WBCHSE Class 12 Educational Science Chapter 8 Solution | Bengali Medium

Class 12 Educational Science Solution

জাতীয় শিক্ষানীতি

1. MCQs Question Answer

1. প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি তাঁর প্রথম ভাষণে শিক্ষা সম্পর্কে কী বলেছিলেন?

(a) মানবসম্পদকে সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার করে জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়

(b) প্রাকৃতিক সম্পদকে সর্বোৎকৃষ্টভাবে ব্যবহার করে জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়

(c) মানবসম্পদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে সর্বোৎকৃষ্টভাবে ব্যবহার করে জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়

(d)  মানবসম্পদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে সর্বোৎকৃষ্ট- ভাবে ব্যবহার করে জাতির পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়  ✔

2. 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তি কী?

(a)1966-68 সালের কোঠারি কমিশন

(b) 1979 সালের জাতীয় শিক্ষানীতি

(c) 1968 সালের জাতীয় শিক্ষানীতি  ✔

(d)ওপরের কোনোটিই নয়

3. শিক্ষানীতির সঙ্গে শিক্ষা কমিশনের কেমন সম্পর্ক?

(a) শিক্ষা কমিশন যে শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি সুপারিশ করে, শিক্ষানীতি তা বাস্তবায়িত করে

(b) শিক্ষানীতিতে যেসব নির্দেশ দেওয়া হয়, শিক্ষা কমিশন সেগুলিকে কার্যকর করে

(c) শিক্ষা কমিশন শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি সুপারিশ করে, লোকসভা ও রাজ্যসভায় তা বিবেচিত হয় এবং মাননীয় রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করার পর শিক্ষানীতি কার্যকর হয়  ✔

(d) শিক্ষা কমিশন শিক্ষা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলি সুপারিশ করে, তা লোকসভা ও রাজ্যসভায় গৃহীত হয় এবং রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করার পর শিক্ষানীতি কার্যকর হয়

4. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) কী নামে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়?

(a) চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন

(b) ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি

(c) রাজীব গান্ধি এডুকেশন পলিসি

(d) চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন-এ পলিসি পারস্পেকটিভ  ✔

5. জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 সালের কোন্ তারিখে প্রকাশিত হয়?

(a) 11 এপ্রিল

(b) 21 এপ্রিল  ✔

© 21 জুন

(d) 21 মে

6. ‘চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন-এ পলিসি পারস্পেকটিভ’-এ কী বলা হয়?

(a) একবিংশ শতাব্দী হবে বিজ্ঞানের শতাব্দী  ✔

(b) একবিংশ শতাব্দী হবে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির শতাব্দী

(c) একবিংশ শতাব্দী হবে তথ্যপ্রযুক্তির শতাব্দী

(d) একবিংশ শতাব্দী হবে বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তির শতাব্দী

7. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে মোট কতগুলি অধ্যায় ছিল?

(a) দশটি

(b)এগারোটি

© বারোটি  ✔

(d)তেরোটি

৪. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এর গতিপ্রকৃতির ওপর কতগুলি অধ্যায় ছিল?

(a) নয়টি অধ্যায়

(b) দশটি অধ্যায়  ✔

(c) এগারোটি অধ্যায়

(d) বারোটি অধ্যায়

9. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে 1968-এর জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

(a) সকল স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ ঘটেছে

(b) জাতীয় শিক্ষা কাঠামো (10+2+3) দেশের সর্বত্র গৃহীত হয়েছে

(c) শুধু (A) সঠিক

(d) (A) ও (B) উভয়ই সঠিক  ✔

10.1968 সালের জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে কোন্ ব্যর্থতার কথা 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে?

(a) মূল্যবোধের অবনমন

(b) শিক্ষাক্ষেত্রে সমসুযোগের অভাব

(c) মহিলাদের আশানুরূপ সাক্ষরতা বৃদ্ধি না হওয়া

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

11. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র কোন্ অধ্যায়ে 1968 সালের সাফল্য- ব্যর্থতা সম্পর্কে উল্লেখ ছিল?

(a) দ্বিতীয় অধ্যায়ে

(b) প্রথম অধ্যায়ে  ✔

(c) চতুর্থ অধ্যায়ে

(d) তৃতীয় অধ্যায়ে

12.”শিক্ষা হবে সকলের জন্য”-জাতীয় অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে? শিক্ষানীতি (1986)-র কোন্

(a) যে অধ্যায়ে শিক্ষার উপাদান ও ভূমিকার কথা বলা হয়েছে  ✔

(b) যে অধ্যায়ে ভূমিকার কথা বলা হয়েছেমানীয়াক চো

© যে অধ্যায়ে নির্দিষ্ট শিক্ষাস্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে(d) যে অধ্যায়ে সাম্যের জন্য শিক্ষার কথা বলা হয়েছে

13. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকলের জন্য শিক্ষাকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

(a) 5 বছরের নিম্নপ্রাথমিক, ও বছরের উচ্চপ্রাথমিক এবং 2 বছরের নিম্নমাধ্যমিক  ✔

(b) 6 বছরের নিম্নপ্রাথমিক, 2 বছরের উচ্চপ্রাথমিক এবং 2 বছরের kabet নিম্নমাধ্যমিক

(c) 4 বছরের নিম্নপ্রাথমিক, 4 বছরের উচ্চপ্রাথমিক এবং 2 বছরের নিম্নমাধ্যমিক

(d) 6 বছরের নিম্নপ্রাথমিক, ও বছরের উচ্চপ্রাথমিক এবং 1 বছরের নিম্নমাধ্যমিক

14. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কোর পাঠক্রম কাকে বলা হয়েছে?

(a) যেসব মৌলিক জ্ঞানের ভিত্তিতে অন্যান্য জ্ঞান অর্জন করা যায়

(b) যে আবশ্যিক জ্ঞান সকলের জন্য পাঠক্রমে থাকবে  ✔

(c) যে জ্ঞান একটি স্বাধীন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অপরিহার্য

(d) যে জ্ঞান শিক্ষণ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

15. শিক্ষায় সমতা আনয়নের ক্ষেত্রে কী করণীয়?

(a) শিক্ষাক্ষেত্রে যারা পিছিয়ে আছে তাদের বিশেষ সুযোগের ব্যবস্থা করা  ✔

(b) শিক্ষার প্রসার করা

(c) শিক্ষার গুণমান উন্নত করা

(d) শিক্ষার প্রসার এবং গুণমান উন্নত করা

16. কোর পাঠক্রমের বিষয় কোন্টি?

(a) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম

(b) দেশের ঐতিহ্য

(c)গণতন্ত্র

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

17. সমতার জন্য শিক্ষা বলতে কী বোঝ?

(a) নির্দিষ্ট শিক্ষাস্তর পর্যন্ত সকলের শিক্ষা গ্রহণ করা

(b) শিক্ষায় বৈষম্য দূর করা  ✔

(c) ব্যক্তিসকলের মধ্যে শিক্ষাগত পার্থক্য হ্রাস করা

(d) ওপরের সবগুলি

18. সমস্ত স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কোন্ ভাষাশিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে?

(a) আঞ্চলিক ভাষাশিক্ষার ওপর

(b) মাতৃভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষাশিক্ষার ওপর  ✔

(c) ইংরেজি ভাষাশিক্ষার ওপর

(c) হিন্দি ভাষাশিক্ষার ওপর

19. তপশিলি উপজাতির শিক্ষার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী ব্যৱস্থা গ্রহণ

করতে বলা হয়েছে?

 (a) তপশিলি উপজাতিদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে

 (b)  বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তপশিলি উপজাতিভুক্ত কোনো ব্যক্তিকে নিযুক্ত করতে হবে

(c) আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

20. 1981 সালের জনগণনায় সাক্ষরতার হার কত ছিল?

(a) 45%

(b) 36%  ✔

© 31%

(d) 42%

21. সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও 6 থেকে 14 বছরের সকল বালক- বালিকার প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যপূরণ না হওয়ার কারণ কী?

(a) জনগণের দারিদ্র

(b) সমাজের বিশেষ অংশের শিক্ষার প্রতি অবহেলা

© জনবিস্ফোরণ

(d)ওপরের সবগুলি  ✔

22. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) অনুসারে 6-14 বছরের শিশুদের প্রতি বছরে বৃদ্ধির হার কত?

(a) 1.2%

(b) 1.3%

© 1.5%  ✔

(d) 1.6%

23. নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এর প্রস্তাবটি কী?

(a) পাঠক্রম পুনর্গঠন

(b) বালক ও বালিকাদের পৃথক পাঠক্রম

(c) কুসংস্কার দূর করা

(d) ওপরের (A) ও (C) সঠিক  ✔

24. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে ‘অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

(a) সরকার ও কমিউনিটির মধ্যে অংশীদারিত্ব

(b) সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে অংশীদারিত্ব

(c) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব  ✔

(d) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারিত্ব

25. কোন্ শিক্ষাস্তরের সঙ্গে ICDS কর্মসূচি যুক্ত হওয়ার কথা জাতীয় শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে?

(a) নিম্নপ্রাথমিক স্তরের সঙ্গে

(b) প্রাক্-শৈশব স্তরের সঙ্গে  ✔

(c) উচ্চপ্রাথমিক স্তরের সঙ্গে

(d) প্রারম্ভিক স্তরের সঙ্গে

26. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নীচের কোন্টি সর্বাপেক্ষা বড়ো অন্তরায়? জেনে নিন

(a) সমাজের বঞ্চিত জনগণের মধ্যে শিক্ষার প্রতি সচেতনতার অভাব

(b) বালিকাদের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব

© জনগণের দারিদ্র্য  ✔

(d) শিক্ষকের অভাব

27. অপচয় এবং অনুন্নয়নের জন্য জাতীয় শিক্ষা কী কী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন?

(a) পরীক্ষার সঙ্গে শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সম্পর্ক থাকবে না

(b) দৈহিক শাস্তি বাতিল করতে হবে

(c) শিক্ষার সময় শিশুদের সুবিধা অনুযায়ী হবে

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

28. প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার এবং গুণমানের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোন্টি?

(a) শিক্ষার প্রসার

(b) শিক্ষার গুণমান

(c) উভয়েই সমগুরুত্বপূর্ণ

 (d) উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ তবে প্রসারের দিকটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ  ✔

29. “মর্যাদার বিচারে শিক্ষকদের ঊর্ধ্বে আর কেউ হতে পারে না।”- এই উক্তিটি কোন্ কমিশন/শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে?

(a) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন

(b) জাতীয় শিক্ষানীতি (1968)

(c) জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)  ✔

(d)কোঠারি কমিশন

30. নীচের কোল্টি বয়স্কশিক্ষার প্রধান বিষয়?

(a) সাক্ষরতা

(b) কর্মমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন

(c) প্রবহমান শিক্ষা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

31. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কী?

(a) ব্যক্তির অভিযোজনে সাহায্য করে

(b) দেশের আর্থিক উন্নয়ন নির্ভর করে

(c) বিশ্বে দেশের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করে

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

32. নীচের কোন্টি প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ?

(a) শিক্ষকের পুথিগত যোগ্যতা

(b) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক  ✔

(c) শিক্ষকের অভিজ্ঞতা

(d) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপাত

33. অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা নীচের কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

(a) স্বল্প পরিমাণে প্রতিবন্ধী  ✔

(b) মাঝারি ধরনের প্রতিবন্ধী

(c) অধিকমাত্রায় প্রতিবন্ধী

(d) একাধিক দিক থেকে প্রতিবন্ধী

34. ‘অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড’ এবং ‘নবোদয় বিদ্যালয়’ কোন্ শিক্ষানীতিতে গৃহীত হয়?

(a) যথাক্রমে জাতীয় শিক্ষানীতি (1968) এবং জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে গৃহীত হয়

(b) যথাক্রমে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) এবং জাতীয় শিক্ষানীতি (1968)-তে গৃহীত হয়

(c) উভয়েই জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে গৃহীত হয়  ✔

(d) উভয়েই জাতীয় শিক্ষানীতি (1968)-তে গৃহীত হয়

35. বয়স্কশিক্ষার ক্ষেত্রে ‘বয়স্ক’ কাদের বলা হয়?

(a) যারা প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ 18 বছরের ঊর্ধ্বে

(b) যারা 18 বছর থেকে 35 বছরের মধ্যে

(c) যারা 15 বছর থেকে 35 বছরের মধ্যে  ✔

(d) যারা 15 বছর থেকে 50 বছরের মধ্যে

36. ভারতে প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত মান অপেক্ষা প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী কারণটি কী?

(a) সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা  ✔

(b) আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রাপ্ত জনগণের সংখ্যা আশানুরূপ নয়

(c) যোগ্য নাগরিক হতে গেলে প্রাথমিক শিক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন

(d) স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক 

37. অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কোন্ শিক্ষাস্তরের জন্য স্থির করা হয়েছে?

(a) নিম্নপ্রাথমিক শিক্ষা

(b) উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষা

(c) প্রারম্ভিক শিক্ষা  ✔

(d) প্রারম্ভিক শিক্ষা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা

38.অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কার্যকরী করার প্রধান দায়িত্ব কার?

(a) কেন্দ্রীয় সরকারের

(b) রাজ্য সরকারের

(c) কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার উভয়ের

(d) কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সকলের  ✔

39.অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ডে নীচের কোল্টি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে?

(a) কোনো বস্তুগত সম্পদের কথা 

(b) কোনো মানবসম্পদের কথা

(c) বস্তুগত, মানবসম্পদ এবং শিক্ষা উপকরণের কথা  ✔

 (d)বস্তুগত এবং মানবসম্পদের কথা  

40. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে বিধিমুক্ত শিক্ষার সুযোগ কাদের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে?

(a) ড্রপ আউট বা বিদ্যালয় ছুটদের জন্য

(b) যারা কোনোদিন প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ পায়নি

(c) যেসব বালক বা বালিকা কেবল আংশিক সময়ের শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে

(d) ওপরের সব ধরনের শিক্ষার্থী  ✔

41. বিধিমুক্ত শিক্ষা কার্যকরীকরণে কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে?

(a) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে

(b) সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিকে

(c) সরকার এর জন্য পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে

(d) স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলিকে  ✔

42. মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কী বলা হয়েছে?

(a) মধ্যস্তরের নেতৃত্ব গড়ে তোলা

(b) প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা

(c) জাতীয় উন্নয়ন

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

43. জাতীয় শিক্ষা (1986)-র বিবরণ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে কত শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষায় ভরতি হয়?

(a) 45%

(b) 52%

© 50%  ✔

(d) 55%

44. নবোদয় বিদ্যালয়ের অপর নাম-

(a) কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়

(b) সরকারি বিদ্যালয়

(c) পেসসেটিং স্কুল  ✔

(d) কমন স্কুল

45. মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র বক্তব্য কী?

(a) পাঠক্রম পুনর্গঠন

(b) নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপন

(c) মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণ

(d)ওপরের সবগুলি  ✔

46. কমন স্কুল এবং নবোদয় বিদ্যালয়ের মধ্যে সাদৃশ্য কী?

(a) শিক্ষায় সমতা আনা

(b) জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করা

(c) (A) এবং (B) সঠিক ✔ 

(d) (A) সঠিক

47 . নবোদয় বিদ্যালয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কোন্টি?

(a) প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা ✔ 

(b) বিশেষ শিক্ষার্থী (special child)-দের জন্য বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা

(c) সমস্যা সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করা

(d) ওপরের সবগুলি

48. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে বৃত্তিমুখী শিক্ষার লক্ষ্য কী?

(a) সকলের জন্য উচ্চশিক্ষার পরিবর্তে বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা

(b) দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে পার্থক্য হ্রাস করা

(c) ব্যক্তির বৃত্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি করা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

49. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে বৃত্তিশিক্ষার জন্য বিশেষ করে কাদের কথা বলা হয়েছে?

(a) যারা মেধার কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অসমর্থ

(b) বিদ্যালয় ছুটদের জন্য

(c) আংশিক কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য ওপরের সবগুলি

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

50 . জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের জন্য কী মত পোষণ করা হয়েছে?

(a) উচ্চশিক্ষার প্রসার জরুরি

(b) উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

(c) প্রসারতার গুণগত মান বৃদ্ধি করা সমগুরুত্বপূর্ণ

(d) প্রসারের থেকে গুণগত মান বৃদ্ধি করা আশু প্রয়োজন ✔ 

51. স্বশাসিত মহাবিদ্যালয় (Autonomous College) স্বীকৃতির কথা কোন্ কমিশনে বা শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে?

(a) জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986 ✔ 

(b) জাতীয় শিক্ষানীতি, 1968

(c) কোঠারি কমিশন

(d) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন

52. উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশটি কী?

(a) ভরতির শর্ত হবে মেধা

(b) মেধার ভিত্তিতে শিক্ষকের পদপূরণ

(c) গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

53. সকলের কাছে উচ্চশিক্ষাকে উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে কোন্ শিক্ষা কমিশন/শিক্ষানীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?

(a) বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন

(b) কোঠারি কমিশন

(c) জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)  ✔

(d) জাতীয় শিক্ষানীতি (1968)

54. পশ্চিমবঙ্গের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী?

(a) ইন্দিরা গান্ধি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

(b) নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়  ✔

(c) রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

55. মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে-কোনো একটি বৈশিষ্ট্য হল-

(a) ভরতির নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই

(b) নমনীয় পাঠক্রম

(c) শিক্ষাপ্রযুক্তির ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

56. প্রথম কোন্ শিক্ষা কমিশন বা শিক্ষানীতিতে চাকুরি থেকে ডিগ্রিকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে?

(a) বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন

(b) জাতীয় শিক্ষানীতি (1968)

(c) জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)  ✔

(d) কোঠারি কমিশন

57. ডিগ্রিকে চাকরির থেকে বিচ্ছিন্ন করার কারণ কী?

(a) ডিগ্রি থেকে নির্দিষ্ট বৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান আছে কি না তা জানা সম্ভব নয়

(b) কেবল মেধাবী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে এগিয়ে আসবে

(c) উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বজায় থাকবে

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

58. চাকরির জন্য কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কী সুপারিশ করা হয়েছে?

(a) প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বৃত্তি বিভাগ’ (Employment Cell) থাকবে

 (b) বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ক্যাম্পাস ইনটারভিউ’র ব্যবস্থা করবে

(c) ন্যাশনাল টেস্টিং সার্ভিস (National Testing Service) স্থাপন করা হবে  ✔

(d) ওপরের সবগুলি

59. বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন (1948)-এর সুপারিশের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীত (1986)-র কোন বিষয়ে বিশেষ সাদৃশ্য দেখা যায়?

(a) উচ্চশিক্ষায় ভরতির সুযোগে

(b) গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ✔ 

(c) পরীক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারে

(d) ইউজিসি-র ভূমিকায়

60. কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা পুনর্গঠন করার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কী বলা হয়েছে?

(a) তথ্যপ্রযুক্তিকে শক্তিশালী করার কথা

(b) পলিটেক শিক্ষাব্যবস্থাকে নমনীয় করার কথা

(c) বিদ্যালয় স্তর থেকে কম্পিউটার ব্যবস্থা চালু করার কথা

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

61. স্বনিযুক্তি প্রকল্প কাকে বলে?

(a) যেখানে ব্যক্তি অর্থ বিনিয়োগ করে ব্যাবসা পরিচালনা করে

(b) যেখানে ব্যক্তি বা ব্যক্তিসকল সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করে ব্যাবসা পরিচলনা করে

(c) যেখানে ব্যক্তি বা ব্যক্তিসকল কোনো বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরকারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করে  ✔

(d) ওপরের সবগুলোই

62. জাতীয় স্তরে কোন্ সংস্থা কারিগরি শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে?

(a) AICTE  ✔

(b) AITEC

(c) AIECT

(d) AITCE

63. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কোন্ অধ্যায়ে শিক্ষা-ব্যবস্থার সক্রিয়করণের ওপর আলোচনা করা হয়েছে?

(a) ষষ্ঠ অধ্যায়ে

(b) সপ্তম অধ্যায়ে  ✔

(c) দশম অধ্যায়ে

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

64. শিক্ষাব্যবস্থার সক্রিয়করণে নীচের কোন্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

(a) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা

(b) শিক্ষকের আন্তরিকতা এবং কর্মতৎপরতা  ✔

(c) শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা

(d) প্রতিষ্ঠানের গুণমান মূল্যায়ন

65. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কর্ম-অভিজ্ঞতা বিষয়টিকে কীভাবে পুনর্বিন্যাস করার কথা বলা হয়েছে?

(a) যেসব কর্ম-অভিজ্ঞতা ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রয়োজনীয়, সেগুলির শিক্ষা সব স্তরে বিবেচনা করতে হবে

(b) নিম্নমাধ্যমিক স্তরে বৃত্তিমুখী কোর্স দেওয়া হবে যা মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তিমুখী কোর্স নির্বাচনে সাহায্য করবে

(c) বিভিন্ন শিক্ষাস্তরে কর্ম-অভিজ্ঞতা কর্মসূচি প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা ও জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব 

(d) ওপরের সবগুলি  ✔

66. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

(a) বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা দশম শ্রেণি পর্যন্ত আবশ্যিক হবে

(b) আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গণিতশাস্ত্র শিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে

(c) দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে বিজ্ঞানশিক্ষাকে যুক্ত করতে হবে

 (d) ওপরের সবগুলিদর ✔ 

67. নীচের কোল্টি মূল্যায়ন সম্পর্কিত জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র বক্তব্যে উল্লেখ নেই?

(a) মাধ্যমিক স্তর থেকে সেমিস্টার প্রথা চালু হবে

(b) নম্বরের বদলে গ্রেড প্রথা চালু করা হবে

(c) মূল্যায়ন একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া  ✔

(d) পুথিগত এবং বিভিন্ন উৎস থেকে অর্জিত জ্ঞান মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে

68. “The citizens of the country have a fundamental right to education. Every child/citizen of this country has a right to free education until he completes the age of 14 years.”-এ কথা বলেছেন-

(a) সুপ্রিমকোর্ট ✔ 

(b) হাইকোর্ট

(c) জজ কোর্ট

(d) আন্তর্জাতিক বিচারালয়

69. MLL-এর সম্পূর্ণ নাম কী?

(a) Minimum Level of Learning  ✔

(b) Maximum Level of Learning

(c) Maintenance of Level of Learning

(d) Maximum Limit of Learning

70. উচ্চশিক্ষার সুযোগ সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে NEP (1986)-এর নীতি হল স্থাপন করা।

(a) স্বয়ংশাসিত কলেজ

(b) মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়  ✔

(c) নবোদয় বিদ্যালয়

(d) অন্তর্ভুক্তি শিক্ষা

71. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে স্কুল ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

(a) Pace-setting  ✔

(b) Special

(c) Urban

(d) Rural

72. ‘Operation Black Board’ যে শিক্ষা কমিশনে বলা হয়েছে তা হল-

(a) কোঠারি কমিশন  ✔

(b) মুদালিয়র কমিশন

(c) স্যাডলার কমিশন

(d) হান্টার কমিশন

73. নবোদয় বিদ্যালয় গঠনের সুপারিশ করেন-

(a) মুদালিয়র কমিশন

(b) রামমূর্তি কমিটি

(c) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন

(d) জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986  ✔

74. ‘কমন স্কুল’-এর কথা বলা হয়েছে

(a) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে

(b) মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনে

(c) ভারতীয় শিক্ষা কমিশনে

(d) জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986  ✔

75. ‘স্বশাসিত কলেজ’ গঠনের কথা কোন্ কমিশনে বলা হয়েছে?

(a) মুদালিয়র কমিশন

(b) কোঠারি কমিশন

(c) রাধাকৃয়ণ কমিশন

(d) জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986  ✔

76. DIET-এর পুরো নাম-

(a) District Institute of Education and Training  ✔

(b)Direct Institute of Education and Training

(c) Direct Industry of Education and Training

(d) District Institute of Earning and Training

77. বিদ্যালয় স্তরের পাঠক্রম রচনা করে-

(a) NCERT ✔ 

(b) CABE

(c) SABE

(d) কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়

78. IGNOU প্রতিষ্ঠিত হয়-

(a) 1986 খ্রিস্টাব্দে

(b) 1987 খ্রিস্টাব্দে

(c) 1985 খ্রিস্টাব্দে  ✔

(d) 1997 খ্রিস্টাব্দে

79.মডেল স্কুলের কথা বলা হয়েছে-

(a) রাধাকৃয়ণ কমিশনে

(b) মুদালিয়র কমিশনে

(c) জাতীয় শিক্ষানীতিতে  ✔

(d) এদের কোনোটিই নয়

৪০.নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপিত হয়-

(a) দুর্বলদের জন্য

(b) দুর্বলতরদের জন্য

(c) মেধাবীদের জন্য  ✔

(d) বিকলাঙ্গদের জন্য

81.বিদ্যালয় প্রথা চালু করার সুপারিশ করেছিল জাতীয় শিক্ষানীতি 1986।

(a) পেসসেটিং  ✔

(b) স্পেশাল

(c) আর্বান

(d) গ্রামীণ

82. জাতীয় শিক্ষানীতিতে (1986) সাধারণ শিক্ষা কাঠামো হল-

(a) 10+2+3  ✔

(b) 10+2+4

(c) 11+1+3

(b) 11+1+4

83. নীচের কোন্ট্রি শিক্ষকের মর্যাদা স্থাপনে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা?

“(a) শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্যের ভিত্তিতে বেতন ও চাকুরির শর্তাবলি নির্দিষ্ট করা

 (b) শিক্ষকের পেশাগত নৈতিকতার ওপর আস্থা স্থাপন  ✔

(c) সর্বস্তরের শিক্ষকদের প্রমোশনের ব্যবস্থা করা

(d) সমগ্র দেশের শিক্ষকদের জন্য একই বেতন কাঠামো চালু করা

83. NCTE-এর পুরো কথাটি কী?

(a) ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেকনিকাল এডুকেশন

(b) ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেকনোলজিকাল এডুকেশন

(c) ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টিচার এডুকেশন  ✔

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

84. প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ ব্যবস্থা নীচের কোন্ প্রতিষ্ঠান দ্বারা সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে?

(a) DIET

(b) NCTE ✔ 

(c) SCERT

(d) NCERT

85.. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এর কোন্ অধ্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে?

(a) অষ্টম অধ্যায়ে

(b) নবম অধ্যায়ে

 (c) দশম অধ্যায়ে  ✔

(d) একাদশ অধ্যায়ে

86. জাতীয় ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নীচের কোন্ সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে?

(a) ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং

(b) ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল

(c) সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অব এডুকেশন  ✔

(d) স্টেট অ্যাডভাইসরি বোর্ড অব এডুকেশন

87. ‘অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড’ কর্মসূচিটির প্রধান উদ্দেশ্য কী?

(a) প্রাথমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ

(b) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন  ✔

(c) প্রাথমিক শিক্ষার অপচয় ও অনুন্নয়ন হ্রাস করা

(d) প্রাথমিক শিক্ষার সঠিক মূল্যায়ন

88. 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির রূপায়ণের অগ্রগতি সম্পর্কে কত বছর অন্তর পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে?

(a) চার বছর

(b) তিন বছর

(c) পাঁচ বছর  ✔

(d) ছয় বছর

89. শিক্ষার ‘পিরামিড’-এর অর্থ কী?

(a) শিক্ষার নিরবচ্ছিন্নতা

(b) শিক্ষার ধারাবাহিকতা

(c) প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ক্রমপর্যায়ভিত্তিক স্তর  ✔

(d) ওপরের সবগুলি

90. জাতীয় শিক্ষানীতির প্রধান বিরূপ সমালোচনা হল-

(a) বিদ্যালয়-ছুটদের সমস্যাসমাধানে ব্যর্থতা

(b) সুপারিশ কার্যকরীকরণে ধীরগতি  ✔

(c) অনেক সুপারিশ সাধ্যের অতীত ছিল

(d) সঠিক পরিকল্পনার অভাব

91. রামমূর্তি কমিটির নিম্নোক্ত সুপারিশের মধ্যে কোন্টি কার্যকরী করা হয়েছে?

(a) শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের আপামর জনগণের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত করা

(b) কমন স্কুল প্রথার উন্নয়ন ঘটানো

(c) বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়গুলিকে স্বশাসনের অধিকার দান

(d)শিক্ষাকে সাংবিধানিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা   ✔

92. কোন্ কমিটি/কমিশনে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে পঞ্চায়েতি-রাজের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়?

(a) রামমূর্তি কমিটি

(b) ভারতীয় শিক্ষা কমিশন

(c) জনার্দন রেড্ডি কমিটি  ✔

(d) জাতীয় শিক্ষানীতি

93. সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যালয় শিক্ষাকে পঞ্চায়েতিরাজের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়?

(a)71 এবং 72-তম সংশোধনী

(b) 72 এবং 73-তম সংশোধনী

(c) 76 এবং 77-তম সংশোধনী

(d) ওপরের কোনোটিই নয় ✔ 

94. ‘প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন-1992’ কী?

(a) জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এর সংশোধিত রূপ ✔ 

(b) জনার্দন রেড্ডি কমিটির সংশোধিত রূপ

(c) রামমূর্তি কমিটির সংশোধিত রূপ

(d) ওপরের কোনোটিই নয়

95. জনার্দন রেড্ডি কমিটির সুপারিশকে মোট ক-টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

(a) 7টি ভাগে

(b) ৪টি ভাগে  ✔

 (c) 6টি ভাগে

 (d) ৭টি ভাগে

96. জনার্দন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নিম্নপ্রাথমিক স্তরে বিদ্যালয়-ছুটদের সংখ্যা কত শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে?

(a) 15%

(b) 20%  ✔

(c) 10%

(d) 25%

97. শিখনের ন্যূনতম মাত্রা (Minimum Level of Learning) কাকে বলে?

(a) শ্রেণিভিত্তিক ন্যূনতম শিখনের মাত্রা  ✔

(b) শিক্ষাস্তরভিত্তিক ন্যূনতম শিখনের মাত্রা

(c) শ্রেণিভিত্তিক গড় শিক্ষার্থীদের মান

(d) শিক্ষাস্তরভিত্তিক গড় শিক্ষার্থীদের মান

98. ‘অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড’ কী?

(a) একটি কর্মসূচি  ✔

(b) শিক্ষাসহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা

(c) বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিশ্চিত করা

(d) প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সাহায্য করা

99. স্থানীয় ভিত্তিতে স্বল্প পরিধির পরিকল্পনাকে কী বলা হয়?

(a) স্বল্প সময়ের পরিকল্পনা

(b) ম্যাক্রো পরিকল্পনা

(c) মাইক্রো পরিকল্পনা  ✔

(d) অন্তর্বর্তী পরিকল্পনা

100. ‘সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অব এডুকেশন’ কী?

(a) একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান

(b) একটি জেলাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান

(c) একটি রাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান

(d) একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান ✔ 

101. কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনায় ভারতবর্ষে কতগুলি জেলায় নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপন করার কথা বলা হয়?

 (a) 400টি জেলায়

 (b) 520টি জেলায়

 (c) 432টি জেলায়  ✔

 (d) 532টি জেলায়

102. কোন্ ধরনের বিদ্যালয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত আছে?

(a) কমন বিদ্যালয়ে

(b) নেবারহুড বিদ্যালয়ে

(c) নবোদয় বিদ্যালয়ে  ✔

(d) গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে

103. নবোদয় বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তর থেকে শিক্ষার মাধ্যম কী?

(a) ইংরেজি

 (b) হিন্দি 

 (c)  আঞ্চলিক ভাষা বা ইংরেজি

(d) ইংরেজি এবং হিন্দি ✔ 

104. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মুক্তশিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য কী?

(a) সকলের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা  ✔

(b)  উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নত করা

(c) উচ্চশিক্ষার প্রসারে সাহায্য করা

(d) কর্মরত অবস্থায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে উৎসাহ দেওয়া

105. জাতীয় শিক্ষানীতি রচনাকালে ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষার হার (18-23 বছর ব্যক্তিদের মধ্যে) কত শতাংশ ছিল?

(a) 6.8%

(b) 4.8%  ✔  

(c) 5.9%

(d) 6.2%

106. কোন্ শিক্ষা কমিশন/শিক্ষানীতির প্রস্তাবে NCTE-কে স্বয়ংশাসিত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতিদানের কথা বলা হয়েছে?

(a) কোঠারি কমিশনের

(b) জাতীয় শিক্ষানীতি (1968)-র

(c) জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র  ✔

(d) বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন (1948)-এর

107. জনার্দন রেড্ডি কমিটি অনুযায়ী নিম্নপ্রাথমিক এবং উচ্চ- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যার অনুপাত কী?

(a) 2:1  ✔

(b) 3:1

(c) 4:1

(d) কোনোটিই নয়

108. নবোদয় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের প্রকৃতি কী রকম?

(a) নিরবচ্ছিন্ন প্রকৃতির

(b) সামগ্রিক প্রকৃতির

(c) নিরবচ্ছিন্ন ও সামগ্রিক প্রকৃতির  ✔

(d) রাজ্য শিক্ষাবোর্ড অনুযায়ী

109. উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নত করার জন্য নীচের কোন্টি সর্বাপেক্ষা কার্যকরী?

(a) স্বয়ংশাসিত কলেজ স্থাপন

(b) কলেজের পরিকাঠামো অনুযায়ী ছাত্রছাত্রী ভরতির সংখ্যা নির্দিষ্ট করা

(c) উন্নতমানের গবেষণার ব্যবস্থা করা  ✔

(d) মুক্তশিক্ষার ওপর গুরুত্বদান

110. রামমূর্তি কমিটি গঠিত হয়-

 (a) 1989 সালে

 (b) 1990 সালে  ✔

 (c) 1991 সালে

 (d) 1992 সালে

111. ‘প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ গঠিত হয়-

(a)1992 সালে  ✔

(b) 1990 সালে

(c) 1986 সালে

 (d) 1982 সালে

112. পরিবর্তিত জাতীয় শিক্ষানীতির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হলেন-

(a) রাজীব গান্ধি

(b) জনার্দন রেড্ডি  ✔

 (c) অর্জুন সিং

(d) ডি এস কোঠারি

113. অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড হল মূলত যে শিক্ষাস্তরের কর্মসূচি-

(a) প্রাথমিক  ✔

(b) মাধ্যমিক  

(c) চিকিৎসা শিক্ষা

(d) ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা

114. রেড্ডি কমিটির সুপারিশ হয়েছিল-

(a) 1968 খ্রিস্টাব্দ

(b) 1986 খ্রিস্টাব্দ seer

(c) 1990 খ্রিস্টাব্দ

(d) 1992 খ্রিস্টাব্দ  ✔

115. Pace-Setting School হল-

(a) মডেল স্কুল

(b) একলব্য বিদ্যালয়

(c) কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়

(d) নবোদয় বিদ্যালয়  ✔

2. Very Short Question Answer

1. একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার জন্য যে প্রস্তাবনাপত্রটি প্রস্তুত করা হয় তার নাম কী?

►একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার জন্য যে প্রস্তাবনাপত্রটি প্রস্তুত করা হয় তার নাম চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন-এ পলিসি পারসপেকটিভ।

2.জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) কোন তারিখে প্রকাশিত হয়?

 ▶ 1986 সালের 21 এপ্রিল জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) প্রকাশিত হয়।

3. প্রথম অধ্যায়ের আলোচনার বিষয়বস্তু কী?

▶ এই অধ্যায়ে শিক্ষানীতি বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার নীতি নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।

4. অন্তর্ভুক্তি শিক্ষা কী?

▶ যেসব শিক্ষার্থীর অল্প প্রতিবন্ধকতা আছে, তাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের ব্যবস্থাই হল অন্তর্ভুক্তি শিক্ষা।

5. বয়স্কশিক্ষা কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায়?

▶ বয়স্কশিক্ষা প্রথাগত, প্রথাবহির্ভূত এবং অনিয়ন্ত্রিত সব ধরনের শিক্ষার কৌশলের সাহায্যে বাস্তবায়িত করা যায়।

6. ‘NIEPA’র পুরো কথাটি কী?

► ‘NIEPA’র পুরো কথাটি হল National Institute of Educational Planning and Administration |

7.’AICTE’-র পুরো কথাটি কী?

► ‘AICTE’র পুরো কথাটি হল All India Council of Technical Education

8. ‘ECCE’র পুরো কথাটি কী?

▶ ‘ECCE’র পুরো কথাটি হল Early Childhood Care and Education |

9. জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসঙ্গে কী কী বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়েছে?

▶ জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রসার এবং গুণগত মানের ওপর আলোচনা করা হয়েছে।

10. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষার যে-কোনো একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

▶ স্কুলছুট এবং শিশু শ্রমিকদের জন্য প্রথা-বহির্ভূত শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা।

11. প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির উন্নতির জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986 কোন্ কর্মসূচির সুপারিশ করে?

▶ জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986 প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির উন্নতির জন্য ‘অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড’ কর্মসূচির সুপারিশ করে।

12. ICDS-এর পুরো নাম লেখো।

▶ ICDS-এর পুরো নাম হল Integrated Child Development Scheme

13. NCERT-এর পুরো নাম লেখো।

▶ NCERT-র পুরো নাম হল National Council of Educational Research and Training |

14. NCTE-র পুরো নাম লেখো।

▶ NCTE-র পুরো নাম National Council of Teacher Education

15. 1986 সালের গঠিত শিক্ষানীতির নাম কী?

▶ 1986 সালের গঠিত শিক্ষানীতির নাম-‘চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন-এ পলিসি পারস্পেকটিভ’।

16. নবোদয় বিদ্যালয়ের কথা প্রথম কোথায় বলা হয়েছিল?

▶ নবোদয় বিদ্যালয়ের কথা প্রথম 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল।

17. কোন্ বছর ভারত সরকার 1986-র জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম সংস্কার সাধন করেছিল?

▶ 1990 খ্রিস্টাব্দে রামমূর্তির কমিটির মাধ্যমে ভারত সরকার 1986-র জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম সংস্কার সাধন করেছিলেন।

18. ‘অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড’ কোন্ শিক্ষাস্তরের সঙ্গে যুক্ত?

▶ ‘অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড’ প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের সঙ্গে যুক্ত।

19. বয়স্কশিক্ষার একটি সমস্যার উল্লেখ করো।

▶ বয়স্কশিক্ষার একটি সমস্যা হল শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অর্থের অভাব।

20. ভারত সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র সংশোধনী প্রস্তাব কত সালে উপস্থাপিত করেন?

▶ 1992 সালে ভারত সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপিত করেন।

21. রামমূর্তি কমিটি কত সালে গঠিত হয়েছিল?

▶ রামমূর্তি কমিটি 1990 সালে গঠিত হয়েছিল।

22.1992 সালের শিক্ষানীতির নাম কী? [Tamluk Hamilton High School]

▶ 1992 সালের শিক্ষানীতির নাম POA (প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন)।

23. POA কবে গঠিত হয়?

► POA 1992 সালে গঠিত হয়।

24. POA-এর পুরো কথাটি লেখো।

▶ POA-এর পুরো কথাটি হল ‘Programme of Action’

25. অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড কোন্ শিক্ষাস্তরের উন্নয়ন প্রকল্প?

▶ অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের উন্নয়ন প্রকল্প।

26. শিক্ষানীতি (1986) কার সভাপতিত্বে 1990 সালে পুনর্বিবেচিত হয়?

▶ শিক্ষানীতি (1986) রামমূর্তির সভাপতিত্বে 1990 সালে পুনর্বিবেচিত হয়।

3. Short Question Answer

1. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এর প্রেক্ষাপট কী?

► 1968 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির কর্মসূচিগুলি পূরণ না হওয়ায় এবং একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের

 অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি এক নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি রচনা করতে উদ্যোগী হন। এর ফলে 1986 সালে  জাতীয় শিক্ষানীতি রচিত হয়।

2. ‘চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন-এ পলিসি পারস্পেকটিভ’ প্রস্তাবনাটি ক-টি অধ্যায়ে বিভক্ত এবং ক-টি প্রধান অংশে বিভক্ত করা যায়?

▶ প্রস্তাবনাটি মোট বারোটি ভাগে বিভক্ত এবং তিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অধ্যায়ে আছে ভূমিকা, দ্বাদশ অধ্যায়ে আছে ভবিষ্যৎ এবং দ্বিতীয় থেকে একাদশ অধ্যায়ে আছে ভারতের শিক্ষার গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা।

3. প্রথম অধ্যায়ে শিক্ষানীতি বিশেষজ্ঞরা কী কী বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন?

▶ বিশেষজ্ঞরা 1968 সালের শিক্ষানীতির সাফল্য ও ব্যর্থতা এবং আগামী দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

4. ‘শিক্ষার ভূমিকা’ জাতীয় শিক্ষানীতির কোন্ অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে এবং শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

▶ জাতীয় শিক্ষানীতির দ্বিতীয় অধ্যায়ে শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, শিক্ষার ভূমিকা হবে সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন, জাতীয় সংহতি গড়ে তোলা, বিজ্ঞানমনস্কতা, সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব, যেমন- ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতান্ত্রিকতা, সমাজতান্ত্রিকতা ইত্যাদি বিকাশে সহায়তা করা।

5. ‘জাতীয় ব্যবস্থায় শিক্ষা’ প্রসঙ্গে NPE (1986)-তে কী বলা হয়েছে?

► NPE (1986)-তে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষা কাঠামো, কোর পাঠক্রম-সহ জাতীয় পাঠক্রম, ভাষানীতি, উচ্চশিক্ষার সর্বজনীনতা, সম্পদের জোগান, মুক্ত এবং দূরাগত শিক্ষা, জাতীয় প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করা এবং অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে।

6. সাম্যের জন্য শিক্ষা বলতে কী বোঝায়?

    ▶ দেশের অনুন্নত সম্প্রদায়, যেমন-তপশিলি জাতি ও উপজাতি, সংখ্যালঘু, মহিলা, প্রতিবন্ধী এবং বয়স্কদের শিক্ষার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এবং প্রয়োজনবোধে তাদের অতিরিক্ত সুযোগ দিয়ে উন্নত ও অনুন্নতের মধ্যে পার্থক্য হ্রাস করা।

    7. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে কী কী বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, শিশুকেন্দ্রিকতা, প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ ও বিধিমুক্ত শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    8. প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে সাধারণত কাদের জন্য বিধিমুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়?

    ▶ বিদ্যালয়-ছুট শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়বিহীন অঞ্চলের শিশুদের, কর্মরত শিশু এবং যেসব বালিকা দিবা বিদ্যালয়ে পুরো সময়ের জন্য উপস্থিত থাকতে পারে না, তাদের জন্য বিধিমুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

    9. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কোর পাঠক্রমে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে স্বাধীনতার ইতিহাস, সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, সমান অধিকার, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ সম্পর্কিত জ্ঞান, লিঙ্গ অনুযায়ী অধিকারের সমতা বিষয়ে ধারণা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা, ছোটো পরিবারের উপযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা কোর পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

    10. সংস্কৃত ভাষাশিক্ষা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী বলা হয়েছে?

    ▶ জাতীয় সংহতি গড়ে তোলা এবং ভারতের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রাখার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

    11. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে কী কী বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, শিশুকেন্দ্রিকতা, প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ ও বিধিমুক্ত শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    12.প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে সাধারণত কাদের জন্য বিধিমুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়?

    ▶ বিদ্যালয়-ছুট শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়বিহীন অঞ্চলের শিশুদের, কর্মরত শিশু এবং যেসব বালিকা দিবা বিদ্যালয়ে পুরো সময়ের জন্য উপস্থিত থাকতে পারে না, তাদের জন্য বিধিমুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

    13. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে কোর পাঠক্রমে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে স্বাধীনতার ইতিহাস, সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, সমান অধিকার, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ সম্পর্কিত জ্ঞান, লিঙ্গ অনুযায়ী অধিকারের সমতা বিষয়ে ধারণা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা, ছোটো পরিবারের উপযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা কোর পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

    14. সংস্কৃত ভাষাশিক্ষা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী বলা হয়েছে?

    ▶ জাতীয় সংহতি গড়ে তোলা এবং ভারতের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রাখার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

    15. ‘সুসংহত শিশু বিকাশ কর্মসূচি’র লক্ষ্য কী?

    ▶ ‘সুসংহত শিশু বিকাশ কর্মসূচি’র লক্ষ্য হল প্রাক্-শৈশব শিশুদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ, আবেগ ও ইচ্ছার বিকাশ ইত্যাদির দিকে লক্ষ রেখে লেখা, পড়া ও হিসেব দেখানোর জন্য প্রথাগত আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির পরিবর্তে খেলার মাধ্যমে শিক্ষা দান।

    16. জাতীয় শিক্ষানীতিতে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে কী কী বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়েছে?

    ▶ সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব শিশুকেন্দ্রিকতা, বিদ্যালয়ের সুযোগ, বিধিমুক্ত শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর জাতীয় শিক্ষানীতিতে আলোচনা করা হয়েছে।

    17. শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা কাকে বলে?

    ▶ যে শিক্ষাব্যবস্থায় লক্ষ্য নির্ধারণ, পাঠক্রম রচনা, শিক্ষা-শিক্ষণ প্রক্রিয়া, শৃঙ্খলা রক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক, মূল্যায়ন প্রভৃতি শিশুর চাহিদা, আগ্রহ, বৈশিষ্ট্যকে ভিত্তি করেই পরিকল্পিত এবং বাস্তবায়িত হয়, তাকেই শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা বলে।

    18. মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী বলা হয়েছে?

    ▶ মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রাথমিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করা, মধ্যস্তরের নেতৃত্বদানে উপযোগী করে তোলা এবং জাতীয় বিকাশকে ত্বরান্বিত করা প্রভৃতির কথা জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে।

    19. নবোদয় বা ‘পেসসেটিং’ বিদ্যালয় কাকে বলে?

    ▶ যেসব অবৈতনিক এবং আবাসিক বিদ্যালয় আর্থিক সংগতি এবং সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে বিশেষ প্রতিভাসম্পন্ন শিশুদের আবিষ্কার ও পরীক্ষানিরীক্ষার সুযোগ দিয়ে তাদের প্রতিভা বা সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশে সাহায্য করে, তাকেই নবোদয় বা পেসসেটিং বিদ্যালয় বলে।

    20. বৃত্তিশিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী বলা হয়েছে? 

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী বৃত্তিশিক্ষার উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির বৃত্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি করা, দক্ষ মানবশক্তির চাহিদা ও জোগানের মধ্যে পার্থক্য দূর করা এবং যেসব ব্যক্তি উৎসাহ ব্যতিরেকে ও উদ্দেশ্যহীনভাবে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে তার বিকল্প ব্যবস্থা করা।

    21. জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কত শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিমুখী শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে 1990 ও 1995 সালের মধ্যে *যথাক্রমে 10% এবং 25% শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমুখী কোর্সের ব্যবস্থা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

    22. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব কী?

    ▶ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হল, এই শিক্ষার অস্বাস্থ্যকর প্রসারকে প্রতিরোধ করা এবং এর গুণগত মান বজায় রাখা।

    23. উচ্চশিক্ষার গুণগত মান হ্রাস পাওয়ার কারণ সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি কী বলেছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতির মতে, উচ্চশিক্ষার গুণগত মানের হ্রাসের কারণগুলি হল জাতিভেদ, আঞ্চলিকতা, শিক্ষাক্ষেত্রে অসুস্থ রাজনীতি, পরীক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, গবেষণার মানের অবনতি ইত্যাদি।

    24. স্নাতকোত্তর শিক্ষায় ভরতির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির শর্ত কী?

    ▶ স্নাতকোত্তর শিক্ষায় ভরতির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির শর্ত হল, কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর শিক্ষায় ভরতি হওয়ার সুযোগ পাবে এবং যোগ্যতা বিচার হবে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে।

    25. নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাব উল্লেখ করো।

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাব অনুযায়ী, বিশেষ কারণ ছাড়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে না, তবে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সংস্কার করা প্রয়োজন।

    26. জাতীয় শিক্ষানীতি কী উদ্দেশ্যে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উদার মনোভাব দেখিয়েছে?

    ▶ শিক্ষায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উচ্চশিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উদার মনোভাব দেখিয়েছে।

    27. জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কী ধরনের সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে?

    ▶ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য কোর্স মেটিরিয়াল সরবরাহ, কাউন্সেলিং-এর জন্য স্টাডি সেন্টার যেখানে অধ্যাপকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ আছে এবং টিভি, টেপ, কম্পিউটার প্রভৃতি উন্নত প্রযুক্তির সহযোগিতার ব্যবস্থা করার কথা জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে।

    28. কী কারণে জাতীয় শিক্ষানীতিতে ডিগ্রিকে চাকরি থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতিতে ডিগ্রিকে চাকরি থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে, কারণ উচ্চশিক্ষায় প্রাপ্ত ডিগ্রি থেকে ব্যক্তির সঠিক জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায় না। তাই নিয়োগকর্তারা ডিগ্রির পরিবর্তে প্রয়োজনমতো পরীক্ষার ব্যবস্থা করে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে নেবেন।

    29. National Testing Service কী?

    ▶ যোগ্য ব্যক্তিকে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে নির্বাচনি পরীক্ষা ব্যবস্থাকে National Testing Service বলে। যেমন- National Eligibility Test, Central Eligibility Test ইত্যাদি।

    30. জাতীয় শিক্ষানীতি কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষার পুনর্গঠন সম্পর্কে কী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতির মতে, নতুন শতাব্দীর অর্থনীতি, সামাজিক পরিবেশ, উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

    31. কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদকে (AICTE) আইনগত ক্ষমতা প্রদান করে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের দায়িত্ব দিতে হবে।

    32. শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকরী করে তুলতে জাতীয় শিক্ষানীতি কী বলেছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য প্রয়োজন হল শিক্ষকের আন্তরিকতা এবং কর্মতৎপরতা, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের গুণমান মূল্যায়ন।

    33. জাতীয় শিক্ষানীতিতে কীভাবে মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতিতে সামাজিক, নৈতিক ও শাস্ত্রগত মূল্যবোধের অনুশীলনের প্রয়োজনীয় পাঠক্রম তৈরি করে মূল্যবোধের শিক্ষাকে শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে।

    34. পাঠক্রমে কর্ম-অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য কী?

    ▶ যেসব কর্ম-অভিজ্ঞতা সমাজে এবং অন্য শিক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয়, সেগুলি শিক্ষার সকল স্তরে অপরিহার্যরূপে গ্রহণ করতে হবে বলে জাতীয় শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়।

    35. পরিবেশ শিক্ষা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির অভিমত কী?

    ► যেহেতু শৈশবকাল থেকে আমৃত্যু সকল মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজন, সেজন্য শিক্ষার সকল স্তরে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়টিকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে জাতীয় শিক্ষানীতি অভিমত প্রকাশ করে।

    36. গণিত ও বিজ্ঞানশিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশন এবং জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী সাদৃশ্য দেখা যায়?

    ▶ উভয় ক্ষেত্রেই পণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং দশম শ্রেণি পর্যন্ত গণিত ও বিজ্ঞানশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে

    37. শিক্ষকের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী করণীয়গুলি কী?

     ▶ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, শিক্ষকের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ও পোশগত দায়িত্বের সঙ্গে সংগতি রেখে সমগ্র দেশে শিক্ষকদের জন্য একই বেতন ও চাকুরির শর্তাবলি স্থির করতে হবে এবং শিক্ষকদের পেশাগত নৈতিকতার ওপর আস্থা রাখতে হবে।

    38. ‘DIET”-এর পুরো কথাটি কী?

    ▶ ‘DIET’-এর পুরো কথাটি হল-ডিস্ট্রিক্ট ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (District Institute of Education and Training)।

    39. DIET স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

    ▶ এই প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক, প্রথাবহির্ভূত ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকদের প্রাক্-বৃত্তি এবং বৃত্তিকালীন অবস্থায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

    40. জাতীয় শিক্ষানীতিতে NCTE-র মর্যাদা কীভাবে বৃদ্ধি করা হয়?

    ▶ NCTE স্বয়ংশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায় যার ফলে সমস্ত স্তরের শিক্ষক-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, পরিদর্শন, মূল্যায়ন এবং পাঠক্রম প্রণয়ন NCTE-র ওপর অর্পিত হয়।

    41. আর্থিক সংস্থানের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি কী উপায় অবলম্বনের কথা বলেছে?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতির মতে আর্থিক সংস্থানের জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ধীরে ধীরে 6 শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে বৃদ্ধি করতে হবে।

    42. স্বশাসিত কলেজ কাকে বলে?

    ▶ যে কলেজগুলি নিজেরাই ঠিক করে কোন্ কোন্ বিষয় পড়ানো হবে, পাঠক্রম কেমন হবে, পাঠদান পদ্ধতি কেমন হবে, পরীক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে এবং পরীক্ষা শেষে নিজেরাই ডিগ্রি দেয় তাদের বলে স্বশাসিত কলেজ।

    43. ECCE বলতে কী বোঝ?

    ▶ ECCE-র পুরো কথাটি হল Early Childhood Care and Education। জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য প্রাক্-শৈশব শিশুকল্যাণ ও শিক্ষাকে (ECCE)-কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়।

    44. জাতীয় শিক্ষানীতির কার্যকারিতা কীভাবে পর্যালোচনা করা হবে?

    ▶ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর শিক্ষানীতি কী পরিমাণে কার্যকরী হয়েছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শিক্ষা কর্মসূচির মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

    45. জনার্দন কমিটির সুপারিশগুলিকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?

    ► জনার্দন কমিটির সুপারিশগুলিকে আটটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা শিক্ষার কাঠামো-সহ প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিশিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষণ এবং প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা।

    46. শিক্ষা ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য কী?

    শিক্ষাব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি সুপারিশ করে যে, জাতীয় স্তরে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য CABE গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং রাজ্যস্তরে ও জেলাস্তরে একই কাজের জন্য যথাক্রমে SABE এবং জেলা স্কুলবোর্ডের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হবে।

    47. শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য উল্লেখ করো।

    ► শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াসকে উৎসাহিত করা হবে, তবে ব্যাবসা করার উদ্দেশ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    48. শিক্ষার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য কী?

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য হল ভারতবর্ষের বৌদ্ধিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে আগামী শতকের ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মজবুত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।

    49. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এর বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলি উল্লেখ করো।

    ▶ জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সমালোচনায় সুপারিশ কার্যকরীকরণে শ্লথগতি, বিদ্যালয়-ছুটদের সমস্যাসমাধানে ব্যর্থতা, ভাষা প্রসঙ্গে স্পষ্ট নীতির অভাব, বৃত্তিশিক্ষার লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থতা, মুক্তশিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে অনিশ্চয়তা এবং অপ্রতুল মডেল স্কুল ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে।

    50. রামমূর্তি কমিটির একটি সুপারিশ উল্লেখ করো যার জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে উল্লেখ নেই।

    ▶ রামমূর্তি কমিটিতে শিক্ষাকে সাংবিধানিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হলেও জাতীয় শিক্ষানীতিতে এর কোনো উল্লেখ নেই।

    51. ন্যূনতম শিক্ষার মান (Minimum level of learning) কাকে বলা হয়?

     ▶শ্রেণিভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট মান যা উক্ত শ্রেণিতে পাঠরত সকল শিক্ষার্থীকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে, তাকে ন্যূনতম শিক্ষার মান বলে।

    52. রেড্ডি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নিম্নপ্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কী অনুপাতে হবে?

    ▶ রেড্ডি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, প্রতি দুটি নিম্নপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

    53. প্রাথমিক স্তরের পাঠক্রম সম্পর্কে রেড্ডি কমিটির সুপারিশ উল্লেখ করো।

    ▶ রেড্ডি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, জাতীয় ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রম একই হবে এবং এই পাঠক্রম রচনার দায়িত্ব থাকবে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং।

    54. ‘অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড’ কর্মসূচিটি কী?

    অথবা,

     অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কী? [Tamluk Hamilton High School]

    ▶ প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও গুণগত মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং মানবসম্পদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যে প্রকার

    কর্মসূচিতে তা অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড নামে পরিচিত। যার মধ্যে আছে ন্যূনতম শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষাসহায়ক উপকরণ, পানীয় জল, শৌচাগার এবং লিঙ্গভিত্তিক শিক্ষকের ব্যবস্থা। চালা৫০০ ৪০ যোগশী

    55. নবোদয় বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্যটি উল্লেখ করো।

    ▶ নবোদয় বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য হল, গ্রামাঞ্চল এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ পাঠক্রম ও উন্নত পাঠদানের সাহায্যে প্রতিভার বিকাশ ঘটানো।

    56. কীভাবে নবোদয় বিদ্যালয়ে ছাত্র ভরতি করা হয়?

    ► NCERT কর্তৃক রচিত প্রশ্নে, জেলাভিত্তিক জাতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন অনুযায়ী নবোদয় বিদ্যালয়ে ছাত্র ভরতি করা হয়।

    57. নবোদয় বিদ্যালয়ে কোন্ শ্রেণি থেকে কোন্ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় এবং এই বিদ্যালয়ে কী কী কোর্সের সুযোগ আছে?

    ▶ নবোদয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা আছে এবং এই বিদ্যালয়ে কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ আছে।

    58. উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের জন্য রেড্ডি কমিটির প্রধান সুপারিশগুলি উল্লেখ করো।

    ▶ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের জন্য রেড্ডি কমিটির সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পাঠক্রম রচনা করা, এই শিক্ষাকে ‘কমন স্কুল’ ব্যবস্থায় নিয়ে আসা এবং বহুমুখী পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা।

    59. উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে রেড্ডি কমিটির বক্তব্য কী?

    ▶ রেড্ডি কমিটির মতে, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং জাতীয় উন্নতির জন্য বিশেষ বিষয়সমূহে জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ।

    60. বৃত্তিশিক্ষার ক্ষেত্রে রেড্ডি কমিটির লক্ষ্য কী ছিল?

    ▶ 1995 এবং 2000 সালের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের যথাক্রমে 10% এবং 25% বৃত্তিশিক্ষার আওতায় নিয়ে আসাই ছিল রেড্ডি কমিটি লক্ষ্য।

    61. উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নত করার জন্য রেড্ডি কমিটির সুপারিশ উল্লেখ করো।

    ▶ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য রেড্ডি কমিটির সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে, বর্তমান উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, পাঠক্রম পুনর্বিন্যাস ও উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ, উন্নতমানের গবেষণার ব্যবস্থা এবং স্বয়ংশাসিত কলেজ স্থাপন করা।

    62. বৃত্তিশিক্ষার ক্ষেত্রে রেড্ডি কমিটির প্রধান সুপারিশ কী ছিল?

    ▶ রেড্ডি কমিটি মনে করে, পরিকল্পিতভাবে ও উন্নত ব্যবস্থার মাধ্যমে এমন বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী চাকরির সুযোগ পায় বা স্বনিযুক্তি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

    63. শিক্ষক-শিক্ষণ সম্পর্কে রেড্ডি কমিশনের সুপারিশ উল্লেখ করো।

    ▶ জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক উৎকর্ষসাধনের জন্য শিক্ষকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন এবং পরিবর্তিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক- শিক্ষণ কর্মসূচির পুনর্গঠন করা প্রয়োজন বলে রেড্ডি কমিটির সুপারিশে উল্লেখিত হয়।

    64. কাদের জন্য প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন?

    ▶ বিদ্যালয়-জুট, কর্মরত শিশু, যেসব মহিলা প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে না এবং এই ধরনের শিক্ষাগ্রহণে যাঁরা ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাঁদের জন্য প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

    65. প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার প্রসারে রেড্ডি কমিশনের বক্তব্য উল্লেখ করো।

    ▶ রেড্ডি কমিশন মনে করে, প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার প্রসারে পঞ্চায়েত ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং এর জন্য আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

    66. শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় বলতে কী বোঝ?

    ► শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় বলতে বোঝায় প্রাথমিক স্তরের শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোর পূর্বেই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়া বা পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া।

    67. POA কী?

    ▶ রামমূর্তি কমিটি (1990) এবং জনার্দন রেড্ডি কমিটি (1992)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়। সেটিই প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন, সংক্ষেপে POA নামে পরিচিত।

    68. প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন বলতে কী বোঝ?

    ▶ হার্টগ কমিটির মতে, প্রাথমিক স্তরের কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো শ্রেণিতে এক বছরের বেশি সময় আটকে রাখলে তাকেই বলে প্রাথমিক শিক্ষায় অনুন্নয়ন।

    4. Long Question Answer

    1.1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির পশ্চাৎপট উল্লেখ করো। উক্ত শিক্ষানীতির মূল বিচার্য বিষয়গুলি আলোচনা করো। 2+6

    উত্তর: 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির পশ্চাৎপট

    ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি, জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর প্রথম ভাষণে একটি নতুন ও গতিশীল শিক্ষানীতির কথা উল্লেখ করেন। এই নীতিতে মানব এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে সর্বোৎকৃষ্টভাবে ব্যবহার করে জাতির পুনর্গঠন ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার কথা বলা হয়।

    স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাষণের পর ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রক বিভিন্ন দিকে পুনরুজ্জীবন এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মোকাবিলার জন্য, নতুন শিক্ষাব্যবস্থার একটি রূপরেখা প্রস্তুত করেন। তার ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রক ‘চ্যালেঞ্জ অব এডুকেশন-এ পলিসি পারসপেকটিভ’ নামে একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবনায় 1968 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে সাফল্য দেখা গেছে এবং বিভিন্ন কারণে যে নীতিগুলি কার্যকরণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তার সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে। অতঃপর প্রস্তাবনাটি বিভিন্ন স্তরে পর্যালোচনা করার পর সংশোধিত আকারে পার্লামেন্টে উপস্থাপিত করা হয় এবং বিস্তারিত আলোচনার পর গৃহীত হয়। এটিই জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) বা National Policy of Education (1986) হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং 1986-এর শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হয়।

    জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র মূল বিচার্য বিষয়

    1985 খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী 1986 সালের 21 এপ্রিল একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশিত হয়। 12টি অধ্যায় সমন্বিত এই শিক্ষানীতির প্রথম ও শেষ অধ্যায় বাদে বাকি দশটি অধ্যায়েy

    ভারতের শিক্ষার গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নীচে এই শিক্ষানীতির প্রধান বিষয়গুলি উল্লেখিত হল-

    [1] শিক্ষার উপাদান ও ভূমিকা: শিক্ষা হবে সকলের জন্য। শিক্ষা হবে সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের সূত্র।

    [2] জাতীয় ব্যবস্থায় শিক্ষা: একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে জাতিধর্মবর্ণ, স্ত্রীপুরুষ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ থাকবে।

    [3] সাম্যের জন্য শিক্ষা: দেশের অনুন্নত সম্প্রদায়, যেমন- তপশিলি জাতি ও উপজাতি, সংখ্যালঘু, মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    [4] বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার পুনর্গঠন

    i. প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষাকে সঠিক ও সুষ্ঠু উপায়ে রূপায়িত করা হবে।

    ii. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো, সমস্ত ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে ভরতি করা ও অন্তত 14 বছর বয়স পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী রাখা, সর্বোপরি শিক্ষার গুণগত মানের প্রকৃত উন্নয়ন ঘটানো।

    iii. মেধাবী এবং প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সুযোগসুবিধা দিতে সারা দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘মডেল স্কুল’ বা নবোদয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    iv. বৃত্তি ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারের এবং কারিগরি শিক্ষায় এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের অবাধ সঞ্চরণের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

    vi. নির্বাচিত ক্ষেত্রে চাকরির সঙ্গে ডিগ্রির বিচ্ছেদ ঘটানোর সূচনা করা হবে।

    [5] সর্বস্তরের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি: সর্বস্তরের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য গতানুগতিকতার অবসান ঘটিয়ে আধুনিকতার ওপর জোর দেওয়া হবে।

    [6] শিক্ষাব্যবস্থার সক্রিয়করণ: বিশৃঙ্খলার মধ্যে নতুন বা পুরোনো শিক্ষামূলক কোনো কাজই সম্পাদিত হতে পারে না। তাই প্রচলিত ব্যবস্থার মধ্যে যত শীঘ্র সম্ভব শৃঙ্খলাবিধানের প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

    [7] শিক্ষার বিষয়বস্তু ও শিক্ষাপ্রক্রিয়ার পুনর্বিন্যাস

    i. শিক্ষার বিষয়সূচি ও পদ্ধতির সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত কত করতে হবে।

    ii. মূল্যবোধের শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে হবে।

    iii. 1968 খ্রিস্টাব্দের ত্রিভাষাসূত্র অনুসরণ করতে হবে।

    iv. পুস্তকের গুণগত মানের উন্নতি, শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার, অঙ্ক ও বিজ্ঞানশিক্ষা, দৈহিক শিক্ষা ও খেলাধুলো ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    v. বহিঃপরীক্ষার প্রাধান্য হ্রাস করে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রেডপ্রথা চালু করতে হবে।

    [৪] শিক্ষক: শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষকের বেতন ও চাকরির শর্তাবলি তাদের সামাজিক ও পেশাগত দায়িত্বের সঙ্গে সংগতি রেখেই নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষণ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষণ হবে একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। প্রতিটি জেলায় DIET প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    [9] শিক্ষা পরিচালনা: জাতীয় স্তরে শিক্ষা পরিচালনায় CABE গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সর্বভারতীয় সার্ভিস হিসেবে ইন্ডিয়ান এডুকেশন সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত হবে। CABE-এর মতো রাজ্যস্তরে SABE গঠিত হবে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাস্তর পর্যন্ত শিক্ষা পরিচালনার জন্য জেলা স্কুল বোর্ড গঠিত হবে।

    [10] আর্থিক সংস্থান: ধীরে ধীরে শিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই বরাদ্দ যাতে ছয় শতাংশ ছাড়িয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি (1986 খ্রি.) ভারতের শিক্ষার ইতিহাসে একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ-এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কেন-না এই শিক্ষানীতিতে শিক্ষার সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য নানান প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়। তবে এ কথাও ঠিক যে, এই শিক্ষানীতিতে ঘোষিত প্রস্তাবগুলি সম্পূর্ণভাবে সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।

    2.জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) ক-টি অধ্যায়ে বিভক্ত? প্রতিটি অধ্যায়ে মূল আলোচ্য বিষয়গুলি উল্লেখ করো। অথবা, জাতীয় শিক্ষানীতি 1986-এর সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

    উত্তর: জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র অধ্যায়সমূহ

    1986 সালের 21 এপ্রিল প্রকাশিত জাতীয় শিক্ষানীতিটি মোট বারোটি অধ্যায়ে বিভক্ত।

     জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র অধ্যায়ভিত্তিক আলোচ্য বিষয়

    1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির প্রথম থেকে দ্বাদশ অধ্যায় পর্যন্ত প্রধান  আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে নীচে উল্লেখ করা হল।

    [1] প্রথম অধ্যায়: প্রথম অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘ভূমিকা’। এই অংশে শিক্ষানীতি বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার নীতি নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। 1968 সালের শিক্ষানীতি ও তার ফলশ্রুতি সম্পর্কে এই অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে। আলোচনার বিষয়গুলি হল-ⅰ. 1968 সালের শিক্ষানীতির সাফল্য,

    ii. 1968 সালের শিক্ষানীতি রূপায়ণে ব্যর্থতা, iii. আগামী দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ।

    [2] দ্বিতীয় অধ্যায়: দ্বিতীয় অধ্যায়ে শিক্ষার উপাদান ও ভূমিকা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-।. শিক্ষা হবে সকলের জন্য, ii. শিক্ষা হবে সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের হাতিয়ার, iii. শিক্ষার কাজ হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয় সংহতি গড়ে তোলা এবং বিজ্ঞানমনস্ক হতে সাহায্য করা, iv. শিক্ষার্থীদের মনের স্বাধীনতা আনতে এবং সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষা সহায়ক হবে, v. শিক্ষা মানবশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সচেষ্ট হবে। জাতীয় শিক্ষানীতির মূল ভিত্তি হল শিক্ষাকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য এক বিশেষ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা।

    [3] তৃতীয় অধ্যায়: তৃতীয় অধ্যায়ে জাতীয় ব্যবস্থায় শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ হল একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত জাতিধর্মবর্ণ, স্ত্রীপুরুষ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আলোচিত বিষয়গুলি হল-ⅰ. সাধারণ শিক্ষা কাঠামো, ii. কোর পাঠক্রম-সহ জাতীয় পাঠক্রম, iii. ভাষানীতি, iv. উচ্চশিক্ষার সর্বজনীনতা, v. সম্পদের জোগান, vi. মুক্তশিক্ষা ও দূরশিক্ষার বিকাশসাধন, vii. জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা, viii. অসম্পূর্ণ অংশীদারিত্ব।

    [4] চতুর্থ অধ্যায়: চতুর্থ অধ্যায়ে সাম্যের জন্য শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। এখানে আলোচ্য বিষয়টি হল তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, নারী, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী এবং বয়স্কদের শিক্ষা।

    [5] পঞ্চম অধ্যায়: পঞ্চম অধ্যায়ে বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেমন-

    i. শিশুর সামাজিক বিকাশের দিকে লক্ষ রেখে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, সামাজিক, মানসিক, শারীরিক, নৈতিক, প্রাক্ষোভিক উন্নয়ন ইত্যাদি। মৌলিক বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাক্-শৈশব শিশুকল্যাণ ও শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

    ii. জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনায় সর্বজনীন শিক্ষা, শিশুকেন্দ্রিকতা, বিদ্যালয়ের সুযোগ ও বিধিমুক্ত শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।

    iii. মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনায় মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রসার এবং গুণগত মানের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বৃত্তিমুখী কোর্স এমনভাবে করা হবে যাতে করে অষ্টম শ্রেণির পরেই এগুলি গ্রহণ করা যায়।

    iv. জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চশিক্ষার প্রসার অপেক্ষা গুণগত মানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেবল যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই এই শিক্ষায় ভরতি হওয়ার সুযোগ পাবে। ডিগ্রি থেকে চাকরিকে বিচ্ছিন্ন করে নির্বাচনি পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করবে।

    [6] ষষ্ঠ অধ্যায়: ষষ্ঠ অধ্যায়ে কারিগরি ও পরিচালনা শিক্ষার ওপর আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নতুন শতাব্দীর অর্থনীতি, সামাজিক পরিবেশ, উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানের বিস্ফোরণের সঙ্গে সংগতি রেখে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা পুনর্গঠিত করা প্রয়োজন।

    [7] সপ্তম অধ্যায়: সপ্তম অধ্যায়ে শিক্ষাব্যবস্থার সক্রিয়করণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার জন্য প্রয়োজন বিধিবদ্ধ পরিবেশ, আন্তরিকতা, উদ্ভাবন ও সৃষ্টিমূলক কাজে স্বাধীনতা। শিক্ষার গুণগত ও ধারণাগত পর্যায়ে পরিবর্তনের জন্য প্রচলিত ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলাবিধানের প্রক্রিয়া চালু করা।

    [৪] অষ্টম অধ্যায়: অষ্টম অধ্যায়ে বিষয়বস্তু ও শিক্ষা প্রক্রিয়ার পুনর্বিন্যাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়বস্তু ও শিক্ষাপ্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে ভারতের সংস্কৃতি, মূল্যবোধের শিক্ষা, সঠিক ভাষানীতি, পুস্তক ও গ্রন্থাগারের সুব্যবস্থা, শিক্ষামাধ্যম হিসেবে শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার, কর্ম-অভিজ্ঞতা, পরিবেশশিক্ষা, গণিত ও বিজ্ঞানশিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলো, যুবসমাজের ভূমিকা এবং শিক্ষার্থীদের নির্ভরযোগ্য এবং নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়ন।

    [9] নবম অধ্যায়: নবম অধ্যায়ে শিক্ষকগণের প্রতি মর্যাদাদানের কথা বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সমগ্র দেশে শিক্ষকদের একই বেতন ও চাকুরির শর্তাবলি স্থির করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসার এবং গুণমান বজায় রাখার ক্ষেত্রে NCTE-র ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

    [10] দশম অধ্যায়: দশম অধ্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় স্তর এবং রাজ্য স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নতির দায়িত্ব থাকবে যথাক্রমে CABE এবং SABE-এর ওপর। উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা স্কুল বোর্ড গঠিত হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজকর্মী, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াসকেও উৎসাহিত করা হবে।

    [11] একাদশ অধ্যায়: একাদশ অধ্যায়ে শিক্ষার সার্থক রূপদানের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে 1968-এর জাতীয় শিক্ষানীতিতে জাতীয় আয়ের 6 শতাংশ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।

    [12] দ্বাদশ অধ্যায়: দ্বাদশ অধ্যায় বা শেষ অধ্যায়ে ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মজবুত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলাই হবে প্রধান কাজ।

    3. ‘জাতীয় ব্যবস্থায় শিক্ষা’ সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র বক্তব্যগুলি উল্লেখ করো।

    উত্তর:‘জাতীয় ব্যবস্থায় শিক্ষা’ সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র বক্তব্যসমূহ

    জাতীয় শিক্ষানীতির তৃতীয় অধ্যায়ে জাতীয় ব্যবস্থায় শিক্ষা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

    এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে উল্লেখ করা হল-

    [1] সাধারণ শিক্ষা কাঠামো: জাতীয় শিক্ষানীতি জাতীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে যে শিক্ষার প্রস্তাব করে, তাতে বলা হয় সারা দেশে একই প্রকারের শিক্ষা কাঠামো (10+2+3) চালু করা প্রয়োজন। এই শিক্ষানীতিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে 5 বছরের নিম্নপ্রাথমিক, ও বছরের উচ্চপ্রাথমিক ও 2 বছরের নিম্নমাধ্যমিক-এই তিন ভাগে ভাগ করার কথা বলা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক হবে 2 বছরের এবং উচ্চশিক্ষা হবে 3 বছরের।athi) RADF (noшком

    [2] সাধারণ কোর পাঠক্রম-সহ জাতীয় পাঠক্রম: সমগ্র দেশের জন্য . জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থাটি একটি জাতীয় ভিত্তিতে প্রণীত পাঠক্রমকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে। এই পাঠক্রমে এমন কতকগুলি বিষয়কে স্থান দিতে হবে, যা সমগ্র দেশের একই পর্যায়ের সকল ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করবে। এই বিষয়গুলিকে বলা হবে কোর বিষয়। এ ছাড়া ঐচ্ছিক কিছু বিষয়ও থাকবে, যা ছাত্রছাত্রীরা পছন্দের ভিত্তিতে গ্রহণ করবে।

    পাঠক্রমের সামাজিক তাৎপর্য: আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির উচিত শিক্ষার্থীদের সামাজিকভাবে সচেতন করে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন- i. শিক্ষা-শিখনে পরিবেশের সাহায্য নেওয়া; ii. শিক্ষার্থীদের তাদের। সমস্যাগুলিকে অনুধাবন করতে সক্ষম করে তোলা ও সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; iii. কমিউনিটির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয় হওয়া।

    [3] ভাষানীতি: ভাষা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য হল, কোঠারি কমিশন (1964-66) যে ভাষানীতি সুপারিশ করেছে এবং যা 1968 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে অনুমোদিত হয়েছে তা বজায় রাখা। যেমন-

    i. প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাস্তর পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম হবে মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা।

    ii. ভাষাশিক্ষার ক্ষেত্রে ত্রিভাষা সূত্র চালু থাকবে। যেমন- 1.নিম্ন- প্রাথমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীরা একটি ভাষা শিখবে। 2. উচ্চপ্রাথমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীরা দুটি ভাষা শিখবে। 3. মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীরা তিনটি ভাষা শিখবে।4. উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীরা দুটি ভাষা শিখবে। 5. কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাশিক্ষা অতিরিক্ত বিষয় বলে বিবেচিত হবে।

    iii. 1986 খ্রিস্টাব্দের 23 ও 24 জানুয়ারি দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে যে সম্মেলন হয়, সেখানে সব শিক্ষান্তরে ইংরেজিতে বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষা দেবার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। এর কারণ হল বিভিন্ন ভাষাভাষী ভারতীয় জনগণের কাছে যোগাযোগের ভাষা (link language) হিসেবে হিন্দি ভাষা যথেষ্ট সমৃদ্ধ নয় এবং অদূর ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনাও কম। তবে আগামী 10 বছরের মধ্যে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহৃত হবে।

    iv. ভারতের সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রাখা ও জাতীয় সংহতি রক্ষার জন্য সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। পরার সেফাণী ক্ষেত্রেী তার

    v. আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি। এই ভাষার উন্নতিসাধন করে যাঁরা হিন্দিভাষী নন, তাঁদের কাছেও একে গ্রহণযোগ্য করে তোলা প্রয়োজন।

    শ্রোণ

    [4] উচ্চশিক্ষার সর্বজনীনতা: প্রতিটি ভারতীয়কে মেধার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষায় ভরতির সুযোগ করে দিতে হবে। জত হাস্পাত

    [5] সম্পদের জোগান: দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাতে পারস্পরিক সাহায্যগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় প্রকল্পগুলিতে অংশ নিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি বৈষম্য দূরীকরণে, শিক্ষার রূপান্তরে, বয়স্ক সাক্ষরতা প্রকল্পে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণায় উন্নতির জন্য এবং দেশকে সামগ্রিকভাবে সম্পদ সরবরাহের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

    [6] মুক্তশিক্ষা ও দূরাগত শিক্ষার বিকাশসাধন: সার্বিক সাক্ষরতার লক্ষ্যে বিদ্যালয়-ছুট যুবক-যুবতী, গৃহবধূ, কৃষি ও কলকারখানার শ্রমিকদের জন্য তাদের পছন্দের নিরিখে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য মুক্ত ও দূরাগত শিক্ষার বিকাশসাধন বিশেষভাবে প্রয়োজন।

    [7] জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা: ভারতে যেসব জাতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল UGC (University Grants Commission), AICTE (All India Council of Technical Education), ICAR (Indian Council of Agricultural Research), MCI (Medical Council of India) ইত্যাদি। এই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে NCERT (National Council of Education Research and Training), NΙΕΡΑ (National Institute of Educational Planning and Administration) প্রভৃতির পরামর্শ ও পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করে জাতীয় শিক্ষানীতির সফল রূপায়ণে অগ্রসর হতে হবে।

    [৪] অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব: 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব’ বলতে বোঝায় যুগ্ম তালিকায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা কী হবে তার ব্যাখ্যা। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে যদি অগ্রসর না হয়, তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রটি ব্যাহত হবে, যার ফলে দেশের অগ্রগতিও পদে পদে ব্যাহত হবে।

    4. প্রাক্-শৈশব এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার পুনর্গঠন সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র বক্তব্য আলোচনা করো।

     উত্তর: প্রাক্-শৈশব এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার পুনর্গঠন সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-র বক্তব্য

    জাতীয় শিক্ষানীতির পঞ্চম অধ্যায়ে প্রাক্-শৈশব এবং প্রাথমিক শিক্ষার পুনর্গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার বিষয়গুলি উল্লেখ করা হল।

    প্রাক্-শৈশব শিশুকল্যাণ ও শিক্ষার পুনর্গঠন

    জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিশুর সামগ্রিক বিকাশের দিকে লক্ষ রেখে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, সামাজিক, মানসিক, শারীরিক, নৈতিক, প্রাক্ষোভিক উন্নয়ন ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাক্-শৈশব শিশুকল্যাণ ও শিক্ষাকে (Early Childhood Care and Education, ECCE) অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং সম্ভবমতো সুসংহত শিশু বিকাশ কর্মসূচির সঙ্গে (Integrated Child Development Scheme, ICDS) যুক্ত করতে হবে। শিশুর ব্যক্তিত্বের বিকাশ, ইচ্ছার প্রকাশ ইত্যাদির দিকে লক্ষ রেখে লেখা, পড়া ও হিসাব শেখানোর জন্য আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির পরিবর্তে খেলার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে।

    প্রাথমিক শিক্ষার পুনর্গঠন

    জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনায় সর্বজনীন শিক্ষা, শিশুকেন্দ্রিকতা, বিদ্যালয়ের সুযোগ ও বিধিমুক্ত শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।

    [1] সর্বজনীন শিক্ষা: এই প্রসঙ্গে আলোচ্য বিষয়গুলি হল-

    i . সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব: 1960 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে 6-14 বছরের সকল শিশর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু বিভিন্ন কারণে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হয়নি।

    ii. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা: সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা জাতির পক্ষে অপরিহার্য। কেবল নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই শিক্ষার জালিক্ষ্যটি বাস্তবায়িত করতে হবে তাই নয়, সমগ্র বিশ্বে জাঙ্গি সম্মানজনক অবস্থানের জন্য এটি বিশেষ প্রয়োজন।

    ii . সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তবায়ন: নিঃসন্দেহে এটি একটি কঠিন কাজ। প্রতিবছর জনসংখ্যার বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় এক কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সঙ্গে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার সমস্যাটি যুক্ত। 1981 সালে প্রারম্ভিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল 21.7 লঙ্ক। এই ধারা বজায় থাকলে 1990 সালে শিক্ষকের সংখ্যা হত 29 লক্ষ; কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তাই যদি সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষাকে বাস্তব রূপ দিয়ে দিল হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের সংখ্যা হবে 44 লক্ষ। শিক্ষার প্রসারের। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার গুণগত মান উন্নতির জন্যও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। প্রশ্ন হল, অর্থ কীভাবে সংগৃহীত হবে? এর জন্য প্রয়োজন প্রারম্ভিক শিক্ষায় আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা।

    [2] শিশুকেন্দ্রিকতা: এই প্রসঙ্গে মূল আলোচ্য বিষয়গুলি হল-

    i. শিশুকে স্বাগত জানানো: শিশুকে বিদ্যালয়ে আসতে ও শিক্ষণে অনুপ্রেরণা জোগানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে শিশুদের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে উয় আহ্বানে তাদের স্বাগত জানাতে হবে। শিশুর বিকাশের সঙ্গে সংগতি রেখে জ্ঞানমূলক শিক্ষার প্রসার ও দক্ষতার অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    ii. অনুন্নয়ন এবং শাস্তিপ্রথা বাতিল করা: পরীক্ষায় অসফলতার জন্য অনুন্নয়ন ব্যবস্থা বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গে দৈহিক শাস্তিবিধান বিদ্যালয় থেকে দূর করতে হবে। শিশুদের শিক্ষার সময় তাদেরই পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করতে হবে।

    [3] বিদ্যালয়ের সুযোগ: এই প্রসঙ্গে আলোচ্য বিষয়গুলি-

    i. অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড: এই কর্মসূচিতে ঠিক করা হয়, প্রতিটি বিদ্যালয়ে দুজন করে শিক্ষক থাকবেন। তার মধ্যে একজন হবেন মহিলা ও অপর জন হবেন পুরুষ। ধীরে ধীরে প্রতিটি শ্রেণির জন্য একজন করে শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও থাকবে ব্ল্যাকবোর্ড, মানচিত্র, নানারকম চার্ট, প্রয়োজনীয় পুস্তক, রাজ্য ও জেলার মানচিত্র, বিজ্ঞানশিক্ষার জন্য সহজলভ্য সরঞ্জাম, খেলার জন্য ফুটবল, ভলিবল, রবারের বল, চক, ডাস্টার, ঘণ্টা ইত্যাদি।

    ii. অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কার্যকরী করা: দেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড সমগ্র দেশে কার্যকরী করতে হবে। এর জন্য সরকার, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে যুক্ত করতে হবে।

    [4] বিধিমুক্ত শিক্ষা: এই প্রসঙ্গে মূল আলোচ্য বিষয়গুলি হল-

    i . কাজের জন্য বিধিমুক্ত শিক্ষা: বিদ্যালয়-ছুট (drop-out) শিক্ষার্থীদের,বিদ্যালয়বিহীন অঞ্চলের শিশুদের, কর্মরত শিশু এবং যেসব বালিকা দিবা বিদ্যালয়ে পুরো সময়ের জন্য উপস্থিত থাকতে পারে না, তাদের জন্য ব্যাপকভাবে বিধিবহির্ভূত ধারাবাহিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ii. বিধিমুক্ত শিক্ষার উপকরণ: এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে আধুনিক প্রযুক্তিগত উপকরণ ব্যবহার করা হবে। বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হবে। এই শিক্ষাব্যবস্থায় অংশগ্রহণের জন্য আকর্ষণীয় পরিবেশ, খেলাধুলার ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের ভ্রমণের ব্যবস্থা ইত্যাদি থাকবে।

    iii . বিধিমুক্ত শিক্ষার পরিচালনা: এই শিক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে পঞ্চায়েত বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এইসব সংস্থাকে যথেষ্ট পরিমাণে এবং যথাসময়ে আর্থিক সহায়তা করতে হবে। 1990 সালের মধ্যে যারা 11 বছরে উপনীত হবে, তারা যাতে 5 বছরের বিদ্যালয় শিক্ষা বা সেই মানের বিধিবহির্ভূত শিক্ষা অর্জন করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

    5 .মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রসার, গুণগত মান সম্পর্কে  জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্যগুলি লেখো।

    উত্তর: মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রসার ও গুণগত মান সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্যসমূহ

    মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রসার ও গুণগত মান সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি যে বিষয়গুলি উল্লেখ করেছে, তা নীচে ব্যক্ত করা হল-

    [1] মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা: মাধ্যমিক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করে। দেশের মধ্যস্তরের নেতৃত্বদানের শিক্ষার ক্ষেত্রে এই শিক্ষা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে। জাতীয় বিকাশে এই স্তরের প্রয়োজনীয়তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

    [2] মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার: স্বাধীনতা অর্জনের পর মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষকের সংখ্যার অনুপাত বজায় রাখার ব্যবস্থা এখনও হয়ে ওঠেনি।

    [3] মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান: কেবল মাধ্যমিক শিক্ষার অপ্রতুল প্রসার একমাত্র সমস্যা নয়। এর গুণগত মান উন্নত করা বিশেষ প্রয়োজন। এইসব কারণে জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত বিষয় উল্লিখিত হয়েছে-

    i . মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমের পুনর্গঠন: মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রম সুচিন্তিত ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে রচিত হওয়া প্রয়োজন যাতে শিক্ষার্থীদের মনে উন্নত কর্মনীতি, মানবিক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে পারে। এই স্তরে বিশেষ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তিমুখীকরণ বা মাধ্যমিক শিক্ষাকে পুনর্গঠন করে আর্থিক বিকাশের জন্য মানবসম্পদ সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে, যেখানে মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা অনুপস্থিত সেখানে মাধ্যমিক শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে।

    ii . নবোদয় বা ‘পেসসেটিং’ বিদ্যালয় স্থাপন: বিশেষ প্রতিভা বা প্রবণতাসম্পন্ন শিশুদের আর্থিক সংগতি বিবেচনা না করে যাতে তারা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট ধাঁচের বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে, যেখানে নতুন আবিষ্কার ও পরীক্ষানিরীক্ষা করার পূর্ণ সুযোগ থাকবে। এই ব্যবস্থার প্রধান লক্ষ্য হবে সমতা ও সামাজিক ন্যায় (তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ-সহ) বজায় রেখে উৎকর্ষের উদ্দেশ্যপূরণ, জাতীয় সংহতির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রতিভাসম্পন্ন শিশুদের একত্রে বেঁচে থাকার শিক্ষা এবং তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ। বিদ্যালয়গুলি অবৈতনিক এবং আবাসিক হবে। এই ধরনের বিদ্যালয়গুলিকে নবোদয় বিদ্যালয় বলা হবে, যা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে পৃথক হবে।

    6. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে, তা আলোচনা করো।

    উত্তর: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ

    আমাদের দেশে বর্তমানে উচ্চশিক্ষা যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে সে সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতি কিছু বিরূপ সমালোচনা করেছে। একই সঙ্গে উচ্চশিক্ষা কীভাবে পুনর্গঠন করা যায়, সে সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করেছে, যা নীচে উল্লেখ করা হল-

    [1] উচ্চশিক্ষার ব্যয় বহন: উচ্চশিক্ষার ব্যয় বহনের জন্য সরকার এবং উন্নয়নমূলক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।

    [2] উচ্চশিক্ষায় ভরতির সুযোগ: স্নাতকোত্তর শিক্ষার ক্ষেত্রে কেবল উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভরতির সুযোগ দেওয়া হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীরাই ভরতির সুযোগ পাবে।

    3] নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন: বিশেষ কারণ ছাড়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে না। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সংস্কার করা প্রয়োজন।

    [4] মানোন্নয়নের জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধা: উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচিগুলিকে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষা-কোর্সের কম্বিনেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে হবে। কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশনের মাধ্যমে রাজ্যস্থ পরিকল্পনা এবং উচ্চশিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে। শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তনে প্রয়াসী হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে শিক্ষকের পারদর্শিতার মূল্যায়ন করতে হবে। মেধার ভিত্তিতে সমস্ত পদ পূরণ করতে হবে।

    [5] বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ: বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি এবং এর উচ্চমান বজায় রাখতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মধ্যে (বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে) এবং অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক গবেষণার সঙ্গে সংযোগ রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রান্ট কমিশন (UGC)-কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে স্বশাসিত কোনো ব্যবস্থাপনায় জাতীয় গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির অনুকূল প্রয়াসকে উৎসাহিত করা হবে।

    [6] ভারত তত্ত্বের গবেষণা: ভারত তত্ত্বের গবেষণায় মানবিক বিষয় ও সমাজবিজ্ঞান উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করবে। সমন্বয় এবং নীতির স্থায়িত্ব বৃদ্ধির স্বার্থে আন্তঃবিষয়সমূহের ওপর গবেষণার বিকাশ ও পারস্পরিক সুযোগসুবিধা বণ্টনের জন্য সাধারণ কৃষি বিষয়ক, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, আইন ও অন্যান্য পেশার ওপর জাতীয় সংস্থা স্থাপন করতে হবে।

    [7] মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য NPE 1986-এ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করা হয়। এই উদ্দেশ্যে 1985 সালে ইন্দিরা গান্ধি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (IGNOU) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। IGNOU-এর সার্বিক উন্নয়নে নজর দেওয়ার কথাও এই শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে।

    এ ছাড়াও, এই শিক্ষানীতিতে প্রতিটি রাজ্যে এই ধরনের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই ধরনের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভরতির জন্য কোনো বয়সের বাধা থাকবে না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান করা হবে। চাকরিরত অবস্থায় অথবা যারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাননি তাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে অধ্যয়ন করতে পারবেন।

    [৪] ডিগ্রিকে চাকরি থেকে বিচ্ছিন্নকরণ: 1968 সালে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়, একজনের কোন্ বিষয়ে কতটা জ্ঞান আছে, সেটি তার ডিগ্রি দেখে বলা সম্ভব নয়। সুতরাং, চাকুরির ক্ষেত্রে ডিগ্রি অবশ্য প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হবে

    না। চাকুরিতে নিয়োগকর্তারা প্রয়োজনমতো পরীক্ষার ব্যবস্থা করে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করে নেবেন। তবে অধ্যাপনা, গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা, আইন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে ডিগ্রির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মানবিক বিষয়, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের চাকরি ও পদের প্রয়োজন অনুসারে ডিগ্রির মর্যাদা থাকবে। কাজের বিভিন্ন দিক খুলে গেলে উচ্চশিক্ষার ওপর চাপ কমবে ও পরীক্ষায় ব্যর্থতাজনিত অপচয়ও কম হবে। একমাত্র উপযুক্ত মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবে।

    [9] গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়: গান্ধিজির চিন্তাধারা ও আদর্শ অনুসরণ করে নতুন ধারার গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। গান্ধিজির বুনিয়াদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

    7.মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণ এবং কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য উল্লেখ করো।

    উত্তর: মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণ এবং কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য

    জাতীয় শিক্ষানীতির পঞ্চম অধ্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণ এবং ষষ্ঠ অধ্যায়ে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

    মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমুখীকরণ

    জাতীয় শিক্ষানীতি মাধ্যমিক শিক্ষা পুনর্গঠন সম্পর্কে আলোচনাকালে এই স্তর থেকেই বৃত্তিশিক্ষা চালু করার প্রসঙ্গে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করেছে, তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-

    [1] বৃত্তিশিক্ষার উদ্দেশ্য: প্রস্তাবিত শিক্ষার পুনর্গঠনে ধারা- বাহিক,সুপরিকল্পিত এবং কঠোরভাবে বাস্তবিকরণের পাশাপাশি বৃত্তিশিক্ষামূলক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির বৃত্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি করা, দক্ষ মানবশক্তির চাহিদা ও জোগানের মধ্যে পার্থক্য দূর করা এবং যেসব ব্যক্তি উৎসাহ ব্যতিরেকে ও উদ্দেশ্যবিহীনভাবে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা। বৃত্তিশিক্ষার স্বার্থে শিল্প প্রশিক্ষণের সঙ্গে বৃত্তিশিক্ষার সংযুক্তি ঘটাতে হবে।

    [2] বৃত্তিশিক্ষার বিষয়:

    i. Health Planning ও Health Service Management-কেও বৃত্তিশিক্ষার আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে Health Education চালু করে শিক্ষার্থীদের পারিবারিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করে তোলা দরকার। এরপর এই ছাত্ররাই +2 স্তরে স্বাস্থ্য বিষয়ে বৃত্তিমূলক কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করবে।

    ii. কৃষি, মার্কেটিং, সমাজসেবা ইত্যাদি বিষয়েও বৃত্তিমূলক কোর্সের ব্যবস্থা থাকবে।

    iii. সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বৃত্তিমুখী কোর্স বা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দায়িত্ব নিতে হবে।

    iv. সমাজে বঞ্চিত গ্রামীণ ও উপজাতি ছাত্রছাত্রী এবং নারীদের চাহিদা পরিপূরণের জন্য সরকারকে উপযুক্ত বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

    v. প্রতিবন্ধীদের জন্যও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

    vi. বৃত্তিশিক্ষার কোর্সে স্নাতকদের পেশাগত বা চাকুরিতে উন্নতির জন্য পূর্বনির্ধারিত শর্তে সাধারণ, কারিগরি ও পেশাগত কোর্সে ভরতি হবার সুযোগ থাকবে, অবশ্যই উপযুক্ত ব্রিজকোর্স সম্পূর্ণ করার পর।

    vii. নবসাক্ষর, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তকারী যুবক, বিদ্যালয় ছুট, কর্মরত ব্যক্তি,বেকার বা আংশিক কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য প্রথাবহির্ভুত, নমনীয় এবং চাহিদাভিত্তিক বৃত্তিমুখী কর্মসূচির ব্যবস্থা থাকবে।

    viii. এক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।

    সাধারণ কোর্সে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা যুবকদের জন্য তৃতীয় স্তরের শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে এবং এদের জন্য বৃত্তিমুখী কোর্সের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য 1990 ও 1995 সালের মধ্যে যথাক্রমে 10% এবং 25% বৃত্তিমুখী কোর্সের ব্যবস্থা থাকবে। বৃত্তিমুখী কোর্সের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ যাতে চাকরি পায় বা স্বনিযুক্ত বৃত্তিতে প্রবেশ করে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কোর্সগুলির নিয়মিত পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।

    কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা

    জাতীয় শিক্ষানীতির ষষ্ঠ অধ্যায়ে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা সম্পর্কে আলোচিত বিষয়গুলি নীচে উল্লেখ করা হল-

    [1] কারিগরি ও ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার পুনর্গঠন: নতুন শতাব্দীর অর্থনীতি, সামাজিক পরিবেশ, উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজমেন্ট) পদ্ধতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানের বিস্ফোরণের সঙ্গে সংগতি রেখে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা (Technical and Management Education) পুনর্গঠিত করা প্রয়োজন। এর জন্য করণীয়গুলি হল-

    i. তথ্যপ্রযুক্তিকে শক্তিশালী করা: জনসম্পদ সম্পর্কিত তথ্যসরবরাহের জন্য যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে উঠছে, তাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

    ii. প্রবহমান শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করা: আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে প্রবহমান শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে সেটিকে আরও উন্নত করা প্রয়োজন।

    iii. বিদ্যালয় স্তর থেকে কম্পিউটার শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা: কম্পিউটার শিক্ষা কর্মসূচিকে বিদ্যালয় স্তর থেকে শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং একে পেশাগত শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে স্থান দিতে হবে।

    iv. পলিটেকনিক শিক্ষাব্যবস্থাকে নমনীয় করা: Technical & management শিক্ষাসূচির মধ্যে পলিটেকনিককে নিয়ে এমন একটি নমনীয় পরিবর্তনশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার, যেখানে শিক্ষার্থীরা এই স্তর থেকে যে-কোনো ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে।

    v. বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ: বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির উন্নতি, পাঠক্রমের উন্নতি ইত্যাদির জন্য বহু শিক্ষক ও কর্মীর প্রয়োজন। এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

    vi. স্বনিযুক্তি প্রকল্পকে উৎসাহিত করা: স্বনিযুক্তি প্রকল্পকে উৎসাহিত করার জন্য ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা স্তরে ঐচ্ছিক কোর্স চালু করা প্রয়োজন, যেখানে নিজ চেষ্টায় ব্যাবসা পরিচালনা সম্পর্কে শিক্ষাগ্রহণ করা যাবে। গ্রামাঞ্চলের পলিটেকনিকগুলির গুণগত ও সংখ্যাগত মান বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

    vii. কারিগরি বিষয়ে উন্নত গবেষণা: উচ্চতর কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নত গবেষণার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। গবেষণার বিষয় হিসেবে গ্রামীণ উন্নয়নমূলক কাজ, গ্রামীণ প্রযুক্তির উদ্ভাবনা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।

    [2] সর্বস্তরের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি: সর্বস্তরের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-এ বলা হয়েছে

    i. আধুনিকতার ওপর গুরুত্বদান: জনসমাজ ও স্থানীয় শিল্পে সাহায্যদানের ক্ষমতা বিকাশের দিকে লক্ষ রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলিতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষণব্যবস্থা, লাইব্রেরি ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকদের শিক্ষকতা ছাড়াও গবেষণা, শিক্ষণ-সামগ্রীর উন্নয়ন ও ব্যবহার, সম্প্রসারণ, প্রশাসন ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।

    ii . মহিলাদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা: মেয়েদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা করা দরকার। এ ছাড়া খেলাধুলা, সৃষ্টিমূলক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কার্যাবলির সুবিধাকে সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন।

    iii. বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয়সাধন: কারিগরি শিক্ষা ও শিল্প, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা, সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি প্রভৃতির মধ্যে সমন্বয়সাধন করা প্রয়োজন।

    iv. মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের দায়িত্ব: মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের দায়িত্ব হবে প্রযুক্তি, বৃত্তিমূলক ও ব্যবস্থাপনার শিক্ষা-সহ সব ধরনের শিক্ষার সমন্বয়সাধন করা।

    v. কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষার সমন্বয়: কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষার সমন্বয় ও সংহতির জন্য নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদের (AITEC) ওপর আইনগত ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে। সবক্ষেত্রে মূল্যায়নের জন্য একটি অ্যাক্রিডিয়েশন বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন।

    ৪. শিক্ষকের মর্যাদা, পেশাগত দক্ষতা অর্জন সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী বলা হয়েছে? শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য উল্লেখ করো। 4+4

    উত্তর: শিক্ষকের মর্যাদা এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জন প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য

    জাতীয় শিক্ষানীতির নবম অধ্যায়ে শিক্ষকের মর্যাদা এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জন সম্পর্কে যে বিষয়গুলি আলোচনা করা হয়েছে, তা নীচে উল্লেখ করা হল-

    [1] শিক্ষকের মর্যাদা: কোনো সমাজের সামাজিক ও দৃষ্টিগত চরিত্রের দিকটি শিক্ষকের মর্যাদার গতিপথে প্রতিফলিত হয়। তাই বলা হয়, মর্যাদার বিচারে শিক্ষকের ঊর্ধ্বে কোনো মানুষই উঠতে পারে না। শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

    i. শিক্ষকের বেতন ও চাকুরির শর্তাবলি: শিক্ষকের বেতন ও চাকরির শর্তাবলি তাদের সামাজিক ও পেশাগত দায়িত্বের সঙ্গে সংগতি রেখেই নির্ধারণ করা হবে।

    ii. শিক্ষকদের পেশাগত নৈতিকতা: শিক্ষার কর্মসূচি সংগঠনে ও রূপায়ণে শিক্ষকের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের জন্য খোলাখুলি অংশগ্রহণমূলক ও তথ্যভিত্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং যুক্তিসংগত সুযোগের সাহায্যে প্রমোশনের মাধ্যমে শিক্ষকদের কৃতিত্বের ব্যবস্থা থাকবে।

    iii. সমগ্র দেশে শিক্ষকদের একই বেতন: সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শিক্ষকদের জন্য শিক্ষকসংঘ National code of Professional ethics তৈরি করবে। সর্বভারতীয় শিক্ষা সার্ভিস স্থাপন করা হবে। সারা দেশে শিক্ষকদের একই রকম বেতন হার, চাকুরির শর্ত ও চাহিদা মেটাবার ব্যবস্থা রাখা হবে।

    [2] শিক্ষক-শিক্ষণ বা পেশাগত দক্ষতা: শিক্ষক-শিক্ষণ হবে একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। চাকরি-পূর্ব ও চাকরিকালীন শিক্ষণের মধ্যে কোনো বিচ্ছিন্নতা নেই, তবে প্রথম কাজ হবে শিক্ষক-শিক্ষণ ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করা।

    i. DIET স্থাপন: প্রতিটি জেলায় District Institute of Education and Training (DIET) প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক, ননফরম্যাল ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকদের চাকুরিরত অবস্থায় অথবা চাকুরি-পূর্ব অবস্থায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

    ii. NCTE-র ওপর দায়িত্ব অর্পণ: NPE-1986-এ শিক্ষক- শিক্ষণের উন্নয়নের জন্য National Council for Teacher Education (NCTE)-এর ওপর দায়িত্ব দেওয়া হবে। এর প্রধান কাজ হবে সারা দেশের শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি নজর রাখা ও শিক্ষক-শিক্ষণ মানের উন্নয়ন ঘটানো। তা ছাড়া পাঠক্রমের বিষয়বস্তু নির্ধারণ, ছাত্র ভরতির নিয়মকানুন স্থির করা, শিক্ষক-শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির অনুমোদন দেওয়া বা অনুমোদন প্রত্যাহার করা, শিক্ষক-শিক্ষণ কলেজগুলির পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা, মূল্যায়ন ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। NCTE-র অপর কাজ হল শিক্ষক-শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের কাজের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা।

    শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষানীতির বক্তব্য

    জাতীয় শিক্ষানীতির দশম অধ্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার বিষয়গুলি হল-

    [1] শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার: শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে সর্বাধিক প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনার জন্য নীচের ব্যবস্থাগুলি নেওয়া দরকার-

    i. শিক্ষার ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং দেশের উন্নয়ন ও জনশক্তির প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সমন্বয়সাধন।

    ii. বিকেন্দ্রীকরণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বায়ত্তশাসনের প্রবণতা সৃষ্টি।

    iii. শিক্ষা পরিচালনায় বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াসের সঙ্গে জনশক্তিকে যুক্ত করা।

    iv. শিক্ষার উদ্দেশ্য ও আদর্শের প্রেক্ষিতে দায়বদ্ধতা পালনের নীতি নির্ধারণ করা।

    [2] জাতীয় স্তর: জাতীয় স্তরে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য CABE-কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। CABE-তে যে কার্যকরী কমিটি থাকবে, তার দায়িত্ব হবে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয়সাধন।

    [3] ভারতীয় শিক্ষা সার্ভিস: শিক্ষার উপযুক্ত পরিচালন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য Indian Education Service প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সার্ভিসের মৌলিক নীতি, কার্যাবলি ইত্যাদি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

    [4] রাজ্য স্তর: CABE-এর মতো রাজ্য স্তরে SABE গঠন করা হবে।

    [5] জেলা স্তর ও আঞ্চলিক স্তর: উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা পরিচালনার জন্য জেলা স্কুল বোর্ড গঠিত হবে। কেন্দ্র, রাজ্য, জেলা ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলি শিক্ষা পরিকল্পনা, সমন্বয়, তদারকি ও মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করবে।

    [6] স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: শিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজকর্মীদের সঙ্গে, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রয়াসকেও উৎসাহিত করা হবে। তবে ব্যাবসা করার উদ্দেশ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    9. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986) সম্পর্কে তোমার মতামত ব্যক্ত করো।

     উত্তর:জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে মতামত

    শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। তবে বিভিন্ন কারণে এটি আশানুরূপ সফলতা অর্জনে এখনও সক্ষম হয়নি। এর কারণগুলি হল-

    [1] সুপারিশ কার্যকরীকরণে শ্লথগতি: 1964-66 খ্রিস্টাব্দের শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতিতে শিক্ষায় সকলের জন্য সমান সুযোগ, সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয় সংহতি, মূল্যবোধ, সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ইত্যাদির কথা বলা হয়েছিল। এইসব নীতি বা সুপারিশের ভিত্তিতেই 1986 খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিশু ও নারীশিক্ষা, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, প্রথাবর্জিত শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি বিষয়ক শিক্ষা ইত্যাদির প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়। বর্তমানে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি 1986’ রূপায়ণের কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত সব নীতি বা সুপারিশকে কার্যকরী করা সম্ভব হয়নি।

    [2] বিদ্যালয়-ছুটদের সমস্যাসমাধানে ব্যর্থতা: ভারতীয়দের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে একটি বিরাট বাধা হল বিদ্যালয়-ছুট (dropout) ছাত্রছাত্রীর দল। এই সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যাবে তার কোনো ইঙ্গিত 1986-এর জাতীয় শিক্ষানীতির Challenge of Education-এ নেই। কোঠারি কমিশনের সুপারিশ মতোই জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 প্রথাবর্জিত শিক্ষা, দূরশিক্ষা প্রভৃতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়-ছুটের সংখ্যা ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়নি।

    [3] ভাষা প্রসঙ্গে স্পষ্ট নীতির অভাব: জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে যে ভাষানীতির কথা বলা হয়েছে, তাতে প্রকৃতপক্ষে 1968 সালের ভাষানীতিকে বাস্তবায়িত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নীতিতে ভাষা প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে তেমন কিছু আলোচনা করা হয়নি।

    [4] বৃত্তিশিক্ষার আশানুরূপ প্রসারে ব্যর্থতা: 1986 খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল, 1995 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পঁচিশ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এই বিষয়টিকে কার্যকর করার জন্য ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বহু কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তবে প্রত্যাশামতো কাজ হয়নি।

    [5] দূরশিক্ষা এবং মুক্তশিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে অনিশ্চয়তা: 1986 খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে দূরশিক্ষা, মুক্তশিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে সারা দেশে অনেকগুলি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। কেন্দ্রে IGNOU (Indira Gandhi National Open University), পশ্চিমবঙ্গে NSOU (Netaji Subhas Open University), রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় এরই ফলশ্রুতি। তবে একমাত্র IGNOU ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও গুণগত মান সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

    [6] অপ্রতুল মডেল স্কুল: 1986-র জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘মডেল স্কুল’ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ‘মডেল স্কুল’ সারা দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীকে উন্নতমানের শিক্ষাদান করলে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন জাতিভেদ সৃষ্টি হবে। তাই পশ্চিমবঙ্গে ‘মডেল স্কুল’ সেভাবে বিকাশ লাভ করেনি।

    উপসংহারে উল্লেখ করা যায়, 1986-এর জাতীয় শিক্ষানীতিতে যেমন কিছু বিরূপ সমালোচনার ক্ষেত্র রয়েছে, তেমনই এর অনেক ভালো দিকও রয়েছে। যেমন- শারীরশিক্ষা ও খেলাধুলার সঙ্গে যোগাসন শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। তাই এর ভালো দিকগুলিকে যত শীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়িত করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

    1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতির মূল্যায়নের জন্য দুটি কমিটি গঠিত হয়-রামমূর্তি কমিটি (1990) এবং জনার্দন রেড্ডি কমিটি (1992)। এই দুটি কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় শিক্ষানীতির (NPE-1986) কিছু পরিবর্তন করা হয়। এটিই হল শিক্ষানীতি 1992 বা ‘প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন-1992’।

    10. জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে উল্লিখিত ‘অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব’, ‘অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড’ এবং ‘নবোদয় বিদ্যালয়’ সম্পর্কে আলোচনা করো।

    অথবা, অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড ও নবোদয় বিদ্যালয় সম্পর্কে পর্যালোচনা করো।

    উত্তর: অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব, অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড এবং নবোদয় বিদ্যালয় প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি

    ভারতবর্ষের শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে যে বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব, অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড এবং নবোদয় বিদ্যালয় বা পেসসেটিং স্কুল। নীচে এগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

    অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব

    1976 খ্রিস্টাব্দে 42-তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে শিক্ষাকে যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি একটি সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ। 1986 খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব’ বলতে বোঝায় যুগ্ম তালিকায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা কী হবে তার ব্যাখ্যা।

    জাতীয় শিক্ষানীতিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য, জাতীয় শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুদৃঢ় করার জন্য, শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য, জনগণের মধ্যে জাতীয় সংহতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এবং মানবসম্পদের যথাযথ বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব সম্পর্কে অর্থাৎ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে কী দায়িত্ব পালন করবে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট অভিমত ব্যক্ত করা হল অংশীদারি ধারণার মূল বক্তব্য।

    রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে যদি অগ্রসর না হয়, তাহলে শিক্ষার ক্ষেত্রটি ব্যাহত হবে। দেশের অগ্রগতিও পদে পদে বিঘ্নিত হবে।

    অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড

    জাতীয় শিক্ষানীতি 1986-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হল অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড কর্মপ্রকল্প প্রণয়ন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির দৈন্যদশা দূর করার জন্য এবং সাক্ষরতা প্রসারের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এখানে ‘ব্ল‍্যাকবোর্ড’ শব্দটিকে প্রতীক হিসেবে ধরা হয়েছে। ‘ব্ল‍্যাকবোর্ড’ শব্দটির দ্বারা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাসহায়ক সবরকম উপাদানকে বোঝানো হয়।

    [1] অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কর্মসূচি গ্রহণের কারণ: সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে এমন অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে ঘর নেই, শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত শিক্ষাসহায়ক উপকরণ নেই, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি শিশুদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শৌচাগার নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এইসব কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসে না। এইসব সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখে অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

    [2] অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড প্রকল্পের কর্মসূচি: অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় তা হল-

    i. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত দুখানা বড়ো বড়ো ঘর থাকবে, যেগুলি সব ঋতুতেই ব্যবহার করা যাবে।

    ii. প্রাক্-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের জন্য খেলাভিত্তিক শিক্ষানীতি অনুসরণ করতে হবে।

    iii. মানচিত্র, চার্ট, ব্ল‍্যাকবোর্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাসহায়ক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।

    iv. অন্তত দুজন শিক্ষক প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হবেন যাঁদের মধ্যে একজন হবেন মহিলা, অন্যজন হবেন পুরুষ। ক্রমশ প্রতিটি শ্রেণিতে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

    v. প্রতিটি বিদ্যালয়ে পানীয় জল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।

    অপারেশন ব্ল‍্যাকবোর্ড কর্মসূচির উদ্দেশ্য কেবল বিদ্যালয়গুলিতে ব্ল‍্যাকবোর্ড বা শিক্ষাসহায়ক উপকরণ সরবরাহ নয়, বরং দেশের বিদ্যালয়গুলির মান উন্নয়ন করে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করা এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

    নবোদয় বিদ্যালয়

    জাতীয় শিক্ষানীতি 1986-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হল নবোদয় বিদ্যালয় (Navodaya Vidyalaya) বা মডেল স্কুল (Model School) প্রতিষ্ঠা করা। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল সামাজিক ন্যায় ও সমতা-সহ উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এর জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করে তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। আর-একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল, সমৃদ্ধ পাঠক্রম ও উন্নত পাঠদানের কার্যকারিতা প্রদর্শন করা। প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশের জন্য সমস্তরকম সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করাই হল এই বিদ্যালয়ের লক্ষ্য। ভারতের প্রত্যেকটি জেলায় অন্তত একটি করে নবোদয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনায় ভারতে মোট 432টি জেলায় একটি করে মডেল স্কুল বা নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপন করার কথা বলা হয়। আরও বলা হয়, এই ধরনের বিদ্যালয়ে 300 জনের বেশি ছাত্র থাকবে না। একটি মডেল বিদ্যালয় স্থাপনে প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ হয়।

    নবোদয় বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

    i. নবোদয় বিদ্যালয়গুলি আবাসিক, অবৈতনিক ও সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান। এগুলিতে বিনামূল্যে হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা আছে।

    ii. গ্রামাঞ্চল থেকে আসা শিশু এবং বালিকাদের জন্য এখানে 75 শতাংশ আসন, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য যথাক্রমে শতকরা 15 এবং 7.5 শতাংশ আসন সংরক্ষিত।

    iii. জেলাভিত্তিক জাতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভরতি নেওয়া হয়। NCERT এই বিদ্যালয়গুলির প্রশ্ন তৈরি করে এবং সারা দেশে পরীক্ষা পরিচালনা করে।

    iv. প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এই বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে একটি আঞ্চলিক ভাষা, হিন্দি এবং ইংরেজি-মোট তিনটি ভাষা শিখতে হয়।

    v. এখানে নবম শ্রেণি থেকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি বা হিন্দিকে গ্রহণ করতে হয়।

    vi. এই বিদ্যালয়ে সারা বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কাজের মূল্যায়ন করা হয়।

    vii. এই ধরনের বিদ্যালয়ে সর্বভারতীয় ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।

    viii. এই ধরনের বিদ্যালয়ে কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।

    ix. এই বিদ্যালয়গুলি কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দ্বারা (CBSE) পরিচালিত হয়।

    x. এই বিদ্যালয়গুলির পাঠক্রম রচনার দায়িত্বে NCERT থাকে।

    xi. এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে।। নবোদয় বিদ্যালয়কে প্রত্যেক জেলার কাছে আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। অন্যান্য বিদ্যালয়ের কাছে এগুলি পথপ্রদর্শকস্বরূপ