Class 6 Chapter 1 Solution
আকাশ ভরা সূর্য তারা
MCQs
31. আকাশগঙ্গা ছায়াপথে আনুমানিক তারার সংখ্যা-
(i) 10 হাজার কোটি
(ii) 14 হাজার কোটি
(iii) 10. লক্ষ
উত্তর: (i) 10 হাজার কোটি
32. ক্যাসিয়োপিয়া নক্ষত্রমণ্ডল দেখতে হয় ইংরেজি অক্ষর-
(i) M-এর মতো
(ii) s-এর মতো
(iii) ০-এর মতো
উত্তর: (i) M-এর মতো
33. ছায়াপথ তৈরি হয়-
(i) লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে
(ii) লক্ষ লক্ষ উল্কা নিয়ে
(iii) লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু নিয়ে
উত্তর: (i) লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে
34. বছরে আলো যতটা দূরত্ব পার হয়, তাকে বলা হয়-
(i) আকাশগঙ্গা
(ii) ছায়াপথ
(iii) আলোকবর্ষ
উত্তর: (iii) আলোকবর্ষ
35. মহাবিশ্বের প্রসারণ শুরু হয়েছিল প্রায়-
(i) 1000 কোটি
(ii) 3000 কোটি
(iii) 140.0 কোটি বছর আগে
উত্তর: (iii) 140.0 কোটি বছর আগে.
36. তারা বা নক্ষত্র সৃষ্টি হয়-
(i) আকাশগঙ্গা থেকে
(ii) নীহারিকা থেকে
(iii) গ্রহ থেকে
উত্তর: (ii) নীহারিকা থেকে
37. বিজ্ঞানের সবচেয়ে পুরোনো চর্চা হল-
(i) শাস্ত্রবিজ্ঞান
(ii) মৃত্তিকাবিজ্ঞান
(iii) জ্যোতির্বিজ্ঞান
উত্তর: (iii) জ্যোতির্বিজ্ঞান
3৪. সূর্যের পর পৃথিবীর সবথেকে কাছের নক্ষত্রটির নাম-
(i) লুব্ধক
(ii) প্রক্সিমা সেনটাউরি
(iii) ধ্রুবতারা
উত্তর: (ii) প্রক্সিমা সেনটাউরি
39. পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেনটাউরির দূরত্ব-
(i) 6.2 আলোকবর্ষ
(ii) 4.2 আলোকবর্ষ
(iii) 3.2 আলোকবর্ষ
উত্তর: (ii) 4.2 আলোকবর্ষ
40. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছোতে সময় লাগে-
(i) ৪ মিনিট 20 সেকেন্ড
(ii) 5 মিনিট 40 সেকেন্ড
(iii) 7 মিনিট 10 সেকেন্ড
উত্তর: (i) ৪ মিনিট 20 সেকেন্ড
41. এক-একটি তারার ঝাঁককে বলা হয়-
(i) সপ্তর্ষিমণ্ডল
(ii) সৌরমণ্ডল
(iii) নক্ষত্রমণ্ডল
উত্তর: (ii) সৌরমণ্ডল
42. সূর্যের গায়ে কম উজ্জ্বল জায়গাগুলিকে বলা হয়-
(i) চন্দ্রকলঙ্ক
(ii) সৌরঝড়
(ii) সৌরকলঙ্ক
উত্তর: (ii) সৌরঝড়
43. উত্তর: আকাশে সাতটি উজ্জ্বল তারাকে বলা হয়-
(i) কালপুরুষ
(ii) সপ্তর্ষিমণ্ডল
(iii) বকমণ্ডল
উত্তর: (iii) বকমণ্ডল
44. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সবচেয়ে বেশি সময় নেয়-
(i) পৃথিবী
(ii) নেপচুন
(iii) মঙ্গল
উত্তর: (iii) মঙ্গল
45. পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য-
(i) 3 লক্ষ গুণ ভারী
(ii) 4 লক্ষ গুণ ভারী
(i) 5 লক্ষ গুণ ভারী
উত্তর: (i) 3 লক্ষ গুণ ভারী
46. পৃথিবী থেকে সূর্য-
(i) 11 লক্ষ গুণ বড়ো
(ii) 12 লক্ষ গুণ বড়ো
(iii) 13 লক্ষ গুণ বড়ো
উত্তর: (iii) 13 লক্ষ গুণ বড়ো
47. সাহসী শিকারি আকৃতির নক্ষত্র হল-
(i) সপ্তর্ষিমণ্ডল
(ii) কালপুরুষ
(iii) বকমণ্ডল
উত্তর: (iii) বকমণ্ডল
48. সৌরজগতে মোট গ্রহের সংখ্যা-
(i) ৪টি
(ii) ৭টি
(ii) 10টি
উত্তর: (i) ৪টি
49. সূর্যের নিকটতম গ্রহ-
(i) বুধ
(ii) মঙ্গল
(iii) শুক্র
উত্তর: (i) বুধ
50. দূরত্ব অনুযায়ী পৃথিবী সৌরজগতের-
(i) প্রথম গ্রহ
(ii) তৃতীয় গ্রহ
(iii) দ্বিতীয় গ্রহ
উত্তর: (iii) দ্বিতীয় গ্রহ
51. সূর্যের বাইরের দিকের উন্নতা প্রায়-
(i) 6000 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
(ii) 1000 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
(iii) ৪০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
উত্তর: (i) 6000 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
52. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায়-
(i) 14 কোটি কিমি
(ii) 16 কোটি কিমি
(iii) 15 কোটি কিমি
উত্তর: (ii) 16 কোটি কিমি
53. ‘সন্ধ্যাতারা’ নামে পরিচিত-
(i) বুধগ্রহ
(ii) শুক্রগ্রহ
(iii) মঙ্গলগ্রহ
উত্তর: (ii) শুক্রগ্রহ
54. বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা-
(i) 53টি
(ii) 79টি
(iii) 27টি
উত্তর: (i) 53টি
55. ফোবোস উপগ্রহটি-
(i) মঙ্গলের
(ii) বৃহস্পতির
(iii) ইউরেনাসের
উত্তর: (i) মঙ্গলের
56. গ্যানিমিড উপগ্রহটি-
(i) বৃহস্পতির
(ii) শনির
(iii) মঙ্গলের
উত্তর: (i) বৃহস্পতির
57. মিথেন গ্যাস বেশি থাকায় রং সবুজ হয় যে গ্রহের-
(i) নেপচুন
(ii) ইউরেনাস
(iii) শনি
উত্তর: (ii) ইউরেনাস
58. বলয়যুক্ত গ্রহ হল-
(i) পৃথিবী
(ii) শুক্র
(iii) শনি
উত্তর: (iii) শনি
59. মিরান্ডা উপগ্রহটি-
(i) মঙ্গলের
(ii) ইউরেনাসের
(iii) বৃহস্পতির
উত্তর: (ii) ইউরেনাসের
60. ট্রাইটন উপগ্রহটি-
(i) শনির
(ii) বৃহস্পতির
(iii) নেপচুনের
উত্তর: (iii) নেপচুনের
61. টাইটান উপগ্রহটি-
(i) নেপচুনের
(ii) শনির
(iii) বৃহস্পতির
উত্তর: (ii) শনির
62. লালগ্রহ নামে পরিচিত হল-
(i) পৃথিবী
(ii) বৃহস্পতি
(iii) মঙ্গল
উত্তর: (iii) মঙ্গল
63. ‘বামন’ গ্রহ বলা হয়-
(i) বুধকে
(ii) প্লুটোকে
(iii) নেপচুনকে
উত্তর: (ii) প্লুটোকে
64. সূর্যকে পরিক্রমণ করতে প্লুটোর সময় লাগে-
(i) 300 বছর
(ii) 248 বছর
(iii) 500 বছর
উত্তর: (ii) 248 বছর
65. পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব-
(i) 15 কোটি 40 লক্ষ কিমি
(ii) 3 লক্ষ 84 হাজার কিমি
(iii) 2 লক্ষ 20 হাজার কিমি
উত্তর: (ii) 3 লক্ষ 84 হাজার কিমি
66. সূর্যের মতো মাঝারি হলুদ নক্ষত্রের সাধারণত আয়ু হল-
(i) 2 হাজার কোটি বছর
(ii) 1 হাজার কোটি বছর
(iii) 3 হাজার কোটি বছর
উত্তর: (ii) 1 হাজার কোটি বছর
Fill in the blanks
- মহাবিশ্বের দূরত্ব মাপা হয়———– এককের সাহায্যে।
উত্তর: আলোকবর্ষ
- ————হল লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের সমষ্টি।
উত্তর: ছায়াপথ
- পৃথিবী রয়েছে ———-ছায়াপথে।
উত্তর: আকাশগঙ্গা
- মহাবিশ্বে ধূলিকণার বিরাট মেঘ হল————–।
উত্তর: নীহারিকা
- বিজ্ঞানের সবচেয়ে পুরোনো চর্চা হল——————।
উত্তর: জ্যোতির্বিজ্ঞান
- সূর্যের পর আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র হল——————-।
উত্তর: প্রক্সিমা সেনটাউরি
- সাদা তারার ———— এবং ————– সবথেকে বেশি।
উত্তর: উন্নতা এবং উজ্জ্বলতা
৪. বছরে আলো যতটা দূরত্ব পার হয়, তাকে বলে এক —————- ।
উত্তর: আলোকবর্ষ
- ইংরেজি ‘M’ অক্ষরের মতো নক্ষত্রমণ্ডলকে বলে ————— ।
উত্তর: ক্যাসিওপিয়া
- এক-একটা তারার ঝাঁককে ———– বলে।
উত্তর: নক্ষত্রমণ্ডল
- সন্ধ্যাতারার অপর নাম ————।
উত্তর: শুক্রগ্রহ
- সূর্যের গায়ে কম উজ্জ্বল জায়গাগুলি কালো দাগের মতো দেখায়, তাকে ————– বলে।
উত্তর: সৌরকলঙ্ক
- প্রতি 11 বছর অন্তর ———- জোরালো হয়।
উত্তর: সৌরঝড়
- শক্তিশালী টেলিস্কোপের জন্য তৈরি গম্বুজকে ————– বলে।
উত্তর: মানমন্দির
- সূর্যের বাইরের দিকের উন্নতা প্রায় সেন্টিগ্রেড।
উত্তর: 6000°
- ল্যাজবিশিষ্ট উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ককে —————– বলে।
উত্তর: ধূমকেতু
- চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর —————– ছায়া পড়ে।
উত্তর: গোলাকার
- মঙ্গলগ্রহ একটি———— গ্রহ।
উত্তর: অন্তঃস্থ
- নেপচুন একটি ————- গ্রহ।
উত্তর: বহিস্থ
- সৌরজগতের ———— গ্রহে একমাত্র প্রাণের অস্তিত্ব আছে।
উত্তর: পৃথিবী
- গ্রহরা ————- আলোয় আলোকিত।
উত্তর: নক্ষত্রের
- মিথেন ও ————– গ্যাস বেশি থাকায় নেপচুন গ্রহের রং নীল।
উত্তর: হিলিয়াম
- মাধ্যাকর্ষণ সবচেয়ে বেশি ————– গ্রহের।
উত্তর: বৃহস্পতি
- ———— সৌরজগতের লালগ্রহ।
উত্তর: মঙ্গল
- মাটিতে প্রচুর ————- থাকায় মঙ্গলগ্রহের রং লাল।
উত্তর: ফেরাস অক্সাইড
- ————- সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ।
উত্তর: বৃহস্পতি
- মিথেন গ্যাস বেশি থাকায় ———— এর রং সবুজ।
উত্তর: ইউরেনাস
- ———–কে বামনগ্রহ বলা হয়।
উত্তর: প্লুটো
- চাঁদ ———–উপগ্রহ।
উত্তর: পৃথিবীর
- একটি পূর্ণিমা থেকে আর-একটি পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কে বলে —————-।
উত্তর: চান্দ্রমাস
Very Short Question Answer
1. কত বছর আগে মহাবিশ্বের প্রসারণ শুরু হয়?
উত্তর: প্রায় 1400 কোটি।
2. মহাবিশ্বের সকল বস্তুর প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
3. মহাকাশে অসংখ্য আলোকবিন্দুকে কী বলা হয়?
উত্তর: জ্যোতিষ্ক।
4. লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে কী তৈরি হয়?
উত্তর: ছায়াপথ।
5. আমরা কোন ছায়াপথে বাস করি?
উত্তর: আকাশগঙ্গা।
6. হাইড্রোজেন, হিলিয়াম গ্যাস ও ধূলিকণার বিরাট মেঘকে কী বলে?
উত্তর: নীহারিকা।
7. সপ্তর্ষিমণ্ডল কোন আকাশে লক্ষ করা যায়?
উত্তর উত্তর: আকাশে।
৪. ইংরেজি ‘M’ অক্ষরের মতো দেখতে নক্ষত্রমণ্ডলকে কী বলে?
উত্তর ক্যাসিওপিয়া।
9. এক সাহসী শিকারিরূপ নক্ষত্র কী নামে পরিচিত?
উত্তর কর কালপুরুষ।
10. আমাদের পৃথিবীর চারদিকে কী আছে?
উত্তর বায়ুমণ্ডল।
11. আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রের নাম কী?
উত্তর প্রক্সিমা সেনটাউরি।
12. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছোতে কত সময় লাগে?
উত্তর ৪ মিনিট 20 সেকেন্ড।
13. আলোর গতিবেগ 1 সেকেন্ডে প্রায় কত?
উত্তর 300,000 কিমি।
14. কোন্ রঙের তারা সবচেয়ে বেশি উন্ন?
উত্তর প্রকাণ্ড সাদা তারা।
15. একটি নক্ষত্রমন্ডলের নাম করো।
উত্তর সপ্তর্ষিমন্ডল।
16. খালি চোখে মাত্র কতগুলি তারা দেখা যায়?
উত্তর মাত্র 6,00০০-এর মতো।
17. চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর কত ভাগ?
উত্তর ভাগ।
18. সূর্যের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ কোন্টি?
উত্তর বৃহস্পতি।
19. কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে মহাকাশ দেখা যায়?
উত্তর শক্তিশালী টেলিস্কোপ।
20. সূর্যের বাইরের দিকের উন্নতা কত?
উত্তর 6000 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
21. পৃথিবী থেকে সূর্য কত লক্ষ গুণ বড়ো?
উত্তর 13 লক্ষ।
22. সূর্যের আলোর কতটা অংশ পৃথিবীতে আসে?
উত্তর 200 কোটি ভাগের মাত্র 1 ভাগ।
23. তারাখসা আসলে কী?
উত্তর উল্কাপাত।
24. সূর্যের ভেতরের দিকের উন্নতা কত?
উত্তর প্রায় 1.5 কোটি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
25. পৃথিবী থেকে সূর্য কত লক্ষ গুণ ভারী?
উত্তর ও লক্ষ।
26. সৌরঝড় কত বছর অন্তর জোরালো হয়?
উত্তর 11 বছর।
27. সন্ধ্যাতারাকে কোন আকাশে দেখা যায়?
উত্তর পশ্চিম।
28. সূর্যের বাইরের অংশকে কী বলে?
উত্তর করোনা।
29. একটি অন্তঃস্থগ্রহের নাম লেখো।
উত্তর পৃথিবী।
30. একটি বহিস্থগ্রহের নাম লেখো।
উত্তর বৃহস্পতি।
31. সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ কোন্টি?
উত্তর বুধ।
32. সৌরজগতের উন্নতম গ্রহ কোন্টি?
উত্তর শুক্র।
33. সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহটির আবর্তনের সময় কত?
উত্তর চকর 9 ঘণ্টা 50 মিনিট।
34. নীলগ্রহ কাকে বলা হয়?
উত্তর কের পৃথিবীকে।
35. সৌরজগতে একমাত্র কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে?
উত্তর: তর পৃথিবী।
36. প্রক্সিমা সেনটাউরির দূরত্ব পৃথিবী থেকে কত আলোকবর্ষ?
উত্তর 4.2 আলোকবর্ষ।
37. কোন্ গ্রহের মাটিতে প্রচুর ফেরাস অক্সাইড আছে?
উত্তর মঙ্গলের।
38. কোন্ গ্রহের ঘনত্ব জলের থেকেও কম?
উত্তর শনির।
39. বৃহস্পতির সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে কত বছর সময় লাগে?
উত্তর 12 বছর।
40. কোন্ গ্রহকে সবুজ রং-এর দেখায়?
উত্তর ইউরেনাসকে।
41. সূর্যের মধ্যে কোন গ্যাস সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়?
উত্তর হাইড্রোজেন।
42. একটি বামনগ্রহের নাম লেখো।
উত্তর প্লুটো।
43. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোন্টি?
উত্তর চাঁদ।
44. পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কত?
উত্তর 3 লক্ষ 84 হাজার কিমি।
45. পৃথিবীকে একবার পরিক্রমণ করতে চাঁদের কত সময় লাগে?
উত্তর 27 দিন ৪ ঘণ্টা।
46. পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যা বা অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমায় চাঁদের বাড়া-কমাকে কী বলে?
উত্তর চন্দ্রকলা।
47. একটি পূর্ণিমা থেকে আর-একটি পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কে কী বলে?
উত্তর চান্দ্রমাস।
48. চন্দ্রগ্রহণের সময় কার ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে?
উত্তর চিত্তর পৃথিবীর।
49. শনির বৃহত্তম উপগ্রহের নাম কী?
উত্তর টিত্তর টাইটান।
50. মঙ্গলের একটি উপগ্রহের নাম কী?
উত্তর ডিমোস।
51. সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহাণুর নাম কী?
উত্তর সেরেস।
52. প্রথম মহিলা মহাকাশচারী কে ছিলেন?
উত্তর চত্তর ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা।
53. মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝে কত গ্রহাণুপুঞ্জ দেখা যায়?
উত্তর প্রায় 40 হাজার।
54. মহাকাশে যাওয়ার পোশাককে কী বলে?
উত্তর স্পেস স্যুট।
55. আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর NASA (নাসা)-তে।
56. পৃথিবী থেকে হ্যালির ধূমকেতুকে কত বছর বাদে দেখা যায়?
উত্তর 76 বছর।
57. ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের নাম কী?
উত্তর ISRO।
58. 2012 খ্রিস্টাব্দে মঙ্গলে প্রেরিত মহাকাশ যানটির নাম কী?
উত্তর কিউরিওসিটি।
59. 1957 খ্রিস্টাব্দে কোন্ প্রাণী মহাকাশে প্রথম যাত্রা করেন?
উত্তর রাশিয়ার লাইকা নামে একটি কুকুর।
60. পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারীর নাম লেখো।
উত্তর ইউরি গ্যাগারিন।
61. প্রথম ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারীর নাম কী?
উত্তর কল্পনা চাওলা।
62. ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ কোন্টি?
উত্তর আর্যভট্ট।
63. ভারতের প্রথম কোন চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করে?
উত্তর চন্দ্রযান-11
64. ভারতের প্রথম চন্দ্রযান কবে চাঁদে অবতরণ করে?
উত্তর 2008 খ্রিস্টাব্দে।
65. মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে কোন্ যান ব্যবহার করা হয়?
উত্তর স্পেস শাটল।
66. ভারতের প্রথম মহাকাশচারীর নাম কী?
উত্তর রাকেশ শর্মা।
67. কোন মহিলা মহাকাশচারী মহাকাশে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন?
উত্তর সুনীতা উইলিয়ামস।
68. সর্বপ্রথম কে চাঁদের মাটিতে পা রাখেন?
উত্তর নিল আর্মস্ট্রং।
69. কবে পৃথিবীর মানুষ প্রথম চাঁদে পা রাখেন?
উত্তর 1969 খ্রিস্টাব্দের 16 জুলাই।
70. যে চন্দ্রযানে করে মানুষ চাঁদে নেমেছিলেন তার নাম কী?
উত্তর ইগল।
1. বিশ্বব্র্যান্ড বা মহাবিশ্ব কী?
উত্তর মহাকাশে যে অনন্ত পরিসরে ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, উল্কা, ধূমকেতু, ধূলিকণা, গ্যাস প্রভৃতি সমস্ত জ্যোতিষ্ক বিদ্যমান, তাকে বিশ্বব্র্যান্ড বা মহাবিশ্ব বলা হয়।
2. চন্দ্রকলা বলতে কী বোঝো?
উত্তর অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা আবার পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায় চাঁদের আলোকিত অংশের হ্রাসবৃদ্ধিকে চন্দ্রকলা বলে।
3. মঙ্গলগ্রহকে লালগ্রহ বলা হয় কেন?
উত্তর টি মঙ্গলের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে ফেরাস অক্সাইড থাকায় দেখতে লাল হয়। তাই মঙ্গলকে লালগ্রহ বলা হয়।
Short Question Answer
1. নক্ষত্রমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর রাতের আকাশে কাছাকাছি অবস্থিত তারা বা নক্ষত্রগুলিকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে বিভিন্ন আকৃতি তৈরি হয়। এই কাল্পনিক আকৃতির তারার সমষ্টিকে নক্ষত্রমণ্ডল বলে। উত্তর: আকাশে সাতটি উজ্জ্বল তারাকে যোগ করে সপ্তর্ষিমণ্ডল নামক একটি নক্ষত্রমণ্ডল কল্পনা করা হয়েছে।
2. জ্যোতিষ্কের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর আকাশে অসংখ্য ছোটো-বড়ো উজ্জ্বল আলোকিত বিন্দুগুলিকে ‘জ্যোতিষ্ক’ বলে। যেমন-আকাশে দিনেরবেলা সূর্য ও রাতেরবেলা চন্দ্র এবং বহু ছোটো- বড়ো আলোকবিন্দু জ্যোতিষ্ক নামে পরিচিত।
3. ছায়াপথ কী?
উত্তর মহাকাশে অসংখ্য নক্ষত্রের একত্র সমাবেশে গঠিত যে সাদা মেঘের মতো উজ্জ্বল পথের সৃষ্টি হয়, তাকে ‘ছায়াপথ’ বলে। ছায়াপথগুলি ডিম্বাকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি বিভিন্ন আকৃতির হয়। যেমন-আকাশগঙ্গা একটি ছায়াপথ, যে ছায়াপথে সূর্য অবস্থিত।
4. নীহারিকা কাকে বলে?
উত্তর মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ তৈরি হয় তাকে নীহারিকা বলে। এই নীহারিকা থেকেই নক্ষত্রের জন্ম হয়।
5. ‘জ্যোতির্বিজ্ঞান’ কাকে বলে?
উত্তর রাতের আকাশে চাঁদ, সূর্য, তারা, ছায়াপথ, ধূমকেতু, উল্কা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয়, তাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান বলে। বিজ্ঞানের সবচেয়ে পুরোনো চর্চা হল জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা।
6. তারাগুলির রং দেখে আমরা কী বুঝতে পারি?
উত্তর তারার রং দেখে বোঝা যায় তারাটি কতটা উন্ন। ছোটো লাল তারার উয়তা সবথেকে কম। মাঝারি হলুদ তারার
উন্নতা আর একটু বেশি। নীল রঙের উজ্জ্বল তারার উয়তা প্রচণ্ড বেশি এবং বেশ উজ্জ্বল প্রকাণ্ড সাদা তারার উন্নতা এবং উজ্জ্বলতা দুইই সবথেকে বেশি।।
7. প্ল্যানেটোরিয়ামে গেলে কী কী দেখা যায়?
উত্তর তিন প্ল্যানেটোরিয়ামে গেলে কৃত্রিমভাবে তৈরি মহাকাশ, গ্রহ, তারা-সবকিছু দেখতে পাওয়া যায়। যা থেকে আমরা মহাকাশ সম্পর্কে সাধারণ কিছু ধারণা লাভ করতে পারি।
8. ‘আলোকবর্ষ’ কাকে বলে?
উত্তর চত্তর বায়ুশূন্য অবস্থায় আলোর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিমি। এই গতিবেগে 1 বছরে আলো যতটা দূরত্ব পার হয়, তাকে এক আলোকবর্ষ বলে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন নক্ষত্র, ছায়াপথের দূরত্ব এই ‘আলোকবর্ষ’ এককে পরিমাপ করেন।
9. কোন কোন নক্ষত্রমণ্ডলকে মানুষ কী কী ভাবে কল্পনা করেছে?
উত্তর উত্তর: আকাশে সাতটি উজ্জ্বল তারাকে নিয়ে গঠিত হয় ‘সপ্তর্ষিমণ্ডল’ যাকে অনেকটা ‘উলটানো জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো মনে হয়। আকাশে ইংরেজি ‘M’ অক্ষরের মতো ‘ক্যাসিওপিয়া’, ক্রুশচিহ্নের মতো ‘বকমণ্ডল’ এবং সুন্দর নক্ষত্রপুঞ্জ ‘কালপুরুষ’-কে পুরাকাহিনির এক সাহসী শিকারিরূপে কল্পনা করা হয়েছে।
10. আকাশে তারাগুলি মিটমিট করে কেন?
উত্তর পৃথিবীর চারিদিকে ঘিরে রেখেছে বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী থেকে বহুদূরে অবস্থিত তারার আলো যখন ওই বায়ুস্তর ভেদ করে আসে তখন কেঁপে যায়। তাই পৃথিবী থেকে আকাশে তারাগুলিকে মিটমিট করতে দেখা যায়।
11. টেলিস্কোপ কী?
উত্তর মহাকাশ বা আকাশ পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত কাচ লাগানো লম্বা চোং-যুক্ত যন্ত্রকে টেলিস্কোপ বা দূরবিন যন্ত্র বলে। শক্তিশালী টেলিস্কোপ থেকে দুশো কোটি আলোকবর্ষ দূরের তারাও দেখা যায়।
12. ‘অবজারভেটরি’ বা ‘মানমন্দির’ কী?
উত্তর প্রতিটি টেলিস্কোপের জন্য একটি বিরাট গোলাকার গম্বুজ তৈরি করতে হয়, যাকে ‘মানমন্দির’ বা ‘অবজারভেটরি’ বলে। এখানে শক্তিশালী টেলিস্কোপ বসিয়ে দুশো কোটি আলোকবর্ষ দূরের তারাদেরও দেখা যায়।
13. সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তর আকাশগঙ্গা ছায়াপথের অসংখ্য তারার মধ্যে একটি মাঝারি হলুদ তারা হল সূর্য। প্রায় 460 কোটি বছর আগে সূর্যের উৎপত্তি ঘটে। সূর্যকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ইত্যাদি ঘুরে চলেছে। এইসব কিছু নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে সৌরজগৎ বা সৌরপরিবার।
14. ‘সৌরঝড়’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর সূর্যের ছটামণ্ডল বা করোনা অঞ্চলে ছোটো ছোটো বিস্ফোরণ হলে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা (ফোটোন কণা), গ্যাস, রশ্মি বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে ‘সৌরঝড়’ বলে। এই সৌরঝড়ের তীব্রতা প্রতি 11 বছর অন্তর বেশি হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
15. খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে রেটিনা পুড়ে গিয়ে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে সূর্যগ্রহণের সময়ও খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো উচিত নয়।
16. গ্রহ কাকে বলে?
উত্তর যেসকল জ্যোতিষ্ক নক্ষত্রের আকর্ষণে নক্ষত্রের চারদিকে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে, তাদের ‘গ্রহ’ বলে। গ্রহদের নিজস্ব কোনো আলো কিংবা উত্তাপ নেই। সৌরজগতের গ্রহরা সূর্যের আলোতে আলোকিত ও উত্তপ্ত হয়। যেমন-সূর্যের আটটি গ্রহ আছে।
17. অন্তঃস্থ গ্রহ কাকে বলে?
উত্তর: তিন যেসমস্ত গ্রহগুলি সূর্যের নিকটবর্তী সৌরপরিবারের ভিতরের দিকে অবস্থান করে, তাদের অন্তঃস্থ বা পার্থিব গ্রহ বলে। যেমন-বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল হল সৌরপরিবারের অন্তঃস্থ গ্রহ।
18. বহিস্থ গ্রহ কাকে বলে?
উত্তর টিন যেসমস্ত গ্রহগুলি সূর্যের থেকে দূরবর্তী বা বাইরের দিকে অবস্থান করে, তাদের বহিস্থ গ্রহ বলে। যেমন-বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, ও নেপচুন হল সৌরপরিবারের বহিস্থ গ্রহ।
19. অতিকায় গ্যাসীয় গ্রহ কাকে বলে?
উত্তর ভিন্ন সৌরজগতের বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনের মধ্যে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন গ্যাস ভরতি। এই গ্রহগুলি অন্য গ্রহগুলির তুলনায় আয়তনে অনেক বড়ো। তাই এই গ্রহগুলিকে অতিকায় গ্যাসীয় গ্রহ বলা হয়।
20. গ্রহদের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর ভিন গ্রহদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① গ্রহের নিজস্ব আলো ও উত্তাপ নেই; নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত; ③ নক্ষত্রের আকর্ষণে নক্ষত্রের চারিদিকে ঘোরে; ④ গ্রহ নক্ষত্রের থেকে অনেক ছোটো হয়।
21. বামন গ্রহ কাকে বলে?
উত্তর টি চাঁদের থেকেও ছোটো যে সমস্ত গ্রহ নিজের কক্ষপথে কোনো মহাজাগতিক বস্তু এলে, তাকে সরিয়ে দিতে পারে না, সেই সমস্ত গ্রহকে বামন গ্রহ বলা হয়। যেমন-প্লুটো।
22. প্লুটোকে কেন বামন গ্রহ বলা হয়?
উত্তর টিপ্লুটো আকারে চাঁদের থেকেও ছোটো। প্লুটো নিজের কক্ষপথে মহাজাগতিক বস্তু প্রবেশ করলে, তাকে সরাতে পারে না। তাই 2006 খ্রিস্টাব্দে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা প্লুটোকে বামন গ্রহের আখ্যা দিয়েছেন।
23. নক্ষত্র কাকে বলে?
উত্তর মহাকাশে ভাসমান যেসকল জ্যোতিষ্কের নিজের আলো ও উত্তাপ আছে এবং যারা আয়তনে বৃহৎ ও মিটমিট করে জ্বলে, তাদের ‘নক্ষত্র’ বলে। এরা প্রধানত এক- একটি অতিবিশাল গ্যাসীয় পিণ্ড। বিজ্ঞানীদের ধারণা নক্ষত্রগুলি নীহারিকা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণ-সূর্য, ধ্রুবতারা প্রভৃতি।
24. উপগ্রহ বলতে কী বোঝো?
উত্তর যেসকল জ্যোতিষ্ক গ্রহের আকর্ষণে নির্দিষ্ট কক্ষপথে, নির্দিষ্ট সময় ও গতিবেগে, নির্দিষ্ট গ্রহের চারদিকে ঘোরে, তাদের উপগ্রহ বলে। যেমন-পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হল চাঁদ।
25. গ্রহাণুপুঞ্জ কাকে বলে?
উত্তর ত্তির গ্রহের মতো খুব ছোটো ছোটো জ্যোতিষ্ক নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে ঘোরে, তাদের একত্রে ‘গ্রহাণুপুঞ্জ’ বলে। সৌরজগতে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে প্রায় 40 হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ দেখা যায়। সেরেস সৌরপরিবারের বৃহত্তম গ্রহাণু।
26. চন্দ্রকলা ও চান্দ্রমাস কাকে বলে?
উত্তর একটি অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা ও পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায় চাঁদের আলোকিত অংশের বাড়া-কমাকে চন্দ্রকলা বলে। এক পূর্ণিমা থেকে প্রায় আর এক পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান প্রায় সাড়ে উনত্রিশ দিন। এই সময়কালকে চান্দ্রমাস বলে।
27. উল্কা কাকে বলে?
উত্তর ধূমকেতু, গ্রহাণুপুঞ্জের ভাঙা টুকরো পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে প্রচণ্ড বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে ঘষা লেগে জ্বলতে শুরু করে। এদের উল্কা বলা হয়।
28. সৌরকলঙ্ক কী?
উত্তর তিন দূরবিন যন্ত্রে সূর্যের পৃষ্ঠদেশে কিছু কালো কালো দাগ লক্ষ করা হয়, যাদের ‘সৌরকলঙ্ক’ বলে। সূর্যের পৃষ্ঠদেশের কালো দাগগুলি মূলত এক-একটি বড়ো গর্ত, যা কম উন্নতার কারণে পৃথিবী থেকে কালো দেখায়।
29. ধূমকেতু কাকে বলে?
উত্তর ঝাঁটার মতো ল্যাজবিশিষ্ট উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ককে ধূমকেতু বলা হয়। সূর্যের কাছাকাছি এলে ধূমকেতুর ধুলো, গ্যাস জ্বলতে শুরু করে এবং ল্যাজের মতো আকৃতি তৈরি হয়।
30. ধ্রুবতারা কী?
উত্তর আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রটিকে ‘ধ্রুবতারা’ বলা হয়। ধ্রুবতারাকে উত্তর আকাশে সারাবছর একটি নির্দিষ্ট স্থানে দেখা যায়। এইজন্য এই তারাকে দেখে অন্ধকার রাতে দিক ঠিক করা যায়। পূর্বে নাবিকেরা ধ্রুবতারা দেখে দিনির্ণয় করতেন।
31. রকেট কী?
উত্তর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এড়িয়ে যে-যান খুব সহজে দ্রুতগতিতে মহাকাশে পাড়ি দিতে পারে, তাকে রকেট বলে। রকেটের জ্বালানি পুড়ে তৈরি হওয়া গ্যাসের প্রবল ধাক্কায় রকেট উপরের দিকে ওঠে।
32. ‘স্পেস স্যুট’ কাকে বলে?
উত্তর মহাকাশে যাওয়ার পোশাককে ‘স্পেস স্যুট’ বলে। এই পোশাকের ভিতরে হাওয়া ভরা থাকে, এমনভাবে তৈরি হয়, যাতে মহাকাশের কোনো রশ্মি এর কোনো ক্ষতি করতে না-পারে।
33. স্পেস শাটল কী?
উত্তর এক বিশেষ ধরনের মহাকাশযান হল স্পেস শাটল। এটি মহাকাশ থেকে ফেরার সময় নিরাপদে এরোপ্লেনের মতো রানওয়েতে নামতে পারে। এ ছাড়া, এই স্পেস শাটল-এর মাধ্যমে মহাকাশে যন্ত্রপাতি, খাবার প্রভৃতি পাঠানো হয়। যেমন-নাসার স্পেস শাটল ‘কলম্বিয়া’।
34. কৃত্রিম উপগ্রহ কী কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর মানুষের তৈরি যন্ত্র যা পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সমুদ্র পরিবহণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কতা এবং মহাকাশ গবেষণায় এই কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহৃত হয়।
35. ‘কিউরিওসিটি’ রোভার কোন উদ্দেশ্যে মঙ্গলে অবতরণ করে?
উত্তর 2012 খ্রিস্টাব্দে ‘কিউরিওসিটি’ রোভার মঙ্গলে অবতরণ করে, যার উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের মাটি, জল, আবহাওয়া, প্রাণের অস্তিত্ব সংক্রান্ত গবেষণা করা।
36. চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কোন ভুল ধারণা আছে?
উত্তর চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ চলাকালীন জল, রান্না করা খাবারে বিষক্রিয়া হয়, বাড়ির বাইরে যেতে হয় না-এমন কিছু ভ্রান্ত ধারণা আজও মানুষের মধ্যে রয়েছে। চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ অতি সাধারণ মহাজাগতিক ঘটনা।
37. চন্দ্রগ্রহণ কীভাবে হয়?
উত্তর চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়লে পূর্ণিমার দিন চাঁদকে
কিছুটা সময় অন্ধকার দেখায়, যা ‘চন্দ্রগ্রহণ নামে পরিচিত।
38. সূর্যগ্রহণ কীভাবে হয়?
উত্তর অমাবস্যা তিথিতে দিনেরবেলা সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হয়। চন্দ্রের দ্বারা সূর্যের আলো বাধা পেয়ে পৃথিবীতে আসতে পারে না। এর ফলে পৃথিবীর ওপর চাঁদের ছায়া পড়ে এবং সূর্যকে কিছুটা সময় দেখা যায় না, একে ‘সূর্যগ্রহণ’ বলে।
39. প্রথম চন্দ্র অভিযান সম্পর্কে লেখো।
উত্তর 1969 খ্রিস্টাব্দের 16 জুলাই আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে অ্যাপেলো-11 চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর মূল অংশ ‘কলম্বিয়া’-তে মহাকাশচারীরা ছিলেন। এর আরেকটি অংশ যার নাম ছিল ‘ইগল’। এর সাহায্যেই নিল আমস্ট্রং ও এডুইন অলড্রিন চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিলেন 20 জুলাই।
40. ‘ISRO’ কী?
উত্তর ‘ISRO’ ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। 1969 খ্রিস্টাব্দে ‘Indian Space Research Organisation’ বা ISRO প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘ISRO’-এর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। এখান থেকেই 2008 খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রযান-1 প্রেরিত হয়। 2019 খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রযান-2-কে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে পাঠিয়ে ISRO বিশ্বের দরবারে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
41. ‘NASA’ কী?
উত্তর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটির নাম হল ‘The National Aeronautics and Space Administration’ বা ‘NASA’। এই সংস্থাটি 1958 খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়। 2012 খ্রিস্টাব্দে ‘কিউরিওসিটি’ রোভার ‘NASA’ থেকে মঙ্গলে প্রেরণ করা হয়।
42. আর্যভট্ট কী?
উত্তর ভারতের তৈরি প্রথম উপগ্রহটি হল আর্যভট্ট। যেটি 1975 খ্রিস্টাব্দের 19 এপ্রিল উৎক্ষেপণ হয়। তবে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে উৎক্ষেপণের 4 দিন বাদেই আর্যভট্ট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ধ্বংস হয়ে যায়।
43. সৌরঝড় হলে পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর সূর্যের বাইরের অংশে (করোনা) ছোট ছোট বিস্ফোরণ হলে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা, গ্যাস, রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একে সৌরঝড় বলে। সৌরঝড়ের সময় আয়নিত কণা, গ্যাস, রশ্মি ছড়িয়ে পড়ার ফলে পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
Long Question Answer
1. বুধের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর বুধ গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① সূর্যের নিকটতম গ্রহের নাম ‘বুধ’। বুধ একটি অন্তঃস্থ গ্রহ। সূর্য থেকে বুধের দূরত্ব প্রায় 5.8 কোটি কিমি।④ বুধ তার নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরে আসতে সময় নেয় 58 দিন 17 ঘণ্টা। লাগে ৪৪ দিন। বায়ুমণ্ডল নেই। এর সূর্যকে পরিক্রমণ করতে সময় মহাকর্ষ বল কম থাকার কারণে এই গ্রহের কোনো উপগ্রহ নেই। ③ অত্যধিক উন্নতার কারণে বুধগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
2. শুক্র গ্রহ সম্পর্কে লেখো।
উত্তর শুক্রগ্রহ: সূর্য থেকে দূরত্বের বিচারে শুক্র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ। এটি ‘সন্ধ্যাতারা’ নামেও পরিচিত। পৃথিবীর আয়তন ও ওজনের প্রায় সমান আয়তন ও ওজন হওয়ায় শুক্রগ্রহকে পৃথিবীর ‘যমজগ্রহ’ বলে।
শুক্র গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① সূর্য থেকে দূরত্ব প্রায় 10.8 কোটি কিমি। এটি গ্রহদের মধ্যে সূর্য থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে। শুক্র গ্রহটি নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তন করতে সময় নেয় 243 দিন এবং সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে সময় নেয় 225 দিন। ও এটি সৌরজগতের উন্নতম গ্রহ (465° সে)। ④ শুক্রগ্রহের বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কার্বন ডাইঅক্সাইড। এ ছাড়া সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রোজেন ও জলীয় বাষ্প আছে।
3. মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তর সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে মঙ্গল চতুর্থ স্থানে রয়েছে। মঙ্গলকে লালগ্রহ বলা হয়।
মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① মঙ্গল গ্রহ সূর্য থেকে 22.8 কোটি কিমি দূরে রয়েছে। গ্রহটি নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় 24 ঘণ্টা 37 মিনিট এবং সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে সময় নেয় 687 দিন। ③ মঙ্গলগ্রহের গড় উন্নতা প্রায় -23° সেন্টিগ্রেড। ④ এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল রয়েছে। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্প রয়েছে। তবে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেশি পরিমাণে আছে। দুই মেরু অঞ্চল বরফে ঢাকা রয়েছে। ⑤ মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ হল-ডিমোস ও ফোবোস। ⑥ মঙ্গল গ্রহে এখনও পর্যন্ত প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এখানে ভৌমজলের সন্ধান মিলেছে। বিজ্ঞানীরা প্রাণের
অস্তিত্বের সন্ধানে রয়েছেন।
4. সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি সম্পর্কে লেখো।
উত্তর সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে বৃহস্পতি পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এটি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ।
বৃহস্পতি গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① সূর্য থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় বৃহস্পতি গ্রহকে ‘বহিস্থ’ গ্রহ বলে। ② সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব 77.8 কোটি কিমি। ③ বৃহস্পতি গ্রহ নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তন করতে সময় নেয় 9 ঘণ্টা 50 মিনিট এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণ করতে 12 বছর সময় লাগে। ④ এই গ্রহের পৃষ্ঠদেশের উন্নতা -150° সেন্টিগ্রেড। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন গ্যাসের উপস্থিতি নেই। বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা 79টি। এদের মধ্যে বৃহত্তম হল গ্যানিমিড। বৃহস্পতিকে ঘিরে লাল, হলুদ, খয়েরি প্রভৃতি রং-এর বলয় রয়েছে। গ্রহটির গায়ে একটি বড়ো লাল রং-এর দাগ রয়েছে। এই দাগ ঘূর্ণাবর্তের ফলে সৃষ্টি হয়।
5. শনিগ্রহ সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তর সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে শনি সৌরজগতে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ।
শনি গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① গ্রহটি সূর্য থেকে 142.7 কোটি কিমি দূরে অবস্থিত। ② শনি তার নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় প্রায় 10 ঘন্টা এবং সূর্যের চারদিকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় লাগে 29 বছর 6 মাস। ③ গড় উন্নতা প্রায় -184° সেন্টিগ্রেড। ④ এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন গ্যাস বেশি পরিমাণে আছে। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে হিলিয়াম, মিথেন, অ্যামোনিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে।⑤ শনি গ্রহের 53টি উপগ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে টাইটান বৃহত্তম। শনির তিনটি বলয় আছে। এটি সৌরজগতের উজ্জ্বল ও সুন্দরতম গ্রহ। প্রধানত, গ্যাসীয় উপাদান ও গ্রহাণু পুঞ্জীভূত হয়ে বলয়ের সৃষ্টি করেছে।
6. ইউরেনাস গ্রহ সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে এটি সপ্তম স্থানে রয়েছে। এই গ্রহটিকে ফ্রেডারিক উইলিয়াম হার্সেল প্রথম আবিষ্কার করেন। এই গ্রহটি দেখতে কিছুটা সবুজ রঙের। ইউরেনাস গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① সূর্য থেকে প্রায় 287 কোটি কিমি দূরে ইউরেনাস অবস্থিত।② ইউরেনাস তার নিজের চারদিকে ঘুরে আসতে সময় নেয় 17 ঘণ্টা এবং সূর্যের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় প্রায় ৪4 বছর। এটি শীতলতম গ্রহ নামে পরিচিত (-216° সে)। ④ এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন প্রভৃতি রয়েছে। ইউরেনাসের 27টি উপগ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে ‘টাইটানিয়া’ বৃহত্তম। এ ছাড়া মিরান্ডা একটি উল্লেখযোগ্য উপগ্রহ।
7. নেপচুন গ্রহ সম্বন্ধে যা জানো লেখো।
উত্তর সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে এটি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এই গ্রহটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন জোহানজি গ্যালিওলি ভ্যাবিয়ব। গ্রহটি দেখতে সবুজ রঙের হয়।
নেপচুন গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① সূর্য থেকে নেপচুনের দূরত্ব প্রায় 449.7 কোটি কিমি। নেপচুন তার নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরে আসতে সময় নেয় প্রায় 16 ঘণ্টা এবং সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে সময় নেয় প্রায় 165 বছর। ③ গ্রহটির গড় উয়তা প্রায় -214° সেন্টিগ্রেড। ④ নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে হিলিয়াম, মিথেন প্রভৃতি গ্যাস রয়েছে। এই গ্রহের 13টি উপগ্রহ রয়েছে। বৃহত্তম উপগ্রহটির নাম ‘ট্রাইটন’।
৪. সূর্য ও সৌরপরিবারের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে লেখো। প্রায় 460 কোটি বছর আগে মহাশূন্যে ভাসমান
উত্তর ধূলিকণা, হাউড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের বিশাল মেঘ সংকুচিত হয়ে জমাট বেঁধে তৈরি হয়েছে সূর্য। সদ্য জন্মানো নক্ষত্রে মহাকর্ষের কারণে পরমাণু পরমাণুতে ধাক্কা লেগে প্রচণ্ড তাপ ও শক্তি তৈরি হয়। এর ফলে জ্বলন্ত আগুনের গোলার মতো সূর্য থেকে আলো ও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশিষ্ট ধূলিকণা, গ্যাস সূর্যের আকর্ষণে সূর্যের চারিদিকে ঘুরতে থাকে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই ধূলোর মেঘ থেকে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ সৃষ্টি হয়। যা নিয়ে গড়ে উঠেছে সৌরপরিবার। সৌরপরিবারের কেন্দ্রে রয়েছে স্বয়ং সূর্য এবং তাকে ঘিরে পরিক্রমণ করছে অসংখ্য গ্রহাণুপুঞ্জ, গ্রহ, উপগ্রহ প্রভৃতি।
9. কল্পনা করো চাঁদে গিয়ে কী কী মজার ব্যাপার ঘটতে পারে?
উত্তর চাঁদ পৃথিবীর তুলনায় অনেক হালকা, তাই তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হবে। ফলে চাঁদে নিজেদের খুব হালকা মনে হবে। এক লাফে বড়ো বড়ো খানাখন্দ পেরোনো যাবে। এক লাফে উঁচু টিলায় উঠে পড়া যাবে। চাঁদ বায়ুশূন্য হওয়ায় যতই চিৎকার করো না- কেন কেউ শুনতে পাবে না। কারণ, বায়ুশূন্য স্থানে শব্দ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে না।
অনেক ভারী ভারী জিনিসও অনায়াসে তুলে নেওয়া যাবে। কারণ চাঁদে সমস্ত জিনিস পৃথিবীর তুলনায় ছয়ভাগ হালকা হয়ে যায়।
চাঁদে গিয়ে তাই নিজেদের মধ্যে ইশারায় বা রেডিয়োর মাধ্যমে কথা বলতে হয়। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে চাঁদে গিয়ে সব মিলিয়ে দারুণ একটা মজার ব্যাপার ঘটবে।
10. চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে আমরা কী কী জানতে পেরেছি?
উত্তর চন্দ্রপৃষ্ঠে কোথাও কোনো গাছপালা নেই। চারিদিকে রয়েছে এবড়ো-খেবড়ো জমি, ছোটো-বড়ো পাথর, গোল-গোল বিশালাকৃতির গর্ত। চারিদিক ধূসর বর্ণের ধুলোয় পরিপূর্ণ। এই গর্তগুলিতে সূর্যের আলোও পৌঁছোতে পারে না-বলে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায়। চাঁদের আকাশ ঘন কালো। এখানে বাতাস না-থাকায় সূর্যের আলো বিচ্ছুরিত হতে পারে না। তাই কোনো রং নেই। সবকিছুর ওপরই আলো পড়লে সাদা আর না পড়লে কালো দেখায়। দিনের বেলায়ও চাঁদের আকাশে তারা ঝলমল করে। দিনের বেলায় সূর্যের প্রচণ্ড তাপে পাথর ভীষণ গরম হয়ে ওঠে (প্রায় 117° সে) আর রাতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের 150° সে-এর নীচে নেমে যায়। এখানে দিন ও রাত চলে দু-সপ্তাহ ধরে। চাঁদ থেকে পৃথিবীকে প্রকাণ্ড সাদা আর নীল গোলকের মতো দেখতে লাগে।
True and False
1. মহাবিশ্বের প্রসারণ শুরু হয় 14 লক্ষ বছর আগে।
উত্তর: অশুদ্ধ
2. লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র দিয়ে তৈরি হয় এক-একটি ছায়াপথ।
উত্তর: শুদ্ধ
3. ছোটো লাল তারার উন্নতা সবথেকে বেশি।
উত্তর: অশুদ্ধ
4. হাইড্রোজেন, হিলিয়াম গ্যাস, ধূলিকণার বিরাট মেঘ হল আকাশগঙ্গা।
উত্তর: অশুদ্ধ
5. খালি চোখে আমরা সাদা রঙের তারাগুলি দেখতে পাই।
উত্তর: শুদ্ধ
6. আলোর গতিবেগ 1 সেকেন্ডে প্রায় 300,000 কিমি।
উত্তর: শুদ্ধ
7. সাতটি উজ্জ্বল তারা নিয়ে সপ্তর্ষিমণ্ডল গঠিত হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
৪. গ্রহ নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
9. এক সাহসী শিকারিরূপে কালপুরুষকে কল্পনা করা হয়েছে।
উত্তর: শুদ্ধ
10. মঙ্গলগ্রহকে লালগ্রহ বলা হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
11. মঙ্গলগ্রহের আর-এক নাম সন্ধ্যাতারা।
উত্তর: অশুদ্ধ
12. পৃথিবী সৌরপরিবারের একটি বহিস্থ গ্রহ।
উত্তর: অশুদ্ধ
13. শুক্রগ্রহ ঘড়ির কাঁটার দিকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
উত্তর: শুদ্ধ
14. আকাশগঙ্গার লক্ষ কোটি তারার মধ্যে একটি মাঝারি হলুদ তারা হল সূর্য।
উত্তর: শুদ্ধ
15. পৃথিবীর বায়ুস্তরের জন্য আমরা তারাগুলিকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখি।
উত্তর: শুদ্ধ
16. বিরাট নীল তারার উন্নতা প্রচণ্ড বেশি।
উত্তর: শুদ্ধ
17. পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেনটাউরির দূরত্ব 15 কোটি কিমি।
উত্তর: অশুদ্ধ
18. বকমণ্ডলকে অনেকটা ‘M’ অক্ষরের মতো দেখতে।
উত্তর: অশুদ্ধ
19. সূর্যরশ্মির 200 কোটির 1 ভাগ মাত্র পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয়।
উত্তর: শুদ্ধ
20. প্রতি 11 বছর অন্তর সৌরঝড় লক্ষ করা যায়।
উত্তর: শুদ্ধ
21. পৃথিবীর চেয়ে সূর্য 5 লক্ষ গুণ ভারী।
উত্তর: অশুদ্ধ
22. সৌরজগতের সবুজ গ্রহ শনিকে বলা হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ
23. মঙ্গল গ্রহের মাটিতে প্রচুর ফেরাস অক্সাইড আছে।
উত্তর: শুদ্ধ
24. ট্রাইটান হল শনির উপগ্রহ।
উত্তর: অশুদ্ধ
25. চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর 1/6 ভাগ।
উত্তর: শুদ্ধ