WBBSE Class 7 Sahityamela Chapter 28 Solution | Bengali Medium

Class 7 Chapter 28 Solution

রাস্তায় ক্লিকেট খেলা

Very Short Question Answer

১.১ বর্ষাকালে এমনই ছিল (মেয়ারো/ব্রাজিল/ত্রিনিদাদ)।

উত্তর: বর্ষাকালে এমনই ছিল মেয়ারো।

১.২ নেবুর পাতায় করমচা/হে বৃষ্টি (ইতালীতে/লন্ডনে/স্পেনে) যা।

উত্তর: নেবুর পাতায় করমচা/হে বৃষ্টি স্পেনে যা।

১.৩ (ধুত্তোর/নিকুচি/ভাল্লাগেনা) মনে মনে বললাম।

উত্তর: নিকুচি মনে মনে বললাম।

১.৪ ভেতরে ভেতরে (গুমোট/দুর্যোগপূর্ণ/হিংস্র) আবহাওয়াকে আমি ভয় পেতাম।

উত্তর: ভেতরে ভেতরে হিংস্র আবহাওয়াকে আমি ভয় পেতাম।

১.৫ অ্যামি ডাকে (হেড/টেল)।

উত্তর: অ্যামি ডাকে টেল।

২. কার্য-কারণ সম্পর্ক অনুযায়ী পাশাপাশি বাক্য লেখো:

২.১ বর্ষাকালে রাস্তায় ক্রিকেট খেলার সুযোগ মিলত অল্পই। (কার্য)

উত্তর: গল্পকথক সেলো, অ্যামি আর ভার্ন যখনই খেলতে যেত, বৃষ্টি

এসে তাদের তাড়া করে ফের উঠোনে ঢুকিয়ে দিত। (কারণ)

৩.১ বাতাস ছুটে এসে বদ মেজাজ ঝাপট মারত।

উত্তর: প্রচন্ড রাগ।

৩.২ জামাকাপড় জুবজুবে।

উত্তর: খুব ভিজে।

৩.৩ বৃষ্টির ভয়ানক হাতুড়ি পড়তে লাগল।

উত্তর: প্রচণ্ড শব্দ।

৩.৪ তার মুখ উদ্ভাসিত।

উত্তর: আনন্দ।

৩.৫ ভান ড্যাবড্যাব করে চায়।

উত্তর: অদ্ভুত দৃষ্টি।

Short Question Answer

২.২ ওরা চেঁচাতে লাগল, “নেবুর পাতায় করমচা/হে বৃষ্টি, স্পেনে যা।” (কার্য)

উত্তর: ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলে অ্যামি, ভার্ন ও সেলোর রাস্তার ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যেত। বৃষ্টিতে খেলার আনন্দ মাটি হয়ে যাওয়ায় তারা

বিষণ্ণ মনে ছড়া কাটতে লাগল।

২.৩ ভেতরে-ভেতরে হিংস্র আবহাওয়াকে আমি ভয় পেতাম। (কার্য)

উত্তর: বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাজ আর বিদ্যুৎ, সমুদ্রের উপকূলে আছড়ে পড়া, ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে সবকিছু সবার মতো হয়ে থাকা।

২.৪ লজ্জিত হয়ে মাটির দিকে তাকাই। (কার্য)

উত্তর: দীর্ঘবিচ্ছেদের পরে সোলো, ভার্ন আর অ্যামির বাড়ির দিকে যায়। তারাও তাকে সাদরে আহ্বান করে। এর ফলে সেলোর মধ্যে খুশির ভাব আর একসময়ে ভার্ন-এর ব্যাট ফেলে দেওয়ার জন্য অনুশোচনা হয়।

২.৫ খোশমেজাজে বলে, “নে সেলো, তুইই আগে ব্যাট কর।” (কার্য)

উত্তর: অনেকদিন পরে সেলো ভার্নদের বাড়ির সামনে আসায় তাকে দেখে ভার্নরা খুব খুশি হয়। তার চোখ দিয়ে কৃতজ্ঞতায় আনন্দ-অশ্রু ঝরে পড়ে।

২.৬ ওর চোখের কোণে জল চিকচিক করে, দেখতে পাই।

উত্তর: ভার্ন-এর সঙ্গে টস করা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় ক্ষুব্ধ সেলো ভার্নের ব্যাট আর বল বাড়ির পিছনে ঝোপের মধ্যে ছুঁটে ফেলে। ভার্ন কষ্ট পায়। চোখ দুটো সজল হয়ে ওঠে।

১১.৩ গল্পে মোট কটি কিশোর চরিত্রের সন্ধান পেলে? গল্পের একমাত্র বয়স্ক চরিত্রটি কে?

উত্তর: গল্পে মোট তিনটি কিশোর চরিত্র আছে-ভার্ন, সেলো ও

অ্যামি।

> গল্পের একমাত্র বয়স্ক চরিত্রটি হলেন-ভার্নের মা।

১১.৪ সেলো ভার্নের ব্যাট বল কেন ও কোথায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল?

উত্তর: সেলো প্রথমে ব্যাট করতে চেয়ে টসে হেরে গিয়েছিল বলে ভার্নের ব্যাট বল বাড়ির পেছনের ঝোপে ফেলে দিয়েছিল।

১১.৫ তাদের বিবাদ কীভাবে মিটে গেল?

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি লিখেছেন ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত রচনাটি। এই রচনায় দেখা যায়, বর্ষাশেষে নতুন বছরে দুই বন্ধুর আবার দেখা হয়। ভার্ন তার নতুন ব্যাট সেলোকে দিয়ে প্রথমে ব্যাট করতে বলে। সেলোও তার রাগ ভুলে গিয়ে তাদের সঙ্গে মিশে যায়।

১২. ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ গল্পটি পড়ে কোন্ কোন্ অনুষঙ্গে মনে হল গল্পটি বিদেশি গল্প?

উত্তর: মেয়ারো শহর, লেখকসহ কিশোরদের নাম, উল্লেখিত মুদ্রা প্রভৃতি থেকে বোঝা যায় গল্পটি বিদেশি গল্প।

১.১ “আমি কেঁদে ফেলি”-‘আমি’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?

 উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে আমি ‘আমি’ বলতে গল্পকথক সেলোর কথা বলা হয়েছে।

১.২ “বৃষ্টির জন্য মনটা খারাপ”-বক্তা কে?

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত উক্তিটির বস্তা হলো গল্পকথক সেলো।

১.৩ “তখন কেবল বৃষ্টি পড়ে”-কখন কেবল বৃষ্টি পড়ে?

 উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে সেলো জানিয়েছে সে যখনই ব্যাট করে তখন প্রবল বৃষ্টি পড়ে।

১.৪ “আমি ভয় পেতাম”-বক্তা ভয় পেত কেন?**

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে সেলো জানিয়েছে হিংস্র আবহাওয়াকে সে ভয় পেত।

১.৪ “রাস্তা থেকে চেঁচিয়ে ডাকে”-কে রাস্তা থেকে কাকে

চেঁচিয়ে ডাকে?

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে ভার্ন রাস্তা থেকে সেলোকে চেঁচিয়ে ডাকে।

২.১ “আমি চিৎকার করে উঠলাম।”-বক্তা কে? কেন সে

চিৎকার করে উঠেছিল?

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত

গদ্যে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হল সেলো।

• সেলো বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিকে অর্থাৎ হিংস্র আবহাওয়াকে ভয় পেত সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঝোড়ো হাওয়ার গর্জন তার মনে ভীতির সঞ্চার করতো। বজ্রপাতের শব্দে সমস্ত আকাশ যেদিন কম্পিত হয়েছিল, সেদিন সেলো সভয়ে চিৎকার করে উঠেছিল। 

২.২ “ওর চোখের কোণে জল চিকচিক করে”- কার চোখের কোণে জল চিকচিক করে?

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে ভার্ন-এর চোখের কোণে জল চিকচিক করে।

• সেলো প্রবল অভিমানবশে ভার্ন-এর ব্যাট-বল বাড়ির পিছনে ঝোপের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলেছিল। অবাক হয়েছিল ভার্ন। যেহেতু সে সেলোকে প্রথম ব্যাট করতে দেয়নি তাই এমনটি করেছিল সে। এই ঘটনায় ভার্ন-এর চোখের কোণে জল চিকচিক করেছিল। আসলে সে খুব কষ্ট পেয়েছিল।

২.৩ “ওদের অবাস্তব আর অভিনব লাগে।”-এই উক্তিটি কার? কোন্ বিষয়টি ‘অবাস্তব আর অভিনব’ লাগে?**

উত্তর: মাইকেল অ্যানটনি প্রণীত ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ নামাঙ্কিত গদ্যে সেলো এই উক্তিটি করেছে।

⇒ তখন বর্ষা কেটে গেছে। ভার্ন ও অ্যামি তখন রাস্তায় ক্রিকেট খেলার আয়োজন করে। একটি সূর্যকরোজ্জ্বল দিনে তাদের খেলতে দেখে সেলোরও খেলতে ইচ্ছে করে। ভার্ন ও অ্যামিকে কোনও এক দূরগত জগতের বাসিন্দা বলে তার মনে হয়। সেইজন্যে অবাস্তব ও অভিনব লাগে ওদের। 

Long Question Answer

১১.১ মাঠের খেলাধূলার সঙ্গে রাস্তার খেলাধূলার ফারাকগুলি

লেখো। উত্তর: মাঠে খেলার জায়গা থাকে অনেক বেশি। কিন্তু রাস্তায় খেলা করার জায়গা থাকে খুব কম। মাঠে ঘাস থাকায় খেলার সময় পড়লেও কম লাগে। কিন্তু রাস্তার শক্ত মাটি বা পাথরে পড়ে প্রচণ্ড লাগে। তাছাড়া রাস্তা দিয়ে লোকজন যাতায়াত করার জন্য মাঝে মাঝে খেলা বন্ধ

রাখতে হয়। কিন্তু মাঠে এই অসুবিধা হয় না। ১১.২ সমুদ্রের ধারে ঝড় কীভাবে ভয়ংকর হয়ে ওঠে?

উত্তর: লোকালয়ের মতো সমুদ্রের ধারে বাঁধা দেওয়ার মতো কিছু না থাকায় ঝড় তীব্র বেগে প্রবাহিত হয় এবং সেই সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।


১৩. তোমার নিজের চেনা পরিবেশ ও চরিত্রের সঙ্গে গল্পের মিলগুলো সূত্রাকারে লেখো। শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে দেশটির অবস্থান দেখাও।

উত্তর: বাংলাদেশের পরিচিত পরিবেশের সঙ্গে এ গল্পের যথেষ্ট

মিল রয়েছে। ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা’ গল্পের মূল চরিত্র তিনটি। যথা-

১. গল্পের কথক বা সেলো।

২. অ্যামি।

৩. ভার্ন।

এরা তিনজনই বালক চরিত্র। এর মধ্যে সেলো বর্ষা-বিদ্যুৎ-বজ্রপাতকে

ভয় পায়। সে জানিয়েছে ‘ভেতরে- ভেতরে হিংস্র আবহাওয়াকে আছি। ভয় পেতাম।’ সেলোর মতো আমিও প্রকৃতির ভয়ংকর রূপকে রীতিমতো ভয় পাই। তার মতো কখনও কখনও প্রচণ্ড বজ্রপাতের শব্দে আমিও খাটের তলায় আশ্রয় নিই। আসলে এই চরিত্রের সঙ্গে ভীত বালক-কিশোর চরিত্রের বেশ মিল আছে।

কিন্তু অ্যামি ও ভার্ন এমন ভীত চরিত্র নয়। তারা দিব্যি বর্ষার মধ্যে খেলতে পারে। ভার্ন উৎসাহে চেঁচিয়ে ডাকে ‘সেলো! সেলো। প্রথমে তোর ব্যাট।’ অনেক সময় আমাদের চারপাশের বন্ধুরা বিশেষ করে বর্ষাভেজা দিনে ক্রিকেট না হলেও ফুটবল খেলার জন্যে ডাকে। এ গল্পে দেখা যায় সেলো টসে হেরে গিয়ে রাগে ফুঁসতে থাকে। সে ভার্ন-এর ব্যাট-বলকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। সেলোর এই প্রতিক্রিয়া আমাদের বাঙালি কিশোরদের মানসিক প্রতিক্রিয়ার অনুরূপ।

আসলে এই তিন বালক যেভাবে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেছে, তা যেন আমাদের পরিচিত বাংলাদেশের ছবি। তাই গল্পের শেষে বন্ধুত্বের অমলিন সম্পর্ক থেকে যখন ভার্ন জানায়, ‘নে সেলো, তুইই আগে ব্যাট কর’ তখন আবেগে কেঁদে ফেলে সেলো। এমন অনুভূতি আমাদের জীবনেও আসে।

এভাবে গল্পে বর্ণিত পরিবেশ ও চরিত্রের সঙ্গে আমাদের পূর্ববঙ্গ বা পশ্চিমবঙ্গের কিশোর-বালকদের চরিত্রের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *