WBBSE Class 6 History Chapter 3 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 3 Solution

                                   ভারতীয় উপমহাদেশের 

                                    প্রাচীন ইতিহাসের ধারা

                             

উত্তর: ঠিক ,

2. 2. মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন দয়ারাম সাহানি।

উত্তর: ভুল

2. 3. হরপ্পা সভ্যতা প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা।

উত্তর: ভুল

MCQ

1.1. তামা, কাঁসা, পাথর, লোহা।

উত্তর: পাথর

1.2. ঘোড়া, হাতি, গন্ডার, ষাঁড়।

উত্তর: পাথর

1.3. কালিবঙ্গান, মেহেরগড়, বানাওয়ালি, ধোলাবিরা।

উত্তর: মেহেরগড়

3.1. হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘরগুলি তৈরি হত (পাথর দিয়ে/পোড়া ইট দিয়ে/কাঠ দিয়ে)।

উত্তর: পোড়া ইট দিয়ে 

3. 2. হরপ্পা সভ্যতা ছিল (পাথরের যুগের/লোহার যুগের/তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের) সভ্যতা।

উত্তর: তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের

3.3. ভারতীয় উপমহাদেশে হরপ্পাতেই নগর/প্রথম গ্রাম/দ্বিতীয় নগর) দেখা গিয়েছিল। (প্রথম)
উত্তর: প্রথম নগর

Very Short Question Answer

1. ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কী?

উত্তর:  ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম মেহেরগড় সভ্যতা।

2.হরপ্পা সভ্যতা কে আবিষ্কার করেন?

উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কার করেন দয়ারাম সাহানি।

3. মেহেরগড়ের বাড়িঘরগুলি দেখতে কেমন ছিল?

উত্তর:   মেহেরগড়ের বাড়িঘরগুলি মূলত বর্গাকৃতি ও চতুর্ভুজাকার ছিল।

4. ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নগরায়ণ কোন সভ্যতায় দেখা যায়?

উত্তর:  ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নগরায়ণ দেখা যায় হরপ্পা সভ্যতায়।

5 . মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করতে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজকে কে সাহায্য করেন?

উত্তর:   মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করতে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজকে রিচার্ড মেডো সাহায্য করেন।

6. মেহেরগড় সভ্যতা কী ধরনের সভ্যতা ছিল?

উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতা ছিল গ্রামীণ সভ্যতা।

7 . সিন্ধু সভ্যতার খননকার্য কবে শুরু হয়?

উত্তর:   ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু সভ্যতার খননকার্য শুরু হয়।

৪ . আলেকজান্ডার কানিংহামের নাম কোন সভ্যতার আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে?

উত্তর:  আলেকজান্ডার কানিংহামের নাম সিন্ধু সভ্যতার আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

9. একটি তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের ভারতীয় সভ্যতার নাম লেখো।

উত্তর:  একটি তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের ভারতীয় সভ্যতা হল সিধু সভ্যতা।

10 . কৰে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয়?

উত্তর: আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

11.  কতটা অঞ্চল জুড়ে সিন্ধু সভ্যতা বিস্তারলাভ করেছিল?

উত্তর: প্রায় ৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে সিন্ধু সভ্যতা বিস্তারলাভ করেছিল।

12.  কখন মেহেরগড়ে তুলো উৎপাদন শুরু হয়?

উত্তর:   আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৪০০০ অব্দে মেহেরগড়ে তুলো উৎপাদন শুরু হয়।

13. হরপ্পা লিপি সংবলিত সাইনবোর্ড কোথায় পাওয়া গেছে?

 উত্তর:  হরপ্পা লিপি সংবলিত সাইনবোর্ড ধোলাবিরাতে পাওয়া গেছে।

14.সিন্ধু সভ্যতার কোথায় লাঙলের ফলার দাগ পাওয়া গেছে?

 উত্তর:  রাজস্থানের কালিবঙ্গানে সিন্ধু সভ্যতার লাঙলের ফলার দাগ পাওয়া গেছে।

15.সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা কোন পশুর ব্যবহার জানত না?

 উত্তর:  সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না।

16.এর সিধুর অধিবাসীরা কোন কোন ধাতুর ব্যবহার জানত?

 উত্তর:   সিধুর অধিবাসীরা তামা, কাঁসা, ব্রোঞ্জের ব্যবহার জানত।

 17.গুজরাটি ভাষায় ‘লোথাল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:  গুজরাটি ভাষায় ‘লোথাল’ শব্দের অর্থ ‘মৃতের স্থান’।

18. হরপ্পা সভ্যতার বাড়িগুলি তৈরি হত কী দিয়ে?

 উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতার বাড়িগুলি তৈরি হত রোদে শুকোনো এবং চুল্লিতে পোড়ানো ইট দিয়ে।

19. হরপ্পা সভ্যতার লিপিতে কতকগুলি চিহ্ন ব্যবহার করা হত?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার লিপিতে প্রায় ৩৭৫ থেকে ৪০০টি চিহ্ন ব্যবহার করা হত।

 20.সিন্ডুলিপির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

 উত্তর: সিধুলিপির একটি বৈশিষ্ট্য হল-লিপিগুলি ডানদিক থেকে বামদিকে লেখা হত।

 21.সিধুলিপির পাঠোদ্ধার করা যায়নি কেন?

উত্তর: সিধুলিপিতে বর্ণমালা ছিল না এবং তা ছিল সাংকেতিক তাই সিধুলিপির পাঠোদ্ধার করা যায়নি।

22.মহেন-জো-দারো ছাড়া আর কোন্ নগরে একটি বড়ো জলাধার ছিল?

 উত্তর:  মহেন-জো-দারো ছাড়া ধোলাবিরা নগরের সিটাডেল এলাকায় একটি বড়ো জলাধার ছিল।

 23.মহেন-জো-দারোর জলাশয়টি কোন্ কাজে ব্যবহার করা হত?

 উত্তর:  মহেন-জো-দারোর জলাশয়টি ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হত।

 24.হরপ্পা সভ্যতা কত খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত হয়?

উত্তর:  ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়।

25.হরপ্পা কোথায় অবস্থিত?

 উত্তর:  পাঞ্জাবের মন্টগোমারি জেলার (বর্তমানে পাকিস্তান) রাভি নদীর তীরে হরপ্পা অবস্থিত।

26.’হরপ্পা’ কথাটির অর্থ কী?

 উত্তর:  হরপ্পা’ কথাটির অর্থ হল পশুপতির খাবার।

27.মহেন-জো-দারো কোথায় অবস্থিত?

 উত্তর:  সিন্ধুপ্রদেশের লারকানা জেলায় (বর্তমানে পাকিস্তান) মহেন-জো-দারো অবস্থিত।

28.’মহেন-জো-দারো’ কথাটির অর্থ কী?

 উত্তর:  ‘মহেন-জো-দারো’ কথাটির অর্থ হল মৃতের স্তূপ।

29.হরপ্পা সভ্যতায় কোন কেন্দ্রে পোতাশ্রয় পাওয়া গেছে?

 উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতায় লোথালে পোতাশ্রয় পাওয়া গেছে।

30.হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন ফসলের চাষ জানত না?

উত্তর:   হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা ধান চাষ (রংপুর ও লোথাল ছাড়া) জানত না।

31.হরপ্পার প্রধান প্রশাসক কে ছিলেন বলে অনুমান করা হয়?

 উত্তর:  হরপ্পার প্রধান প্রশাসক একজন পুরোহিত-রাজা ছিলেন বলে অনুমান করা হয়।

 32.মহেন-জো-দারোর সিলমোহরে যোগীর মূর্তিটি কোন দেবতার বলে কল্পনা করা হয়?

উত্তর:  মহেন-জো-দারোর সিলমোহরে যোগীর মূর্তিটি পশুপতি শিবের বলে কল্পনা করা হয়।

                                               

33.মেহেরগড় সভ্যতা কোথায় অবস্থিত ছিল?

 উত্তর:  বর্তমান পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান গিরিপথের কাছে ঝোব নদীর তীরে কাচ্ছি সমভূমিতে মেহেরগড় সভ্যতা অবস্থিত ছিল।

34.সিন্ধু সভ্যতার প্রধান দুটি প্রত্নকেন্দ্রের নাম লেখো।

 উত্তর:  সিন্ধু সভ্যতার প্রধান দুটি প্রত্নকেন্দ্র হল-হরপ্পা ও মহেন- জো-দারো।

35.সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল উল্লেখ করো।
উত্তর:  সাধারণভাবে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল ধরা হয়।

36.লোথাল বন্দর কী কাজে ব্যবহার করা হত?

 উত্তর:  লোথাল বন্দর জাহাজ রাখার, জাহাজ বানানোর ও মেরামতির কাজে ব্যবহার করা হত।

37.হরপ্পা সভ্যতায় মৃতদেহকে সমাধিতে কীভাবে রাখা হত?

 উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতায় মৃতদেহকে সমাধিতে তার মাথা উত্তর দিকে করে শুইয়ে রাখা হত।

38.হরপ্পা সভ্যতার অবনতির দুটি কারণ উল্লেখ করো।
 উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতার অবনতির দুটি কারণ হল- ভয়াবহ বন্যা এবং শুষ্ক জলবায়ু।

Short Question Answer

1.সিটাডেল বলতে কী বোঝো?

 উত্তর:  হরপ্পা সভ্যতায় নগরের উঁচু এলাকাকে সিটাডেল বলা হত। এই এলাকাটি একটি বানানো ঢিবির ওপরে অবস্থিত ছিল।

2. হরপ্পা সভ্যতাকে প্রথম নগরায়ণ বলা হয় কেন?

উত্তর:  ভারতীয় উপমহাদেশে হরপ্পা সভ্যতাতেই প্রথম নগর গড়ে উঠেছিল। সেইজন্য এই সভ্যতাকে প্রথম নগরায়ণ বলা হয়।

3.মহেন-জো-দারোর স্নানাগারটির আকার-আয়তন কীরূপ ছিল?

 উত্তর:  মহেন-জো-দারোর স্নানাগারটির আয়তন ছিল লম্বায় ১৮০ ফুট, চওড়ায় ১০৮ ফুট এবং উচ্চতায় ৮ ফুট। স্নানাগারের চারপাশে সিঁড়ি ছিল। স্নানাগারটি ছিল আয়তাকার।

4.হরপ্পা সভ্যতার কৃষিজ ফসলগুলির নাম লেখো।

 উত্তর:   হরপ্পা সভ্যতার কৃষিজ ফসলগুলি ছিল গম, যব, জোয়ার, বাজরা, নানারকমের ডাল, সরষে, তুলো, তিল এবং ধান। তবে ধান শুধুমাত্র রংপুর ও লোথালে চাষ হত।

 5.হরপ্পার মানুষের গৃহপালিত পশুর নামগুলি লেখো।

 উত্তর:  হরপ্পার মানুষের গৃহপালিত পশুর মধ্যে ছিল ষাঁড়, ভেড়া, ছাগল, উট প্রভৃতি। খুব সম্ভবত তারা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না।

6. হরপ্পায় কী ধরনের সিলমোহর পাওয়া গেছে?
 উত্তর:  নরম পাথরের তৈরি ও পুড়িয়ে শক্ত করা শিংওয়ালা মানুষ, ষাঁড়, গাছ ও জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা সিলমোহর পাওয়া গেছে।

7.হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন্ কোন্ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করত?
 উত্তর:   হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা মেসোপটেমিয়া বা সুমের, মিশর, পারস্য বা ইরান, তুর্কমেনিস্তান প্রভৃতি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করত। জিনিসের বদলে জিনিস দেওয়ার মাধ্যমে এই বাণিজ্য হত।

 8.সিধুলিপির বৈশিষ্ট্য লেখো।

 উত্তর:  সিধুর অধিবাসীরা লিখতে পারত। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই লিপি পাঠোদ্ধার করা যায়নি। সিধুলিপির বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

(i) সিধুলিপিতে ৩৭৫ থেকে ৪০০টির মতো চিহ্ন ব্যবহৃত হত। এটি একটি সাংকেতিক লিপি।

(ii) সিধুলিপি ডানদিক থেকে বামদিকে লেখা হত।

(iii) লিপিতে ছোটো চিহ্নগুলি সংখ্যা বোঝাতে ব্যবহৃত হত।
(iv) সিধুলিপির সঙ্গে দ্রাবিড় ভাষার মিল পাওয়া যায়। ঋগ্বেদ-এর ভাষাতেও এই ভাষার প্রভাব দেখা যায়।

9.সিধুর অধিবাসীদের ধর্মীয় জীবন কেমন ছিল?

 উত্তর:  সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা প্রধানত প্রাকৃতিক শক্তির উপাসনা করত। নিম্নলিখিতভাবে তারা তাদের ধর্মপালন করত-

(i) সিন্ধু সভ্যতায় অনেকগুলি পোড়ামাটির নারীমূর্তি পাওয়া গেছে। এ থেকে মনে হয় সেখানে মাতৃ দেবতার পুজোর প্রচলন ছিল।

(ii) মহেন-জো-দারোতে গন্ডার, বাঘ, হাতি পরিবেষ্টিত একটি পুরুষমূর্তি পাওয়া গেছে। এটি দেখে অনুমান হয় যে, এটি পশুপতি শিবের আদি রূপ।
(iii) সিন্ধু সভ্যতায় নানা জীবজন্তু ও গাছপালার পুজো করা হত। এখানে ষাঁড়, অশ্বত্থ গাছ প্রভৃতি পূজিত হত।

 10.সিধু সভ্যতায় কী কী কারিগরি শিল্প বিকশিত হয়েছিল?

 উত্তর:  সিন্ধু সভ্যতায় বিকশিত কারিগরি শিল্পগুলি হল-

(i) সিধু সভ্যতায় ধাতুর শিল্পের কারিগররা ধাতুর যন্ত্রপাতি, বাসনপত্র প্রভৃতি তৈরি করত।

(ii) মৃৎপাত্রের কারিগররা থালা, বাটি, রান্নার বাসন প্রভৃতি তৈরি করত।

(iii) কাপড় বোনার কারিগর বস্ত্রশিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিল।

(iv) গয়না শিল্প ও প্রস্তর শিল্প এই সময় বিকশিত হয়েছিল।
(v) এ ছাড়াও ইটশিল্প, চিনামাটির শিল্প, হাতির দাঁতের শিল্প প্রভৃতি এসময় বিকশিত হয়েছিল।

 11.মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্ব কোন্টি? এই পর্বের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

 উত্তর:   মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্ব আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই পর্বের বৈশিষ্ট্যগুলি হল প্রধানত-

(i) কৃষিভিত্তিক মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বে গম, যব প্রভৃতি ফসল চাষ হত।

(ii) এই পর্বে কুঁজওয়ালা ষাঁড়, ছাগল, ভেড়াকে গৃহপালিত পশু হিসেবে পোষ মানানো হয়েছিল।

(iii) প্রাথমিক পর্বে পাথরের ছুরি, পশুর হাড়ের যন্ত্রপাতি, জাঁতা প্রভৃতি যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হত।

(iv) মেহেরগড় সভ্যতায় রোদে শুকোনো ইট দিয়ে বাড়িঘর তৈরি হত।

(v) শস্য মজুত রাখার জন্য এই সময় ইমারত তৈরি করা হয়েছিল।

 12.সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল উল্লেখ করো।

 উত্তর:  সিধু সভ্যতার সূচনাকাল এবং ধ্বংসের সময়কাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানা মতভেদ আছে। মনে করা হয় সিন্ধু সভ্যতা তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা, কারণ এই সভ্যতার মানুষ তামা ও ব্রোঞ্জ উভয়েরই ব্যবহার জানত। মোটামুটিভাবে ৩০০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল ধরা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দ সিন্ধু সভ্যতার বিকাশের সময়কাল বলে মনে করা হয়।

 13.সিধু সভ্যতার নাম ‘হরপ্পা সভ্যতা’ হওয়ার কারণ কী?

উত্তর:  সিন্ধু সভ্যতার আর-এক নাম ‘হরপ্পা সভ্যতা’ হওয়ার কারণ হল-

(i) হরপ্পাতে সিধু সভ্যতার প্রথম কেন্দ্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে।

(ii) হরপ্পা ছিল সিধু সভ্যতার অন্যান্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় সবথেকে বড়ো কেন্দ্র।

(iii) হরপ্পায় খননকার্য চালিয়ে সিধু সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি পরিমাণে আবিষ্কৃত হয়েছে।

 14.সিন্ধু সভ্যতা কি নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা ছিল?

 উত্তর:  সিন্ধু সভ্যতা ছিল নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। কারণ-

(i) সিন্ধু সভ্যতার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শস্যাগার, স্নানাগার প্রভৃতি একটি উন্নত পরিকল্পিত নাগরিক সভ্যতার পরিচয় দেয়।

(ii) সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন কারিগরি শিল্প, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, বাণিজ্য এবং হরপ্পা ও মহেন-জো-দারোর মতো নগরের অবস্থান নগরকেন্দ্রিক সভ্যতার অন্যতম উদাহরণ।

(iii) নাগরিক জীবনের সমস্ত সুখস্বাচ্ছন্দ্য সিন্ধু সভ্যতায় উপস্থিত ছিল।
(iv) স্বাস্থ্য সচেতনতা, নগরের সুরক্ষা, পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি বিষয়সমূহ নাগরিক সভ্যতার বৈশিষ্ট্য বহন করে।

15.হরপ্পা এবং মেহেরগড়ের ঘরবাড়িগুলির দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।

 উত্তর:  ④ হরপ্পার ঘরবাড়িগুলি ছিল একতলা এবং দোতলা। অপরদিকে মেহেরগড়ের ঘরবাড়িগুলি ছিল বর্গাকার অথবা আয়তাকার।

⑧ হরপ্পার প্রতিটি বাড়িতে আলাদা স্নানঘর এবং পাতকুয়ো ছিল। মেহেরগড়ের প্রতিটি বাড়িতে চারটি কিংবা তারও বেশি কক্ষ ছিল। যার মধ্যে ছিল গুদামঘর।

Long Question Answer

1.সিন্ধু সভ্যতার ব্যাবসাবাণিজ্য সম্বন্ধে যা জান লেখো।
 উত্তর:   সিধুর অধিবাসীরা অভ্যন্তরীণ এবং বহির্বাণিজ্যে রীতিমতো দক্ষ ছিল। স্থলপথে ও জলপথে সুমের, ব্যাবিলন, পারস্য, মেসোপটেমিয়া, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশের সঙ্গে তারা বাণিজ্য চালাত। অন্যদিকে গুজরাটের লোথালে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছিল। এখানে জাহাজ মেরামতির জন্য এবং বাণিজ্যদ্রব্য মজুত করার জন্য গুদামঘরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত দ্রব্য হল সোনা, রুপো, তামা, দামি পাথর, হাতির দাঁতের তৈরি চিরুনি, পাখির মূর্তি প্রভৃতি আর রফতানি দ্রব্য হল বার্লি, ময়দা, তেল ও পশমজাত দ্রব্য।

True and False

1. মেহেরগড় সভ্যতার প্রাথমিক পর্বে মানুষেরা ধাতুর ব্যবহার জানত না।

উত্তর:  ঠিক

2. মেহেরগড় সভ্যতার ইটগুলি আগুনে পোড়ানো হত।

উত্তর: ভুল

3. সিধুর অধিবাসীরা লিখতে জানত না।

উত্তর: ভুল

4. ২৬০০-১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতার উন্নতির সময়পর্ব।

উত্তর: ভুল

5. মহেন-জো-দারোতে ৩০০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি বাড়ি পাওয়া গেছে।

উত্তর: ভুল

6. সিন্ধু সভ্যতার স্নানাগারটির জল পরিষ্কার রাখার কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

উত্তর: ভুল

7. হরপ্পা সভ্যতায় ধান, গম ও যবের কোনো চাষ হত না।

উত্তর: ভুল

৪. লাপিস লাজুলি পাথর দিয়ে গয়না বানানো হত।

উত্তর:  ঠিক

9. সিধুর সিলমোহরগুলি ব্যাবসাবাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত হত।

উত্তর:  ঠিক

10. শেষের দিকে সিন্ধু সভ্যতার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
উত্তর:  ঠিক

2.1. লিপির ব্যবহার সভ্যতার একটি বৈশিষ্ট্য।

উত্তর: ঠিক ,

2. 2. মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন দয়ারাম সাহানি।

উত্তর: ভুল

2. 3. হরপ্পা সভ্যতা প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা।

উত্তর: ভুল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *