Class 6 Chapter 7 Solution
কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি
Very Short Question Answer
১)কুমোরে-পোকা একটি কীট না পতঙ্গ?
উত্তর: কুমোরে-পোকা একটি পতঙ্গ।
২) পতঙ্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: পতঙ্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তারা পাখার সাহায্যে উড়তে পারে।
৩)ইতিপূর্বে কোন্ কোন্ পতঙ্গের কথা তুমি জেনেছ?
উত্তর: ইতিপূর্বে ঘাসফড়িং, মশা, মাছি, আরশোলা, উইপোকা ইত্যাদি পতঙ্গের কথা আমি জেনেছি।
৪)কোন্ পতঙ্গ আমাদের কাছে বেশি বিরক্তিকর?
উত্তর: মশা ও মাছি আমাদের কাছে বেশি বিরক্তিকর।
৫) এমন একটি পতঙ্গের নাম করো, যাকে দেখতে খুব সুন্দর?
উত্তর: প্রজাপতি এমন একটি পতঙ্গ, যাকে দেখতে খুব সুন্দর।
৬)দুটি বিষাক্ত পতঙ্গের নাম করো।
উত্তর: দুটি বিষাক্ত পতঙ্গের নাম বোলতা ও ভিমরুল।
৭)বোলতা ও ভিমরুলের বাসাবাড়ি কেমন?
উত্তর: বোলতার বাসা প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট আর ভিমরুলের বাসা ওলটানো বেতের ঝুড়ির মতো এবং একটি ছিদ্রবিশিষ্ট।
৮)তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের লেখা একটি বইয়ের নাম- ‘বাংলার কীটপতঙ্গ’।
৯)কুমোরে-পোকার চেহারাটি কেমন?
উত্তর: কুমোরে-পোকার চেহারাটি কালো মিশমিশে। কেবল তার শরীরের বোঁটার মতন সরু অংশটি হলুদ।
১০)কুমোরে-পোকা কী দিয়ে বাসা বানায়?
উত্তর: কুমোরে-পোকা মাটি দিয়ে বাসা বানায়।
১১)কোনো অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে-তা কীভাবে বোঝা যায়?
উত্তর: কুমোরে-পোকা তীক্ষ্ণস্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করে। তা শুনে বোঝা যায় যে, কোনো অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে।
১২)মাকড়সা দেখলেই কুমোরে-পোকা কী করে?
উত্তর: মাকড়সা দেখলেই কুমোরে-পোকা ছুটে গিয়ে কামড়ে ধরে, তবে একেবারেই মেরে ফেলে না।
Long Question Answer
১) কুমোরে-পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে কেমন?
উত্তর: কুমোরে-পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে লম্বাটে, এবড়ো-খেবড়ো একটি শুকনো মাটির ডেলার মতো। বাসাটি লম্বায় প্রায় সওয়া ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। বাসার ভিতরের দিকে লম্বাটে ধরনের কুঠুরি থাকে। নির্মাণকার্য শেষ করার পর কুমোরে পোকা বাসাটিকে দৃঢ়, টেকসই ও ঝকঝকে করার জন্য বাসার ভিতরের দেয়ালে লালা মাখিয়ে রাখে।
২)চত কুমোরে-পোকা বাসা বানানোর প্রস্তুতি কীভাবে নেয়?
উত্তর: কুমোরে-পোকা ডিম পাড়ার সময় হলে বাসা তৈরির উদ্যোগ নেয় এবং উপযুক্ত স্থানের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। দু-চার দিন ঘুরে-ফিরে মনমতো স্থান খোঁজে। পছন্দ হলে বারবার স্থানটিকে পরীক্ষা করে। তারপর কিছু দূর উড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসে, আবার ভালোভাবে দেখে নেয়। এরপর তার প্রয়োজন হয় বাসা তৈরির কাদামাটি। যতটা সম্ভব কাছাকাছি স্থানে কাদামাটির সন্ধান করতেও তারা যথেষ্ট সময় ব্যয় করে। এই কাদামাটি সংগ্রহের স্থানটি চল্লিশ-পঞ্চাশ গজ থেকে দেড়শো-দুশো গজ দূরত্ব পর্যন্ত হতে পারে। এতটা পথ উড়ে মাটি সংগ্রহ করে তারা বাসা বানানোর প্রস্তুতি নেয়।
৩) কুমোরে-পোকার বাসা বানানোর প্রক্রিয়াটি নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: বাসা বানানোর জন্য উপযুক্ত স্থানটি বারবার পরীক্ষা করার পর সন্তুষ্ট হলেই কুমোরে-পোকা মাটির খোঁজে বের হয়। তারা যতটা সম্ভব কাছাকাছি স্থানে কাদামাটির সন্ধান করে। এ কাজে তাদের দু-একদিন সময় লাগে। মাটির খোঁজ পাওয়ার পর যাতায়াতের মাধ্যমে তারা আগে পথ চিনে নেয়। সাধারণভাবে চল্লিশ-পঞ্চাশ গজের মধ্যে থেকে তারা মাটি নেয়। তা না-পেলে দেড়শো-দুশো গজ দূরেও যেতে পারে। এ ছাড়া দেখা যায়, কেউ কুমোরে-পোকার বাসা ভেঙে দিলে বা মাটি চাপা দিলে কিংবা যেখান থেকে মাটি আনে সেই স্থানটিকে ঢেকে দিলে, পোকাটি কিন্তু সেই নির্দিষ্ট স্থানেই আবার বাসা তৈরি করে। এ ব্যাপারে মাটি পেতে অসুবিধা হলে, এরা আরও দূর থেকে মাটি আনতে যায়। এভাবে কঠোর পরিশ্রম করে কুমোরে-পোকা বাসা বানানোর প্রক্রিয়াটি শেষ করে।
৪) “এইসব অসুবিধার জন্য অবশ্য বাসা নির্মাণে যথেষ্ট বিলম্ব ঘটে।”- কোন্ অসুবিধাগুলির কথা এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
উত্তর: কুমোরে-পোকার বাসা বানানোর প্রক্রিয়ায় নানান অসুবিধা আছে। তাতে তাদের বাসা তৈরিতে বিলম্ব হয়। প্রথমত, বাসা বানানোর জন্য স্থানটি নির্বাচন করতে তাদের যথেষ্ট সময় লাগে। দ্বিতীয়ত, সুবিধামতো কাদামাটি পাওয়ার সমস্যা হয়। তৃতীয়ত,কোনো কারণে বাসা ভেঙে যায় বা কেউ ভেঙে দেয়। চতুর্থত, যে-স্থান থেকে মাটি আনা হয়, সেই স্থানটি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পঞ্চমত, একটা কুঠুরি তৈরির পর ডিম পাড়া, খাদ্য জোগান দেওয়া ইত্যাদি কাজ করতে হয়। এইসব নানান পর্যায়ক্রমিক কাজের জন্য এবং অসুবিধার জন্য কুমোরে-পোকার বাসা নির্মাণে যথেষ্ট বিলম্ব ঘটে।
৫)কুমোরে-পোকার শিকার ধরার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো। শিকারকে সে কীভাবে সংগ্রহ করে?
উত্তর: কুমোরে পোকার শিকার ধরার উদ্দেশ্য হল- বাচ্চাদের জন্য খাবার সঞ্চিত রাখা। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চারা নিজেরা শিকার ধরতে সক্ষম না-হয়, ততদিনের মতো খাবার সঞ্চয় করে রাখা তাদের শিকারের উদ্দেশ্য।
► কুমোরে-পোকার শিকার ধরা ও সংগ্রহ করা বেশ মজাদার। কুমোরে-পোকা ভ্রমণকারী মাকড়সা শিকার করে। এই মাকড়সা জাল বোনে না। কোনোভাবে এই জাতীয় মাকড়সা কুমোরে- পোকার চোখে পড়লেই সে ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। তবে একেবারেই মেরে ফেলে না। মাকড়সার দেহে হুল ফুটিয়ে বিষ ঢালে। প্রয়োজনমতো পাঁচ-সাতবার পর্যন্ত হুল ফোটায়। এতে মাকড়সা মরে না, কিন্তু অসাড় হয়ে যায়। তারপর মাকড়সাটিকে মুখে করে নিয়ে উড়ে গিয়ে কুঠুরির মধ্যে চিত করে শুইয়ে তার উদরের পাশে লম্বাটে ধরনের একটি ডিম পাড়ে। তারপর আবার শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। এরপর দশ-পনেরোটি মাকড়সা শিকার করে, কুঠুরির মধ্যে সঞ্চিত রেখে দু-তিন ঢেলা মাটি এনে কুঠুরির মুখ বন্ধ করে দেয়। এভাবে কুমোরে-পোকা শিকার করে তার বাচ্চার জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে।
৬)”বাসার আর কোনো খোঁজখবর নেয় না।”-কখন কুমোরে-পোকা তার বাসার আর কোনো খোঁজখবর নেয় না?
উত্তর: কুমোরে-পোকা যে স্থানে যে-বাসা তৈরি করে, সেই বাসায় তারা চার-পাঁচটি কুঠুরি নির্মাণ করে। প্রত্যেকটি কুঠুরিতে সে একটি করে ডিম পাড়ে এবং দশ-পনেরোটি মাকড়সা শিকার করে বাচ্চার খাদ্য হিসেবে সেগুলিকে কুঠুরির মধ্যে জমা রেখে, তার মুখ বন্ধ করে দেয়। এই কুঠুরি নির্মাণ, শিকার ধরে ডিম পাড়া, ভবিষ্যৎ বাচ্চার জন্য খাদ্য সঞ্চয় করা- এসবের পর এরা কুঠুরির মুখ বন্ধ করে ইচ্ছামতো অন্য স্থানে উড়ে চলে যায়। একবার ডিম পাড়ার প্রক্রিয়া শেষ করে চলে গেলে, তারা আর তাদের বাসার খোঁজ নেয় না।
Fil in the blanks
১.১ —————–জন্যে খাদ্য সঞ্চিত রেখেই সে খালাস।
উত্তর: বাচ্চাদের
১.২ শরীরে হুল ফুটিয়ে একরকম——————– ঢেলে দেয়।
উত্তর: বিষ
১.৩ গত প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা হলেই ———– ক্ষান্ত করে।
Grammar
উত্তর: বিশেষ্য বিশেষণ
লম্বা লম্বাটে
স্থান স্থানীয়
নির্বাচন নির্বাচিত
নির্মাণ নির্মিত
সঞ্চয় সঞ্চিত
• নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বের করো:
৪.১ বাসা তৈরি করার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।
উত্তর: জন্য
৪.২ সেই স্থান থেকে নির্বাচিত স্থানে যাতায়াত করে রাস্তা চিনে নেয়।
উত্তর: থেকে
৪.৩ সেই স্থানে কাদামাটি চাপা দিয়ে দেখেছি।
উত্তর: দিয়ে
• উপযুক্ত প্রতিশব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো:
নির্মাণ, উপযোগী, ভরতি, সন্ধান, ক্ষান্ত।
উত্তর: শব্দ প্রতিশব্দ
নির্মাণ তৈরি
উপযোগী উপযুক্ত
ভরতি পূর্ণ
সন্ধান অন্বেষণ
ক্ষান্ত নিরস্ত