WBBSE Class 6 Bangla Chapter 5 Solution | Sahityamela “সাহিত্যমেলা” Answer Bengali Medium 

Class 6 Chapter 5 Solution

পশুপাখির ভাষা

Very Short Question Answer

১.১ সুবিনয় রায়চৌধুরী কী কী বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন?

 উত্তর: সুবিনয় রায়চৌধুরী হারমোনিয়াম ও এসরাজ বাজাতে

পারতেন।

১.২ সুবিনয় রায়চৌধুরী কোন্ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
 উত্তর:  সুবিনয় রায়চৌধুরী সন্দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

১.৩ ভাষার প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তর:  মনের বিশেষ ভাবসমূহকে শব্দ বা বাক্যের মাধ্যমে পরস্পরকে বোঝানোর জন্য ভাষার প্রয়োজন হয়।

Long Question Answer

১.২ “পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে।”-এ কথার সমর্থনে রচনাটিতে কোন, কোন্ প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে? তুমি এর সঙ্গে আর কী কী যোগ করতে চাইবে?

উত্তর:   পশুরা মানুষের অনেক কথার অর্থ বোঝে-এ কথার সমর্থনে রচনাটিতে বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। লেখক জানিয়েছেন-কুকুর, বনমানুষ, ঘোড়া ইত্যাদি পশু মানুষের দেওয়া নাম শুনলেই কান খাড়া করে। তাদের নাম করে ডাকলেই কাছে আসে। মুরগি ‘তি-তি’, হাঁস ‘সোই-সোই’, ছাগল ‘অ-র্’ ডাক শুনে মানুষের কাছে আসে। মাহুতের কথা শুনে হাতি সামনে-পিছনে যায়, বসে, কাত হয়-এমনকি সাবধানও হয়। এ ছাড়া কুকুর তো হুকুম পালনে ওস্তাদ। অবশ্য কুকুরকে সেসব কথার অর্থ শেখাতে হয়।    

উত্তর:   বিড়াল, গোরু ইত্যাদির নাম রেখে সেই নাম ধরে ডাকলে, তারাও সাড়া দেয়। বাঁদর নিয়ে যারা খেলা দেখায়, তাদের কথা ও বাঁদর বোঝে।

১.২ রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্থান পেয়েছে, তা আলোচনা করো।

উত্তর: পশুদের ভাষা আছে, ইচ্ছে করলে সেই ভাষা বোঝা যায়-এ কথা জানানোর প্রসঙ্গে রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার কথা পাঠ্যাংশে স্থান পেয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে তিনি পশুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে মিশেছেন। তিনি পশুদের ভাষা বোঝেন আর বোঝেন বলেই জংলি হাতির সামনে থেকে তিনি কয়েকবার বেঁচে ফিরেছেন। একইভাবে বাঘের গরম নিশ্বাস, প্রকাণ্ড ভল্লুকের থাবা এবং গোরিলার জড়িয়ে ধরা অবস্থা থেকেও তিনি রক্ষা পেয়েছেন। তিনি পশুদের ভাষা জানেন বলেই এতবার সাক্ষাৎ যমকে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন এবং মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

১.৩ “একেও ভাষা বলতে হবে।”-কাকে ‘ভাষা’র মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন? তুমি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত? বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর: শুধু শব্দের দ্বারা নয়-ইশারা দিয়েও পশুরা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে। শব্দ ছাড়া ইশারার সাহায্যে অর্থ বোঝার ব্যাপারটিকেও পাঠ্যাংশের কথক ভাষার মর্যাদা দিতে চেয়েছেন। আমি বক্তার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত। কারণ, মানুষ কথা বা শব্দের সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে। সেইসঙ্গে নানান অঙ্গভঙ্গি ও ইশারার সাহায্যেও সে অন্যকে নিজের কথা বলে। এ ছাড়া বিশেষ সংকেত-ধ্বনির মাধ্যমেও মানুষ মনের ভাব বোঝায়। সুতরাং, মানুষ যদি ভাষা ছাড়া অন্য মাধ্যমে ভাব বোঝাতে পারে, তবে পশুরাই বা ভাব বোঝাতে যেসব শারীরিক ভঙ্গি করে, তা ভাষা হবে না কেন?     

১.৪ “তাই তারা স্বভাবতই নীরব”-কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের এই স্বভাবগত ‘নীরবতা’র কারণ কী?

উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত এই কথাটিতে জঙ্গলের পশুদের কথা বলা হয়েছে । 

>  তাদের এই স্বভাবগত নীরবতার কারণ হল সর্বদা প্রাণ বাঁচিয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা। এ প্রসঙ্গে বক্তা বলেছেন, পোষা জন্তুরা বেশি চিৎকার করে। কিন্তু, বনের জন্তুরা তা করে না। পোষা কুকুর বা ঘোড়া যে-পরিমাণ চিৎকার করে, জংলি কুকুর বা ঘোড়া ততটা করে না। তা ছাড়া জঙ্গলের পশুরা যদি চ্যাঁচামেচি করে, তবে অন্য হিংস্র পশুর হাতে তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। এ কারণেই বনের পশুরা আত্মরক্ষার খাতিরে নীরব থাকে।

১.৫ “এরা তো মানুষেরই জাতভাই।”-কাদের ‘মানুষের জাতভাই’ বলা হয়েছে? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন্ পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে, তা লেখো।

উত্তর:   শিম্পাঞ্জি আর ওরাংকে ‘মানুষের জাতভাই’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। গোরিলাকেও এই পর্যায়ে ফেলা যায়।

> ‘মানুষের জাতভাই’ হওয়া সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে এদের কিছু পার্থক্য আছে। এরা কথা বলে না, কিন্তু মানুষ কথা বলতে সক্ষম। অর্থাৎ, এদের ভাষা নেই কিন্তু মানুষের আছে। এইসব জীবজন্তুর ভাষা নেই, কিন্তু ভাব আছে। ভালোবাসা, সহানুভূতি বোঝে বলে এরা সহজেই অন্যের সঙ্গে ভাব করতে পারে। মানুষ বিচক্ষণ, স্বার্থপর- তাই এরা বুঝেসুঝে ভাব করে। পশুদের মনের ভাব মুখে প্রকাশ পায়। কিন্তু মানুষের মুখভঙ্গি দেখে মনের ভাব বোঝার কোনো উপায় নেই।

১.৬ তোমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুর ডাক নিয়ে তুমি একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।

উত্তর: আমরা পরিবেশে যেসব জীবজন্তু দেখতে পাই তাদের মধ্যে গোরু, ছাগল, কুকুর, বেড়াল, ঘোড়া, হাতি, শিয়াল ইত্যাদি প্রধান। গোরুর ডাককে হাম্বা বলে, তার প্রয়োজন মতো সে ‘হাম্বা’ বলে ডাক ছাড়ে। ছাগলকে আমরা ‘ম্যা ম্যা’ বলে ডাকতে শুনি, বাচ্চা ছাগলের এই ডাক বেশ স্পষ্ট। কুকুরের ডাককে বলে ‘বুক্কন’। কুকুর ‘ঘেউ ঘেউ’ করে ডাকে। আবার এটিও দেখা যায় যে, বিভিন্ন অবস্থায় কুকুর আলাদা আলাদাভাবে ডাক ছাড়ে। বিড়ালের ডাককে বলে ‘জিবন’। সে ‘মিউ মিউ’ বা ‘মিয়াও মিয়াও’ করে ডাকে। ঘোড়ার ডাক হল ‘হ্রেষা’। রেগে গেলে সে ‘চিঁ হি’ করে ডাকে। হাতির ডাক হল ‘বৃংহণ’। পাগলা হাতি বা বুনো হাতির ডাক বড়ো ভয়ংকর। শিয়াল ‘হুক্কাহুয়া’ বলে ডাক ছাড়ে। রাত্রিবেলা কোনো মানুষ যদি শেয়ালের মতো করে ডাকে, তবে তারা রেগে গিয়ে সেরকমই ডাক ছাড়তে থাকে।

১) প্রতিশব্দ লেখো:

পাখি, পুকুর, হাতি, সিংহ, বাঘ।

উত্তর:   পাখি: পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, খগ, চিড়িয়া।

পুকুর: জলাশয়, দিঘি, তড়াগ, সরসী, পুষ্করিণী, সরোবর।

হাতি: গজ, হস্তী, দন্তী, করী, মাতঙ্গ, ঐরাবত।

সিংহ: মৃগেন্দ্র, কেশরী, হর্যক্ষ, পশুরাজ, মৃগপতি, মৃগরাজ।
বাঘ : ব্যাঘ্র, শের, শার্দুল, কর্বর, নরখাদক।