Class 7 Chapter 1.4 Solution
তড়িৎ (Electricity)
MCQs Question Answer
A. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
1. টর্চের লাইটে ব্যবহৃত হয়-
(a) ভোল্টীয়সেল
(b) নির্জল সেল
(c) সঞ্চয়ন সেল
(d) লেক ল্যান্স সেল
2. বাল্বের যে অংশটি আলো দেয় তা হল-
(a) কাচ
(b) ফিলামেন্ট
(c) তামার মোটাতার
(d) সবকটিই
5. তড়িৎকোশ হল–
(a) আলোক উৎস
(b) তাপের উৎস
(c) বিদ্যুৎ উৎস
(d) রাসায়নিক শক্তির উৎস
6. হাতঘড়িতে ব্যবহৃত হয়-
(a) ডায়নামো
(b) বোতামসেল
(c) লেকল্যান্স সেল
(d) কোনোটাই নয়
7. প্রাইমারি সেল বা মুখ্য সেলের অপর নাম-
(a) ব্যাটারি
(b) সোলার সেল
(c) ডিসপজেবল সেল
(d) বোতাম সেল
৪. নীচের কোন্ পদার্থটি তড়িতের সুপরিবাহী?
(a) প্লাস্টিক
(b) কাঠ
(c) চিনেমাটি
(d) অ্যালুমিনিয়াম
9. ড্রাইসেলের (শুষ্ক তড়িৎসেলের) ধনাত্মক প্রান্তটি হল-
(a) ধাতব চাকতি
(b) ধাতব টুপি
(c) ধাতব চোঙের দেহের উপরের প্রান্ত
(d) ধাতব চোঙের পার্শ্বতল ।
10. বাল্বের যে অংশটি আলো দেয় তা হল-
(a) কাচ
(b) ফিলামেন্ট
(c) ‘তামার মোটা তার
(d) নাইক্রোম তার]
12. ব্যাটারির ধাতব চাকতির প্রান্তে কী চিহ্ন থাকে?
(a) – +
(b) –
(c) 0
(d) কিছুই না
13. সমতড়িৎগ্রস্ত দুটি বস্তুর মধ্যে-
(a) আকর্ষণ হয়
(b) বিকর্ষণ হয়
(c) আকর্ষণ ও বিকর্ষণ হয়
(d) কিছুই হয় না
14. একটি নির্জল কোশে বিভবপ্রভেদ 1.5 ভোল্ট হলে 9 ভোল্টের একটি ব্যাটারি তৈরি করতে নির্জল কোশের প্রয়োজন-
(a) 9টি
(c) 12টি
(b) 6টি
(d) 13টি
15. সেলের ধাতব চাকতির প্রান্ত কী চিহ্নযুক্ত?
(a) +
(b) –
(c) +-
(d) x
16. সুইচের প্রতীক কোন্টি-
(a)
(b)
(c)
(d)
17. টর্চের ব্যাটারিগুলিকে বিপরীত অভিমুখে যুক্ত করে সুইচ অন্
(a) টর্চের বাল্ব জ্বলবে না
(b) কখনো জ্বলবে, কখনো জ্বালবে না
(c) সব সময় জ্বলে থাকবে
(d) এদের কোনোটাই নয়
18. কাঠের টুলের ওপর দাঁড়িয়ে নিরাপদ কারণ কাঠ তড়িতের- ইলেকট্রিকের কাজ করা
(a) সুপরিবাহী
(b) অন্তরক
(c) কোনোটিই নয়
d) অর্ধ-পরিবাহী
19. রাসায়নিক শক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়-
(a) মোটরে
(b) নির্জল কোশে
(c) বৈদ্যুতিক ঘণ্টায়
(d) সোলার সেলে
20. তড়িৎপ্রবাহে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ প্রদত্ত কোন্টির ওপর নির্ভরশীল নয়-
(a) তড়িৎপ্রবাহমাত্রা
(b) তড়িৎ সঞ্চয়
(c) তড়িৎ রোধ
(d) সোলার সেল-এর ওপর
উত্তর: 1. (b) 2. (b) 6. (b) 7. (c) 8. (d) 9. (b) 10. (b) 12. (b) 13. (b) 14. (b) 15. (b) 16. (b) 17. (a) 18. (b) 19. (b) 20. (d)
1. নীচের কোন্ যন্ত্রে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয় না?
(a) ইলেকট্রিক কলিংবেল
(চ) বৈদ্যুতিক বাতি
(c) বৈদ্যুতিক মোটর
(d) টেলিফোন।
2. বৈদ্যুতিক বর্তনীতে নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয়-
(a) ফিলামেন্ট তার
(b) ফিউজতার
(c) নাইক্রোম তার
(d) নিউট্রাল তার
3. তড়িৎচুম্বকের শক্তিবৃদ্ধি প্রদত্ত কোন্ ক্ষেত্রে সর্বাধিক হবে?
(a) শুধু তারের পাকসংখ্যা বাড়ানো হল
(b) শুধু তড়িৎপ্রবাহমাত্রা বাড়ানো হল
(c) শুধু তড়িৎপ্রবাহের সময় বাড়ানো হল
(d) তারের পাকসংখ্যা ও তড়িৎপ্রবাহমাত্রা একসঙ্গে বাড়ানো হল।
4. প্রদত্ত কোল্টিতে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়?
(a) ইলেকট্রিক বেল
(b) লাউডস্পিকার
(c) রেডিয়ো
(d) সবকটি
5. LED-এর মধ্যে তড়িৎপ্রবাহিত হলে নীচের যেটিতে পরিণত হয় তা হল-
(a) তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে
(b) তড়িৎশক্তি আলোকশক্তিতে
(c) আলোকশক্তি তড়িৎশক্তিতে
(d) তাপশক্তি আলোকশক্তিতে।
6. LED থেকে নির্গত আলোর রং হয়-
(a) সবুজ
(b) হলুদ
(c) লাল
(d) সবগুলিই
7. LED-তে কোন্ জিনিসটি অনুপস্থিত-
(a) সার্কিট (b) ফিলামেন্ট
(c) অন্তরিত তার (d) ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্ত।
উত্তর: 1. (b) 2. (b) 3. (d) 4. (d) 5. (b) 6. (d) 7. (b)
1. ইলেকট্রিক বাল্বে ফিলামেন্ট তৈরি হয়-
(a) নাইক্রোম
(c) তামা
(b) টাংস্টেন
(d) নিকেল ধাতু দিয়ে
2. সোলার ক্যালকুলেটরে ব্যবহার হয়-
(a) সোলার প্যানেল
(b) নির্জলকোশ
(c) ডায়নামো
(d) কোনোটাই নয়।
3. ইলেকট্রিক ইস্ত্রির কুণ্ডলী তৈরি হয়-
(a) নাইক্রোমের তার দিয়ে
(b) তামার তার দিয়ে
(c) টাংস্টেনের তার দিয়ে
(d) কোনোটাই নয়।
4. ইলেকট্রিক ইস্ত্রিকে গরম হতে যে তার সাহায্য করে তা হল-
(a) টাংস্টেন
(c) তামা
(b) নাইক্রোম
(d) ফিউজার।
5. ইলেকট্রিক কলিংবেলে কী চুম্বক ব্যবহার করা হয়?
(a) দণ্ডচুম্বক
(b) তড়িৎচুম্বক
(c) চুম্বক শলাকা
(d) অশ্বক্ষুরাকৃতি চুম্বক।
6. ইলেকট্রিক ক্রেনে ব্যবহৃত হয়-
(a) চুম্বক শলাকা
(b) সৌরকোশ
(c) দণ্ডচুম্বক
(d) তড়িৎচুম্বক।
7. নাইক্রোম তার থাকে-
(a) ফিউজ তার
(b) বাল্বে
(c) ইলেকট্রিক ইস্ত্রিতে
(d) ইলেকট্রিক কলিংবেলে
[ ৪. ইলেকট্রিক বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরি যা দিয়ে তা হল-
(a) টাংস্টেন
(c) তামা
(b) নাইক্রোম
(d) স্টিল
9. তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের ব্যবহারিক প্রয়োগের উদাহরণ হল-
(a) বৈদ্যুতিক ঘণ্টা
(c) LED
(b) ইলেকট্রিক বাল্ব
(d) সৌর ক্যালকুলেটর
10. ইলেকট্রিক ইস্ত্রির বাইরের আবরণটি যে বস্তু দ্বারা গঠিত- (
a) স্টেইনলেস স্টিল
(b) তামা
(c) নাইক্রোম
(d) অভ্র।
উত্তর: 1. (b) 2. (a) 3. (a) 4. (b) 5. (b) 6. (d) 7. (c) 8. (a) 9. (b) 10. (a)
1. কার দেহে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা আছে?
(a) মানুষ
(b) হাঙর
(c) জেলিফিশ
(d) ইলিশ
2. স্নায়ুকোশের মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে দেহের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য পরিবাহিত হয়-
(a) তড়িৎ উদ্দীপনার সাহায্যে
(b) হৃৎস্পন্দনের মাধ্যমে
(c) নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে
(d) প্রবাহিত রক্তের মাধ্যমে
3. কোন্ ধরনের পেশিতে তড়িৎ উদ্দীপনা তৈরির জন্য বিশেষ উপাদান থাকার ফলে বিদ্যুৎত্তরঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে?
(a) হৃৎপিণ্ডপেশি
(b) নার্ভপেশি
(c) উভয়েই
(d) কোনোটাই নয়।
4. মানবদেহের হৃদস্পন্দন পরিমাপের যন্ত্রটি হল-
(a) ইলেকট্রন কার্ডিয়াম
(b) স্ফিগমোম্যানোমিটার
(c) ব্যারোমিটার
(d) থার্মোমিটার
উত্তরঃ 1. (c) 2. (a) 3. (a) 4. (a)
Very Short Question Answer
1. টর্চের সুইচ অন করলে বাল্বের ভিতরের যে অংশটি জ্বলে
উত্তর: ফিলামেন্ট।
2. সুইচ অন করলে কোনো বর্তনী মুক্ত না বদ্ধ হয়? [পর্যদনমুনা প্রশ্ন]
উত্তর: সুইচ অন করলে বর্তনীবদ্ধ হয়।
3. নির্জল কোশ কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: টর্চের ব্যাটারিতে, ঘড়ি, টিভির রিমোট ইত্যাদিতে।
4. বৈদ্যুতিক বাল্বে যে তারটি জ্বলে তার নাম কী?
উত্তর: ফিলামেন্ট।
5. তড়িৎকোশের কয়টি মেরু থাকে?
উত্তরঃ দুটি।
6. নির্জল কোশে কোন্ শক্তি কোন্ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর: রাসায়নিক শক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
7. বোতামসেল কী?
উত্তর: ইলেকট্রনিক হাতঘড়িতে ব্যবহৃত সেলটিকে অনেকটা বোতামের মতো দেখতে হয়। তাই একে বোতামসেল বলা হয়।
৪. গ্রাফাইট ও চিনামাটির মধ্যে কোল্টি তড়িতের সুপরিবাহী?
উত্তর: গ্রাফাইট।
9. তড়িতের সুপরিবাহী পদার্থের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর লোহার পেরেক, স্টিলের সেফটিপিন।
10. প্রাইমারি সেল কাকে বলে?
School] শুক্স: যেখানে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের ফলে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে রূপ বদল করে এবং তড়িৎপ্রবাহ পাওয়া যায়। একে
প্রাইমারী সেল বলা হয়।
11. স্টিলের চামচের মধ্যে দিয়ে কি তড়িৎ পাওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, তড়িৎ প্রবাহিত হয়।
12. দুটি তরলের উদাহরণ দাও যা তড়িতের সুপরিবাহী।
উত্তর: লবণ জল, ক্ষারীয় জল।
13. সেলের সংখ্যা বাড়লে সার্কিটে কীসের পরিমাণ বাড়ে?
উত্তরঃ তড়িৎপ্রবাহ মাত্রা।
14. প্রাইমারি সেলে কোন্ শক্তির কোন্ শক্তিতে রূপান্তর ঘটে?
উত্তর: রাসায়নিক শক্তি তড়িৎশক্তিতে।
15. সেকেন্ডারি সেলে কোন্ শক্তি থেকে কোন্ শক্তি পাওয়া যায়?
উত্তরঃ তড়িৎশক্তি রাসায়নিকশক্তি তড়িৎশক্তি।
16. টর্চের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর জন্য কে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি জোগান দেয়?
উত্তর: নির্জলকোশ।
C. দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -1
1. LED-এর পুরো কথাটি কী?
উত্তর: Light Emitting Diode.
2. পরিবাহীর উন্নতা বাড়ালে রোধ কমে-এমন একটি পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: সিলিকন।
3. একটি LED ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্ত কীভাবে চেনা যায়?
উত্তর LED-এর ধনাত্মক প্রান্তটি বড়ো হয়, ঋণাত্মক প্রান্তটি ছোটো হয়, এইভাবে প্রান্তদুটিকে চিহ্নিত করা যায়।
4. কলিংবেলে কী ধরনের চুম্বক থাকে?
উত্তরঃ তড়িৎচুম্বক।
5. জোড়ালো তড়িৎচুম্বক গঠন করতে কেমন আকারের লোহার দণ্ডকে নির্বাচন করা হয়?
উত্তর: ‘U’ আকৃতির।
1. ইলেকট্রিক ইস্ত্রিতে কোন্ উপাদানের তার ব্যবহার হয়?
উত্তর: নাইক্রোমের তার।
2. সৌরবিদ্যুৎ কী?
উত্তর: সোলার প্যানেল গঠিত হয় সৌরশক্তি দ্বারা, সৌরশক্তি এর
ওপর পড়লে আলোকশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই তড়িৎশক্তি থেকেই সৌরবিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
3. ফিউজতার কী দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর: একপ্রকার সংকরধাতু যা গঠিত হয় 75% সীসা ও 25% টিনের সমন্বয়ে।
4. কোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীর নিরাপত্তায় কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ফিউজ তার ব্যবহৃত হয়।
6. বাল্বের ফিলামেন্ট কোন্ ধাতু দ্বারা তৈরি?
উত্তর: টাংস্টেন ধাতু।
7. ইলেকট্রিক ফ্যান বা লাইটের সুইচ তৈরি করতে যে উপাদান ব্যবহৃত হয় তার নাম লেখো।
উত্তর: বেকেলাইট।
৪. ইলেকট্রিক ইস্ত্রির ভিতরে থাকা তারের নাম কী?
উত্তর: নাইক্রোম তার।
9. তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের দুটি প্রয়োগ উল্লেখ করো যা গার্হস্থ্যজীবনে ব্যবহৃত হয়। অথবা, তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের দুটি প্রয়োগ লেখো।
উত্তর: ইলেকট্রিক হিটার, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি।
10. তড়িৎশক্তি থেকে যান্ত্রিকশক্তি এবং রাসায়নিকশক্তি থেকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ দাও।
উত্তর: তড়িৎশক্তি থেকে যান্ত্রিকশক্তির রূপান্তরের উদাহরণ-বৈদ্যুতিক
পাখা। রাসায়নিক শক্তি থেকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ- বৈদ্যুতিক ব্যাটারি।
11. তোমার জানা একটি যন্ত্রের নাম লেখো। যেখানে তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। [পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন]
উত্তর: ইলেকট্রিক ইস্ত্রি।
12. তড়িৎপ্রবাহের ফলে কী ধরনের বলের সৃষ্টি হয়? [Siliguri Boys’ High School]
উত্তর: চৌম্বকবল।
13. নিষ্ক্রিয় গ্যাস ভরা এবং টাংস্টেন ধাতু দিয়ে গঠিত ফিলামেন্ট দ্বারা তড়িৎচালনা করলে আলো উৎপন্ন হয়, বস্তুটির নাম কী?
উত্তর: বৈদ্যুতিক বাল্ব।
1. নিজের দেহে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো। [
উত্তরঃ জেলিফিশ, ইলেকট্রিক ইল ফিশ ইত্যাদি।
2. জীবদেহের তরলপদার্থ তড়িৎপরিবাহী হয় কেন?
উত্তর: জীবদেহের তরল নানা ধরনের তড়িৎযুক্ত পরমাণু জোট দিয়ে গঠিত। ফলে তড়িৎযুক্ত কণাগুলি তড়িৎ পরিবহণ করতে সক্ষম।
3. মস্তিষ্কের তরঙ্গের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর: তড়িতীয়।
4. স্কুইডের স্নায়ুকোশে বিদ্যুৎপরিবহণের কারণ কী?
উত্তর: স্নায়ুকোশের ভিতর ও বাইরে তড়িৎবাহী কণাদের সংখ্যা ও প্রকৃতিতে পার্থক্য থাকার জন্য বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়।
Short Question Answer
5. প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও: (i) তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফল (ii) তড়িৎপ্রবাহের চুম্বকীয় ফল।
উত্তর: (i) তড়িৎপ্রবাহের তাপীয়ফল-এর উদাহরণ:-বৈদ্যুতিক ইস্ত্রির মধ্য দিয়ে তড়িৎ চালনার ফলে যন্ত্রটির উত্তপ্ত হয়ে ওঠার ঘটনা।
(ii) তড়িৎপ্রবাহের চুম্বকীয়ফল-এর উদাহরণ:-একটি কাঁচা লোহার দণ্ডের ওপর আন্তরিত তার জোড়ানো অবস্থায় তড়িৎপ্রবাহ চালনা করলে লোহার দণ্ডটিতে চুম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
1. তড়িৎ বলতে কী বোঝো
উত্তরঃ তড়িৎ: তড়িৎ এমন একপ্রকার শক্তি যা গ্রহণে কোনো বস্তু তড়িদাহিত হয়ে ওঠে এবং অপর কোনো আহিত বা নিস্তড়িৎবস্তুকে আকর্ষণ করতে পারে। তড়িদ্গুস্ত কণা উপস্থিতির জন্যই কোনো বস্তু এরূপ অবস্থা লাভ করে।
2. তড়িৎ-এর প্রকারভেদ সম্পর্কে লেখো।2
উত্তরঃ তড়িৎকে দুভাগে ভাগ করা যায় যথা-
তড়িৎ
স্থির তড়িৎ প্রবাহী তড়িৎ
(i) স্থির তড়িৎ: যে তড়িৎ কোনো বস্তুর একটি অংশে আবদ্ধ থাকে, অন্য কোনো অংশে সঞ্চালিত হয় না, তাকে স্থিরতড়িৎ বলে।
(ii) প্রবাহী তড়িৎ: কোনো বল দ্বারা তড়িৎদ্বাহী কণাগুলিকে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট দিকে চালনা করলে প্রবাহী তড়িতের সৃষ্টি হয়।
3. তড়িৎপ্রবাহের ফলে পদার্থের মধ্যে কী কী পরিবর্তন দেখা যায়?
উত্তর: তড়িৎ প্রবাহের ফলে পদার্থের মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়-
(i) তাপ উৎপাদন- বস্তুতে তড়িৎপ্রবাহিত হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
(ii) আলো উৎপাদন-তড়িৎপ্রবাহিত হলে অনেক সময় পরিবাহীকে আলোবিকিরণ করতে দেখা যায়।
(iii) চৌম্বকধর্ম উৎপাদন-কাঁচা লোহার দণ্ডে অন্তরিত তার জড়িয়ে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করলে বস্তুটির মধ্যে চৌম্বক ক্ষেত্র উৎপন্ন হয়।
6. সার্কিট বা তড়িৎ-বর্তনী কাকে বলে? সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে একটি তড়িৎবর্তনীর চিত্র আঁকো এবং তড়িৎপ্রবাহ তিরচিহ্ন সহযোগে দেখাও।
উত্তর: একটি তড়িৎকোশের দুটি তড়িৎদ্দারকে কোনো পরিবাহী তার দিয়ে যোগ করলে কোশের বাইরে পজেটিভ তড়িৎদ্বার থেকে নেগেটিভ তড়িৎদ্বারে এবং কোশের ভিতরে নেগেটিভ তড়িৎদ্বার থেকে পজিটিভ তড়িৎদ্বারে তড়িৎপ্রবাহিত হয়। তড়িৎপ্রবাহের এই সমগ্র পথকে তড়িৎ-বর্তনী বলে। (ছবির জন্য এই অংশের 10 নম্বর প্রশ্নের উত্তর দ্যাখো) পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগৃহীত প্রশ্নাবলি:
9. নীচের ছবিগুলি খুঁটিয়ে দেখো ও ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
উত্তর: (ⅰ) আলো জ্বলবে না, কারণ বালবের ফিলামেন্ট অংশটি কাটা।
(ii) আলো জ্বলবে, কারণ বর্তনী যুক্ত অবস্থায় রয়েছে।
(iii) আলো জ্বলবে না, কারণ বর্তনী বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
(iv) আলো জ্বলবে না, কারণ এখানেও বর্তনী বিচ্ছিন্ন।
(v) আলো এক্ষেত্রেও জ্বলবে না কারণ বর্তনীর সাথে সেলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
(vi) আলো জ্বলবে না কারণ বর্তনীর সাথে সেলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
10. একটি বাল্ব, তিনটি তার একটি সেল ও একটি সেফটিপিন
ব্যবহার করে বর্তনীর চিত্র অঙ্কন করো এবং তোমার অঙ্কন
করা বর্তনীতে বাল্বটি কখন জ্বলবে এবং কখন জ্বলবে না তা
লেখো। এবার নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
(i) বাল্বটি কি জ্বলছে? (ii) এবার সেফটিপিনটি ঘুরিয়ে প্রথম পিনে স্পর্শ করানো হল বাল্বটি কি জ্বলবে?
উত্তর: (i) বাল্বটি জ্বলবে না, কারণ বর্তনীটি সম্পূর্ণ করা হয়নি অর্থাৎ এক্ষেত্রে মুক্তবর্তনী রয়েছে।
(ii) এবার সেফটিপিনটি প্রথমপিনে স্পর্শ করালে বাল্বটি জ্বলবে, কারণ তখন বর্তনীটি সম্পূর্ণ হয়ে বদ্ধবর্তনীর ন্যায় কাজ করবে।
12. বোতাম সেল কাকে বলে?
উত্তর: ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ইত্যাদি যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় যেসব সেলগুলি প্রায় বোতামের মতো দেখতে হয় এগুলিকেই বোতাম সেল বলে।
14. ইলেকট্রিক সরঞ্জামে চিনামাটি বা প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর: বৈদ্যুতিক তার সাধারণত তামা বা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়, তড়িতের সুপরিবাহী। ফলে কোনো তড়িৎবাহী তারের সঙ্গে দেহের সংযোগ ঘটলে শক খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, অন্যদিকে প্লাস্টিক হল তড়িতের কুপরিবাহী ফলে বৈদ্যুতিক তারে প্লাস্টিকের আবরণ থাকায় তড়িৎপ্রবাহিত হতে পারে না, তাই শক্ খাওয়ার ভয় থাকে না।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
3. বর্তনীর সাথে একটি সেলের বদলে ২টি সেল নিয়ে সার্কিট তৈরি করে, সুইচ অন্ন্ করো- এবার নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও-
(i) এবার LED-এর আলো কি বেশি জোরালো?
(ii) তাহলে কি সেলের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আলোর জোর বেড়েছে?
(iii) সেলের সংখ্যা বাড়ালে সার্কিটে কীসের পরিমাণ বাড়ে? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 60এর ছবিটি দ্যাখো]
উত্তর: (i) হ্যাঁ এক্ষেত্রে বর্তনীর LED আলো আগের বর্তনীর তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি জোরালো।
(ii) হ্যাঁ সেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আলোর জোর আরও বেশী বেড়েছে।
(iii) বর্তনীর সাথে সংযুক্ত সেলের সংখ্যা বাড়ালে বর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ বাড়ে ফলে আলো আরও বেশি জোরালো হয়।
4. তড়িৎচুম্বক কাকে বলে? তড়িৎচুম্বকের শক্তি কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়? 1+2
উত্তর: কোনো চৌম্বক পদার্থের (লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি) ওপর তার জড়িয়ে ওই তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ পাঠালে ওই চৌম্বক পদার্থ চুম্বকে পরিণত হয়। এই ধরনের চুম্বককে তড়িৎচুম্বক বলে।
তড়িৎচুম্বকের শক্তিবৃদ্ধি করার উপায়:
(i) অন্তরিত তারের পাকসংখ্যা বাড়ানো হলে তড়িৎচুম্বক শক্তি বাড়ে।
(ii) তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ বাড়ালে চুম্বকের শক্তি বাড়ে।
5. তড়িৎপ্রবাহের চুম্বকীয় ফল কাকে বলে? এর ব্যবহার উল্লেখ করো। 2
মন্ত্রঃ কোনো পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ হলে তারটিকে
ঘিরে একটি চৌম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। একেই তড়িৎপ্রবাহের চুম্বকীয় ফল বলে।
তড়িৎচুম্বকের ব্যবহার: ইলেকট্রিক কলিং বেল, টেলিফোন ইত্যাদি যন্ত্রে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়।
6. LED কী? LED-র দুটি ব্যবহার লেখো। 1+2
উত্তর: LED অর্থাৎ Light Emitting Diode হল বিশেষভাবে তৈরি এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা অল্প আলোতেই উজ্জ্বল আলো দেয়। এই ধরনের বাল্বে কোনো ফিলামেন্ট থাকে না, ধনাত্মক প্রান্ত অপেক্ষাকৃত বেশি হয় ঋনাত্মক প্রান্তটির তুলনায়।
LED-এর ব্যবহার: (ⅰ) বিভিন্ন রঙের আলো পেতে LED ব্যবহৃত হয়। (ii) LED-এর মধ্যে অল্প পরিমাণ সামান্য তড়িৎ
প্রবাহিত করেই তীক্ষ্ণ উজ্জ্বল আলো জ্বলে ওঠে ফলে তার ব্যবহারযোগ্যতাও বাড়ে।
7. LED-এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। 2
উত্তর: (i) LED তে কোনো ফিলামেন্ট থাকে না।
(ii) LED এমন একটি ইলেকট্রনিক উপকরণ, যা তড়িৎশক্তিকে
আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
(iii) অল্প তড়িৎপ্রবাহ হলেই আলো দেয়। ফলে অল্প বিদ্যুৎ ব্যয়িত হয়েই উজ্জ্বল আলো দেয়।
(iv) LED দাম কম হয় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
2. তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফল কাকে বলে? এর কয়েকটি প্রয়োগ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফল: পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহিত হবার সময় পরিবাহীরোধ বাধার সৃষ্টি করে। এই বাধা অতিক্রম করার জন্য তড়িৎকে কার্য করতে হয়, আর সেই কার্য পরিবাহীতে তাপশক্তিরূপে প্রকাশ পায়। এই ঘটনা তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফল হিসেবে পরিচিত।
তড়িৎপ্রবাহের তাপীয়ফলের প্রয়োগ: পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করলে তাপ উৎপন্ন হয়। এই উৎপন্ন তাপকে আমরা নিজেদের নানা কাজে ব্যবহার করি। বাস্তব অভিজ্ঞতায় ইলেকট্রিক বাল্ব, হিটার, ইস্তিরি, এগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার লক্ষ
করা যায়। এসব ক্ষেত্রে তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
3. ফিলামেন্ট কী? বৈদ্যুতিক বাল্বে কীভাবে আলো উৎপন্ন করে?
উত্তর:বাল্বের বায়ুনিরুদ্ধ মুখের ভেতর দিয়ে মোটা দুটি তার প্রবেশ করানো থাকে। মোটা তার দুটির প্রান্ত টাংস্টেনের তৈরি খুব সরু কুণ্ডলী পাকানো তার দিয়ে যোগ করা থাকে। এই সরু তারের কুণ্ডলীকে ফিলামেন্ট বলে।
বৈদ্যুতিক বাল্বে আলো জ্বলার পদ্ধতি: ফিলামেন্ট খুব সরু এবং লম্বা হওয়ায়, ওর রোধ খুব বেশি হয়। তারটির মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ হলে, তারটি বেশ তপ্ত হয় ফলে আলো বিকীর্ণ করে। তড়িৎপ্রবাহ স্থির থাকলে যে ফিলামেন্টের রোধ বেশি, সেই ফিলামেন্ট বেশি উত্তপ্ত হয় ফলে বেশি আলো উৎপন্ন হয়।
4. বৈদ্যুতিক ফিউজ কী? ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো। 3
উত্তর: বৈদ্যুতিক ফিউজ: (Electric Fuse): সর্ট-সার্কিট অথবা ওভারলোডিং-এর কারণে বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনে তড়িৎপ্রবাহ হঠাৎ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় এবং লাইন জ্বলে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এই নিরাপত্তার জন্য কম গলনাঙ্ক ও বেশি রোধযুক্ত একটি সংকরধাতুর ছোটো তার চিনামাটির হোল্ডারের মাধ্যমে সারকিটের লাইভতারের সঙ্গে শ্রেণিসমবায়ে যুক্ত করা হয়। এই তারটিকে ফিউজ তার বলে।
ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য: (i) ফিউজতারে কম গলনাঙ্ক ও বেশি রোধযুক্ত সংকর ধাতুর দ্বারা তৈরি হয়। (ii) সংকর ধাতুতে লেড (PBS) ও সিসা (Sn) -এর শতকরা 75% ও 25% অবস্থায় মিশ্রিত হয়ে নির্মিত হয়।
6. ফিউজ তার হিসেবে নাইক্রোমের তার ব্যবহার করা যাবে না কেন?
উত্তর: ফিউজতারে নাইক্রোমের ব্যবহার করা যায় না। কারণ-নাইক্রোম তারের রোধ খুব বেশি তাই ওর মধ্যে বেশি তড়িৎপ্রবাহ হলে বেশি তাপ উৎপন্ন হয়, ফলে গলে গিয়ে বর্তনী বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। তাই বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়ে সার্কিটের ক্ষতি করে।
7. সোলার ক্যালকুলেটার কী?
উত্তর সোলার ক্যালকুলেটর একপ্রকার বিশেষ ধরনের ইলেকট্রনিক গণকযন্ত্র, যা সেল বা ব্যাটারি জাতীয় প্রচলিত বিদ্যুৎ উৎসের সাহায্য ছাড়াই কাজ করে থাকে। সোলার ক্যালকুলেটর সৌরশক্তি দ্বারা চালিত হয়।
1. জীবের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় তড়িৎশক্তির ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর: তড়িৎশক্তির ও জীবজগতের সম্পর্কও বেশ গভীর। সমস্ত জীবের দেহের তরলে তড়িৎযুক্ত নানাধরনের পরমাণু আর পরমাণুজোট থাকে। এইসব তড়িৎযুক্ত কণার উপস্থিতির জন্য জীবদেহের তরল তড়িৎপরিবাহী হয়।
(i) মস্তিষ্কের ক্রিয়া: মস্তিষ্কতরঙ্গও তড়িতীয়। মস্তিষ্ক অসংখ্য স্নায়ুকোশ নিয়ে গঠিত। স্নায়ুকোশের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য তড়িৎ উদ্দীপনার সাহায্যেই পরিবাহিত হয়। ফলে পেশির সংকোচন-প্রসারণ সম্ভব হয়। ফলে জীবেরা উত্তেজনায় সাড়া দেয়।
প্রভাব:
(ii) হৃৎপিণ্ডের পেশিতে উদ্দীপনা জাগায়: হৃৎপিণ্ডের পেশিতে তড়িৎ উদ্দীপনা তৈরির জন্য এক বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে। এদের তৈরি তড়িৎ উদ্দীপনা হৃৎস্পন্দন তৈরি করে। যা সারা দেহে বিদ্যুৎত্তরঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
2. স্কুইড নিয়ে কেন বিজ্ঞানীরা স্নায়ুকোশের গবেষণা করেন?
উত্তর: স্কুইডের স্নায়ুকোশের ব্যাস মানবদেহের স্নায়ুকোশের ব্যাসের 25 গুণ। ফলে স্নায়ুকোশের ভেতর ও বাইরের তড়িৎবাহী কণাগুলির সংখ্যা ও প্রকৃতিতে পার্থক্য বুঝতে সুবিধা হয়। যার দ্বারা স্নায়ুকোশের বিদ্যুৎপরিবহণ করার ক্ষমতা প্রমাণিত করা সহজ।
1. দুটি সেল পাশাপাশি বসিয়ে নিয়ে, বদ্ধবর্তনী তৈরি করে নিয়ে, একটি বাল্ব জ্বালাও। কী দেখছো? বাল্বটির আলো আরও বেশি জোরালো হল কি?কেন।
উত্তর: দুটি সেল (ব্যাটারি) পাশাপাশি বসিয়ে নিয়ে বদ্ধবর্তনী তৈরি করে বাল্বটি জ্বালালে দেখা যাবে, বাল্বটি বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলছে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে। হ্যাঁ বাল্বটি আগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি জোরে আলো উৎপন্ন করে জ্বলছে। কারণ দুই ব্যাটারি দ্বারা বদ্ধবর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
3. বৈদ্যুতিক তার প্লাস্টিকের ভেতর রাখা হয় কেন? এই সতর্কতামূলক জ্ঞানকে তুমি দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে ব্যবহার করবে?
উত্তর: বৈদ্যুতিক তার তামা বা অ্যালুমিনিয়ামের মতো তড়িৎ সুপরিবাহী বস্তু দ্বারা গঠিত। ফলে তা দেহের সংস্পর্শে আসলে শক্ লাগার সম্ভাবনা থাকে, এই বিপদের সম্ভাবনা তাড়ানোর জন্য তাপের কুপরিবাহী প্লাস্টিকের আবরণে বৈদ্যুতিক তারকে ঢেকে রাখা হয়।
এই সতর্কতামূলক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারিক ক্ষেত্রে যেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগের প্রয়োজন থাকে, সেই হাতলকে প্লাস্টিকের মতো তাপের কুপরিবাহী দ্বারা আবৃত করে বিপদের হার কমায়।
1. শীতকালে যখন বায়ুমধ্যে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব কম থাকে, সেই সময় রবার বা সেলুলয়েডের তৈরি চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে পট্ পট্ শব্দ শোনা যায় কেন?
উত্তর: শীতকালে শুকনো আবহাওয়ায় চুল খুব শুষ্ক থাকে। এই অবস্থায় রবার বা সেলুলয়েডের তৈরি চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল আর চিরুনির ঘর্ষণে উভয়ের মধ্যে তড়িৎ সঞ্চার করে। চিরুনিতে যে জাতীয় তড়িৎ উৎপন্ন হয় চুলে তার বিপরীত জাতীয় তড়িতের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে চিরুনি এবং চুল পরস্পরের সংস্পর্শে এলে ওদের মধ্যে তড়িৎক্ষরণ হয় এবং এর ফলে ছোটো ছোটো তড়িৎ স্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়, তাই পট্ পট্ শব্দ উৎপন্ন হয়।
2. ভিজে কাপড়কে শুষ্ক করার জন্য লোহার তারের উপর মেলতে গিয়ে অনেকে অনেক সময় শক্ খায় কেন?
উত্তর: এর কারণ হল, জল কিছুটা তড়িৎপরিবাহী। শুকনো কাপড় যদিও অন্তরক তবুও ভিজে অবস্থায় কাপড় তড়িৎ পরিবহণ করে। এর ফলে ভিজে কাপড় ওই তারের উপর মেলতে গিয়ে, ওই তারটি যদি কোনো তড়িৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসে, তাহলে তারের সংস্পর্শে থাকা ওই ভিজে কাপড়ে হাত দিলে ওর মধ্যে তড়িৎপ্রবাহ হয় ফলে শক্ খেতে হয়।
3. বৈদ্যুতিক যন্ত্র আর্থ করার প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর: বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতব উন্মুক্ত অংশ যদি বিদ্যুৎবাহী তারের (Live wire) সংস্পর্শে আসে তবে সেগুলো তড়িৎবাহী হয় এবং বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তাই নিরাপত্তার প্রয়োজনে তড়িৎশক্তি যাতে সরাসরি মাটিতে চলে যেতে পারে সেজন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রে আর্থ করার প্রয়োজন।
Long Question Answer
৪. সোলার ক্যালকুলেটরে তড়িৎশক্তির জোগান কীভাবে হয়? সোলার ক্যালকুলেটরে কি সুফল পাওয়া যায়?
উত্তর: সোলার প্যানেলের শক্তি থেকে তড়িৎশক্তি আহরণ করে সোলার ক্যালকুলেটর। এই প্যানেলের ওপর সূর্যের আলো পড়লে আলোক শক্তিকে তড়িৎশক্তি ও সর্বশেষে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
সোলার ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিভিন্ন সুফলগুলি হল-
(i) যেহেতু তড়িৎশক্তি, সৌরশক্তি থেকে পাওয়া যায়, কোনো উৎপাদন খরচ না থাকায় এটি স্পল্প ব্যয়ে পাওয়া যায়।
(ii) সৌরশক্তি দ্বারা চালিত বলে, এটি পরিবেশবান্ধব রূপে পরিগণিত
হতে পারে। ফলে পরিবেশ দূষণ-এর সম্ভাবনা কম। (iii) ব্যাটারিচালিত না হওয়ায় এটি দীর্ঘায়ুসম্পন্ন হয়।
(iv) প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছোয়নি, সেখানে এই ধরনের সৌরশক্তি দ্বারা চালিত যন্ত্রসামগ্রী সুলভে পাওয়া যায় ফলে ব্যক্তিজীবনও খুব উপকৃত হয়।
4. তড়িৎবর্তনী বলতে কী বোঝায়? মুক্তবর্তনী ও বদ্ধবর্তনী কাকে বলে?
উত্তর: একটি তড়িৎকোশের দুটি তড়িৎদ্বারকে কোনো পরিবাহী তার দিয়ে যোগ করলে কোশের বাইরে পজিটিভ তড়িৎদ্বার থেকে নেগেটিভ তড়িৎদ্বারে এবং কোশের ভিতরে নেগেটিভ তড়িৎদ্দার থেকে পজিটিভ তড়িৎদ্বারে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। তড়িৎপ্রবাহের এই সমগ্র পথকে তড়িৎ-বর্তনী বলে।
মুক্তবর্তনী: কোশের পজিটিভ ও নেগেটিভ তড়িৎদ্দার সংযোগকারী পরিবাহী তারটিকে ছিন্ন করলে বা তারটিকে সরিয়ে নিলে তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বর্তনীকে
মুক্তবর্তনী বলে।
বদ্ধবর্তনী: কোষের তড়িৎদ্দার দুটিকে একটি পরিবাহী তার দিয়ে যোগ করলে বহিবর্তনী ও অন্তবর্তনীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চলে-এইরকম অবস্থায় বর্তনীটিকে বদ্ধবর্তনী বলে
৪. একটা টর্চের বাল্ব, এক বা একাধিক সেল, বিভিন্ন রঙের পাঁচটা প্লাস্টিক আয়রনযুক্ত পরিবাহীতার, ব্ল্যাকটেপ ও রবার ব্যান্ড (গার্টার) জোগাড় করে, প্রতিটি তারের দুপ্রান্তে খানিকটা প্লাস্টিক আবরণ (প্লাস্টিক কোটিং) ছাড়িয়ে নিয়ে ধাতব অংশ বার করে রাখা হল, সেলের দুপ্রান্তে একটা করে তার যুক্ত করা হল, বাল্বটির দু-প্রান্ত একটা করে তার যুক্ত করো। এবার নীচের ছবিগুলি লক্ষ করো-কোন্ ক্ষেত্রে আলো জ্বলবে আর কোন্ ক্ষেত্রে আলো জ্বলবে না? [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 50-51 এর চিত্রগুলি দ্যাখো]
উত্তর: (A) আলো জ্বলছে না। কারণ বর্তনী গঠিত হলেও তা মাঝখান থেকে বিচ্ছিন্ন অর্থাৎ মুক্তবর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ হয় না।
(B) আলো জ্বলছে কারণ এক্ষেত্রে বদ্ধবর্তনী দেখা যায়।
(C) আলো জ্বলছে না। কারণ বর্তনীটি (D) এক্ষেত্রেও আলো জ্বলছে না, কারণ বর্তনীটি পুনরায় মুক্ত অবস্থায় রয়েছে।
(E) আলো জ্বলছে না। কারণ-বর্তনীটিতে দুটি (F) আলো জ্বলছে। কারণ তড়িৎ সংযোজী তার ‘+’ প্রান্তও
সংযোজী তার ‘-‘ প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত। ‘-‘ প্রান্ত উভয়প্রান্তেই বদ্ধবর্তনী রয়েছে।
কিন্তু ‘+’ চিহ্ন থেকে নির্গত তারটির মুক্ত অবস্থায় আছে।
13. তড়িৎ আচরণের ভিত্তিতে পদার্থকে কটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণসহ এই শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
উত্তরঃ তড়িৎ আচরণের ভিত্তিতে পদার্থের শ্রেণিবিভাগ
তড়িৎ আচরণের ভিত্তিতে পদার্থ
সুপরিবাহী (Conductor) কুপরিবাহী (Insulator) অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor)
তড়িৎপ্রবাহকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতার ভিত্তিতে পদার্থকে তিনটি মূল শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়-
(i) সুপরিবাহী কতকগুলি পদার্থ আছে যাদের কোনো অংশে তড়িতের সঞ্চার হলে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, অর্থাৎ যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে তড়িৎ পরিবাহিত হয় এদের সুপরিবাহী পদার্থ বলে। যথা-রূপা, তামা এবং প্রায় সব ধাতুই ভালো পরিবাহী।
(ii) কুপরিবাহী কতকগুলি পদার্থ আছে যাদের
কোনো অংশে তড়িতের সঞ্চার হলে বা কোনো অংশে একটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তু স্পর্শ করালে সেই তড়িৎ পদার্থটির সেই অংশেই আবদ্ধ থাকে অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। যে পদার্থটির মধ্যে দিয়ে তড়িৎ সহজে পরিবাহিত হয় না সেই পদার্থকে অন্তরক বলে। যেমন-কাচ, অভ্র, রবার, চীনামাটি, গন্ধক প্রভৃতি অন্তরক বা কুপরিবাহী বলে। যেমন- কাচ, অভ্র, রবার, চীনামাটি, গন্ধক
প্রভৃতি অন্তরক বা কুপরিবাহী পদার্থ। (iii) অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor): পরিবাহী এবং অন্তরক
পদার্থের মাঝামাঝি ধর্মবিশিষ্ট পদার্থকে অর্ধ-পরিবাহী বলে। জার্মেনিয়াম, সিলিকন প্রভৃতি হল অর্ধপরিবাহী।
1. একটি পরীক্ষার সাহায্যে ব্যাখ্যা করো-তড়িৎপ্রবাহের ফলে চৌম্বক বলের সৃষ্টি হয়।
উঃ পরীক্ষার সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হলো তড়িৎপ্রবাহের ফলে চৌম্বকবলের সৃষ্টি হয়-
(i) উপকরণ: (1) দুটি শক্তিশালী ব্যাটারি (2) একটি সুইচ (3) একটি ছোটো ও একটি বড়ো প্লাস্টিকের তার (4) একটি চুম্বকশলাকা।
(ii) পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রথমে বর্তনীর কোনো অংশের পরিবাহী তারকে উত্তর-দক্ষিণ মুখে স্থির হয়ে থাকা কোনো চুম্বকশলাকার সামান্য একটু ওপরে শলাকাটির দৈর্ঘ্য বরাবর টানটান করে ধরা হল। এই অবস্থায় বর্তনীর সুইচ অন করা হল-
(iii) পর্যবেক্ষণ: বর্তনীতে সেফটিপিন বোর্ডপিনের সঙ্গে স্পর্শ করানোর জন্য সাথে সাথেই চুম্বক শলাকার মেরু বিক্ষিপ্ত হয় এবং সেফটিপিনটি বোর্ডপিনের থেকে দূরে সরালে শলাকার মেরু উত্তর-দক্ষিণে অভিমুখ করে থাকবে।
(iv) সিদ্ধান্ত: বদ্ধবর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ ঘটে, ফলে শলাকাটির বিক্ষেপ হয় কারণ পরিবাহী তারটির চারপাশে একটি চুম্বকীয় ক্ষেত্র-এর সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শলাকাটির ওপর একটি চৌম্বকবল ক্রিয়া করে।
বর্তনী ছিন্ন হলে তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয় ফলে শলাকাটিও তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সুতরাং এই পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয় তড়িৎপ্রবাহে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় আবার সুইচ অফ করলে এই চৌম্বকবল-এর অস্তিত্ব থাকে না।
2. নীচের ছবিটির মতো একটি সার্কিট তৈরি করো। বর্তনীর সুইচ অন্ করো। দেখো সবচেয়ে বেশি কটা ছোটো পেরেককে বড়ো পেরেক আকর্ষণ করতে পারছে।
(i) ছোটো পেরেকের সংখ্যা কটি?
(ii) এবার বড়ো পেরেকটির উপর তারের পাকসংখ্যা বাড়িয়ে দাও। সুইচ অন করো, এবার দেখো বড়ো পেরেক সবচেয়ে বেশি কটা ছোটো পেরেককে আকর্ষণ করতে পারছে? ছোটো পেরেকের সংখ্যা কটি?
(iii) প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বারের ছোটো পেরেকের সংখ্যা বাড়ল কেন?
iv) দ্বিতীয়বার তড়িৎচুম্বকীয় আকর্ষণ ক্ষমতা বাড়ল কেন?
মজ্ঞা: বর্তনীর সুইচ অন করা হলে দেখা যাবে, বড়ো পেরেকটি কয়েকটি ছোটো পেরেককে আকর্ষণ করছে।
(i) 2টি ছোটো পেরেককে আকর্ষণ করেছে।
(ii) এবার বড়ো পেরেকটির ওপর তারের পাকসংখ্যা বাড়ালে দেখা যাবে, সর্বোচ্চ 4টি ছোট পেরেককে আকর্ষণ করতে পেরেছে।
(iii) প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বার তারের পাকসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ফলে আকৃষ্ট হওয়া পেরেকের সংখ্যাও বেড়েছে।
(iv) তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্রের শক্তি নির্ভর করে তারের পাকসংখ্যার ওপর। ফলে প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বার পাকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তড়িৎচুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
1. ‘তড়িৎপ্রবাহের ফলে তাপ উৎপন্ন হয়’-একটি পরীক্ষার দ্বারা দেখাও। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 60] [3]
উত্তর: উপকরণ: একটি নাইক্রোম তার, দুপ্রান্ত ছড়ানো কয়েকটি প্লাস্টিক তার, দুটো সেল, তামার তৈরি একটা সুইচ, দুটো পেরেক ও একটা কাঠের ছোটো তক্তা, একটা সেফটিপিন।
পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রদত্ত উপকরণগুলিকে পরপর ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে একটি বর্তনী তৈরি করা হয়। (পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং – 60-এর নীচের ছবিটি দ্যাখো) নাইক্রোমতারটিকে কাঠের তক্তার দুদিকে লাগানো দুটি পেরেকের সাথে যুক্ত করা হল।
পর্যবেক্ষণ: সুইচটি অন্ করার আগে নাইক্রোম তারটার উন্নতা হাত দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করা হল। বোডের সংস্পর্শে সেফটিপিনকে এনে অর্থাৎ সুইচ অন্ করে 10-11 সেকেন্ড ধরে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করা হল, এ অবস্থায় নাইক্রোম তারটিকে স্পর্শ করলে আগের চেয়ে বেশি গরম অনুভব হয়। সেফটিপিনটিকে বিচ্ছিন্ন করলে অর্থাৎ ‘সুইচ অফ্’ করলে উন্নতা কমে আসে এবং পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
সোলার ক্যালকুলেটর সিদ্ধান্ত: বদ্ধবর্তনীতে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে বর্তনীটি উত্তপ্ত
হয়ে, উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। যদিও বর্তনীটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পুনরায় তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়। অর্থাৎ এই সিদ্ধান্তে আসা যায়, পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎচলাচল করলে পরিবাহীতে তাপ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে বাল্বের ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে তড়িৎচলাচল করার ফলে এই তাপ উৎপন্ন হয়। যা প্রমাণিত করে তড়িৎপ্রবাহের তাপীয়ফল
Fil In The Blanks
1. কোন্ সেলে রাসায়নিক শক্তি ——- শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
2. বর্তনীবদ্ধ ও বিচ্ছিন্ন করতে ——- ব্যবহৃত হয়।
3. টর্চের সুইচ অন করলে বাল্বের ভিতরে যে অংশটা জ্বলে ওঠে
4. দুই বা তার অধিক সংখ্যক সেলের সমবায়কে বলে। ——-
5. টর্চের ভিতরে যে ব্যাটারি থাকে, তা আসলে.——–
6. টর্চ জ্বালানোর জন্য ——– ব্যবহার করা হয়।
7. সেলের ——- প্রান্তকে ” দাগ দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
৪. বর্তনী আঁকার জন্য দুটি সেলের প্রতীক ———
9. পরিবাহীর মধ্যে তড়িদ্গ্রস্তকণা একটি নির্দিষ্ট দিকে চালিত হলে পরিবাহীতে ——— এর সৃষ্টি হয়।
10. বাল্বের দুই প্রান্তের সঙ্গে সেলের দুই প্রান্ত যুক্ত করে, যে ব্যবস্থা করা হয়, তা হল ——- বা ——
11. মোটরগাড়িতে ব্যবহৃত সেলটি হল ——-
12. ফিলামেন্টের মধ্যকার ধাতবতারের ——- দুপ্রান্ত চিহ্ন যুক্ত থাকে।
উত্তর: 1. (তড়িৎ) 2. (সুইচ) 3. (ফিলামেন্ট) 4. (ব্যাটারি) 5. (নির্জলকোশ) 6. (Dry cell) 7. (ধণাত্মক) ৪. (HHF) 9. (তড়িৎপ্রবাহ) 10. (সার্কিট বা বর্তনী) 11. (সেকেন্ডারি সেল) 12. (ধনাত্মক ও ঋণাত্মক)
1. LED ——– এর প্রান্তটি বড়ো।
2. সেল সংখ্যা বাড়ালে তড়িৎচুম্বকের ——— বাড়ে।
3. পরিবাহ ——–কম হলে তার মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ মাত্রা হবে।
4. কোনো চৌম্বক পদার্থের ওপর তার জড়িয়ে ওই তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পদার্থট ———- পরিণত হয়।
5.——– পাকসংখ্যা বৃদ্ধি করলে তড়িৎচুম্বকের শক্তি বৃদ্ধি
6. একটি কাঁচা লোহার দণ্ডের মধ্য দিয়ে তড়িৎ চালনা করলে দন্ডটি ——– পরিণত হবে।
7. কোনো ——— মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহিত হলে তার নিকটস্থ চুম্বকের ওপর প্রভাব পড়ে।
উত্তরঃ 1. (ধনাত্মক) 2. (শক্তি) 3. (রোধ, বেশি) 4. (চুম্বকে) 5. (তারের) 6. (চুম্বকে) 7
1. লাউডস্পিকার তৈরি করতে —— চুম্বক ব্যবহৃত হয়।
2. ফিউজতার খুব ——- উন্নতায় গলে যায়।
3. সূর্যের আলো সোলার প্যানেলের ওপর পড়লে ওই আলোকশরি। ——— তে পরিণত হয়।
4. বৈদ্যুতিক সার্কিটের নিরাপত্তার জন্য ——- হয়। ব্যবহার করা
5. সোলার কুকারে ——– সেল ব্যবহার হয়।
6. সোলার ক্যালকুলেটরে তড়িৎশক্তির উৎস হল ——–
7. বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরি হয় ——— দিয়ে।
৪. ইলেকট্রিক ইস্ত্রিতে নাইক্রোম তার —— ওপর জড়ানো থাকে।
উত্তর: 1. (তড়িৎ) 2. (কম) 3. (তড়িৎশক্তিতে) 4. (ফিউজতার) 5. (সোলার) 6. (সোলার সেল) 7. (টাংস্টেন) ৪. (অভ্রের)
1. মানুষের দেহ তড়িতের ——–
2. মস্তিষ্কতরঙ্গ হল ——-
3. জীবদেহের ——— তড়িৎপরিবাহী হয়।
4. ——– মাছ যথেষ্ট তীক্ষ্ণ তড়িৎ তৈরি করতে পারে, যা তার
শত্রুকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
5.———- মস্তিষ্ক নিয়ে গঠিত যা তড়িৎ উদ্দীপনা পরিবাহিত করে।
6.——- জাতীয় অমেরুদণ্ডী প্রাণীর স্নায়ুকোশ বিদ্যুৎ পরিবহণ করে।
উত্তর: 1. (সুপরিবাহী) 2. (তড়িতীয়) 3. (তরল) 4. (ইলেকট্রিক ইল) 5. (স্নায়ুকোশ) 6. (স্কুইড)
1. ফিলামেন্টযুক্ত : টর্চের বাল্ব :: ফিলামেন্টহীন :——
উত্তর: LED।
2. তড়িতের সুপরিবাহী: স্টিলের চামচ : : তড়িতের কুপরিবাহী :——-
উত্তর: কাঠের স্কেল।
3. ইলেকট্রিক : নাইক্রোম :: ইলেকট্রিক ফিলামেন্টে :——–
উত্তরঃ টাংস্টেন।
4. ড্রাইসেলের ধনাত্মক প্রান্ত: ধাতবটুপি : : ঋণাত্মক প্রান্ত :——-
উত্তর: ধাতবচাকতি।
Ture And False
D. সত্য অথবা মিথ্যা নির্ণয় করো:
1. ইলেকট্রিক সরঞ্জামে চিনামাটি বা প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।
2. শূন্যমাধ্যম তড়িতের সুপরিবাহী।
3. সেলের প্রতীক বড়ো রেখাটি ধনাত্মক প্রান্ত নির্দেশ করে।
4. ব্যাটারি একটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তু।
5. কোনো বর্তনীর সুইচ অন করা থাকলে, বর্তনীটি হয় মুক্তবর্তনী
- বায়ু তড়িতের সুপরিবাহী।
উত্তর: 1. (সত্য) 2. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: কুপরিবাহী] 3. (সত্য) 4. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: নিস্তড়িৎগ্রস্ত বস্তু] 5. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: বদ্ধবর্তনী] 6. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: কুপরিবাহী]
D.সত্য অথবা মিথ্যা নির্ণয় করো:
1. তড়িৎচুম্বকের চুম্বকত্ব তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ করার পরও থেকে যায়।
2. LED-এর ফিলামেন্ট থাকে না।
3. একটি তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহিত হলে তারটি চুম্বকে পরিণত হয়।
4. তড়িৎচুম্বক একটি অস্থায়ী চুম্বক।
5. টাংস্টেন ধাতুর রোধ নিম্নমানের হয়।
উত্তর: 1. (মিথ্যা) 2. (সত্য) 3. (মিথ্যা) [প্রাসঙ্গিকতা: তারের চুম্বকত্ব অসমান 4. (সত্য) 5. (মিথ্যা)
ফিউজ তার তামার তৈরি, যার মধ্য দিয়ে খুব বেশি পরিমাণ তড়িৎপ্রবাহিত হলে, সেটি নিজে গলে যায়।
2. বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্ট নাইক্রোম তার দ্বারা গঠিত।
3. সোলার প্যানেল দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ।
4. ইলেকট্রিক ইস্ত্রি হল তড়িৎপ্রবাহের ফলে চুম্বকীয় বল সৃষ্টির উদাহরণ।
5. টাংস্টেন ধাতুর রোধ উচ্চ মানের হয়।
উত্তর: 1. (মিথ্যা)2. (মিথ্যা) 3. (মিথ্যা) 4. (মিথ্যা) 5. (সত্য)
1. মস্তিষ্ক অসংখ্য স্নায়ুকোশ নিয়ে গঠিত।
2. স্নায়ুকোশের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য তড়িৎ উদ্দীপনার সাহায্যেই পরিবাহিত হয়।
- শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হল অক্টোপাসের দেহে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা।
উত্তরঃ 1. (সত্য) 2. (সত্য) 3. (মিথ্যা)