসব পাখিকে মাছ শিকার করতে দেখা যায়, সেগুলি হল- বক, পানকৌড়ি, সারস প্রভৃতি।
২.৪ মাছরাঙাটির গায়ে কী কী পড়ে?
উত্তর: মাছারাঙাটির গায়ে আলো এবং ছায়া পড়ে।
Short Question Answer
১) ‘মন-ভালো-করা’, ‘নীল-নীলান্ত’র মতো একাধিক শব্দবন্ধ তৈরি করো।
উত্তর: নিরুদ্দেশ-সম্পর্কিত ঘোষণা, সব-পেয়েছির-দেশ, জনগণ- মন-অধিনায়ক, খর-তর-শর,নদী-জপমালা-ধৃত-প্রান্তর, সাত- রাজার-ধন-মানিক, বসে-আঁকো-প্রতিযোগিতা, সবুজ-বাঁচাও- কমিটি, রবীন্দ্র-শতবার্ষিকী-হল।
২) কবিতায় কবিমনে কোন্ কোন্ প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: কবিতায় কবির মনে যেসব প্রশ্ন জেগেছে, তা হল—
• মন-ভালো-করা-রোদ্দুরকে কেন মাছরাঙার গায়ের মতন দেখতে?
• নীল রঙের আকাশকে কেন লাল-হলুদ-সবুজ রঙের বনের মতন দেখতে?
৩) এই মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি মাছরাঙা পাখির গায়ের রং ও লাল-হলুদ-সবুজাভ বনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৪) মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে?
উত্তর: মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে মন-ভালো-করা রোদ্দুর হিসেবে ধরা পড়েছে।
Long Question Answer
১) গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কবিকে ভীষণভাবে কল্পনা গাছে কয়েতুেলেছে। মাছরাঙা পাখির রং ও তার বৈচিত্র্য কবির বিষয় করেকে ভালো করে দেয়। তার দেহের নীল রূপের কমবার বিষয়বস্তার কবির মনকে উদ্দীপ্ত করে। কবির মনে হয়, এই রং তীব্র এবং শান্ত। পাখির রং ঝলসে উঠলে কবির মনেও আনন্দের ঢেউ জাগে। তিনি মাছরাঙা পাখির রং-এ লাল-হলুদ- সবুজ বনের রূপ খুঁজে পান। আসলে প্রকৃতির রূপ যেভাবে মানুষের মনকে উচ্ছ্বসিত করে, তেমনই মাছরাঙার রং-সৌন্দর্য কবির মনকে ভালো করে দেয়। দেহে পড়া সূর্যের আলো যেন হাওয়া-বাতাসে ঢেউ তুলে সব কিছুকে নাড়িয়ে দেয়। কবির দুঃখকাতর মন সুন্দর ও মধুর হয়ে ওঠে। এভাবে গাছের ডালে বসে থাকা মাছরাঙা পাখি কবির কল্পনাকে প্রভাবিত করে তাকে আনন্দ-মুখর করে তুলছে।
২) ‘হাওয়ায়-বাতাসে পাতারাও নড়ে’-হাওয়া-বাতাসের মতো একই অর্থবোধক পাঁচটি শব্দবন্ধ রচনা করে স্বাধীন বাক্যে প্রয়োগ করো।
উত্তর: > বিষয়-সম্পত্তি-সন্তানহীন দেবেনবাবু তাঁর সমস্ত বিষয়- সম্পত্তি সরকারকে দিয়ে গেলেন।
> ধনদৌলত-সৎভাবে বাঁচতে গেলে বেশি ধনদৌলতের প্রয়োজন হয় না।
> ঠাকুর-দেবতা – ধার্মিক ব্যক্তি ঠাকুর-দেবতা নিয়ে কোনোরকম বিদ্রুপ পছন্দ করেন না।
> লজ্জাশরম-মানুষ হতে গেলে একটু লজ্জাশরম থাকা ভালো।
> ভয়ডর-দুঃসাহসী দাশরথির কোনো কিছুতেই ভয়ডর নেই।
১)বাক্য রচনা করো
২.১ মাছরাঙা, ২.২ রোদ্দুর, ২.৩ সবুজাভ, ২.৪ শান্ত, ২.৫ আলো।
উত্তর: মাছরাঙা– ডালিম গাছের ডালে মাছরাঙা পাখি এসে বসেছিল।
রোদ্দুর– শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা।
সবুজাভ- শেষ বিকেলে মাঠের ধারে বটগাছের সবুজাভ ছায়া পড়েছে।
শান্ত- দীপকবাবুর ছোটো ছেলেটি ভীষণ শান্ত স্বভাবের।
আলো- তীব্র আলোয় পলাশবাবুর চোখে কষ্ট হয়।
২) নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করো:
হ্রস্ব, খর, শান্ত।
উত্তর: হ্রস্ব-(দীর্ঘ) দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে।
খর-(মৃদু)-হেমন্তের মৃদু হাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়লাম।
শান্ত-(অশান্ত)- অশান্ত পরিবেশে থাকা কঠিন ব্যাপার।