WBCHSE Class 12 Educational Science Chapter 10 Solution | Bengali Medium

Class 12 Educational Science Solution

প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণ

1. MCQs Question Answer

1. আন্তর্জাতিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগ বলতে কী বোঝায়?

(a) সকলের শিক্ষার সুযোগ

(b) সকলের ভরতির সুযোগ

(c) সকলের নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ শেষ করা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

2. ভারতীয় সংবিধানের কোন্ নির্দেশাত্মক নীতির ধারায় সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার কথা ব্যক্ত হয়েছে?

(a) 46 নং ধারায়

(b) 45 নং ধারায়  ✔

(c) 75 নং ধারায়

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

3. স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে মুক্ত নাগরিক কারা?

(a) সকলেই

(b) কেবলমাত্র শিক্ষিতরাই

(c) নিরক্ষরের মুক্ত নাগরিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

(d) গণতান্ত্রিক দেশের উদ্দেশ্য হল সকলকেই মুক্ত নাগরিক করে তোলা  ✔

4. ‘সকলের শিক্ষার অধিকার’ কোন্ আইনে প্রথম স্বীকৃত হয়?

(a) শিক্ষার অধিকার আইনে

(b) শিশুর অধিকার আইনে

(c) মানুষের অধিকার এবং শিশুর অধিকার আইনে  ✔

(d) ভারতীয় সংবিধানের 45 নং ধারায়

5. 1 কিমি-র মধ্যে নিম্ন-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থানের কারণ কী?

(a) যাতায়াতে শিশুর সময় যাতে কম লাগে

(b) গ্রামীণ রাস্তা খারাপ

(c) শিশু যাতে নিজেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে  ✔

(d) শিশুর শারীরিক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা

6. সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগের শর্ত কোনটি?

(a) শিশুর বাসস্থানের 1 কিমি-র মধ্যে বিদ্যালয় থাকতে হবে

(b) পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষা-উপকরণ বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে

(c) শিক্ষা অবৈতনিক হবে

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

7. নীচের কোন্টি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার শর্ত নয়?

(a) দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শিশুর বাসস্থানের 1 কিমি-র মধ্যে নিম্ন- প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা

(b) যোগ্য শিক্ষক থাকা

(c) শৌচাগার থাকা

(d) ওপরের কোনোটিই নয়  ✔

৪. সর্বজনীন পাঠ শেষ করার অর্থ কী?

(a) পূর্বনির্দিষ্ট বয়স বা শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ সমাপ্ত করা  ✔

(b) পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ সমাপ্ত করা

(c) অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ সমাপ্ত করা

(d) বয়ঃসন্ধিক্ষণ পর্যন্ত পাঠ চালিয়ে যাওয়া

9. বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা বলতে কী বোঝায়?

(a) পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা

(b) ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা

(c) অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা  ✔

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

10. ভারতের সংবিধানের 45 নং ধারায় কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে 14 বৎসর পর্যন্ত সকলের জন্য শিক্ষার কথা বলা হয়েছে?

(a) 1965 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে

(b) 1960 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে  ✔

(c)1955 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে

(d) 1970 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে

11. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কত খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা মানুষের অধিকার বলে স্বীকৃতি লাভ করে?

(a) 1947 খ্রিস্টাব্দে

(b) 950 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1948 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

12. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নীচের কোন্ বক্তব্যটি সঠিক?

(a) শিক্ষার প্রসার বিচার করা হয়, গুণগত মানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় না

(b) শিক্ষার প্রসার এবং গুণগত মান উভয়ের ওপরে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়

(c) শিক্ষার প্রসার এবং গুণগত মান উভয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে প্রসারের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পায়  ✔

(d) শিক্ষার প্রসার এবং গুণগত মান উভয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে গুণগত মানের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পায়

13. আন্তর্জাতিক স্তরে মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণায় কত নম্বর • অনুচ্ছেদে শিক্ষার অধিকারের বিষয়টি উল্লিখিত আছে?আ

(a)15 নং অনুচ্ছেদে

(b) 20 নং অনুচ্ছেদে

(c) 26 নং অনুচ্ছেদে  ✔

(d) 30 নং অনুচ্ছেদে

14. নীচের কোন্ কারণটি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়?

(a) অভিভাবকদের নিরক্ষরতা

(b) মেয়েদের শিক্ষায় বাধা

(c) জনবিস্ফোরণ  ✔

(d) বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত সুযোগের অভাব

15. প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের উদ্দেশ্য কী?

(a) সামাজিক ন্যায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা

(b) জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা

(c) জাতীয় সংহতিকে নিশ্চিত করা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

16. প্রাথমিক শিক্ষা সর্বজনীন করতে ভারত সরকার নীচের কোন্ কর্মসূচিটি গ্রহণ করেনি?

(a) বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি

(b) সাক্ষরতা কর্মসূচি

(c) প্রবহমান শিক্ষা কর্মসূচি  ✔

(d) সর্বশিক্ষা অভিযান

17. একত্রে বসবাসের শিক্ষা হল-

(a) আন্তর্জাতিক শিক্ষা  ✔

(b) জাতীয় সংহতির শিক্ষা

(c) সামাজিক শিক্ষা

(d) সমস্যাসমাধানের শিক্ষা

18. কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর সামাজিক শিক্ষার ধারণাটি ব্যক্ত করে-

(a) 1953 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1963 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(c) 1973 খ্রিস্টাব্দে

(d) 1983 খ্রিস্টাব্দে

19. ভারতবর্ষে Universalisation of Elementary Education-এর অর্থ হল সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অর্থাৎ 6-14 বছর বয়সি বালক-

বালিকারা যারা  ———শ্রেণিতে পড়ে।

(a) I থেকে VIII  ✔

(b) IV থেকে VIII

(c) I থেকে VI

(d) I থেকে VII

20. পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকরী হয়-

(a) 2009 খ্রিস্টাব্দ থেকে

(b) 2010 খ্রিস্টাব্দ থেকে  ✔

(c) 2011 খ্রিস্টাব্দ থেকে

(d) 2012 খ্রিস্টাব্দ থেকে

21. বয়স্কশিক্ষার অর্থ কী?

(a) নিরক্ষর বয়স্ক ব্যক্তিদের সাক্ষর করে তোলা

(b) বয়স্কদের কার্যকরী সাক্ষর করে তোলা

(c) সামাজিক শিক্ষা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

22. বয়স্কশিক্ষায় ‘বয়স্ক’ বলতে কাদের উল্লেখ করা হয়?।

(a) যাদের বয়স 15 থেকে 35 বছরের মধ্যে  ✔

(b) যাদের বয়স 15 থেকে 50 বছরের মধ্যে

(c) যাদের বয়স 15 বছরের ওপরে

(d) যাদের বয়স 15 থেকে 60 বছরের মধ্যে

23. কার্যকরী সাক্ষরতা কাকে বলে?

(a) ব্যক্তি নিজেই যখন নিয়ম, পঠন ও সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে

(b) ব্যক্তি নিজের নাম সই করতে পারে

(c) ব্যক্তি লিখতে ও পড়তে পারে

(d) ব্যক্তি যখন তার নাগরিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য সার্থকভাবে পালন করতে সক্ষম হয়  ✔

24. বয়স্কশিক্ষাকে ‘সামাজিক শিক্ষা’ হিসেবে সর্বপ্রথম কে উল্লেখ করেন?

(a) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারি

(b) সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ

(c) ড. আবুল কালাম আজাদ  ✔

(d) শিক্ষাবিদ জে পি নায়েক

25. কোন্ পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষা এবং সামাজিক শিক্ষার পরিবর্তে ‘বয়স্ক সাক্ষরতা’ শব্দ ব্যবহৃত হয়?

(a) দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়

(b) চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়

(c) পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়  ✔

(d) ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়

26. নীচের কোন্টিকে বয়স্কশিক্ষার ফলে ব্যক্তিগত উন্নতির অন্তর্ভুক্ত করা যায় না?

(a) ভালোমন্দ বিচার করা

(b) শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা

(c) গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা  ✔

(d) মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা

27. কোন্ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সামাজিক শিক্ষার ধারণাটি ব্যক্ত করে?

(a) 1960 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1965 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1963 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) 1970 খ্রিস্টাব্দে

28. কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সামাজিক শিক্ষা বলতে কী বলেছে?

(a) যে শিক্ষা সামাজিক পরিবর্তনে সাহায্য করে

(b) যে শিক্ষা ব্যক্তির সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক এবং রাজনৈতিক জীবনকে আরও উন্নত করে

(c) যে শিক্ষা কমিউনিটির বিকাশে সক্রিয় হয়

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

29. বয়স্কশিক্ষা এবং সামাজিক শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য কী?

(a) বয়স্কশিক্ষা ব্যক্তি-শিক্ষার্থীর উৎকর্ষ সাধন করে এবং সামাজিক শিক্ষা সমাজের উৎকর্ষ সাধন করে

(b) বয়স্কশিক্ষা ব্যক্তি-শিক্ষার্থীর উৎকর্ষ সাধন করে এবং সামাজিক শিক্ষা ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়ের উৎকর্ষ সাধন করে

(c) বয়স্কশিক্ষা ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়ের উৎকর্ষ সাধন করে, সামাজিক শিক্ষা কেবলমাত্র সমাজের উৎকর্ষ সাধন করে  ✔

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

30. বয়স্কশিক্ষার উদ্দেশ্য কী?

(a) নিজের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করা

(b) দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা

(c) আর্থিক উপাদান বৃদ্ধি করা

(d) ওপরের সবগুলি ✔ 

31. ‘Each one, teach one’ কোন্ আন্দোলনের স্লোগান ছিল?

(a) ভারত ছাড়ো আন্দোলন  

(b) ভাষা আন্দোলন

(c) শিক্ষা আন্দোলন  ✔

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

32. ‘NLM’-এর পুরো শব্দটি কী?

(a) ন্যাশনাল লার্নিং মিশন

(b) ন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ মিশন

(c) ন্যাশনাল লিটারেসি মিশন  ✔

(d) ন্যাশনাল লিংগুয়েস্টিক মিশন

33. ‘ন্যাশনাল লিটারেসি মিশন’ কোন্ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত?

(a) এডুকেশনাল মিশন

(b) ডেভেলপমেন্টাল মিশন

(c) টেকনোলজিকাল মিশন  ✔

(d) এগ্রিকালচারাল মিশন

34. ‘জাতীয় সাক্ষরতা’ কর্মসূচির লক্ষ্য কী ছিল?

(a) আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা

(b) বঞ্চনার কারণসমূহ সম্পর্কে সচেতন হওয়া

(c) সাক্ষরতা ও গণিতে জ্ঞানার্জনের মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

35. ন্যাশনাল লিটারেসি মিশনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নীচের কোন্টির প্রয়োজন?

(a) সঠিক কর্মী নিয়োগ

(b) পূর্বনির্দিষ্ট কর্মসূচি  ✔

(c) তথ্যসংগ্রহ

(d) উপযুক্ত তদারকি

36. নীচের কোন্টি ন্যাশনাল লিটারেসি মিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কিত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়?

(a) কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকে বিকেন্দ্রীকরণ

(b) মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি

(c) উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

37. ন্যাশনাল লিটারেসি মিশনের কর্মসূচি রূপায়ণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কার ওপর অর্পিত?

(a) CABE-এর ওপর

(b) SABE-এর ওপর

(c) জেলা বোর্ড অব এডুকেশনের ওপর  ✔

(d) প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের ওপর

38. ন্যূনতম শিখনের মাত্রা (MLL) জানার প্রয়োজনীয়তা কী?

(a)শিক্ষকের মূল্যায়ন

(b) শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় কি না সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া

(c) শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত মানে পৌঁছেছে কি না সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া  ✔

(d) ওপরের সবগুলি

39. TLC-র পুরো কথাটি কী?

(a) টোটাল লার্নিং ক্যাম্পেন

(b) টোটাল লিটারেসি ক্যাম্পেন  ✔

(c) টোটাল ল্যাংগুয়েজ ক্যাম্পেন

(d) টোটাল লিটারেসি কমিউনিটি

40. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচিটির নাম কী?

(a)জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি

(b) জাতীয় সাক্ষরতা মিশন

(c) সর্বশিক্ষা অভিযান  ✔

(d) টোটাল লিটারেসি ক্যাম্পেন

41. ন্যূনতম শিখনের মাত্রা (MLL) বলতে কী বোঝায়?

(a) নির্দিষ্ট শ্রেণিতে সব শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ন্যূনতম মাত্রার জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবে

(b) নির্দিষ্ট শ্রেণিতে 90% শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ন্যূনতম মাত্রার জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবে

(c) নির্দিষ্ট শ্রেণিতে সব শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ন্যূনতম মাত্রার জ্ঞান, দক্ষতা ও উৎকর্ষের অধিকারী হবে  ✔

(d) নির্দিষ্ট শ্রেণিতে 50% শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ন্যূনতম মাত্রার জ্ঞান, দক্ষতা ও উৎকর্ষের অধিকারী হবে

42. কোন্ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচির পরিকল্পনার একক হিসেবে রাজ্য সরকারের পরিবর্তে জেলাকে গণ্য করা হয়েছিল?

(a) পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়

(b) ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়

(c) অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়  ✔

(d) সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়

43. DPEP পুরো কথাটি কী?

(a) ডিস্ট্রিক্ট প্ল্যানিং এডুকেশনাল প্রোগ্রাম

(b) ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি ইভল্যুয়েশন প্রোগ্রাম

(c) ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি এডুকেশনাল প্রোভিসন

(d) ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি এডুকেশনাল প্রোগ্রাম  ✔

44. জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের কাজ কবে শুরু হয়?

(a) 1975 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1980 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1988 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) 2001 খ্রিস্টাব্দে

45. সাক্ষরতার দিক দিয়ে সমগ্র ভারতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান কোথায়?

(a) পঞ্চম

(b) দশম

(c) একাদশ

(d) ত্রয়োদশ  ✔

46. ‘Each one teach one’ স্লোগানটি কোন্ দেশের?

(a) দক্ষিণ-আফ্রিকা

(b) ইংল্যান্ড

(c) ভারত  ✔

(d) আমেরিকা

47. DPEP-তে মাইক্রো পরিকল্পনার ভিত্তি কী?

(a) পরিকল্পনাটি জেলাভিত্তিক  ✔

(b) পরিকল্পনাটি ব্লকভিত্তিক

(c) পরিকল্পনাটি গ্রামভিত্তিক

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

48. বর্তমানে সারা বিশ্বে শিশু শ্রমিকের হার শতকরা-

(a) 6 ভাগ

(b) 9 ভাগ

(c)11 ভাগ  ✔

(d)17 ভাগ

49. বিশ্বের মোট শিশু শ্রমিকের মধ্যে অধিকাংশ দেখা যায়-

(a) চিনে

(b) ভারতে ✔ 

(c) রাশিয়াতে

(d) জাপানে

50. সর্বজনীন সাক্ষরতা হল-

(a) বয়স্ক ব্যক্তির জন্য সাক্ষরতা

(b) সকলের জন্য সাক্ষরতা  ✔

(c) কিছু ব্যক্তির জন্য সাক্ষরতা

(d) বালিকাদের জন্য সাক্ষরতা

51. পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা (2011-এর আদমশুমারি অনুযায়ী)-

(a) 4, 19, 74, 218

(b) 7,26, 26, 809

(c) 6, 04, 39, 692

(d) 9, 12, 76, 115  ✔

52. পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার (2011-এর আদমশুমারি অনুযায়ী)-

(a) 67.3%

(b) 72.4%

(c) 76.3%  ✔

(d) 86.3%

53. 2011-এর আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যা হল-

(a) 1, 03, 08, 54, 977

(b) 1, 05, 08, 54, 977

(c) 1, 11, 08, 54, 977

(d) 121, 08, 54, 977  ✔

54. 2011-এর আদমশুমারিতে ভারতের সাক্ষরতার হার-

(a) 69%

(b) 73%  ✔

(c) 79%

(d) 83%

55. জাতীয় শিক্ষানীতিতে নিরক্ষরতা দূরীকরণে POA এবং ‘অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড’ গঠন করা হয়েছে-

(a) 1964 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1968 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1986 খ্রিস্টাব্দে   ✔

(d) 1990 খ্রিস্টাব্দে

56. নারীদের গুণগতমান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ভারত সরকার কর্তৃক গঠন করা হয়েছে-

(a) মাতৃসদন

(b) নারীভবন

(c) নারী কলেজ

(d) মহিলা মণ্ডল  ✔

57. POA (Programme of Action) গঠন করা হয়-

(a) 1986 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1990 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1992 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) 2002 খ্রিস্টাব্দে

58. ভারতে সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে কর্মীদল গঠন করা হয়-

(a) 1973 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1977 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(c) 1986 খ্রিস্টাব্দে

(d) 1993 খ্রিস্টাব্দে

59. ভারতে জাতীয় আয়ের কত শতাংশ (%) অর্থ শিক্ষাখাতে খরচ করা হয়?

(a) 2.3%

(b) 3.2%  ✔

(c) 8.2%

(d) 9.3%

60. বিশ্বের মোট নিরক্ষর মানুষের মধ্যে ভারতে কত শতাংশ (%) বসবাস করে?

(a) 21.6%

(b) 29.6%

(c) 34.6%  ✔

(d) 46.3%

61. অষ্টম পরিকল্পনার শেষে ভারতে কত মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক নিরক্ষরকে সাক্ষর করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল?

(a) 50 মিলিয়ন

(b) 60 মিলিয়ন

(c) 70 মিলিয়ন

(d) 80 মিলিয়ন  ✔

62. ‘জাতীয় সাক্ষরতা মিশন’ স্থাপিত হয়-

(a) 1988 সালে  ✔

(b) 1968 সালে

(c) 1978 সালে

(d) 1958 সালে

63. NLM-এর পুরো শব্দটি হল-

(a) ন্যাশনাল লার্নিং মিশন

(b) ন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ মিশন

(c) ন্যাশনাল লিটারেসি মিশন  ✔

(d) ন্যাশনাল লিংগুয়েস্টিক মিশন

64. 3Rs কী?

(a) শিখন, পঠন ও সংরক্ষণ

(b) পঠন, লিখন, গণিত  ✔

(c) পঠন, লেখক ও গণিত

(d) পঠন, গণিত ও বিজ্ঞান

65. জাতীয় সাক্ষরতা মিশন গঠিত হয়-

(a) 1988 খ্রিস্টাব্দের 5 মে  ✔

(b) 1988 খ্রিস্টাব্দের 7 মে

(c) 1992 খ্রিস্টাব্দের 5 মে

(d) 1988 খ্রিস্টাব্দের 6 মে

66. সর্বশিক্ষা অভিযান কী ধরনের প্রকল্প?

(a) কেন্দ্রীয় প্রকল্প

(b) রাজ্য সরকারের প্রকল্প

(c) কেন্দ্র, রাজ্য ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংস্থাগুলির সহযোগিতামূলক প্রকল্প  ✔

(d) কেন্দ্র, রাজ্য, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংস্থা এবং বেসরকারি উদ্যোগের সহযোগিতামূলক প্রকল্প

67. সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রধান লক্ষ্য কী?

(a) 2010 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সব শিশু ৪ বছরের বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত। করবে

(b) 2003 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সব শিশু বিদ্যালয়ে, শিক্ষা নিশ্চয়তা কেন্দ্রে (EGC), বিকল্প বিদ্যালয় বা 

বিদ্যালয়ে ফিরে আসা ক্যাম্পে আসবে

(c) 2007 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সব শিশু 5 বছরের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করবে

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

68. প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানে ন্যূনতম ক-জন শিক্ষকের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল?

(a) দুজন  ✔

(b) তিনজন

(c) চারজন

(d) পাঁচজন

69. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তবায়নে সর্বশিক্ষা অভিযানে নীচের কোন্ পরিকাঠামোগত সুযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি?

(a) প্রতিটি শিক্ষক/শিক্ষিকার জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ

(b) শিশুদের বাসস্থান থেকে দেড় কিমি-র মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা বিকল্প বিদ্যালয় থাকবে  ✔

(c) প্রতিটি বিদ্যালয়কে বার্ষিক অনুদান হিসেবে দু-হাজার টাকা দেওয়া হবে

(d) অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাত্র অনুপাত হবে 1:40

70. প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান সুনিশ্চিত করার জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানে নীচের কোন্ পদক্ষেপটি গ্রহণ করার কথা হয়েছে?

(a) শিক্ষক-শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা

(b) মূল্যায়ন সম্পর্কে আলোচনা

(c) সমন্বিত পরিকল্পনা

(d) উপরোক্ত সবগুলি  ✔

71. বিদ্যালয়ছুটদের (ড্রপ আউট) সংখ্যা হ্রাস করার জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানে নীচের কোন্ পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয়নি?

(a) খেলাধুলার ব্যবস্থা

(b) বিনা কারণে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের শাস্তিদান  ✔

(c) বাস্তব এবং প্রয়োজনভিত্তিক শিক্ষাদান

(d) শিক্ষাপোকরণের ব্যবহার

72. নীচের কোন্ কর্মসূচিটি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সবেচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছে?

(a) জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি

(b) জাতীয় সাক্ষরতা মিশন

(c) সর্বশিক্ষা অভিযান  ✔

(d) গ্রামীণ কার্যকরী সাক্ষরতা

73. নীচের কোন্টি সর্বশিক্ষা অভিযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি?

(a) পরিপূরক শিক্ষার ব্যবস্থা  ✔

(b) ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ

(c) বালিকাদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব

(d) পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা

74. সর্বশিক্ষা অভিযানে কী আর্থিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

(a) ‘বুক ব্যাংক’ গড়ে তোলার জন্য সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকার অনুদান

(b) প্রতিটি বালিকা এবং SC/ST শিক্ষার্থীদের জন্য বই ক্রয় করার জন্য 150 টাকার অনুদান

(c) প্রতিটি শিক্ষকের জন্য পাচশো টাকার অনুদান

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

75. সামাজিক শিক্ষা হল বয়স্কশিক্ষা” কথাটি কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে?

(a) 1964-66 সালে কোঠারি কমিশনের রিপোর্টে

(b) 1949 সালে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের ভাষণে

(c) 1963 সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে  ✔

(d) 1986 সালে জাতীয় শিক্ষানীতিতে

76. বয়স্ক সাক্ষরতা বলতে কী বোঝায়?

(a) বয়স্ক ব্যক্তিরা নিজের নাম সই করতে সক্ষম হয়

(b) বয়স্ক ব্যক্তিরা নিজের নাম সই এবং পড়তে সক্ষম হয়

(c) বয়স্ক ব্যক্তি লিখতে ও পড়তে সক্ষম হয়

(d) বয়স্ক ব্যক্তি লিখতে, পড়তে এবং সাধারণ গণিত করতে পারে  ✔

77. কোন্ কমিশনে শিক্ষানীতিতে বয়স্কশিক্ষা সম্পর্কে কোনো আলোচনা করা হয়নি?

(a) কোঠারি কমিশন

(b) মুদালিয়র কমিশন  ✔

(c) জাতীয় শিক্ষানীতি

 (d) ওপরের কোনোটিই নয়

78. নীচের কোনটি সঠিক?

(a) বয়স্কশিক্ষা এবং সাক্ষরতা এক

(b) কার্যকরী সাক্ষরতা এবং ব্যাবহারিক সাক্ষরতা এক

(c) সাক্ষরতা এবং কার্যকরী সাক্ষরতা এক

(d) ওপরের কোনোটিই নয়  ✔

79. বিদ্যালয়, গ্রাম ও ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটির মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানে কী ব্যবস্থা করা হয়?

(a) চক্র সম্পদ গঠন

(b) গুচ্ছ সম্পদ গঠন  ✔

(c) গুচ্ছ কমিটি গঠন

(d) চক্র কমিটি গঠন

80. পরিকাঠামো ও পরিসেবা ব্যবস্থা বিস্তারের জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানে কী গঠন করা হয়?

(a) গুচ্ছ সম্পদ গঠন করা হয়

(b) চক্র কমিটি গঠন করা হয়

(c) গুচ্ছ কমিটি গঠন করা হয়

(d) চক্র সম্পদ গঠন করা হয়  ✔

81. সর্বশিক্ষা অভিযানে প্রারম্ভিক শিক্ষার গুণগত মান সুনিশ্চিত করার জন্য নীচের কোন্টি উল্লেখ করা হয়নি?

(a) বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার

(b) সমৃদ্ধ পাঠক্রম চালু করা  ✔

(c) অনুকূল পরিবেশ গঠন

(d) মূল্যায়ন সম্পর্কে আলোচনা

82. সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে প্রধান শিক্ষকের মূল কর্তব্য কী?

(a) বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন

(b) যৌথভাবে কাজ করার মানসিকতা

(c) যে এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা আসে, সেখানে 6+ বয়সের সকলে ভরতি হয়েছে কি না তা দেখা  ✔

(d) শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান সুনিশ্চিত করা

83. উন্নিকৃয়ণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় বের হয়-

(a) 1973 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1983 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1993 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) 2003 খ্রিস্টাব্দে

84. বর্তমানে সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচির মেয়াদ বেড়েছে-

(a) 2015 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

(b) 2017 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত   ✔

(c) 2021 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

(d) 2025 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

85. সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচিতে 2010 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতের সকল শিশুকে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে-

(a) 3 বছরের মধ্যে

(b) 5 বছরের মধ্যে

(c) 7 বছরের মধ্যে

(d) ৪ বছরের মধ্যে  ✔

86. ভারতের প্রতিটি শিশুর অধিকারে সুনিশ্চিত করতে প্রারম্ভিক শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় কমিটি বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়-

(a)1992 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1994 খ্রিস্টাব্দে

(c)1998 খ্রিস্টাব্দে

(d) 1999 খ্রিস্টাব্দে  ✔

87. ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় কত শতাংশ (%) জুড়ে রয়েছে শিশু?

(a) 14%

(b) 24%

(c) 34%  ✔

(d) 44%

89. ভারতে শিশুদের মধ্যে যাদের বয়স 6 বছরের নীচে, তা ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায়-

(a) 7%

(b) 11%

(c) 15%  ✔

(d) 21%

90. ভারতে শিশুদের মধ্যে যাদের বয়স 6-14 বছরের মধ্যে, তা ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায়-

(a) 11%

(b) 13%

(c) 15%

(d) 19%  ✔

91. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ শিশু অধিকার বিষয়ে কত খ্রিস্টাব্দে এক কনভেনশন আহ্বান করে?

(a)1986 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1989 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(c)1994 খ্রিস্টাব্দে

(d) 1999 খ্রিস্টাব্দে

92. ভারতে শিশুর অধিকার সম্পর্কে কত খ্রিস্টাব্দে একটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়?

(a) 1986 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1990 খ্রিস্টাব্দে

(c)1992 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) 1996 খ্রিস্টাব্দে

93. 11M, Kolkata পরিচালিত সমীক্ষার রিপোর্ট (25/12/2012) অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের যত শতাংশ (%) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো কাঠামো নেই, তা হল-

(a) 6%

(b) 8%

(c) 10%

(d) 16%  ✔

94. 11M, Kolkata পরিচালিত সমীক্ষার রিপোর্ট (28/12/2012) অনুযায়ী আমাদের রাজ্যের কতভাগ জনগণ নিরক্ষর?

(a) 14 অংশ 

(b) 13অংশ  ✔

(c) 12  অংশ 

(d) 23 অংশ 

95. সারা বিশ্বে সরকারিভাবে শিক্ষার জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তার মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ হল-

(a) 0.1%

(b) 0.5%

(c) 0.7%

(d) 0.9%  ✔

96. সর্বশিক্ষা অভিযান কার্যকরী হয়-

(a) 2001 সালে

(b) 2002 সালে  ✔

(c) 2003 সালে

(d) 2004 সালে

97. সর্বশিক্ষা অভিযান সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল-

(a) 2006 খ্রিস্টাব্দে.

(b) 2008 খ্রিস্টাব্দে

(c) 2012 খ্রিস্টাব্দে

(d) 2010 খ্রিস্টাব্দে  ✔

98. VEC-এর সম্পূর্ণ কথাটি হলো-

(a) Village Education Centre

(b) Village Education Campaign

(c) Village Education Committee  ✔

(d) Village Education Community

2. Very Short Question Answer

1. পৃথিবীর একটি অনুন্নত দেশের নাম উল্লেখ করো।

▶ পৃথিবীর একটি অনুন্নত দেশ হল-বাংলাদেশ।

2. বিশ্বের একটি উন্নত দেশের নাম উল্লেখ করো।

▶ বিশ্বের একটি উন্নত দেশ হল-আমেরিকা।

3. শিক্ষায় সর্বজনীনতার ক্ষেত্রে World Education Forum-এ যে ছয়টি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে, তার যে কোনো একটি লেখো।

▶ 2015 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সাক্ষরতা স্তরে বয়স্কদের বিশেষ করে নারীদের 50% উন্নয়ন ঘটানো।

4.পরাধীন ভারতবর্ষে ‘অবৈজ্ঞানিক সর্বজনীন শিক্ষা’র কথা সর্বপ্রথম কে বলেছিলেন?

▶ 1910-11 খ্রিস্টাব্দে গোপালকৃয় গোখলে সর্বপ্রথম পরাধীন ভারতবর্ষে ‘অবৈজ্ঞানিক সর্বজনীন শিক্ষা’- প্রচলনের কথা বলেছিলেন।

5. কবে, কার সহযোগিতায় পূর্ণ সাক্ষরতা অভিযান চালু হয়?

▶ 1990 খ্রিস্টাব্দে UNESCO-এর সহযোগিতায় পূর্ণ সাক্ষরতা অভিযান চালু হয়।

6.ভারত সরকার 2003-2004 খ্রিস্টাব্দে সর্বশিক্ষার জন্য শিক্ষাখাতে কত টাকা অনুদান দিয়েছিল?

▶ ভারত সরকার 2003-2004 খ্রিস্টাব্দে সর্বশিক্ষার জন্য শিক্ষাখাতে 2698 কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল।

7. NCF কথাটির পুরো নাম লেখো।

▶ PINCE মাটির পুরো নাম হল-National Curriculum Framework

8. কত সালে UNESCO শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর গুরুত্ব দেয়?

▶ 1994 সালে UNESCO শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর জোর দেয়।

9. কার্যকরী সাক্ষরতা কাকে বলে?

▶যে মাত্রার সাক্ষরতা ব্যক্তিকে সমাজ ও পেশাগত জীবনের উপযুক্ত করে তোলে, তাকে কার্যকরী সাক্ষরতা বলে।

10. ব্যাবহারিক সাক্ষরতা কাকে বলে?

▶ লেখা, পড়া এবং সাধারণ গণিতের জ্ঞান অর্জন করাকেই ব্যাবহারিক সাক্ষরতা বলা হয়।

11. সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণ করার কারণ কী?

▶ সাক্ষরতা ব্যতীত কোনো দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়, তাই দেশের সমস্ত জনগণকে সাক্ষর করে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

12. জেলা স্তরে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির দায়িত্ব কার ওপর অর্পিত করা হয়?

▶ জেলা স্তরে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির দায়িত্ব অর্পিত হয় জেলা শিক্ষা বোর্ডের ওপর।

13. DIET-এর পুরো কথাটি কী?

▶ DIET-এর পুরো কথাটি হল-ডিস্ট্রিক্ট ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং।

14. MDG-এর পুরো কথাটি কী?

▶ MDG-এর পুরো কথাটি হল-Millennium Development Goal বা শতাব্দীর বিকাশমুখী লক্ষ্য।

15. ভারতে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কবে স্থাপিত হয়?

▶ 1988 খ্রিস্টাব্দের 5 মে ভারতে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন স্থাপিত হয়।

16. 3Rs কী?

▶ 3Rs হল-Reading (পঠন), Writing (লিখন) এবং Arithmetic (গণিত)।

17. রাজ্য সাক্ষরতা মিশন কবে চালু হয়?

▶ 1997-98 খ্রিস্টাব্দে রাজ্য সাক্ষরতা মিশন চালু হয়।

18. VEC-এর পুরো কথাটি কী?

▶ VEC-এর পুরো কথাটি হল-Village Education Committee বা গ্রাম্য শিক্ষা সমিতি।

19. জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কবে এবং কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

▶ 1988 খ্রিস্টাব্দের 5 মে নতুন দিল্লিতে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।

20. কোন্ দিনটিকে সাক্ষরতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়?

▶ প্রতি বছর ৪ সেপ্টেম্বর সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়।

21. 7Rs বলতে কী বোঝ?

▶ 7Rs বলতে বোঝায়-লেখা (writing), পড়া (Reading), সরল গণিত (Simple Arithmatic), সম্পর্ক (Relation), বিনোদন (Recreation), দায়িত্ববোধ (Responsibility) ও অধিকার (Right) |

22. PLC-এর পুরো কথাটি কী?

▶ PLC-এর পুরো কথাটি হল-Post Literacy Campaign ।

23. NAEP-র পুরো কথাটি কী?

▶ NAEP-র পুরো কথাটি হল-National Adult Education Programme |

24. NSS-এর পুরো নাম কী?

▶ NSS-এর পুরো নাম হল-National Social Service |

25. TLC-এর পুরো কথাটি কী?

▶ TLC-এর পুরো কথাটি হল-Total Literacy Campaign।

26. WHO-এর পুরো কথাটি কী?

▶ WHO-এর পুরো কথাটি হল-World Health Organisation |

27. DRS-এর পুরো নাম কী?

▶ DRS-এর পুরো নাম হল-District Resource Centre |

28. ICDS-এর পুরো নাম লেখো।

▶ ICDS-এর পুরো নাম হল-Integrated Child Development Service |

29. SRC-এর পুরো কথাটি কী?

▶ SRC-এর পুরো কথাটি হল-State Resource Centre |

30. SUPW-এর পুরো নাম লেখো।

▶ SUPW-এর পুরো নাম হল-Socially Useful Productive Work

31. NEP-এর সম্পূর্ণ নাম কী?

▶ NEP-র সম্পূর্ণ নাম হল-National Education Policy

32. CEP-র পুরো নাম কী?

► CEP-র পুরো নাম Programme হল-Continuing Education

33. RFLP-এর পুরো নাম কী?

▶ RFLP-এর পুরো নাম হল-Rural Functional Literacy Programme |

34. UPE-এর পুরো নাম কী?

▶ UPE-এর পুরো নাম হল-Universalization of Primary Education

35. NCERT-এর পুরো কথাটি লেখো।

▶ NCERT-এর পুরো কথাটি হল-National Council of 47. Educational Research and Training |

36. 2011 খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার কত?

▶ 2011 খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার হল 73.0%।

37. পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষর মানুষের সংখ্যা কত?

▶ পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষর মানুষের সংখ্যা (2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) 6, 15, 38, 281 |

38. ভারতের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার কত বেশি?

▶ ভারতের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার 3.3% বেশি (ভারতের সাক্ষরতার হার 73.0% এবং পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার 76.3%)।

39. ভারতের কোন্ রাজ্যে সাক্ষরতার হার সবথেকে বেশি?

▶ কেরালার সাক্ষরতার হার সবথেকে বেশি (94%)।

40. ভারতের কোন্ রাজ্যের সাক্ষরতার হার সবথেকে কম?

▶ বিহার রাজ্যের সাক্ষরতার হার সবথেকে কম (61.8%)।

41. রাজ্য সাক্ষরতা মিশন কবে চালু হয়?

▶ 1988 সালের 5 মে জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের গঠনের পরে বিভিন্ন রাজ্যে সাক্ষরতা মিশন চালু হয়।

3. Short Question Answer

1. সর্বজনীন শিক্ষা কাকে বলে?

▶ যে শিক্ষায় সকলের সুযোগ আছে, সকলের ভরতির সুযোগ আছে এবং সকলে নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, তাকে সর্বজনীন শিক্ষা বলে।

2. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বলতে কী বোঝায়?

▶ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকলের শিক্ষার সুযোগ, সকলের নথিভুক্তকরণ, সকলকে ধরে রাখা এবং সকলের পারদর্শিতার অধিকারকেই বলা হয় সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বলা হয়।

3. সংবিধানের সপ্তম তপশিলে নির্দেশাত্মক নীতির 45 নং ধারায় কী বলা হয়েছে?

▶ সংবিধানের সপ্তম তপশিলে নির্দেশাত্মক নীতির 45 নং ধারায় বলা হয়েছে যে, সংবিধান চালু হওয়ার দশ বছরের মধ্যে 6-14 বছরের সব শিশুদের বিনা বেতনে, বাধ্যতামূলক এবং সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষা নিশ্চিত করবে।

4. সংবিধান অনুযায়ী সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার রূপায়ণে ব্যর্থতার প্রধান কারণগুলি কী?

▶ সংবিধান অনুযায়ী, অর্থের অভাব, জনবিস্ফোরণ, মহিলাদের শিক্ষায় বাধা, সরকারি উদাসীনতা, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব, বিদ্যালয়ের দূরত্ব এবং অভিভাবকদের নিরক্ষরতাই সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার রূপায়ণে ব্যর্থতার প্রধান কারণ।

5. প্রারম্ভিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার কারণ কী?

▶ রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ সকলেই মনে করেন স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ব্যক্তির ও জাতীয় উন্নয়ন এবং নাগরিক কর্তব্য পালন করার জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ন্যূনতম জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজন আছে। সে কারণেই প্রারম্ভিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

6. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই পর্যন্ত যেসব উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে, উল্লেখ করো।

▶ সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত উল্লেখযোগ্য কর্মসূচিগুলি হল-বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি, সাক্ষরতা কর্মসূচি এবং সর্বশিক্ষা অভিযান।

7. প্রবহমান শিক্ষার দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো।

▶ প্রবহমান শিক্ষার দুটি উদ্দেশ্য হল-① অর্জিত সাক্ষরতা ধরে রাখার চেষ্টা করা এবং ② পেশাগত উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।

8. NCF-2005 অনুযায়ী শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির মূল কথাটি উল্লেখ করো।

▶ NCF-2005 অনুযায়ী শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির মূল কথা হল- সমাজের অন্যান্য কাজে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

9. প্রাথমিক শিক্ষায় Constructive Approach-এর মূল কথা কী?

▶ প্রাথমিক শিক্ষায় Constructive Approach-এর মূল ব্যক্তব্য হল- শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দেওয়া।

10. প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুর জ্ঞান গঠনের ক্ষেত্রে সহায়তা দান ও মূল্যায়নে কোন্ কোন্ বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

▶ প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুর জ্ঞানগঠনের ক্ষেত্রে সহায়তা দান ও মূল্যায়নে যে যে বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হলানে অংশগ্রহণ, প্রশ্ন করা ও অনুসন্ধানে আগ্রহ, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের সামর্থ্য, সমানুভূতি ও সহযোগিতা এবং নান্দনিকতা ও সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ।

11. প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের ক্ষেত্রে যে-কোনো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করো।

▶ প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের ক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- ① 6-14 বছর বয়সি সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি করা, ② গুণগত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমস্ত শিশুকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখা তথা ‘স্কুলছুট’ (Drop out) প্রতিহত করা।

12. অ-প্রথাগত শিক্ষা কী?

▶ স্বাভাবিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আংশিক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় যে শিক্ষা তাকে অ-প্রথাগত শিক্ষা বলে।

13. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার দুটি শিক্ষাগত সমস্যা আলোচনা করো।

▶ সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার দুটি শিক্ষাগত সমস্যা হল-① যথার্থ গুণমানের শিক্ষকের অভাব এবং ② শিশুদের জন্য লিখন-পঠন উপকরণের অভাব।

14. শিক্ষায় stagnation বলতে কী বোঝায়?

▶ শিক্ষায় stagnation বা অনুন্নয়ন বলতে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার জন্য বছরের পর বছর একই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করাকে বোঝায়।

15. সর্বজনীন শিক্ষা কাকে বলে?

▶ যে শিক্ষায় সকলের সুযোগ আছে, সকলের ভরতির সুযোগ আছে এবং সকলে নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, তাকে সর্বজনীন শিক্ষা বলে।

16. বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলতে কী বোঝ?

▶ বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলতে এমন একপ্রকার শিক্ষাকে বোঝায়, যে শিক্ষার পরিকল্পনা সরকারিভাবে স্থিরীকৃত এবং যে শিক্ষা দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য অপরিহার্য। এইপ্রকার শিক্ষা প্রতিটি শিশুকে, প্রতিটি নাগরিককে ন্যূনতম প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে।

17. প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন বলতে কী বোঝ?

▶ প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণিতে পরীক্ষায় সাফল্য না পাওয়ায় বহু ছেলেমেয়ে একাধিক বছর একই শ্রেণিতে থেকে যায়। এর ফলে তাদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার বিকাশ ব্যাহত হয় এবং শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্র উভয়েরই অর্থ, শ্রম ও সময় নষ্ট হয়। একে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন বলে।

18. শিক্ষাক্ষেত্রে ‘ড্রপ আউট’ বলতে কী বোঝ?

▶ প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের শেষধাপে পৌঁছোনোর আগেই বহু ছেলেমেয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায়। অর্থাৎ পঠনপাঠন বন্ধ করে দেয়। এদের শিক্ষাক্ষেত্রে ড্রপ আউট বলে।

19. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

▶ সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার দুটি উদ্দেশ্য হল-① শিশুর মধ্যে পরিচ্ছন্ন চিন্তার বিকাশ ঘটানো এবং শিশুকে সঠিক ও স্পষ্ট লিখতে ও উচ্চারণ করতে সক্ষম করে তোলা। ② শিশুর মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তোলা।

20. প্রাথমিক শিক্ষার দুটি সমস্যা উল্লেখ করো।

▶ প্রাথমিক শিক্ষার দুটি সমস্যা হল-① অর্থের অভাব: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তনের একটি বড়ো সমস্যা হল সরকারি অর্থাভাব, ② দারিদ্র্য ও উদাসীনতা: অভিভাবকদের দারিদ্র্য ও উদাসীনতা সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তনের পথে অন্যতম বাধা।

21. সর্বজনীন শিক্ষার দুটি শিক্ষাগত সমস্যা উল্লেখ করো।

▶ সর্বজনীন শিক্ষার দুটি শিক্ষাগত সমস্যা হল-① বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত সুযোগের অভাব। ② শিশুর গৃহ থেকে অনেক দূরে বিদ্যালয় অবস্থিত হলেও শিশুর পক্ষে সেখানে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। এর সাথে রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব।

22. কার্যকরী সাক্ষরতার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

▶ কার্যকরী সাক্ষরতার বৈশিষ্ট্য হল নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সার্থকভাবে পালন করা, উত্তম পঠন ক্ষমতা অর্জন করা, পাঠের মধ্যে শতকরা 90 শতাংশ বোঝা এবং 300 বা তার অধিক শব্দে লিখিত বিষয় নিঃশব্দে পড়তে সক্ষম হওয়া ও তার অর্থ বুঝতে পারা।

23. জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি কী বলেছিলেন?

▶ “বিংশ শতাব্দীর শেষে সমগ্র বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নিরক্ষর ব্যক্তি ভারতবর্ষে বাস করবে। সেজন্য এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে গেলে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচিকে বিশেষ তৎপর হতে হবে।” জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি প্রসঙ্গে এটিই ছিল প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির বক্তব্য।

24. জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?

▶ 1990 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে 18-35 বছর বয়সি 30 মিলিয়ন ব্যক্তিকে এবং 1995 সালের মধ্যে আরও 50 মিলিয়ন ব্যক্তিকে অর্থাৎ মোট ৪০ মিলিয়ন ব্যক্তিকে সাক্ষর করে তোলাই জাতীয় কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।

25. সর্বজনীন শিক্ষা প্রসঙ্গে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির কী লক্ষ্য ছিল?

▶ সর্বজনীন শিক্ষা প্রসঙ্গে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য ছিল 1990 সালের মধ্যে 6-11 বছরের বালক-বালিকাদের সর্বজনীন শিক্ষা ও 1995 সালের মধ্যে সমস্ত স্তরের ব্যক্তির মধ্যে সর্বজনীন শিক্ষা প্রবর্তন করা।

26. জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য যে পরিচালন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তার লক্ষ্য কী?

▶ উপযুক্ত কর্মী নিয়োগ ও তার উন্নয়ন, তথ্যসংগ্রহ ও সরবরাহ করা, তদারকি করা এবং প্রয়োজনমতো কর্মসূচির পরিবর্তন ও মূল্যায়ন করাই জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য গৃহীত পরিচালনা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য।

27. জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত নীতিগুলি কী কী?

▶ জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত নীতিগুলি হল-

(a) বিভিন্ন স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, (b) সংস্থাগুলির সহযোগিতা, ও দক্ষ কর্মচারী নিয়োগ, (c) প্রশাসনে বিকেন্দ্রীকরণ, (d) মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি, (e) সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব বণ্টনে বিভিন্ন স্তরের করণীয় স্থির করা, (f) তথ্যসংগ্রহ, (g) (কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং শিখনে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ব্যবহার।

28. জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচিতে কার্যকরী একক বলতে কী বোঝ?

▶ জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচিতে কার্যকরী একক বলতে বোঝায়, জেলা স্তরে একটি বা দুটি ব্লককে একক ধরে সম্পূর্ণ নিরক্ষরতা দূর করা এবং প্রবহমান শিক্ষার কর্মসূচি গ্রহণ করা।

29. টাস্ক ফোর্স কী?

▶ জাতীয় সাক্ষরতা মিশন-এর কার্যাবলি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য যে দল বা ফোর্স গঠন করা হয়েছিল, তাকে টাস্কফোর্স নামে অভিহিত করা হত।

30. সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প বলতে কী বোঝ?

▶ গ্রামাঞ্চলে সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য যে গ্রামীণ বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়, তা সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প নামে পরিচিত ছিল।

31. কোন্ পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার জন্য কার্যকরী সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়?

▶ চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার জন্য কার্যকরী সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

32. চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার জন্য কার্যকারী সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাদের দায়িত্ব কাদের দেওয়া হয়?

▶ চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার জন্য কার্যকারী সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সারা দেশের ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজের দায়িত্ব ACDS (Integrated Child Development Scheme) কর্মীদের হাতে দেওয়া হয়।

33. মোহনলাল সাক্সেনার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কত খ্রিস্টাব্দে বয়স্কশিক্ষার পরিবর্তে ‘সামাজিক শিক্ষা’ কথাটি ব্যবহার করেন?

▶ মোহনলাল সাক্সেনার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি 1948 খ্রিস্টাব্দে বয়স্কশিক্ষার পরিবর্তে ‘সামাজিক শিক্ষা’ কথাটি ব্যবহার করেন।

34. কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মৌলানা আব্দুল নে কালাম আজাদ সামাজিক শিক্ষার জন্য কত টাকা বরাদ্দ করেন?

▶ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মৌলালা আব্দুল কালাম আজাদ সামাজিক শিক্ষার জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেন।

35. সাক্ষরতা অভিযানকে সংগঠিত করার জন্য UNESCO কবে ইরানে শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করে?

▶ 1965 খ্রিস্টাব্দের ৪ সেপ্টেম্বর UNESCO সাক্ষরতা অভিযানকে সংগঠিত করার জন্য ইরানে শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করে।

36. অ্যানালফাবেটিজম কী?

▶ কোনো বিষয় পড়তে পারার পাশাপাশি, সেই বিষয়টিকে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করার সক্ষমতাকে অ্যানালফাবেটিজম বলে।

37. জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কাজ শুরু করার পর পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ জেলা পূর্ণসাক্ষর জেলার মর্যাদা পেয়েছে?

▶ জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কাজ শুরু করার পর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া পূর্ণসাক্ষর জেলার মর্যাদা পেয়েছে।

38. স্টেট রিসোর্স সেন্টার (SRC)-এর দুটি কাজ লেখো।

▶ স্টেট রিসোর্স সেন্টার (SRC)-এর দুটি কাজ হল-① সাক্ষরতা কর্মসূচির মূল্যায়ন করা এবং ② সাক্ষরতা কর্মসূচির ব্যবস্থা করা।

4. Long Question Answer

1.সর্বজনীন শিক্ষার ধারণা ব্যাখ্যা করো। এই শিক্ষার শর্তগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো। 1+3

উত্তর: সর্বজনীন শিক্ষার ধারণা

 1948 সালে সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations of Organisation, UNO) মানুষের অধিকার আইনের (যা ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউমান রাইট নামে পরিচিত) 26 নং ধারায় সকলের শিক্ষার অধিকারকে নিশ্চিত করতে বলে। পরবর্তী সময়ে UNESCO-র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সর্বজনীন সাক্ষরতা এবং মৌলিক শিক্ষার (basic education) কথা বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। UNOর সদস্য হিসেবে স্বাধীন ভারতবর্ষ UNO-র প্রস্তাবিত সকলের শিক্ষার অধিকারকে স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের সংবিধানের 45 নং ধারায় উল্লেখ করা হয়-সংবিধান চালু হওয়ার দশ বছরের মধ্যে 6-14 বছরের বালক-বালিকাদের সর্বজনীন, অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বজনীন শিক্ষার শর্তাবলি

আন্তর্জাতিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী সর্বজনীন শিক্ষার শর্তগুলি হল-সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগ, সর্বজনীন ভরতির সুযোগ এবং সর্বজনীন পাঠ শেষ করা।

[1] সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগ: সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগ বলতে বোঝায় শিশুর ব্যাসস্থান থেকে 1 কিমি-র মধ্যে হাঁটা পথে বিদ্যালয় থাকতে হবে। শিশুরা বিদ্যালয়ে যথাসময়ে বই, উপযুক্ত শিক্ষা-উপকরণ এবং যোগ্য শিক্ষক পাবে।

[2] সর্বজনীন ভরতির সুযোগ: সর্বজনীন ভরতির সুযোগ বলতে বোঝায় 6 বছর বয়সের প্রত্যেক শিশু প্রথম শ্রেণিতে ভরতি হবে। ভরতির ব্যাপারে কোনোরকম বৈষম্য রাখা চলবে না। এর জন্য প্রচার, বোঝানো এবং প্রয়োজন হলে শাস্তির ব্যবস্থার গ্রহণ করতে হবে।

[3] সর্বজনীন পাঠ শেষ করা: সর্বজনীন পাঠ শেষ করা বলতে বোঝায় যারা স্কুলে ভরতি হবে, তারা নির্দিষ্ট বয়স অথবা নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাবে-মাঝপথে ছেড়ে দেবে না। এর জন্য প্রথম শ্রেণিতে ভরতি হওয়া শিশুদের যত্নের সঙ্গে শিক্ষাদান করতে হবে, যাতে শিক্ষার অনুন্নয়ন ও অপচয় না ঘটে। যদি প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে কার্যকরী সাক্ষরতা (functional literacy) তৈরি না হয়, তাহলে তার কোনো মূল্যই থাকে না।

2. ভারতবর্ষে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কাকে বলে? এই শিক্ষা সর্বজনীকরণের সমস্যাগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা

ভারতীয় সংবিধানের 45 নং ধারায় বলা হয়েছে 6-14 বছরের সমস্ত শিশুকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাকেই সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বলা হয়। বর্তমানে অবশ্য প্রাথমিক শিক্ষার পরিবর্তে প্রারম্ভিক শিক্ষা (Elementary Education) কথাটি ব্যবহার করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের সমস্যাসমূহ

ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী সংবিধান প্রবর্তিত হওয়ার 10 বছরের মধ্যেই সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাকে কার্যকরী করার কথা বলা হয়। কিন্তু যেসব কারণে এই নির্দেশ এখনও বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি, সেগুলি হল-

[1] অর্থের অভাব: সর্বজনীন শিক্ষা প্রবর্তনের একটি বড়ো বাধা হল সরকারি অর্থাভাব। শিক্ষার জন্য অর্থাভাবের অজুহাত ব্রিটিশ যুগ থেকে আজ পর্যন্ত সমানে চলে আসছে।

[2] জনসংখ্যার বিস্ফোরণ: জনসংখ্যার বিস্ফোরণ সর্বজনীন শিক্ষার পথে একটি মস্ত বড়ো বাধা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

[3] মেয়েদের শিক্ষায় বাধা: অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া, সংসারের কাজে ছোটোবেলা থেকেই ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, অভিভাবকদের উদাসীনতা ইত্যাদি কারণে মেয়েদের ন্যূনতম শিক্ষাগ্রহণের সুযোগটুকুও পাওয়া সম্ভব হয় না।

[4] সাধারণভাবে মানুষের দারিদ্র্য ও উদাসীনতা: অভিভাবকদের দারিদ্র্য ও উদাসীনতা সর্বজনীন শিক্ষা প্রবর্তনের পথে একটি বড়ো বাধা। কুসংস্কারগ্রস্ত, অশিক্ষিতও দরিদ্র অভিভাবকেরা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উদাসীন। শিল্প ও কৃষিব্যবস্থায় যতদিন শিশুশ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করার ব্যবস্থা না হবে, ততদিন শিক্ষায় সর্বজনীনতা লাভ করা সম্ভব হবে না।

কার

[5] সরকারি উদাসীনতা: রাজ্যস্তরে বাধ্যতামূলক প্রারম্ভিক শিক্ষা আইন পাস হলেও, এই আইন প্রয়োগের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করেনি।

[6] বিদ্যালয়ের দূরত্ব: 1998 সালে ষষ্ঠ সর্বভারতীয় শিক্ষা সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রায় 20% শিশুদের ক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধাজনক স্থানে উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয় নেই এবং 9% গ্রামীণ শিশুদের ক্ষেত্রে 1 কিমি-র মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নেই। সর্বজনীন শিক্ষায়, বিশেষ করে বালিকাদের ক্ষেত্রে, এটি একটি বড়ো বাধা।

উপরোক্ত নানাবিধ কারণে শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করা এখনও সম্ভব হয়নি।

3.সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি পদক্ষেপ আলোচনা করো।

উত্তর: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি পদক্ষেপ

যে শিক্ষায় সকলের সুযোগ থাকে, সকলে ভরতি হতে বা অংশ গ্রহণ করতে পারে এবং সকলে নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তাকে সর্বজনীন শিক্ষা বলে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকলের শিক্ষার সুযোগ, সকলের নথিভুক্তিকরণ, সকলকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখা এবং সকলের পারদর্শিতার অধিকারকেই সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বলা যায়। এই শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি পদক্ষেপ হল-

[1] প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা: জীর্ণ বিদ্যালয়গৃহগুলির সংস্কার করে আলো-বাতাসযুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয়গৃহের ব্যবস্থা করা। বিদ্যালয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জামের ব্যবস্থা করা। প্রতি এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে কমপক্ষে একটি করে প্রাথমিক • বিদ্যালয় নির্মাণ করা।

[2] অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা: প্রাথমিক শিক্ষাকে পুরোপুরি অবৈতনিক, সর্বজনীন এবং বাধ্যতামূলক করা। বিদ্যালয়ে সুস্থ সামাজিক পরিবেশ রক্ষা করা।

[3] বিনামূল্যে শিক্ষা-উপকরণ সরবরাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেসব ছাত্রছাত্রী ভরতি হবে তাদের প্রত্যেককে বিনামূল্যে বইখাতা ও অন্যান্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা।

[4] মিড ডে মিলের ব্যবস্থা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রীর জন্য নিয়মিতভাবে এবং উন্নতমানের মধ্যাহ্নভোজের (মিড ডে মিল) ব্যবস্থা করা।

[5] বাস্তবোচিত ও আকর্ষণীয় পাঠক্রম: বাস্তবজীবনের দিকে লক্ষ রেখে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং পাঠক্রম স্থির করা। প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রমকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা এবং বিভিন্ন প্রকার সহপাঠক্রমিক কাজের ওপর গুরুত্ব দান করা।

4. ভারতবর্ষে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

উত্তর: ভারতে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

শিক্ষা একটি সচেতন ও সুপরিকল্পিত সামাজিক প্রক্রিয়া। এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দার্শনিক অ্যারিস্টট্ল বলেন, মৃত আর জীবিতের মধ্যে যে পার্থক্য, শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতের মধ্যে ঠিক সেই পার্থক্য বর্তমান। বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব মনে করে, ব্যক্তিকে সার্থকভাবে জীবনযাপন করতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগ্রহণ করা প্রয়োজন, অন্যথায় সে তার দায়িত্ব, অধিকার, কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত হয় না। এই ন্যূনতম শিক্ষাই প্রাথমিক শিক্ষা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে প্রাথমিক

শিক্ষাকে সর্বজনীন ও আবশ্যিক করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতে এর প্রয়োজনীয়তা হল-

[1] সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা দেশের প্রতিটি মানুষকে ভবিষ্যৎ সমাজের একজন নির্ভরযোগ্য, দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ন্যূনতম প্রাথমিক শিক্ষা অপরিহার্য।

[2] সাধারণভাবে লিখতে ও পড়তে পারা এবং দৈনন্দিন জীবনে হিসাবপত্রের জন্য প্রত্যেকের প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়।

[3] শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ জীবনে জীবিকা অর্জনের জন্য সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অপরিহার্য।

[4] প্রার্থী নির্বাচনের জন্য এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গঠনের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রাথমিক শিক্ষার দরকার হয়।

[5] বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রাথমিক শিক্ষা না পেলে কোনো নিম্নস্তরের কাজও পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই নিম্নমানের যে-কোনো বৃত্তি নিতে গেলেও এই শিক্ষার প্রয়োজন হয়।

5.প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলি কী? এই প্রসঙ্গে বয়স্কশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণে ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ

সংবিধান অনুযায়ী সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত করা সম্ভব না হলেও, এর জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি, সাক্ষরতা কর্মসূচি এবং সর্বশিক্ষা অভিযান।

প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীকরণে বয়স্কশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

ভারতবর্ষকে সঠিকভাবে গণতান্ত্রিক দেশের রূপ দিতে গেলে দেশের সব নাগরিককে আর্থিক উন্নয়নে শামিল করতে হবে, শিক্ষিত করে তুলতে হবে, সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হল বয়স্কশিক্ষা।

বয়স্কশিক্ষার প্রয়োজনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়- [1] ব্যক্তিগত উন্নতি এবং [2] সামাজিক উন্নতি।

[1] ব্যক্তিগত উন্নতি: বয়স্কশিক্ষা যে-সমস্ত কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নতি সাধন করে, সেগুলি হল-

i. বয়স্ক নিরক্ষরদের মধ্যে সাক্ষরতার প্রসার।

ii. আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।

iii. স্বাস্থ্যবিধি পালনের নীতি অনুসরণ করা।

iv. সাধারণ মানুষের মধ্যে ভালোমন্দ বিচারের ক্ষমতা গড়ে তোলা।

v. বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।

vi. শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।

vii. সংস্কৃতিমূলক, বিনোদনমূলক ও নান্দনিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সার্থকভাবে অবসর যাপন করা।

[2] সামাজিক উন্নতি: সামাজিক উন্নতিকল্পে বয়স্কশিক্ষার নির্ধারিত কর্মসূচিগুলি হল-

।. বয়স্কদের কার্যকরী সাক্ষর করে তুলে জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।

ii. গণতান্ত্রিক দেশের বিভিন্ন কার্যপ্রণালীকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।

iii. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে কার্যকরী করে তোলা।

iv. কমিউনিটি উন্নয়নের কাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সক্ষম করে তোলা।

6.ব্যাপক অর্থে বয়স্কশিক্ষা বলতে কী বোঝায় তা সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: বয়স্কশিক্ষার ব্যাপক অর্থ

শুধুমাত্র নিরক্ষর বয়স্ক মানুষদের মধ্যে সাক্ষরতার প্রসারই নয়, কার্যকরী সাক্ষরতা (functional literacy), সামাজিক শিক্ষা সব কিছুই বয়স্কশিক্ষার অন্তর্ভুক্ত।

[1] কার্যকরী সাক্ষরতা: যে মাত্রার সাক্ষরতা ব্যক্তিকে সামাজিক ও পেশাগত জীবনে উপযুক্ত করে তোলে তাকে কার্যকরী সাক্ষরতা (functional literacy) বলে। কার্যকরী সাক্ষরতার আরও কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল-

i. কার্যকরী সাক্ষরতা ব্যক্তিকে তার নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সার্থকভাবে পালন করতে সক্ষম।

ii. উত্তম পঠন ক্ষমতা অর্জন।

iii. ব্যক্তি যা পাঠ করেছে তার মধ্যে 90 শতাংশের অর্থ বুঝতে সক্ষম।

iv. 300 বা তার অধিক শব্দভান্ডারের মধ্যে লিখিত বিষয় নিঃশব্দে অর্থ-সহ পড়তে সক্ষম।

[2] সামাজিক শিক্ষা: ভারতে ‘বয়স্কশিক্ষা’কে ‘সামাজিক শিক্ষা’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। 1949 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় নেতা মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ‘সামাজিক শিক্ষা’ কথাটি উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, শুধু সাক্ষর করে তোলাই বয়স্কশিক্ষা নয়। গণতান্ত্রিক সমাজজীবনে প্রতিটি নাগরিক যাতে তার যোগ্য – ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়, সেই শিক্ষাও বয়স্কশিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হবে। সামাজিক শিক্ষা হল-

i. বয়স্ক সাক্ষরতা বিস্তার।

ii. আর্থিক অবস্থার উন্নতি।

iii. গণতান্ত্রিক নাগরিকতার শিক্ষা।

iv. স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশনের উন্নতি।

v. সাংস্কৃতিক, বিনোদন এবং নান্দনিক কাজে অবসর সময় যাপন।

1963 সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সামাজিক শিক্ষার ধারণাটি নিম্নোক্তভাবে

ব্যক্ত করেছেন-

i. সামাজিক শিক্ষা হল বয়স্কশিক্ষা।

ii. সামাজিক পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় শিক্ষা হল সামাজিক শিক্ষা।

iii. সামাজিক শিক্ষা হল সেই শিক্ষা যা ব্যক্তির সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নৈতিক জীবনকে আরও উন্নত করে।

iv. সামাজিক শিক্ষা হল সেই শিক্ষা যা কমিউনিটিকে তার বিকাশের পথ দেখায়।

v. সামাজিক শিক্ষা হল সেই শিক্ষা যা কাজে উৎকর্ষতা আনে এবং উন্নত বিনোদনের মাধ্যমে অবসর সময়কে ব্যবহার করে। সর্বশেষে উল্লেখ করা যায় যে, পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ‘বয়স্কশিক্ষা’ বা ‘সামাজিক শিক্ষা’ কথাটির পরিবর্তে ‘বয়স্ক সাক্ষরতা’ কথাটি (adult literacy) ব্যবহৃত হয়েছে।

7.বয়স্কশিক্ষার লক্ষ্যগুলি সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: বয়স্কশিক্ষার লক্ষ্যসমূহ

স্বাধীনতার পর গঠিত প্রথম কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে বয়স্কশিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। 1949 সালে মোহনলাল সাক্সেনার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়, যার কাজ ছিল বয়স্কশিক্ষার বিস্তারের বিষয়টি পর্যালোচনা করা।

সাক্সেনা কমিটি বয়স্কশিক্ষা তথা সামাজিক শিক্ষার কতকগুলি লক্ষ্য স্থির করে।

এগুলি হল-

[1] নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য: নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে প্রত্যেককে সচেতন করা ও তাদের মধ্যে সামাজিক সেবার মনোভাব গড়ে তোলা।

[2] গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা: গণতন্ত্রের প্রতি দেশের মানুষের শ্রদ্ধা জাগানো এবং সরকারি প্রশাসন সম্বন্ধে ধারণা দেওয়া।

[3] দেশ ও বিশ্বের সমস্যা: দেশের এবং বিশ্বের সমস্যাগুলি সম্বন্ধে সচেতন করা।

[4] ভারতের সংস্কৃতির প্রতি গ্রন্থা: ইতিহাস, ভূগোল ও কৃষি সম্বন্ধে জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে ভারতের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে।

[5] শিল্প ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন: সংগীত, নৃত্য, কবিতা ও নাটকের দ্বারা আনন্দ দেওয়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ঘটানো।

[6] নৈতিক মূল্যবোধ: বিভিন্ন আলোচনা, পড়া ও লেখার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে সচেতন করা।

[7] তিনটি (3R) জ্ঞান প্রদান: পড়া, লেখা, সাধারণ গণিতের ওপর (3R) জ্ঞান প্রদান ও অধিক জ্ঞানলাভে উৎসাহিত করা।

[৪] গঠনমূলক অবসর বিনোদন: বিভিন্ন হস্তশিল্পের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে যথাযথ অবসর বিনোদন করতে শেখা ও অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ।

[9] শিক্ষার গতি অব্যাহত রাখা: গ্রন্থাগার, আলোচনা সভা, বিতর্ক সভা এবং শিক্ষা কমিটিগুলির সাহায্যে শিক্ষার গতি অব্যাহত রাখা।

[10] সহযোগিতার মনোভাব গঠন: জনগণের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলা।

8. বয়স্কশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর: বয়স্কশিক্ষার উদ্দেশ্যসমূহ

বয়স্কশিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল-

[1] সাংবিধানিক লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে বয়স্ক নিরক্ষরদের মধ্যে সাক্ষরতার প্রসার ঘটানো।

[2] স্বাস্থ্যরক্ষা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে প্রাথমিক ধারণা গড়ে তোলা ও জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা।

[3] জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সংহতি বজায় রাখা এবং জনগণের সামাজিক ও আর্থিক উন্নতি ঘটানো।

[4] অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করার জন্য উপযুক্ত জ্ঞানদান এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান।

[5] মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক আদর্শ গড়ে তোলা এবং দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

[6] মানুষের সাংস্কৃতিক ও নৈতিক জীবনের বিকাশসাধন এবং উৎপাদনশীল কাজে দক্ষতা ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগ্যতা বৃদ্ধিতে তাদের সহায়তা করা।

[7] ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং জাতির ইতিহাস, ভূগোল ও সাহিত্য সম্পর্কে সচেতন করে জাতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব সৃষ্টি করা।

9.প্রাক্-স্বাধীনতা কালে ভারতবর্ষে বয়স্কশিক্ষার বিকাশ উল্লেখ করো

উত্তর: ভারতে প্রাক্-স্বাধীনতা কালে বয়স্কশিক্ষার বিকাশ

ব্রিটিশ শাসনকালে শিক্ষা যথাযথ গুরুত্ব না পেলেও এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা গিয়েছিল। এই পর্যায়ের বিভিন্ন সময়ের কর্মসূচি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হল-

[1] 1920-1927 সময়কাল: এই সময়ে বয়স্কশিক্ষার প্রসারের উল্লেখযোগ্য কারণগুলি হল-

i. রাজনৈতিক সচেতনতার বিকাশ: এই সময়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটে। ভোট এবং অন্যান্য কয়েকটি সমস্যাসমাধানে জনগণকে শিক্ষার প্রতি সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

ii. যুদ্ধফেরত ভারতীয় সৈনিকদের শিক্ষায় আগ্রহ: একজন সাধারণ সৈনিক উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সামান্য শিক্ষা পেলে তিনি একজন ভালো সৈনিক হতে পারতেন। এমতাবস্থায় যুদ্ধফেরত সৈনিকগণের মধ্যে শিক্ষার প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়।

iii. সমবায় আন্দোলন: সমবায় আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল গ্রামবাসীদের প্রশিক্ষণ দান এবং তাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো। এই আন্দোলনকে সফল করতে বয়স্ক সাক্ষরতার কাজ শুরু হয়।

iv. ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা: বয়স্ক সাক্ষরতা প্রসারে কবিগুরু এবং আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষাবিদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা উল্লেখ করতেই হয়। তিনি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেবামূলক কাজ হিসেবে বয়স্কশিক্ষার প্রসারে উদ্যোগী হন।

উপরোক্ত কারণগুলির প্রেক্ষিতে বয়স্কশিক্ষা প্রসারে বিভিন্ন সরকার নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে। যেমন-

i. 1922 সালে পাঞ্জাব সরকার সমবায় বিপ্লবের সহযোগিতায় সর্বপ্রথম বয়স্ক সাক্ষরতা আন্দোলন শুরু করে। 1922 সালের শেষ দিকে 630টি বয়স্কশিক্ষাকেন্দ্র চালু হয় এবং সেখানে 17,776 বয়স্ক ব্যক্তি শিক্ষাগ্রহণ করে। পাঁচ বছরের মধ্যে এই কর্মসূচি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করে। 3,764টি বয়স্কশিক্ষাকেন্দ্র চালু হয় ও 98,414 ব্যক্তি নথিভুক্ত হন।

ii. অবিভক্ত বাংলায় সমবায় শিক্ষা সমিতি কর্তৃক আর্থিক সহায়তায় বয়স্কশিক্ষা প্রসারের আন্দোলনে সামিল হয়।

[2] 1927-1937 সময়কাল: আর্থিক সংকটের কারণে এই সময়ে বয়স্কশিক্ষা প্রসারের আন্দোলন পিছিয়ে পড়ে। অধিকাংশ বয়স্কশিক্ষা কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়।

পাঞ্জাবে নর্মান বিদ্যালয়ে যে-সমস্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিলেন, তাঁরা বয়স্কশিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হন। বয়স্কদের জন্য কয়েকটি পাঠাগার স্থাপন করেন। এতৎসত্ত্বেও মাত্র পাঁচ হাজার বয়স্ক ব্যক্তি নথিভুক্ত ছিলেন।

[3] 1937-1942 সময়কাল: এই সময়কাল হল প্রগতির সময়। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম বয়স্কশিক্ষাকে সরকার নির্দিষ্ট দায়িত্ব হিসেবে স্বীকার

10.স্বাধীনোত্তর সময়ে (ষষ্ঠ পরিকল্পনা পর্যন্ত) ভারতবর্ষের বয়স্কশিক্ষার বিকাশ উল্লেখ করো।

উত্তর: স্বাধীনোত্তর সময়ে ডারতে বয়স্কশিক্ষার বিকাশ

1948 খ্রিস্টাব্দে CABE (Central Advisory Board of Education) সমগ্র দেশের জন্য সামাজিক শিক্ষার (Social education) কর্মসূচি প্রণয়ন করে এবং বয়স্কশিক্ষা সম্পর্কে নতুন ধারণা গঠনে একটি কমিটি নিয়োগ করে।

স্যার মৌলানা আজাদ, স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী বয়স্কশিক্ষাকে সামাজিক শিক্ষা হিসেবে অভিহিত করেন। শিক্ষামন্ত্রক সামাজিক শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে। কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে 60 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে।

[1] প্রথম-চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা: প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা থেকে চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পর্যন্ত বয়স্কশিক্ষার পরিবর্তে ‘সামাজিক শিক্ষা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় এবং এই খাতে প্রয়োজনের তুলনায় খুব অল্প অর্থ বরাদ্দ করা হয়।

[2] পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা: পঞ্চম পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষা বা সামাজিক শিক্ষার পরিবর্তে বয়স্ক সাক্ষরতা শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বয়স্কশিক্ষার ব্যাপক অর্থের পরিবর্তে 3R (পঠন, লিখন ও গণিত)-এ সীমাবদ্ধ হয়। অর্থাৎ, বয়স্কশিক্ষার উদ্দেশ্য হল কেবলমাত্র পঠন, লিখন ও গণিত।

[3] ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা: ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে 200 কোটি টাকা হয়। এ ছাড়া এই পরিকল্পনায় বিভিন্ন সংস্থাকে বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। প্রত্যাশা করা হয় যে, বিভিন্ন সংস্থাগুলির, কর্মচারীদের বয়স্কশিক্ষায় যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হবে, তা সেই সংস্থাগুলি পূরণ করবে।

এই পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার জন্য নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলি গৃহীত হয়।

i. বর্তমানে পরিচালিত নিম্নলিখিত কর্মসূচিগুলি চালু থাকবে এবং প্রয়োজনমতো ওইগুলিকে আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ করতে হবে- ① কৃষকদের কার্যকরী সাক্ষরতা কর্মসূচি। ② শ্রমিক বিদ্যাপীঠ এবং বয়স্কশিক্ষাকেন্দ্র। ③ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বয়স্কশিক্ষা বিপন। ④ নেহরু যুবকেন্দ্র। ⑤ জাতীয় পরিসেবা কর্মসূচি। ⑥ স্বয়ংসেবী সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা।

ii. বঞ্চিত এবং দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থিত জনগণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

iii. যেসব ব্যক্তির বয়স 15 থেকে 35 বছরের মধ্যে তাদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

iv. কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হবে নিরক্ষরদের মধ্যে আত্মসচেতনতা জাগিয়ে তোলা এবং তাদের চারপাশের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।

v. শিক্ষণে বয়স্কদের মধ্যে প্রেষণা সঞ্চার করা।

vi. কর্মসূচিকে সফল করে তোলার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষায় আগ্রহী ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি, কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী প্রভৃতিদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

vii. এই কর্মসূচি সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে যেমন ‘বয়স্কশিক্ষার জাতীয় বোর্ড’ (National Board of Adult Education) স্থাপিত হয়েছে, রাজ্য, জেলা, ব্লক এবং স্থানীয় কমিউনিটি স্তরেও এই ধরনের উপযুক্ত সংস্থা স্থাপন করা হবে।

11. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রূপায়ণে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি সম্পর্কে উল্লেখ করো। এই প্রসঙ্গে এই কর্মসূচির লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা করো। 2+2

উত্তর: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রূপায়ণে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রূপায়ণে 1978 সালে গৃহীত ‘জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 5 বছরের মধ্যে যাতে 10 কোটি ব্যক্তিকে বয়স্কশিক্ষার আওতাভুক্ত করা যায় সেজন্য 1978 খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর সমগ্র দেশব্যাপী জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। 15 থেকে 35 বছরের মধ্যে 100 মিলিয়ন জনগণকে এর আওতায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়। তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি মহিলাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচির কথা বলা হয়। যেসব অঞ্চলে নিরক্ষরদের সংখ্যা বেশি সেখানে বিশেষ নজর দেবার কথা বলা হয়।

জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্য

গণশিক্ষার প্রসার ছাড়া ভারতের প্রকৃত উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। বয়স্কদের নিরক্ষরতা দূর করে স্বাস্থ্য, মূল্যবোধ, অর্জিত রুচিসম্মত বিনোদন প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি গড়ে তোলা হয়।

জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল-

[1] নাগরিকের ভূমিকা পালন: দেশের অধিকাংশ জনগণ কার্যকারী নাগরিকের ভূমিকা পালন করবে এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।

[2] সামাজিক ন্যায় ও সমতা অর্জন: সামাজিক, আর্থিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে দেশের একটা বৃহৎ অংশকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে উপযুক্ত করে তোলা, যার ফলে সামাজিক ন্যায় ও সমতা অর্জন করা সম্ভব হয়।

10. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রূপায়ণে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচির বৈশিষ্ট্য এবং বাস্তবিকীকরণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

উত্তর: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রূপায়ণে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচির বৈশিষ্ট্য

জাতীয় বয়স্কশিক্ষার কর্মসূচির বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ-

[1] সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ: এই কর্মসূচির প্রধান অংশ 3টি- সচেতনতা, কার্যকরী বিকাশ এবং সাক্ষরতা। অংশগুলি পরস্পর নির্ভরশীল। সেজন্য NAEP-র লক্ষ্য অর্জনে একটা সমন্বিত কার্যসূচি গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

[2] অগ্রাধিকার বিবেচনা: এই কর্মসূচির তিনটি অংশের কোনো অংশকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষরতার জন্য কার্যকরী বিকাশকে অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কার্যকরী বিকাশ ও সাক্ষরতার জন্য সামাজিক সচেতনতাকে প্রথম শর্ত বলে বিবেচনা করা হয়।

[3] সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: বয়স্ক শিক্ষার্থীদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে সামাজিক পরিবেশে তারা বাস করে, তার বৈশিষ্ট্য এবং সামাজিক পরিস্থিতির কারণ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়। এর ফলে তারা সামাজিক সমস্যাগুলি বিশ্লেষণ করতে পারে এবং সমাধানের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।

[4] ব্যাবহারিক ক্ষমতা অর্জন: সামাজিক সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্ক শিক্ষার্থীদের নানারকম ব্যাবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যাতে তারা ব্যক্তিজীবনে ও কর্মজীবনে উৎকর্ষ দেখাতে সক্ষম হয়।

[5] পঠন, লিখন ও গণিতে দক্ষতা অর্জন: ব্যক্তিত্ব বিকাশ এবং দল ও সমাজে কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণের জন্য পঠন, লিখন ও গণিতের দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। সাক্ষরতাকে অর্থবহ করে তুলতে পঠন, লিখন ও গণিতের সঙ্গে শিক্ষার্থীর জীবন ও বৃত্তির পরিবেশকে যুক্ত করতে হবে।

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা রূপায়ণে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচির বাস্তবিকীকরণ

NAEP-র লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন ব্যবস্থা অবলম্বনের কথা বলা হয়। যেমন-

[1] অনুকূল পরিবেশ রচনা: সম্ভাব্য সকল সংস্থা এবং মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে অনুকূল পরিবেশ রচনা করা।

[2] পারস্পরিক সহযোগিতা: শিক্ষা, বিপণন এবং উন্নয়নমূলক বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা।

[3] কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের সঙ্গে যোগাযোগ: বিশেষ প্রতিষ্ঠানসমূহকে, যেমন-নেহরু মুক্ত কেন্দ্র এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে যুক্ত করতে হবে। শিক্ষণ বা পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্র, গ্রামের যুবকদের, প্রাক্তন সেনাবাহিনীর লোকেদের, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিভিন্ন ফিল্ড ওয়ার্কার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যক্তিদের কাজে লাগানো হবে।

12. বয়স্কশিক্ষার আশানুরূপ সফলতা অর্জনে ব্যর্থতার কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: বয়স্কশিক্ষার ব্যর্থতার কারণ

স্বাধীনতা অর্জনের এত বছর পরেও বয়স্কশিক্ষা বা সামাজিক শিক্ষা আশানুরূপ সফলতা পায়নি। এর কারণগুলি হল-

[1] আগ্রহের অভাব: এই কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহের অভাব।

[2] অর্থাভাব: কৃষি ও শিল্পের শ্রমিকদের নিদারুণ অর্থাভাব।

[3] নেতৃত্বের অভাব: এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য যথাযোগ্য সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব।

[4] সম্পদের অভাব: প্রয়োজনীয় সম্পদ ও অর্থের প্রতিবন্ধকতা।

[5] বয়স্কদের সম্পর্কে অজ্ঞতা: বয়স্কশিক্ষার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, বয়স্কদের মানসিকতা সম্বন্ধে তাঁদের সঠিক ধারণা নেই। এমনকি বয়স্কদের পড়াবার পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের সঠিক প্রশিক্ষণ নেই।

[6] অনমনীয়তা: পাঠদানের সময়, শিক্ষাকাল, স্থান সব কিছুই খুব অনমনীয়, যা অনেক বয়স্কদের মধ্যেই শিক্ষার প্রতি অনীহা ঘটায়।

[7] প্রেরণার অভাব: বয়স্ক পড়ুয়াদের মধ্যে প্রেরণার সঞ্চার করা হয় না।

[৪] প্রবহমান শিক্ষার অভাব: সাক্ষরতা পরবর্তী কর্মসূচি ঠিকমতো গ্রহণ করা হয় না।

[9] সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যর্থতা: সংবিধান অনুযায়ী 6 থেকে 14 বছর পর্যন্ত সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার আয়োজন করা যায়নি।

[10] সমন্বয়ের অভাব: ব্যক্তি বা যে সংস্থাগুলি বয়স্কশিক্ষার কাজে নিযুক্ত তাঁদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে এই সমন্বয়ের অভাব খুবই প্রকট।

[11] প্রচারের অভাব: গণমাধ্যমগুলি বয়স্কশিক্ষা সম্বন্ধে যথেষ্ট প্রচার করে না।

[12] বয়স্কশিক্ষার প্রতি অবহেলা: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রসম্প্রদায় বয়স্কশিক্ষার দিকে যথেষ্ট নজর দেয় না।

গণশিক্ষার প্রসার ছাড়া ভারতের প্রকৃত উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। এইজাতীয় সমস্যার সমাধান হবে তখনই যখন সব শিক্ষিত দেশবাসী সমবেতভাবে নিরক্ষর প্রতিবেশীকে শিক্ষার আলো লাভের জন্য উৎসাহ দেবেন।

ব্যক্তিগত উন্নতি

[1] বয়স্ক নিরক্ষরদের মধ্যে সাক্ষরতার প্রসার।

[2] আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।

[3] স্বাস্থ্যবিধি পালনের নীতি অনুসরণ করা।

[4] সাধারণ মানুষের মধ্যে ভালোমন্দ বিচারের ক্ষমতা গড়ে তোলা।

[5] বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।

[6] শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।

[7] সংস্কৃতিমূলক, বিনোদনমূলক ও নান্দনিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সার্থকভাবে অবসর যাপন করা।

সামাজিক উন্নতি

[1] বয়স্কদের কার্যকরীভাবে সাক্ষর করে তুলে জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।

[2] গণতান্ত্রিক দেশের বিভিন্ন কার্যপ্রণালীকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করা।

[3] জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে কার্যকরী করে তোলা।

[4] কমিউনিটি উন্নয়নের কাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সক্ষম করে তোলা।

13. সাক্ষরতা কাকে বলে? এই প্রসঙ্গে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির সূচনা ও লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর: সাক্ষরতা

সাধারণভাবে সাক্ষরতা বলতে বোঝায় নিজের নাম মাতৃভাষায় সই করার ক্ষমতা অর্জন। লেখা, পড়া এবং সাধারণ গণিতের জ্ঞান অর্জন করাই হল ব্যাবহারিক সাক্ষরতা।

জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচির সূচনা ও লক্ষ্য

স্বাধীনতার পর সাক্ষরতা কর্মসূচি স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ গুরুত্ব পায়। দেশের নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন সাক্ষরতা ব্যতীত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সামাজিক এবং জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্র, রাজ্য, ইউনিয়ন টেরিটরি সকলেই সাক্ষরতা প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি (National Literacy Mission বা NLM)।

সূচনা

আশির দশকে ভারত সরকার যে 5টি প্রযুক্তিগত কর্মসূচি (Technological Mission) শুরু করেন, তার মধ্যে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি (National Literacy Mission বা NLM) অন্যতম। তদানীন্তন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি সপ্তম পরিকল্পনার ভূমিকায় সঠিকভাবেই উল্লেখ করেন যে, বিংশ শতাব্দীর শেষে সমগ্র বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নিরক্ষর ভারতবর্ষে বাস করবে। এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে গেলে জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচিকে বিশেষ তৎপর হতে হবে।

লক্ষ্য

এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল 1990 সালের মধ্যে 18-35 বছর বয়স্কদের মধ্যে 30 মিলিয়ন ব্যক্তিকে এবং 1995 সালের মধ্যে আরও 50 মিলিয়ন ব্যক্তিকে অর্থাৎ, মোট ৪০ মিলিয়ন ব্যক্তিকে কার্যকরী সাক্ষর করা। এ ছাড়া অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলি হল-

[1] সাক্ষরতা ও গাণিতিক প্রক্রিয়া অর্জনে আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

[2] বঞ্চনার কারণসমূহ সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

[3] উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সংগ্গঠন ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতির উন্নয়ন সাধন।

[4] অর্থনৈতিক অবস্থা ও সাধারণভাবে সচ্ছল থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা।

[5] জাতীয় সংহতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, নারীজাতির প্রতি ন্যায় এবং ক্ষুদ্র পরিবার ইত্যাদি মূল্যবোধ গড়ে তোলা।

14 .জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত প্রশাসনিক নীতিগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর: জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত নীতিসমূহ

NLM-এর ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত প্রশাসনিক নীতিগুলি হল-

[1] বিভিন্ন স্তরে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

[2] বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা গ্রহণে কৌশল অবলম্বন করা।

[3] দক্ষ কর্মচারী নিয়োগ করা।

[4] কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকে বিকেন্দ্রীকরণ ও স্বাধিকার অর্জন।

[5] ব্যাপকভাবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করা।

[6] সিদ্ধান্ত গ্রহণে, দায়িত্ব বণ্টনে এবং দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন স্তরের করণীয় নির্দিষ্ট করা। কচীতীয়ার্ডে

[7] নমনীয়তা ও তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া।

[৪] কর্মীদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণে এবং উৎসাহ সঞ্চারে নতুন কৌশল উদ্ভাবন করা।

[9] শিখন সহায়ক উপকরণ হিসেবে কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ব্যবহার।

15.জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি কী? একে কার্যকরী করতে কী কী পদক্ষেপ গৃহীত হয়? 1+3

উত্তর: জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি

স্বাধীনতার পর দেশের নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন যে, সাক্ষরতা ব্যতীত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সামাজিক এবং জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, ইউনিয়ন টেরিটরি সকলেই সাক্ষরতা প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হল জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি (NLM)।

জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচি কার্যকরী করতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ

 জাতীয় শিক্ষা কর্মসূচিকে কার্যকরী করে তুলতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা হয়-

[1] একক গঠন: NLM-এর সংগঠন অনুযায়ী জেলা স্তরে একটি বা দুটি ব্লককে একটি একক ধরে প্রকল্প দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতা দূর করা এবং প্রবহমান শিক্ষা কর্মসূচি ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করা।

[2] স্বাধীনতা দান: প্রশাসনিক দিক থেকে এবং নতুন উপায় উদ্ভাবন ও রূপায়ণের জন্য এককগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়।

[3] দায়িত্ব অর্পণ: জেলা স্তরে শিক্ষামূলক কর্মসূচির সামগ্রিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য District Board of Education-এর ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। DIET-এর অঙ্গ হিসেবে District Resource Centre প্রযুক্তিগত ব্যাপারে জেলা শিক্ষা বোর্ডকে সাহায্য করে। রাজ্য স্তরে NLM প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

[4] ন্যাশনাল অথরিটি অন অ্যাডাল্ট কমিটি: জাতীয় স্তরে মানবসম্পদ বিকাশমন্ত্রীর নেতৃত্বে National Authority on Adult Education কমিটি থাকবে। ক্যাবিনেটের মতামত ছাড়াই যে-কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা কমিটির থাকবে ও NLM-কে বাস্তবায়নের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স থাকবে।

16. সাক্ষরতা কর্মসূচির অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায়গুলি কী কী?

অথবা, সর্বজনীন সাক্ষরতা প্রসার কর্মসূচির পথের বাধাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর: সাক্ষরতা কর্মসূচির অগ্রগতির পথে অন্তরায়

সর্বজনীন সাক্ষরতা প্রসারের কর্মসূচির অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় বা বাধাগুলি হল-

[1] দারিদ্র্য: আমাদের দেশের সর্বজনীন সাক্ষরতা প্রসারের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হল দারিদ্র্য। আমাদের দেশের 35% মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। ফলে বেঁচে থাকার জন্য অন্নসংস্থানে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সাক্ষরতা তাদের কাছে গৌণ বিষয়।

[2] অজ্ঞতা: দেশের বহু মানুষ আজও নিরক্ষর। তাই তারা সাক্ষরতার প্রয়োজনীয়তা বুঝে উঠতে পারে না। পরিবারে শিক্ষা পরিবেশের অভাব এবং পারিবারিক দক্ষতাকে শিশুর মধ্যে তৈরি করার মানসিকতা এক্ষেত্রে অনেকাংশে বিদ্যমান।

[3] অর্থের অভাব: আমাদের দেশের বিদ্যালয়গুলিতে বেতন দিতে না হলেও শিক্ষার প্রারম্ভিক স্তরে বছরে ছাত্র প্রতি 378 টাকা এবং ছাত্রী প্রতি গড়ে 275 টাকা ব্যয় করতে হয়। বহু অভিভাবক এই অর্থ ব্যয় করতে পারে না।

[4] জনসংখ্যার প্রবল চাপ: অত্যধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সর্বজনীন সাক্ষরতার পথে একটি বড়ো বাধা। এ ছাড়া দেশের নানা অঞ্চলে এবং সমাজের নানান স্তরে নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষাগত বৈষম্য তো রয়েছেই।

[5] শিশুশ্রমিক আইনের ব্যর্থতা: আমাদের দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। পেটের জ্বালায় যে দেশের শিশুকে উপার্জন করতে হয়, সাক্ষরতা কর্মসূচি তার কাছে নিরর্থক।

[6] সরকারি উদাসীনতা: বিদ্যালয়ে শিশু না আসার কারণ এবং বিদ্যালয়ছুটের কারণ দূর করার দিকে দৃষ্টি না দেওয়ার ফলে সর্বজনীন সাক্ষরতার নানান প্রকল্প ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। এগুলি ছাড়াও কঠোর জাতিভেদপ্রথা, বাল্যবিবাহ ইত্যাদিও সর্বজনীন সাক্ষরতার পথে বাধাস্বরূপ।

17. সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচির চারটি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।

উত্তর: সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা

সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচির চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা হল-

[1] দেশের জনগণের জীবনধারণের মনোন্নয়ন করা এবং মানবসম্পদের যথোচিত বিকাশসাধনে সহায়তা করা, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা এবং যুক্তিবাদী মানসিকতা গড়ে তোলা।

[2] এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে জনস্বার্থ রক্ষা এবং সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারকে ত্বরান্বিত করা হয়। কেন-না শিক্ষা মানুষকে অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাস থেকে যুক্তিবাদী, বস্তুনিষ্ঠ বৈজ্ঞানিক চিন্তায় সমৃদ্ধ করে তোলে।

[3] এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে পূর্ববর্তী শোষণ ও বর্তমানের অর্জিত অধিকার এবং সেগুলি রক্ষার উপযোগিতা সম্পর্কে সজাগ করা হয়।

[4] এই কর্মসূচির অপর একটি প্রয়োজনীয়তা হল—প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ সুবিশাল দেশের জনসাধারণের একটা বিরাট অংশকে মানবজীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ তথা শিক্ষার সুযোগ দান করা। সাক্ষরতা অর্জন করলে একজন ব্যক্তি যথাযোগ্যভাবে ও কার্যকরীভাবে তার প্রাথমিক নাগরিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে যেতে পারে।

18. সর্বশিক্ষা অভিযান কী? এর কারণ উল্লেখ করো।

উত্তর:সর্বশিক্ষা অভিযান

সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য Apex Court দ্বারা নির্দেশিত হয়ে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার ‘সর্বশিক্ষা অভিযান’ (SSA) কর্মসূচি গ্রহণ করে। এটি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংস্থাগুলির সমবেত প্রচেষ্টার উদ্যোগে পরিকল্পিত একটি প্রকল্প।

সর্বশিক্ষা অভিযানের কারণ

সর্বশিক্ষা অভিযান শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং সমাজের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সংবিধানের প্রতিশ্রুতিকে (সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষা) বাস্তবায়িত করার সুযোগ এনে দিয়েছে।

সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণের কারণগুলি হল-

[1] সারা দেশব্যাপী উন্নতমানের মৌলিক শিক্ষার দাবি।

[2] নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার কর্মসূচি কার্যকর করা।

[3] সামাজিক ন্যায়বিচারের সুযোগ সৃষ্টি করা।

[4] সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে কমিউনিটিকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা।

[5] প্রতিটি রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করা।

[6] 2010 সালের মধ্যে উপযুক্ত প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

19. সর্বশিক্ষা অভিযানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি লেখো।

উত্তর: সর্বশিক্ষা অভিযানের লক্ষ্য

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাকে সফল করতে ভারত সরকার সর্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচির কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এগুলি হল-

[1] অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে সুনিশ্চিত করা: 6-14 বছর বয়সি সমস্ত শিশুর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক একটি প্রকল্প।upate patos

তিন

[2] যৌথ প্রকল্প: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলির যৌথ উদ্যোগে পরিকল্পিত একটি প্রকল্প।

[3] বিকল্প শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি: সর্বশিক্ষা অভিযান নিয়মতান্ত্রিক (formal) শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি বিকল্প বা পরিপুরক শিক্ষাব্যবস্থার একটি সুযোগ।

[4] ন্যায়বিচার: বুনিয়াদি শিক্ষা সুনিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার করা।

সর্বশিক্ষা অভিযানের উদ্দেশ্য

সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল-

[1] 2003 সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা: নির্দিষ্ট সময়ের (2003 সাল) মধ্যে সকল শিশুর গম্যতার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। এ ছাড়া সমস্ত শিশুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিকল্প বা পরিপূরক বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয় প্রত্যাবর্তন শিবির ইত্যাদির মাধ্যমে) ভরতি সুনিশ্চিত করা।

[2] 2005 সালের মধ্যে সমস্ত শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করা: 2005 সালের মধ্যে সমস্ত শিশুর 5 বছরের প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

[3] 2010 সালের মধ্যে সমস্ত শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা: 2010 সালের মধ্যে যাতে সমস্ত শিশু ৪ বছরের প্রারম্ভিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারে তা সুনিশ্চিত করা।

[4] জীবনের উপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করা: জীবনের উপযোগী ও সন্তোষজনক শিক্ষামানের ওপর গুরুত্ব দান।

সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় শিক্ষকরা এই দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে পারবেন।

20 .’সর্বশিক্ষা অভিযান’-এর সাধারণ কর্মসূচি উল্লেখ করো।

 উত্তর: সর্বশিক্ষা অভিযানের সাধারণ কর্মসূচি

এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি হল-

[1] প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন: প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিকাঠামো বৃদ্ধি।

[2] পরিপূরক শিক্ষাব্যবস্থা: স্থানীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিকল্প বিদ্যালয় বা পরিপূরক বিদ্যালয় স্থাপন।

[3] বালিকাদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব: বালিকাদের শিক্ষার প্রতি যথাযথ গুরুভ আরোপ।

[4] সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ: তপশিলি জাতি উপজাতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সমন্বিত শিক্ষা পরিকল্পন গ্রহণ করা।

[5] ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ: ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ নীতির ভিত্তিতে গ্রাম ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটি, মাতা-শিক্ষক কমিটি ইত্যাদি গঠন ও তাদের ওপা পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা অর্পণ করা।

[6] জনগণের অংশগ্রহণ: জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা তার রূপায়ণ।

[7] শিক্ষক প্রশিক্ষণ: শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নতুন নতুন শিক্ষ পদ্ধতির ওপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।

[৪] চক্র সম্পদ গঠন: পরিকাঠামো ও পরিষেবা ব্যবস্থা বিস্তারের জন্যে সম্পদ গঠন।

[9] খুচ্ছ সম্পদ কেন্দ্র গঠন: বিদ্যালয়, গ্রাম ও ওয়ার্ড শিক্ষাকমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ‘গুচ্ছ সম্পদ’ কেন্দ্র গঠন।

[10] অর্থ সংগ্রহ: জেলার জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন উন্নয়নের খাতে বরাদ্দ টাকার একটি অংশ শিক্ষাখাতে ব্যয়ের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ।

[11] তথ্যভাণ্ডার গড়া: গ্রাম সংসদ ও ওয়ার্ড স্তরে শিশুদের শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা।

[12] বসতিভিত্তিক পরিকল্পনা: বসতিভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ।

21.সর্বশিক্ষা অভিযানের বিশেষ কর্মসূচি সম্পর্কে লেখো।

উত্তর: সর্বশিক্ষা অভিযানের বিশেষ কর্মসূচি

সর্বশিক্ষা অভিযানে গৃহীত বিশেষ তিনটি কর্মসূচি হল-

[1] 6 থেকে 14 বছরের সব ছেলেমেয়েকে শিক্ষার আঙিনাতে নিয়ে আসতে হবে: এই লক্ষ্যপূরণের জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা হচ্ছে,

সেগুলি হল-

i. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নথিভুক্ত করা: বেশিরভাগ ছেলেমেয়ের জন্য পর্ষদ স্বীকৃত বিদ্যালয় স্থাপন।

ii. পর্ষদ অনুমোদিত বিদ্যালয়, মুক্ত বিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিদ্যালয় স্থাপন: এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র, মুক্ত বিদ্যালয়, বেসরকারি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করা।

iii. সেতু পাঠক্রম: মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে যাওয়া বা বিদ্যালয়ে না যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সেতু পাঠক্রম (Bridge Course) তৈরি করা যার উদ্দেশ্য শিশুদের বয়স ও সামর্থ্য মতো যোগ্যতার মান তৈরি করে তাদের বিধিবদ্ধ প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক ও বিকল্প বিদ্যালয়ে ভরতি করা।

[2] ভরতি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখতে হবে: এই লক্ষ্যপূরণের জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হল-

i. বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা: বিদ্যালয়ে প্রতিটি শিশুর বসার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা।

ii. গুণগত মান: প্রতিটি শিশুর শিক্ষায় গুণগত মান নির্ধারণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।

iii. শিক্ষক-অভিভাবক সভা: মাতা-শিক্ষক সভার এবং শিক্ষক-অভিভাবক সভার নিয়মিত আয়োজন করা।

iv. পানীয় জল ও শৌচাগার: পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা।

v. সুস্থ সামাজিক পরিবেশ: বিদ্যালয়ে সুস্থ সামাজিক পরিবেশ রক্ষা করা।

[3] গুণগতমান সুনিশ্চিত করা: এই লক্ষ্যপূরণের জন্য প্রকল্পে যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলি হল-

i. বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার: নতুন নতুন উদ্ভাবনীমূলক বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষণ পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

ii. শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার: সময়মতো শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা।

iii. অনুকূল পরিবেশ গঠন: বিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযুক্ত অভ্যন্তরীণ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।

iv. শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি: শিক্ষাকালে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি সুনিশ্চিত করা।

v. শিক্ষকের নিয়মিত উপস্থিতি: শিক্ষকশিক্ষিকাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

22.সর্বশিক্ষা অভিযানে বিদ্যালয়-প্রধানের ভূমিকা আলোচনা করো।

উত্তর: সর্বশিক্ষা অভিযানে বিদ্যালয়-প্রধানের ভূমিকা

বিদ্যালয়-প্রধান একটি সীমিত পরিসরে বিদ্যালয় পরিচালনের দায়িত্ব পালন করে। বিদ্যালয় শিক্ষার প্রধান পরিচালক প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষককে শিক্ষক, শিক্ষয়িত্রী, শিক্ষাকর্মী ও সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের সহায়তায় বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি এবং উক্ত অঞ্চলের 6 থেকে 14 বছর বয়সের সব ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বিজ্ঞানসম্মত পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষককে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

[1] ভরতির যোগ্যতা যাচাইকরণ: অঞ্চলের সব ছেলেমেয়ে বিদ্যালয়ে ভরতি হওয়ার যোগ্যতা যাচাই করা।

[2] সর্বজনীন ভরতির সম্ভাব্যতা বিচার: এদের সকলকে ভরতি করার সম্ভাবনা বিচার করা।

[3] বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর অবস্থা: বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত দুর্বলতা যাচাই করা।

[4] বিদ্যালয় ত্যাগকারীদের সংখ্যা: পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি হওয়া শিক্ষার্থীদের কত অংশ বিদ্যালয় ত্যাগ করছে।

[4] অসফল শিক্ষার্থীদের সংখ্যা: কোন্ শ্রেণিতে অসফল শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত শতাংশ।

[5] শিক্ষার্থীদের সংখ্যাধিক্য: শিক্ষার্থীর সংখ্যার আধিক্যে শ্রেণিকক্ষে কী কী সমস্যার সৃষ্টি করছে।

[6] শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান: অধিকাংশ শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত হতে পারছে কি না।

[7] শিখনের জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ: শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ আনন্দদায়ক ও শিখন সহায়ক কিনা।

[৪] শিখনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ: শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের পরিমাণ যাচাই করা।

[9] সঠিক মূল্যায়ন পদ্ধতি: মূল্যায়ন পদ্ধতি গুণগত মানোন্নয়নের সহায়ক কিনা।

[10] জনগণের অংশগ্রহণ: জনগণ বিদ্যালয়ের উন্নতিতে অংশগ্রহণ করছে কি না।

বিদ্যালয়গুলিতে যে এলাকা থেকে ছেলেমেয়েরা আসে, সেই এলাকার গ্রামভিত্তিক শিক্ষাকমিটি বা ওয়ার্ডভিত্তিক শিক্ষাকমিটি (Village Education [ Committee/Ward Education Committee) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণ 6+ বয়সের শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং সকলকে ভরতি করার চেষ্টা করবেন। পরিকাঠামোগত অসুবিধা দূর করার জন্য প্রধান শিক্ষক স্থানীয় জনগণ, সরকার ও সর্বশিক্ষা অভিযানের সাহায্য গ্রহণ করবেন।

23. আমাদের রাজ্যে সর্বশিক্ষা অভিযানের সমস্যাগুলি লেখো।

অথবা, সর্বশিক্ষা অভিযান রূপায়ণের সমস্যাবলি আলোচনা করো।

 উত্তর: সর্বশিক্ষা অভিযান রূপায়ণের সমস্যা

সর্বশিক্ষা অভিযান রূপায়ণের সমস্যাগুলি হল-

[1] আগ্রহের অভাব: সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহের অভাব।

[2] নেতৃত্বের অভাব: এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য যথাযোগ্য সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব।

[3] অর্থাভাব: এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার তুলনায় অনেক কম পরিমাণ অর্থবরাদ্দ করা হয়।

[4] সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যর্থতা: সংবিধান অনুযায়ী 6 থেকে 14 বছর পর্যন্ত সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়নি।

[5] প্রচারের অভাব: গণমাধ্যমগুলি সর্বশিক্ষা সম্বন্ধে যথেষ্ট প্রচার করে না।

[6] প্রেরণার অভাব: অভিভাবক-অভিভাবিকাদের মধ্যে সঠিকভাবে প্রেরণার সঞ্চার করা হয় না।

[7] শিশুশ্রমিক আইনের ব্যর্থতা: শিশুশ্রমিকের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের মধ্যে ভারত প্রথম। পেটের জ্বালায় যে দেশের শিশুকে উপার্জন করতে হয়, শিক্ষালয়ের আকর্ষণ তার কাছে নিরর্থক।

[৪] সামাজিক সচেতনার অভাব: সর্বশিক্ষা অভিযান রূপায়ণের জন্য আরও বেশি সামাজিক সচেতনতার প্রয়োজন। এ বিষয়ে সঠিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।