WBBSE Class 6 History Chapter 5 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 5 Solution

খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ 

MCQs

1. ‘জনপদ’ হল-

(i) কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ এলাকা

(ii) শিল্পভিত্তিক গ্রামীণ এলাকা

(iii) শ্রমিকভিত্তিক গ্রামীণ এলাকা

উত্তর:  (i) কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ এলাকা

2. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে মহাজনপদ ছিল-

(i) এগারোটি

(ii) ষোলোটি

(iii)  দুটি

উত্তর: (iii)  দুটি

3. মহাজনপদগুলির মধ্যে যেটি সবচাইতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল, তা হল-

(i) কাশী

(ii) বৃজি

(iii) মগধ

উত্তর: (ii) বৃজি

4. মগধ জনপদের রাজধানী ছিল-

(i) পাটলিপুত্র

(ii) উজ্জয়িনী

(iii) তক্ষশিলা

উত্তর: (i) পাটলিপুত্র

5. দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদ ছিল-

(i) অস্মক

(ii) মৎস

(iii) বৎস

উত্তর: (i) পাটলিপুত্র

6. বজ্জিদের রাজধানী ছিল-

(i)  বৈশালী

(ii) তক্ষশিলা

(iii) চম্পা

উত্তর: (i) পাটলিপুত্র

7. ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিবাদী ধর্ম নামে পরিচিত ছিল-

(i) বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম

(ii) বৈদিক ধর্ম

(iii) খ্রিস্টান ধর্ম

উত্তর: (i) বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম

৪. আজীবিক গোষ্ঠী তৈরি করেন-

(i) ভদ্রবাহু

(ii) মোগগলিপুত্ত তিসস

(iii) মংখলিপুত্ত গোসাল

উত্তর: (iii) মংখলিপুত্ত গোসাল

9. জৈনদের প্রথম তীর্থংকরের নাম হল-

(i) পরেশনাথ

(ii)  মহাবীর

(iii)  ঋষভনাথ

উত্তর: (ii)  মহাবীর

10. জৈনধর্মের চারটি মূল নীতিগুলিকে বলা হয়-

(i) অঙ্গ

(ii)  মহাব্রত

(iii) চতুর্যামব্রত

উত্তর: (ii)  মহাব্রত

11. উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দাক্ষিণাত্যে চলে যাওয়া জৈন সন্ন্যাসীদের নেতা ছিলেন-

(i) মহাবীর

(ii) ভদ্রবাহু

(iii) স্থূলভদ্র

উত্তর: (iii) স্থূলভদ্র

12. ভদ্রবাহুর অনুগামীরা পরিচিত ছিল-

(i) শ্বেতাম্বর নামে

(ii) দিগম্বর নামে

(iii) মহাসম্বর নামে

উত্তর: (ii) দিগম্বর নামে

13. শ্বেতাম্বরদের নেতা ছিলেন-

(i) পার্শ্বনাথ

(ii) স্থূলভদ্র

(iii) ভদ্রবাহু

উত্তর: (i) পার্শ্বনাথ

(i) গৌতম বুদ্ধকে

(ii) ঋষভনাথকে

(iii) মহাবীরকে

উত্তর: (ii) ঋষভনাথকে

15. বুদ্ধের মূল চারটি উপদেশকে বলা হয়-

(i) অষ্টাঙ্গিক মার্গ

(ii) আর্যসত্য

(iii) চতুরার্যসত্য

উত্তর: (ii) আর্যসত্য

16. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি ছিল-

(i) যশ

(ii) মোগগলিপুত্ত তিসস

(iii) মহাকাশ্যপ

উত্তর: (ii) মোগগলিপুত্ত তিসস

17. দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতির অধিবেশন বসেছিল-

(i) রাজগৃহে

(ii) কাশ্মীরে

(iii)  বৈশালীতে

উত্তর: (i) রাজগৃহে

18. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল-

(i) পাটলিপুত্রে

(ii) বৈশালীতে

(iii) কাশ্মীরে

উত্তর: (iii) কাশ্মীরে

19. চতুর্থ বৌদ্ধ ধর্মসংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল-

(i) বৈশালীতে

(ii)কাশ্মীরে

(iii) রাজগৃহে

উত্তর: (iii) রাজগৃহে

20. কনিষ্কের শাসনকালে চতুর্থ বৌদ্ধ ধর্মসংগীতিতে সভাপতি ছিলেন-

(i) বসুমিত্র

(ii) মহাকাশ্যপ

(iii) যশ

উত্তর: (i) বসুমিত্র

21. বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের নাম হল-

(i)  ত্রিপিটক

(ii) গ্রন্থসাহিব

(iii) জেন্দ অবেস্তা

উত্তর: (i) বসুমিত্র

22. বৌদ্ধধর্ম যে-ভাষায় প্রচার করা হত-

(i) সংস্কৃত

(ii) হিন্দি

(iii) পালি

উত্তর: (iii) পালি

Fill in the Blanks

1. ————————-শব্দ থেকেই জনপদ শব্দটি এসেছিল।

(i) গণ

(ii) পদ

(iii) জন।

উত্তর: (iii) জন।

2. জনপদের থেকে যা আয়তন ও ক্ষমতায় বড়ো তাই ——————–।

(i) মহানগর

(ii) মহাস্থান

(iii) মহাজনপদ

উত্তর: (iii) মহাজনপদ

3. ষোড়শ মহাজনপদ ক্রমে কমে ————- টি মহাজনপদে পরিণত হয়েছিল। 

(i)  ২

(ii)  8

(iii)  ৬

উত্তর: (ii)  8

4. দুটি গুরুত্বপূর্ণ গণরাজ্য ছিল ————- ও ————।

(i)   মল্ল, বৃজি

(ii)  কাশী, কোশল

(iii)  মগধ, অঙ্গ

উত্তর: (i)   মল্ল, বৃজি

5. সমুদ্রযাত্রাকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করত —————– ধর্ম।

(i)  বৌদ্ধ

(ii)  জৈন

(iii)  ব্রাহ্মণ্য

উত্তর: (iii)  ব্রাহ্মণ্য

6. জৈনধর্মের প্রধান প্রচারককে বলা হয় —————–।

(i)  তীর্থংকর

(ii)  দিগম্বর

(iii)  মহাযান

উত্তর: (i)  তীর্থংকর

7. গৌতম বুদ্ধ জন্মেছিলেন ————-বংশে।

(i)  লিচ্ছবি

(ii)  শাক্য

(iii)  নন্দ

উত্তর: (ii)  শাক্য

৪. বোধিলাভ করার জন্য সিদ্ধার্থের নাম হয় ———————।

(i)  গৌতম

(ii)  বুদ্ধ

(iii)  সুগত

উত্তর: (ii)  বুদ্ধ

9. ‘বোধি’ কথার অর্থ ————–।

(i)  জ্ঞান

(ii)  বিদ্ধ

(iii)  বোদ্ধা

উত্তর: (ii)  বিদ্ধ

10. সারনাথে গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মপ্রচারের ঘটনা —————- নামে পরিচিত।

(i)  মহাভিনিষ্ক্রমণ

(ii)  ধর্মচক্র প্রবর্তন

(iii)  সন্ন্যাস

উত্তর: (ii)  ধর্মচক্র প্রবর্তন

11. বুদ্ধ যে-আটটি উপায়ের কথা বলেছিলেন, তা হল ————— ।

(i)  চতুরাশ্রম

(ii)  অষ্টমাশ্রম

(iii)  অষ্টাঙ্গিক মার্গ

উত্তর: (iii)  অষ্টাঙ্গিক মার্গ

12. বৌদ্ধদের মধ্যে মূর্তি পুজোয় বিশ্বাসী ছিলে————-।

(i)  মহাযান

(ii)  শ্বেতাম্বর

(iii)  হীনযান

উত্তর: (i)  মহাযান

13. ————— ভাষা ও সাহিত্য উন্নত হয়েছিল জৈনধর্মের হাত ধরে ।

(i)  সংস্কৃত

(ii)  প্রাকৃত

(iii)  পালি

উত্তর: (iii)  পালি

14. জৈনধর্মের থেকে বৌদ্ধধর্মে ———— ধারণা আলাদা।

(i)  পঞ্চরত্ন

(ii)   ত্রিরত্ন

(iii)  চতুমার্গ

উত্তর: (iii)  চতুমার্গ

15. সোনার —————  সেরিবার আর পাওয়া হল না।

(i)  বাটিটি

(ii)  গেলাসটি

(iii)  থালাটি

উত্তর: (iii)  থালাটি

Very Short Question Answer

1. জন কী?

উত্তর: গ্রামের থেকে বড়ো অঞ্চলকে জন বলে।

 2. জনপদ কাকে বলে?

উত্তর: প্রাচীন ভারতে সাধারণ মানুষ বা জনগণ যেখানে বসবাস করত তাকে বলা হত জনপদ।

3.জনপদগুলি কীসে পরিণত হয়?

উত্তর:  জনপদগুলি মহাজনপদে পরিণত হয়।

4.ষোড়শ মহাজনপদের মধ্যে কোন্ চারটি মহাজনপদ অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল?

উত্তর: ষোড়শ মহাজনপদের মধ্যে অবন্তী, বৎস, কোশল ও মগধ এই চারটি মহাজনপদ অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল।

5.ষোড়শ মহাজনপদের সময়ের একটি গণরাজ্যের নাম লেখো।

উত্তর: ষোড়শ মহাজনপদের সময়ের একটি গণরাজ্যের নাম হল বৃজি।

 6.কত খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ হর্যঙ্ক বংশের শাসন শুরু হয়?

উত্তর: ৫৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ হর্যঙ্ক বংশের শাসন শুরু হয়।

7. সাধারণ মানুষ কোন ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল?

উত্তর:সাধারণ মানুষ বৈদিক ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।

8.মহাবীর কত বছর বয়সে সংসার ছেড়ে তপস্যা করতে চলে যান?

উত্তর: মহাবীর তিরিশ বছর বয়সে সংসার ছেড়ে তপস্যা করতে চলে যান।

9.কেবলিন নামে কে পরিচিত?

উত্তর: কেবলিন নামে পরিচিত বর্ধমান মহাবীর।

10.জৈনধর্মের প্রধান প্রচারককে কী বলা হত?

উত্তর: জৈনধর্মের প্রধান প্রচারককে তীর্থংকর বলা হত।

 11.পঞ্চমহাব্রত কে প্রবর্তন করেন?

উত্তর: মহাবীর পঞ্চমহাব্রত প্রবর্তন করেন।

 12.জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী?

উত্তর: জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম দ্বাদশ অঙ্গ।

13.জৈনদের দুটি সম্প্রদায় কী?

উত্তর: জৈনদের দুটি সম্প্রদায় হল শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর।

14.জৈনরা কোন্ কোন্ ভাষায় সাহিত্য লিখত?

উত্তর: জৈনরা অর্ধ-মাগধী ও প্রাকৃত ভাষায় সাহিত্য লিখত।

 15.মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেন?

 উত্তর: পাবা নগরে মহাবীর দেহত্যাগ করেন।

16.কল্পসূত্র কার রচনা?

উত্তর: কল্পসূত্র জৈন শ্রমণ ভদ্রবাহুর রচনা।

17.‘জিন’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘জিন’ শব্দের অর্থ হল রিপুজয়ী বা জিতেন্দ্রিয়।

18.কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধদেবের জন্ম হয়?

উত্তর:  আনুমানিক ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধদেবের জন্ম হয়।

19.গৌতম বুদ্ধের প্রথম নাম কী ছিল?

উত্তর:গৌতম বুদ্ধের প্রথম নাম ছিল সিদ্ধার্থ।

20.যে পিপল গাছের নীচে বুদ্ধদেব বোধিলাভ করেছিলেন, ওই গাছটিকে কী বলা হয়?

উত্তর: যে পিপল গাছের নীচে বুদ্ধদেব বোধিলাভ করেছিলেন, ওই গাছটিকে বলা হয় বোধিবৃক্ষ।

21.গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: নেপালের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তুর লুম্বিনী উদ্যানে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন।

22.তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কার সভাপতিত্বে হয়?

উত্তর: তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি মোগগলিপুত্ত তিসস-এর সভাপতিত্বে হয়।

23.ত্রিপিটককে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর: ত্রিপিটককে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

24.ত্রিপিটক কোন ভাষায় লেখা?

উত্তর: ত্রিপিটক পালি ভাষায় লেখা।

 25.বৌদ্ধ ধর্মসাহিত্যগুলি কোন ভাষায় লেখা?

উত্তর: বৌদ্ধ ধর্মসাহিত্যগুলি পালি ভাষায় লেখা।

26.বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের একটি ধারণাগত মিল লেখো।

উত্তর: বৌদ্ধ ও জৈন উভয় ধর্মই ব্রাহ্মণ্য ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল।

 27.ত্রিপিটকের গল্পগুলিকে কী বলা হয়?

উত্তর: ত্রিপিটকের গল্পগুলিকে জাতক বলা হয়।

28.সেরিবান ও সেরিবা গল্পটি কোন্ জাতক থেকে পাওয়া যায়?

উত্তর: সেরিবাণিজ-জাতক থেকে সেরিবান ও সেরিবা গল্পটি পাওয়া যায়।

Short Question Answer

 a. ষোড়শ মহাজনপদ কাকে বলে?

উত্তর: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে বর্তমান আফগানিস্তানের কাবুল থেকে দক্ষিণ ভারতের গোদাবরী নদীর তীর পর্যন্ত ১৬টি যে-বড়ো বড়ো রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল, তাদেরকে একত্রে ষোড়শ মহাজনপদ বলে।

 b. অরাজতান্ত্রিক মহাজনপদগুলির শাসনব্যবস্থা কীভাবে চলত?

উত্তর: অরাজতান্ত্রিক মহাজনপদগুলিতে রাজার কোনো শাসন প্রচলিত ছিল না। সেখানে একাধিক উপজাতি বসবাস করত এবং তারা নিজের নিজের রাজ্যে অরাজতান্ত্রিক শাসন কায়েম রাখত।

c. মগধ মহাজনপদে যে-তিনটি রাজবংশ রাজত্ব করেছিল তার মধ্যে দুটির নাম লেখো।

উত্তর:  মগধ মহাজনপদে যে-তিনটি রাজবংশ রাজত্ব করেছিল তার মধ্যে দুটি রাজবংশের নাম হল-হর্যঙ্ক ও নন্দ।

d. মগধের উত্থানের দুটি কারণ লেখো।

উত্তর:  মগধের উত্থানের দুটি কারণ হল-

(i) মগধের ভৌগোলিক অবস্থান একে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ও সম্পদ দিয়েছিল।

(ii) মগধের উদ্যমী রাজাদের কৃতিত্বে মগধ শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।

 e. দুটি রাজতান্ত্রিক এবং দুটি অরাজতান্ত্রিক মহাজনপদের নাম লেখো।

উত্তর:  খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের দুটি রাজতান্ত্রিক মহাজনপদ হল বৎস ও অবন্তী এবং দুটি অরাজতান্ত্রিক মহাজনপদের নাম হল বৃজি ও মল্ল।

f. গণরাজ্য কী?

উত্তর:  কতকগুলি মহাজনপদ ছিল অরাজতান্ত্রিক। সেখানে কোনো রাজতন্ত্র ছিল না। সেগুলিকে বলা হত গণরাজ্য।

g. সমাজের কোন্ কোন্ অংশের মানুষ নব্যধর্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন?

উত্তর:  ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ নব্যধর্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন।

h. জৈন ও বৌদ্ধদের আগে ব্রাহ্মণদের ও ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বিরোধিতা করেছিলেন কোন দুটি গোষ্ঠী?

উত্তর:  জৈন ও বৌদ্ধদের আগে ব্রাহ্মণদের ও ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বিরোধিতা করেছিলেন চার্বাক ও আজীবিক গোষ্ঠী।

i. জৈনধর্মে মোট কতজন তীর্থংকর ছিলেন? তাঁদের মধ্যে শেষ তীর্থংকর কে?

উত্তর:  জৈনধর্মে মোট ২৪ জন তীর্থংকর ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শেষ তীর্থংকর ছিলেন বর্ধমান মহাবীর।

j. জৈনধর্মে ‘অঙ্গ’ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:  জৈনধর্মের মূল উপদেশগুলি বারোটি ভাগে বিন্যস্ত। এই ভাগগুলিকে বলা হয় ‘অঙ্গ’। সংখ্যায় বারোটি বলে এইগুলিকে একসঙ্গে দ্বাদশ অঙ্গ বলা হয়।

 k. জৈনধর্মে ত্রিরত্ন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:  সৎ বিশ্বাস, সৎ জ্ঞান ও সৎ আচরণ-এই তিনটিকে একত্রে জৈনধর্মে ত্রিরত্ন বলা হয়।

l. ত্রিপিটক কী?

উত্তর: বৌদ্ধদের প্রধান গ্রন্থের নাম ত্রিপিটক। ত্রিপিটক তিনটি ভাগে বিভক্ত, যথা-সুত্তপিটক, বিনয়পিটক ও অভিধর্মপিটক।

m. কি মধ্যপন্থা বা মঝঝিম কী?

উত্তর: বুদ্ধের মতে, কঠোর তপস্যা নির্বাণ বা মুক্তিলাভের উপায় নয়, আবার চূড়ান্ত ভোগবিলাসেও মুক্তি পাওয়া যায়

না, বুদ্ধ তাই মধ্যপন্থা পালনের কথা বলেছেন যা মঝঝিম পন্থা নামেও পরিচিত।

n. জাতকের গল্প কোন্ ভাষায় লেখা হয়? এই গল্পগুলির মূলবিষয় কী?

উত্তর:  জাতকের গল্প পালি ভাষায় লেখা হয়। এই গল্পগুলির মূলবিষয় ছিল গৌতম বুদ্ধের নানাসময়ের জন্মের কাহিনি।

o. দ্বাদশ অজ্ঞঙ্গ কী?

উত্তর:  জৈনধর্মের মূল উপদেশগুলি বারোটি ভাগে বা অঙ্গে সাজানো হয়েছিল। এই বারোটি অঙ্গকে একসঙ্গে দ্বাদশ অঙ্গ বলা হয়।

p. দিগম্বর কাদের বলা হয়?

উত্তর: জৈন তীর্থংকর মহাবীরের মতোই ভদ্রবাহু ও তাঁর অনুগামীরা কোনো পোশাক পরতেন না। এর জন্যেই তাঁদের দিগম্বর বলা হয়।

q. শ্বেতাম্বর কাদের বলা হয়?

উত্তর: পার্শ্বনাথের মতোই স্থূলভদ্র ও তাঁর অনুগামীরা একটি সাদা কাপড় ব্যবহারের পক্ষপাতী ছিলেন। এরা জৈনধর্মে শ্বেতাম্বর নামে পরিচিত।

r. বোধিবৃক্ষ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ গয়ার নিকটবর্তী যে পিপল গাছের নীচে বসে তপস্যা করেছিলেন এবং বোধি বা জ্ঞানলাভ করেছিলেন। সেই গাছটিকে বলা হয় বোধিবৃক্ষ।

s. মহাভিনিষ্ক্রমণ কাকে বলে?

উত্তর:  গৌতম বুদ্ধ একদিন রাত্রে সন্ন্যাস নেওয়ার উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করেন। তাঁর এই গৃহত্যাগের ঘটনা মহাভিনিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত। এরপর দীর্ঘ তপস্যার পর তিনি ‘বুদ্ধত্ব’ লাভ করেন।

t.কোন ঘটনাকে ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন’ বলা হয়েছে?

উত্তর:  বোধিলাভের পর বুদ্ধদেব গয়া থেকে বারাণসীর কাছে সারনাথে যান। সেখানে পাঁচজন সঙ্গীর মধ্যে তাঁর উপদেশ প্রথম প্রচার করেন। এই পাঁচজনই তাঁর প্রথম পাঁচ শিষ্য হয়েছিলেন। তাঁদের কাছে তিনি মানুষের জীবনের দুঃখের কারণগুলি ব্যাখ্যা করেন। পরবর্তী সময়ে এই ঘটনাকে ধর্মচক্র প্রবর্তন বলা হয়েছে।

u. আর্যসত্য কী?
উত্তর: বুদ্ধদেব তার অনুগামীদের চারটি মহান সত্য সম্বন্ধে অবহিত করান। এগুলি আর্যসত্য নামে পরিচিত। এগুলি হল ইহজগৎ দুঃখময়, দুঃখের কারণ আছে, দুঃখ নিবৃত্তি সম্ভব এবং দুঃখ নিবৃত্তির শ্রেষ্ঠ পথ জানতে হবে।

Long Question Answer

a. জনপদগুলি কীভাবে মহাজনপদে পরিণত হয়?

উত্তর:  গ্রামের তুলনায় বৃহৎ অঞ্চলগুলিকে জনপদ বলে। জন থেকে এসেছে ‘জনপদ’। অর্থাৎ, জনগণ যেখানে পদ বা পা রেখেছে। বৈদিক যুগের শেষপর্বে এইরকম বহু জনপদ ছিল।

(i) জনপদের কিছু রাজারা ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন,

(ii) কিছু রাজারা তাদের সীমানা বাড়াতে থাকেন,

(iii) রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, এইভাবে জনপদ থেকে মহাজনপদের সৃষ্টি হয়।

b.গঙ্গা উপত্যকার মহাজনপদগুলি কেন শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল?

উত্তর: গঙ্গা উপত্যকার মহাজনপদগুলি শক্তিশালী হওয়ার কারণগুলি হল-

(i) গঙ্গা উপত্যকায় ছিল সমতল অঞ্চল। ফলে অনায়াসেই রাজ্যজয় করা যেত।

(ii) বৃষ্টি ও বন্যা হওয়ার ফলে এই এলাকার পলিমাটি হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত উর্বর। ফলে এখানে ভালো চাষ-আবাদ হত। এলাকাটি ছিল বনজ সম্পদে সমৃদ্ধ।

(iii) নদীপথে বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুবিধা ছিল। ফলে এই এলাকার মহাজনপদগুলি সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল।

 c.গৌতম বুদ্ধের সময় বজ্জিদের অবস্থা কেমন ছিল?

উত্তর:  বুদ্ধের সমকালীন বজ্জিদের অবস্থা উল্লেখ করা হল-

(i) গৌতম বুদ্ধের সময় বজ্জিরা একত্রে বসবাস করত। তারা স্বাধীনতা ভোগ করত। বজ্জির অপর নাম বৃজি বা বৃদ্ধি।

(ii) বজ্জিদের রাজধানী ছিল বৈশালীতে। বৈশালীর পাশাপাশি থাকত লিচ্ছবিরা। গৌতম বুদ্ধ নিজেই বজ্জিদের একজোট হওয়ার নিয়মাবলি ঠিক করে দিয়েছিলেন। ফলে মনে হয় বজ্জিদের লিখিত আইন ছিল।

(iii) বজ্জি রাজ্য ছিল গণতান্ত্রিক। সেখানে কোনো নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হত না।

d.বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের উত্থানের কারণ কী ছিল?

উত্তর:  বৈদিক ধর্মের অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ধর্মের (বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম) উত্থান ঘটে। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থানের কারণগুলি হল-

(i) বৈদিক ধর্মের অত্যধিক যাগযজ্ঞ ও পশুবলি প্রথা সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করেছিল। এই শূন্যস্থান পূরণ করেছিল বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম।

(ii) লোহার ব্যবহার যেমন কৃষিকার্যে পরিবর্তন এনেছিল তেমনি লোহার অস্ত্রাদি ক্ষত্রিয়কে শক্তিশালী করেছিল। এই সামাজিক পরিবর্তনকে স্বীকার করেছিল বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম।

(iii) জাতিভেদ প্রথার ঘোর বিরোধী ছিল এই দুটি ধর্ম। নারীদের সম্মান দান, বাণিজ্যে সকল মানুষের অধিকার দান, সুদগ্রহণ প্রভৃতিকে স্বীকার করেছিল এই দুটি ধর্ম।

e.বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মকে প্রতিবাদী ধর্ম বলা যায় কি?

উত্তর:  ইউরোপে যেমন ক্যাথোলিক ধর্মের অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ধর্মের জন্ম হয়েছিল, তেমনি ভারতে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের কাঠিন্য ও ভেদাভেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান হয়েছিল। তবে এ কথা বলা যায় যে, এই দুটি ধর্ম সম্পূর্ণ বেদ-বিরোধী ছিল না। বেদের অপৌরুষেয়তা এরাও স্বীকার করেছিল। দার্শনিক দিক থেকে বিচার করলে এই দুটি ধর্মকে উপনিষদেরই প্রতিধ্বনি বলা যেতে পারে, তাই একে কোনো নতুন ধর্মমত বলা যায় না।

 f.অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী?
উত্তর:  বুদ্ধদেব নির্বাণলাভের জন্য মধ্যমপন্থা হিসেবে আটটি পথ নির্দেশ করেছেন। এগুলি হল- Ⓐ সৎ বাক্য, Ⓑ সৎ কর্ম, সৎ চেষ্টা, ① সৎ সংকল্প, সৎ চিন্তা, • সৎ দৃষ্টি ও সম্যক সমাধি। এগুলি-অষ্টাঙ্গিক মার্গ নামে পরিচিত। মার্গ কথার অর্থ হল পথ। বুদ্ধদেবের আটটি পথকে একত্রে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলে।

g.বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের মধ্যে পার্থক্যগুলি কী ছিল?

উত্তর: ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ধর্ম হিসেবে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটলেও উভয় ধর্মে কিছু বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। এই দুটি ধর্মের মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ-

(i) জাতিভেদ প্রথার প্রতি বিতৃষ্ণা জৈনধর্ম অপেক্ষা বৌদ্ধধর্মে বেশি। বৌদ্ধগণ হিন্দু দেবদেবী ও ব্রাহ্মণদের ব্যাপারে বেশি রক্ষণশীল।

(ii) অন্যদিকে অহিংসা নীতি সম্বন্ধে জৈনগণ অধিক চরমভাবাপন্ন। জৈনগণ প্রকৃতির সমস্ত বস্তুতে প্রাণের অস্তিত্ব স্বীকার করলেও বৌদ্ধগণ তা করেন না।

(iii) জৈন আদর্শ হল কৃষ্ণসাধনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি লাভ করা। অন্যদিকে বৌদ্ধদের আদর্শ হল বুদ্ধদেবের মতো সম্যক জ্ঞানলাভ করে নির্বাণ প্রাপ্তি।

 h.নব্যধর্ম আন্দোলনগুলি কেন নগরকেন্দ্রিক ছিল?

উত্তর:  খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নব্যধর্ম আন্দোলনগুলি নগরকেন্দ্রিক ছিল। কারণ-

(i) সেসময়ে গ্রামের মানুষজন ছিল অশিক্ষিত। সে তুলনায় নগরগুলিতে শিক্ষার যথেষ্ট প্রচলন ছিল। অনেকেই সংস্কৃত ভাষাচর্চা করত। ফলে ধর্ম বিষয়ে তাদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ ছিল সহজ।

(ii) গ্রামের মানুষজন ছিল ধর্মগোঁড়া। তারা ছিল প্রাচীনপন্থী। সে তুলনায় শিক্ষিত নগরবাসীরা ছিল উদার। স্বভাবতই তারা ধর্ম বিষয়ে নতুন চিন্তাভাবনা বোঝা ও তা গ্রহণ করার অবস্থায় ছিল।
(iii) বেশিরভাগ ধনবান বৈশ্য শ্রেণি নগরে বসবাস করত। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম তাদের সামাজিক মর্যাদা স্বীকার করেছিল। ফলে এই ধর্মগুলি সহজেই নগরে বিস্তার লাভ করেছিল।

i.মগধ রাজ্যের উত্থানের কারণ আলোচনা করো।

উত্তর:   ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বৃহত্তম শক্তি হিসেবে মগধের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অন্যান্য ১৫টি মহাজনপদের তুলনায় মগধের উত্থানের পিছনে কতকগুলি কারণ ছিল।

• শক্তিশালী শাসকবৃন্দ: বিম্বিসার, অজাতশত্রু, শিশুনাগ এবং মহাপদ্মনন্দের মত উদ্যমী শাসকবৃন্দের অবদান মগধের অগ্রগতির কারণ ছিল।

 নদী ও পাহাড়ে ঘেরা : গঙ্গা, চম্পা ও শোন নদী দ্বারা ঘেরা মগধ ছিল নিরাপদ; মগধের প্রথম রাজধানী রাজগৃহ ছিল পাঁচটি পাহাড়ের মাঝখানে সুরক্ষিত। গঙ্গা, শোন ও গণ্ডক নদীর মাঝখানে অবস্থিত মগধের পরবর্তী রাজধানী পাটলিপুত্র ছিল কার্যত দুর্ভেদ্য।

• হস্তীসংকুল ঘন অরণ্য: মগধের পূর্বাঞ্চল ছিল হস্তীসংকুল ঘন অরণ্য। এই ঘন অরণ্য কোনো শত্রুর পক্ষে ভেদ করা ছিল অসম্ভব।

• নন্দ রাজার অবদান : অরণ্য থেকে হস্তী বা হাতি সংগ্রহ করে নন্দ রাজারা এক বিপুল রণহস্তী বাহিনী গড়ে তুলেছিল।

• উর্বর জমি: ঐতিহাসিক এ এল ব্যাসাম এবং রোমিলা থাপার মগধের উত্থানের জন্য গাঙ্গেয় উপত্যকার উর্বরতা এবং সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন। 

বনজ ও খনিজ সম্পদ : মগধ ছিল বনজ ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী।
• বাণিজ্যিক সম্পর্ক: এই নদীগুলির ওপর মগধের রাজাদের একাধিপত্যের ফলে প্রতিবেশী রাজ্যগুলি মগধের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ ছাড়াও এই নদীগুলির মাধ্যমে মগধের বাণিজ্য চলত।

j.খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নব্যধর্ম (প্রতিবাদী) আন্দোলন কেন হয়েছিল?

উত্তর:  খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক নাগাদ ধর্মের নামে আড়ম্বর, অনুষ্ঠান ও জাতিভেদ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রতিবাদে নব্যধর্ম আন্দোলন শুরু হয়। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের গোঁড়ামির বদলে নতুন সহজ-সরল ধর্মের খোঁজ শুরু হয়েছিল। সেই চাহিদা পূরণ করেছিল বেশ কিছু ধর্ম। যার মধ্যে প্রধান দুটি হল জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম। এই প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলন শুরু হওয়ার পিছনে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় কারণ ছিল।

• সামাজিক কারণ: বৈদিক সমাজে বর্ণভেদের সুফল অর্থাৎ, বেশি সুযোগসুবিধা ভোগ করত বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণরা। ফলে ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের ক্ষোভ জমতে থাকে। শূদ্ররা ছিল সমাজের অবহেলিত শ্রেণি। তারা তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য অন্যান্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে।

• রাজনৈতিক কারণ: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে বেশ কিছু গণরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছিল। এই গণরাজ্যগুলিতে ব্যক্তিস্বাধীনতার সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথার কঠোরতা কমে। ফলে এই গণরাজ্যগুলি হয়ে ওঠে নব্যধর্ম আন্দোলনের রাজনৈতিক পটভূমি।

• অর্থনৈতিক কারণ: বৈদিক যুগে সমাজের মুষ্টিমেয় কিছু বণিক শ্রেণি যাবতীয় সুযোগসুবিধা ভোগ করে আসছিল। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকেই লোহার তৈরি কৃষি সরঞ্জামের সাহায্য নিয়ে এক নতুন কৃষক শ্রেণির উত্থান ঘটে। নতুন সৃষ্ট নগরে ব্যাবসাবাণিজ্য করে বৈশ্য শ্রেণি নিজেদের আর্থিক অবস্থানের উন্নতি ঘটায়। এই কৃষক ও বণিক সম্প্রদায় মিলিতভাবে ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরোধিতা করে। কারণ ব্রাহ্মণ্য ধর্মে পশুবলি ও যুদ্ধের ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হত। এ ছাড়া সমুদ্রযাত্রা, সুদ নেওয়া ব্রাহ্মণ্য ধর্মে নিন্দার বিষয় ছিল।

 ধর্মীয় কারণ: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতবাসীর চিন্তাজগতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। যাগযজ্ঞ ও আড়ম্বরপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের পরিবর্তে তারা সৎ চিন্তা ও আচরণের মাধ্যমে ঈশ্বরের করুণালাভে সচেষ্ট হয়। এই চিন্তাধারা নব্যধর্ম আন্দোলনের উত্থান ঘটাতে সহায়ক হয়।

True and False

1. মহাজনপদগুলির মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না।

উত্তর: ভুল

2. গঙ্গা-যমুনা উপত্যকাকে ভিত্তি করেই বেশিরভাগ মহাজনপদ গড়ে উঠেছিল।

উত্তর: ঠিক

3. জনপদ ও মহাজনপদের কথা আমরা জৈন ও বৌদ্ধ সাহিত্য থেকে জানতে পারি।

উত্তর: ঠিক

4. মহাজনপদের গণরাজ্যগুলিতে নারী ও দাসেরা রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিত না।

উত্তর: ঠিক

5. সব মহাজনপদই ছিল রাজতান্ত্রিক।

উত্তর: ভুল

6. ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বদলে নতুন সহজ-সরল ধর্মের খোঁজ শুরু হয়েছিল।

উত্তর: ঠিক

7. পার্শ্বনাথ ছিলেন কাশীর রাজপুত্র।

উত্তর: ঠিক

৪. মহাবীরের মৃত্যু হয় পাবা নগরীতে।

উত্তর: ঠিক

9. বুদ্ধ প্রচারিত ধর্মকে বলা হয় বৌদ্ধধর্ম।

উত্তর: ঠিক

10. বুদ্ধের মৃত্যুর আগেই প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি হয়েছিল।

উত্তর: ভুল

11. সুত্তপিটক হল গৌতম বুদ্ধ ও তাঁর প্রধান শিষ্যদের উপদেশগুলির সংকলন।

উত্তর: ঠিক

12. জাতকের গল্পে কোনো উপদেশ নেই।

উত্তর: ভুল

13. জাতকের গল্পে পশুপাখিরাও ছিল অন্যতম চরিত্র।

উত্তর: ঠিক

14. সেরিব হল একটি রাজধানী।
উত্তর:  ভুল