Class 6 Chapter 6 Solution
বরফে ঢাকা মহাদেশ
MCQs
1. পৃথিবীর মানচিত্রে আন্টার্কটিকাকে দেখানো হয়-
(i) নীল
(ii) কালো
(iii) সাদা
উওর: (iii) সাদা
2. ‘Antarktika’-র অর্থ হল-
(i) দক্ষিণে বিপরীত
(ii) পূর্বের বিপরীত
(iii) উত্তর: বিপরীত
উওর: (iii) উত্তর:বিপরীত
3. 60° দক্ষিণ অক্ষরেখাকে ঘিরে রয়েছে-
(I) কুমেরু মহাসাগর
(ii) সুমেরু মহাসাগরউওর:
(iii) প্রশান্ত মহাসাগর
উওর: (I) কুমেরু মহাসাগর
4. পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ-
(i) এশিয়া
(ii) সুমেরু মহাদেশ
(iii) আন্টার্কটিকা
উত্তর: সুমেরু মহাদেশ
5. পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ-
(i) উত্তর: আমেরিকা
(ii) আন্টার্কটিকা
(iii) দক্ষিণ আমেরিকা
উওর (iii) দক্ষিণ আমেরিকা
6. আন্টার্কটিকা মহাদেশটি আবিষ্কার করেন-
(i) কলম্বাস
(ii)আমুন্ডন্সেন
(iii) ক্যাপটেন কুক
উত্তর: (ii)আমুন্ডন্সেন
7. আন্টার্কটিকা মহাদেশের আয়তন-
(i) 1 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি
(ii) 3 কোটি 50 লক্ষ বর্গকিমি
(iii) 5 কোটি 30 লক্ষ বর্গকিমি
উত্তর: (i) 1 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি
৪. আয়তন অনুসারে আন্টার্কটিকা মহাদেশটি পৃথিবীর মধ্যে-
(i) পঞ্চম
(ii) সপ্তম
(iii) ষষ্ঠ
উত্তর: (i) পঞ্চম
9. সারাবছরই আন্টার্কটিকায় বরফের স্তরের পুরুত্ব থাকে-
(i) 3-4 কিমি
(ii)1-2 কিমি
(iii) 5-6 কিমি
উত্তর: (iii) 5-6 কিমি
10. ‘সাদা মহাদেশ’ বলা হয়-
(i) এশিয়া মহাদেশকে
(ii) আন্টার্কটিকা মহাদেশকে
(iii) আফ্রিকা মহাদেশকে
উত্তর: (ii) আন্টার্কটিকা মহাদেশকে
11. আন্টার্কটিকা মহাদেশটি অবস্থিত-
(i) উত্তর: গোলার্ধে
(ii) পশ্চিম গোলার্ধে
(iii) দক্ষিণ গোলার্ধে
উওর: (iii) দক্ষিণ গোলার্ধে
12. আন্টার্কটিকার নিকটবর্তী মহাদেশ হল-
(i) ওশিয়ানিয়া
(ii) দক্ষিণ আমেরিকা
(iii) এশিয়া
উওর: (ii) দক্ষিণ আমেরিকা
13. বরফের রাজ্য বলা হয়-
(i) এশিয়াকে
(ii) ইউরোপকে
(iii) আন্টার্কটিকাকে
উওর: (iii) আন্টার্কটিকাকে
14. আন্টার্কটিকা মহাদেশটি একটি বিশাল উঁচু-
(i) মালভূমি
(ii) পর্বত
(iii) সমভূমি
উওর: (i) মালভূমি
15. আন্টার্কটিকা মহাদেশের উচ্চতা-
(i) 3-4 কিমি
(ii) 2-5 কিমি
(iii) 5-6 কিমি
উওর: (ii) 2-5 কিমি
16. আন্টার্কটিকা মহাদেশের ছোটো অংশটি অবস্থিত-
(i) উত্তর: দিকে
(ii) পশ্চিম দিকে
(iii) পূর্বদিকে
উত্তর: (iii) পূর্বদিকে
17. আন্টার্কটিকা মহাদেশের প্রশস্ত অংশটি অবস্থিত—
(i) পূর্বদিকে
(ii) দক্ষিণ দিকে
(iii) উত্তর: দিকে
উত্তর: (i) পূর্বদিকে
18. আন্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি-
(i) ভিনসন ম্যাসিফ
(ii) ল্যাম্বার্ট
(iii) মাউন্ট এরেবাস
উত্তর: (iii) মাউন্ট এরেবাস
19. আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল-
(i) ভিনসন ম্যাসিফ
(ii) ম্যাককিনলে
(iii) উইলহেলম
উত্তর: (i) ভিনসন ম্যাসিফ
20. পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম হল-
(i) সিয়াচেন হিমবাহ
(ii) ল্যাম্বার্ট হিমবাহ
(iii) বলটারো হিমবাহ
উত্তর: (ii) ল্যাম্বার্ট হিমবাহ
21. আন্টার্কটিকাতে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় প্রায়-
(i)420 কিমি
(ii) 500 কিমি
(iii) 320 কিমি
উত্তর: (iii) 320 কিমি
22. আন্টার্কটিকার জলবায়ু-
(i) শীতল নাতিশীতোয় প্রকৃতির
(ii) শীতল প্রকৃতির
(iii) তীব্র শীতল প্রকৃতির
উত্তর: (iii) তীব্র শীতল প্রকৃতির
23. আন্টার্কটিকাতে শীতকালের তাপমাত্রা-
(i)-30° সে থেকে-70° সে
(ii)-40° সে থেকে-75° সে
(iii) -20° সে থেকে-25° সে
উত্তর: (ii)-40° সে থেকে-75° সে
24. রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্রটি হল-
(i)হ্যালি
(ii) ভস্টক
(iii) মৈত্রী
উত্তর: (ii) ভস্টক
25. ভস্টকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা-
(i)-89.2° সে
(ii) -45.2° সে
(iii) -22.3° সে
উত্তর: (i)-89.2° সে
26. আন্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখির নাম হল-
(i)এমু
(ii) পেঙ্গুইন
(iii) হাঁস
উত্তর: (ii) পেঙ্গুইন
27. বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা মহাদেশ অভিযান করেন-
(i) শীতকালে
(ii) গ্রীষ্মকালে
(iii) শরৎকালে
উত্তর: (i) শীতকালে
28. আন্টার্কটিকায় অবস্থিত ভারতের বর্তমান গবেষণাকেন্দ্রটি হল-
(i) দক্ষিণ গঙ্গোত্রী
(ii) মৈত্রী
(iii) হ্যালি
উত্তর: (ii) মৈত্রী
29. অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের প্রথম গবেষণাকেন্দ্রটি হল-
(i) মৈত্রী
(ii) ফ্রিল
(iii) দক্ষিণ গঙ্গোত্রী
উত্তর: (ii) ফ্রিল
30. বিজ্ঞানের মহাদেশ বলা হয়-
(i) অ্যান্টার্কটিকাকে
(ii) এশিয়াকে
(iii) ইউরোপকে
উত্তর: (i) অ্যান্টার্কটিকাকে
31. অ্যান্টার্কটিকায় প্রাপ্ত ক্রিল একধরনের-
(i) পাখি
(ii) চিংড়ি
(iii) উদ্ভিদ
উত্তর: (iii) উদ্ভিদ
Very Short Question Answer
1. কত বছর আগে জানা যায় পৃথিবীর দক্ষিণমেরুতে বা কুমেরুতে বরফ রয়েছে?
উত্তর: প্রায় 200 বছর আগে।
2. অ্যান্টার্কটিকা শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উত্তর:ের বিপরীত।
3. অ্যান্টার্কটিকার অবস্থান কোথায়?
উত্তর: 90° দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে 60° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে।
4. অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে কোন মহাসাগর?
উত্তর: কুমেরু মহাসাগর।
5. ‘শ্বেত মহাদেশ’ কাকে বলা হয়?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে।
6. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অতীত নাম কী ছিল?
উত্তর: টেরা অস্ট্রালিস ইনকগনিকা।
7. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অপর নাম কী?
উত্তর: কুমেরু মহাদেশ।
৪. পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ কোন্টি?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা।
9. অ্যান্টার্কটিকার আয়তন কত?
উত্তর: 1 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি।
10. পৃথিবীর শুষ্কতম, উচ্চতম, শীতল ও দুর্গম মহাদেশ কোন্টি?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা।
11. অ্যান্টার্কটিকা সারাবছর কত পুরু স্থায়ী বরফের চাদরে ঢাকা থাকে?
উত্তর: 1-2 কিমি।
12. পৃথিবীর মানচিত্রে অ্যান্টার্কটিকাকে কী রং-এ দেখানো হয়?
উত্তর: সাদা।
13. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি কী ধরনের ভূমিরূপ দ্বারা গঠিত?
উত্তর: উঁচু মালভূমি।
14. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির নাম লেখো।
উত্তর: মাউন্ট এরেবাস।
15. অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
উত্তর: ভিনসন ম্যাসিফ।
16. পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ কোন্টি?
উত্তর: ল্যাম্বার্ট হিমবাহ।
17. দক্ষিণমেরুতে যেমন বরফে ঢাকা একটি মহাদেশ আছে, সুমেরুতে কী আছে?
উত্তর: সুমেরু বা উত্তর:মেরুতে রয়েছে একটি বিশাল জলভাগ, যার নাম সুমেরু মহাসাগর।
18. অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু কী প্রকৃতির?
উত্তর: চরম শীতল প্রকৃতির।
19. অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত রাশিয়ার একটি গবেষণাকেন্দ্রের নাম লেখো।
উত্তর: ভস্টক।
20. পৃথিবীর শীতলতম স্থানের নাম কী?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্র ভস্টক পৃথিবীর শীতলতম স্থান (-89.2° সেন্টিগ্রেড)।
21. অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত একটি পর্বতমালার নাম করো।
উত্তর: ট্রান্স অ্যান্টার্কটিকা পর্বতশ্রেণি, যার দৈর্ঘ্য 3,500 কিমি।
22. ভস্টক এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত?
উত্তর: 89.2° সে।
23. রামধনু রঙের মতো যে আলোক ছটা দেখা যায়, তাকে কী বলে?
উত্তর: মেরুজ্যোতি।
24. কোন মহাদেশে ঋতুগত তারতম্যে আয়তনের তারতম্য হয়?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে।
25. অ্যান্টার্কটিকাতে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা কত?
উত্তর: 20° সে।
26. অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র স্থায়ী বাসিন্দা কে?
উত্তর: পেঙ্গুইন।
27. ক্রিল কী?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উপকূলীয় সমুদ্রে প্রাপ্ত এক- প্রকার লাল চিংড়ি।
28. অ্যান্টার্কটিকাতে কতরকম প্রজাতির পেঙ্গুইন আছে?
উত্তর: প্রায় সতেরো রকমের।
29. ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পেঙ্গুইনদের ত্বকের নীচে কী থাকে?
উত্তর: পুরু চর্বির স্তর।
30. কুমেরু মহাদেশে কোন কোন সামুদ্রিক পাখি দেখা যায়?
উত্তর: পেঙ্গুইন, পেট্রেল, গ্যাল, স্কুয়া।
31. কত খ্রিস্টাব্দে ভারত প্রথম অ্যান্টার্কটিকা অভিযান করে?
উত্তর: 1982 খ্রিস্টাব্দে।
32. কোন অভিযাত্রী প্রথম কুমেরুতে পৌঁছেছিলেন?
উত্তর: ক্যাপটেন জেমস কুক।
33. কত খ্রিস্টাব্দে মেরু সাগরের নিকট দ্বীপ আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: 1911 খ্রিস্টাব্দের 19 অক্টোবর।
34. কে কুমেরু বিন্দুতে প্রথম পৌঁছেছিলেন?
উত্তর: রোয়াল্ড আমুন্ডসেন।
35. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের তুষারঝড় কী নামে পরিচিত?
উত্তর: ব্লিজার্ড।
36. কাকে বিজ্ঞানের মহাদেশ বলা হয়?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকাকে।
37. কুমেরু মহাদেশে ক-টি দেশের গবেষণাকেন্দ্র আছে?
উত্তর: 40টি দেশের।
38. অ্যান্টার্কটিকার একটি খনিজ সম্পদের নাম লেখো।
উত্তর: খনিজ তেল।
39. অ্যান্টার্কটিকাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিটির নাম কী?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা ট্রিটি।
40. অ্যান্টার্কটিকায় ক-টি গবেষণাকেন্দ্র আছে?
উত্তর: 100-টির বেশি।
41. কত খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়?
উত্তর: 1959 খ্রিস্টাব্দে।
42. অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত গ্রেট ব্রিটেনের গবেষণাকেন্দ্রের নাম কী?
উত্তর: হ্যালি।
43. এমন একটি দেশের নাম লেখো যার গবেষণাকেন্দ্র অ্যান্টার্কটিকাতে আছে?
উত্তর: ভারত।
44. অ্যান্টার্কটিকাতে অবস্থিত ভারতের প্রথম গবেষণাকেন্দ্র কোন্টি?
উত্তর: দক্ষিণ গঙ্গোত্রী।’
45. ভারতের অষ্টম অভিযাত্রী দল কবে অভিযান করে মৈত্রী স্থাপন করেন?
উত্তর: 1988 খ্রিস্টাব্দের 26 মার্চ।
46. আন্টার্কটিকায় অবস্থিত ভারতের দ্বিতীয় গবেষণাকেন্দ্রের নাম কী?
উত্তর: মৈত্রী।
47. দক্ষিণ গঙ্গোত্রী থেকে মৈত্রীর দূরত্ব কত?
উত্তর: 70 কিমি।
48. কী জন্য অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে?
উত্তর: বিশ্বউন্নায়নের কারণে।
49. অ্যান্টার্কটিকার মধ্যে প্রথম কী লক্ষ করা গিয়েছিল?
উত্তর: ওজোনস্তরের গহ্বর।
50. তুষারমুক্ত পর্বতশৃঙ্গকে কী বলে?
উত্তর: নুনাটাক।
51. পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কী? এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহের নাম ল্যাম্বার্ট। এটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত।
52. অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে কোন কোন প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে পেঙ্গুইন, সামুদ্রিক মাছ, তিমি, সিল, ক্রিল ইত্যাদি প্রাণীদের দেখতে পাওয়া যায়।
আমাকে সুমেরুবিন্দুতে প্রথম পৌঁছেছিলেন?
উত্তর: 1909 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার অভিযাত্রী রবার্ট পিয়েরি এবং তাঁর সঙ্গীরা প্রথম সুমেরুবিন্দুতে পৌঁছেছিলেন।
53. ইউরোপ, অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, আমুন্ডসেন।
উত্তর: আমুন্ডসেন
54. রস উপসাগর, কুমেরু মহাসাগর, ল্যাম্বার্ট হিমবাহ।
উত্তর: ল্যাম্বার্ট হিমবাহ
55. ভিনসন ম্যাসিফ, দক্ষিণ গঙ্গোত্রী, মৈত্রী।
উত্তর: ভিনসেন ম্যাসিফ
56. বিয়ার্ডমোর হিমবাহ, বরফের স্তূপ, মেরুজ্যোতি।
উত্তর: মেরুজ্যোতি
57. সামুদ্রিক চিংড়ি, মাছ, পেঙ্গুইন।
উত্তর: পেঙ্গুইন
Short Question Answer
1. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অবস্থান লেখো।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি দক্ষিণ মেরুবিন্দুকে (90° দক্ষিণ) কেন্দ্র করে 60° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মহাদেশটিকে চারদিক দিয়ে দক্ষিণ মহাসাগর বা কুমেরু মহাসাগরীয় জলভাগ বেষ্টন করে আছে।
2. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে কেন সাদা মহাদেশ বলা হয়?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সারাবছর হিমশীতল আবহাওয়া বিরাজ করায় ভূমিভাগ 1-2 কিমি স্থায়ী পুরু বরফে ঢাকা থাকে। তাই পৃথিবীর মানচিত্রে একে সাদা রং-এ দেখানো হয়। তাই অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে ‘সাদা মহাদেশ’ বলা হয়।
3. 1911 খ্রিস্টাব্দের 14 ডিসেম্বর কীসের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর: 1911 খ্রিস্টাব্দের 14 ডিসেম্বর প্রথম পৃথিবীর মানুষ দক্ষিণমেরুতে (90° দ) পদার্পণ করেন। ভয়ংকর প্রতিকূল আবহাওয়া, তুষারঝড়, বরফের স্তরে বড়ো বড়ো ফাটলের বাধাকে এড়িয়ে এই দিন নরওয়ের অভিযাত্রী রোয়াল্ড আমুন্ডসেন ও তাঁর সঙ্গীরা দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছোতে সফল হন। এই জন্য 1911 খ্রিস্টাব্দের 14 ডিসেম্বর দিনটি বিখ্যাত।
4. ‘কুমেরুপ্রভা’ কী?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চলে বছরে ছ-মাস মাঝে মাঝে আকাশজুড়ে বিভিন্ন রঙের আলোর ছটা বা প্রভা দেখা যায়, যাকে কুমেরু অঞ্চলে ‘কুমেরুপ্রভা’ বা ‘অরোরা অস্ট্রালিস’ বলে।
6. অ্যান্টার্কটিকায় বৃষ্টি হয় না কেন?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম মহাদেশ। সারাবছরই এখানে উন্নতা হিমাঙ্কের নীচে থাকে। তাই এখানকার বায়ু জলীয় বাষ্পহীন ও শুষ্ক। সেইজন্য বৃষ্টিপাত হয় না।
7. ‘ক্রিল’ কী?
উত্তর: ক্ৰিল হল একপ্রকার সামুদ্রিক লাল কুঁচো চিংড়ি।
বিজ্ঞানীদের অনুমান এই ক্রিল অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে প্রায় 60 হাজার কোটি টন আছে। এগুলি পেঙ্গুইন, সিল প্রভৃতির প্রধান খাদ্য। বিজ্ঞানীদের ধারণা ক্রিল ভবিষ্যতে পৃথিবীর প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
৪. এম্পেরর কী?
উত্তর: সবচেয়ে বড়ো প্রজাতির পেঙ্গুইন হল এম্পেরর। যারা প্রায় 4 ফুট লম্বা হয় এবং ওজন প্রায় 30 কেজি। সারা শরীর চকচকে পালকে ঢাকা থাকে যা জলে ভেজে না। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ত্বকের নীচে পুরু চর্বির স্তর থাকে।
9. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের স্বাভাবিক উদ্ভিদ সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বেশিরভাগ অংশই সারাবছরই বরফাবৃত থাকে। কেবলমাত্র গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের ধারে সামান্য বরফ গলে গেলে মস, লাইকেন, শ্যাওলা জন্মায়। এই সকল শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ লাল, সবুজ, হলুদ প্রভৃতি রঙের হয়।
10. ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’ কী?
উত্তর: 1982 খ্রিস্টাব্দে 9 জানুয়ারি প্রথম ভারতীয় অভিযাত্রী দল অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছে ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’ নামে ভারতের প্রথম গবেষণাকেন্দ্রটি স্থাপন করেন। বর্তমানে এই গবেষণাকেন্দ্রটি তুষারঝড়ের ফলে নষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয় গবেষণাকেন্দ্র ‘মৈত্রী’ স্থাপন করা হয়েছে।
11. ‘মৈত্রী’ কী?
উত্তর: ‘মৈত্রী’ হল অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত ভারতের গবেষণাকেন্দ্র। এই গবেষণাকেন্দ্রটি 1988 খ্রিস্টাব্দের 26 মার্চ ভারতের অষ্টম অভিযাত্রী দল ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’ থেকে 70 কিমি দূরে স্থাপন করেন।
12. পৃথিবীর শীতলতম জনবসতিহীন স্থান কোন্টি? এর উন্নতা কত?
উত্তর: পৃথিবীর শীতলতম স্থান হল অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্র ভস্টক। এই স্থানের সর্বনিম্ন উন্নতা -89.2° সে।
13. আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড কোন মহাদেশকে বলা হয়? কেন?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকাকে পৃথিবীর সমস্ত দেশের আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড বলা হয়। কারণ, এই মহাদেশে আমেরিকা, নরওয়ে, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, আর্জেন্টিনা, ভারত-সহ প্রায় 40টি দেশের 100 টিরও বেশি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।
Long Question Answer
1.আমা কেমন ছিল সেই অভিযান?
উত্তর: 1908 খ্রিস্টাব্দে 6 জুলাই রবার্ট উত্তর: মেরু জয় করার উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করেন। অভিযানের জন্য তাঁরা 24 জন অভিযাত্রী মিলে 1909 খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসে এলসমেয়ার দ্বীপে (কানাডার) বেস ক্যাম্প তৈরি করেন। শেষ পর্যায়ে তাঁর সঙ্গী হাডসন ও স্থানীয় ইনুইট-কে সঙ্গী করে কঠিন বরফের ওপর দিয়ে উত্তর: মেরুর দিকে যাত্রা করেন। 1909 খ্রিস্টাব্দের 6 এপ্রিল উত্তর: মেরুর দূরত্বে ক্যাম্প তৈরি করে। রবার্ট পিয়েরি এবং তাঁর সঙ্গীরা সুমেরু বিন্দুতে সর্বপ্রথম পৌঁছান। পিয়েরি ওই স্থানটিকেই উত্তর: মেরু মনে করেন।
2. দক্ষিণমেরুতে যেমন বরফ ঢাকা একটি মহাদেশ আছে, সুমেরুতে কী আছে?
উত্তর: দক্ষিণমেরুর মতো সুমেরুতে মহাদেশের ভূখণ্ড নেই, আছে সুমেরু মহাসাগর। প্রচণ্ড শীতলতার জন্য এই মহাসাগরের জল জমে বরফের কয়েক মিটার (3-4 মিটার) পুরু স্তর গড়ে উঠেছে। এই বরফের ওপরে বসবাসকারী অন্যতম প্রাণী হল মেরু-ভালুক। তবে সমুদ্রে সিল, তিমি প্রভৃতি প্রাণী ও মৎস্য দেখা যায়।
3. আন্টার্কটিকার পুরু বরফের স্তর গলে গেলে সমুদ্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাবে। এর ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে কী কী সংকট দেখা দিতে পারে বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: বিশ্বউন্নায়নের ফলে বায়ুমণ্ডলের গড় উন্নতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, আন্টার্কটিকার পুরু বরফের স্তর গলে গেলে সমুদ্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাবে। এর ফলে সারাপৃথিবী জুড়ে যে সংকটগুলি দেখা দিতে পারে, সেগুলি হল-① পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উপকূলের একটা বিরাট অংশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে। ② টোকিও, মুম্বাই, চেন্নাই প্রভৃতি সুন্দর সুন্দর শহরগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।③ উপকূলের ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ নষ্ট হয়ে যাবে এবং উপকূল অঞ্চল সমুদ্রের তলায় তলিয়ে যাবে। ④ বন্যা দেখা দেবে। ⑤ মহাদেশের আয়তন কমে যাবে, মহাসাগরের আয়তন বেড়ে যাবে। লবণাক্ত জলে কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাবে এবং ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে।
4. পৃথিবীর সুমেরু বা উত্তর:মেরু অঞ্চলেও কি জমাট বরফের স্তর আছে? সেই বরফও কি গলছে?
উত্তর: পৃথিবীর সুমেরু বা উত্তর:মেরু অঞ্চলে 6 মাস দিন থাকে এবং বাকি 6 মাস রাত্রি বিরাজ করে। সূর্যের আলো অত্যন্ত তির্যকভাবে পড়ার ফলে এখানকার উয়তাও হিমাঙ্কের নীচে থাকে। সুমেরু সাগরের জল জমে প্রায় 4 মিটারের মতো পুরু বরফের স্তর সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বউন্নায়নের জন্য সেই বরফও এখন ধীরে ধীরে গলছে।
5. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ভূ-প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চমতম (আয়তনে) মহাদেশ। এই মহাদেশটি দক্ষিণমেরুকে কেন্দ্র করে অবস্থিত হওয়ায় মহাদেশটির 98% ভূমিভাগ সারা বছর বরফাবৃত থাকে। এটি প্রাচীন শিল্ড মালভূমির অংশ, যার উচ্চতা 2000-5000 মিটার। এটি. পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ।
① মহাদেশটি মালভূমিময় হলেও পশ্চিমদিকে সেন্টিনল, এলসওয়ার্থ, ট্রান্স অ্যান্টার্কটিকা পর্বতশ্রেণি এবং পূর্বদিকে কুইন আলেকজান্দ্রা, কুইন মড রেঞ্জ প্রভৃতি পর্বতশ্রেণি অবস্থিত।
② প্রশান্ত মহাসাগরের রস উপসাগরের তীরে মাউন্ট এরেবাস অ্যান্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি।
③ ভিনসেন্ট ম্যাসিফ এই মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
④ পৃথিবীর দীর্ঘতম ল্যাম্বার্ট হিমবাহ এখানেই অবস্থিত। এছাড়া বার্ডমোর, মেসার্ভ ইত্যাদি বড়ো বড়ো হিমবাহের অবস্থান রয়েছে।
6. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ অবস্থিত হওয়ায়, এখানে সারাবছরই হিমশীতল আবহাওয়া থাকে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও মাঝে মাঝে একটানা তুষার ঝড় (ব্লিজার্ড) হয়। শীতকালে তাপমাত্রা থাকে -40° সে থেকে -75° সে। পৃথিবীর শীতলতম স্থান ভস্টক অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত। যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে -89.2° সে। এই মহাদেশে মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই অন্ধকার বিরাজ করে। এই সময় অন্ধকার আকাশে সবুজ, নীল, লাল রামধনুর রং-এর মতো আলোর ছটা দেখা যায়, যাকে কুমেরুপ্রভা বা আরোরা অস্ট্রালিস বলে।
7. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের জীবজগতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর: চিরতুষারে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অধিকাংশ ভূমিভাগ বরফাবৃত হওয়ায় এখানে কোনো গাছপালা দেখা যায় না। গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের তীরবর্তী কোনো কোনো অংশে সামান্য বরফ গলে গেলে সেখানে মস, লাইকেন, শ্যাওলা জন্মাতে দেখা যায়। অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র স্থায়ীবাসিন্দা হল পেঙ্গুইন। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও পেঙ্গুইনের দল ঘুরে বেড়াতে পারে। অ্যান্টার্কটিকার চারপাশের সমুদ্রে প্রচুর মাছ, তিমি, সীল ইত্যাদি দেখা যায়। এখানে সমুদ্রে ‘ক্রিল’ নামের একধরনের চিংড়ি জাতীয় পোকা দেখা যায়, যেগুলি পেঙ্গুইনের প্রধান খাদ্য। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাখির সমাবেশ (যেমন-স্কুয়া, গ্যাল ইত্যাদি) দেখা যায়।
8. অ্যান্টার্কটিকাকে বিজ্ঞানের মহাদেশ বলা হয় কেন?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ পৃথিবীর সমস্ত দেশের একটি আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মান, জাপান, আর্জেন্টিনা, ভারতসহ প্রায় চল্লিশটি দেশের একশোটিরও বেশি গবেষণাকেন্দ্র আছে। সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ু, খনিজ সম্পদ প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করছেন। 1959 খ্রিস্টাব্দের চুক্তি অনুসারে পৃথিবীর যে-কোনো দেশ এই মহাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করার সুযোগ পাবে। তবে সেক্ষেত্রে গবেষণা হতে হবে মানবকল্যাণ- এর স্বার্থে। পৃথিবীর কোনো দেশই আন্টার্কটিকার সম্পদকে নিজস্ব অধিকারে রাখতে পারবে না। কেবলমাত্র বিজ্ঞানের স্বার্থে মহাদেশে গবেষণা করতে পারবে। তাই এই মহাদেশকে ‘বিজ্ঞানের মহাদেশ’ বলা হয়।
9. কীভাবে অ্যান্টার্কটিকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের প্রাকৃতিক আবহাওয়া সারা পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব উন্নায়ন, ওজোন ক্ষয়, বায়ুদূষণ ইত্যাদির কারণে অ্যান্টার্কটিকার দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ সংকটের মুখে। ক্রমাগত উন্নতা বৃদ্ধির ফলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ একটু একটু করে গলে যাচ্ছে, ফলে মহাদেশের আয়তন কমছে। যার প্রভাবে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ক্রিল, সিল, পেঙ্গুইন-এদের সবারই সংখ্যা কমছে। এর ফলেই অ্যান্টার্কটিকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাপক মাত্রায় বিঘ্নিত হচ্ছে।
ভুল সংশোধন করো
1. অ্যান্টার্কটিকার বিয়ার্ডমোর হিমবাহ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ।
উত্তর: আন্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট হিমবাহ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ।
2. অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু মহাদেশের মেরুজ্যোতিকে অরোরা বোরিয়ালিস বলে।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু মহাদেশের মেরুজ্যোতিকে অরোরা অস্ট্রালিস বলে।
3. মাউন্ট এরেবাস একটি পর্বতশৃঙ্গ।
উত্তর: মাউন্ট এরেবাস একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি।
4. একসময় অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত একসঙ্গে প্যানথালাসার অংশ ছিল। উত্তর: একসময় অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা,
উত্তর: অস্ট্রেলিয়া, ভারত একসঙ্গে প্যানজিয়ার অংশ ছিল।
5. দক্ষিণমেরু অঞ্চলের বাসিন্দা হল মেরু-ভালুক।
উত্তর: উত্তর:মেরু অঞ্চলের বাসিন্দা হল মেরু-ভালুক।
6. ভারতের গবেষণা কেন্দ্র ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী 1988 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
উত্তর: ভারতের গবেষণা কেন্দ্র ‘মৈত্রী’ 1988 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
7. ভারতের গবেষণা কেন্দ্র ‘মৈত্রী’ 1982 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
উত্তর: ভারতের গবেষণা কেন্দ্র ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’ 1982 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
৪. অ্যান্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখির নাম ইগল।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখির নাম পেঙ্গুইন।
9. ভারতের বিজ্ঞানীরা মার্চ-এপ্রিল মাসে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে যান।
উত্তর: ভারতের বিজ্ঞানীরা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে যান।
10. অ্যান্টার্কটিকার প্রবল তুষারঝড় ‘মিস্ট্রাল’ নামে পরিচিত।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকার প্রবল তুষারঝড় ‘ব্লিজার্ড’ নামে পরিচিত।
শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. অ্যান্টার্কটিকা একসময় প্যানজিয়া ভূখণ্ডের অংশ ছিল।
উত্তর: প্যানজিয়া
2. অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম নামে একটি প্রাচীন মহাদেশ।
উত্তর: শীতলতম
3. অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত একটি উপসাগর হল সর ।
উত্তর: সর
4. কুমেরু মহাসাগর অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটিকে বেষ্টন করে রয়েছে।
উত্তর: কুমেরু
5. অ্যান্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হল কুমেরু মাউন্ট এরেবাস ।
উত্তর: মাউন্ট এরেবাস
6. ভিনসন ম্যাসি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকা
7. পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ ল্যাম্বার্ট ।
উত্তর: ল্যাম্বার্ট
৪. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহটির নাম বিয়ার্ডমোর।
উত্তর: বিয়ার্ডমোর
9. অ্যান্টার্কটিকার মেরুপ্রভাকে অরোরা অস্ট্রালিস বলে।
উত্তর: অস্ট্রালিস
10. অ্যান্টার্কটিকায় বরফের যে-অংশটি সমুদ্রের দিকে হেলে অবস্থান করে, তাকে আইসশেলফ বলে।
উত্তর: আইসশেলফ
11. অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড়ো পেঙ্গুইন হল এম্পেরর এম্পেরর ।
উত্তর: এম্পেরর
12. পৃথিবীর শীতলতম, জনবসতিহীন স্থান হল ভস্টক ।
উত্তর: ভস্টক
True and False
1. ‘Antarkitka’ শব্দের অর্থ দক্ষিণের বিপরীত।
উত্তর: অশুদ্ধ
2. পৃথিবীর পঞ্চম মহাদেশ হল ইউরোপ।
উত্তর: অশুদ্ধ
3. অ্যান্টার্কটিকার আর-এক নাম সাদা মহাদেশ।
উত্তর: শুদ্ধ
4. পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা।
উত্তর: শুদ্ধ
5. পৃথিবীর দুর্গমতম মহাদেশ এশিয়া।
উত্তর: শুদ্ধ
6. প্রশান্ত মহাসাগরের রস উপসাগরের তীরে মাউন্ট এরেবাস অবস্থিত।
উত্তর: শুদ্ধ
7. অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ভিনসন ম্যাসিফ।
উত্তর: অশুদ্ধ
৪. পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ ল্যাম্বার্ট হিমবাহ।
উত্তর: শুদ্ধ
9. ট্রান্স অ্যান্টার্কটিকা পর্বতশ্রেণি 3,500 কিমি দীর্ঘ।
উত্তর: শুদ্ধ
10. রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্রের নাম ভস্টক।
উত্তর: শুদ্ধ