WBBSE Class 4 Amader Paribesh Chapter 7 Solution | Bengali Medium

Class 4 Chapter 7 Solution

জীবিকা ও সম্পদ

Very Short Quetion Answer

১। দিঘা কী চাষের জন্য বিখ্যাত?

উত্তর: কাজুবাদাম।

২। ম্যাল কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: দার্জিলিং-এ।

৩। জঙ্গলের কাঠ থেকে কী কী জিনিস তৈরি হয়?

উত্তর: আসবাবপত্র, প্যাকিং বাক্স ইত্যাদি।

৪। দাৰ্জিলিং-এ চাষ হয় এমন একটি সবজিব় নাম কব়ো ।

উত্তর: স্কোয়াশ।

৫। কোন্ জীবিকা আমাদের রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায়?

উত্তর: চাষ করা, মাছ ধরা।

৬। দার্জিলিং-এ কী কী চাষ হয়?

উত্তর: দার্জিলিং-এ চা, ধান, স্কোয়াশ, কমলালেবু, নাসপাতি ইত্যাদি চাব হয়।

৭। পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ জেলার বহু মানুষ পাথরের খাদানে কাজ করেন?

উত্তব়: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বহু মানুষ পাথরের খাদানে কাজ করেন।

৮। কয়লা কীভাবে আমাদের রাজ্যে বহু মানুষদে কাজের জোগান দিয়েছে?

উত্তর: কয়লা তোলার কাজকরে অনেক মানুষ সংসার চালায় আবার কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া কলকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনেক মানুষ কাজ করেন।

৯। সমভূমি অঞ্চলের মানুষজন কী কী কাজ করেন?

উত্তর: সমভূমি অঞ্চলের মানুষজন কৃষিকাজ, মাছধরা, ব্যাবসা বা অফিসে চাকরি ইত্যাদি কাজ করেন।

১০। জঙ্গল থেকে কী কী কাজের জিনিস পাওয়া যায়?

উত্তর: জঙ্গল থেকে কাঠ, মধু, পাতা, ঔষধি গাছ ইত্যাদি পাওয়া যায়।মাঠে ধান রোয়ার কাজ

১১। পুতুল কারা তৈরি করেন?

উত্তর:পটুয়ারা।

২। কুম্ভকারদের তৈরি একটি জিনিসের নাম করো।

উত্তর: মনসা ঘট।

৩। মাটির পুতুল তৈরির জন্য কোন্ জায়গা বিখ্যাত?

উত্তর: কুরনগর।

৪। বেত দিয়ে বানানো একটি জিনিসের নাম করো।

উত্তর:  কুলো।

৫। টোপর কী থেকে তৈরি হয়?

উত্তর: শোলা থেকে।

৬। কোন্ নাচের জন্য পুরুলিয়া বিখ্যাত?

উত্তর: ছৌ-নাচ।

৭। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে গাজনের মেলা কোথায় হয়।

উত্তর:  পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে।

১৮। কুম্ভকারেরা কী কী জিনিস তৈরি করেন?

উত্তর: কুম্ভকারেরা মনসা ঘট, লক্ষ্মীর পট, রঙিন ছবি আঁকা হাঁড়ি, কলসি ইত্যাদি তৈরি করেন।

১৯। নকশি কাঁথায় কী কী ফুটিয়ে তোলা হয়?

উত্তর: নকশি কাঁথায় গল্পকথা, বাঘ, সিংহ, হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলা হয়।

২০। তালপাতার সেপাই নামের পুতুল কেমন হয়?

উত্তর: এই পুতুলের পায়ের নীচে কাঠি থাকে। কাঠি দুহাতে ঘোরালেই টুপিপরা সেপাই পুতুল হাত-পা ছুঁড়তে থাকে।

২১। কাঁচামাটি দিয়ে তৈরি দুটি জিনিসের নাম করো।

উত্তর: কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি দুটি জিনিস হল পুতুল ও প্রতিমা।

২২। মালাকার কাদের বলে?
উত্তর: শোলা দিয়ে যারা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন, তাঁদের মালাকার বলা হয়।

২৩। পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি হয় এমন চারটি জিনিসের নাম লেখো। (পাঠ্যবই পৃ. ১০৩) 

উত্তব়: ১। ইট। ২। পুতুল। ৩। কলসি। ৪। গয়না

২৪। পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত দু’রকম শাড়ির নাম করো।

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদের সিল্ক শাড়ি ও ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি বিখ্যাত।

২৫। পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কোথায় ভালো সিল্কের শাড়ি তৈরি হয়?

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে, মুর্শিদাবাদে সিল্কের। ভালো শাড়ি তৈরি হয়।

২৬। আমাদের রাজ্যে সোনা রুপো ছাড়া আর কীয়ে গয়না তৈরি হয়?

উত্তর: আমাদের রাজ্যে সোনা রুপো ছাড়া সুতোর পোড়ামাটির, কাঠের গয়না তৈরি হয়।

২৭। তোমার চেনা চারটি ধাতুর নাম করো।

উত্তর: আমার চেনা চারটি ধাতু হল সোনা, রূপো, লোহ তামা।

২৮। পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ জেলায় ডোকরার কাজ হয়?

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বাঁকুড়া জেলায় ডোকরার কাজ হয়।

২৯। ডোকরা দিয়ে কী কী তৈরি হয়?

উত্তর: ডোকরা দিয়ে ময়ূর, গণেশ, পঞ্চপ্রদীপ, পেঁচা, কাজললতা, চালমাপার কৌটো, সপরিবার মা দুর্গার মূর্তি তৈরি হয়।

৩০। ডোকরা শিল্পীদের কী কী নামে চেনা যায়?

উত্তর: ডোকরা শিল্পীদের মালাহার, স্যাকরা, ঢেপ্পো ইত্যাদি নামে চেনা যায়।

১। চাউমিন তৈরির মূল উপাদান কী?

উত্তর: ময়দা।

২। কাগজ তৈরির একটি উপাদানের নাম করো।

উত্তর: কাঠ।

৩৩। কাগজ তৈরির উপাদান কোথা থেকে পাওয়া যায়?

উত্তর: বন।

৪। রেশম কোন্ প্রাণীর থেকে পাওয়া যায়?

উত্তর: রেশম কীট।

৫। পশম কোন্ প্রাণীর থেকে পাওয়া যায়?

উত্তর: ভেড়া।

৩৬। ময়দা কী কী তৈরিতে কাজে লাগে?

উত্তর: পাউরুটি ও চাউমিন তৈরিতে ময়দা লাগে।

৩৭। কাগজ তৈরির মূল উপাদান কী কী?

উত্তর: কাগজ তৈরির মূল উপাদান হল কাঠ ও বাঁশ।

৩৮। পালিত প্রাণী থেকে কী কী উপাদান আমরা সো থাকি?

উত্তর: পালিত প্রাণী থেকে ডিম, দুধ, মধু, রেশম, পশু ইত্যাদি উপাদান আমরা পেয়ে থাকি।

৩৯। কয়েকটি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদাহরণ দাও।

উত্তর: দুটি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদাহরণ হল, জ্যাম-জেলি তৈরি এবং ধূপ বানানো, আচার তৈরি।

৪০। দুটি বড়ো শিল্পের উদাহরণ দাও।

উত্তর: জাহাজ তৈরি ও মোটরগাড়ি তৈরি হল দুটি বড়ো শিল্পের উদাহরণ।

৪১। রেশম শিল্পের জন্য কোন্ কোন্ জায়গা বিখ্যাত?

উত্তর: মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, মালদার সুজাপুর রেশম শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

৪২। তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত দুটি জায়গার নাম করো।

উত্তর: নদিয়ার নবদ্বীপ ও হুগলির ধনেখালি তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত।

৪৩। মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত দুটি জায়গার নাম লেখো।

উত্তর: মৃৎশিল্পের জন্য কলকাতার কুমোরটুলি ও নদিয়ার কুল্পনঘর বিখ্যাত।

৪৪। গালা শিল্পের জন্য বিখ্যাত দুটি জায়গার নাম করো। 

উত্তর: পুরুলিয়ার ঝালদা ও বাঁকুড়ার সোনামুখী গাছ শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

৪৫. ডোকরার জিনিস বানাতে প্রধানত কোন্ ধাতু লাগে?

উত্তর: পিতল।

৪৬. কোন জেলায় পোড়ামাটির জিনিসপত্র তৈরি হয়?

 উত্তর: বাঁকুড়া জেলায়।

৪৭. রাহুল কোথায় বেড়াতে গিয়ে বেতের তৈরি জিনিসপত্র দেখেছিল?

উত্তর: সিকিম।

৪৮. কোন্ জায়গার মানুষদের বাড়ির দেয়ালে আলপনার মতো বিভিন্ন ছবি আঁকা?

উত্তর: লালমাটির দেশের বনের কাছাকাছি মানুষদের বাড়ির দেওয়ালে।

৪৯. নকশী কাঁথা, পটচিত্র আঁকা এগুলি কী বই পড়ে করা যায়?

উত্তর: না। বংশ পরম্পরায় হাতে-কলমে শিখতে হয়।

৫০। শিল্পকর্মের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: ডোকরার গয়না তৈরি ও পোড়ামাটির মূর্তি বানানো শিল্পকর্মের উদাহরণ।

৫১। লোককথা কী?

উত্তর: লোকের মুখে মুখে যে গল্প ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলি হল লোককথা। এই গল্পগুলিতে উপদেশ থাকে।

৫২। উপদেশ কী?

উত্তর: লোককথা থেকে আমরা কিছু শিক্ষা পাই। এগুলো আমাদের জীবনে পথচলার সাথী হয়। এগুলিই উপদেশ।

৫৩। লোককথার মূল চরিত্র কারা হয়?

উত্তর: লোককথার মূল চরিত্র হয় রাজপুত্র, কোটালপুত্র,রাজকন্যা, দৈত্য-দানব, পশুপাখি।

৫৪। তোমার জানা দুটি পরবের নাম করো।

উত্তর: আমার জানা দুটি পরব হল ভাদু ও টুসু।

৫৫। ছৌ-নাচ কীরকম হয়?

উত্তর: একটা খোলা জায়গায় ছৌ-নাচ হয়। এই নাচে একদল লোক মুখোশ পরে লম্ফঝম্প করে।

৫৬। আদিম মানুষরা কোথায় কোথায় ছবি আঁকত?

উত্তর: আদিম মানুষরা পাহাড়ের গুহার দেয়ালে, ছাদে ছবি আঁকত।

৫৭। আদিম মানুষেরা কী কী দিয়ে ছবি আঁকত?

উত্তর: আদিম মানুষেরা কাঠকয়লার কালি, জন্তু জানোয়ারের চর্বি মেশানো মাটি দিয়ে ছবি আঁকত।

৫৮। আগেকার দিনের মানুষেরা কীসের কীসের ছবি আঁকত?
উত্তর: আগেকার দিনের মানুষেরা গাছপালা, প্রকৃতি, মানুষ, শিকার, পশুপাখির ছবি আঁকত।

৫৯। আদিম মানুষ কী কী জ্বালিয়ে গুহা আলোকিত করত?

উত্তর: আদিম মানুষ কাঠ, খড়কুঠো, জন্তু জানোয়ারের চর্বি জ্বালিয়ে গুহা আলোকিত করত।

৬০. পশ্চিমবঙ্গোর কোথায় রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে?

উত্তর: চিত্তরঞ্জনে রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা আছে।

৬১. পাহাড়ে উৎপাদিত হয় এমন দুটি ফলের নাম লেখো।

উত্তর: পাহাড়ে স্কোয়াশ, নাসপাতি উৎপাদিত হয়।

৬২. পাহাড়ে কেমন ধরনের চাষ হয়?

উত্তর: পাহাড়ে ধাপচাষ পদ্ধতিতে চাষবাস করা হয়। চা, কমলালেবু, স্কোয়াশ ইত্যাদি চাষ হয়।

Short Quetion Answer

১। দার্জিলিং-এর মানুষ কীভাবে সংসার চালান?

উত্তর: দাজিলিং-এর কিছু মানুষ গাড়ি করে পর্যটকদের ঘোরান। আবার কেউ তাদের কাছে খাবার, শীতের পোশাক বিক্রি করেন। কেউ বা ম্যালের আশেপাশের রাস্তায় হাতে তৈরি জিনিস বিক্রি করেন।

২। আমাদের রাজ্যের ভূ-ভাগ কীরকম?

উত্তর: আমাদের রাজ্যের ভূ-ভাগ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। কোনোখানে পাহাড় বা মালভূমি আছে আবার কোনোখানটা হয়তো সমতল। অনেক জায়গায় নদী, সমুদ্র, জঙ্গালও আছে যেটা ভূভাগকে বদলে দিয়েছে।

৩। কয়লা কীভাবে আমাদের রাজ্যে বহু মানুষদে কাজের জোগান দিয়েছে?

উত্তর: কয়লা তোলার কাজকরে অনেক মানুষ সংসার চালায় আবার কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া কলকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনেক মানুষ কাজ করেন।

৪। জঙ্গল এলাকার মানুষজন কী কী কাজ করেন? 

 উত্তর: জঙ্গল এলাকার অনেক মানুষজন জঙ্গল থেকেকাঠ, মধু ইত্যাদি সংগ্রহের কাজ করেন।কেউ কেউ কাঠ চেরাইয়ের কলে কাজ করেন। অনেকে নদীতে মাছধরা, চিংড়ির মীন জোগাড় করা বা নৌকো তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থাকেন।

৫। কী কী জিনিস দিয়ে ছৌ-নাচের মুখোশ তৈরি হয়?

উত্তর: আঠালো মাটি, কাগজের মন্ড, পাতলা কাপড়, আঠা, ধুনো, পাট, গর্জন তেল, নকল চুল, পাখির পালক, রাংতা, পুঁতি, শলমা-চুমকি ও রং দিয়ে ছৌ-নাচের মুখোশ তৈরি হয়।

৬। ডোকরা কী?

উত্তর: কিছু মানুষ মৌ-মোম আর ধুনোর ছাঁচে গলানো পিতল ঢেলে নানা ধরনের জিনিস তৈরি করেন। এই জিনিসগুলো হল ডোকরা। ডোকরার গণেশ, পঞ্চপ্রদীপ ইত্যাদি তৈরি হয়।

৭। এমন কয়েকটি কাজের নাম করো, যা করে মানুষ সংসার চালায়?

উত্তর: কিছু মানুষ কারখানায় কাজ করে সংসার চালান। আবার কেউ কেউ মুড়ি ভেজে বিক্রি করে সংসার চালান। কেউ ছবি আঁকেন। কেউ মিষ্টি তৈরি করে।

৮। ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে?

উত্তর: ছোটো কারখানায় কম যন্ত্রপাতি ও লোকজনেরসাহায্যে তুলনায় কম সংখ্যক জিনিসপত্র তৈরি করাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে। যেমন-রেশম শিল্প।

৯। কুটির শিল্প কাকে বলে?

উত্তর: কুটির অর্থাৎ বাড়ির মধ্যে কম জায়গায় কম যন্ত্রপাতিও লোকজনের সাহায্যে জিনিসপত্র তৈরি করাকে কুটির শিল্প বলে। যেমন-তাঁত শিল্প।

১০। বড়ো শিল্প কাকে বলে?

উত্তর: বড়ো কারখানায় অনেক লোকজন ও যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো জিনিস বেশি পরিমাণে তৈরি করাকে বলে বড়ো শিল্প। যেমন-মোটরগাড়ি তৈরি শিল্প।

১১। পোড়ামাটির মূর্তি তৈরি করতে গেলে প্রথমে কী করতে হবে?

উত্তর: পোড়ামাটির মূর্তি পোড়ানোর সময় যাতে ভেঙে বা ফেটে না যায়। তার জন্য প্রথমে মাটি তৈরি করা শিখতে হবে। তারপর তাকে শুকোতে হবে এবং জানতে হবে কোন্ মাটিকে, কতটা তাপে, কতক্ষণ ধরে পোড়াতে হবে।

১২। শিল্পকর্ম কীভাবে শেখা যায়?

উত্তর: এক-একটা জায়গা এক এক রকমের শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত। তাই শুধু সেখানকার মানুষরাই তার পদ্ধতি জানেন। তাঁরা একটু চেষ্টা করো তো? তুমি অন্যদের হাতে যে যে শিল্পীদের কথা জানলে, ধরে সেই কাজ বা তাদের কাজ সম্বন্ধে আরো কিছু শিল্পকর্ম শিখিয়ে খোঁজখবর নিও তো। দ্যাখো কী দিতে পারেন। কী জানতে পারো।

১৩। ডোকরার জিনিস কীভাবে বানানো হয়?

উত্তর: ডোকরার এক একটা জিনিস বানানোর জন্য এক একরকম ছাঁচ বানাতে হয়। তারপর পিতল বা অন্য ধাতু গলিয়ে সেই ছাঁচের মধ্যে ঢেলে দিতে হয়। তারপর ছাঁচ ভেঙে সেই জিনিসকে বার করে ঘষামাজা করলে ঠিকমতো সেটি তৈরি হয়।

১৪। বেতের জিনিস তৈরি করতে গেলে কী করতে হয়?

উত্তর: বেতের জিনিস তৈরি করতে গেলে বেতকে বাঁকাতে হয়, জুড়তে হয়, পালিশ করতে হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী বেতের ছাল বা পুরো বেত ব্যবহার করতে হয়। আর কতটা গরম করে বেতকে ব্যবহার করতে হবে, সেটাও দেখতে হয়।

১৫. “কে কোথায় থাকেন তার ওপর জীবিকার ধরন অনেকটাই নির্ভর করে” – উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর: বর্ধমান বা রানিগঞ্জে কয়লাখনি আছে বলে কয়লা তোলার কাজও হয়। জলপাইগুড়ির জঙ্গল এলাকায় কাঠ জোগাড় এবং কাঠ চেরাই কলে শ্রমিকের কাজ করেন। সুন্দরবনে মাছধরা, মীন সংগ্রহ, মধু-পাতা জোগাড় করা ইত্যাদি জীবিকা দেখা যায়।

Fill In The Blanks

১। দার্জিলিং-এর পাহাড়ের ধাপে ধাপে———- হয়।

২। দার্জিলিং-এ চাষ হয় এমন একটি ফসল হল————–।

৩। জঙ্গলের কাঠ থেকে আসবাব বা ————বাক্স তৈরি হয়। 

৪। আমাদের রাজ্যে ————সর্বত্র সমান নয়।

৫। দার্জিলিং-এর———– পৃথিবী বিখ্যাত।

উত্তর: ১। চাষবাস। ২। স্কোয়াশ। ৩। প্যাকিং। ৪। ভূ-ভাগ। ৫। চা।

৬।———— জেলায় কয়লাখনি আছে।

৭। রানিগঞ্জে ————-পাওয়া যায়।

৮।———— জেলায় পাথরের খাদান আছে।

৯। কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে————–।

১০। পশ্চিমবঙ্গের —————ও মালভূমি বাদ দিলে বাকিটা————— বা নীচু জলা জায়গা।

উত্তর: ৬। বর্ধমান, ৭। কয়লা, ৮। বাঁকুড়া, ৯। বিদ্যুৎকেন্দ্র,১০। পাহাড়, সমভূমি।

১১।—————-সেপাই একটা মজাদার পুতুল। 

১২। নকশা করা কাঁথাকে আমরা————- বলি।

১৩। একটা ঘর সাজানোর জিনিস হল—————।

১৪। ফুলের সাজি তৈরি হয়—————দিয়ে।

১৫।—————দিয়ে চাঁদমালা তৈরি হয়।

১৬।————মহাভারতের গল্প দিয়ে ছৌ-নাচের কাহিনি তৈরি হয়।

১৭।———–জেলায় ছৌ-নাচের মুখোশ বানানো হয়।

উত্তর: ১১। তালপাতার, ১২। নকশি কাঁথা, ১৩। ছৌ-মুখোশ,১৪। বেত, ১৫। শোলা, ১৬। রামায়ণ, 

১৭। পুরুলিয়া।

১৮। —————–তাঁতিরা তাঁত চালিয়ে শাড়ি তৈরি করেন।

১৯। বিছুপুরী————– শাড়ির জন্য বিষ্ণুপুর বিখ্যাত।

২০। বিষ্ণুপুরী সিল্কে————- কাজ করা থাকে।

২১। সোনা বা রূপো হল—————-।

২২। আমাদের রাজ্যে সোনা-রুপো ছাড়াও————— তৈরি হয়।

উত্তর: ১৮। ফুলিয়ায়, ১৯। সিল্ক, ২০। বালুচরি, ২১। ধাতু, ২২। পোড়ামাটির।

২৩। মৌ-মোম ও ————–ছাঁচে গলানো পিতল ঢেলে ডোকরার মূর্তি বানানো হয়।

২৪। ডোকরা দিয়ে তৈরি হয় এমন জিনিস হল—————।

২৫। ডোকরা শিল্পীদের মালাহার——————- নামে আমরা চিনি।

২৬। আলপনা দেয়ালে ও——————– দেওয়া হয়।

২৭। অনেকে মাটির—————-আঁকেন। কলসি, বা হাঁড়ির গায়ে ছবি

উত্তর: ২৩। ধুনোর, ২৪। পঞ্চপ্রদীপ, ২৫। ঢেপ্পো, ২৬। মেঝেতে, ২৭। সরা।

২৮। শিল্পে————–গুলো নানা ধাপে বদলানো হয়। 

২৯। ————–শিল্পে যন্ত্রপাতি, লোকজন কম লাগে। 

৩০। বাড়ির মধ্যে —————–শিল্পের কাজকর্ম করা হয়।

৩১। তাঁতে————- বোনা ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ।

৩২। নদিয়ার —————মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত।

৩৩।——————জেলার ঝালদা গালা শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

৩৪। —————-তৈরি বড়ো শিল্পের উদাহরণ।

উত্তর: ২৮। উপাদান, ২৯। ক্ষুদ্র, ৩০। কুটির, ৩১। কাপড়, ৩২। কৃষ্ণনগর, ৩৩। পুরুলিয়া, ৩৪। জাহাজ।

৩৫। বিনোদদের বাড়ির বুদ্ধমূর্তি—————– দিয়ে তৈরি।

৩৬। হাতের কাজ হল একরকম——————-।

৩৭। ডোকরার পুতুল —————- অংশ দিয়ে তৈরি হয়।

৩৮। কাঠ বা.—————- খোদাই করতে নানারকম যন্ত্র লাগে।

৩৯। ডোকরার কাজ মানুষজন—————- শিখেছে।

উত্তর: ৩৫। পোড়ামাটি, ৩৬। শিল্পকর্ম, ৩৭। পেতলের, ৩৮। পাথর। ৩৯। বংশানুক্রমিক।

৪০। আমাদের ঠাকুমা,—————— আমাদের গল্প শোনান।

৪১। গল্প শোনা হয় সাধারণত—————– ।

৪২। শোনা গল্পের মূল চরিত্র হয় ————–কোটালপুত্র,রাজকন্যা। 

৪৩। আমাদের শোনা গল্পগুলি হল—————-।

৪৪। লোককথায়—————— থাকে।

উত্তর: ৪০.দিদিমা, ৪১। সন্ধেবেলা, ৪২। রাজপুত্র, ৪৩। লোককথা, ৪৪। উপদেশ।

৪৫। ছৌ-নাচে —————-ব্যবহার হয়।

৪৬। বাউল গানের সঙ্গে নাচের কিছু নির্দিষ্ট ————–ভঙ্গি ও পা চালানোর রীতি আছে।

৪৭। উত্তরবঙ্গে —————রাভাদের অসাধারণ নাচ আছে।

৪৮। ঝুমুর নাচ—————. বীরভূম, বাঁকুড়া জেলায় দেখা যায়। 

৪৯। বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলাকে একসঙ্গে বলে—————–।

৫০। মালদার————–পালা বিখ্যাত।

উত্তর: ৪৫। মুখোশ, ৪৬। মুদ্রা, ৪৭। মেচ, ৪৮। পুরুলিয়া, ৪৯। রাঢ়বঙ্গ, ৫০। ঝুমুর।

৫১। আগে মানুষ পাহাড়ের ————— দেয়ালে ছরি আঁকত।

৫২। মানুষ ছবি আঁকতে————— কালি ব্যবহার করত।

৫৩। গুহার দেয়ালে———– বল্লা হরিণের ছবি দেখা যায়।

৫8।———— ডিমের খোলায় আঁকিঝুঁকির কাজ পাওয়া গেছে।

৫৫। আমাদের দেশে————– গুহায় অনেক ছবি পাওয়া গেছে।

৫৬। অজন্তার গুহার দেয়ালে ————– মানুষের রোজকার জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে।

৫৭। আদিম মানুষ————- হরিণ শিকার করত।

উত্তর: ৫১। গুহার, ৫২। কাঠকয়লার, ৫৩। ভালুক, ৫৪। উটপাখির, ৫৫। অজন্তা, ৫৬। সাধারণ। ৫৭। বলগা।

True And False

১. কাজুবাদাম পাওয়া যায়-দার্জিলিং-এ/দিঘাতে/মুর্শিদাবাদে।

২. দার্জিলিং-এর জলবায়ু বেশ গরম/ঠান্ডা/নাতিশীতোয়।

৩. মানুষজন টয়ট্রেনে ও জিপে/ঘোড়ায় ও জিপে/প্লেনে করে দার্জিলিং-এ আসেন।

৪. দার্জিলিং-এর ম্যালে/স্টেশনে/জঙ্গলে হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি হয়।

৫. দার্জিলিং-এর একটি ফল হল-নারকেল/স্ট্রবেরি, কমলালেবু।

উত্তর: ১। দিঘাতে। ২। ঠান্ডা। ৩। টয়ট্রেন ও জিপে ৪। ম্যালে,। ৫। কমলালেবু।

৬. জঙ্গল এলাকায় কাঠ চেরাই হয়।

৭. বীরভূম জেলায় জঙ্গল আছে।

৮. জঙ্গল এলাকায় চিংড়ির মীন ধরা হয়।

৯. জঙ্গল এলাকায় নৌকো তৈরিও একটা জীবিকা।

উত্তর: ৬।✓। ৭।x।৮।✓। ৯।✓। 

১০। পুতুল তৈরি করেন (কামারেরা/কুমোরেরা/পটুয়ারা)।

১১। ছেঁড়া (কাপড়/ঘাস/শুকনো চামড়া) দিয়ে নকশিকাঁথা তৈরি হয়।

১২। বাড়ি তৈরি হয় কাঁচা (মাটি/ইট/পাথর) দিয়ে।

১৩। জলপাইগুড়ির গ্রামীণ মেলায় বেশি ছিল (বাঁশ/ প্লাস্টিক/বালি) দিয়ে তৈরি জিনিস।

১৪। মালাকারেরা (শোলার/পাটের/জরির) কাজ করেন।

১৫। (চৈত্র/পৌষ/ফাগুন) সংক্রান্তিতে শিবের গাজন হয়।

উত্তর: ১০। পটুয়ারা, ১১। ছেঁড়া কাপড়, ১২। মাটি, ১৩। বাঁশ, ১৪। শোলার, ১৫। চৈত্র।

১৬। (বাঁকুড়া / দার্জিলিং/কোচবিহার) জেলা ডোকরার কাজের জন্য বিখ্যাত।

১৭। ডোকরা হল (লোহার/পিতলের/কাঠের) তৈরি জিনিস।

১৮। লোহার জিনিস তৈরি করেন যারা, তাঁরা হলেন (তত্ত্ববায়/ কর্মকার/কুস্তকার)

১৯। ডোকরা শিল্পীদের (ফলাহার / মালাহার/যাত্রাকার) নামেও আমরা চিনি।

২০। ডোকরা তৈরি করতে (মৌ-মোম/স্টিল/গালা) ও ধুনোর ছাঁচে গলানো পিতল ঢালা হয়।

উত্তর: ১৬। বাঁকুড়া, ১৭। পিতলের, ১৮। কর্মকার, ১৯। মালাহার, ২০। মৌ।

২১। (জ্যাম/রেলগাড়ি/জাহাজ) তৈরি ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ।

২২। (মালদার/নদিয়ার/বীরভূমের) সুজাপুর রেশম শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

২৩। জাহাজ তৈরি (কুটির/বড়ো/ছোটো) শিল্পের মধ্যে পড়ে।

২৪। (জরির/তেল শোধনের/খনির) কাজ ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পড়ে।

২৫। হুগলির (ধনেখালি/নবদ্বীপ/বারাসত) তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত।

২৬। (চিত্তরঞ্জনে/কলকাতায়/মালদায়) রেল ইঞ্জিন তৈরি হয়।

উত্তর: ২১। জ্যাম, ২২। মালদার, ২৩। বড়ো, ২৪। জরির, ২৫। ধনেখালি, ২৬। চিত্তরঞ্জনে।

২৭। বেতের কাজ দেখা যায় বাঁকুড়াতে। সিকিমে। বীরভূমে।

২৮। লাল মাটির/কালো মাটির/নীল মাটির দেশের মানুষ ভালো আলপনা দিতে পারে।

২৯। খাটের গায়ে নকশা করা লিখিত/অলিখিত/ মৌখিক জ্ঞান।

উত্তর: ২৭। সিকিমে, ২৮। লালমাটির, ২৯। অলিখিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *