Class 7 Chapter 29 Solution
দিন ফুরালো
Short Question Answer
৯.১ সুয্যি ডুবে যাওয়ায় কথকরা ‘দুচ্ছাই’ বলছে কেন?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় সন্ধ্যা নেমে আসায় খেলতে থাকা কথকরা ভাবে এবার তাদের নিজের ঘরে ফিরতে। হবে। তাই সূর্য অস্ত যাওয়ায় কথকরা আক্ষেপের সুরে ‘দুচ্ছাই’ অব্যয়টি ব্যবহার করেছে।
৯.২ কে এক্ষুণি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন?
উত্তর: বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতায় ঈশ্বর এক্ষুণি আকাশজুড়ে লক্ষ রঙের অপূর্ব দৃশ্যে সবাইকে চমকে দেবেন।
৯.৩ কথকরা কেন সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না?
উত্তর: একালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’
নামাঙ্কিত কবিতায় আকাশ জুড়ে সন্ধ্যা নামার পরেই কথকরা মাঠ ■ থেকে ফিরে যাবে তাদের নিজেদের বাড়িতে। তাই তারা সেই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবে না।
৯.৪ কথকরা কেন বলেছে, ‘কেই বা খুলে দেখছে রঙের
বাক্স!’? ***
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতায় কথকরা জানিয়েছে যে ঈশ্বর যখন সারা আকাশে নানা রঙের অপূর্ব ছবি তৈরি করবেন, তখন তারা ঘরে ফিরে যাবে। ফলে সেই রঙের খেলা তারা দেখতে পারবে না। তারা জানতে পারবে না আকাশ জুড়ে কত রঙের সংখ্যা আছে।
৯.৫ বাপ-মায়েরা কী হলে মুচ্ছো যাবেন?
উত্তর: বাংলা কবিতার অন্যতম প্রতিনিধিস্থানীয় কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় দেখা যায়, সন্ধের পর ছেলেমেয়েরা নিজেদের বাড়ি ফিরতে দেরি করলে ভয়ংকর এক দুঃশ্চিন্তায় বাপ-মায়েরা মূর্ছিত হবেন।
৯.৬ পাখিরা কোথা থেকে কোথায় উড়ে যাচ্ছে?
উত্তর: ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতায় কবি শঙ্খ ঘোষ জানিয়েছেন পাখিরা ধান খেতের উপর দিনে প্রকৃতির বিস্তৃত প্রাঙ্গণ থেকে নিজেদের বাসার দিকে উড়াল যাত্রা করে।
৯.৭ কথকরা কেন বলেছে তাদের নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে ফিরতে হবে?
উত্তর: একালের বর্ষীয়ান কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতায় সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠের খেলাধূলা শেষ করে কথকদের বাড়ি ফিরতে হয়। এই বাড়ি ফেরা হল তাদের কাছে ‘মন খারাপের গর্ত’।
৯.৮ বাবা কী বলবেন?
উত্তর: সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে বাবাবা বিরক্ত হয়ে সবিস্ময়ে উচ্চারণ করবেন ‘আচ্ছা!’ অর্থাৎ এই বিস্ময়বোধক শব্দের মধ্যে বাবার বিরক্তি স্পষ্ট প্রকাশিত হবে।’
৯.৯ মা-ই বা বাড়ি ফিরলে কী বলবেন?
উত্তর: সন্ধ্যার পর দেরি করে বাড়ি ফিরলে মায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতার কথক জানিয়েছেন-তার মা বলবেন পা দুটো কী কুচ্ছিৎ করে এসেছিস!
৯.১০ কথকরা কেন ‘এক গঙ্গা জল’ দিয়ে পা ধুচ্ছে?***
উত্তর: একালের প্রতিনিধিস্থানীয় কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতায় কথকরা খেলার মাঠ থেকে ফেরার পর পায়ের ময়লা তোলার জন্যে ‘এক গঙ্গা জল দিয়ে’ পা ধুয়ে নেয়। এর কারণ পায়ে কাদা থাকলে মা বকাবকি করবেন, আর পা ধোয়ার কাজে দেরি হলে তাড়াতাড়ি পড়াশোনা থেকে সাময়িকের জন্যেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
১০.১ “সূয্যি নাকি… ডুব দিয়েছে?”***
উত্তর: বর্তমান কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই উক্তিটি গৃহীত হয়েছে।
পশ্চিমাকাশে সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির বুকে সন্ধ্যার সমাগম হয়েছে। আকাশের বুকে তখন চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা। কিন্তু তার আগেই ছেলেদের মাঠ ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হবে। তাদের মন অবশ্য কোনো মতেই মাঠ ছাড়তে চায় না। তারা মনে মনে ভাবে সূর্য কী নিজের ইচ্ছাতেই অস্তমিত হয়েছে। না তাদের বাবা-মায়ের জোরালো প্রার্থনায় সূর্য অস্ত গিয়েছে।
১০.২ “আকাশ জুড়ে… লক্ষ রঙের দৃশ্য।”
উত্তর: একুশ শতকের অন্যতম সফল কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ শীর্ষক কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি সংকলিত হয়েছে।
ছেলেরা সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলার মাঠ ত্যাগ করে গৃহের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। কিন্তু তাদের মন খারাপ হয়ে যায়। কেননা একটু পরেই ভগবান আকাশের বুকে লক্ষ রঙের দৃশ্য বিন্যস্ত করে সবাইকে চমকে দেবেন। অথচ ভগবানের সেই রঙের খেলা ছেলেরা দেখতে পাবে না। সেই আক্ষেপটুকুও এই কবিতায় দেখা গিয়েছে।
১০.৩ “লক্ষ, বা তা হতেও পারে… রঙের বাক্স!”
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটুকু নেওয়া হয়েছে।
পড়াশোনার অবসরে ছেলেরা মাঠে যায় খেলতে। সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মাঠ থেকে ফিরতে হয় বাড়িতে। সেই সময় সন্ধ্যার আকাশ চাঁদের আলোয় আলোকময় হয়ে ওঠে। আকাশে ফুলের কুঁড়ির মতো জেগে ওঠে অসংখ্য তারা। আকাশ তখন বর্ণময় রূপ ধারণ করে। মনে হয় ঈশ্বর যেন অদৃশ্যে থেকে আকাশের বুকে রং-রেখার অপূর্ব কারুকার্য করেছেন। যদিও ঈশ্বরের সেই রঙের বাক্স কেউ কোনোদিন খুলে দেখতে পাবে না।
১০.৪ “আমরা কি আর… যাবেই তবে মুচ্ছে।”
উত্তর: আলোচ্য অংশটি সংকলিত হয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষের ‘দিন ফুরালো’ কবিতা থেকে। সন্ধ্যার পরমুহূর্তেই রাতের আকাশ নানা রঙে বর্ণময় হয়ে ওঠে। ছেলেরা অবশ্য তখন মাঠ থেকে ঘরের দিকে পা বাড়ায় তাদের মনে হয় ঈশ্বর অদৃশ্যে থেকে আকাশকে রঙে রঙে
সাজিয়ে দিয়েছেন। আকাশে তখন অপূর্ব রঙের বর্ণ বিভাস দেখা যায়। আকাশ জুড়ে স্নিগ্ধ চাঁদের আলো আর নক্ষত্রের অপূর্ব সমাবেশ ঘটে। কিন্তু সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তারা দেখতে পাবে না। কেননা, বাড়ি ফিরতে দেরি করলেই বাবা-মারা হয়তো ‘মুচ্ছো’ যাবে।
১১.১ কবিতাটি অবলম্বনে তোমার দেখা একটি গোধূলির রূপ বর্ণনা করো।
উত্তর: সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে। গাছপালার মাথায়, আকাশের মেঘে লাল রঙের স্পর্শ লেগেছে। আকাশে কোথাও কোথাও দু’একটা তারা ঘুম ভেঙে উঠেছে। পাখিরা সব সারিবদ্ধ ভাবে দল বেঁধে ঘরে ফিরছে। সন্ধেবেলায় শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে। দিনের শেষে সবাই কাজ সেরে বাড়ি ফিরছে। বাচ্চারা খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছে। গৃহস্থর বাড়িতে শাঁখ ও ঘণ্টাধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
১১.২ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের কাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে ‘মনখারাপের গর্তে’ ফেরা বলে কেন মনে হয়েছে? খেলা থেকে সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার দুঃখ নিয়ে তোমার অনুভূতি লেখো?***
উত্তর: কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পাখির তুলনা করা হয়েছে।
• সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে মনখারাপের গর্তে ফেরা বলে মনে করার কারণ বাবা মায়ের বকুনি শুনতে হয়, পড়তে বসতে হয়।
• সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরে শরীর আর চলে না। মনে হয় চারিদিকটা শূন্য হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরলেই সেই একঘেয়েমি জীবন। ‘পড়তে বস’, ‘পড়তে বস’ আর শুনতে ভালো লাগে না। মনে হয় কবে এসব থেকে ছাড়া পাব।
১.১ ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় ছেলেদের আক্ষেপের কারণ কী?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় ছেলেদের সন্ধ্যার পূর্বেই মাঠ ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হবে বলে আক্ষেপ হয়েছিল।
১.২ আকাশ জুড়ে কে কী করেছিলেন?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় আকাশ জুড়ে ঈশ্বর অপূর্ব রঙের কারুকার্যে নিজের মনের মতো ছবি এঁকেছিলেন।
১.৩ রঙের বাক্সে কতরকমের রং আছে?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় কবি লিখেছেন রঙের বাক্সে লক্ষ বা একশো রকমের রং আছে। অর্থাৎ সংখ্যা যাইহোক রঙের বৈচিত্র্য আছে।
১.৪ বাপ মায়েরা ‘মুচ্ছো’ যাবেন কেন?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় কবি জানিয়েছেন, ছেলেরা বাড়ি ফিরতে দেরি করলে চিন্তিত বাবা মায়েরা ‘মুচ্ছো’
যাবেন।
Long Question Answer
১.৫ শিশুটি কীভাবে পা ধুয়েছিল?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় শিশুটি একগঙ্গা জল দিয়ে পা ধুয়ে ছিল।
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও: ২.১ “চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।”-কে কীভাবে ‘লক্ষ রঙের দৃশ্যে’ চমকে দেবেন?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতায় ঈশ্বর ‘লক্ষ রঙের দৃশ্যে’ সবাইকে চমকে দেবেন।
• কথকের মনে হয়েছে খেলার মাঠ থেকে তারা যখন বাড়ি ফিরবে
তখন ঈশ্বর আকাশের ক্যানভাসে রঙের তুলি দিয়ে অপূর্ব সব ছবি তৈরি
করবেন। আসলে অন্ধকার নেমে আসার পর আকাশ জুড়ে যখন চন্দ্র ও নক্ষত্রের অপূর্ব সমাবেশ ঘটে, তখন সে দৃশ্য হয়ে ওঠে ছবির মতো সুন্দর। মনে হয় স্বয়ং ঈশ্বর বুঝি ‘লক্ষ রঙের দৃশ্যে’ সবাইকে চমকে দেবেন। ২.২ “বাপ-মায়েরা যাবেই তবে মুচ্ছো।” বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে এই বক্তব্য? এই বক্তব্যের তাৎপর্য লেখো।
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি চয়ন করা হয়েছে। এখানে বক্তা হল একটি শিশু, যে পড়ার অবসরে মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছিল।
• খেলার মাঠ থেকে ফিরতে দেরি হলে বাবা মায়ের মানসিক অবস্থা ঠিক কেমন হয় সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে।
• বাবা মায়েরা যতক্ষণ ছেলেরা বাড়ি না ফেরে ততক্ষণ নানা
অজানিত শঙ্কায় অস্থির হয়ে ওঠেন। তাদের সেই অস্থিরতা ও ব্যাকুলতার সীমা থাকে না। তাই কথক বাবা-মায়ের মানসিক অবস্থা বোঝাতে গিয়ে আলোচ্য এই উক্তিটি করেছে।
২.৩ “দিন ফুরালেও মাঠ ছাড়ে না? আচ্ছা!”- কোন্ কবির কোন্ কবিতা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে? এই উক্তির কারণ বিশ্লেষণ করো। ‘আচ্ছা’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ প্রণীত ‘দিন ফুরালো’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে।
• নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেলেরা বাড়ি না ফিরলে বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ থাকে না। তাদের সবসময় মনে হয়, দিন ফুরালেও ছেলেরা মাঠ ছাড়ে না। অর্থাৎ সবসময় সুযোগ পেলেই মাঠে থাকা চাই। এমন এক বিরক্তি থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি করা হয়েছে।
• ‘আচ্ছা’ হল একটি সম্মতিসূচক অব্যয়। এখানে বাবা ছেলের প্রতি
ড়ি না ফিরলে বাবাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেই প্রসঙ্গে ‘দিন ফুরালো’ কবিতার কথক জানিয়েছে-মনের বিরক্তি প্রকাশ করেই এই। অব্যয়টি প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ সন্ধ্যার পর মাঠ থেকে বাড়ি ফিরতে দেখে বিরক্ত বাবা এই পদটি ব্যবহার করেছেন।