WBBSE Class 7 Science Chapter 1.5 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 1.5 Bengali Medium

পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার

MCQs Question Answer

প্রতিটি প্রশ্নের মান -1

1. শক্তির আদিম উৎস হল-

(a) সূর্য

(b) কয়লা

(c) খনিজ তেল

(d) পারমাণবিক শক্তি

2. নীচের যেটি চালাতে তাপশক্তি ব্যবহৃত হয় না সেটি হল-

(a) ইট বানাতে

(b) রান্না করতে

(c) X-Ray করতে

(d) বিদ্যুৎ উৎপাদনে

3. কয়লা ও জ্বালানি তেল হল একপ্রকার-

(a) জৈব জ্বালানি

(b) জীবাশ্ম জ্বালানি

(c) পারমাণবিক জ্বালানি

(d) পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি

4. কয়লা, পেট্রোলিয়াম পাওয়া যায় মূলত-

(a) অভ্রের শিলাস্তরে

(b) পাললিক শিলাস্তরে

(c) রূপান্তরিত শিলাস্তরে

(d) কোনোটাই নয়

5. নীচের যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পাওয়া শক্তি ব্যবহার করে চলে, সেটি হল-

(a) পাওয়ার টিলার

(b) কম্পিউটার

(c) পাম্প

(d) ওয়াশিং মেশিন।

6. প্রদত্ত কোন্টি পরিবেশবান্ধব শক্তি নয়?

(a) সৌরশক্তি

(b) পেট্রোলিয়াম শক্তি

(c) পারমাণবিকশক্তি

(d) জীবাশ্ম তেল থেকে পাওয়া শক্তি।

7. প্রচলিতশক্তির একটি উদাহরণ হল-

(a) সৌরশক্তি

(b) তাপশক্তি

(c) বায়ুশক্তি

(d) জৈবশক্তি

৪. কয়লা ও জ্বালানি তেলে যে শক্তি পরিবর্তিত হয়ে আবদ্ধ থাকে তা হল-

(a) জীবাশ্মশক্তি

(b) ভূ-তাপীয়শক্তি

(c) বায়ুশক্তি

(d) পারমাণবিক শক্তি

9. পেট্রোলিয়াম থেকে পাওয়া যায় না-

(a) বায়োগ্যাস

(b) LPG

(c) কেরোসিন

(d) ডিজেল।

10. জীবাশ্মজ্বালানির উদাহরণ হল-

(a) জল

(b) পেট্রোল

(c) সৌরশক্তি

(d) বায়ুশক্তি

11. মাটিতে ড্রিল করে প্রথম পেট্রোলিয়াম উৎপাদন শুর হয়-

(a) এশিয়া মহাদেশে

(b) আফ্রিকা মহাদেশে

(c) ইউরোপ মহাদেশে

(d) আমেরিকা মহাদেশে

12. অপুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উৎস হল-

(a) বায়ুশক্তি

(b) পেট্রোলিয়াম শক্তি

(c) পারমাণবিক শক্তি

(d) সৌরশক্তি

13. কয়লার সঞ্চিত শক্তির উৎস-

(a) মাটির নীচের চাপ

(b) মাটির উপরের তাপ

(c) সূর্য

(d) জীবাশ্ম

14. বায়োডিজেল উৎপন্ন হয়-

(a) গোবর গ্যাস থেকে

(b) উদ্ভিজ্জ তেল ও প্রাণীজ চর্বি থেকে

(c) ফসলের অবশিষ্টাংশ থেকে

(d) পৌরসভার বর্জ্য পদার্থ থেকে।

15. সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে আবদ্ধ হয়-

(a) প্রাণীদেহ

(c) বায়ুকলে

(b) উদ্ভিদদেহে

(d) তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে

16. রাসায়নিক শক্তি তড়িতে রূপান্তরিত হয়-

(a) ডায়নামোতে

(c) তড়িৎকোশে

(b) সৌরকোশে

(d) কোনোটাই নয়।

17. নীচের কোন্টি পরিবেশবান্ধব শক্তি নয়-

(a) সৌরশক্তি

(b) মাটির নীচের তাপশক্তি

(c) জৈবশক্তি

(d) জীবাশ্মকোশ থেকে পাওয়া শক্তি,

18. সৌরকোশে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা হয়-

(a) ব্যাটারিতে

(c) সৌরপ্যানেলে

(b) টারবাইনে

(d) সোলারকুলারে

19. সামুদ্রিক মাছ ও উদ্ভিদের মৃতদেহ দীর্ঘসময় ধরে রূপান্তরিত হয়ে তৈরি হয়-

(a) খনিজতেল

(c) বায়োগ্যাস

(b) কয়লা

(d) কোনোটাই নয়

20. কোল্টি প্রচলিতশক্তির উৎস?

(a) সৌরবিদ্যুৎ

(b) তাপবিদ্যুৎ

(c) বায়ুশক্তি

(d) জৈববর্জ্য থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ

21. সৌরপ্যানেল ঠিক থাকে-

(a) 5-6 বছর

(b) 10-15 বছর

(d) 30-40 বছর

(c) 20-25 বছর

22. সৌরকোশের মুখ্য অর্ধপরিবাহী উপাদান হল-

(a) সিলিকন

(c) জার্মেনিয়াম

(b) অ্যালুমিনিয়াম

(d) প্ল্যাটিনাম

23. নীচের যেটি থেকে সবচেয়ে বেশি দূষণ হয় সেটি হল-

(a) তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

(c) জৈবগ্যাস

(b) জলবিদ্যুৎকেন্দ্র

(d) বায়ুকল

24. সৌরশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়-

(a) প্রেসারকুকারে

(c) সোলার সেলে

(b) বৈদ্যুতিক মোটরে

(d) ইলেকট্রিক ইস্ত্রিতে

25. পশ্চিমবঙ্গে বায়ুকল দেখা যায়-

(a) কলকাতায়

(b) দিঘায়

(c) বকখালিতে

(d) জলপাইগুড়িতে

26. কোন্টি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?

(a) জৈবগ্যাস

(b) প্রাকৃতিক গ্যাস

(c) কয়লা

(d) কেরোসিন

27. অপ্রচলিত শক্তির একটি উৎস হল-

(a) ডিজেল

(b) খনিজ তেল

(c) কয়লা

(d) জৈবশক্তি

28. জৈবগ্যাস বা বায়োগ্যাসের মূল উপাদান-

(a) হাইড্রোজেন

(b) অক্সিজেন

(c) মিথেন

(d) নাইট্রোজেন

29. পশুপাখির মল পচিয়ে উৎপন্ন শক্তি-

(a) পশুশক্তি

(b) জৈবশক্তি

(c) জীবাশ্ম শক্তি

(d) রাসায়নিক শক্তি

30. নীচের কোন্টি ‘Waste Energy’ নামে পরিচিত-

(a) পৌরসভার পচনযোগ্য জৈব

(b) প্রাণীদের মৃতদেহ

(c) গোবর

(d) সবকটি

31. জ্বালানিবিহীন যান হল-

(a) মোটর সাইকেল

(b) সাইকেল

(c) টোটো রিকশা

(d) কোনোটিই নয়

উত্তর: 1. (a) 2. (c) 3. (b) 4. (b) 5. (a) 6. (d) 7. (b) 8. (a) 9. (a) 10. (b) 11. (d) 12. (b) 13. (c) 14. (b) 15. (b) 16. (c) 17. (d) 18. (a) 19. (a) 20. (b) 21. (b) 22. (a) 23. (a) 24. (c) 25. (c) 26. (a) 27. (d) 28. (c) 29. (b) 30. (a) 31. (b)

Very Short Question Answer

14. তড়িৎশক্তি ব্যবহারের একটি ছক দেওয়া হল। এর ফাঁকা জায়গাগুলি পূরণ করো

উত্তর: (i) রেডিয়ো চালাতে (ii) বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে।

Short Question Answer

18. আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন জায়গাতেও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে সৌরশক্তির ব্যবহার। কোথাও এরকম শক্তির ব্যবহার দেখছ কি? নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:-(ⅰ) কোন্ জায়গায়

সৌরশক্তির ব্যবহার হচ্ছে? (ii) কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে? 2 

উত্তরঃ বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌরশক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে।

(i) সৌরপ্যানেলে সৌরশক্তির ব্যবহার হচ্ছে।

(ii) সোলার লাইট, সোলার ক্যাপ, সোলার কুকার, সোলার বাইক, সোলার ওয়াটার হিটার, সোলার সিগন্যাল, সোলার মোবাইল

চার্জার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।

19. সৌরশক্তি বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পৃথিবীর যেখানে যত শক্তি আছে, সবার উৎস হল সূর্য। সমস্ত গচ্ছিত শক্তি সূর্যের তাপ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। প্রবাহমান ও পুনর্ভব শক্তি সূর্যের তাপের ওপর নির্ভর করে উৎপন্ন হচ্ছে। সূর্যের শক্তি অপরিমেয়। যখন ফটো ভোেলটেজ সেল বা

সৌরকোশের মাধ্যমে সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎশব্ধি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে।

1. প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তি উৎস বলতে কী বোঝো? 3

উত্তর: প্রচলিতশক্তির উৎস: প্রচলিত শক্তি উৎস বলতে বোঝায় যে

উৎসগুলি থেকে বহুযুগ ধরে মানুষ জ্বালানিশক্তি আহরণ করে চলেছে। যেমন-কয়লা, খনিজ তেল, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি। প্রচলিত শক্তি উৎসের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল

অপ্রচলিত শক্তি উৎস: অপ্রচলিতশক্তি বলতে সেই সমস্ত শক্তিকে বোঝায় যে উৎসগুলি থেকে মানুষ ইদানীং জ্বালানিশক্তি আহরণ করার চেষ্টা করছে। এগুলির ব্যবহার এখনও ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়নি। অপ্রচলিতশক্তি উৎসের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Non-conventional Energy or Renewable Source of Energy |

2. পরিবেশবান্ধব শক্তি কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। [Govt. Girls’ High School (HS) Purulia] 1+2

উত্তর: যে সকল শক্তিউৎস থেকে পরিবেশ এবং জীবজগতের ক্ষতির

সম্ভাবনা কম থাকে, তাদের পরিবেশবান্ধব শক্তি বলা হয়। যেমন-সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈবশক্তি প্রভৃতি।

• পরিবেশবান্ধব শক্তির বৈশিষ্ট্য:

(i) এই সকল শক্তিউৎসের থেকে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা কম থাকে।

(ii) এইপ্রকার শক্তি পুনঃব্যবহারযোগ্য ফলে স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ।

(iii) নিঃশেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম বা প্রায় থাকেই না।

(iv) প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও সহজলভ্য হয়।

4. জীবাশ্ম জ্বালানির খরচের পরিমাণ কমানোর তিনটি ব্যবস্থা উল্লেখ করো।

উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানির খরচের পরিমাণ কমানোর কয়েকটি

উল্লেখযোগ্য পন্থা হল-

(i) জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পুনর্ভবশক্তি যেমন- সৌরশক্তি, ভূ -তাপীয়শক্তি, বায়ুশক্তি, জোয়ারভাটার শক্তি ইত্যাদির ব্যাপক ব্যবহার করা।

(ii) প্রয়োজনের অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি খরচ বন্ধ করা।

(iii) যেসমস্ত উৎপাদন ব্যবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেখানে পরিবর্ত দ্রব্যের ব্যবহার চালু করা।

(iv) জীবাশ্ম জ্বালানির সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

6. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের অসুবিধাগুলি লেখো।

উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের অনেক অসুবিধা রয়েছে যথা-

(i) জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পর এর ওজন হ্রাস পায় এবং বেশি পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ পড়ে থাকে। বেশি দূর বহন করে নিয়ে শিল্পে ব্যবহার করলে পরিবহণ ব্যয় বেশি পড়ে ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়।

(ii) জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষত কয়লা ব্যবহারের সময় প্রচুর পরিমাণ কালো ধোঁয়া, ছাই, বস্তুকণা, কার্বোগ্যাস, সালফার গ্যাস ও অন্যান্য বিষাক্ত জিনিষ নির্গত হয়। ফলে পরিবেশ দূষণ হয়।

(iii) জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলনের সময় সালফার ও ছাই-এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, বিশেষত কয়লা উত্তোলনে তাই এগুলির আহরণের খরচও অনেক বেশি হয়।

7. কোনগুলিকে পরিবেশবান্ধব শক্তি বলে? এবং কেন?

উত্তর: সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈবশক্তি, ভূ-তাপীয়শক্তি, জোয়ার

ভাটারশক্তি প্রভৃতি হল পরিবেশবান্ধব শক্তির অন্তর্গত। পরিবেশবান্ধব শক্তিরূপে নির্বাচনের কারণ: এইপ্রকার শক্তিগুলি পরিবেশ এবং জীবজগতের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিসাধন করে, এবং শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে অপ্রচলিত এবং সহজলভ্য এই ধরনের শক্তিগুলিকে পরিবেশবান্ধব শক্তি বলা যেতে পারে। 

8. পরিবেশ বান্ধবশক্তির প্রয়োজনীয়তা লেখো। 

অনুরূপ প্রশ্ন: পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহারের ভালো ফল সংক্ষেপে লেখো। [Siliguri Boys’ High School]

উত্তর: ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রচলিতশক্তির ব্যবহারের চাহিদা। আবার প্রচলিত শক্তিসম্ভার অফুরন্ত নয় ফলে একাধারে চাহিদা পূরণের তাগিদে এবং অন্যদিকে ব্যবহারিক শক্তি উৎসের ব্যয়ভার কমাতে এই ধরনের পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

9. নবীকরণযোগ্য ও অনবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস বলতে কী বোঝো?

উত্তর: নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস: পৃথিবীতে এমন অনেক শক্তিসম্পদ আছে, যাদের বারবার ব্যবহার করলেও নিঃশেষিত হয় না কিংবা

ব্যবহারের ফলে সাময়িকভাবে হ্রাস পেলেও পুনরায় সৃষ্টি হয় তাকে নবীকরণযোগ্য অথবা Renewable Source of Energy বলা হয়। যথা-জল, বায়ু, জৈবগ্যাস ইত্যাদি।

অনবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস: যেসব স্থানীয়কৃত শক্তিসম্পদ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষিত হয়ে যায় বা ফুরিয়ে যায় এবং পৃথিবীতে যাদের সঞ্চয়ের পরিমাণ সীমিত ও ব্যবহারের ফলে কমতে থাকে, তাই তাদের অনবীকরণযোগ্য অথবা Non-Renewable Source of Energy বলা যায়। যেমন-জীবাশ্মজ্বালানি অর্থাৎ কালো খনিজ তেল।

10. তাপবিদ্যুৎ কীভাবে উৎপন্ন হয়। দৈনন্দিন জীবনে তড়িৎশক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো। 1+2

উত্তর: কয়লা, পেট্রোলিয়াম বা প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি শক্তিউৎস থেকে যে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তা রূপান্তরিত হয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।

• তড়িৎশক্তির ব্যবহার:

(i) আলো জ্বালাতে, বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে

(ii) ওয়াশিং মেশিন, জলের পাম্প-এর মতো মেশিন চালনায়

(iii) কলকারখানার মেশিন, x-রশ্মির মেশিন ইত্যাদি চালনাতেও তড়িৎশক্তি ব্যবহৃত হয়।

(iv) মোবাইলফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন চালাতে তড়িৎশক্তি ব্যবহৃত হয়।

11. প্রচলিত ও অপ্রচলিতশক্তি কাকে বলে? 2

উত্তর: প্রচলিত শক্তি: যে সমস্ত শক্তি বর্তমানে বহুল পরিমাণে উৎপাদন ও ব্যবহার করা হয় তাদেরকে বলা যায় প্রচলিত শক্তি। এই শক্তি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কয়লা, খনিজতেল, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত শক্তি, জলবিদ্যুৎশক্তি, পারমাণবিকশক্তি প্রভৃতি বল চিরাচরিতশক্তি বা প্রচলিত শক্তি বা Conventional Energy-র উদাহরণ।

অপ্রচলিতশক্তি: যে সমস্ত শক্তি বর্তমানে স্বল্প পরিমাণে উৎপাদন ও ব্যবহার করা হয় অথচ ভবিষ্যতে বহুল পরিমাণে ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে, তাদেরকে বলা হয় অচিরাচরিত শক্তি। সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, ভূতাপশক্তি, জোয়ার-ভাটার শক্তি, জৈবগ্যাস প্রভৃতি বল অচিরাচরিতশক্তি বা অপ্রচলিত শক্তি বা Non-conventional Energy-র উদাহরণ।

13. শক্তিসংকট কাকে বলে? 2

উত্তর: মানবসমাজে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল, ডিজেল, বিভিন্ন শিল্পের উপাদান হিসেবে লোহা, জীবনের বহুক্ষেত্রে বিবিধ সামগ্রী নির্মাণের জন্য কাঠের চাহিদাও ক্রমবর্ধমান। ভূগর্ভে সঞ্চিত কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সঞ্চিত শক্তি উৎসের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার ফলে আগামীদিনে এদের সরবরাহ কমবে। অর্থাৎ অপরিকল্পিতভাবে এই সম্পদগুলির বিনাশ ও ভোগসাধন চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মানবসমাজের চাহিদা মেটাতে এই সম্পদগুলি আর পাওয়া যাবে না। একেই শক্তিসংকট বা Energy Crisis বলে।

22. বায়ুপ্রভাবের শক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়?

উত্তর: বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সমুদ্র উপকূল বা ফাঁকা জায়গা যেখানে নিয়মিত জোরে বায়ুপ্রবাহ হয়, সেখানে স্তম্ভের ওপর চওড়া ফলক (Blade) যুক্ত পাখা বসানো হয় এবং বায়ুপ্রবাহের সাহায্যে ওই পাখা ঘোরানো হয়। ঘুরন্ত পাখার সঙ্গে যুক্ত ডায়নামোর সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। এই ভাবে Wind turbine-এর সাহায্যে বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

23. বায়ুপ্রবাহের শক্তি ব্যবহার করলে কী কী সুবিধা হতে পারে?

উত্তর: বায়ুশক্তির ব্যবহারের সুবিধাগুলি হল-

(i) বায়ুর কোনো অভাব নেই।

(ii) একবার বায়ুকল বসালে দীর্ঘদিন চলবে

(iii) দূর থেকে তার সংযোগের মাধ্যমে যেখানে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে বায়ুশক্তি কার্যকরী।

24. বায়ুপ্রবাহের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তড়িৎ উৎপন্ন করার জন্য সমুদ্রের ধারে হাজার হাজার বায়ুকল লাগালে কী কী অসুবিধা হতে পারে? [পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন] 2

উত্তর: বায়ুপ্রবাহের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তড়িৎ উৎপন্ন করতে সমুদ্রের ধারে অনেক বায়ুকল লাগালে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে-

(i) অনেকগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র দৃশ্যদূষণ হয় এবং সেই সঙ্গে যন্ত্র চলার সময় কম্পনতরঙ্গের ফলে শব্দদূষণও হয়।

(ii) বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনেকগুলি ফ্যানের ব্লেডের আঘাতে পাখিও মারা যায়।

(iii) বাতাসের এলোমেলো দিক ও গতি পরিবর্তনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হয়।

25. আমাদের দেশের কী ধরনের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হয় বায়ুবিদ্যুৎ?

উত্তর: বায়ু বিদ্যুতের ব্যবহার আমাদের দেশেও গুরুত্বপূর্ণ।

(i) আমাদের দেশে Wind Energy Farm-এর সাহায্যে স্কুল-কলেজ-অফিস-কারখানায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সরবরাহ করা হয়।

(ii) Wind-Electric Generator-এর সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে কৃষিকাজে বিশেষত জলসেচ ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়।

26. জৈবগ্যাস বা গোবরগ্যাস কী? জৈবশক্তি কাকে বলে?

উত্তর: জৈবগ্যাস: অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জৈবপদার্থের পচনের মাধ্যমে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তাকে জৈবগ্যাস বলে।

জৈবশক্তি: সার, পৌর আবর্জনা, গাছ ইত্যাদির পচনের মাধ্যমে জৈবগ্যাস তৈরি হয়। এর সাথে হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসই জৈবগ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়, এগুলির সাথে বিশেষ পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ায় জীবাণুর দ্বারা বিয়োজিত হয়ে, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে তাপশক্তি উৎপাদন করা হয়, এই শক্তিকেই জৈবশক্তি বলে।

27. জৈবগ্যাস কীভাবে পাওয়া যায়? 2

উত্তর: পশু খামার থেকে ফেলে দেওয়া পশুর মল এবং মুরগির পোলট্রি থেকে ফেলে দেওয়া মল একটা বড়ো গর্তে পচিয়ে তার থেকে গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জৈব গ্যাস পাওয়া যায়।

28. জৈবশক্তি কীভাবে মানবজীবনে কাজে লাগানো যায়? 3

উত্তর: (i) বিদ্যুৎ জৈবশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তি হিসেবে কাজে লাগানো যায়। (ii) জৈব গ্যাস থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে আলো জ্বালানো, রান্না

করা, ঘর উয় রাখা প্রভৃতি কাজে লাগানো যায়।

1. জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন প্রভৃতি আমাদের খুব পরিচিত। এদের কয়েকটির ব্যবহার সকল সহপাঠীরা একত্রিত হয়ে একটি তালিকা আকারে এগুলির ব্যবহার বর্ণনা করার চেষ্টা করো।

2. জৈব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে তুমি মানবকল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিতে জনগোষ্ঠীকে সচেতন করবে?

উত্তর: (i) গ্রামাঞ্চলে গোবরগ্যাস থেকে উৎপন্ন আলো দ্বারা ঘর আলোকিতকরণ ও ঘর উন্ন রাখা প্রভৃতি করা সম্ভব।

(ii) বায়োগ্যাস প্লান্ট বিদ্যুৎউৎপাদক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করলে দূষণ-নিয়ন্ত্রিত হবে।

উচ্চাভিলাষীর স্বপ্নপূরণের তাগিদে :

1. ‘লুণ্ঠনশিল্প’ কী?

উত্তর: আহরণ করা হয়ে গেলে খনিজ সম্পদকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না তাই খনিজ আহরণ শিল্পকে লুণ্ঠন শিল্প বলে।

2. শিলা তৈল কাকে বলে? তরলসােনা কালোসোনা রূপে আখ্যায়িত করার কারণ কী?

উত্তর: সামুদ্রিকপ্রাণী ও উদ্ভিদের দেহরস থেকে (পেট্রোলিয়াম) তরলজ্বালানির উৎপত্তি ঘটেছে। এর প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন ও কার্বন। শিলার মধ্য থেকে পাওয়া যায় বলে

একে শিলা তৈল (Rock oil) বলা হয়। পেট্রোলিয়ামকে তরলসােনা (Liquid Gold) বা কালোসোনা (Black Gold) বলার কারণ হল পেট্রোলিয়ামের বহুবিধ ও ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে অর্থাৎ এটি খুবই মূল্যবান সম্পদ, এবং একইসাথে এটি প্রকৃতিতে তরল প্রকৃতির হওয়ার কারণে ও কালো রং-এর হওয়ার দরুন একে তরলসোনা বা কালোসোনা বলা হয়।

3. তেল রসায়ন শিল্পকে সূর্যোদয় শিল্প বলা হয় কেন?

উত্তর: তেল রসায়ন শিল্পের জন্য দেশের কৃষি, শিল্প, পরিবহণ উন্নত, সরকারের রাজস্ব সংগ্রহবৃদ্ধি, জনকল্যাণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে অর্থনৈতিক ভিত সুদৃঢ় হয়। এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময়। শিল্পটি বিংশ শতকের শেষভাগে বিকাশ লাভ করেছে। এইভাবে নবীন সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি ভারতসহ সমগ্রবিশ্বের নানা অঞ্চলে দ্রুত গতিতে ঠিক উদীয়মান সূর্যের আলোর মতো। তাই তেল রসায়ন শিল্পকে সূর্যোদয় বা উদয়াচলের শিল্প বলে।

Long Question Answer

21. সৌরশক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো

উত্তর: সৌরশক্তির ব্যবহারের সুবিধাগুলি হল-

(i) অফুরন্ত ভাণ্ডার: এটি প্রবাহমান ও অফুরন্তশক্তি। যতদিন সূর্য

থাকবে ততদিন শক্তি উৎপাদন করা যাবে।

(ii) পরিবেশবান্ধব: সৌরশক্তি উৎপাদন পদ্ধতিতে বাস্তুতন্ত্রেরও

কোনোরূপ ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা নেই।

মনে রেখো: 2008 সালে বিশ্বে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে পোর্তুগালের ‘অ্যাগুকাডারা ওয়েভ পার্কে’ তরঙ্গশক্তি উৎপাদন হয়।

(ii) সহজ উৎপাদন পদ্ধতি: সৌরপ্যানেল ও ব্যাটারি থাকলে অতি সহজে সাধারণ মানুষ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

(iv) পৌনঃপুনক খরচহীন ব্যবস্থা: সৌরশক্তির পৌনঃপুনিক ব্যয় নেই।

• সৌরশক্তির ব্যবহারের অসুবিধাগুলি হল-

(i) সীমিত উৎপাদন ক্ষমতা: গৃহস্থালির চাহিদা পূরণ করা গেলেও শিল্পের প্রয়োজনে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা কঠিন।

(ii) অধিক উৎপাদন ব্যয়: একটি সৌরকোশের উৎপাদনব্যয় অনেক বেশি। ফলে এটি সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থেকে গেছে।

(iii) আবহাওয়া নির্ভরশীলতা: শীতল নাতিশীতোয় ও তুন্দ্রা অঞ্চলে সূর্যের তাপ কম থাকায় সৌরশক্তি উৎপাদন করা কষ্টসাধ্য।

(iv) উন্নত প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানের অভাব: সৌরশক্তির বিকাশ বা উন্নয়নের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন, যা প্রায় পাওয়া যায় না।

3. জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। কয়লা ও পেট্রোলিয়াম কীভাবে উৎপন্ন হয়েছিল? 3

উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি: উদ্ভিদ ও জীবদেহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভূ-অভ্যন্তরে সঞ্চিত থাকা গচ্ছিত বা অপুর্নভব শক্তিসম্পদকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।

কয়লার উৎপত্তি: প্রায় 30 কোটি বছর আগে কার্বনিফেরাস

(Carboniferous) যুগে ভূ-আলোড়ন ও সমুদ্রতলের তারতম্যের জন্য পৃথিবীর আদি বনভূমি মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। ভূগর্ভের চাপ ও তাপের মিশ্রিত প্রভাবে গাছপালার কান্ডের মধ্যে সঞ্চিত কার্বন, রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কয়লায় রূপান্তরিত হয়। গাছ মাটির নীচে চাপা পড়ার পর স্ত্রীভূত হয়ে কয়লায় পরিণত হয়। গাছপালার চাপে এবং অল্প জীব রাসায়নিক বিয়োজনের ফলে ওইসব উদ্ভিজ্জ পদার্থ আংশিক অঙ্গারীভূত অবস্থায় পাতলা স্তরে পরিণত হয়। পরবর্তী প্লাবনে এই স্তর কাদা-বালি ও পলির নীচে আংশিক বিয়োজিত অবস্থায় চাপা পড়ে। এভাবে ক্রমাগত পলি সঞ্চয়ের ফলে ক্রমবর্ধমান চাপ ও তাপ বৃদ্ধির প্রভাবে উদ্ভিজ্জ পদার্থ কয়লায় পরিণত হয়।

পেট্রোলিয়ামের উৎপত্তি: বিজ্ঞানীদের মতে জৈব ও অজৈব,

যে-কোনো পদ্ধতিতেই খনিজ তেলের সৃষ্টি সম্ভবপর। জৈবপদার্থের রাসায়নিক রূপান্তরের ফলে খনিজ তেলের উৎপত্তি। 5 – 6 কোটি বছর আগে টার্সিয়ারি যুগের পাললিক শিলাস্তরের মধ্যে মৃত জীবদেহ, উদ্ভিদকোশ, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে চাপ, তাপ ও রাসায়নিক বিবর্তনের মাধ্যমে খনিজ তেলের জন্ম হয়। অজৈব তত্ত্বের সমর্থকদের মতে, শিলার মধ্যে সঞ্চিত কার্বাইড ও জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে খনিজ

তেল উদ্ভুত হয়েছে।

 5. জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্রাপ্ত শক্তির ব্যবহার লেখো।

উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বহুবিধ এবং ব্যাপক। যথা-

(i) তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার: কয়লা পুড়িয়ে জলকে বাষ্পে পরিণত করে সেই বাষ্পের সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

(ii) পেট্রো-রসায়ন শিল্প গঠন: পেট্রোলিয়াম থেকে বহুবিধ উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়, যা দিয়ে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য অজস্র জিনিস তৈরি হয়। যেমন-সকালে ব্যবহার টুথব্রাশ, রাতে শোওয়ার গদিওয়ালা বিছানা, পরিবহণের টায়ার, বিদ্যুৎশিল্পে ইনসুলেটর ইত্যাদি।

(iii) রাসায়নিক শিল্পে কয়লার ব্যবহার: কয়লা থেকে প্রচুর উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আলকাতরা, পাইরিডিন, বেঞ্জিন, স্যাকারিন, কৃত্রিমতত্ত্ব ইত্যাদি পাওয়া যায়।

(iv) পরিবহণে জীবাশ্ম জ্বালানির (পেট্রোলিয়ামের) প্রভাব: সড়কপথ, জলপথ ও বিমানপথে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোলিয়াম থেকে প্রাপ্ত ডিজেল, পেট্রোল ও ভ্যাসলিন ব্যবহার করা হয়।

(v) গৃহস্থালিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ভূমিকা: কয়লা গৃহস্থালিতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। কামারশালা ও অন্যান্য কুটিরশিল্পে কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Fil In The Blanks

1. কয়লা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ——– জ্বালানি

3. মাটিতে ড্রিল করে পেট্রোলিয়াম উৎপাদন শুরু হয় ——— খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা মহাদেশে।

4. সমস্ত ——– জ্বালানিই অনবীকরণযোগ্য।

5.———-  জ্বালানি ব্যবহার যত বেড়েছে। পরিবেশে বেড়েছে তার

দহনে উৎপন্ন পদার্থগুলোর বহুমুখী ক্ষতিকারক প্রভাব।

6. উদ্ভিদ এবং প্রাণীর দেহে ——– হয়ে থাকে। শক্তি পরিবর্তিত হয়ে আবদ্ধ

7. পশ্চিমবঙ্গের একটি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ———-

৪. সোলার কুকারে ——-  ব্যবহার করা হয়।

9. সূর্যের আলো সোলার প্যানেলের ওপর পড়লে ওই আলোকশক্তি ——— শক্তিতে বদলে যায়।

10. খনিজ তেল থেকে উৎপন্ন কম দূষক একটি জ্বালানির নাম ——–

11. সৌরশক্তির একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ হল ———-

12. সৌরশক্তি তৈরি করতে শুরুতে কিছুটা ——— হতে পারে। শক্তি ব্যয় করতে

13. যন্ত্রটি সৌরশক্তি দ্বারা চালিত যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।

14. বায়ু থেকে প্রাপ্তশক্তি কোনো  ———- সৃষ্টি করে না।

15. পরিবেশবান্ধব হতে গেলে ———- হবে। শক্তির ব্যবহার বাড়াতে

16. জোয়ার-ভাটা শক্তি হল ——— শক্তি।

17.——–  শক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সূর্য থেকে পাওয়া যায় না।

18. মাটির তলায় থাকা জ্বালানির ভাণ্ডারকে ———- বলে। জ্বালানি

19. গৃহপালিত পশুর মল পচিয়ে ———- গ্যাস উৎপন্ন হয় ও ———- কাজে লাগে। 

উত্তরঃ 1. (জীবাশ্ম) 3. (1859) 4. (জীবাশ্ম) 5. (জীবাশ্ম) 6. (সৌর) 7. (কোলাঘাট) ৪. (সৌরশক্তি) 9. (তড়িৎ) 10. 11. (সোলার লাইট) 12. (প্রচলিত) 13. (সোলারকুকার) 14. (দূষণ) 15. (অপ্রচলিত) 16. (অপ্রচলিত) 17. (ভূ-তাপীয়) 18. (জীবাশ্ম) 19. (জৈব, রান্নার)

1. নবীকরণযোগ্য: জৈবশক্তি :: অনবীকরণযোগ্য :——–

উত্তর: জীবাশ্ম জ্বালানি।

2. সৌরশক্তি: সৌরপ্যানেল :: বায়ুশক্তি :———–

উত্তর: Windmill |

3. পশ্চিমবঙ্গের : ব্যান্ডেল :: পশ্চিমবঙ্গের বায়ুকল :———

উত্তর: বকখালি।

4. LPG: বিউটেন :: CNG :———-

উত্তরঃ মিথেন।

5. তাপশক্তি : স্টিমইঞ্জিন:: তড়িৎশক্তি :———–

উত্তর: X-Ray মেশিন।

6. কয়লা : Black diamond :: পেট্রোলিয়াম :———–

উত্তরঃ Liquid Gold.