Class 7 Chapter 15 Solution
নোট বই
Short Question Answer
১. নোট বই কাকে বলে?
উত্তর: নোট বই হল-একটি ইংরেজি শব্দ। যে বই বা খাতায় ব্যক্তিগত বিষয় খুব সংক্ষেপে লিখে রাখা হয়, তাকে নোটবই বলে।
২. ‘নোট বই’ কবিতায় কোন্ পশু ও পতঙ্গের নাম উল্লেখিত হয়েছে?
উত্তর: কবি সুকুমার রায় রচিত ‘নোট বই’ কবিতায় পশুদের মধ্যে গোরু এবং পতঙ্গের মধ্যে ফড়িং ও আরশোলার কথা উল্লেখিত হয়েছে।
৩. ‘নোট বই’ কবিতায় রামাকে ছুটে গিয়ে কী আনতে বলা হয়েছে?
উত্তর: সুকুমার রায় প্রণীত ‘নোট বই’ নামাঙ্কিত কবিতায় রামাকে ছুটে গিয়ে লণ্ঠন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
৪. ‘জবাবটা জেনে নেব’-তাকে কার কাছ থেকে জবাব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: কবি সুকুমার রায় লিখেছেন ‘নোট বুক’ নামাঙ্কিত কবিতাটি। এই কবিতায় মেজদাকে খুঁচিয়ে জবাবটা জেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৫. ‘টন টন’ কী জাতীয় শব্দ? এই কবিতায় এ ধরনের আর কী কী শব্দ আছে?
উত্তর: ‘টন টন’ ধ্বন্যাত্মক শব্দ।
• এই জাতীয় আরও দুটি শব্দ হল-১. কট কট ২. টন টন।
৬. নোট বই কাকে বলে?
উত্তর: নোট বই হল-একটি ইংরেজি শব্দ। যে বই বা খাতায় ব্যক্তিগত বিষয় খুব সংক্ষেপে লিখে রাখা হয়, তাকে নোটবই বলে।
৭.’নোট বই’ কবিতায় কোন্ পশু ও পতঙ্গের নাম উল্লেখিত হয়েছে?
উত্তর: কবি সুকুমার রায় রচিত ‘নোট বই’ কবিতায় পশুদের মধ্যে গোরু এবং পতঙ্গের মধ্যে ফড়িং ও আরশোলার কথা উল্লেখিত হয়েছে।
৮.নোট বই’ কবিতায় রামাকে ছুটে গিয়ে কী আনতে বলা হয়েছে?
উত্তর: সুকুমার রায় প্রণীত ‘নোট বই’ নামাঙ্কিত কবিতায় রামাকে ছুটে গিয়ে লণ্ঠন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
৯.’জবাবটা জেনে নেব’-তাকে কার কাছ থেকে জবাব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: কবি সুকুমার রায় লিখেছেন ‘নোট বুক’ নামাঙ্কিত কবিতাটি। এই কবিতায় মেজদাকে খুঁচিয়ে জবাবটা জেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১০. ‘টন টন’ কী জাতীয় শব্দ? এই কবিতায় এ ধরনের আর কী কী শব্দ আছে?
উত্তর: ‘টন টন’ ধ্বন্যাত্মক শব্দ।
• এই জাতীয় আরও দুটি শব্দ হল-১. কট কট ২. টন টন।
১১ নীচের সর্বনামগুলিকে বাক্যে ব্যবহার করো: আমি, মোর, কে, কার, কাকে, তোমরা, নিজে।
উত্তর: নীচের সর্বনামগুলিকে বাক্যে ব্যবহার করা হলো- আমি-আমি প্রতিদিন নদীতে স্নান করি।
মোর-এ জগতে মোর কেউ নাই। কে-খেলা দেখতে কে যাবে? কার-বসে বসে কার কথা ভাবছো? কাকে-লোকটি কাকে ডাকছে দেখ তো? তোমরা-তোমরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। নিজে-নিজের কাজ নিজে করতে শেখো।
১২. ভালো কোনো কথা শুনলে কবিতায় লোকটি কী করে?
উত্তর: ভালো কোনো কথা শুনলে কবিতায় লোকটি চটপট তা
নোটবইয়ে লিখে রাখে।
১৩.তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর: ‘নোট বই’ কবিতায় বক্তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা হলো-
১. ফড়িঙের কটা ঠ্যাং?
২. আরশোলা কী কী খায়?
৩. আঙুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেন?
৪. কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে? ইত্যাদি।
১৪.কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: প্রশ্নে প্রদত্ত শব্দগুলি হলো-ধ্বন্যাত্মক শব্দ।
১.’মাথাঘামানো’- এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ কী?
উত্তর: ‘মাথাঘামানো’- এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ হল- কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য চিন্তা করা।
২. ভালো কোনো প্রশ্ন মনে এলে বক্তা কার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেন?
উত্তর: ভালো কোনো প্রশ্ন মনে এলে বক্তা তার মেজদার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেন।
৩. মানুষের কাছে নোটবই থাকাকে কি তুমি জরুরি বলে মনে করো?
উত্তর: না, মানুষের কাছে নোটবই থাকাকে আমি জরুরি বলে মনে করি না।
৪.তুমি যদি নোটবই কাছে রাখো তাতে কী ধরনের তথ্য লিখে রাখবে?
উত্তর: আমি যদি নোটবই কাছে রাখি তাহলে তাতে ভালো এবং নতুন তথ্য লিখে রাখবো।
৫.’জোয়ান’ শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা বাক্য লেখো।
উত্তর: ‘জোয়ান’ শব্দটিকে দুটি অর্থ ব্যবহার করলে দাঁড়ায় এমন-
১. মশলা অর্থে: আমি প্রতিদিন ভাত খাওয়ার পর জোয়ান খাই।
২. দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ অর্থে দেশের কাজে তোমাদের মতো জোয়ান ছেলেদের দরকার।
১৫. ‘আগাগোড়া’-এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরি পাঁচটি শব্দ লেখো।
উত্তর: ১. ভালো-মন্দ
২. কাঁচাপাকা
৩. কমবেশি
৪. দিনরাত
৫. উত্থান-পতন।
১৬.কবিতাটিতে কোন্ কোন্ পতঙ্গের উল্লেখ আছে?
উত্তর: কবিতাটিতে আরশোলা ও ফড়িঙের উল্লেখ আছে।
১৭. কবিতায় উত্থাপিত কোন্ কোন্ প্রশ্নের উত্তর তুমি জানো?
উত্তর : কবিতায় উত্থাপিত প্রশ্ন-ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, দুন্দুভি কার নাম এবং অরণি কাকে বলে তা আমার জানা।
১৮. কোন্ প্রশ্নগুলি পড়ে কবিতাটিকে তোমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে?
উত্তর: যে প্রশ্নগুলি পড়ে কবিতাটিকে কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে সেগুলি হলো-কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে, ঝোলা গুড় সাবানে
১৯.”কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা”- কাল থেকে মনে কী খটকা লেগেছে? এই খটকা কীভাবে দূর হবে?***
উত্তর: আগের দিন থেকে বক্তার মনে ঝোলা গুড় সাবানে দেয়, না পটকায় দেয় সেই খটকা লেগে আছে।
• মেজদাকে জিজ্ঞেস করে উত্তর জেনে নেওয়ার পর এই খটকা দূর হবে।
২০.’বলবে কী তোমরাও নোট বই পড়োনি!’ -নোট বই পড়লে আর কী কী জানা যাবে?
উত্তর: নোটবই পড়লে পেট কেন কামড়ায়, জোয়ানের আরকে ঝাঁঝ কেন, তেজপাতায় তেজ কেন, লঙ্কায় ঝাল কেন, নাক কেন ডাকে, পিলে কেন চমকায়, দুন্দুভি কার নাম এবং অরণি কাকে বলে ইত্যাদি জানা যাবে।
নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুই অংশ সম্প্রসারণ করে লেখো।
১. ওরে রামা ছুটে আয় নিয়ে আয় লণ্ঠন।
উত্তর: ‘রামা’ হল উদ্দেশ্য। ছুটে আয় নিয়ে আয় লণ্ঠন বিধেয়। ওরে রামা শিগগির ছুটে আয়। (উদ্দেশ্যের প্রসারক) লণ্ঠনটা সঙ্গে নিয়ে আসিস। (বিধেয়-এর প্রসারক)
২. এই দেখো ভরা সব কিলবিল লেখাতে।
উত্তর: ‘এই দেখো’ হল উদ্দেশ্য। ‘ভরা সব কিলবিল লেখাতে’ হল বিধেয়। এই দেখো সবকিছু ভরা রয়েছে। (উদ্দেশ্যের প্রসারক) কিলবিল লেখাতে আমার নোটবইয়ের পাতা ভরা।
৩. জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে।
উত্তর : ‘জেনে নেব’ হল উদ্দেশ্য। ‘মেজদাকে খুঁচিয়ে’ হলো বিধেয়। জবাবটা জেনে নেব। (উদ্দেশ্যের প্রসারক) যতক্ষণ জবাব না পাবো মেজদাকে খোঁচাব।
৪. ঝাল কেন লংকায়।
উত্তর: ‘ঝাল’ হল উদ্দেশ্য। ‘লংকায়’ হল বিধেয়। এত ঝাল কেন বলতো? (উদ্দেশ্যের প্রসারক) ছোটো ছোটো এই লংকায়। (বিধেয়-এর প্রসারক)
৫. বলবে কী, তোমরাও নোট বই পড়োনি।
উত্তর: বই পড়া হল উদ্দেশ্য। বিধেয় হল তোমরাও পড়োনি। তোমরা আর বলবে কী? (উদ্দেশ্যের প্রসারক) তোমারাও যে এখনকার বড়ো বড়ো সব নোট পড়োনি!
৬. নোটবই কী ধরনের লেখাতে ভরা?
উত্তর: নোটবই নানা সম্ভব-অসম্ভব, বাস্তব-অবাস্তব প্রশ্ন-উত্তরে ভরা।
৭. বস্তা কী করে নিজে নিজে নোটবইটি লিখলেন?
উত্তর: বক্তা যেখানে যা দেখেন, যা শোনেন এবং তাঁর মনে যে যে প্রশ্নের উদয় ঘটে সেগুলি তিনি নোটবইতে লিখে রাখেন।
৮.চটপট, চটচট, ছটফট-এই শব্দগুলি কী ধরনের শব্দ? চটপট আর ছটপট এই দুটি শব্দ নিয়ে দুটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর: চটপট, চটচট, ছটফট-এই শব্দগুলি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। বাহ্যিক ধ্বনির অনুকরণে যে সমস্ত শব্দের সৃষ্টি হয় তাদেরই ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। চটপট:
১. ওভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে চটপট অঙ্কটা করে ফেলো। ২. বৃষ্টি আসতে পারে চটপট বাড়ি চল।
ছটফট :
১. ক্লাসের মধ্যে একদম ছটফট করবে না। ২. পেটের ব্যথায় ছেলেটি ছটফট করছে।
৯. শূন্যস্থান পূরণ করো:
বিশেষ্য–বিশেষণ
আঠা–
–মানসিক
উত্তর: বিশেষ্য–বিশেষণ
আঠা–আঠালো
মন–মানসিক
১০.নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসাও: লণ্ঠন, লংকা, আঠা।
উত্তর: ভাঙা লণ্ঠন, কাঁচা লংকা, চটচটে আঠা।
১১. একই অর্থযুক্ত আরেকটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো:
পা, উত্তর, অস্থিরতার ভাব, তীক্ষ্ণতা।
উত্তর: পা-ঠ্যাং। উত্তর-জবাব। অস্থিরতা ভাব-ছটফট। তীক্ষ্ণতা-ঝাঁঝ।
১২. নিম্নরেখ অংশগুলির কারকবিভক্তি নির্ণয় করো :
১২.১ কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা।
উত্তর: কাল থেকে-অপাদানকারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
১২.২ ওরে রামা ছুটে আয়।
উত্তর: রামা-কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২.৩ পেট কেন কামড়ায় বলো দেখি পারো কে?
উত্তর: পেট-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২.৪ নিজে নিজে আগাগোড়া লিখে গেছি আমি এ।
উত্তর: আমি-কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২.৫ এই বেলা প্রশ্নটা লিখে রাখি গুছিয়ে।
উত্তর: এই বেলা-অধিকরণকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণ আর বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো।
মন, চটচট, জবাব, পেট।
উত্তর: উদ্ধৃত পদগুলির পদান্তর করলে হয়- মন (বি)-মানসিক (বিণ) চটচট (বি)-চটচটে (বিণ) জবাব (বি)-জবাবি (বিণ) আঠা (বি)-আঠালো (বিণ)