WBBSE Class 6 Science Chapter 6 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 6 Solution

বল ও শক্তির প্রাথমিক ধারণা

MCQs

1. যে-বস্তু সময়ের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করে না, তাকে বলে-

 গতিশীল বস্তু ,  স্থির বস্তু ,  আপেক্ষিক বস্তু  , উদ্বায়ী বস্তু

উত্তর:  স্থির বস্তু

2. বলের SI-তে একক হল-‘

 ডাইন,  আর্গ,  নিউটন, অ্যামপেয়ার

উত্তর:  নিউটন

3. চৌম্বক পদার্থ নয়-

তামা ,  নিকেল,  কোবাল্ট ,  আয়রন

উত্তর:  তামা 

4. একটি স্পর্শহীন বল হল-

 অভিকর্ষ বল ,  ধাক্কা বল , টানা বল ,  ঘর্ষণ বল

উত্তর:   অভিকর্ষ বল

5. ঝড়ের প্রচণ্ড গতির জন্য তার মধ্যে উদ্ভব হয়-

 স্থিতিশক্তির ,  যান্ত্রিক শক্তির , গতিশক্তির ,  তড়িৎশক্তির

উত্তর:  গতিশক্তির

6. তবলা বাজানোর সময় কোন্ শক্তি কোন্ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?

 যান্ত্রিক শক্তি →শব্দশক্তিতে,  শব্দশক্তি → যান্ত্রিক শক্তিতে

 যান্ত্রিক শক্তি → তাপশক্তিতে,  শব্দশক্তি → তড়িৎশক্তিতে

উত্তর:  যান্ত্রিক শক্তি →শব্দশক্তিতে

7. কোন্ শক্তি উৎপন্নে সূর্যের ভূমিকা নেই?

 রাসায়নিক শক্তি ,  তাপশক্তি ,পারমাণবিক শক্তি,  তড়িৎশক্তি

উত্তর:  পারমাণবিক শক্তি

৪. সৌরকোশে সৌরশক্তি রূপান্তরিত হয়-

 আলোকশক্তিতে,  তড়িৎশক্তিতে, তাপশক্তিতে, রাসায়নিক শক্তিতে

উত্তর:  তড়িৎশক্তিতে

9. শক্তিশৃঙ্খলে শক্তির প্রধান উৎস হল-

সূর্য,  চন্দ্র, গাছপালা, সমুদ্র

উত্তর:  সূর্য

10. যে-পরিমাণ শক্তি এক পুষ্টিস্তর থেকে অন্য পুষ্টিস্তরে পৌঁছোতে পারে না, তা হল-

 10 শতাংশ,  20 শতাংশ, 90 শতাংশ,  ৪০ শতাংশ

উত্তর:  10 শতাংশ

11. যে-শক্তি ব্যবহার বর্তমানে বেশি তা হল-

 সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি , জীবাশ্ম জ্বালানি,  জোয়ারভাটার শক্তি

উত্তর:  জীবাশ্ম জ্বালানি

12. ঘর্ষণ বল ক্রিয়া করে প্রযুক্ত বলের-

 দিকে ,  কোনো দিকে নয়,  বিপরীত দিকে,  লম্বভাবে

উত্তর:   বিপরীত দিকে

13. ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন হয়-

আলো, শব্দ, তাপ,  কোনোটিই নয়

উত্তর:  তাপ

14. ভর ও ভার পরস্পর-এর-

 সমানানুপাতিক,  ব্যস্তানুপাতিক,  বর্গমূল,  কোনোটিই নয়
উত্তর:  সমানানুপাতিক


Very Short Question Answer

1. তুমি চলন্ত ট্রেনে বা বাসে জানালার ধারে বসে বাইরের দিকে তাকালে বাইরের বস্তুগুলিকে কীরকম অবস্থায় দেখতে পাও? স্থির না চলমান?

 উত্তর: চলন্ত ট্রেন বা বাসে জানালা দিয়ে দেখলে মনে হয় বাইরের জিনিস পেছনে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ, এগুলি চলমান অবস্থায় দেখতে পাব।

2. তুমি যদি ট্রেনের বাইরে মাঠে বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে তাহলে ওই বস্তুগুলিকে তুমি কেমন দেখতে? স্থির না চলমান?

 উত্তর: স্থির।

3. আবার ট্রেন বা বাসের ভিতরে বসে ভিতরের দিকে তাকালে যখন বসার সিট, মেঝে বা ছাদ দেখো তখন তাদের কী রকম দ্যাখো? সচল না স্থির?

 উত্তর:  স্থির।

4. যদি ট্রেনের বাইরে মাঠে বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুমি ট্রেনের ভিতরের ওই জিনিসগুলিকে দেখতে পেতে, তাহলে তাদের কেমন দেখাত? সচল না স্থির?

উত্তর: সচল।

5. একটি তল অপর তলের গতির বিরুদ্ধে যে-বল প্রয়োগ করে, তাকে কী বলে?

উত্তর: একটি তল অপর তলের গতির বিরুদ্ধে যে-বল প্রয়োগ করে, তাকে ঘর্ষণ বল বলে।

6. ঘর্ষণ বল প্রযুক্ত বলের কোন্ দিকে কাজ করে?

উত্তর: ঘর্ষণ বল প্রযুক্ত বলের বিপরীত দিকে কাজ করে।

7. অমসৃণ তলে ঘর্ষণ বল কেমন হয়?

উত্তর: অমসৃণ তলে ঘর্ষণ বল বেশি হয়।

8. হাতের তালুদুটিকে একত্রে ঘষলে কী উৎপন্ন হয়?

উত্তর: হাতের তালুদুটিকে একত্রে ঘষলে তাপ উৎপন্ন হয়।

9. ঘর্ষণ না থাকলে কী হত?

উত্তর: ঘর্ষণ না থাকলে গতিশীল বস্তু কখনও থামত না।

10. দেশলাই কাঠিকে বাক্সের অমসৃণ তলে ঘষলে কী ঘটবে?

উত্তর:  দেশলাই কাঠিকে বাক্সের অমসৃণ তলে ঘষলে কাঠিটিতে আগুন ধরে যাবে।

11. ঘর্ষণ বল থাকার জন্য কীসের অপচয় হয়?

উত্তর: ঘর্ষণ বল থাকার জন্য শক্তির অপচয় হয়।

12. রোলার টানতে না ঠেলতে কখন বেশি বল লাগে?

উত্তর: রোলার ঠেলতে বেশি বল লাগে।

13. সকল প্রকার শক্তিই শেষ পর্যন্ত কোন্ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়?

উত্তর: সকল প্রকার শক্তি শেষ পর্যন্ত তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।

14. বিশ্বে কোন্ ধরনের শক্তির ভান্ডার সীমিত?

উত্তর: বিশ্বে অনবীকরণযোগ্য বা প্রচলিত শক্তির ভান্ডার সীমিত।

15. খাদ্যের মধ্যে শক্তি কীরূপে সঞ্চিত থাকে?

উত্তর: খাদ্যের মধ্যে শক্তি রাসায়নিক শক্তিরূপে সঞ্চিত থাকে।

16. ভারত-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ কোন্ ধরনের শক্তির উৎস সম্পর্কে গবেষণা করছে?

উত্তর:  নবীকরণযোগ্য বা অপ্রচলিত শক্তির উৎস নিয়ে গবেষণা করছে।

17. শক্তিশৃঙ্খলে উৎপাদক কাদের বলা হয়?

উত্তর: নিজের দেহে নিজেরাই খাদ্য উৎপন্ন করে বলে সবুজ উদ্ভিদকে উৎপাদক বলা হয়।

18. উদ্ভিদকে সরাসরি খায় যারা, তারা কী নামে পরিচিত?

উত্তর:   প্রথম শ্রেণির খাদক নামে পরিচিত।

19. প্রথম শ্রেণির খাদকের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর:   ফড়িং ও হরিণ।

20. দুটি সর্বভুক প্রাণীর উদাহরণ দাও।

উত্তর:  মানুষ ও কাক।

21.  খাদ্যশৃঙ্খলে এক জীব থেকে অন্য জীবে কী প্রবাহিত হয়?

উত্তর:  শক্তি প্রবাহিত হয়।

22. খাদ্য পিরামিডের ভিত্তিস্তর রচনা করে কারা?

উত্তর:  উৎপাদক অর্থাৎ সবুজ উদ্ভিদ।

23.  খাদ্য পিরামিডের এক একটি ধাপকে কী বলা হয়?

উত্তর:  পুষ্টিস্তর বা ট্রফিক লেভেল (Trophic level) |

24. প্রতিটি ট্রফিক লেভেলে কত শতাংশ শক্তি জীবের নানান শারীরবৃত্তীয় কাজে খরচ হয়?

উত্তর:  নব্বই শতাংশ মাত্র।

25. জীবের কোন্ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তি, রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?

উত্তর:  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায়।

26. পাহাড়ি নদীর জল কোন্ শক্তির জন্য বড়ো বড়ো পাথরখণ্ডকে স্থানান্তরিত করতে পারে?

উত্তর:  যান্ত্রিক শক্তির সাহায্যে।

27 কার্য করার সামর্থ্যকে কী বলে?

উত্তর:  কার্য করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।

28 স্থিতিশক্তি ও গতিশক্তিকে একত্রে কী বলে?

উত্তর:  যান্ত্রিক শক্তি।

29. দু-হাতের তালু পরস্পর ঘষলে কোন্ শক্তি থেকে কোন্ শক্তির রূপান্তর ঘটে?

উত্তর:  যান্ত্রিক শক্তি থেকে তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

30.  কয়লা পোড়ালে তাপ পাওয়া যায়, কয়লার মধ্যে শক্তি কীরূপে থাকে?

উত্তর:   রাসায়নিক শক্তিরূপে।

31. সাধারণ ব্যাটারিতে কোন্ শক্তি কোন্ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?

উত্তর:  রাসায়নিক শক্তি থেকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তর ঘটে।

32. খরস্রোতা নদীর স্রোতে কোন্ যন্ত্র বসিয়ে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়?

উত্তর:  টারবাইন যন্ত্র।

33.  জলবিদ্যুৎশক্তি তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করে কে?

উত্তর:  সূর্য বা সৌরশক্তি।

34. সূর্য থেকে সরাসরি কীভাবে বিদ্যুৎশক্তি পাওয়া যায়?

উত্তর:  সৌরকোশ ব্যবহার করে বিদ্যুৎশক্তি পাওয়া যায়।

35. জোয়ারভাটার শক্তিকে কী কাজে লাগানো হয়?

উত্তর:   বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদানের কাজে লাগানো হয়।

36. কোন্ কারণে সমবেগে গতিশীল বস্তু থেমে যায়?

উত্তর:  সমবেগে গতিশীল বস্তুর গতির বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করলে তা থেমে যায়।

37. ডাইন কীসের একক?

উত্তর:   বলের একক।

38.ঘর্ষণ বল কেমন ধরনের বল?

উত্তর:  স্পর্শজনিত ও অপ্রতিমিত বল (Unbalanced force)।

39. টানা বা ঠেলা আসলে কী?

উত্তর:  টানা বা ঠেলা হল স্পর্শজনিত বল প্রয়োগ করা।

40. ভার বা ওজন কেমন ধরনের বল?

উত্তর:  ভার বা ওজন হল স্পর্শহীন বল।

41. রবিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এমন কোন্ কোন্ বস্তু দেখল যারা চলাচল করছে না, অর্থাৎ নিজের জায়গাতেই স্থির আছে?

 উত্তর: একটি প্রকাণ্ড বটগাছ, তৃণ (ঘাস), ছোটো বড়ো বাড়ি।

42. এবার বলো এই বস্তুগুলি কি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করছে?

 উত্তর:  না।

43. এই মুহূর্তে তোমার চারপাশে যেসব বস্তু রয়েছে তাদের নাম খাতায় লেখো।

 উত্তর: তোমাদের চারপাশে পর্যবেক্ষণ করে নিজেরা লেখো।

44. এখন রবিনের দেখা ‘স্থির বস্তু’ নয় এমন অন্যান্য বস্তুগুলির নাম লেখো। 

 উত্তর: গোরু, অটোরিকশা, বাইক, সাইকেল, পাখি, স্কুলের ছাত্রছাত্রী।

45. এবার বলো এই বস্তুগুলি কি সময়ের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করছে?

উত্তর:  হ্যাঁ, যে বস্তুগুলি স্থির নয় সেগুলি সময়ের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করছে।

46. এই মুহূর্তে তোমার চারপাশে যে-বস্তুগুলি গতিশীল তাদের নাম খাতায় লেখো।

 উত্তর: গতিশীল বস্তুগুলি হল গোরু, অটোরিকশা, বাইক, সাইকেল, স্কুলের ছাত্রছাত্রী, পাখি।

47. মসৃণ মেঝের ওপর একটা ছোটো রাবারের বল রাখো। এবার একটা লাঠি দিয়ে আস্তে করে বলটিকে ধাক্কা দাও। বলটি কি স্থির থেকে সচল হল?

উত্তর: হ্যাঁ, বলটা স্থির থেকে সচল হল।

48.  বলটিকে আবার সচল করো। চলন্ত বলটাকে এবার বলটি যেদিকে যাচ্ছে সেই দিক করে ওই লাঠি দিয়ে ধাক্কা দাও। বলটির বেগ কি বেড়ে গেল?

উত্তর: হ্যাঁ বলটার বেগ বেড়ে গেল।

49. বলটাকে আবার সচল করো। এবার বলটি যে দিকে যাচ্ছে তার উলটোদিক থেকে বলটাকে এমনভাবে আস্তে ধাক্কা দাও যাতে বলটি থেটমে না গিয়ে ওই একই দিকে গতিশীল থাকে। বলটির বেগ কি কমে গেল?

উত্তর: হ্যাঁ, বলটির বেগ কমে গেল।

50. এবার ওই চলন্ত বলটাকে পাশ থেকে ধাক্কা মারো। কী দেখতে পেলে? বলটি যেদিকে চলছিল, ধাক্কার পরেও কি সেই দিকেই চলছে না, চলার দিক বদলে গেছে?
 উত্তর:  ধাক্কার পরে বলটা সেই দিকে চলছে না, চলার দিক বদলে গেছে।

 51.  ভেবে লেখো দেখি, মূলত কী কী পুড়িয়ে আমরা তাপবিদ্যুৎ শক্তি পাই?

উত্তর: ডিজেল, কেরোসিন।

52. এবার দ্যাখো তো বাকি প্রাণীদের মধ্যে এমন কোনো প্রাণী পাও কি না যারা প্রথম শ্রেণির খাদকদের খায়। এসো তাদেরও একটি তালিকা তৈরি করি।

উত্তর:  কুকুর, বিড়াল, বাঘ, সিংহ।

53. আবার এমন কিছু প্রাণীও আছে যারা সরাসরি উদ্ভিদকে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির খাদককেও খায়। এসো, এমন কয়েকটি প্রাণীর তালিকা তৈরি করি।

উত্তর: ময়ূর, মানুষ, ভালুক, কাক।

54. উদ্ভিদ নিজেই নিজের খাদ্য দেহে তৈরি করে আলোর সাহায্যে (ফাঁকা জায়গায় উপযুক্ত শব্দ বসাও) এর

উত্তর: সূর্য।

55. তাহলে উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় শক্তি পায় কোথা থেকে?

উত্তর: সূর্যের আলো থেকে।

56. উদ্ভিদকে সরাসরি খায় প্রথম শ্রেণির খাদক। তাহলে প্রথম শ্রেণির খাদক কোথা থেকে তাদের প্রয়োজনীয় শক্তি পায়?

উত্তর: উদ্ভিদ থেকে।

57. প্রথম শ্রেণির খাদককে খাবার হিসেবে খায় দ্বিতীয়, শ্রেণির খাদক। তাহলে দ্বিতীয় শ্রেণির খাদক তাদের প্রয়োজনীয় শক্তি কোথা থেকে পায়………..?

উত্তর: প্রথম শ্রেণির খাদক থেকে।

58. তাহলে যারা সর্বভুক তারা তাদের প্রয়োজনীয় শক্তি কোথা থেকে পায়?

উত্তর: দ্বিতীয় শ্রেণির খাদক থেকে।

59. এবারে নীচের ছবিটা ভালো করে দ্যাখো।

60. প্রথম ধাপে যারা আছে তাদের প্রকৃতি কী?

উত্তর: উৎপাদক।

62. দ্বিতীয় ধাপে যারা আছে  তাদের প্রকৃতি কী?

উত্তর: প্রথম শ্রেণির খাদক।

63. তৃতীয় ধাপে যারা আছে তাদের প্রকৃতি কী?

উত্তর: দ্বিতীয় শ্রেণির খাদক।

64. চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ধাপে যারা আছে তাদের প্রকৃতি কী কী?

উত্তর: সর্বভুক খাদক।

65. প্রথম ধাপ আর দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ ধাপে যেসব জীবরা আছে তাদের মধ্যে কী মিল বা অমিল আছে? সেগুলি লেখার চেষ্টা করো।

উত্তর: মিল:  a) প্রথম থেকে ষষ্ঠ ধাপে এরা সবাই জীব। b)  দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ ধাপে এরা সব পরভোজী।

অমিল: a) প্রথম ধাপে স্বভোজী, দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ পর্যন্ত পরভোজী। b) দ্বিতীয় ধাপের জীবরা প্রথম শ্রেণির খাদক। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ ধাপের জীবরা সর্বভুক।

66. দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ ধাপে যেসব জীবেরা আছে তাদের মধ্যে কী মিল আছে? সেগুলি ভেবে লেখার চেষ্টা করো।
উত্তর: এরা সবাই পরভোজী

67. একটি ফুটবলকে বড়ো একটি মাঠে নিয়ে যাও। এবার বলটিকে মাঠের ওপর গড়িয়ে দাও। কী দেখতে পেলে?

উত্তর: বলটি গড়িয়ে যাচ্ছে।

68.  বলটির বেগ কি ক্রমশ কমতে লাগল?

উত্তর: হ্যাঁ, বলটার বেগ ক্রমশ কমতে লাগল।

69. শেষে কি বলটি থেমে গেল?

উত্তর: হ্যাঁ, শেষে বলটি থেমে গেল।

70. তাহলে কি বলটি চলার সময় প্রতি মুহূর্তে বাধা পাচ্ছিল?
উত্তর: হ্যাঁ।

71. দু-হাতের তালুতে তুমি কি গরম অনুভব করছ?

উত্তর: হ্যাঁ, দু-হাতের তালুতে আমি গরম অনুভব করছি।

72. এই উন্নতা এল কোথা থেকে?

উত্তর:  দু-হাতের তালু ঘর্ষণের ফলে এই উয়তা এলো।

73.  তুমি একটি ধাতুর তৈরি চাবির রিং নাও। এবার মেঝের ওপর রিংটা কিছুক্ষণ ঘষো। এবার হাত দিয়ে রিংটা ধরো? কী অনুভব করছ?

উত্তর:  গরম অনুভব করছি।

74. রিংটি গরম হল কেন?

উত্তর:  রিংটির নীচের ও মেঝের তলের মধ্যে ঘর্ষণের ফলে তাপ উৎপন্ন হওয়ার ফলে রিংটি গরম হল।

75. তোমার পেনসিলের দাগ মোছার ইরেজার অনেকদিন ব্যবহারের ফলে তার কী অবস্থা হয়?

উত্তর: ইরেজার ক্ষয়ে ছোটো হয়ে যায়।

76. ইরেজারের ভর, আয়তন সব কমে যায় কেন?

উত্তর:  খাতা ও ইরেজারের ঘর্ষণের ফলে।

77. ইরেজার একটা নরম রাবার মাত্র। পেনসিলের দাগ মোছার সময় তুমি ইরেজারটা নিয়ে কী করো?

উত্তর: দাগ মোঝার জন্য খাতায় দাগের ওপর ঘষা হয়।

78. এর ফলে ইরেজারের কী ক্ষতি হয়?

উত্তর: ঘর্ষণের ফলে বস্তুর ক্ষয় হয় এবং ভর ও আয়তন কমে যায়।

79. তুমি একটি রাবারের বল নিয়ে ঘাস আছে এমন মাঠের ওপর দিয়ে গড়িয়ে দাও। এবার ফিতে দিয়ে মেপে দেখ বলটি কতদূর গড়াল?

উত্তর:  নিজে পর্যবেক্ষণ করে উত্তর দাও।

80. এখন বলটিকে আন্দাজমতো সমান জোরে একটা মসৃণ সিমেন্টের মেঝের ওপর গড়িয়ে দাও। এবার ফিতে দিয়ে মেপে দেখো বলটা কতদূর গড়াল?

উত্তর:  নিজে পর্যবেক্ষণ করে উত্তর দাও।

81. এবার ভেবে বলো মেঝের ওপর দিয়ে বলটি বেশি গড়াতে পারল কেন?

উত্তর:  মেঝের ওপর দিয়ে গড়াবার সময় বলটি ঘর্ষণজনিত বাধা কম পেয়েছে।

82. তাহলে কি মাঠের ওপর দিয়ে গড়াবার সময় বলটি ঘর্ষণজনিত বাধা বেশি পেয়েছে? কেন?

উত্তর: হ্যাঁ, কারণ মেঝে অমসৃণ থাকায় বলটি ঘর্ষণজনিত বাধা বেশি পায়।

83. সমান সিমেন্টের মেঝের ওপর দিয়ে গড়াবার সময় বলটি ঘর্ষণজনিত বাধা কম পেল কেন?

উত্তর:  সিমেন্টের মেঝে সমান ও মসৃণ থাকার কারণে।

84. মাঠের তল আর মসৃণ মেঝের তলের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

উত্তর:   মাঠের তলের ঘর্ষণের প্রভাব বেশি কিন্তু মসৃণ মেঝের তলের ঘর্ষণের প্রভাব কম।

85. কোন্ তলটি বেশি মসৃণ?

উত্তর:  মেঝের তলটি বেশি মসৃণ।

86. তবে কি মসৃণ তলে ঘর্ষণ কম হয়?
উত্তর:   হ্যাঁ, মসৃণ তলে ঘর্ষণ কম হয়।

89. তাহলে ভেবে বলো তো পরিশ্রম করলে আমাদের দেহ থেকে কী খরচ হয়ে যায় যার জন্য আমাদের কাজ করার সামর্থ্য কমে যায়?

উত্তর:  বল বা শক্তি।

iii অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলেও কি তোমার এমন হয়?

উত্তর:  হ্যাঁ।

iv তখন কাজ করার সামর্থ্য কি তোমার থাকে?

উত্তর: না।

90. একটা পোড়া মাটির ভাঁড় (মিষ্টির ভাঁড়) নাও। একটা পাথর দিয়ে ভাঁড়টিকে স্পর্শ করো। ভাঁড়ের কি কোনো ক্ষতি হল বা সরে গেল?

উত্তর:  ভাঁড়ের কোনো ক্ষতি হল না বা সরেও গেল না।

91. এবার ভাঁড়টিকে মাটির ওপর রেখে দূর থেকে জোরে ভাঁড়টিকে লক্ষ করে ওই পাথরটাকে ছুঁড়ে মারো। এবার কি ভাঁড়টি ভেঙে গেল অথবা সরে গেল?

উত্তর:  হ্যাঁ, পাথর ছুঁড়ে মারায় ভাঁড়টি ভেঙে গেল।

92. প্রথম ক্ষেত্রে ভাঁড়ের কোনো ক্ষতি হয়নি, কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে হল কেন?

উত্তর:  এইরূপ ঘটনা ঘটে গতিশক্তির জন্য, প্রথম ক্ষেত্রে পাথরটার মধ্যে কোনো গতিশক্তি না থাকায় ভাঁড়ের কোনো ক্ষতি হয়নি, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে পাথর ছুঁড়ে মারায় পাথরের মধ্যে গতিশক্তি ছিল। তাই ভাঁড় ভেঙে গেল।

93. তাহলে কি পাথরটির গতিই পাথরটির মধ্যে বাড়তি সামর্থ্য জুগিয়েছিল?

উত্তর: হ্যাঁ, পাথরটির গতিই পাথরটির মধ্যে বাড়তি সামর্থ্য জুগিয়েছিল।

94. এক বালতি জল নাও। এবার বালতিটি হেলিয়ে ওই জল নরম মাটিতে বা বালির ওপর ঢেলে দাও। মাটিতে বা বালির ওপর কি গর্ত তৈরি হল?

উত্তর: না।

95. এবার জলসুদ্ধ বালতিটা বেশ কিছুটা ওপরে তুলে বালতি থেকে নরম মাটির ওপর ক্রমাগত জল ঢালতে থাকো। কী দেখতে পেলে?

উত্তর: জল ঢালার জায়গায় গর্ত হল।

96 এবার কি জল ঢালার জায়গাটা গর্ত হয়ে গেল। কেন হল?

উত্তর:  হ্যাঁ, কারণ গতিশক্তির জন্য।

97. একটি লাঠিকে ‘ঢাক’ বা টেবিলের ওপর স্পর্শ করে দ্যাখো কোনো শব্দ উৎপন্ন হচ্ছে কি?

উত্তর:  না, একটি লাঠিকে ‘ঢাক’ বা ‘টেবিলের’ ওপর স্পর্শ করাতে কোনো শব্দ উৎপন্ন হয়নি।

98. এবার লাঠিটি দিয়ে ‘ঢাক’ বা ‘টেবিলের’ ওপর আঘাত করো। এবার ‘শব্দ’ উৎপন্ন হল কি? কেন?

উত্তর:  হ্যাঁ, শব্দ উৎপন্ন হল। কারণ, লাঠিটি দিয়ে ঢাক-এর ওপর আঘাত করায় যান্ত্রিক শক্তি, শব্দ শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

99.  ঘণ্টা বাজানো হচ্ছে, তবলা বাজানো হচ্ছে, রেললাইনের ওপর দিয়ে রেলগাড়ি যাওয়ার সময় ঘড়ঘড় শব্দ উৎপন্ন হচ্ছে, তুমি হাততালি দিচ্ছ।

উত্তর:  হ্যাঁ, যান্ত্রিক শক্তি শব্দশক্তিতে, ৪ হ্যাঁ, যান্ত্রিক শক্তি শব্দশক্তিতে, হ্যাঁ, যান্ত্রিক শক্তি শব্দশক্তিতে, শক্তি শব্দশক্তিতে। হ্যাঁ, যান্ত্রিক

100. এরকম তোমরা তোমাদের চারপাশের পরিবেশে দেখা আরও ঘটনা নিয়ে আলোচনা করো।

উত্তর:  i) বৈদ্যুতিক পাখার সুইচটা অন করো, পাখাটি কি চলতে আরম্ভ করল?

101. পাখাটির সুইচ এবার ‘অফ’ করে দাও। পাখাটির চলা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল কেন?

উত্তর:  সুইচ অফ করায় পাখায় বৈদ্যুতিক শক্তির সরবরাহ বন্ধ হল। তাই যান্ত্রিক শক্তি পাওয়া গেল না এবং পাখাটির চলা বন্ধ হয়ে গেল।

102.  তাহলে পাখাটির সুইচ ‘অন’ করলে কোন্ শক্তি পাখাটিতে সরবরাহ হয়? সুইচ অফ করলে সেই শক্তি সরবরাহ কি  বন্ধ হয়ে যায়?

উত্তর:  বৈদ্যুতিক শক্তি। হ্যাঁ, বৈদ্যুতিক শক্তির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

103.  বালব বা টিউবের সুইচ ‘অন’ করলে বালব বা টিউব জ্বলে অর্থাৎ আলো দেয়। এক্ষেত্রে কোন্ শক্তি কোন্ শক্তিতে রূপ বদলাতে পারে?
উত্তর:   বৈদ্যুতিক শক্তি থেকে আলোক শক্তিতে রূপ বদলাতে পারে।

104. একটি রাবার ব্যান্ড নাও। এবার দু-পাশ থেকে টান দাও। কী দেখতে পেলে?

 উত্তর:   রাবার ব্যান্ডটা লম্বা হল অর্থাৎ বেড়ে গেল।

105. রাবার ব্যান্ড প্রসারিত হল কেন?

উত্তর:  বলপ্রয়োগের ফলে এবং স্থিতিস্থাপতার জন্য রাবার ব্যান্ড প্রসারিত হয়।

106. একটি স্পঞ্জ-এর টুকরো নাও। এখন স্পঞ্জটিকে হাতের তালুর ওপর রাখো। এবার হাত জোরে মুঠো করো। হাত মুঠো করার পর স্পঞ্জটির কী হল?

উত্তর:  চুপসে গেল বা সংকুচিত হল।

107. স্পঞ্জ চুপসে গেল কেন?

উত্তর:  স্পঞ্জ স্থিতিস্থাপক এবং বল প্রয়োগের ফলে চুপসে গেল।

108.  এবার একটি স্প্রিং নাও। স্প্রিং-এর দু-পাশ থেকে ছবির মতো চাপ দাও। কী দেখতে পেলে? স্প্রিংটার আকৃতির কী পরিবর্তন হল?

উত্তর: হ্যাঁ, স্প্রিংটার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হল।

109. এখন ছবির মতো করে স্প্রিংটাকে দু-পাশ থেকে টান দাও। কী দেখতে পেলে? স্প্রিংটা কি প্রসারিত হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে গেল?
 উত্তর:    দেখতে পেলাম স্প্রিংটা প্রসারিত হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে গেল।

Short Question Answer

1.  স্থিতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তুর অবস্থান, তার চারপাশের অন্যান্য বস্তুর সাপেক্ষে ও সময়ের সঙ্গে যদি পরিবর্তিত না হয়, তাহলে সেই বস্তুকে স্থির বস্তু বলা হয়। আর স্থির বস্তুর এই অবস্থাকে স্থিতি বলে।

2. পরম স্থিতি ও পরম গতি বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পরম স্থিতি: পরম স্থির কোনো বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তু স্থির থাকলে তার স্থিতিকে পরম স্থিতি বলে।

পরম গতি: পরম স্থির কোনো বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তু গতিশীল থাকলে তার গতিকে পরম গতি বলা হয়।

3. বল কাকে বলে?

উত্তর: বল হল একটি ভৌত রাশি, যা কোনো বস্তুর স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার বা সেই বস্তুর আকার এবং আকৃতির অথবা তার গতির অভিমুখ পরিবর্তন করে বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।

4. বল কী ধরনের রাশি?

উত্তর: বল একটি লব্ধ রাশি এবং ভেক্টর রাশি, কারণ বলের মান ও অভিমুখ দুটিই আছে।

5. অভিকর্ষ কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবীর ওপরে বা পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা প্রত্যেক বস্তুকে পৃথিবী তার নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। পৃথিবীর এই আকর্ষণ বলকে অভিকর্ষ বলে।

6. শক্তি কাকে বলে? শক্তি কীভাবে মাপা হয়?

উত্তর: কার্য করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। কোনো বস্তু দ্বারা সম্পাদিত কার্যই ওই বস্তুর শক্তির পরিমাপ। তাই কার্য ও শক্তির একক একই। শক্তি একটি স্কেলার রাশি। শক্তির SI একক হল জুল।

7. গতিশক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: গতিশীল অবস্থায় কোনো বস্তুর মধ্যে কাজ করার যে-সামর্থ্য বা শক্তি আসে, তাকে বলে গতিশক্তি।

উদাহরণ: দীর্ঘ লম্ফন দেওয়ার সময় প্রতিযোগীরা বেশ কিছুটা দৌড়ে এসে তারপর লাফ দেয়। এক্ষেত্রে লাফ দেওয়ার জন্য যে-শক্তির দরকার তা প্রতিযোগী দৌড়োনোর মাধ্যমে অর্জন করে। এই শক্তিই হল গতিশক্তি।

8.  বাঁধের জলে কোন্ শক্তি সঞ্চিত থাকে? ওই জল যখন প্রবাহিত হয় তখন শক্তি রূপান্তরিত হয় কি?

উত্তর:  বাঁধের জলে স্থিতিশক্তি সঞ্চিত থাকে।

হ্যাঁ, বাঁধের জল যখন নীচে প্রবাহিত হয় তখন জলের মধ্যে থাকা স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

9.  আকৃতির জন্য কোনো বস্তুতে স্থিতিশক্তি সঞ্চিত হয় তা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: ঘড়িতে দম দিলে ঘড়ির স্প্রিং গুটিয়ে ছোটো হয়, ফলে আকৃতিগত পরিবর্তনের জন্য স্প্রিং-এর মধ্যে স্থিতিশক্তি সঞ্চিত হয়।

10. শক্তির রূপান্তর কাকে বলে?

উত্তর: শক্তি এক রূপ থেকে অন্য যে-কোনো এক বা একাধিক রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। শক্তির এই পারস্পরিক পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে।

11. শক্তির নিত্যতা সূত্রটি লেখো।

উত্তর: এই বিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ ধ্রুবক। শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। শক্তি শুধুমাত্র এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হতে পারে।

12. তাপশক্তি বলতে কী বোঝো?

উত্তর: যে-শক্তি গ্রহণ করলে কোনো বস্তু সাধারণভাবে গরম হয়ে ওঠে এবং বর্জন করলে বস্তু ঠান্ডা হয়ে যায়, তাকে তাপশক্তি বলে। তাপ একরকম শক্তি কারণ এর রূপান্তর ঘটে এবং এর দ্বারা কাজ করা যায়। তাপ শক্তির প্রভাবে পদার্থের ভৌত- রাসায়নিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।

   উদাহরণ: তাপ দিয়ে জলকে বাষ্পে পরিণত করে ইঞ্জিন চালানো হয়।

13. আলোকশক্তি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: যে-শক্তি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গরূপে সাধারণত কোনো বস্তুকে দৃশ্যমান করে তোলে এবং যে-শক্তি কোনো মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে সরলরৈখিক পথে চলে, তাকে আলোকশক্তি বলে। উদাহরণ: সূর্যের আলোয় দিনেরবেলা কোনো বস্তুকে দেখা যায়।

14. তড়িৎশক্তি বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও।

উত্তর: কোনো আহিত কণার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলাচল বা পরিবহণকালে যে-শক্তি পাওয়া যায়, তাকে তড়িৎ শক্তি বলে। তড়িৎ একরকমের শক্তি। এর রূপান্তরের মাধ্যমে অন্য শক্তি পাওয়া যায়।

উদাহরণ: তড়িতের সাহায্যে আলো জ্বলে, মোটর ঘোরে ইত্যাদি।

15. পারমাণবিক শক্তি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় বা ভারী মৌলের (ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম ইত্যাদি) পরমাণু কেন্দ্রকের বিভাজন ঘটালে কিংবা একাধিক হালকা পরমাণুর (হাইড্রোজেন) নিউক্লিয়াসকে সংযুক্ত করলে যে-প্রবল শক্তি পাওয়া যায়, তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে।

উদাহরণ: সূর্যের শক্তির উৎস হল নিউক্লিয় বা পারমাণবিক শক্তি।

16. খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?

উত্তর:  যে-পদ্ধতিতে খাদ্যশক্তি উৎপাদক সবুজ উদ্ভিদ থেকে ক্রমপর্যায়ে খাদ্যখাদক সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন প্রাণীগোষ্ঠীর মধ্যে একমুখে প্রবাহিত হয়, সেই শক্তিপ্রবাহের ক্রমিক পর্যায়কে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।

17.  উৎপাদক কাকে বলে?

উত্তর: যে-সমস্ত সবুজ উদ্ভিদ (ক্লোরোফিলযুক্ত) সূর্যালোেক গ্রহণ করে সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে নিজেদের দেহে খাদ্য উৎপন্ন করে খাদ্যশৃঙ্খলের ভিত্তি রচনা করে, তাদের উৎপাদক বলে।

18. প্রথম শ্রেণির খাদক বা প্রাথমিক খাদক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর:  খাদ্যশৃঙ্খলে উৎপাদক সবুজ উদ্ভিদের দেহাংশ খেয়ে যেসব খাদক বেঁচে থাকে, তাদের প্রথম শ্রেণির খাদক বলে। সমস্ত তৃণভোজী বা শাকাশী প্রাণী হল প্রথম শ্রেণির খাদক।

উদাহরণ: ফড়িং, ছাগল, হরিণ ইত্যাদি।

19.  দ্বিতীয় শ্রেণির খাদক বা গৌণ খাদক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: খাদ্যশৃঙ্খলে প্রাথমিক খাদকদের খেয়ে যেসব জীব বেঁচে থাকে, তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির খাদক বা গৌণ খাদক বলে। দ্বিতীয় শ্রেণির খাদক বা গৌণ খাদক সাধারণত মাংসাশী প্রাণীরা হয়ে থাকে। উদাহরণ: ব্যাং, ছোটো মাছ ইত্যাদি।

20. পুষ্টিস্তর বা ট্রফিক লেভেল কাকে বলে?

উত্তর: খাদ্য পিরামিডের এক-একটি ধাপ বা খাদ্যশৃঙ্খলের সঙ্গে পুষ্টির ক্রমপর্যায় অনুসারে যুক্ত প্রত্যেকটি স্তরকে পুষ্টিস্তর বলে। পুষ্টিস্তর উৎপাদক থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ শ্রেণির খাদক পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

21. খাদ্য পিরামিড কাকে বলে?

উত্তর: খাদ্যশৃঙ্খলে বিভিন্ন ট্রফিক লেভেল বা পুষ্টিস্তরগুলিকে ক্রমিক পর্যায়ে সাজিয়ে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করলে যে-পিরামিডাকৃতি গঠন তৈরি হয়, তাকে খাদ্য পিরামিড বলে।

22.  শক্তিসংকট বলতে কী বোঝো?

উত্তর: শক্তির বিপুল চাহিদা মেটানো হয় শক্তির প্রচলিত উৎস তথা অনবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস যথা-কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। কিন্তু এর ফলে এদের মজুত ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। সম্পূর্ণ নিঃশেষিত হয়ে গেলে পৃথিবী এক গভীর সংকটের সম্মুখীন হবে। এটিই হল শক্তিসংকট।

23.  সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যায় এমন চারটি যন্ত্রের নাম লেখো।

উত্তর: সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যায় এমন চারটি যন্ত্রের

নাম- সোলার কুকার, ৮ সোলার ওয়াটার হিটার, সোলার ড্রায়ার এবং সোলার লণ্ঠন বা সৌরলণ্ঠন।

24. ঘর্ষণ বল কাকে বলে?

উত্তর: একটি বস্তুর পৃষ্ঠতলের ওপর দিয়ে যখন অন্য একটি বস্তু গতিশীল হয় বা গতিশীল হতে উদ্যত হয়, তখন ওই দুই বস্তুর স্পর্শতলে একরকম প্রতিক্রিয়া বলের সৃষ্টি হয়, যা বস্তুর গতির বিরুদ্ধে কাজ করে। এই প্রতিক্রিয়া বল বা বিরুদ্ধ বলকে ঘর্ষণ বল বলে।

25. তোমার হাত থেকে এক বালতি সাবানগোলা জল মেঝেতে পড়ে গেলে হাঁটা সহজ হবে না কষ্টকর হবে? কেন?

উত্তর: হাঁটা কষ্টকর হবে, কারণ, এতে মেঝে মসৃণ হয়ে ঘর্ষণ বল খুব কমে যাবে, আবার ঘর্ষণ বল খুব কম থাকলে হাঁটা কষ্টকর হবে।

26.  খেলোয়াড়দের জুতোর তলা খাঁজকাটা হয় কেন?
উত্তর: খেলোয়াড়রা খাঁজকাটা জুতো পরে কারণ তারা দৌড়োবার সময় বা খেলার সময় মাটির ওপর চাপ দিয়ে থাকে। এর ফলে জুতোর তলের খাঁজকাটা অংশের সঙ্গে মাটির উপরিতলের মধ্যে ঘর্ষণ বল বেড়ে যায়, যার ফলে খেলোয়াড়রা সহজে দৌড়োতে বা খেলতে পারে।

27. প্রাণীজ উৎসের খাবারগুলি যে যে প্রাণীর দেহ থেকে আসে সেই প্রাণীদের মধ্যে যারা সরাসরি উদ্ভিদ খায় এসো তাদের তালিকা তৈরি করি।

উত্তর:  মাছ → মাছ

 দুধ  → গোরু, ছাগল, মহিষ

 ডিম → হাঁস, মুরগি

 মাংস → গোরু, ছাগল, হরিণ, মহিষ, ভেড়া এইসব প্রাণীগুলি সরাসরি উদ্ভিদ খায়।

28. ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার মাঠে বল প্রয়োগের এমন উদাহরণ খুঁজে পাও কি না আলোচনা করো।
উত্তর:  ক্রিকেট খেলার মাঠে ব্যাটসম্যান যে বল মারে তা আটকাতে ফিল্ডারকে, বল করতে যাওয়া বোলারকে এবং ব্যাটসম্যানকে ব্যাট দিয়ে বলের ওপর বল প্রয়োগ করে। অনুরূপভাবে, ফুটবল মাঠেও গোলকিপারকে বল ধরতে বা ছুঁড়তে, অন্যান্য খেলোয়াররা বলকে থামাতে কিংবা শট নেওয়ার সময় বল প্রয়োগ করে।

Long Question Answer

1. গতি কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেক প্রকারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তর:  গতি তিন প্রকার, যথা- রৈখিক গতি, বৃত্তীয় বা আবর্তন গতি ও ঘূর্ণন গতি।

রৈখিক গতি: কোনো বস্তু যদি সরলরেখা বরাবর একই দিকে গতিশীল থাকে তাহলে তার গতিকে রৈখিক গতি বলে।

উদাহরণ: সোজা রাস্তায় মোটরগাড়ি বা ট্রেনের দিক পরিবর্তন না করে গতিশীল থাকা। ⑧ বাড়ির ছাদ থেকে উল্লম্বভাবে অবাধে পতনশীল ইটের গতি।

 বৃত্তীয় বা আবর্তন গতি: কোনো বস্তু একটি বিন্দু ও অক্ষকে কেন্দ্র তার থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখে গতিশীল থাকলে তার গতিকে বৃত্তীয় বা আবর্তন গতি বলে।

উদাহরণ: স্থির কেন্দ্র সাপেক্ষে নাগরদোলার গতি, সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর প্রদক্ষিণের গতি।

ঘূর্ণন গতি: একটি বিস্তৃত বস্তুর নিজে অক্ষের সাপেক্ষে অবস্থান পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র দিক পরিবর্তনকে বলা হয় ঘূর্ণন আর ওই গতিকে বলা হয় ঘূর্ণন গতি।

উদাহরণ: লাটিমের গতি, পৃথিবীর নিজের অক্ষের সাপেক্ষে আবর্তন গতি হল ঘূর্ণন গতি।

2. শক্তির বিভিন্ন রূপগুলি লেখো।

উত্তর: শক্তির প্রভাবে পদার্থের বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ করে শক্তিকে প্রধানত আট ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

যান্ত্রিক শক্তি, তাপশক্তি, আলোকশক্তি, চৌম্বকশক্তি, শক্তি। বিদ্যুৎশক্তি, রাসায়নিক শক্তি, শব্দশক্তি, পারমাণবিক

3. যান্ত্রিক শক্তি কাকে বলে? এই শক্তি কত প্রকার? প্রত্যেক প্রকারের সংজ্ঞা-সহ উদাহরণ দাও।

উত্তর: কোনো বস্তু তার গতি, অবস্থান বা আকৃতির জন্য যে-শক্তির অধিকারী হয়, তাকে যান্ত্রিক শক্তি বলে।

যান্ত্রিক শক্তি দু – প্রকার, যথা- গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তি।

গতিশক্তি: কোনো গতিশীল বস্তু তার গতির জন্য যে-শক্তির অধিকারী হয়, তাকে গতিশক্তি বলে।

উদাহরণ: লং জাম্প দেওয়ার সময় প্রতিযোগী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে লাফ দেয়। দৌড়োনোর জন্য প্রতিযোগী গতিশক্তি লাভ করে, ফলে বেশি দূরে লাফ দিতে পারে।

॥ স্থিতিশক্তি: স্বাভাবিক অবস্থান বা আকৃতির পরিবর্তনের ফলে স্থিতিশীল বস্তুতে যে-শক্তি জমা হয়, তাকে স্থিতিশক্তি বলে।
উদাহরণ: স্প্রিং ঘড়িতে দম দিলে স্প্রিং-এর অবস্থাগত পরিবর্তন হয় বলে তা ঘড়ির কাঁটা ঘোরাতে পারে অর্থাৎ কার্য করে।

5. সৌরশক্তির অন্য শক্তিতে রূপান্তরের তিনটি উদাহরণ দাও। অথবা, দৈনন্দিন জীবনে সৌরশক্তির কয়েকটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তর: সৌরশক্তি নানাভাবে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যেমন-

i সৌরশক্তির রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর: সবুজ গাছপালা সৌরশক্তির সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে

খাদ্য (গ্লুকোজ) তৈরি করে। এভাবে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

ii সৌরশক্তির তড়িৎশক্তিতে রূপান্তর: সৌরকোশে বিভিন্ন অর্ধপরিবাহী ধাতুর সাহায্যে সৌরশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যার সাহায্যে আলো জ্বলে, পাখা ঘোরে।

iii সৌরশক্তির তাপশক্তিতে রূপান্তর: সৌরচুল্লিতে সৌরশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এর সাহায্যে রান্না করা যায়।

iv সৌরশক্তির সাহায্যে শস্য, ভিজে জামাকাপড় প্রভৃতি শুষ্ক করা হয়।

6. তড়িৎশক্তির অন্য শক্তিতে রূপান্তরের যে-কোনো তিনটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: তড়িৎশক্তির অন্য শক্তিতে রূপান্তর:

i তড়িৎশক্তি থেকে তাপশক্তি: বৈদ্যুতিক হিটার, ইস্ত্রি প্রভৃতি যন্ত্রে তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

iⅱ তড়িৎশক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখায় বিদ্যুৎ পাঠালে পাখাটি ঘুরতে থাকে। এ ছাড়া মোটর চালালে তড়িৎশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

iii তড়িৎশক্তি থেকে আলোকশক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বে বিদ্যুৎ পাঠালে বাল্বটি জ্বলে ওঠে এবং আলো দেয়।

7. একটি বলকে বাড়ির ছাদ থেকে নীচে ছেড়ে দেওয়া হল। নিম্নলিখিত অবস্থায় বলটিতে কী শক্তি আছে বলো। ① বলটি ছেড়ে দেওয়ার পূর্বমুহূর্তে, বলটি কিছুদূর নামার পর, বলটি মাটি স্পর্শ করার পূর্বমুহূর্তে, বলটি মাটি স্পর্শ করার পর।

উত্তর: বলটি থেকে শক্তি উৎপাদন নিম্নলিখিতভাবে হয়-

। বলটি ছেড়ে দেওয়ার পূর্বমুহূর্তে: স্থিতিশক্তি সর্বোচ্চ, গতিশক্তি শূন্য।

iⅱ বলটি কিছুদূর নামার পর স্থিতিশক্তি কমে, গতিশক্তি বাড়ে। iii বলটি মাটি স্পর্শ করার পূর্বমুহূর্তে গতিশক্তি সর্বোচ্চ, স্থিতিশক্তি শূন্য।

iv বলটি মাটি স্পর্শ করার পর স্থিতি ও গতিশক্তি উভয়ই শূন্য। যান্ত্রিক শক্তি, তাপশক্তি ও শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

8. সূর্যকে শক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলা হয় কেন?

উত্তর: সূর্যই শক্তির প্রধান উৎস। পৃথিবীর সব শক্তিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সূর্য থেকে আসে, যেমন-

। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে, যা রাসায়নিক বা স্থৈতিক শক্তিরূপে উদ্ভিদ ও প্রাণীদের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

॥ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে সঞ্চিত শক্তি তাদের মৃত্যুর পর ‘ভৌত-রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হয়, যা থেকে তাপবিদ্যুৎশক্তি ও অন্যান্য শক্তি পাওয়া যায়। এই শক্তিরও পরোক্ষ উৎস সূর্য।

iii জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ, জোয়ারভাটার শক্তির মাধ্যমে উৎপন্ন বিদ্যুৎশক্তির মূলেও আছে সূর্য।

iv পৃথিবীতে বায়ুপ্রবাহ, জলচক্র, জোয়ারভাটা নিয়ন্ত্রণেও সূর্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

9. শক্তির রূপান্তরের ব্যাবহারিক প্রয়োগের যে-কোনো তিনটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: শক্তির রূপান্তরের ব্যাবহারিক প্রয়োগ:

। কয়লা পুড়িয়ে তাপশক্তি উৎপাদন করা হয় ও এর সাহায্যে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে নানান কার্য সম্পন্ন হয়।

॥ বৈদ্যুতিক ঘণ্টা, রেডিয়ো ও টেলিভিশনে তড়িৎ পাঠিয়ে শব্দ শোনা যায়। এক্ষেত্রে তড়িৎশক্তি, শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

iii সোলার কুকার যন্ত্রে সৌরশক্তির তাপশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে রান্না করা হয়।

10. শক্তিশৃঙ্খলে উৎপাদকের গুরুত্ব সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: শক্তিশৃঙ্খলে উৎপাদকের গুরুত্ব:

। উৎপাদকরাই সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তিকে

স্থৈতিক শক্তিরূপে আবদ্ধ করে খাদ্য উৎপাদন করে। এই উৎপাদিত খাদ্যই বিভিন্ন পুষ্টিস্তরের শক্তির একমাত্র উৎস।

॥ উৎপাদকরা সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে খাদ্য তৈরির সঙ্গে অক্সিজেন উৎপাদনও করে।

iii জীবের শ্বাসকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উৎপাদকের মাধ্যমেই আসে।

iv উৎপাদকরা CO₂ শোষণ করে (সালোকসংশ্লেষে) পরিবেশে ০₂ ও CO₂-এর ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে।

• উৎপাদক সবুজ উদ্ভিদরাই খাদ্যশৃঙ্খল ও খাদ্য পিরামিডের ভূমি বা ভিত্তিস্তর গঠন করে।

11. খাদ্যশৃঙ্খলের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: খাদ্যশৃঙ্খলের বৈশিষ্ট্য:

। সবুজ উদ্ভিদ উৎপাদক হিসেবে খাদ্যশৃঙ্খলের প্রাথমিক স্তর গঠন করে।

ii খাদ্যশৃঙ্খলের ভূমি থেকে ক্রমশ ওপরের দিকে জীবের সংখ্যার হ্রাস ঘটে।

iii খাদ্যশৃঙ্খলের যতই ওপরের দিকে যাওয়া যায়, ততই জীবের আকৃতি সাধারণত বড়ো হয়।

iv খাদ্যশৃঙ্খলে খাদ্যস্তরের সংখ্যা সাধারণত 2 থেকে 6 হয়। সৌরশক্তির প্রবাহের বাইরে এলে খাদ্যশৃঙ্খলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়।

vi খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমেই এক জীব থেকে অন্য জীবে পর্যায়ক্রমে শক্তি প্রবাহিত হয়।

12. খাদ্য পিরামিড বা বাস্তুসংস্থানগত পিরামিডের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর: খাদ্য পিরামিড বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন ব্যাখ্যার একটি কল্পিত রূপ। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

। বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের চওড়া ভূমিতে থাকে উৎপাদক, এদের সংখ্যা সবথেকে বেশি।

ii বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের সংকীর্ণ শীর্ষদেশে থাকে সর্বোচ্চ শ্রেণির খাদক।

ii বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের ভূমি থেকে শীর্ষে জীবের আকার বাড়ে, কিন্তু তাদের সংখ্যা কমে।

iv খাদ্য পিরামিডের এক-একটি ধাপে বা পুষ্টিস্তরে গৃহীত শক্তির দশ শতাংশ মাত্র জীবের দেহগঠনের কাজে লাগে।

13. বল কত প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকার একটি করে উদাহরণ-সহ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উদাহরণ: সমস্ত পরভোজী জীব, মানুষ-সহ অন্যান্য প্রাণী।

উত্তর: প্রকৃতি বা ধর্মের ভিত্তিতে বল প্রধানত দু-ধরনের হয়, যথা- ① স্পর্শজনিত বা সংযোগ বল (Contact force); যেমন-ঘাত, টানা, ধাক্কা, ঘর্ষণ বল ইত্যাদি। ক্ষেত্রবল বা অসংযোগ বল (Non-contact/Field force) ।

(i) স্পর্শজনিত বল: ঠেলা বা ঘাত বল: পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে একটি বস্তু অপর একটি বস্তুর ওপর যে- বল প্রয়োগ করে থাকে, তাকে ঠেলা বা ঘাত বল বলা হয়। একটি ভারী বই টেবিলের ওপর থাকলে সেটি টেবিলের ওপর ওজনজনিত বল প্রয়োগ করে। আবার একইসঙ্গে তার ওপর লম্ব প্রতিক্রিয়া বল সৃষ্টি করে। যেমন-চুম্বকীয় বল, মহাকর্ষীয় বল ইত্যাদি।

(ii) ক্ষেত্রবল: চুম্বকীয় বল: একটি চুম্বকের কাছাকাছি লোহার পেরেক বা আলপিন রাখলে কিছুটা দূর থেকেও সেটি আকর্ষণ করতে পারে। এই আকর্ষণ বল একটি স্পর্শহীন ক্ষেত্রবল।

14. বলের প্রভাব বা ফলাফল সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তর:  বলের প্রভাব:

(i) বলের দ্বারা কোনো বস্তুর স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।

(ii) বলের প্রভাবে বস্তুর আকার, আকৃতি ও আয়তনের পরিবর্তন ঘটে।

(iii) বলের প্রভাবে কোনো বস্তুর সংকোচন বা প্রসারণ ঘটতে পারে।

(iv) কোনো বস্তুর গতির অভিমুখ বা দ্রুতির বা বস্তুর সাম্যাবস্থার পরিবর্তন ঘটে।

15. ঘর্ষণের উৎপত্তির কারণ আলোচনা করো।

উত্তর: তলের প্রকৃতি ঘর্ষণের ওপর প্রভাব ফেলে, তলের মসৃণতা যত বেশি হয় ঘর্ষণ তত কম হয়, কোনো তলকে আপাতদৃষ্টিতে মসৃণ মনে হলেও তা মসৃণ হয় না। এই কারণে-

। দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থাকলে তারা পরস্পরের খাঁজে আটকে গিয়ে ঘর্ষণের সৃষ্টি করে।

॥ স্পর্শবিন্দুগুলিতে দুটি তলের অণুগুলি এত কাছাকাছি চলে আসে যে অণুগুলি পরস্পরের ওপর বল প্রয়োগ করে ও ঘর্ষণের উৎপত্তি হয়।

16. ঘর্ষণ বলের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: ঘর্ষণ বলের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য:

(i)ঘর্ষণ বল একটি স্পর্শজনিত বা সংযোগ বল।

(ii) ঘর্ষণ বল একটি স্বনিয়ন্ত্রক বল।

(iii) ঘর্ষণ বল একটি প্রতিক্রিয়া বল কারণ এটি বস্তুর গতির বিপরীত দিকে কাজ করে।

(iv) ঘর্ষণ বল দুটি তলের মধ্যে ক্রিয়াশীল থাকে। এবং তারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে একে অপরকে ঘর্ষণ বল প্রদান করে।

(v) তলের প্রকৃতি ঘর্ষণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।

(vi) ঘর্ষণের ফলে উন্নতা বাড়ে ও বস্তুর ক্ষয় হয়।

17. প্রাণীরা খাবার কেন খায়? শক্তি পাওয়ার জন্য। আচ্ছা বলোতো প্রথম ধাপে উদ্ভিদের দেহে যা শক্তি জমা ছিল ঘাস ফড়িংরা উদ্ভিদদের খাবার হিসেবে গ্রহণ করে কি সেই শক্তি পুরোটাই পায়? আবার একটা ঘাসফড়িং-এর দেহে যতটা শক্তি জমা আছে, একটা ব্যাং ওই ঘাস ফড়িংকে খেয়ে কি সেই শক্তির পুরোটাই পাচ্ছে। তোমার কী মনে হয় তা খাতায় লেখো।

উত্তর: না। পুরো শক্তি পায় না।

• তেবে লেখার চেষ্টা করো:

। এক পুষ্টিস্তর থেকে পরবর্তী পুষ্টিস্তরে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সময়, শক্তির একটি অংশ নানান শারীরবৃত্তীয় কাজে খরচ হয়। শক্তির এই অংশটুকু আর পরের পুষ্টিস্তরে পৌঁছোতে পারে না।

II পুষ্টিস্তরের অন্তর্গত জীবরা মরে যায়। মরার পর পচাগলা মৃতদেহ মাটিতে মিশে গেলে পরবর্তী পুষ্টিস্তরের জীবরা ওই শক্তি ব্যবহার করতে পারে না।

III  বিভিন্ন প্রাণীর শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য শক্তি ব্যয় হয় 50 শতাংশ।

IV  বাকি 10 শতাংশ তাদের দেহগঠনে সাহায্য করে।

V  আলোকশক্তি সবসময় একমুখী।

VI  প্রতিটি খাদ্যস্তরে প্রাণীদের সংখ্যার পরিমাণ কম।

VII  যদি একটি সিংহ 100 কেজি মাংস খায় তবে 90 কেজি শারীরবৃত্তীয় শক্তির জন্য এবং 10 কেজি দেহ গঠনে সাহায্য করে।

Fill in the blanks

1. কার্য করার সামর্থ্যকে —————– বলে ।

উত্তর: শক্তি

2. শক্তির অপর একটি রূপ হল ——————– ।

উত্তর: ভর

3. কৃত্রিম উপগ্রহে 10kg ভরের একটি বস্তুর ওজন ————– হবে।

উত্তর: শূন্য

4. কয়লা, পেট্রোল, প্রাকৃতিক গ্যাস ——————শক্তির উৎস।

উত্তর: অনবীকরণযোগ্য

5. পোড়াচুনে জল দিলে —————, ——————– রূপান্তরিত হয়।

উত্তর: রাসায়নিক শক্তি, তাপশক্তিতে

6. পৃথিবীতে শক্তির প্রধান উৎস হল ——————- ।

উত্তর: সূর্য

7. বাঁধে যে-জল জমা থাকে তার মধ্যে সঞ্চিত শক্তি হল ———————– ।

উত্তর: স্থিতিশক্তি

৪. আকৃতিগত পরিবর্তনের ফলে বস্তুতে —————- সঞ্চিত হয়। 

উত্তর: স্থিতিশক্তি

9. যেসব বস্তুর অবস্থান ——————- সঙ্গে পরিবর্তিত হয়, তাদের ————————-বস্তু বলে।

উত্তর:  সময়ের; গতিশীল

10. গাড়িতে চাকা ব্যবহার করা হয় ঘর্ষণ ——————– জন্য।

উত্তর: কমানোর

11. গাড়ির টায়ার খাঁজকাটা থাকে ————————বাড়ানোর জন্য।

উত্তর: ঘর্ষণ 

12. বেশি মসৃণ কাগজে লেখা ———————-।

উত্তর: শক্ত

13. হাতে হাত ঘষলে তাপ উৎপন্ন ——————হয় জন্য।

উত্তর: ঘর্ষণের

14. ঘর্ষণ বল অপচয় করে ——————— ।
উত্তর: শক্তির

1. ——————- হল এমন একটি প্রাণী যা খাদ্যশৃঙ্খলে উৎপাদক

ছাড়া আর সব স্তরেই থাকতে পারে।

উত্তর: মানুষ।

2. তুমি যখন জামা বা ব্যাগের চেন আটকাও তখন যে-বল প্রয়োগ করো, তাকে ————————বল বলা হয়।

উত্তর:  টানা।

3. নিজের দেহে নিজেই খাদ্য উৎপন্ন করে বলে উদ্ভিদকে বলা হয় ———————- ।
উত্তর: উৎপাদক।

True and False

1. কোনো স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে শক্তি প্রয়োগ করা হয়। ✔

2. কোনো বস্তু সময়ের সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করলে তাকে গতিশীল বস্তু বলে। ✔

3. অবস্থান বা আকৃতির পরিবর্তনের ফলে কোনো বস্তুতে স্থিতিশক্তি জমা হয়। ✔

4. পরভোজীরা খাদ্য উৎপাদনে অক্ষম। ✔

5. গাছ থেকে ফুল তোলা একটি টানা বল। ✔

6. অভিকর্ষ একটি স্পর্শহীন বল। ✔

7. কাজ করার সামর্থ্যই হল বল। ✘

৪. তির ছোড়ার সময় ধনুকের গতিশক্তি তিরের মধ্যে স্থিতিশক্তি হিসেবে থাকে। ✘

9. পৃথিবীতে সমস্ত প্রাণীর খাদ্যের উৎস সবুজ উদ্ভিদ। ✔

10. জলবিদ্যুৎ শক্তি তৈরিতে সূর্যের কোনো ভূমিকা নেই। ✘

11. ঘর্ষণ বল থাকার জন্য শক্তির অপচয় হয়। ✔