Class 3 Chapter 22 Solution
দেশের মাটি
Very Short Question Answer
১. তোমার দেশ কোনটি?
উত্তরঃ আমার দেশ বাংলাদেশ। (এপার বা ওপার বাংলা নয় সমগ্র বাংলাদেশ)
২. সেই দেশটি কেমন?
উত্তরঃ সেই দেশটি আমার কাছে মধুরোত্তম মনে হয়। আমার দেশের মাটি খাঁটি সোনার চাইতেও খাঁটি।
৩. দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে?
(ব্যারাকপুর রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়)
উত্তরঃ দেশের বাতাস চন্দনের গন্ধে ভরা। এ দেশের যেখানেই থাকা যাক না কেন তা কবির সমস্ত ক্লান্তি হরণ করে, শীতল পাটির স্নিগ্ধ শীতলতার চেয়েও শীতল লাগে।
৪. এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল-দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো।
উত্তরঃ নারকেলের কথা বলা হয়েছে। নারকেলের মধ্যে খাবার
ও জল দুই থাকে। নারকেলের শাঁস খাবার এবং তার। জলকে পানীয় জল বলা হয়েছে।
৫. ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা। হয়েছে কেন?
উত্তরঃ ধান পাকলে সোনালি রং ধারণ করে। সেই জন্য ধানকে সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাছাড়া ধান বাঙালিদের প্রধান খাদ্য তাই অত্যন্ত দামি, যেমন দামি সোনা, তাই বাঙালিদের কাছে ধান কনক ধান্য রূপেই গণ্য হয়।
৬. কবিতায় কবি কোন পাহাড়ের কথা বলতে চেয়েছেন, যা আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে?
(নবাব বাহাদুর ইন্সটিটিউশন)
উত্তরঃ এই কবিতায় কবি হিমালয় পাহাড়ের কথা বলেছেন যা আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে।
৭. ‘মধুর চেয়েও আছে মধুর।’- মধুর চেয়েও মধুর কী?
উত্তরঃ মধুর চেয়েও মধুর হল আমাদের দেশের মাটি।
৮. ‘খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।’- কী?
উত্তরঃ সোনার চেয়েও খাঁটি হল দেশের পথের ধূলা।
৯. ‘কুলার পায়ে রূপার কাঠি।’ – কে?
উত্তরঃ জ্যোৎস্না প্রত্যেকদিন পায়ে রূপার কাঠি বোলায়।
১০. ‘পাহাড় তারে আড়াল করে।’ আড়াল করে? পাহাড় কাকে
উত্তরঃ পাহাড় আমাদের দেশকে আড়াল করে।
১১.’হচ্ছে বদল দিনে রাতে।’- কীভাবে?
উত্তরঃ নাগের আর বাঘের পাহারাতে দিনে রাতে বদল হচ্ছে।
ঠিক শব্দটির উপরে (✔) চিহ্ন বসাও:
৩.১ মাথায় সূর্য এসে (সোনার/রূপার/তামার) কাঠি ছোঁয়ায়।
উত্তরঃ মাথায় সূর্য এসে সোনার কাঠি ছোঁয়ায়।
৩.২ (পাহাড়/বন/সাগর) সে তার ধোয়ায় পা’টি।
উত্তরঃ সাগর সে তার ধোয়ায় পা’টি।
৩.৩ দেশের কোল ভরে আছে (কনক/আমন/রঙিন) ধান।
উত্তর: দেশের কোল ভরে আছে কনক ধান।
৩.৪ গন্ধে মাতায় (লীলা/নীল/লাল) কমল।
উত্তর: গন্ধে মাতায় লীলা কমল।
নীচে কতকগুলি পঙ্ক্তি দেওয়া হল যেগুলি পদ্যে লেখা। এগুলোকে গদ্য ভাষায় লেখো:
৪.১ ‘পাহাড় তারে আড়াল করে, সাগর সে তার ধোয়ায় পা’টি।’
উত্তর: তাকে পাহাড় আড়াল করে, সাগর তার পা ধুইয়ে দেয়।.
৪.২ ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।’
উত্তরঃ আমার দেশের পথের ধুলো খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি।
৪.৩ সে যে গোনীল পদ্ম আঁখি সেই তো রে নীলকন্ঠ পাখি।’
উত্তরঃ সেই নীলকণ্ঠ পাখি যার চোখটা নীলপদ্মের মতো।
শব্দ যুগলের অর্থ পার্থক্য :
উত্তরঃ ধোয়া-জল দিয়ে
পরিষ্কার করা।
ধোঁয়া-ধূম।
পাটি-মাদুর বিশেষ।
পা’টি-পদযুগল।
খাটি-পরিশ্রম করি।
খাঁটি-ভেজালহীন।
যুক্তাক্ষর রয়েছে এমন পাঁচটি শব্দ কবিতাটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তরঃ ক্লান্তি, জ্যোৎস্না, গন্ধে, লবঙ্গ, পদ্ম।
কে কোন কাজটি করে লেখো: সূর্য, পাহাড়, সাগর, নারিকেল, ধান, নীলকণ্ঠ পাখি।
উত্তরঃ সূর্য-সোনার কাঠির স্পর্শে সকলকে ঘুম ভাঙায়।
পাহাড়-বাংলাদেশকে আড়াল করে রাখে।
সাগর-বঙ্গ জননীর পা ধুইয়ে দেয়।
নারিকেল-অম্ল জল জোগান দেয়।
ধান-সোনার ধানে যে বঙ্গজননীর কোল ভরিয়ে দেয়।
নীলকণ্ঠ পাখি-সুখের বার্তা বহন করে নিয়ে আসে। |
বিপরীত অর্থ লেখো: হেসে, ক্লান্তি, গোপন, ভরা, সুখের, মুক্তি।
উত্তরঃ হেসে-কেঁদে। ক্লান্তি-সতেজতা। গোপন-প্রকাশ। ভরা-খালি। সুখের-দুঃখের। মুক্তি-বন্দি।
বর্ণ বিশ্লেষণ করো: চন্দন, ক্লান্তি, জ্যোৎস্না, পাঁয়জোরে, নীলকণ্ঠ, কান্নাকাটি, পদ্ম।
উত্তরঃ চন্দন = চ্+অ+ন্+দ্+অ+ন।
ক্লান্তি = ক্ + ল্ + আ +ন্+ত্+ই।
জ্যোৎস্না = জ+ য+ও+ৎ+স্+ন্+আ।
পাঁয়জোরে = প্+ + আ+য়+জ+ও++ এ।