WBBSE Class 5 Bangla Chapter 10 পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে Solution | Bengali Medium

Class 5 Bangla Chapter 10

পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে

1. Very Short Question Answer

1. পশ্চিমবঙ্গের যে-কোনো একটি পাহাড়ের নাম লেখো। 

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের একটি পাহাড়ের নাম সান্দাকফু।

2. পাহাড়ের কথা বললেই কোন্ ছবি তোমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে?

উত্তরঃ পাহাড়ের কথা বললেই ছেলেবেলায় দার্জিলিংএ যাওয়া, পাহাড় দেখা, বরফ দিয়ে পাহাড়ের চূড়া ঢাকা এইসব ছবি ভেসে ওঠে।

3. খুব হল পৃথিবীতে খরা।

উত্তরঃ পৃথিবীতে খুব খরা হল।

4. নাম যার পোশাকি তরাই।

উত্তর: যার পোশাকি নাম তরাই।

5. সঙ্গে হল দেখা পথে পরে চলার মোরগের।

উত্তর: চলার পথে পরে দেখা হল মোরগের সঙ্গে।

6. তরাই কী?

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে যে স্যাঁতসেঁতে সবুজ বনভূমি আছে তা তরাই নামে পরিচিত।

7. কে রক্ষীদের মুখে হুল ফোঁটাতে লাগল?

উত্তর: মৌমাছিরা রক্ষীদের মুখে হুল ফোঁটাতে লাগল।

2. Short Question Answer

 1. বর্ষার মাছ ধরা নিয়ে তোমার অভিজ্ঞতার কথা কিংবা মাছ | ধরা নিয়ে তোমার পড়া তিনটি গল্প বা ছড়া লেখো।

উত্তরঃ মাছ ধরার অভিজ্ঞতা: একবার মামার বাড়ি গিয়ে মামাদের গ্রামের পুকুরে বোন – ভাইদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। মা-বাবা-মামার অনেক বারণ সত্ত্বেও মাছ ধরতে নেমেছিলাম। আমরা তিনজনেই খুব ছোট্ট ছিলাম। বৃষ্টিতে ভিজে মাছ ধরতে নেমেছিলাম আমরা; কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও একটি মাছও আমাদের বড়শিতে ওঠেনি।

 2. বর্ষায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয়? তোমার পাঠ্যবইতে বর্ষা নিয়ে আর কোন্ কোন্ লেখা রয়েছে?

উত্তরঃ বর্ষায় প্রকৃতির চেহারা একদম পাল্টে যায়। বৃষ্টির জলে গাছের পাতা সবুজ রং নেয়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বর্ষা এলে প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পায়। কানায় কানায় ভরা পুকুর থেকে বর্ষায় মাছ ডাঙায় উঠে আসে। বর্ষায় প্রকৃতিতে হরেকরকম ফুল ফোটে। সব মিলিয়ে বর্ষায় প্রকৃতি নতুন সাজে সেজে ওঠে। আমার পাঠ্যপুস্তকে বর্ষা নিয়ে লেখা কবিতা – ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

3. কথায় বলে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। সেই বাঙালির পরিচয় গল্পটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উত্তর : প্রাবন্ধিক সুনীল পাল-এর ‘পাহাড়িয়া সুরে’ প্রবন্ধটিতে দল বেঁধে যখন রাভা গোষ্ঠীর মানুষরা মাছ ধরতে যায়, তখন তাদের সেই সময়ের বা সেই মূহূর্তের একটি আনন্দময় পর্ব ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি, গানটিতে বাঙালির পরিচয়ও আছে। নতুন বছরের নতুন জলে, জল ছাপানো নদীর জলে, জল থৈ থৈ মাঠ পেরিয়ে, মাছ ধরার নেশায় বাঙালি সবার প্রথমে। এই গানটিতে সেই কথাই আছে। বকেদের সারি বেঁধে উড়ে যাওয়া, কুরুয়া পাখির কান্না, বারবার ছোঁ মেরে ও মাছরাঙা পাখির মাছ না পাওয়ায়, বাঙালিদের সিদ্ধান্ত অন্যদিকে যেখানে মাছ পাওয়া যাবে, সেখানে যেতে হবে।

4. বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিকে বাঁচায়?

উত্তরঃ বৃষ্টি খরা প্রতিরোধ করে প্রকৃতিকে বাঁচায়। বৃষ্টির মাধ্যমে ফসলের ফলন ভালো হয়। গাছগুলি বৃষ্টির জল না পেলে মরে যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে গাছগুলি আরও সবুজ হয়, তারা প্রাণে বাঁচে আর প্রকৃতিতে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে।

5. ‘খরা’ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ বৃষ্টিপাতের অভাবে জল ভীষণ কম পাওয়ার পরিস্থিতিকে খরা বলে। কোনো বছর মৌসুমি বায়ু দেরিতে আসার ফলে বৃষ্টিপাত দেরিতে হয়, বা অনাবৃষ্টির ফলে ‘খরা’ দেখা যায়। খরায় সবুজ গাছপালা ধ্বংস হয়ে যায়। মাটি জল পায় না। মাটিতে ফাটল ধরে। ফসল উৎপাদন হয় না। ফলে, খরায় মানুষ-পশু-গাছপালা নাজেহাল হয়। এমনকি উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবন সংকটও দেখা দিতে পারে।

6. অনাবৃষ্টির ফলে গল্পে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালার অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তর: অনাবৃষ্টির ফলে গল্পে মানুষ-পশু-গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেল। মৌমাছি জলের অভাবে ফুলের মধু পায় না, ফসল নষ্ট হওয়ায় মোরগ দানা পায় না, বাঘ জীবের অভাবে ক্ষুধার্তই থেকে যায়।

7. ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাঙ কী দেখল?

উত্তরঃ ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাঙ দেখল সবাই ব্যস্ত নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে। তাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের খুব আনন্দ। তখন ব্যাঙ বুঝল রাজ্যে কেন এত কষ্ট।

8. প্রাসাদের দৃশ্য দেখে ব্যাঙ রেগে উত্তেজিত হয়ে পড়ল কেন? (দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশন)

উত্তরঃ ব্যাঙের রাজ্যে খুব কষ্ট-অভাব-আকাল। কারণ বৃষ্টি হয়নি। খরায় মানুষ-পশু-গাছপালা বিনষ্ট হয়েছে। এদিকে ভগবানের রাজপ্রাসাদে দেখা গেল, প্রত্যেকে ব্যস্ত নানা ভোেজ-আনন্দ উৎসব নিয়ে। তখন ব্যাঙ বুঝল, তার রাজ্যের অভাব-কষ্টের

কারণ। তাই ব্যাঙ রেগে উত্তেজিত হয়ে পড়ল।

9. ভগবান ও তার রক্ষীরা মৌমাছি, বাঘ, মোরগের হাতে কীভাবে নাকাল হল? 

উত্তরঃ ভগবান ও তার রক্ষীদের মৌমাছি, বাঘ, মোরগ নানাভাবে নাকাল করল। রক্ষীদের মুখে মৌমাছি হুল ফোটালো। বাঘ তাদের খেয়ে নেবার ভয় দেখাল। এই সুযোগে মোরগও তার ডানা ঝাপটে ভয় দেখাতে শুরু করল।

10. একদিন সকালবেলা সে যাত্রা শুরু করল?” কে, কোথায়, কেন যাত্রা শুরু করেছিল?

উত্তর: লেপচা সমাজের প্রচলিত গল্পের ব্যাঙ স্বর্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। ব্যাঙ ভগবানের কাছে যেতে চেয়েছিল। উদ্দেশ্য বৃষ্টি আনা। সে ভগবানকে জিজ্ঞাসা করতে চায় কেন তিনি তাঁর সৃষ্টিকে এত আলোচনা করেছেন।

11. “বড় খরা হে” -কে, কাকে একথা বলেছিল? বক্তার কথা শুনে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিল?

উত্তর: এখানে এই উক্তিটি ব্যাঙ মৌমাছিদের উদ্দেশে করেছে। ব্যাঙের কথা শুনে মৌমাছিও ভগবানের কাছে যেতে রাজি হয়েছিল। কেননা বৃষ্টির অভাবে গাছে ফুলের, ফলের মধু নেই।

12. কারা কারা ভগবানের কাছে গিয়েছিল? সেখানে গিয়ে তারা কী দেখেছিল?

উত্তর: ব্যাঙ, মৌমাছি, মোরগ আর বাঘ ভগবানের প্রাসাদে গিয়েছিল। সেখানে পৌঁছে তারা দেখল ভগবানের প্রাসাদের সবাই ভোজ ও আনন্দ উৎসবে ব্যস্ত। মন্ত্রী ও তাদের স্ত্রীরা আনন্দে দিন কাটাচ্ছে।

3. Fill In The Blanks

1. রাগে উত্তেজিত হয়ে তারা গেল————————— কাছে।

উত্তরঃ রাগে উত্তেজিত হয়ে তারা গেল ভগবানের কাছে।

2. দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া——————– এক গোষ্ঠীর জীবনে—————– পর্ব।

উত্তর: দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া রাভা গোষ্ঠীর জীবনে এক আনন্দময় পর্ব।

3. ———————-আমরাও নাকাল।

উত্তরঃ খরায় আমরাও নাকাল।

4. গভীর জঙ্গলের মধ্যে একটি————————- বাঘের সঙ্গে দেখা। 

উত্তর: গভীর জঙ্গলের মধ্যে একটি ক্ষুধার্ত বাঘের সঙ্গে দেখা।

5. তখন মৌমাছিরা হুল ফোটাতে লাগল—————————- মুখে।

উত্তরঃ তখন মৌমাছিরা হুল ফোটাতে লাগল রক্ষীদের মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *