চুম্বক (Magnet)
MCQs Question Answer
1. ম্যাগনেটাইট নামক চৌম্বকীয় বস্তু আছে-
(a) শামুক
(b) কাক
(c) মাছি
(d) সাপের দেহে
[RK Mission Vidyabhaban Midnapore]
2. মেরুজ্যোতির কারণ-
(a) পৃথিবীর পরিবেশের দূষণ
(b) পৃথিবীর পরিবেশের উন্নতা বৃদ্ধি
(c) পৃথিবীতে যে কারণে বজ্রপাত হয়
(d) পৃথিবী একটা বিরাট চুম্বক-তার প্রভাব
3. পায়রার খুলি ও মস্তিষ্কের মাঝে থাকে-
(a) ম্যাগনেসাইট
(b) ম্যাগনেটাইট
(c) ম্যাগনেস
(d) ম্যাগনেশিয়া
4. মহাজাগতিক রশ্মির অধিকাংশই –
(a) নিস্তড়িৎ
(b) x-রশ্মি
(c) তড়িৎযুক্ত কণিকা
(d) সঠিকভাবে বলা যাবে না
5. অরোরা সৃষ্টির কারণ হল-
(a) তড়িদাধীনযুক্ত কণিকার সঙ্গে ভূচৌম্বক ক্ষেত্রের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া
(b) বাতাসে ভাসমান জলকণায় সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণ
(c) বাতাসে ভাসমান ধূলিকণায় সূর্যের আলোর বিক্ষেপন
(d) সূর্য ও চাঁদের আলোর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
উত্তর: 1. (a) 2. (d) 3. (b) 4. (c) 5. (a)
1. ইলেকট্রিক কলিংবেলে ব্যবহৃত হয়-
(a) চুম্বকিত স্ট্রিপ
(b) চুম্বক
(c) তড়িৎচুম্বক
(d) চুম্বক শলাকা।
2. তড়িৎচুম্বকের একটি ব্যবহারিক প্রয়োেগ হল-
(a) বৈদ্যুতিক বাতি
(b) বৈদ্যুতিক হিটার
(c) কলিং বেল
(d) কোনোটিই নয়
3. ATM কার্ডে থাকে-
(a) দণ্ডচুম্বক
(b) অশ্বক্ষুরাকৃতি চুম্বক
(c) চুম্বকস্ট্রিপ
(d) চুম্বক শলাকা
4. চুম্বকের ব্যবহার দেখা যায় না-
(a) লাউডস্পিকারে
(b) রেডিয়োতে
(c) বৈদ্যুতিক পাখাতে
(d) ডিজিট্যাল ক্যামেরাতে।
[Madhyamgram High School (Boys’)]
5. বৈদ্যুতিক পাখায় ব্যবহৃত হয়-
(a) প্রাকৃতিক চুম্বক
(b) কৃত্রিম চুম্বক
(c) মেরুবিহীন চুম্বক
(d) চুম্বক শলাকা
6. তড়িৎচুম্বকের যে বাহুতে তড়িৎপ্রবাহ ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে (অর্থাৎ বামবর্তী) হয়, সেই প্রান্তে উদ্ভব হয়-
(a) উত্তরমেরু
(b) দক্ষিণমেরু
(c) পূর্বমেরু
(d) পশ্চিম মেরু
7. নৌপথে ব্যবহার করা হয়-
(a) তড়িৎ চুম্বক
(b) সূচিচুম্বক
(c) প্রাকৃতিক চুম্বক
(d) চুম্বক শলাকা।
৪. নীচের কোন্ যন্ত্রে চুম্বক ব্যবহার করা হয় না-
(a) বৈদ্যুতিক পাখায়
(b) বৈদ্যুতিক ঘণ্টায়
(c) বৈদ্যুতিক বাল্বে
(d) সবকটিতেই
উত্তর: 1. (c) 2. (c) 3. (c) 4. (d) 5. (b) 6. (a) 7. (b) 8. (c)
1. তড়িৎচুম্বকের শক্তিবৃদ্ধি নীচের কোন্ ক্ষেত্রে সর্বাধিক?
(a) শুধু তারের পাকসংখ্যা বাড়ানো হলে
(b) শুধু তড়িৎপ্রবাহমাত্রা বাড়ানো হল
(c) শুধু তড়িৎপ্রবাহের সময় বাড়ানো হল
(d) তারের পাকসংখ্যা ও তড়িৎপ্রবাহ মাত্রা একসঙ্গে বাড়ানো হলে [ পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন, Shyambazer A.V. School]
2. তড়িৎচুম্বকে ব্যবহৃত দণ্ডচুম্বকটি সাধারণত-
(a) ইস্পাত
(b) কাঁচা লোহা
(c) টিন
3. শক্তিশালী তড়িৎচুম্বক তৈরি করার একটি পদ্ধতি হল-
(a) বোর্ডের সুইচ অন-অফ্ করার সংখ্যা বাড়ালে
(b) কাঁচালোহার বদলে ইস্পাতের দণ্ড ব্যবহার করলে
(c) অন্তরিত তারের পাকসংখ্যা বাড়ালে চৌম্বকশক্তি বাড়ে
(d) কোনোটিই নয়
4. একটি চুম্বক শলাকার দক্ষিণমেরু নীচের দিকে মুখ করে থাকে-
(a) অক্ষাংশে
(b) চৌম্বক উত্তরমেরুতে
(c) চৌম্বক দক্ষিণমেরুতে
d) নিরক্ষরেখাতে
5. ভূচুম্বকের বলরেখা বিস্তৃত-
(a) উত্তর থেকে দক্ষিণমেরু পর্যন্ত
(b) উত্তর থেকে পশ্চিমমেরু পর্যন্ত
(c) দক্ষিণ থেকে পূর্বমেরু পর্যন্ত
(d) পূর্ব থেকে পশ্চিমমেরু পর্যন্ত
6. পৃথিবীর চুম্বকত্বের সাপেক্ষে কোন্ যুক্তি কার্যকরী হয়-
(a) মাটিতে দীর্ঘদিন পুঁতে রাখা লৌহদণ্ড ক্ষীণচুম্বকত্ব লাভ করে
(b) পৃথিবী সব বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে
c) অবাধে ঝুলন্ত কোনো চুম্বক উত্তর-দক্ষিণে মুখ করে থাকে।
(d) পরিযায়ী কিছু কচ্ছপের গতিবিধির দ্বারা
7. ভৌগোলিক দক্ষিণমেরুর কাছে অবস্থিত-
(a) ভৌগোলিক উত্তরমেরু
(b) চুম্বকীয় উত্তরমেরু
(c) চুম্বকীয় পশ্চিমমেরু
(d) চুম্বকীয় দক্ষিণমেরু
উত্তরঃ 1.(d) 2. (b) 3. (c) 4. (c) 4. (a) 6.(b) 7. (d)
1. প্রদত্ত কোন্টি অচৌম্বক পদার্থ নয়?
(a) কোবাল্ট
(b) নিকেল
(c) প্লাস্টিক
(d) রবার
2. চুম্বকের মেরু সংখ্যা হল-
(a) 1টি
(b) ২টি
(c) 4টি
(d) 5টি
3. মেরু অনুপস্থিত-
(a) অশ্বক্ষুরাকৃতি চুম্বকে
(b) রিং চুম্বকে
(c) কৃত্রিম চুম্বকে
(d) দণ্ডচুম্বকে
4. চুম্বক আকর্ষণের পূর্বে যে ঘটনাটি ঘটে সেটি হল-
(a) বিকর্ষণ
(c) আবেশ
(b) আকর্ষণ-বিকর্ষণ
(d) আকর্ষণ
5. চুম্বক সংক্রান্ত নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে-
(a) দণ্ডচুম্বক
(c) প্রাকৃতিক চুম্বক
(b) তড়িৎচুম্বক
(d) কৃত্রিমচুম্বক।
6. চুম্বকের উত্তর মেরু বলে আমরা চুম্বকের যে প্রান্তকে নির্দেশ করি তা হল-
(a) উত্তরসন্ধানী মেরু
(b) দক্ষিণ সন্ধানী মেরু
(c) ভৌগোলিক উত্তরমেরু
(d) ভৌগোলিক দক্ষিণমেরু
7.টেলিফোনে-
(a) সাধারণ চুম্বক
(b) প্রাকৃতিক চুম্বক
(c) তড়িৎচুম্বক
(d) চুম্বক শলাকা ব্যবহৃত হয়
৪. প্রাকৃতিক চুম্বক হল-
(a) লোডস্টোন
(b) লাইমস্টোন
(c) ব্রিজস্টোন
(d) মুনস্টোন]
9. দুটি পদার্থের মধ্যে বিকর্ষণ হলে-
(a) দুটিই চৌম্বকপদার্থ
(b) দুটিই অচৌম্বকপদার্থ
(c) একটি চুম্বক অপরটি চৌম্বক পদার্থ
(d) দুটি পদার্থই চুম্বক
10. চুম্বকের দুই মেরুর সংযোগকারী সরলরেখাকে বলে-
(a) জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য
(b) চৌম্বক দূরত্ব
(c) চৌম্বক অক্ষ
(d) চৌম্বক মধ্যরেখা
11. চুম্বকত্বের নিশ্চিত পরীক্ষাটি হল-
(a) শুধু আকর্ষণী ধর্মের পরীক্ষা
(b) শুধু বিকর্ষণী ধর্মের পরীক্ষা
(c) আকর্ষণ ও বিকর্ষণ উভয় ধর্মের পরীক্ষা
(d) চুম্বক আবেশের পরীক্ষা
12. আবিষ্ট চুম্বক হয়–
(a) স্থায়ী
(c) দীর্ঘস্থায়ী
(b) অস্থায়ী
(d) ক্ষণস্থায়ী।
13. একটি ধাতব দণ্ড একটি চুম্বক শলাকার উত্তরমেরুকে বিকর্ষণ করে এতে প্রমাণিত হয়-
(a) দণ্ডটি লোহার
(b) দণ্ডটি তামার
(c) দণ্ডটি চুম্বক
(d) কোনোটাই নয়
14. মেরুবিহীন চুম্বকে মেরুরসংখ্যা-
(a) 0
(b) 1
(c) 2
(d) 3
15. চুম্বকের ক্ষেত্রে কোন্টি সঠিক নয়?
(a) দিকনির্দেশ ধর্ম
(b) সমমেরুর পারস্পরিক আকর্ষণ
(c) চুম্বকের এককমেরুর অস্তিত্ব নেই
(d) চুম্বকের আবেশ ধর্ম রয়েছে
16. একটি চৌম্বক পদার্থ হল-
(b) কোবাল্ট
(d) বরফ
(a) কাচ
(c) কাগজ
17. দণ্ডচুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা-
(a) দণ্ড বরাবর সব জায়গায় সমান
(b) দুই প্রান্তে সবচেয়ে বেশি
(c) দুইপ্রান্তে সবচেয়ে কম
(d) মাঝখানে সবচেয়ে বেশি
18. চুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা বেশি হয়-
(a) মধ্যভাগে
(b) ঠিক দুপ্রান্তে
(c) দুপ্রান্তের কাছাকাছি
(d) সর্বত্র
19. চুম্বকের কাছে একটি লোহাকে আনলে-
(a) প্রথমে আকর্ষণ পরে বিকর্ষণ হয়
(b) প্রথমে বিকর্ষণ, পরে আকর্ষণ হয়।
(c) প্রথমে আবেশ, পরে আকর্ষণ হয়
(d) প্রথমে আকর্ষণ ও পরে আবেশ হয়
20. চুম্বকের চৌম্বকদৈর্ঘ্য ও জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের অনুপাত-
(a) 0.46
(b) 0.66
(c) 0.76
(d) 0.861
21. কোনো চুম্বকের চৌম্বকদৈর্ঘ্য = X এবং জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য = Y হলে কোন্ সম্পর্কটি সঠিক?
(a) X=2Y
(b) 43Y = 50xX
© XY = 10085
(d) X = Y x 0.85
22. একটি চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 100 cm হলে চুম্বকটির চৌম্বক দৈর্ঘ্য-
(a) 86 cm
(b) 80 cm
(c) 90 cm
(d) 85 cm
উত্তর:1. (b) 2. (b) 3. (b) 4. (c) 5. (a) 6. (a) 7. (c) 8. (a) 9. (d) 10. (c) 11. (b) 13. (b) 13. (c) 14. (a) 15. (b) 16. (b) 17. (b) 18 (b) 19. (c) 20. (d) 21. (d) 22. (a)
Very Short Question Answer
৪. আবেশাধীন পদার্থ ও আবেশীমেরুর দূরত্ব কমলে আবিষ্ট চুম্বকত্বের পরিমাণ বাড়ে না কমে?
উত্তর: বাড়ে।
1. দুটো চৌম্বক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: লোহা, নিকেল।
2. চুম্বকের কোন্ ধর্মের সাহায্যে চুম্বককে শনাক্ত করা যায়?
উত্তর: বিকর্ষণ ধর্ম।
1. ATM কার্ডে কোন্ ধরনের চুম্বক ব্যবহার করা হয়? [Basirhat Town High School]
উত্তর: চুম্বকিত স্ট্রিপ।
2. নৌকম্পাসে দিক নির্দেশ করার জন্য কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ চুম্বক শলাকা।
3. -এর উত্তর সন্ধানী মেরুতে কী ধরনের মেরু থাকে?
উত্তর: উত্তরমেরু।
3. একটা চুম্বককে সমান 5টি টুকরো করা হলে, মোট কটা মেরু তৈরি হবে?
উত্তর: চুম্বকটিকে চটি টুকরো করা হলে 5টি চুম্বক তৈরি হবে, আর 5টি উত্তরমেরু ও 5টি দক্ষিণমেরু অর্থাৎ 10টি মেরু তৈরী হবে।
9. একটা চুম্বকের চৌম্বক দৈর্ঘ্য 8.5 cm। চুম্বকটির জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: চৌম্বকদৈর্ঘ্য = চুম্বকটির জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য × 0.86 8.5 .. জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য = 0.86 = 9.88 cm.
11. চৌম্বকদৈর্ঘ্য ও চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্কটি লেখো।
উত্তর: চৌম্বক দৈর্ঘ্য = চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য × 0.86।
10. আবিষ্টচুম্বকের মেরুর প্রকৃতি কীরকম হবে?
উত্তর: আবিষ্টচুম্বকের মেরুর নিকটতম প্রান্তে বিপরীতমেরু ও দূরতম প্রান্তে সমমেরু সৃষ্ট হয়।
4. ‘চৌম্বক ক্ষেত্র’-এর সঙ্গে চৌম্বক মেরুশক্তির সম্পর্ক কী?
উত্তর: চৌম্বকমেরুর মেরুশক্তি বৃদ্ধি পেলে চৌম্বকক্ষেত্রের মান বৃদ্ধি পায়।
5. চৌম্বকক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর: চুম্বকের চারিদিকে যেস্থান জুড়ে চুম্বকের আকর্ষণীবল বা বিকর্ষণী বল কাজ করে তাকে চুম্বকটির চৌম্বকক্ষেত্র বলে।
Short Question Answer
6. চুম্বকের ইংরাজি নাম ম্যাগনেট হল কেন?
উঃ ম্যাগনেশিয়া নামক অঞ্চলে একধরনের পাথর প্রচুর পাওয়া যায় যা লোহাকে আকর্ষণ করে। এর সঙ্গে চুম্বকের লোহাকে আকর্ষণ করার ধর্মের মিল আছে বলে একে ম্যাগনেট বলা হয়।
7. কীভাবে বোঝা যাবে চুম্বকের দিগ্দর্শী ধর্ম আছে?
উত্তর দণ্ডচুম্বকের মাঝবরাবর সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে সেটা সর্বদা উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে। এটিই প্রমাণ করে চুম্বকের দিগ্দর্শী ধর্ম আছে।
1. চুম্বক কাকে বলে? এর বিভিন্ন ধর্মগুলি লেখো।
উত্তর: যে বস্তু নিকেল, কোবাল্ট অথবা লোহাকে আকর্ষণ করতে পারে এবং যার দিগ্দর্শী ধর্ম আছে, তাকেই চুম্বক বলে।
ধর্মগুলো:-(i) চুম্বকের দিকনির্দেশ করার ধর্ম বর্তমান। (ii) সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। (iii) চুম্বকের বিপরীত মেরু (উত্তরমেরু ও দক্ষিণমেরু) পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
2. চৌম্বকপদার্থ ও অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ চৌম্বক পদার্থ: যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যেসব পদার্থকে কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায়, সেইসব পদার্থকে চৌম্বক পদার্থ বলে। উদাহরণ: লোহা, কোবাল্ট, নিকেল ইত্যাদি।
অচৌম্বক পদার্থ: যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না কিংবা যাদের কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায় না সেই সব পদার্থকে অচৌম্বক পদার্থ বলে। উদাহরণ: কাঠ, কাচ, তামা, সোনা ইত্যাদি।
3. প্রাকৃতিক চুম্বককে লোডস্টোন বলা হয় কেন?
উত্তর: প্রাকৃতিক চুম্বক ব্যবহার করা হতো দিক্-নির্ণয়ের জন্য। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত এই প্রাকৃতিক চুম্বক দিগ্দর্শী ধর্মের জন্য তার নাম হল দিগ্দর্শী পাথর বা Leading Stone। কালক্রমে দিগ্দর্শী শব্দটি থেকেই লোডস্টোন কথাটির উৎপত্তি হয়।
4. সংজ্ঞা দাও: (i) চৌম্বক মেরু (ii) চৌম্বক অক্ষ (iii) চৌম্বকমধ্য তল। 3
উত্তর: (ⅰ) চৌম্বক মেরু: চুম্বকের দুইপ্রান্তে যে দুটি বিন্দুতে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, সেই দুই বিন্দুকে চুম্বকের মেরু বা চৌম্বক মেরু বলে। চুম্বকের দুটি মেরু থাকে, যথা-উত্তরমেরু
(N), দক্ষিণমেরু (S)।
(ii) চৌম্বক অক্ষ: চুম্বকের দুটি মেরুকে একটি রেখা দিয়ে যোগ করলে যে সরলরেখা পাওয়া যায় তাকে চৌম্বক অক্ষ বলে।
(iii) চৌম্বকমধ্যতল: চুম্বকটির চৌম্বক অক্ষের মধ্যদিয়ে কল্পিত উল্লম্ব তলকে ওই স্থানের চৌম্বক মধ্যতল বলে।
6. চৌম্বক আবেশ বলতে কী বোঝো?
[Kotalpur High School] 2
উত্তর: একটি চৌম্বক পদার্থকে কোনো একটি শক্তিশালী চুম্বকের সঙ্গে স্পর্শ করালে বা খুব কাছে আনলে ওই চৌম্বক পদার্থটি সাময়িকভাবে চুম্বকে পরিণত হয়। এই ঘটনাকেই চৌম্বক আবেশ বলে।
7. চুম্বকত্বকে পদার্থের ভৌতধর্ম বলা হয় কেন? [Burdwan Municipal Girls’ High School]
উত্তরঃ যে ধর্মের জন্য চুম্বক, চৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে সেই ধর্মকে চুম্বকত্ব বলে। চৌম্বক পদার্থের মধ্যে ঘর্ষণের দ্বারা তড়িৎপ্রবাহ চালনা করা সম্ভব আবার আঘাত প্রয়োগের পর চৌম্বকত্বকে বিচুম্বকিত করা যায়। কিন্তু বস্তুটির আয়তন, আকার, বর্ণ অপরিবর্তিতই থাকে। তাই চুম্বকত্বকে ভৌতধর্ম বলা হয়।
10. একটি দণ্ডচুম্বককে একটি থার্মোকলের টুকরোর ওপর বসাও এবং থার্মোকলের টুকরোটিকে একটা প্লাস্টিকের জল ভরা পাত্রে ভাসিয়ে দাও। নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো:
(i) জল স্থির হলে এবং চুম্বকসহ থার্মোকল সাম্য অবস্থায় আসলে, চুম্বক কোন্ দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা লক্ষ করো।
(ii) এবার চুম্বকসহ থার্মোকলকে আস্তে করে ঘুরিয়ে দিয়ে ছেড়ে দাও। সাম্যাবস্থায় এলে লক্ষ করো চুম্বকটি কোন্ দিকে মুখ করে আছে? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 40] [3]
উত্তর: (ⅰ) স্বাধীনভাবে ভাসমান বা ঝুলন্ত চুম্বক শলাকায় সর্বদা নিজের অক্ষকে পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ অভিমুখ বরাবর স্থাপন করতে চায়। চুম্বকের এই বৈশিষ্ট্যকে দিক-নির্দেশক ধর্ম বলে। অর্থাৎ
থার্মোকল সাম্যাবস্থায় এলে চুম্বক উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর স্থির হয়ে দাঁড়াবে।
(ii) চুম্বকসহ থার্মোকলকে পুনরায় ঘুরিয়ে ছেড়ে দিলে, সাম্যবস্থায় আসার পর দেখা যাবে স্থির অবস্থা থেকে বিচ্যুত করার পর দিকদর্শী ধর্মের কারণে পূর্বের মতো উত্তর-দক্ষিণ অভিমুখে স্থির হবে।
15. আলাদা শুধু একটা চৌম্বক মেরুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়- কেন? ব্যাখ্যা করো।
অথবা তিনটি একই ধরনের দণ্ড যথাক্রমে চুম্বক, চৌম্বকপদার্থ ও অচৌম্বক পদার্থ দিয়ে তৈরি। অন্য কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া কীভাবে তাদের শনাক্ত করবে?
[STPS Girls’ High School (অনুরূপ প্রশ্ন)] উত্তর: একটি দণ্ডচুম্বকের উত্তরমেরু (N) এবং দক্ষিণমেরু (S) চিহ্নিত করার পর তাকে মাঝখান বরাবর দুটুকরো করা হল।
(i) টুকরো দুটোর প্রত্যেকটার দুই প্রান্তে বিপরীত মেরু (N ও S) সৃষ্টি হয়েছে।
(ii) একইভাবে ওই টুকরো দুটিকে পুনরায় টুকরো টুকরো করা হলে প্রতিটি টুকরোতে দুই মেরু সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এই পরীক্ষা প্রমাণ করে আলাদা ভাবে শুধু একটা চৌম্বক মেরুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়।
1. পৃথিবী যে নিজেই একটি চুম্বক উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দাও। অথবা একটি চুম্বকের মাঝখান থেকে সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে সেটি উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে-ব্যাখ্যা করো। 3
উত্তর: একটি চুম্বক বহুদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখলে, পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর রেখে দিলে দেখা যায় ওই দণ্ডের মধ্যে ক্ষীণ চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে। দণ্ডটার উত্তরমুখী প্রান্তে উত্তরমেরু আর দক্ষিণমুখী প্রান্ত দক্ষিণমেরু সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক। ভৌগোলিক উত্তর ও দক্ষিণমেরু দুটির কাছে
পৃথিবীর চুম্বকীয় মেরু দুটি অবস্থান করে। ফলে আবেশের ফলে সহজেই দণ্ডচুম্বকের মধ্যে চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে তাই দণ্ডচুম্বকটির ‘উত্তরসন্ধানী মেরু’ ও ‘দক্ষিণসুন্ধানী মেরু’ যথাক্রমে দক্ষিণে ও উত্তরে মুখ করে থাকবে।
2. পৃথিবীর চৌম্বক উত্তরমেরু ও দক্ষিণমেরু বলতে কী বোঝায়? [Bankura Zilla School] 2
উত্তর: একটি ঝুলন্ত দণ্ডচুম্বক সম্পূর্ণ উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে, তাকে বলা হয় ভৌগোলিক মেরু। উত্তরমুখী অবস্থানে থাকা চুম্বকের যে প্রান্তটি নির্দেশ করে তা হল-ভৌগোলিক উত্তরমেরু, অপরপক্ষে দক্ষিণমুখী অবস্থানে থাকে চুম্বকের যে প্রান্তটি নির্দেশ করে তা হল ভৌগোলিক দক্ষিণমেবুকে।
3. একটি চুম্বককে অনেকদিন মাটিতে পুঁতে রাখলে তার চুম্বকত্ব নষ্ট হয়ে যায় কেন?
উত্তর: মাটির নীচে একটি চুম্বককে অনেকদিন ধরে পুঁতে রাখলে ভূচুম্বকের প্রভাবে ওই চুম্বকপদার্থের মধ্যে সামান্য চৌম্বকধর্ম নষ্ট হয়। এর কারণ হল পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির আবেশ। ভূচুম্বকের আবেশের দরুণ ভূচুম্বক এবং সাধারণ চুম্বকখণ্ডটি একে অপরের বিপরীত মেরুকে আবিষ্ট করার চেষ্টা করে। ফলে চুম্বকটির ভূচুম্বকত্ব হ্রাস পায়।
4. তড়িৎচুম্বক কাকে বলে? মজ্জা কী?
উত্তর: একটি কাঁচা লোহার দণ্ডকে অন্তরিত তামার তার দ্বারা জড়িয়ে, তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ দ্বারা চুম্বকে পরিণত করলে তাকে তড়িৎচুম্বক বলা হয়।
যে ধাতবদণ্ডটির অন্তরিত তামার তার জড়িয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করে, তড়িৎচুম্বক তৈরি করা যায়, তাকে ওই তড়িৎচুম্বকের মজ্জা বলা হয়।
5. তড়িৎচুম্বকের শক্তি কীভাবে বাড়ানো যায়?
উত্তর: তড়িৎ চুম্বকের শক্তি বাড়ানোর কিছু উপায় আছে-
(i) অন্তরিত তারের পাকসংখ্যা বাড়ালে চৌম্বকশক্তি বাড়ে।
(ii) তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ বাড়ালে চৌম্বকের শক্তি বাড়ে।
(iii) ব্যবহৃত চৌম্বকপদার্থের উপাদানের পরিবর্তন ঘটিয়েও তড়িৎচুম্বকের শক্তি বৃদ্ধি করা যায়।
পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগৃহীত প্রশ্নাবলি:
2. মেরুজ্যোতি বা অরোরা কীভাবে উৎপন্ন হয়? অথবা মেরুজ্যোতি
কীভাবে গঠিত হয় এবং কোথায় দেখা যায়? 2 [J.N. Academy, Sainthai High School, Sadar Govt. High School (HS), Coach Behar]
উত্তর: মহাবিশ্ব থেকে এক ধরনের রশ্মি-মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic Ray) ক্রমাগত পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। এদের অধিকাংশই হল তড়িৎযুক্ত কণিকা। ভৌ-চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে এদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে। ফলে মেরু অঞ্চল ঘিরে দুটি বিক্রিয়া বল তৈরি হয় এবং উৎপন্ন হয় মেরুজ্যোতি বা অরোরা।
উত্তরমেরু মহাদেশীয় অঞ্চলে একে অরোরা বোরিয়েলস (Arora Barealis) বা Northern Light এবং দক্ষিণমেরু মহাদেশীয় অঞ্চলে অরোরা অস্ট্রালিস (Aurara Australis) বা Southern Light বলে অভিহিত করা হয়।
পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগৃহীত
3. ভ্যান-অ্যালেন বিকিরণ বলয় কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলের থার্মোস্ফিয়ার অঞ্চলে থাকা নানা প্রকার অণু-পরমাণুগুলির সাথে মহাজাগতিক পরমাণুর সঙ্গে ধেয়ে আসা উচ্চ তড়িৎ আধানযুক্ত তড়িদাহিত কণার সঙ্গে ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে দুই মেরু অঞ্চল ঘিরে দুটি বিকিরণবলয় অর্থাৎ ভ্যান-অ্যালেন বিকিরণবলয় তৈরি হয়।
Long Question Answer
4. জীবের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাব আলোচনা করো। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 48 [3]
উত্তর: জীবের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার ওপর চৌম্বক শক্তির প্রভাব দেখা যায়।
(i) পরিযায়ী পাখিদের কথা ও পরিযায়ী কিছু কচ্ছপও আছে, যারা পৃথিবীর চৌম্বকবলরেখা অনুসরণ করে আদি বাসভূমি থেকে পাড়ি দেয় এমন কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে যেখানে গরম তুলনামূলক বেশি। আবার শীতের শেষে ওইভাবেই উৎসে ফিরে আসে।
(ii) পায়রার খুলি ও মস্তিস্কের মাঝে একটা খুব ছোটো কালো গঠন আছে, এর মধ্যে ম্যাগনেটাইট নামে এক ধরনের চৌম্বকীয়দণ্ড আছে, যার দ্বারা অন্ধকার ঘরে ঠিকঠাক ফিরতে সক্ষম হয়।
(iii) শামুক, মৌমাছিদের মধ্যেও ম্যাগনেটাইটের অস্তিত্বের কথাও জানা যায়।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
6. তড়িৎচুম্বক কীভাবে তৈরি করা যায় তা চিত্রসহ আলোচনা করো একটি পরীক্ষা দ্বারা।
উত্তর: উপকরণ: একটা লোহার দণ্ড, একটা লম্বা অন্তরিত (প্লাস্টিকের আস্তরণ দেওয়া) তামার তার। একটা সুইচবোের্ড একটা শক্তিশালী ব্যাটারি ও আর একটা চুম্বকশলাকা।
তড়িৎচুম্বকের গঠনপদ্ধতি: (i) তারের দুইপ্রান্ত ব্যাটারির
ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্তে সুইচসহ যোগ করা হল। (ii) শলাকাটিতে তার জড়ানো লোহার দণ্ডের সামনে এনে সুইচ অন করা হল। ব্যাটারির সঙ্গে যুক্ত তারের প্রান্তদুটোকে উল্টে দেওয়া হল। (iii) আবার সুইচ যোগ করে বর্তনীটি সম্পূর্ণ করলে তারের মধ্যে দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চলে। (iv) একটা চুম্বকশলাকাকে দণ্ডটির কাছে আনলে সেটি তার সাম্য অবস্থান থেকে বিক্ষিপ্ত হয়। তড়িৎপ্রবাহ পাঠানো বন্ধ হলে এক্ষেত্রে আকর্ষণ ও বিক্ষেপ দুই-ই বন্ধ হয়।
(পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 46 এর পাতার নীচের ছবিটি দ্যাখো) সিদ্ধান্ত: পরীক্ষাটি সহজেই প্রমাণ করে যে, তড়িৎচুম্বকদণ্ডটি চুম্বকে পরিণত হয়েছে।
□ মেরু নির্ণয়ের জন্য বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য পৃথিবীর চৌম্বক উত্তরমেরুকে ‘নীলমেরু’ ও দক্ষিণ মেরুকে ‘লাল মেরু’ বলেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
16. কোনো চৌম্বকের চৌম্বকত্ব কী কী কারণে নষ্ট হয়?উত্তর: চুম্বকের চৌম্বকত্ব নষ্ট হওয়ার কারণগুলি হল-
(i) সমমেরু প্রভাব: চুম্বকের দুই মেরু পাশাপাশি রেখে দেওয়া হলে, আবেশের ফলে চুম্বকের মেরুর ক্ষমতা কমে যায়।
(ii) অসতর্ক ব্যবহার: কোনো চুম্বকে আঘাত করলে বা চুম্বক দিয়ে কোনো বস্তুকে আঘাত করলে চুম্বকটির চৌম্বকত্ব কমে যায়।
(iii) উন্নতার প্রভাব: চুম্বককে উত্তপ্ত করলে, উন্নতা বাড়ার সাথে সাথে ওর চৌম্বকত্ব হ্রাস পাবে।
চুম্বকের মধ্যবর্তী অংশটি হল উদাসীন অঞ্চল।
মাঝখানে কোনো মেরুর শক্তি কাজ করে না। তাই উদাসীন অঞ্চলে
কোনো আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল কাজ করে না।
12. তোমাকে একটা দণ্ডচুম্বক, দুটো চুম্বক শলাকা একটা পেনসিল ও একটা সাদা কাগজ দেওয়া হল-এর সাহায্যে চুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্ণয় করো।
উত্তর: দণ্ডচুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্ণয়ের পরীক্ষা:-
উপকরণ: একটা দণ্ডচুম্বক, দুটো চুম্বক শলাকা, একটা পেনসিল ও একটা সাদা কাগজ।
পদ্ধতি:
(1) সাদা কাগজটিকে একটি টেবিলের উপর
আটকে রেখে, এবার দণ্ডচুম্বকটিকে কাগজের ওপর রাখা হল।
(2) এরপর দণ্ডচুম্বকের N-মেরুর দুই কোণ বরাবর দুটি চুম্বক শলাকা রাখা হল।
(3) পেনসিলের সাহায্যে দণ্ডচুম্বকটির ধার ঘেঁষে দাগ কাটা হল।
(4) চুম্বক শলাকা দুটোর দুই প্রান্তবিন্দুর অবস্থান পেনসিল দিয়ে সাদা কাগজে বিন্দু এঁকে চিহ্নিত করা হল। বিন্দুগুলিকে AB ও CD অক্ষর নাম দেওয়া হল।
AB ও DC কে যুক্ত করে বর্ধিত করা হল, ওই সরলরেখাংশ দুটো যে বিন্দুতে (N) ছেদ করল সেই বিন্দুটাই জ্যামিতিক ভাবে দন্ড চুম্বকের উত্তরমেরুর অবস্থানকে দেখাচ্ছে। ছেদবিন্দুটি ‘N’ (উত্তর) মেরু অবস্থানকে নির্দেশ করছে। সিদ্ধান্ত:
12. তোমাকে একটা দণ্ডচুম্বক, দুটো চুম্বক শলাকা একটা পেনসিল ও একটা সাদা কাগজ দেওয়া হল-এর সাহায্যে চুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্ণয় করো।
উত্তর: দণ্ডচুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্ণয়ের পরীক্ষা:-
উপকরণ: একটা দণ্ডচুম্বক, দুটো চুম্বক শলাকা, একটা পেনসিল ও একটা সাদা কাগজ।
পদ্ধতি:
(1) সাদা কাগজটিকে একটি টেবিলের উপর
আটকে রেখে, এবার দণ্ডচুম্বকটিকে কাগজের ওপর রাখা হল।
(2) এরপর দণ্ডচুম্বকের N-মেরুর দুই কোণ বরাবর দুটি চুম্বক শলাকা রাখা হল।
(3) পেনসিলের সাহায্যে দণ্ডচুম্বকটির ধার ঘেঁষে দাগ কাটা হল।
(4) চুম্বক শলাকা দুটোর দুই প্রান্তবিন্দুর অবস্থান পেনসিল দিয়ে সাদা কাগজে বিন্দু এঁকে চিহ্নিত করা হল। বিন্দুগুলিকে AB ও CD অক্ষর নাম দেওয়া হল।
AB ও DC কে যুক্ত করে বর্ধিত করা হল, ওই সরলরেখাংশ দুটো যে বিন্দুতে (N) ছেদ করল সেই বিন্দুটাই জ্যামিতিক ভাবে দন্ড চুম্বকের উত্তরমেরুর অবস্থানকে দেখাচ্ছে। ছেদবিন্দুটি ‘N’ (উত্তর) মেরু অবস্থানকে নির্দেশ করছে। সিদ্ধান্ত:
12. তোমাকে একটা দণ্ডচুম্বক, দুটো চুম্বক শলাকা একটা পেনসিল ও একটা সাদা কাগজ দেওয়া হল-এর সাহায্যে চুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্ণয় করো।
উত্তর: দণ্ডচুম্বকের মেরুর অবস্থান নির্ণয়ের পরীক্ষা:-
উপকরণ: একটা দণ্ডচুম্বক, দুটো চুম্বক শলাকা, একটা পেনসিল ও একটা সাদা কাগজ।
পদ্ধতি:
(1) সাদা কাগজটিকে একটি টেবিলের উপর
আটকে রেখে, এবার দণ্ডচুম্বকটিকে কাগজের ওপর রাখা হল।
(2) এরপর দণ্ডচুম্বকের N-মেরুর দুই কোণ বরাবর দুটি চুম্বক শলাকা রাখা হল।
(3) পেনসিলের সাহায্যে দণ্ডচুম্বকটির ধার ঘেঁষে দাগ কাটা হল।
(4) চুম্বক শলাকা দুটোর দুই প্রান্তবিন্দুর অবস্থান পেনসিল দিয়ে সাদা কাগজে বিন্দু এঁকে চিহ্নিত করা হল। বিন্দুগুলিকে AB ও CD অক্ষর নাম দেওয়া হল।
(পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 41-এর দুটো ছবি দ্যাখো)
পর্যবেক্ষণ:
AB ও DC কে যুক্ত করে বর্ধিত করা হল, ওই সরলরেখাংশ দুটো যে বিন্দুতে (N) ছেদ করল সেই বিন্দুটাই জ্যামিতিক ভাবে দন্ড চুম্বকের উত্তরমেরুর অবস্থানকে দেখাচ্ছে। ছেদবিন্দুটি ‘N’ (উত্তর) মেরু অবস্থানকে নির্দেশ করছে। সিদ্ধান্ত:
13. পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও যে “দুটি চুম্বকের সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং দুই বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
Mission Multipurpose School] অথবা, একটি পদার্থ চুম্বক না চৌম্বক পদার্থ তা কীভাবে বুঝবে-আকর্ষণ না বিকর্ষণ? অথবা “আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণই চুম্বকত্বের প্রকৃষ্ট প্রমাণ”-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সুতোর সাহায্যে একটি দণ্ডচুম্বককে বাধাহীনভাবে ঝোলানো হল। সাম্যাবস্থায় আসার পর উত্তর-দক্ষিণে মুখ করে স্থির হল- পরীক্ষা: (1) একটি দণ্ডচুম্বকের উত্তরমেরুর কাছে ধীরে ধীরে অপর একটি দণ্ডচুম্বকের উত্তরমেরু আনা হল। (2) একইভাবে দণ্ডচুম্বকের দক্ষিণমেরুকে ঝুলন্ত দণ্ডচুম্বকের
দক্ষিণ মেরুর কাছে আনা হল। পর্যবেক্ষণ: প্রথম ক্ষেত্রে ঝুলন্ত দণ্ডচুম্বকের উত্তরমেরুটি দূরে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ উত্তরমেরুর মধ্যে বিকর্ষণ দেখা গেল। দ্বিতীয়ক্ষেত্রে ঝুলন্ত দণ্ডচুম্বকের উত্তরমেরুটি অপর দণ্ডচুম্বকের দক্ষিণমেরুর কাছে সরে আসছে অর্থাৎ মেরু দুটির মধ্যে আকর্ষণ দেখা যাবে।
সিদ্ধান্ত: পরীক্ষা থেকে সহজেই বোঝা যায় যে-
(i) চুম্বকের বিপরীতমেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। (ii) চুম্বকের সমমেরু পরস্পর পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। (iii) চৌম্বক পদার্থ চুম্বকের উভয়মেরুকেই আকর্ষণ করে।
14. “আকর্ষণের পূর্বে আবেশ হয়”-এই বক্তব্যটি একটি পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করো।
উত্তর: উপকরণ: একটা শক্তিশালী দণ্ডচুম্বক, একটা লোহারদণ্ড, কয়েকটা ছোটো লোহার পেরেক ও একটা চুম্বক শলাকা।
পরীক্ষা: (1) একটি শক্তিশালী দণ্ডচুম্বকের যে কোনো একটি মেরু ধরা যাক (N) মেরুর নীচে একটা লোহার প্রথম পেরেকের নীচে আরও একটি লোহার পেরেককে স্পর্শ করানো হল। কয়েকটি পেরেক পরপর রেখে শিকল তৈরি করে লাগানো হয়।
পর্যবেক্ষণ: প্রথম ক্ষেত্রে পেরেকটি (N) প্রান্তে আটকে যাবে,
দ্বিতীয় পেরেকটি প্রথম পেরেকের তলায় ঝুলছে। প্রতিটি পেরেক পরপর একটা শিকলের মতো রূপ নিয়েছে। এরপর প্রথম পেরেকটি হাত দিয়ে ধরে ওপর থেকে চুম্বকটি সরিয়ে নিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রথম পেরেক ও বাকি সবকটি পেরেক খসে পড়ল।
সিদ্ধান্ত: দণ্ডচুম্বকের প্রভাবে প্রথম পেরেকটি সাময়িকভাবে
চুম্বকে পরিণত হয়, এই ঘটনাকে ‘চৌম্বক আবেশ’ বলে। আবেশের ফলে চুম্বকে পরিণত হওয়া প্রথম পেরেকটি দ্বিতীয় পেরেকটিতে, তৃতীয় পেরেকটিতে চুম্বকত্ব আবেশিত হল। অর্থাৎ চুম্বক যখন কোনো চৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে তার আগে ওই চৌম্বক পদার্থকে আবেশিত করে চুম্বকে পরিণত করে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে “আকর্ষণের পূর্বে আবেশ হয়”।
Fil In The Blanks
1. প্রাকৃতিক চুম্বকের কোনো নির্দিষ্ট ——– হয় না।
2. কোনো চুম্বকের চৌম্বকক্ষেত্রে ——- পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
3. চুম্বকের ——– বলে। দিকে স্থির থাকার ধর্মকে দিক্ নির্দেশক ধর্ম
4. চুম্বকের যেস্থানে আকর্ষণ ক্ষমতা থাকে না, তাকে ——– অঞ্চল থাকে।
5. চুম্বকের ——— ধর্মের জন্য চুম্বককে অবাধে ঝুলিয়ে দিলে উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে অবস্থান করে।
6. আলাদাভাবে শুধু একটা চৌম্বক ——— অস্তিত্ব সম্ভব নয়।
7. চৌম্বক আবেশের ফলে নিকটতম প্রান্তে দূরতমপ্রান্তে ——— মেরু সৃষ্টি হয়। মেরু ও
৪. চুম্বকের দুই প্রান্তে যে দুই অঞ্চলে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি
সেই দুই অঞ্চলকে চুম্বকের ——— বলে।
9. চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য সর্বদাই চৌম্বক দৈর্ঘ্য অপেক্ষা ———-
10. একাধিক চুম্বকে বিপরীতমেরুর ক্রিয়ার আবিষ্ট চুম্বকের মাত্রা ———- পায়।
11. একটি দণ্ডচুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 7 cm হলে তার চৌম্বক দৈর্ঘ্য cm ——– হবে। [পর্যদনমুনাপ্রশ্ন]
12. চুম্বকদৈর্ঘ্য ও চুম্বকদণ্ডের দৈর্ঘ্যের অনুপাত হল ——–
উত্তর: 1. (আকার) 2. (অসীম) 3. (উত্তর-দক্ষিণ) 4. (উদাসীন) 5. (দিকদর্শী) 6. (মেরুর) 7. (বিপরীত, সম) ৪. (মেরু) 9. (বেশি) 10. (হ্রাস) 11. (6.02) 12. (43:50)
1. পৃথিবী নিজেই একটি বিশাল ———
2. তড়িৎপ্রবাহ মাত্রা বৃদ্ধি করলে তড়িৎচুম্বকের চুম্বকত্ব ———- পায়।
3. ভুচুম্বকের দক্ষিণমেরু, দণ্ডচুম্বকের ———- করে। মেরুর মতো আচরণ
4. চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 7 cm হলে, তার চৌম্বক দৈর্ঘ্য ———– cm হবে।
5. ভূচুম্বকের ——— উত্তরমেরু থেকে দক্ষিণমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত।
উত্তর 1. (ভূচুম্বক) 2. (বৃদ্ধি) 3. (উত্তর) 4. (5.95 cm) 5. (বলরেখা)
1. চোখের ভিতর থেকে লোহার গুঁড়ো বের করতে ডাক্তারবাবু ——- ব্যবহার করেন।
2. টেলিফোনে ——– চুম্বক ব্যবহৃত হয়।
3. কম্পিউটারের হার্ডডিক্সে প্লাস্টিকের চাকতির ওপর চুম্বকিত পদার্থের ——– থাকে। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 47]
4. ATM কথাটির পুরো শব্দটি ——— [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 47]
5. লাউডস্পিকার তৈরি করতে ———– ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ 1. (তড়িৎচুম্বক) 2. (তড়িৎ) 3. (কোটিং বা আস্তরণ) 4. (AUTOMATED TELLER MACHINE) 5. (চুম্বক)
Ture And False
1. কৃত্রিমচুম্বকের মেরুশক্তি বাড়ানো যায় না।
2. দীর্ঘদিন ব্যবহার না করে চুম্বক ফেলে রাখলে সেই চুম্বকের চুম্বকত্ব হ্রাস পায়।
3. পৃথিবীর চুম্বকীয় উত্তরমেরুটি দক্ষিণগোলার্ধে অবস্থিত।
4. তড়িৎচুম্বক গঠনের সময় চুম্বক শলাকা একান্ত প্রয়োজনীয়।
5. তড়িৎচুম্বকের দুইপ্রান্তে সমমেরু তৈরি হয়।
6. একটি লোহার দণ্ডকে দীর্ঘদিন উত্তর-দক্ষিণ অভিমুখে রেখে
দিলে ভুচুম্বকত্বের জন্য ক্ষীণ চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ 1. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: বেশি মেরুশক্তি বিশিষ্ট চুম্বকের ঘর্ষণের দ্বারা মেরুশক্তি বাড়ানো সম্ভব] 2. (সত্য) 3. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: উত্তরমেরু উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত] 4. (সত্য) 5. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: বিষমমেরু অবস্থান করবে দুইপ্রান্তে] 6. (সত্য)।
1. একটা দণ্ডচুম্বককে লোহার গুঁড়োর মধ্যে ডোবালে ওই দন্ডচুম্বকটির সব জায়গায় সমানভাবে লোহার গুঁড়ো আটকে থাকবে।]
2. একটি চুম্বকের মাঝখানে সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়ে সেটা পূর্ব-পশ্চিম মুখ করে থাকে।
3. অশ্বক্ষুরাকৃতির চুম্বকের N ও S মেরু পাশাপাশি থাকায় ওদের মধ্যে দুর্বল চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়।
4. আবেশী চুম্বককে সরিয়ে নিলে আবিষ্ট চুম্বকের চুম্বকত্ব হ্রাস পায়।
5. দণ্ডচুম্বকের মেরুপ্রান্তে আকর্ষণ ক্ষমতা সর্বাধিক হয়।
6. চৌম্বক পদার্থকে প্রথমে আকর্ষণ করে পরে আবেশিত হয়।
7. চুম্বকের সমমেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
৪. ম্যাগনেট নামটি এসেছে ম্যাগনেসিয়া নাম থেকে।
উত্তর: 1. (মিথ্যা) 2. (মিথ্যা) 3. (মিথ্যা)] 4. (মিথ্যা) 5. (সত্য) 6. (মিথ্যা) 7. (মিথ্যা) ৪. (সত্য)
.সত্য অথবা মিথ্যা নির্ণয় করো :
1. অডিয়ো বা ভিডিয়ো ক্যাসেটের মধ্যে যে প্লাস্টিকের টেপ থাকে তার ওপর চুম্বকিত পদার্থের আস্তরণ থাকে।
2. সাইকেলের বেলের মধ্যবর্তীপাতে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়।
3. চুম্বকিত কোনো বস্তুতে তাপ প্রয়োগ করা হলে চুম্বকটি দীর্ঘকাল স্থায়ী হবে।
4. সমুদ্রবক্ষে নাবিকরা পেনসিল কম্পাস ব্যবহার করে, দিক নির্দেশের জন্য।
উত্তর: 1. (সত্য) 2. (সত্য) 3. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: নষ্ট হয়ে যাবে। 4. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: নৌকম্পাস ব্যবহার করে।]