WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 8 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 8 Solution

নানান দেশে নানান ভাষা

Very Short Question Answer

১. কী ছাড়া আশা পূরণ হয় না?

উত্তর: স্বদেশীয় ভাষা ছাড়া আশা পূরণ হয় না।

২. কী ছাড়া চাতকীর তৃয়া মেটেনা?
উত্তর: ধরা জল ছাড়া চাতকীর তৃষ্ণা ঘোচে না।

Short Question Answer

১. ‘নানান দেশে নানান ভাষা।’- এই বাক্যের অর্থ কী?

উত্তর: পৃথিবীতে বহু দেশ, জাতি, অঞ্চল রয়েছে। ফলে ভাষার মধ্যে রয়েছে নানা ব্যবধান। প্রত্যেক দেশের মাতৃভাষা আলাদা। ভাষার এই ভিন্নতা নির্দেশ করতে গিয়ে রামনিধি গুপ্ত এই মন্তব্য করেছেন।

২. “ধরাজল বিনে কভু ঘুচে কি তৃষা”- এই কথা বলার কারণ কী?

উত্তর: রামনিধি গুপ্ত মনে করেন, চাতকের পক্ষে বৃষ্টির জল যেমন অপরিহার্য; আমাদের পক্ষে মাতৃভাষাও তেমন। কবি এখানে প্রবাদের প্রয়োগ করেছেন। বাংলা প্রবাদে বলা হয়েছে, চাতকের সঙ্গে বৃষ্টির জলের গভীর সম্পর্ক। অন্য জল চাতকের তৃয়া দূর করতে পারে না। তেমনি অন্য ভাষা কখনও আমাদের মনের ভাব যথাযথ ব্যক্ত করতে পারে না।

৩. “বিনে স্বদেশীয় ভাষা পুরে কি আশা?”-এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কবির কোন্ মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর: টপ্পা গানের অন্যতম প্রবর্তক রামনিধি গুপ্ত ‘নানান দেশে নানান ভাষা’ কবিতায় বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর গভীর মমত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কবি প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘নানান দেশে নানান ভাষা’। কিন্তু যে ভাষাতেই আমরা কথা বলি না কেন, মাতৃভাষা ছাড়া আমাদের মনের ভাব প্রকাশ হয় না। আমরা নিজের ভাষায় কথা বলে যে আনন্দ উপভোগ করি, অন্য ভাষায় সেই আনন্দ পাই না। তাই কবি এই উক্তিটি করেছেন।

৪. “কত নদী সরোবর, কিবা ফল চাতকীর”- উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: রামনিধি গুপ্ত তাঁর ভাষা সম্পর্কে সচেতন। মাতৃভাষা আমাদের কাছে মাতৃদুগ্ধের মতো। চাতকীর সামনে কত নদী, কত সরোবর পড়ে থাকে। তৃষ্ণার্ত চাতকী সেদিকে চোখ ফেরায় না। বর্ষার জল একমাত্র তার তৃষ্ণা মেটাতে পারে। এখানে এই বক্তব্যই প্রকাশ করেছেন রামনিধি গুপ্ত।

৫. ‘নানান দেশে নানান ভাষা’ কবিতাটির মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখো।
উত্তর: বাংলা টপ্পাগানের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পি হলেন রামনিধি গুপ্ত। তাঁর কবিতার সহজ সরল আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষা চালু রয়েছে। এই সব বৈচিত্র্যময় ভাষায় কথা বলা যেতেই পারে। কিন্তু মাতৃভাষায় কথা বলার যে আনন্দ, মনের যে তৃপ্তি তা বিদেশি ভাষায় পাওয়া যায় না। মাতৃভাষার জন্যেই মনের সব আকুলতা, উৎকণ্ঠা জেগে থাকে। এজন্যে এই কবিতায় চাতকের সঙ্গে ভাষা প্রেমীদের তুলনা করে কবি মাতৃভাষার শ্রেষ্ঠত্বকে প্রমাণিত করেছেন।

ব্যাকরণের সহজ পাঠ

১. গদ্যরূপ লেখো : বিনে, পুরে, ঘুচে, তৃষা, কভু।

উত্তর: বিনে-বিনা। পুরে-পূরণ করে। ঘুচে-ঘোচে। তৃষা-তৃষ্ণা। কভু-কখনও।

২. পদান্তর করো : দেশ, স্বদেশীয়, আশা, তৃষ্ণা।

উত্তর: দেশ(বি)-দেশি, দেশীয় (বিণ)। স্বদেশীয় (বিণ) -স্বদেশ (বি)। আশা(বি)-আশান্বিত (বিণ)। তৃয়া (বি)-তৃষ্ণার্ত (বিণ)।

৩. বাক্য রচনা করো : স্বদেশীয়, সরোবর, কভু, তৃষা।

উত্তর: স্বদেশীয়-স্বদেশীয় জিনিসপত্রের চাহিদা সবসময় থাকে।

সরোবর-সরোবরে অপূর্ব পদ্মফুল ফুটেছিল।

কভু-কভু তোমার কথা ভুলব না।
তৃষা-আমার জীবনে সেই তৃষা এখনও আছে।

শূন্যস্থান পূরণ করো।

ক। নানান দেশে নানান।

উত্তর: ভাষা।

খ। কত নদী সরোবর, কিবা ফল-।

উত্তর: চাতকীর।

৪. ‘স্বদেশীয় ভাষা’ বলতে কোন্ ভাষার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘স্বদেশীয় ভাষা’ বলতে ‘মাতৃভাষা’-কে বলা হয়েছে।

৫. কোন্ জলে চাতকীর তৃষ্ণা মেটে?
উত্তর: ‘ধরা জল’ বা বৃষ্টির জলে চাতকীর তৃষ্ণা মেটে।