Class 3 Chapter 16 Solution
যুঁই ফুলের বুমাল
১.১ লিপিকে দেখলে কারা খুশি হয়?
উত্তর: গাছ পাখি সকলেই লিপিকে দেখলে বেজায় খুশি হয়।
১.২ খুশি হয়ে তারা কী করে?
উত্তর: খুশি হয়ে গাছেরা পাতায় পাতায় হাততালি দিয়ে ওঠে,। আর পাখিরা নানাস্বরে আওয়াজ তোলে।
১.৩ লিপিদের বাড়ি কোথায়?
(দমদম মতিঝিল গার্লস হাইস্কুল)
উত্তর: লিপিদের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত এগরায়।
১.৪ বাড়ির পাশের বাগানটা কাদের?
উত্তর: লিপিদের বাড়ির পাশের বাগানটা মল্লিকদের।
১.৫ লিপি কখন বাগানে যায়?
(ব্যারাকপুর রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়)
উত্তর: স্কুলের ছুটি হলেই লিপি মল্লিকবাবুদের বাগানে যায়।
১.৬ তার সঙ্গে কে কে থাকে?
উত্তরঃ লিপির সঙ্গে থাকে টুনি, না হয় দোলন। আবার । কোনোকোনো দিন সুধাদি, বিট্টু এরাও থাকে।
১.৭ চারাগাছ কোথায় খুশিতে হিলহিলিয়ে ওঠে?
উত্তর: যেখানে ভালো জল, হাওয়া, আলো সেখানেই চারাগাছগুলো খুশিতে হিলহিলিয়ে হয়ে ওঠে।
১.৮ লিপি কোথায় কোথায় লুকিয়ে গাছ বসায়?
উত্তর: কারো উঠোনে, পুকুরের ধারে রাস্তার পাশে লিপি লুকিয়ে লুকিয়ে গাছ লাগায়।
১.৯ মাঝিপাড়ার ছাগল তিনটে বিদঘুটে কেন?
উত্তর: মাঝিপাড়ার ছাগল তিনটে বড্ড বিদঘুটে, কারণ তারা গাছের চারা দেখলেই মুড়িয়ে দেয় কুচমুচ করে।
১.১০ বাগানের খরগোশ দুটো কেমন?
উত্তর: বাগানের খরগোশ দুটো খুব ভালো তারা ভীতু। দূর থেকে লিপিকে দেখে। চারাগাছে মুখ দেয় না।
১.১১ ড্রয়িং খাতায় লিপি কী-সব ছবি এঁকেছে?
উত্তর: ড্রইং খাতায় লিপি কত রকমের গাছের ছবি, ফুল পাতার ছবি নানা রঙে এঁকেছে।
১.১২ কাঠবেড়ালির বউ কোথা থেকে, কী শুনেছিল?
উত্তর: কাঠবেড়ালির বউ শানুদের বাড়ি থেকে শুনে এসেছিল যে মল্লিকদের বাগানে এবার নাকি আকাশ ছোঁয়া বাড়ি উঠবে।
১.১৩ শানুর বাবা কী বলেছিলেন?
উত্তর: শানুর বাবা বলেছিলেন মল্লিকবাবুদের বাগানে সব গাছ কেটে, পুকুর বুঝিয়ে বড়ো বড়ো বাড়ি উঠবে।
১.১৪ কাদের দেখে পাখিরা চেঁচিয়েমেচিয়ে উঠল?
উত্তরঃ শহরের অচেনা মানুষজন দেখেই পাখিরা চেঁচিয়ে মেচিয়ে উঠল।
১.১৫ লিপি কাদের কানে কানে কথা বলেছিল?
উত্তর: লিপি তার সব বন্ধুবান্ধব কচিকাঁচাদের কানে কানে কথা বলেছিল।
১.১৬ কাঠুরেরা এলে লিপিরা কী করল?
উত্তর: কাঠুরেরা এলে লিপি ও তার দলবলের প্রত্যেকে এক একটা গাছ জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রইল।
১.১৭ কে পুলিশে খবর দিল?
উত্তরঃ মল্লিকবাবুর বড়ো ছেলে পুলিশে খবর দিল।
১.১৮ কে লিপিদের উপহার দিতে চাইল?
উত্তরঃ বাবুইগিন্নি লিপিদের উপহার দিতে চাইল।
৩.১ ‘তারাও জানে লিপি ওদের বন্ধু’। -কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে লিপিদের বাড়ির কাছে মল্লিকবাবুর বাগানে বিভিন্ন গাছ ও তাদের বংশধরদের কথা বলা হয়েছে।
৩.২ ‘ঘাস খায় ঘুরে ঘুরে’।- কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: এখানে দুটো খরগোশের কথা বলা হয়েছে।
৩.৩ ‘শানুর বাবাই বলছিল কথাটা’- কোন্ কথাটা?
উত্তর: শানুর বাবা বলেছিল মল্লিকবাবুদের বাগানে বাড়ি উঠবে আকাশছোঁয়া। গাছপালা পুকুর আর কিছুই থাকবে না।
৩.৪ ‘কাঠুরেরা বলল, সরো।’- কাঠুরেরা কাদের কেন সরতে বলেছিল?
উত্তরঃ কাঠুরেরা লিপি, টুসি, বিটু প্রভৃতিদের গাছ ছেড়ে সরতে বলেছিল।
৩.৫ ‘আমরা ওদের কিছু দেব না?’- কথাটি কে বলেছে?
উত্তর: একথাটি বলেছে টিয়াপাখি।
Long Question Answer
১. বাবুইগিন্নি কী উপহার দিয়েছিল?
উত্তরঃ বাবুইগিন্নি লিপিদের জুঁই ফুলের রুমাল উপহার দিয়েছিল।
প্রত্যেকের সম্বন্ধে একটি করে বাক্য। লেখো। [OEQ]
কাঠবেড়ালি – কাঠবেড়ালি অতি নিরীহ প্রাণী।
বাদাম জাতীয় জিনিস খায়। গাছে গাছেই থাকে। ছাগল – চারপেয়ে গৃহপালিত জন্তু। চারগাছ খাওয়ার। যম। অবশ্য মানুষের অনেক উপকারে আসে। 1 খরগোশ – অত্যন্ত নিরীহ প্রাণী। ঘাস পাতা খেয়ে। জীবন কাটায়। মানুষের বন্ধুই বলা যায়। পুষিবেড়াল – পুষিবেড়াল চারপেয়ে জন্তু। একে নিরীহই বলা যায়। পুষি ভাত মাছ দুধ সব খায়। মানুষের। সঙ্গ ভালোবাসে।
2. এই গল্পে যেসব গাছ আর পাখির নাম আছে- তাদের নিয়ে একটি করে বাক্য লেখো। এছাড়াও তোমার জানা অপরও কিছু গাছ আর পাখির নাম। লেখো। [OEQ]
উত্তর: পাখির নাম:
শালিক : রান্না ঘরের চালে দুটো শালিক খেলা করে।
বাবুই: বাবুই পাখি খুব ভালো বাসা বোনে।
টিয়া : টিয়াপাখি কথা বলতে পারে।
বেনেবউ: বেনে বউ পাখি খুব সুন্দর ডাকে।
চন্দনা : চন্দনা পাখিকে চোয়ালে কথা বলতে পারে।
টুনটুনি : টুনটুনিকে দর্জি পাখি বলা হয়।
ছাতারে: ছাতারে পাখি অনেকটা চড়ুই পাখির মতো দেখতে। এছাড়াও আরও কয়েকটি পাখির নাম ময়না, কাকাতুয়া, চড়াই, কাক, কোকিল, দোয়েল, ফিঙে, ঘুঘু, মাছরাঙা, চিল, শকুন, বাজ, পায়রা।
শাল : শাল কাঠ খুব দামি।
সেগুন : সেগুন গাছের পাতা খুব বড়ো হয়।
কদম : বর্ষাকালে কদমগাছে ফুল আসে।
কৃষ্ণাচূড়া: কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল রঙের হয়।
আকাশমান: আকাশমান গাছের পাতা ঘন সবুজ রঙের হয়।
জাম : জাম ফল খেতে খুব মিষ্টি।
আম : আম গাছ সবার খুব পরিচিতি।
চাপা : আমাদের বাগানে একটি চাপা গাছ আছে।
বকুল : বকুল ফুলের গন্ধে মন মেতে ওঠে।
কামরাঙা : টিয়াপাখি কামরাঙা ফল খেতে ভালোবাসে। জুঁই : দিদি জুঁই ফুল দিয়ে ভালো মালা গাঁথতে পারে।
এছাড়াও আরও কতগুলি গাছের নাম – কাঁঠাল, পেয়ারা, তাল, খেজুর, নারকেল আমলকি, সবেদা, লিচু, বেদানা, অর্জুন, মেহগান, শিশু, নিম, জারুল, ,ি মহুয়া ইত্যাদি।
৩. এই গল্প পড়ে লিপিকে কেমন লেগেছে? যদি ভালো লাগে তবে কেন ভালো লেগেছে বুঝিয়ে বলো।
উত্তর: ‘জুঁইফুলের রুমাল’ গল্পের প্রধান চরিত্র লিপি, একটি স্কুলপড়ুয়া বালিকা। লিপিকে আমার খুব ভালো লাগে। লিপিকে ভালো লাগার কারণ হল, লিপি মনে প্রাণে প্রকৃতিপ্রেমিক। বাগানের গাছপালা, লতাগুল্ম, পশুপাখি সকলকে লিপি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। গাছের যে উপকারিতা অপরিসীম তা লিপি বোঝে। তাই সে যেখানে পারে গাছের চারা পোঁতে এবং তাদের বাঁচিয়ে রাখে। আসলে লিপি নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম করে ফেলেছে। তাকে তো সকলের ভালো লাগবেই।
৪. বড়ো দারোগা লোকটা কেমন? উত্তরঃ বড়ো দারোগাবাবু মানুষটা খুবই ভালো। আর পাঁচটা
উত্তর: পুলিশের মতো নিষ্ঠুর ও অবুঝ নন। তিনি লিপিদের গাছ বাঁচানোর আন্দোলনের উপযোগিতা বুঝেছিলেন। তাই গাছ না কাটার হুকুম দিয়ে বাগানের সব গাছপালা পশুপাখি ছেলেমেয়ে সকলের কৃতজ্ঞতাভাজন হয়ে গেলেন।
সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখো:
১.১ লিপিদের বাড়ি- (এগরায়/কাঁথিতে/ দিঘাতে/ রামনগরে)
উত্তর: লিপিদের বাড়ি এগরায়।
১.২ লিপির বাবা একজন- (ডাক্তার/শিক্ষক/কৃষক/ উকিল)।
উত্তর: লিপির বাবা একজন কৃষক।
১.৩ মাঝিপাড়ার বিদঘুটে ছাগলের সংখ্যা- (২/৩/৪/৫) টি।
উত্তর: মাঝিপাড়ার বিদঘুটে ছাগলের সংখ্যা ৩টি।
১.৪ বাগানের মালিক ছিল- দাসবাবুরা/ মল্লিকবাবুরা/ বিশ্বাস বাবুরা/চ্যাটার্জি বাবুরা।
উত্তর: বাগানের মালিক ছিল মল্লিকবাবুরা।
১.৫ গাছকাটা বন্ধের হুকুম দিয়েছিলেন- (লিপিরবাবা/ মল্লিকবাবু/দাসবাবু/বড়োদারোগা।
উত্তর: গাছকাটা বন্ধের হুকুম দিয়েছিলেন বড়োদারোগা।
শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ ———-ছুটি হলেই লিপি চলে যায়
উত্তরঃ ইস্কুলের ছুটি হলেই লিপি চলে যায় বাগানে।
২.২ গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ওদের.——————-
উত্তর: গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ওদের নাতিপুতিরা।
২.৩ ————তিনটে ছাগল বড়ো—————
উত্তর: মাঝিপাড়ার, তিনটি ছাগল বড়ো বিদঘুটে।
২.৪ ওদের কিনা———— গাছটায় সেদিন নেমন্তন্ন ছিল।
উত্তর: ওদের কামরাঙা গাছটায় সেদিন নেমন্তন্ন ছিল কিনা।
২.৫ কথাটা শুনেই—————— হয়ে গেল লিপির। চোখদুটো——————-
উত্তরঃ কথাটা শুনেই আনন্দে চোখদুটো ঝাপসা হয়ে গেল লিপির।
৪। বিপরীত শব্দ লেখো।
ভীতু, ছড়িয়ে, বন্ধু, ভালো, অচেনা, কেঁদে।
উত্তর: ভীতু-সাহসী। ছড়িয়ে-গুছিয়ে। বন্ধু-শত্রু। ভালো- মন্দ। অচেনা-চেনা। কেঁদে-হেসে।
৫। এলোমেলো শব্দগুলো সাজিয়ে লেখো:
নাখাব ভালম, রুজা, ণিম আশকা, শর গোখ।
উত্তরঃ নাখাবভা-ভাবখানা। লমরুজা-জামরুল। নিম আশকা-আকাশমণি। শর গোখ-খরগোশ।
৬। সমার্থক শব্দ লেখো।
পাখি, বন্ধু, বাগান, পুকুর,
উত্তরঃ পাখি-বিহঙ্গ, খেচর, বিহগ।
বন্ধু – সখা, মিত্র, বান্ধব।
বাগান- উদ্যান, কানন, বাগিচা।
পুকুর – পুষ্করিণী, জলাশয়, দিঘি।
৭। বিপরীত শব্দ লেখো: মস্ত, হঠাৎ, যাই, নাই, একটি
উত্তর: মস্ত – ক্ষুদ্র। হঠাৎ- সচরাচর/ সবসময়।
যাই-আসি। নাই-আছে। একটি-অনেক।