Blog

WBBSE Class 6 English Chapter 11 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 11 Solution

The Blind Boy

Very Short Question Answer

a. Now open your eyes and see if you had been able to identify all the objects.
Ans: Yes, I was able to identify all the objects, though it took more time.

b. Whom do you think the blind boy is speaking to?
Ans: I think the blind boy is probably speaking to someone with eyesight.

c. What would happen if the blind boy kept awake?

Ans: It would be always day if the blind boy kept awake.

b. What does the blind boy bear with patience?
Ans: The blind boy bears the loss of sight with patience.

Short Question Answer

1. Close your eyes and describe the things that are there in your classroom by touching and feeling them.
Ans: I can touch and feel the high and low bench, chair, teacher’s desk, chalk, duster and blackboard.

3. How were your feelings different in the two situations?

Ans: When I closed my eyes, it was not easy for me to touch and feel the things. I had halted and fallen several times. But when I opened my eyes it was quite easy for me to identify them. I feel myself blessed.

4. Why does the blind boy think that he is a king?
Ans: By not brooding over what he will never get and without destroying the cheer of his mind, the blind boy thinks that he is a king.

1. Tick (✔) the correct alternative

a. In the poem, ‘I’ refers to

Ans: (i) the blind boy (✔) (ii) the sun (iii) the light

b. The blind boy cannot enjoy the blessings of

Ans: (i) taste (ii) sight (✔) (iii) speech

c. The blind boy identifies the sun by its

Ans: (i) shape (ii) light (iii) warmth (✔) 

d. The boy is
Ans: (i) happy (✔) (ii) sad (iii) angry

Grammar

Fill in the blanks with suitable articles or prepositions
Ans: There was once a little girl who lived in the middle of a deep, dark forest with her parents.

Class 5 Mathematics Books Solution GSEB Board | GSEB Class 5 Gujarati Books Answer | ગણિત-ગમ્ત |

CONTENT

1. રાષ્ટ્રીય ફળ-કેરી

2. આકાર અને ખૂણા

3. કેટલા ચોરસ

4. ભાગ અને પૂર્ણ

5. તે સરખું દેખાય છે

6. તું મારો ગુણક, હું તારો અવયવ

7. તમે પેટર્ન (ભાત) જોઈ શકો છો

8. નકશા- આલેખન

9. ખોખો અને રેખાચિત્ર

10. દસમો અને સો મો ભાગ

11. ક્ષેત્રફળ અને પરિમિતિ

12. સ્માર્ટ ચાર્ટ્સ

13. ગુણાકાર અને ભાગાકારની રીતો

14. કેટલું મોટું કેટલું ભારે

WBBSE Class 7 Geography Chapter 5 Solution | Bengali Medium BM

নদী

MCQs Question Answer

1. প্রধান নদীর জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে-

Ⓐ উপনদী,B) শাখানদী C), প্রশাখানদী, D) পৃথক নদী।

উত্তর: Ⓐ উপনদী।

2. একটি অন্তর্বাহিনী নদী হল-

A) গঙ্গা, B) ব্রহ্মপুত্র

, C) গোদাবরী,D) আমুদরিয়া।

উত্তর: D) আমুদরিয়া।

3. রাইন একটি-

Ⓐ অন্তর্বাহিনী নদী,

Ⓑ স্থানীয় নদী,

C) আন্তর্জাতিক নদী,

D)জাতীয় নদী।

উত্তর:C)আন্তর্জাতিক নদী

4. নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল-

Ⓐ জলপ্রপাত,

Ⓑ প্লাবনভূমি,

C) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ,

D) বদ্বীপ।

উত্তর :A) জলপ্রপাত।

5. আন্তর্জাতিক নদী একাধিক

Ⓐ শহরের,

Ⓑ রাজ্যের,

C)দেশের,

D) মহাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।

(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর:C)দেশের।

6. নদী পথের ঢাল বাড়লে নদীর শক্তি-

Ⓐ বাড়ে, Ⓑ কমে C), ক্ষয়, D একই থাকে।

উত্তর:A) বাড়ে।

7. বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ আছে-

Ⓐ সিন্ধুতে, Ⓑ রাইনে,C) গঙ্গায়, ① নীলনদে।

উত্তর:C) গঙ্গায়।

৪. জলপ্রপাত নদীর উচ্চগতিতে-

A) ক্ষয়,

B) বহন,

C)সঞ্চয়,

D) জলপ্রবাহের ফলে সৃষ্টি হয়।

উত্তর: Ⓐ ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়।

9. শুষ্ক অঞ্চলের সুগভীর গিরিখাতকে বলে- 

, Ⓐ ক্যানিয়ন, Ⓑ জলপ্রপাত  C)ম্যকূপ,  , ⑩ প্রপাতকূপ।

উত্তর: Ⓐ ক্যানিয়ন।

10. বদ্বীপ নেই এমন একটি নদী হল-

Ⓐ কাবেরী,

B) আমাজন,

C) ভাগীরথী-হুগলি,

D) ইয়াংসি-কিয়াং।

উত্তর:B) আমাজন।

11. প্রপাতকূপ সৃষ্টি হয়-

Ⓐ ক্যানিয়নের,

Ⓑ মন্থকূপের,

C) অশ্বক্ষুরাকৃতির হ্রদের

D) জলপ্রপাতের তলদেশে।

উত্তর: জলপ্রপাতের তলদেশে।

12. মানচিত্রে নিত্যবহ নদী দেখানো হয়-

Ⓐ লাল রঙে,

B) নীল রঙে,

© কালো রঙে,

① হলুদ রঙে।

উত্তর: (B) নীল রঙে।

13. নদীর ধারণ অববাহিকা দেখা যায়-

A মোহানায়,

Ⓑ নীচু ভূমিতে,

C) উৎসস্থলে,

D)বদ্বীপ অঞ্চলে।

উত্তর:C) উৎসস্থলে।

14. ইয়াংসি-কিয়াং নদী প্রবাহিত হয়েছে-

Ⓐ জাপানে,

B)চিনে,

C)দক্ষিণ কোরিয়ায়,

D)ভুটানে।

উত্তর: B) চিনে।

15. ভল্লা নদী প্রবাহিত হয়েছে-

Ⓐ এশিয়া মহাদেশে,

(B) আফ্রিকা মহাদেশে,

C) ওশিয়ানিয়া মহাদেশে,

D) ইউরোপ মহাদেশে।

উত্তর:ইউরোপ মহাদেশে।

16. নিম্নপ্রবাহে নদীবিন্যাস অনেকটা নীচের দিকে মুখ করা হাতের তালুর মতো হয়, কারণ –

Ⓐ এই সময় নদী সমতল অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলে

 B)এই সময় নদী নানা শাখায় বিভক্ত হয়

 C) এই সময় নদীখাত

D)অগভীর হয় এই সময় নদী প্লাবনের সৃষ্টি করে।

উত্তর: Ⓐ এই সময় নদী নানা শাখায় বিভক্ত হয়।

17. পৃথিবীর সর্বপ্রধান জলবিভাজিকা হল –)

Ⓐ মধ্য এশিয়ার পার্বত্যভূমি

 Ⓑ উ: আমেরিকার পশ্চিমের কর্ডিলেরা

C)দ: অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ

D) পৃ: আফ্রিকার গ্রস্ত উপত্যকা

উত্তর: Ⓐ মধ্য এশিয়ার পার্বত্যভূমি।

Very Short Question Answer

▶ প্রশ্ন-3 জল কোথায় তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায়? সমতল জায়গায় না ঢালু জায়গায়।

উত্তর: সমতল জায়গায়, ঢালু জায়গায়।

▶ প্রশ্ন-4 ঢালু জায়গায় জল কখন তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায়?

উত্তর: জলের পরিমাণ বাড়লে, জলের পরিমাণ কমলে।

▶ প্রশ্ন-1 ছবিটাকে বুঝতে পারলে?

উত্তর: উপরের ছবিটি হল উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত একটি আদর্শ নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্র।

1. গঙ্গা নদী কোন্ হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে?

উত্তর: গঙ্গোত্রী হিমবাহ।

2. মিসৌরি নদীকে কোন্ মহাদেশে দেখতে পাওয়া যায়?

উত্তর: উত্তর আমেরিকা মহাদেশে।

3. যে উঁচু অঞ্চল দুটি নদীর অববাহিকাকে পৃথক করে তাকে কী বলে?

উত্তর: জলবিভাজিকা।

4. নদী যে খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে কী বলে?

উত্তর: নদী উপত্যকা।

5. পাঁচ নদীর মধ্যবর্তী স্থান ভারতে কী নামে পরিচিত?

উত্তর: পাঞ্জাব।

6. ভারতের একটি অন্তর্বাহিনী নদীর নাম লেখো।

উত্তর: লুনি।

7. আর্দ্র অঞ্চলে নদীর উচ্চগতিতে সৃষ্ট গভীর খাতকে কী বলে?

উত্তর: গিরিখাত।

৪. যোগ জলপ্রপাত কোন্ রাজ্যে অবস্থিত?

উত্তর: কর্ণাটক।

9. কাবেরী নদীর উপরিস্থিত জলপ্রপাতের নাম কী?

উত্তর: শিবসমুদ্রম।

10. পৃথিবীর মোট স্থলভাগের কত শতাংশ অংশে নদীর কাজ দেখা যায়?

উত্তর: 60% অংশে।

11. ফানেল আকৃতির চওড়া নদী মোহানাকে কী বলে?

উত্তর: খাড়ি।

1. ভলগা, দানিয়ুব, রাইন, নাইজার।

উত্তর: নাইজার।

2. খাঁড়ি, জলপ্রপাত, পলল ব্যজনী, । আকৃতির উপত্যকা।

উত্তর: খাঁড়ি।

3. মিয়েন্ডার, মন্থকূপ, নদীচর, প্লাবনভূমি।

উত্তর: ম্যকূপ।

4. সিন্ধু, কৃষ্ণা, রাইন, দানিয়ুব।

উত্তর: কৃষ্ণা।

5. লেভি, নদীসোপান, প্লাঞ্জপুল, পলিশঙ্কু।

উত্তর: প্লাঞ্চপুল।

1. পার্বত্য অঞ্চলে নদী শান্তভাবে প্রবাহিত হয়।

উত্তর: পার্বত্য অঞ্চলে নদী অশান্তভাবে প্রবাহিত হয়।

2. মহানন্দা যমুনার একটি উপনদী।

উত্তর: মহানন্দা গঙ্গার একটি উপনদী।

3. আদর্শ নদীর গতিপথকে 5 টি ভাগে ভাগ করা যায়।

উত্তর: আদর্শ নদী গতিপথকে 3 টি ভাগে ভাগ করা যায়।

4. লুনি দক্ষিণ ভারতের একটি নদী।

উত্তর: লুনি পশ্চিম ভারতের একটি নদী।

1. আমার গতিপথে ‘I’ আকৃতির ভূমিরূপ দেখা যায়। আমি কে?

উত্তর: কলোরাডো নদী।

2. আমার গতিপথে ‘নায়াগ্রা’ জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে। আমি কে?

 উত্তর: সেন্ট লরেন্স নদী।

3. আমার আকৃতি গ্রিক অক্ষর ‘ডেল্টা’র মতো, আমি কে?

উত্তর: বদ্বীপ।

4. আমি পৃথিবীর গভীরতম নদী উপত্যকা। আমি কে?

 উত্তর: গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

5. আমি জলপ্রপাতের তলদেশে সৃষ্টি হয়ে থাকি। আমি কে?

উত্তর: প্রপাতকূপ।

Short Question Answer

• প্রশ্ন-1 আদর্শ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও। (বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল, উঃ মাঃ)

উত্তর: উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে নদীর গতিপথে তিনটি প্রবাহ (উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন) সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়, তাকে আদর্শ নদী বলে। যেমন-গঙ্গা নদী।

• প্রশ্ন-2 নদী অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর: প্রধান নদীসহ তার উপনদী ও শাখানদীসমূহ যে অঞ্চলের জল নিষ্কাশন করে, অথবা যে অঞ্চলকে প্রত্যক্ষভাবে (পানীয় জল, কৃষিকাজ ও পশুপালনের জন্য জলসেচ, পরিবহণ) বা পরোক্ষভাবে (জলবিদ্যুৎ) উপকার করে, সেইসব অঞ্চলকে একত্রে ওই প্রধান নদীর অববাহিকা (River Basin) বলে।

• প্রশ্ন-3 ধারণ অববাহিকা সম্বন্ধে কী জানো?

উত্তর: পার্বত্য অঞ্চল বা উচ্চভূমিতে নদীর উৎস অঞ্চলে অনেক ছোটো ছোটো উপনদী বা জলধারা প্রধান নদীতে জলের জোগান দেয়, তাদের সমগ্র অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে। যেমন-গঙ্গা নদীর উৎস অঞ্চলে পিন্ডার, অলকানন্দা, ধৌলিগঙ্গা, মন্দাকিনী প্রভৃতি উপনদীর সঙ্গে মিলিত অববাহিকাকে গঙ্গা নদীর ধারণ অববাহিক

(Catchment Area) বলে।

▶ প্রশ্ন-4 জলবিভাজিকা কাকে বলে?

উত্তর: যে উচ্চভূমি পাশাপাশি অবস্থিত দুই বা ততোধিক নদীগোষ্ঠী ও নদী অববাহিকাকে পৃথক করে, তাকে জলবিভাজিকা বলে। সাধারণত নদীর জল, জলবিভাজিকার (Watershed) অবস্থান অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন দিকে নিষ্কাশিত হয়। উদাহরণ-এশিয়া মহাদেশের মধ্যভাগের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল হল পৃথিবীর বৃহত্তম জলবিভাজিকা অঞ্চল।

▶ প্রশ্ন-6 জলবিভাজিকা ক্ষয় হয়ে গেলে কী ঘটনা ঘটবে? (পর্ষদ নমুনা)

উত্তর: জলবিভাজিকা ক্ষয়ের ফলে মাটি, পাথর প্রভৃতি ক্ষয়জাত পদার্থ নদীগর্ভে নেমে এসে সঞ্চিত হয়ে নদীর গভীরতা হ্রাস করবে। নদীতে কোনো কারণে অতিরিক্ত যুক্ত হলে এলে বন্যার সম্ভাবনা বাড়বে এবং নদীর পার্শ্ববর্তী জলবিভাজিকা সংলগ্ন অঞ্চল ধসপ্রবণ হয়ে উঠবে।

• প্রশ্ন-7 অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে?

উত্তর: যেসব নদী কোনো দেশের আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যে কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে, তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। উদাহরণ-লুনি নদী ভারতের অভ্যন্তরে আনাসাগর হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে থর মরুভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কচ্ছের রণে পড়েছে।

▶ প্রশ্ন-৪ আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যে নদী একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক নদী বলে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক নদী এক দেশ থেকে উৎপন্ন হয়ে পার্শ্ববর্তী অন্য এক বা একাধিক স্বাধীন দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যেমন-এশিয়া মহাদেশের সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র; ইউরোপ মহাদেশের দানিয়ুব, (দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক নদী) রাইন, আফ্রিকা মহাদেশের নীলনদ প্রভৃতি।

▶ প্রশ্ন-10 নদীদ্বীপ বা নদীচর বা বালুচর কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর: নদীর নিম্নপ্রবাহে বা সমভূমি প্রবাহে নদীর গতি কমে যায়। ফলে বহন ক্ষমতাও অনেক কমে যায়। নদীর শক্তি বা ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে নদীবাহিত পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকরসমূহ নদীর মাঝে সঞ্চিত হয়ে নদীচর বা বালুচর সৃষ্টি করে। এই বালুচর ক্রমশ আয়তনে ও উচ্চতায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে নদীদ্বীপ তৈরি করে। উদাহরণ: আমাজন নদীর ইলহা-দ্য-মারাজো দ্বীপ (পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপ) প্রভৃতি।

• প্রশ্ন-11 জলপ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর: নদীর প্রবাহপথে কঠিন ও কোমল শিলা অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে, নদী কঠিন শিলা অপেক্ষা নরম শিলাকে বেশি ক্ষয় করলে কঠিন ও কোমল শিলার মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয়। ফলে নদীর জলস্রোত ওপরের ধাপ থেকে নীচে সবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে। যেমন-নায়াগ্রা (সেন্ট লরেন্স নদী), ভিক্টোরিয়া (জাম্বেসি নদী)। পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত সাল্টো অ্যাঞ্জেল (রিও করোনি নদী, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ)।

▶ প্রশ্ন-9 নদীর মধ্যপ্রবাহ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পার্বত্য প্রবাহের পরবর্তী পর্যায়ে যে স্থানে নদী সমভূমিতে এসে পড়ে, সেই স্থান থেকে নদীর প্রায় সমুদ্র সমতলে নেমে আসা পর্যন্ত নদীর মধ্যপ্রবাহ। এই সময় ভূমির ঢাল কমে যায় বলে জলে গতিবেগ শক্তি দুটোই কমে যায়। নিম্নক্ষয় হ্রাস ও পার্শ্বক্ষয় বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর উপত্যকা প্রশস্ত হয় ও গভীরতা হ্রাস পায়। উদাহরণ: উত্তরপ্রদেশের হরিদ্বার থেকে মুর্শিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গা নদীর মধ্যগতি হিসেবে চিহ্নিত।

▶ প্রশ্ন-12 বদ্বীপ সৃষ্টির পদ্ধতিটি আলোচনা করো।

 উত্তর: সংজ্ঞা: নদীর নিম্নপ্রবাহে সৃষ্ট শেষ সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ হল বদ্বীপ। নদীর মোহানা সংলগ্ন স্থানে, ভূমির ঢাল ও জলস্রোতের গতিবেগ প্রায় না থাকার জন্য নদী দ্বারা বাহিত পদার্থসমূহ সমুদ্রের লবণাক্ত জলের সংস্পর্শে জোটবদ্ধ হয়ে অগভীর সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত হয়ে

▶ প্রশ্ন-1 বলতে পারো, একই নদী দুটি জায়গায় দুরকম কেন?

উত্তর: (উত্তর সংকেত: গঙ্গা নদীর উদাহরণসহ লেখা হল)।

পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় গঙ্গোত্রীতে গঙ্গার গতিপথের ঢাল খুব বেশি হওয়ায় গঙ্গা নদী প্রবল গতিতে প্রবাহিত হয়। উৎস অংশে উপনদীর সংখ্যা কমের জন্য জলের প্রাপ্যতা কম থাকায় নদীতে জলের পরিমাণ কম নদী উপত্যকা অপ্রশস্ত। অন্যদিকে, গঙ্গা যতই তার মোহানার দিকে অর্থাৎ সাগরদ্বীপের দিকে সমভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ততই তার গতিপথের ঢাল মৃদু হয়েছে ও বেগ কমে গিয়েছে। প্রবাহপথে অনেক উপনদী এসে মেশায় ও বৃষ্টির জলযুক্ত হওয়ায় নদী প্রচুর জল বহন করার জন্য পার্শ্বক্ষয় বেশি হওয়ায় নদী উপত্যকা চওড়া হয়।

• প্রশ্ন-2 ভেবে দেখো নদীর ‘এত’ জল আসছে কোথা থেকে? (বরফগলা জল, বৃষ্টির জল, ঝরনার জল, হ্রদের জল নাকি অন্য কোনো নদী থেকে?)

উত্তর: প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বিভিন্ন উৎস থেকে সারাবছরই নদীতে কখনো কম, কখনো বেশি পরিমাণে জলের জোগান আসে। সেগুলি হল-(i) পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্ট নদীগুলিতে সারাবছরই জল থাকে কারণ

সৃষ্ট হ্রদের জল থেকে উৎপন্ন হয়। যেমন- তিব্বতের মানস সরোবর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদী। (ii) কোনো উচ্চভূমি ও পাহাড়ি মালভূমি অঞ্চল থেকে সৃষ্ট নদীগুলির জলের উৎস হল ঝরনার জল, বৃষ্টির জল। (ii) নদীর মধ্যগতিতে নদীর জলের উৎিস হল পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে আগত উপনদীর জল। (iv) নিম্নগতিতে বিস্তীর্ণ অববাহিকার জল, ছোটো ছোটো নদী, খাল, বিলের জল প্রধান নদীতে এসে পতিত হয়।

• প্রশ্ন-3 “আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে-বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে-” তোমার দেখা কোনো নদীর সঙ্গে যদি এই কবিতার মিল খুঁজে পাও, তাহলে সেই নদীটার নাম লেখো।

উত্তর: আমি এইরূপ অনেক নদী দেখেছি। যেমন-(i) হুগলি জেলার আদি সপ্তগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ‘সরস্বতী নদী’।

(ii) পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের উপর দিয়ে অত্যন্ত এঁকে বেঁকে নদী শেষে

‘বাঁকা নদী’ বয়ে গেছে। (iii) বর্ধমানের জামালপুর থেকে উৎপন্ন কানা কুন্তী

নদী নামধারণ করে ভাগীরথীতে পড়েছে।

▶ প্রশ্ন-3 বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো?

উত্তর: সংজ্ঞা: নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের ফলে সৃষ্ট জলাধারের সাহায্যে নদী অববাহিকার অধিবাসীদের সর্বাঙ্গীণ জীবনে বহুবিধ উন্নতি সাধনের জন্য যে নদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলে।

উদ্দেশ্যসমূহ: বহুমুখী নদী উন্নয়ন পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলি হল-(i) জলসেচ, (ii) জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, (iii) বন্যা নিয়ন্ত্রণ, (iv) নৌপরিবহণ, (v) মাছ চাষ, (vi) পর্যটন, (vii) ভূমিক্ষয় নিবারণ, (viii) বাঁধকে সেতু হিসেবে ব্যবহার, (ix) মৃত্তিকা ক্ষয় নিবারণ, (x) জলসেচ, (xi) বিভিন্ন রোগ (ম্যালেরিয়া, জলবাহিত রোেগ) প্রতিরোধ করা।

Long Question Answer

প্রশ্ন নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্যপ্রবাহে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। অথবা, ক্যানিয়ন ও গিরিখাত কাকে বলে?

উত্তর: উচ্চগতি বা পার্বত্যপ্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল নিম্নক্ষয় ও ক্ষয়ীভূত পদার্থসমূহ বহন করা। এই পর্যায়ে নদী পার্শ্বক্ষয় করতে পারে। না। নদীর উচ্চগতিতে সৃষ্ট প্রধান তিনটি ভূমিরূপ হল-

(i) গিরিখাত : বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলের ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অধিক করে থাকে। ফলে যে সংকীর্ণ ও গভীর ‘V’ আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়, তাকে গিরিখাত বলে। উদাহরণ: পেরুর এনা ক্যানন দ্য কলকা।

(ii) ক্যানিয়ন: শুষ্ক অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের অভাবে নিম্নক্ষয় অধিক হওয়ায় অতি গভীর ও অতি সংকীর্ণ ‘I’ আকৃতিবিশিষ্ট যে উপত্যকা সৃষ্টি হয়, তাকে ক্যানিয়ন বলে। উদাহরণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

(iii) জলপ্রপাত: নদীর প্রবাহপথে কঠিন ও কোমল শিলা অণুভূমিকভাবে অবস্থান করলে, নদী কোমল শিলাকে বেশি ক্ষয় করার ফলে কঠিন ও কোমল শিলার মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয় এবং প্রান্তভাগে অবস্থান করলে নদী উপত্যকার ভূমি ঢালের প্রভেদ ঘটে। ফলে নদীর জলস্রোত কঠিন শিলার ওপর খাড়া ঢাল বরাবর ওপর থেকে নীচে সবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে। উদাহরণ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লরেন্স নদীর ‘নায়াগ্রা জলপ্রপাত’। যার উচ্চতা 51 মিটার বা 167 ফুট।

প্রশ্ন ২ নদীর মধ্যগতিতে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ বর্ণনা করো। উত্তর: নদীর মধ্যগতিতে সৃষ্ট প্রধান তিনটি ভূমিরূপ হল-

(i) নদী বাঁক বা মিয়েন্ডার: ভূমির ঢাল কমে গেলে নদীর স্রোতের বেগ কমে যায়। ফলে নদী সামান্য বাধা পেলেই কঠিন শিলাস্তর এড়িয়ে গিয়ে আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়। নদীর এই আঁকাবাঁকা পথকে নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার বলে। উদাহরণ: ভারতের গোদাবরী ও কৃষ্ণানদী এবং তুরস্কের মিয়েন্ড্রস প্রভৃতি নদীতে দেখা যায়।

(ii) নদীদ্বী প: নদীবাহিত পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর নদীর মধ্যে বা

দুধারে সঞ্চিত হলে জল প্রবাহের পথ আটকে যায়। নদীতে চড়া পড়ে। কখনও নদী-দ্বীপ তৈরি হয়।

(iii) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ : নদীর বাঁকের পরিমাণ বাড়লে, বা নদীতে জল বাড়লে কখনো কখনো নদী বাঁকের একটা অংশ মূলনদী থেকে আলাদা হয়ে যায়। আলাদা বা বিচ্ছিন্ন অংশটি ঘোড়ার খুরের মতো দেখতে হয় বলে একে অক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

           উত্তর: নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয় কাজের পলে প্লাবনভূমি, বদ্বীপ ইত্যাদি ভূমিরূপ তৈরি হয়। (ⅰ) প্রশস্ত বা চওড়া নদী উপত্যকা : নিম্নপ্রবাহে নদীর নিম্নক্ষয় থাকে না। কেবল পার্শ্বক্ষয় হয়। ফলে নদী আরও চওড়া বা প্রশস্ত হয়ে যায়।

(ii) প্লাবনভূমি: নিম্নগতিতে বর্ষায় নদীতে নদীতে বর্ষায় বন্যা হলে প্লাবিত অঞ্চলে বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি অতিরিক্ত জল দুকূল ছাপিয়ে সঞ্চিত করে যে নতুন পলিগঠিত সমভূমি তৈরি করে, তাকে প্লাবনভূমি বা প্লাবন সমভূমি বলে। চিনের হোয়াং নদীর নিম্নগতিতে প্লাবনভূমি দেখা যায়।

(iii) স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি: বদ্বীপ প্রবাহে নদীর উভয় তীর বরাবর নদীবাহিত পলি, বালি, কাঁকর সঞ্চিত হয়ে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি করে, তাকে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি বলে। উদাহরণ: সুন্দরবন অঞ্চলে নদীর দুই তীরে স্বাভাবিক বাঁধ দেখা যায়।

(iv) খাঁড়ি: নদীর মোহনায় জোয়ারের সময় সমুদ্রের লবণাক্ত জল নদীখাতে প্রবেশ করে নদী পাড়ের পার্শ্বক্ষয় করে নদীর উপত্যকাকে ফানেলের মতো চওড়া করে তোলে। এই ফানেলাকৃতির উপত্যকাকে

খাঁড়ি বলে। উদাহরণ: সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচুর নদীতে খাঁড়ি দেখা যায়।

(v) বদ্বীপ: নদীর মোহনায় জলের গতিবেগ কম এবং ভূমির ঢাল কম থাকায় নদীবাহিত ভাসমান ও দ্রবীভূত পদার্থসমূহ নোনা জলের সংস্পর্শে অতি দ্রুত জোটবদ্ধ হয়ে মোহানার সন্নিকটে অগভীর সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত হয়ে মাত্রাহীন বাংলা ‘ব’ (বা গ্রিক অক্ষর ডেল্টার ‘△’ মতো) অক্ষরের

মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তাকে বদ্বীপ বলে। উদাহরণ: পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ হল গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মিলিত বদ্বীপ।

প্রশ্ন-4 বদ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল ভৌগোলিক পরিবেশগুলি বর্ণনা করো। (অনুরূপ প্রশ্ন সব নদীর মোহানায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয় না কেন?)

উত্তর: পৃথিবীর সব নদী মোহানায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি। বদ্বীপ গঠনের অনুকূল ভৌগোলিক বা প্রাকৃতিক শর্তগুলি হল-

(i) অগভীর মোহানা: নদীর মোহানা অগভীর হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

(ii) পলির আধিক্য: নদীবাহিত পলিরাশির পরিমাণ বেশি হলে বদ্বীপ গঠন দ্রুত হবে। কম পলি থাকলে বদ্বীপ তৈরি হবে না।

(iii) নদীর প্রবাহপথ: নদীর প্রবাহপথ সুদীর্ঘ হওয়া প্রয়োজন।

(iv) জলের গতিবেগ: নদীর মোহানার কাছাকাছি নদীর গতিবেগ কম হওয়া বাঞ্ছনীয়। নদীর বেগ বেশি হলে বদ্বীপ তৈরি হবে না।

(v) উপনদীর সংখ্যা: প্রধান নদীতে অসংখ্য উপনদী এসে মিলিত হলে, নদীতে পলির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

(vi) সমুদ্রের প্রকৃতি: মোহানায় সমুদ্রস্রোত ও জোয়ারের প্রাবল্য কম হতে হবে, যাতে পলিরাশি অপসারিত না হয়। মোহানায় প্রবল সমুদ্র

স্রোতে বদ্বীপ গড়ে তুলতে পারে না।

 (vii) স্থলবেষ্টিত সমুদ্র: উন্মুক্ত সমুদ্র অপেক্ষা আবদ্ধ সমুদ্র বদ্বীপ

গঠনের পক্ষে বিশেষ উপযোগী।

(viii) বায়ুপ্রবাহ: নদীর স্রোতের বিপরীতে বায়ু প্রবাহিত হলে বদ্বীপ গঠন ত্বরান্বিত হয়।

(x) সমুদ্রজলের ঘনত্ব: সমুদ্রের জলের ঘনত্ব বেশি হওয়া দরকার।

কারণ লবণাক্ত সমুদ্রে জল নদীবাহিত পদার্থসমূহকে দ্রুত জোটবদ্ধ করে। 

 (xii) উপকূলের ঢাল নদীর মোহনায় উপকূলের ঢাল বা মহীসোপানের ঢাল কম হওয়া ও মহীসোপানের বিস্তার বেশি হলে সেখানে বৃহৎ আকৃতির বদ্বীপ গঠিত হতে পারে।

প্রশ্ন 5 নদী কীভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে তা তোমার অঞ্চলের কোনো নদীর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: নদী যে-কোনো অঞ্চলের বিকাশ ও উন্নতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন- (ⅰ) এই নদীর শোভা দেখতে এখানে অনেক পর্যটক আসেন। তাই পর্যটকদের পরিসেবা দান করার জন্য অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। (ii) ইছামতী থেকে প্রচুর মাছ ধরে মানুষ জীবিকা অর্জন করেন। (iii) নদীর ঠান্ডা জল হাওয়া স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। (iv) নদীকে কেন্দ্র করে নৌ পরিবহণ ব্যবস্থার বিকাশ ঘটেছে। (v) নদীপাড়ের মাটি থেকে ইট তৈরি করা হয়। তাই এখানে অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। (vi) টাকি রেলস্টেশন থেকে ইছামতীর তীরের পর্যটন কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় দেড় কিমি (1.5 কিমি)। এই পথে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য প্রচুর ভ্যান, টোটো, চলাচল করে। যা থেকে স্থানীয় গরিব মানুষরা অর্থ উপার্জন করে থাকে। (vii) টাকি শহরের বিপরীত পাশে ইচ্ছামতির অপর তীরে বাংলাদেশের শ্রীপুর জেলার সাতক্ষীরা গ্রাম অবস্থিত। প্রতিবছর বিজয়া দশমীর দিন উভয়তীরের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য ইছামতী নদীতে মিলিত হন, যা এক সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বিশ্ববন্দিত হয়েছে

• প্রশ্ন-1 নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করে মানুষ কীভাবে সভ্যতার সংকট সৃষ্টি করেছে?

উত্তর: মানবজীবনে নদী অত্যন্ত প্রভাব বিস্তার করলেও মানুষের কার্যাবলি নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করছে। ফলে মানুষ নিজেই তার বিপদ ডেকে আনছে। (ⅰ) বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর ওপর কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করে মানুষ সাময়িকভাবে কিছু সুফল পেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আরো ভয়াবহ বন্যার কারণ হয়ে উঠেছে। 2021 সালে উত্তরাখণ্ডে ও হিমাচলে একটানা হড়পাবান ঘটেছে। (ii) মাত্রাতিরিক্ত কৃষিকাজের ফলে কৃষিক্ষেত্র থেকে ধুয়ে আসা পলিতে নদী ক্রমশ ভরাট হচ্ছে। (iii) কৃষিকাজে জলসেচের পর্যাপ্ত জলের জোগান এবং শিল্পাঞ্চলে ও শহরগুলিতে পাণীয় জলের জোগানঅক্ষুণ্ণ। (iv) শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য পদার্থ ও পরিত্যক্ত জল নদীতে অবাধে মিশে নদীর জলকে দূষিত ও বিষাক্ত করছে।

• প্রশ্ন-2 নদী ক্রমশ ভরাট হচ্ছে কেন?

উত্তর: নদী তার বোঝা (নুড়ি, বালি, পলি, কাঁকর, পলি, কাদা ইত্যাদি) বহন করতে না পারলে তা সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ করে নদী ভরাট করে। যেমন-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণগুলি হল-(i) নদীর বহন ক্ষমতা অপেক্ষা অধিক পরিমাণে নুড়ি, বালি, পলি, কাদা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে আসা। (ii) নদীতে জলের পরিমাণ কমে আসা। (iii) নদী উপত্যকার ঢাল কমে আসে। (iv) নদী কোনো আবদ্ধ জলাশয়ে পড়লে। (v) গ্রাম, শহর, শিল্পাঞ্চলের নোংরা আবর্জনা বর্জ্য পদার্থ অবাধে নদীতে ফেলে দেওয়া। (v) শহরাঞ্চলগুলিতে নদীর পাড় ভরাট করে ঘরবাড়ি, সেতু নির্মাণ করা। (vii) নদীর তীরে মাছের ভেড়ি তৈরি করা। (viii) অপেক্ষাকৃত কম স্রোত বা প্রায় স্রোতহীন নদীতে কচুরিপানা, শেওলা, শালুক প্রভৃতি জলজ উদ্ভিদ জন্মায় ও নদী আবদ্ধ হয়ে পড়ে।

▶ প্রশ্ন-1 নদী কী কী কাজ করে?-আলোচনা করো।

উত্তর: নদী তার সুদীর্ঘ গতিপথে প্রধানত তিন রকমের কাজ করে

থাকে। যথা-(i) ক্ষয়সাধন, (ii) বহন ও (iii) সঞ্চয় কাজ। *

 ক্ষয়সাধন: প্রবল জলপ্রবাহের আঘাতে নদীর পাড় ও তলদেশের শিলাসমূহের স্থানচ্যুত বা চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া প্রক্রিয়াকে নদীর ক্ষয়কাজ বলে। *

 বহন: নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট নুড়ি, কাঁকর, বালি, পাথর, পলি ইত্যাদি নদীর প্রবল জলস্রোতের টানে উৎস থেকে মোহনার দিকে প্রবাহিত হয়। একে নদীর বহন কাজ বলে। নদীর এই বহন ক্ষমতা নির্ভর  করে নদীপথের ঢাল, জলপ্রবাহের পরিমাণ ও বোঝার ওপর নির্ভরশীল।

 * সঞ্চয়কাজ: প্রধানত নিম্নগতিতে ভূমিঢাল কমে যাওয়ায় নদীর বেগ তথা বোঝা বহনের ক্ষমতা কমে যায়। নদী তার বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত বোঝা নদীর পাশে বা খাতে তা সঞ্চয় করে থাকে। একে নদীর সঞ্চয়কাজ বলে।

• প্রশ্ন-2 নদীর শক্তির সঙ্গে নদীর কাজের কী সম্পর্ক, বুঝতে পারলে?

 তা সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: নদী তার গতিপথে ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় করে-এই তিন রকম কাজ নির্ভর করে তার সামর্থ্যের (শক্তির) উপর। নদীর সামর্থ্য বা ক্ষমতা বা শক্তি মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, সেগুলি হল- (i) জলের পরিমাণ, (ii) জলের গতিবেগ, (iii) ভূমির ঢাল। এছাড়া নদীবাহিত বোঝার পরিমাণ, শিলার প্রকৃতি, নদীর উপত্যকায় মানুষের কার্যকলাপ

প্রভৃতি বিষয়ের উপর নদীর শক্তি নির্ভর করে।

 * সম্পর্ক: নদীতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধির কারণে নদীর কর্মক্ষমতা বিশেষ করে ক্ষয়সাধন ও বহন অনেকাংশে বেড়ে যায়। আবার এগুলি কমে গেলে নদীর সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়। নদীবাহিত বোঝার পরিমাণের হ্রাস বৃদ্ধি ক্ষয়কাজের বাড়ে-কমে। অন্যদিকে, নদীর উপত্যকার ভূমির ঢালের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটলে নদীর গতিবেগের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।

{ নদীর বোঝা ও নদী অববাহিকায় অধিক জনঘনত্বের ফলে মানুষের নানান

ধরনের কাজের ফলে নদীতে বোঝার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে নদী ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়।

▶ প্রশ্ন-1 মানুষের জীবনের সঙ্গে নদীর কী মিল!! তুলনা করে আলোচনা করো।

উত্তর : একটি আদর্শ নদীর সঙ্গে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের

জীবনযাত্রার প্রায় 100 শতাংশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন-(i) প্রথম ছবিতে একজন বাচ্চা ছেলে ও নদীর উচ্চপ্রবাহের ছবি পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। একটি বাচ্চা ছেলে তার যৌবন বয়সে যেমন কর্মচঞ্চল, দৌড়ঝাঁপ করে, ছটফট করে, অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকে। ঠিক তেমনি নদী তার উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে অতি দ্রুতবেগে প্রবাহিত হতে থাকে। (ii) দ্বিতীয় ছবিতে একজন মধ্যবয়সী পরিণত মানুষ ও নদীর মধ্যপ্রবাহের ছবি পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। নদীর মধ্যগতিতে নদী উপত্যকার ঢাল ও নদীর শক্তি হ্রাস পায়। ফলে নদীর ক্ষয় করার ক্ষমতা যেমন অনেকটা কমে যায়, ঠিক তেমনি একজন পরিণত মাঝবয়সী মানুষও এই সময়ে ধীর স্থির, শান্তশিষ্ট এবং কম গতিসম্পন্ন হয়ে পড়ে, (iii) তৃতীয় ছবিতে একজন মানুষের বার্ধক্য অবস্থা এবং নদীর নিম্নপ্রবাহের চিত্র দেওয়া হয়েছে। একজন মানুষের বার্ধক্য অবস্থায় সে যেমন অশক্ত, চলনশক্তি হারিয়ে ফেলে, কর্মশক্তিহীন হয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি নদীও তার নিম্নগতিতে মোহানার কাছে তার গতি, ক্ষমতা সবই হারিয়ে ফেলে।

• প্রশ্ন-২ তোমার বাড়ির কাছাকাছি কোনো নদীকে লক্ষ করে নদীর বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে স্থারণা করো। নদীর নাম, নদীর জল (বেশি/কম), নদীর গতিবেগ (বেশি/ কম), ভূমির ঢাল (বেশি/কম)। অতএব নদীটার কোন্ প্রবাহ? (উচ্চ/মধ্য নিম্ন)।

উত্তর: নদীটার নাম: হুগলি। নদীর জল: বেশি। নদীর গতিবেগ : কম। ভূমির ঢাল : কম। অতএব নদীটার কোন্ প্রবাহ : নিম্ন প্রবাহ।

Fil In The Blanks

1. নদী একটি —- জলধারা।

উত্তর: প্রাকৃতিক/স্বাভাবিক।

2. দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম নদীটি হল——

উত্তর: আমাজন।

3. এলাহাবাদ, আগ্রা, গঙ্গা ও — নদীর দোয়াব অঞ্চলে অবস্থিত।

উত্তর: যমুনা।

4. পৃথিবীর দীর্ঘতম খাড়ি —- নদীতে দেখা যায়।

উত্তর: ওব।

5. নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ হল। —

 (জেনকিনস স্কুল কোচবিহার)

উত্তর: সঞ্চয়।

6. মিয়েন্ডার নামকরণ হয়েছে তুরস্কের অনুসারে। নদীর নাম

উত্তর: মিয়েন্ড্রস।

7. ভারতের —নদীর মোহানায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি।

উত্তর: নর্মদা-তাপ্তি।

৪. নদী যে পাড়ে ক্ষয় করে, তার — পাড়ে সঞ্চয় করে।

উত্তর: বিপরীত।

9. ‘V’ আকৃতির নদী উপত্যকাকে — বলে।

উত্তর: গিরিখাত।

Ture And False

1. অনেকগুলি জলধারা মিলিত হয়ে প্রধান নদী সৃষ্টি হয়।

উত্তর: শুদ্ধ

2. নদী সাধারণত নীচু জলাভূমিতে সৃষ্টি হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ (উচ্চভূমি)

3. গোমুখ গুহা কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত।

উত্তর: অশুদ্ধ (হিমালয়)

4. উপনদীসমূহ প্রধান নদীতে জল বৃদ্ধি করে।

উত্তর: শুদ্ধ

5. সুন্দরবনে অনেক খাঁড়ি দেখা যায়।

উত্তর: শুদ্ধ

6. নদীচর কখনোই নদী দ্বীপে পরিণত হতে পারে না।

 উত্তর: অশুদ্ধ (পারে)

7. হরিদ্বার থেকে রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত গঙ্গার উচ্চগতি।

উত্তর: অশুদ্ধ (মধ্যগতি)

৪. পূর্বঘাট পর্বতে যোগ জলপ্রপাত অবস্থিত।                                                                                                                   

উত্তর: অশুদ্ধ (পশ্চিমঘাট)

9. বারাণসীর কাছে গঙ্গায় অনেকগুলি মিয়েন্ডার সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তর: শুদ্ধ

Class 6 Sanskrit Semester 2 Books Solution GSEB Board | GSEB Class 6 Sanskrit Semester 2 Books Answer | संस्कृत (सेमेस्टर – 2) |

CONTENT

1. मम अङ्गानि

2. दक्षिणपादम्

3. करोमि

4. प्रहेलिकाः

5. मम विद्यालयः

6. भवतु भारतम्

7. सुभाषितानि

8. जन्मदिनोत्सवः

9. सूक्तयः

10. ગુજરાતી

Class 6 Sanskrit Semester 1 Books Solution GSEB Board | GSEB Class 6 Sanskrit Semester 1 Books Answer | संस्कृत (सेमेस्टर – 1) |

CONTENT

1. चित्रपदानि 1 त 4

2. आकाश पतति

3. लेखनम्

4. सङ्ख्या

5. हस्ती हस्ती हस्ती

6. सप्त वासराः

7. करोति

8. काकस्य चातुर्यम्

9. समय

10. पुनरावर्तन

Class 6 Hindi Semester 2 Books Solution GSEB Board | GSEB Class 6 Gujarati Books Answer | हिंदी सेमेस्टर 2 |

CONTENT

1. इतनी शक्ति हमें देना दाता

2. अनूठे इन्सान

3. ज़रा मुस्कुराइए

4. पुस्तक हमारी मित्र

5. जय विज्ञान की

6. न्याय

7. यह भी एक परीक्षा

8. पुनरावर्तन

WBBSE Class 6 English Chapter 10 Solution | Bengali Medium

Class 6 Chapter 10 Solution

Smart Ice Cream

Very Short Question Answer

a. What was special about the green ice cream?
Ans: By eating the green ice cream, the long nose of a kid became just a normal nose.

 b. What did Mr. Pippi sell?
Ans: Mr. Pippi sold ice creams, all different types.

Short Question Answer

a. What did the speaker find inside Mr. Pippi’s ice cream van?

Ans: The speaker found many types of ice creams inside Mr. Pippi’s ice cream van.

b. What secret about Darian did the speaker come to know?

Ans: The speaker came to know that Darian got one hundred for Maths by eating smart ice cream.

c. Rewrite the last paragraph in normal English with correct spellings.

Ans: It is the next day now. Something is happening to me. I don’t feel quite as smart. I have been trying to do a really hard sum. It is one and one. What does one and one make? Is it three or is it four?

d. Why do you think there are peculiar spellings in the last paragraph? Give reasons for your answer.
Ans: The peculiar spellings show the change of the narrator from the smartest boy of the school to an ordinary one. Now he commits silly mistakes. He cannot but see others beating him. He tried to be too smart, but ended up as a very ordinary kid.

e. Why did the speaker want to do better than everyone else in the class?
Ans: The speaker wanted to do better than anyone else in the class because he wanted to stay as the smartest kid in school for ever.

f. How did the speaker know that Mr. Peppy was a soft-hearted person?
Ans: The speaker knew that Mr. Peppy was a soft-hearted person as he was always giving free ice creams to kids who had no money.

g. “It had something to do with that ice cream.” Why did the speaker think so?

Ans: The speaker thought so because he had seen Jerome Darian eating ice cream the day he got one hundred for Maths.

Long Question Answer

a. You have all seen an ice cream peddler pushing his cart either in front of your house or school. Write a paragraph in about sixty words on what you think he does after he has finished selling all his ice creams.

Ans: After finishing the selling of all the ice creams, the ice cream peddler will count the money he had altogether earned for the day. Then he will calculate the profit he had made. After that, he will go straight to his home. But, on the way, he will buy some food items and toys for his children. He will also take other necessary items as told by his wife. At last, he will return home thinking the reactions of his children on receiving the toys.

Ture and False

a. Mr. Pippi sold ice creams of only one flavor. ►False

S.S.: He had every flavor there is.

b. The ice cream man was very unkind.  False

S.S.: He was too soft-hearted.

c. The purple ice cream had no effect on the boy. False

S.S.: He gave purple ice cream to a boy and his pimples were cured.

d. The speaker believed that there was no other boy smarter than him in school. >True
S.S.: I was the smartest kid in school.

Grammar

In each of the following sentences supply a verb in agreement with the subject agreement verb

(i) Neither Raja nor Rani was invited to the party.

(ii) Two-thirds of the building has been completed.

(iii) The dancer and the musician are great friends.

(iv) Mother along with her daughters is attending the programmer.

WBBSE Class 7 Geography Chapter 4 Solution | Bengali Medium BM

ভূমিরূপ

MCQs Question Answer

1. পর্বতের আকৃতি-

Ⓐ ত্রিকোণাকার, B) বর্গাকার,

C)টেবিলাকৃতি, D)বৃত্তাকার

উত্তর: Ⓐ ত্রিকোণাকার।

2. দুটি পর্বতের মাঝের নীচু অংশকে বলে-

Ⓐ উপত্যকা, Ⓑ শৃঙ্গ,

C)  ভাঁজ,D) ঢাল।

উত্তর: Ⓐ উপত্যকা।

3. গ্রস্ত উপত্যকা দেখা যায়-

Ⓐ ভঙ্গিল পর্বতে দেখা যায় Ⓑ স্তূপ পর্বতে দেখা যায়

C) আগ্নেয় পর্বতে দেখা যায়D) ক্ষয়জাত পর্বতে দেখা যায়।

উত্তর: Ⓑ স্তূপ পর্বতে দেখা যায়।

4. ভঙ্গিল পর্বত প্রধানত গঠিত হয়-

Ⓐ পাললিক শিলায়,

B) আগ্নেয় শিলায়,

C) রূপান্তরিত শিলায়,

D)উদ্বেধী শিলায়।

উত্তর: A পাললিক শিলায়।

5. পৃথিবীর দীর্ঘতম নবীন ভঙ্গিল পর্বত হল-

 Ⓐ হিমালয়, Ⓑ আল্পস

C) আন্দিজ, D) রকি।

উত্তর:C) আন্দিজ।

6. শিলাস্তরে ফাটল বা চ্যুতির ফলে সৃষ্টি হয়-

Ⓐ ভঙ্গিল পর্বত,

Ⓑ স্তূপ পর্বত,

C) আগ্নেয় পর্বত,

D) ক্ষয়জশত পর্বত।

উত্তর: B) স্তূপ পর্বত।

7. সাতপুরা, ব্ল্যাকফরেস্ট, ভোজ প্রভৃতি পর্বত হল-

Ⓐ ভঙ্গিল পর্বত,

Ⓑ স্তূপ পর্বত,

© আগ্নেয় পর্বত,

① সঞ্চয়জাত পর্বত।

উত্তর: B) স্তূপ পর্বত।

৪. ভাঁজ, চ্যুতি ও জীবাশ্ম দেখা যায়-

Ⓐ ভঙ্গিল পর্বতে,

Ⓑ স্তূপ পর্বতে,

© আগ্নেয় পর্বতে,

① ক্ষয়জাত পর্বতে।

উত্তর: Ⓐ ভঙ্গিল পর্বতে।

9. শিলাস্তরে ভাঁজ পড়ে যে পর্বত গঠিত হয়-

Ⓐ স্তূপ পর্বত,

B) ভঙ্গিল পর্বত,

C) আগ্নেয় পর্বত,

D) ক্ষয়জাত পর্বত

উত্তর: (B) ভঙ্গিল পর্বত।

10. ভারতের একটি আগ্নেয় পর্বত হল-

 Ⓐ ভিসুভিয়াস, Ⓑ ফুজিয়ামা,

C) ক্লাকাতোয়া, D)ব্যারেন।

উত্তর: D) ব্যারেন।

11. ভিসুভিয়াস আগ্নেয় পর্বতটি অবস্থিত- 

Ⓐ জাপানে, Ⓑ জার্মানিতে 

C), ইটালিতে, D) স্পেনে।

উত্তর: C) ইটালিতে।

12. উত্তর ভারতের সমভূমি হল-

Ⓐ পলিগঠিত,

Ⓑ উপকূলীয়,

© হিমবাহ গঠিত,

① বায়ুগঠিত।

উত্তর: A) পলিগঠিত।

13. পৃথিবীর প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বত-(কন্টাই হাই স্কুল, উঃ মাঃ) অথবা একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ হল-

(এগরা জে. এল. হাইস্কুল)

Ⓐ আরাবল্লি,

B সাতপুরা,

C)হিমালয়,

D) ফুজিয়ামা।

উত্তর: Ⓐ আরাবল্লি।

14. বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ সমভূমি হল-

Ⓐ লোয়েস সমভূমি,

(B) গোদাবরী বদ্বীপ সমভূমি,

C) গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমি,

D)তরাই সমভূমি।

উত্তর: C) গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমি।

15. দুটি পর্বতের মাঝের নীচু অংশকে বলে(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

Ⓐ উপত্যকা,

Ⓑ শৃঙ্গ,

C)ভাঁজ,

D) অ্যান্টিক্ললাইন।

উত্তর: Ⓐ উপত্যকা।

Very Short Question Answer

▶ প্রশ্ন-1 ভঙ্গিল পর্বত কীভাবে সৃষ্টি হলো?

উত্তর: পৃ: 815-এর রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরের 1 নং প্রশ্নোত্তর দেখো।

2. ভারতের বৃহত্তম মালভূমি কোন্টি?

উত্তর: দাক্ষিণাত্য মালভূমি।

3. পামির মালভূমি কী নামে পরিচিত?

উত্তর: পৃথিবীর ছাদ বা বাম-ই-দুনিয়া।

4. হিমালয় ও কুয়েনলুন পর্বতশ্রেণির মধ্যে কোন্ মালভূমি অবস্থিত?

উত্তর: তিব্বত মালভূমি।

5. জাপানের একটি আগ্নেয় পর্বতের নাম লেখো।

উত্তর: ফুজিয়ামা।

6. পর্বতের ক্ষুদ্র প্রতিরূপ কোন্টি?

উত্তর: পাহাড়।

7. মরুভূমি বালি বহুদূরে উড়ে গিয়ে কোন্ সমভূমি সৃষ্টি করে?

উত্তর: লোয়েস সমভূমি।

৪. পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি বিখ্যাত পাহাড়ের নাম লেখো।

উত্তর: শুশুনিয়া।

9. ভারতের একটি গ্রস্ত উপত্যকার উদাহরণ দাও।

উত্তর: নর্মদা নদী উপত্যকা।

1. পাহাড়, হিমবাহ, মালভূমি, সমভূমি।

উত্তর: হিমবাহ।

2. নদী, বায়ু, ভূ-আলোড়ন, হিমবাহ।

উত্তর: ভূ-আলোড়ন।

3. ভিসুভিয়াস: মৌনালোয়া : ফুজিয়ামা: সাতপুরা।

উত্তর: সাতপুরা।

4. গঙ্গা নদী, নীলনদ, সিন্ধুনদ, ব্রহ্মপুত্র নদ।

উত্তর: নীলনদ।

G. ভুল সংশোধন করে লেখো:

1. প্রধানত ভঙ্গিল পর্বতের পাশেই গ্রস্ত উপত্যকা দেখা যায়।

উত্তর: প্রধানত স্তূপ পর্বতের পাশে গ্রস্ত উপত্যকা দেখা যায়।

2. আগ্নেয় পর্বতের অপর নাম ক্ষয়জাত পর্বত।

উত্তর: আগ্নেয় পর্বতের অপর নাম সঞ্চয়জাত পর্বত।

3. এশিয়া মহাদেশের হিমালয় একটি সঞ্চয়জাত পর্বতমালা।

উত্তর: এশিয়া মহাদেশের হিমালয় একটি ভঙ্গিল পর্বতমালা।

4. ক্রাকাতোয়া মালয়েশিয়ার একটি আগ্নেয় পর্বত।

উত্তর: ক্রাকাতোয়া ইন্দোনেশিয়ার একটি আগ্নেয় পর্বত।

5. মালভূমি অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত।

উত্তর: সমভূমি অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত।

1. আমি দুটো পর্বতচূড়ার মাঝখানের নীচু স্থানের মতো অংশ। আমি কে?

উত্তর: পার্বত্য উপত্যকা।

2. দুটি পাতের প্রবল চাপে মাঝখানের ভূভাগ ভাঁজ খেয়ে আমার সৃষ্টি হয়। আমি কে?

উত্তর: ভঙ্গিল পর্বত।

3. ভূগর্ভের ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়ে আমার সৃষ্টি। আমি অনেক উঁচু। আমি কে?

উত্তর: আগ্নেয় পর্বত।

4. আমি একপ্রকার সমভূমি। নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছি। আমি কে?

উত্তর: পলিগঠিত সমভূমি।

5. আমি ভারতের একটি লাভাগঠিত মালভূমি। আমি কে?

উত্তর: দাক্ষিণাত্যের মালভূমি।

▶ প্রশ্ন-1 ভূ-আলোড়ন কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: ভূঅভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূ-আলোড়ন প্রধানত দুই প্রকার। যথা- Ⓐ মহীভাবক আলোড়ন বা উল্লম্ব আলোড়ন। B গিরিজনি আলোড়ন বা অনুভূমিক আলোড়ন।

1. ভারতের একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের নাম লেখো।

উত্তর: আরাবল্লি পর্বত।

Short Question Question Answer

▶ প্রশ্ন-2 নিজেই কীভাবে অতি সহজে ভঙ্গিল পর্বত তৈরি করবে?

উত্তর: দোকান থেকে রঙিন আর্ট পেপার (সাদা, কালো, সবুজ, নীল, হলুদ) কিনে নিয়ে এসে সেগুলিকে টেবিলের ওপর পরপর রেখে দিলাম। তারপর আর্ট পেপারের দুই প্রান্তে দুটি হাত রেখে আস্তে আস্তে মাঝের দিকে চাপ দিলে দেখা যাবে পার্শ্বচাপের প্রভাবে ক্রমশ কাগজের ভাঁজগুলি বড়ো ও উঁচু হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রধানত প্রবল শক্তিশালী পার্শ্বচাপের প্রভাবে শিলাস্তর ভাঁজপ্রাপ্ত হয়ে ভঙ্গিল পর্বতমালাগুলি সৃষ্টি হয়েছে। (এই পরীক্ষার জন্য কার্পেট বা মাদুর দেওয়া বাদুর ও ব্যবহার করা যেতে পারে)।

• প্রশ্ন-3 মজার খেলা-শব্দ সন্ধান।

উত্তর সূত্র : উপর-নীচ : (১) জাপানের একটা আগ্নেয় পর্বত, (২) দক্ষিণ আমেরিকার সমভূমি, (৩) উত্তরে আমেরিকার ভঙ্গিল পর্বত, (৪) ভারতের একটি স্তূপ পর্বত, (৫)

ফ্রান্সের একটি স্তূপ পর্বত। পাশাপাশি : (৬) এশিয়ার ভঙ্গিল পর্বত, (৭) পৃথিবীর ছাদ, (৮) ইউরোপের ভঙ্গিল পর্বত, (৯) ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত, (১০) দক্ষিণ আমেরিকার ভঙ্গিল পর্বত।

উত্তর: উপর-নীচ : (১) ফুজিয়ামা, (২) পম্পাস, (৩) রকি, (৪) সাতপুরা, (৫) ভোজ।

পাশাপাশি: (৬) হিমালয়, (৭) পামির, (৮) আল্পস্, (৯) আরাবল্লি, (১০) আন্দিজ।

▶ প্রশ্ন-2 ভূমিরূপের শ্রেণিবিভাগগুলি লেখো।

উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠের উচ্চতা, বন্ধুরতা, ভূমির ঢাল, শিলার গঠন প্রভৃতির তারতম্যের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সমস্তরকম ভূমিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল- পার্বত্য ভূমি, B মালভূমি ও সমভূমি।

▶ প্রশ্ন-3 ভূ-গাঠনিক পাত কাকে বলে?

উত্তর: শিলামণ্ডল কতকগুলি ছোটো বড়ো খণ্ডে বিভক্ত। ক্ষুব্ধমণ্ডল বা অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের সান্দ্র ম্যাগমার উপর ভাসমান ও অতি ধীর গতিতে চলমান এই খণ্ডগুলিকে পাত (plate) বলে। ভূত্বকে মোট

7 টি বড়ো, 20 টি মাঝারি ও অসংখ্য ছোটো ছোটো পাত আছে। উদাহরণ-ভারতীয় পাত, আফ্রিকা পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত প্রভৃতি।

▶ প্রশ্ন-4 অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমণ্ডল কাকে বলে?

উত্তর: ভূত্বকের নীচে ও বহিঃগুরুমণ্ডলের উপরে প্রায় 100-150 কিমি গভীরতায় নমনীয় স্থিতিস্থাপক ম্যাগমা দ্বারা গঠিত সান্দ্র প্রকৃতির নমনীয় এবং স্থিতিস্থাপক ভূস্তরকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমণ্ডল বলে। ভূগাঠনিক পাতগুলি এই অর্ধতরল স্তরের উপর ভাসমান ও গতিশীল আছে।

▶ প্রশ্ন-5 ভঙ্গিল পর্বত কাকে বলে?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের অগভীর জলভাগ সঞ্চিত কোমল পাললিক শিলাস্তরে প্রবল গিরিজনি আলোড়নের ফলে সৃষ্ট অনুভূমিক পার্শ্বচাপের প্রভাবে ভাঁজ পড়ে তরঙ্গাকারে যে পর্বতের সৃষ্টি হয়, তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। উদাহরণ: এশিয়ার হিমালয় (উচ্চতম), দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ (দীর্ঘতম), ইউরোপের আল্পস, উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতমালা প্রভৃতি।

▶ প্রশ্ন-6 স্তূপ পর্বত কাকে বলে?

উত্তর: প্রবল মহীভাবক ভূআলোড়নের ফলে শিলাস্তরে টান বা প্রসারণের জন্য দুটি সমান্তরাল ফাটল বা চ্যুতির মধ্যবর্তী ভূখণ্ড পার্শ্ববর্তী অঞ্চল অপেক্ষা উঁচু হয়ে উপরে উঠে এলে পৃথিবীপৃষ্ঠে হোস্ট বা স্তূপ পর্বতের (Horst or Block Mountain) সৃষ্টি হয়। উদাহরণ : ভারতের সাতপুরা, ফ্রান্সের ভোজ, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট প্রভৃতি।

▶ প্রশ্ন-7 গ্রস্ত উপত্যকা কাকে বলে?

উত্তর: প্রবল মহীভাবক ভূআলোড়নের প্রভাবে শিলাস্তরে সৃষ্ট দুটি টান বা প্রসারণের জন্য ভূপৃষ্ঠে সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল অক্ষেপা নীচে বসে গিয়ে যে সুদূর বিস্তৃত, গভীর, সংকীর্ণ ও অবনত উপত্যকার সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বা গ্রাবেন (Rift Valley) বলে। উদাহরণ: ভারতের নর্মদা ও তাপ্তি নদী উপত্যকা প্রভৃতি।

▶ প্রশ্ন-৪ সঞ্চয়জাত বা আগ্নেয়পর্বত কাকে বলে?

উত্তর: প্রবল ভূ-আলোড়নের প্রভাবে ভূত্বকের দুর্বল অংশে সৃষ্ট ফাটল অথবা দুটি পাতের সংযোগস্থলের মধ্যবর্তী পথ দিয়ে ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা, গ্যাস, বাষ্প, ছাই, প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি প্রবল বেগে ভূপৃষ্ঠের উপর বেরিয়ে আসে এবং লাভারূপে ফাটলের চারপাশে সঞ্চিত হয়ে যে সুউচ্চ পর্বতের সৃষ্টি হয়, তাকে সঞ্চয়জাত পর্বত বা আগ্নেয় পর্বত বলে। যেমন- ইতালির ভিসুভিয়াস।

▶ প্রশ্ন-9 ক্ষয়জাত বা অবশিষ্ট পর্বত কাকে বলে?

উত্তর: পৃথিবীর প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতমালা, স্তূপ পর্বত, আগ্নেয় পর্বত বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের ফলে উচ্চতা হ্রাস পেয়ে কঠিন শিলা গঠিত গম্বুজাকৃতির অনুচ্চ ও বিচ্ছিন্ন পর্বত হিসেবে ভূপৃষ্ঠে অবস্থান করছে, সেইসব শিলাময় উচ্চভূমিকে ক্ষয়জাত পর্বত বা অবশিষ্ট পর্বত (Erosional or Relict Mountain) বলে। উদাহরণ: ভারতের আরাবল্লি পর্বত, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপালেচিয়ান পর্বত এবং অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ প্রভৃতি।

প্রশ্ন-10 কেবলমাত্র ভঙ্গিল পর্বতেই ভাঁজ কেন দেখা যায়?

উত্তর: ভূত্বক গঠনকারী দুটি অভিসারী পাত অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে ভাসমান অবস্থায় যখন একে অন্যের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, তখন এদের মধ্যবর্তী অংশে বা পাতের প্রান্তদেশে দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত পলিরাশিতে প্রবল পার্শ্বচাপে ভাঁজ পড়ে তরঙ্গাকারে যে পর্বতের সৃষ্টি হয়, তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। একমাত্র এই পর্বত ছাড়া অন্য কোনো প্রকারের পর্বত এভাবে সৃষ্টি হয় না। তাই সেগুলি ভাঁজযুক্ত হয় না এবং শুধুমাত্র ভঙ্গিল পর্বতেই ভাজ সৃষ্টি হয়।

▶ প্রশ্ন-11 মালভূমিকে ‘টেবিলল্যান্ড’ কেন বলা হয়।

উত্তর: টেবিলের উপরের অংশ সমতল কিন্তু এর পায়াগুলো ঢালু ও খাড়া। মালভূমির উপরের অংশ প্রায় সমতল হলেও এর চারপাশ খাড়া ঢালযুক্ত হয়। টেবিলের আকারের সঙ্গে এর মিল থাকায় মালভূমিকে টেবিলল্যান্ড বলে।

▶ প্রশ্ন-1 উচ্চতা অনুসারে মালভূমির শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর: উচ্চতা অনুসারে মালভূমি দুই প্রকার। যথা- (ⅰ) উচ্চ মালভূমি: যে সকল মালভূমির গড় উচ্চতা প্রায় 3000 মিটারের বেশি হয়, তাকে উচ্চ মালভূমি বলে। যেমন-পামির মালভূমি, তিব্বত মালভূমি। (ii) নিম্ন মালভূমি: যে সকল মালভূমির উচ্চতা 300-900 মিটারের মধ্যে থাকে, তাকে নিম্ন মালভূমি বলে। যেমন-ছোটোনাগপুর মালভূমি দাক্ষিণাত্য, আরব মালভূমি।

▶ প্রশ্ন-3 লাভা সমভূমি ও লোয়েস সমভূমি বলতে কী বোঝো?

উত্তর: লাভা সমভূমি: ভূঅভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের দুর্বল ফাটলের মধ্য দিয়ে লাভারূপে বাইরে বেরিয়ে এসে বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অনুভূমিকভাবে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে, তাকে লাভা সমভূমি বলে। উদাহরণ: গুজরাটের মালব সমভূমি। লোয়েস সমভূমি: প্রবল গতিবেগসম্পন্ন বায়ু দ্বারা মরুভূমির

অতিসূক্ষ্ম বালুকণা বহু দূরে পরিবাহিত হয়ে কোনো অবনমিত অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি করে, তাকে লোয়েস সমভূমি বলে। উদাহরণ: চিনের হোয়াংহো অববাহিকা।

প্রশ্ন 3 পর্বত বেষ্টিত মালভূমি ও ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির চিত্র অঙ্কন করো এবং বৈশিষ্ট্য লেখো। (পর্ষদ নমুনা)

উত্তর: পর্বতবেষ্টিত মালভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (i) এই মালভূমি ভঙ্গিল পর্বত দ্বারা বেষ্টিত হয়। (ii) গিরিজনি আলোড়নের দ্বারা সৃষ্ট হয়। (iii) এগুলি বয়সে নবীন। (iv) এই মালভূমির উচ্চতা বেশি, বিস্তারও বেশি, উদা: তিব্বত মালভূমি। ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (ⅰ) এটি মূলত নদী দ্বারা দীর্ঘদিন ক্ষয়ের ফলে তৈরি হয়। (ii) কঠিন শিলা ও কোমল শিলা দ্বারা গঠিত। (iii) কঠিন শিলাগঠিত অংশগুলি সমউচ্চতায় অবস্থান করে। (iv) কোমল শিলাগঠিত অঞ্চলগুলি উপত্যকা দ্বারা অবস্থান করে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়। উদা: দ: ভারতের মালনদে।

Long Question Answer

প্রশ্ন-1 ভূপৃষ্ঠের সব জায়গা একরকম নয় কেন? আলোচনা করো।

উত্তর: পৃথিবীর উপরিভাগের সব জায়গা একইরকম নয়। কোথাও উঁচু পর্বত, কোথাও ঢেউখেলানো মালভূমি, আবার কোথাও নীচু সমতল সমভূমি।

ভূঅভ্যন্তরীণ বিভিন্ন শক্তির প্রভাবে ভূত্বক সর্বদাই পরিবর্তনশীল। এই ভূআলোড়ন দু-প্রকার-(ⅰ) মহীভাবক আলোড়ন (উল্লম্ব আলোড়ন) এবং (ii) গিরিজনি আলোড়ন (অনুভূমিক আলোড়ন)। এইসব ভূঅভ্যন্তরীণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে পর্বত, মালভূমি, সমভূমিসহ অন্যান্য অপ্রধান ভূমিরূপ গঠিত হয়।

সূর্যতাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ, তুষারপাত, ভৌমজল, সমুদ্রতরঙ্গ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি বহির্জাত শক্তি ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপ গঠন বা সৃষ্টি অপেক্ষা ভূমিরূপের পরিবর্তন বা বিবর্তন অধিক ঘটায়। প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে যথাক্রমে ভূমির উচ্চতা হ্রাদ বা বৃদ্ধি করে ভূপৃষ্ঠের বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।

▶ প্রশ্ন-2 মহাদেশীয় মালভূমি ও ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলতে কী বোঝো?

উত্তর: মহাদেশীয় মালভূমি: সঞ্চরণশীল পাতগুলি বা প্রাচীন

ভূখণ্ডগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যখন বিশাল আয়তন জুড়ে সুস্থায়ী মালভূমি রূপে অবস্থান করে, তখন তাদের মহাদেশীয় মালভূমি বলে। উল্লেখ্য, মহাদেশীয় মালভূমিগুলি মহাদেশের বা দেশের মাঝখানে বা ঢাল বা বর্মের ন্যায় অত্যন্ত কঠিন ও সুস্থায়ীভাবে প্রায় মাঝখানে অবস্থান মালভূমি প্রভৃতি।

করে। উদাহরণ: ব্রাজিল মালভূমি, কানাডীয় শিল্ড মালভূমি, দাক্ষিণাত্য

  • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি: কোনো একটি বিস্তীর্ণ প্রাচীন মালভূমি বা উচ্চভূমি

অসংখ্য দীর্ঘদিন নদী দ্বার ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ছোটো ছোটো নদী উপত্যকা দ্বারা বিভক্ত হলে, তাকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত ছোটো ছোটো মালভূমি সম উচ্চতায় অবস্থান করলে, তাকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। উদাহরণ: অস্ট্রেলীয় মালভূমি, পশ্চিমবঙ্গে ছোটোনাগপুর মালভূমি।

প্রশ্ন-1 চিত্রসহ ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি- পাতসংস্থান তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়।

পাতসংস্থান তত্ত্ব (Plate Tectonic Theory) : ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তির সর্বাধুনিক তত্ত্বটি হল পাতসংস্থান তত্ত্ব। এই তত্ত্বানুসারে ভূত্বক কতকগুলি পাত বা প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত। এই পাতগুলি দুই প্রকারের হয়-মহাদেশীয় পাত ও মহাসাগরীয় পাত। 1968 খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম ডি. মরগান প্রবর্তিত মতবাদ অনুসারে পৃথিবীতে এরকম 7টি বড়ো, 20টি মাঝারি ও অসংখ্য ছোটো ছোটো পাত আছে। পাতগুলি গড়ে প্রায় 100 কিমি পুরু। পাতগুলি সান্দ্র বা গলিত ক্ষুব্ধমণ্ডল বা অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান ও গতিশীল অবস্থায় আছে। শিলামণ্ডলের নীচে ক্ষুব্ধমণ্ডলে সৃষ্ট পরিচালন স্রোতের প্রভাবে দুটি পাতের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধ্যবর্তী অংশে সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরে প্রবল পার্শ্বচাপে ভাঁজপ্রাপ্ত হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। উদাহরণ: আন্দিজ, রকি। (চিত্র)

প্রশ্ন -2 মালভূমি সৃষ্টির কারণ আলোচনা করো।

উত্তর: মালভূমি সৃষ্টির প্রধান কারণগুলি হল- ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় পর্বতগুলির মধ্যবর্তী নীচে স্থান পার্শ্বচাপে উঁচু হয়ে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি সৃষ্টি করে।

Ⓐ ভূআলোড়ন ও পাতসঞ্চালন: ভূআলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠের প্রাচীন স্থলভাগগুলি পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে কঠিন, অনুচ্চ ও সুস্থায়ী মালভূমি রূপে অবস্থান করে। একে মহাদেশীয় মালভূমি বলে। উদাহরণ: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান, আফ্রিকা, আরব, ব্রাজিল, দাক্ষিণাত্য মালভূমি প্রভৃতি।

Ⓑ ভূপৃষ্ঠের ক্ষয়সাধন: সূর্যতাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল বা অন্য কোনো উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় পেয়ে প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত শিখরদেশ বিশিষ্ট ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিতে পরিণত হয়। উদাহরণ: ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমি, বুন্দেলখণ্ড ও বাঘেলখণ্ড মালভূমি প্রভৃতি।

© ভূপৃষ্ঠে লাভা সঞ্চয়: ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের ফাটল পথ দিয়ে নির্গত হয়ে বিস্তৃত অঞ্চলে লাভারূপে বা সঞ্চিত হয়ে মালভূমির সৃষ্টি করে। উদাহরণ: ভারতের মালব ও ডেকান ট্র্যাপ মালভূমি প্রভৃতি।

প্রশ্ন-4 সমভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: সমভূমির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো- অধিকাংশ সমভূমির উপরিভাগ সমতল। ⅱ সমভূমির ঢাল অনেক কম হয়।

(iii) নদী অববাহিকা এবং সমুদ্র উপকূলে সমভূমির অধিক বিস্তার ঘটে। ✓ পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় 50%-এর বেশি অংশ সমভূমির অন্তর্গত। ✔ সমভূমি বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে ⅵ) অধিকাংশ সমভূমি কোমল শিলা বা মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত হয়। (vi) কিছু সমভূমি ঢেউ খেলানো বা প্রায় সম হয়। সমুদ্র সমতল থেকে নীচে অবস্থান করে (যেমন, কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী অঞ্চল)। সমভূমি সমুদ্র সমতল থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত হয় যেমন- ভারতের তরাই সমভূমি অঞ্চল। (viii) পৃথিবীর বেশির ভাগ সমভূমি নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্ন-5 চিত্র ও উদাহরণসহ তিন প্রকার সমভূমির পরিচয় দাও। 

উত্তর: প্রধান তিন প্রকার সমভূমি হল-

Ⓐ পলল বা পলিগঠিত সমভূমি: নদী তীরবর্তী অঞ্চল এবং হ্রদ বা সমুদ্র মোহনায় দীর্ঘদিন ধরে নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে পলিগঠিত বা পলল সমভূমি বলে। এই সমভূমির মৃত্তিকা নবীন ও অপরিণত হয়। উদাহরণ: উত্তর ভারতের সিন্ধু গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমি (ভারতের সর্ববৃহৎ সমভূমি)।

Ⓑ লাভাগঠিত সমভূমি: ভূঅভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা কোনোরকম

বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে লাভাস্রোতরূপে ভূপৃষ্ঠের কোনো ফাটল বা ছিদ্র পথ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে জমে শীতল ও কঠিন হয়ে, যে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সমতল ভূমি সৃষ্টি করে, তাকে লাভা সমভূমি বলে। লাভা সমভূমিতে উর্বর কৃষ্ণমৃত্তিকার সৃষ্টি হয়। উদাহরণ: গুজরাটের দক্ষিণাংশের মালব সমভূমি।

© লোয়েস সমভূমি: প্রবল গতিবেগসম্পন্ন বায়ু দ্বারা বাহিত মরুভূমির

অতিসূক্ষ্ম বালুকণা বহুদূরে পরিবাহিত হয়ে কোনো নীচু অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে, যে সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে লোয়েস সমভূমি বলে। এটি খনিজসমৃদ্ধ পলি ও বালুকণা দ্বারা গঠিত হয়। উদাহরণ: চিনের হোয়াংহো নদী অববাহিকায় সৃষ্ট লোয়েস সমভূমি।

প্রশ্ন-6 পর্বত আমাদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে- উদাহরণ সহ আলোচনা করো। মানবজীবনের উপর পর্বতের প্রভাব আলোচনা করো।

(দমদম কিশোর ভারতী হাইস্কুল)

 উত্তর: মানবজীবনের উপর পর্বতের প্রভাব দেখা যায়। সেগুলি হল-

Ⓐ পর্বতের অনুকূল প্রভাব : ⅰ প্রতিরক্ষা : পর্বত কোনো একটি দেশের সীমানায় দাঁড়িয়ে থেকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করে। ii বৃষ্টিপাত : জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। যেমন-দক্ষিণ পশ্চিমবায়ু হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। iii) নদনদীর উৎস : সুউচ্চ পর্বত শিখরে সৃষ্ট বরফগলা জল থেকে  অসংখ্য নদনদীর উৎপত্তি হয়। যা সারাবছর জলের অভাব পূরণ করে।

ⅳ Ⅳ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ : পর্বত বিরাট প্রাচীরের মতো অবস্থান করে

উষু ও শীতল বায়ুপ্রবাহকে বাধা দেয়। যেমন-শীতকালে সাইবেরিয়ার

হিমশীতল বায়ুকে বাধা দিয়ে হিমালয় ভারতে শীতের তীব্রতা কমিয়ে

দেয়। কৃষিজ ফসল : পর্বতের ঢালে ধাপ কেটে চাষবাস করা হয়।

যেমন-চা, আনারস, কমলালেবু, কফি প্রভৃতি অর্থকরী ফসলের চাষ

করা হয়। (vi) জলবিদ্যুৎ: পর্বতের ঢাল অধিক খাড়াই হওয়ায় নদীগুলি

খরস্রোতা হয়। যা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক।(vi) তৃণভূমি: পর্বতের

উপরের অংশে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেখানে তৃণভূমি জন্মায়

এবং তৃণভূমিতে পশুপালন ক্ষেত্র গড়ে ওঠে। vii) পর্যটন : পর্বতের

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোরম জলবায়ু, নদী, জলপ্রপাত,

তুষারক্ষেত্র, উপত্যকা, শৈলশিরা, ফুল ও ফলের বাগিচার আকর্ষণে

সেখানে পর্যটন শিল্প ও হোটেল ব্যাবসার উন্নতি ঘটেছে। যেমন-

দার্জিলিং, উটি। (ix) খনিজ পদার্থ: কিছু কিছু পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর খনিজ

পদার্থ পাওয়া যায়। এছাড়া কারুশিল্প ও কাষ্ঠশিল্পের বিকাশ ঘটে। শিলা,

বড়ো-ছোটো পাথর দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়। ☑ অধিবাসীদের

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: পার্বত্য অঞ্চলে অত্যন্ত দুর্গম, বন্ধুর তথা প্রতিকূল

প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য এখানকার জনগণ অত্যন্ত সাহসী, পরিশ্রমী,

কর্মঠ ও সরল মনোভাবাপন্ন হয়।  

Fil In The Blanks

1. পৃথিবীর ভূমিরূপ মূলত দু-রকমের শক্তির দ্বারা গঠিত হয়েছে। যথা: অভ্যন্তরীণ শক্তি ও——- শক্তি।

উত্তর: বহির্জাত।

2. শিলামণ্ডলের পাতগুলি—— স্তরের উপর ভাসে।

উত্তর: অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার।

3. উত্তর আমেরিকার একটি —— ভঙ্গিল পর্বতমালা।

উত্তর: রকি।

4. জার্মানির ব্ল‍্যাক ফরেস্ট একটি ——– এর উদাহরণ। (বেলডাঙা সি.আর জি.এস. হাইস্কুল)

উত্তর: স্তূপ পর্বত।

5. ইটালির এটনা একটি——- পর্বতের উদাহরণ।

উত্তর: আগ্নেয়।

6. অধিকাংশ——- সমৃদ্ধ। অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদে

উত্তর: মালভূমি।

7. পৃথিবীর উচ্চতম ও বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি হল———

উত্তর: মৌনালোয়া।

৪. দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টার্কটিকা, গ্রিনল্যান্ড-এর বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে আছে মালভূমি

উত্তর: মহাদেশীয়।

Ture And The False

1. পৃথিবীর ভিতরকার শক্তিকে বহির্জাত শক্তি বলে।

উত্তর: অশুদ্ধ

2. পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় চারভাগের একভাগ পর্বতময়।

 উত্তর: শুদ্ধ

3. আল্পস পর্বতমালা আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত।

উত্তর: অশুদ্ধ

4. ফ্রান্সের ভোজ একটি স্তূপ পর্বত।

উত্তর: শুদ্ধ

5. আগ্নেয় পর্বতের যে অংশ দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত হয়, তাকে জ্বালামুখ বলে।

উত্তর: শুদ্ধ

6. তিব্বতের মালভূমি একটি লাভা গঠিত মালভূমি।

উত্তর: অশুদ্ধ

7. পামির মালভূমির উচ্চতা 4873 মিটার।

উত্তর: শুদ্ধ

৪. সমভূমির গড় উচ্চতা 300 মিটারের বেশি।

উত্তর: অশুদ্ধ

9. অধিকাংশ নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা সমভূমিতেই গড়ে উঠেছিল।

উত্তর: শুদ্ধ

WBBSE Class 4 English Chapter 10 Solution | Bengali Medium

Class 4 Chapter 10 Solution

SANTINIKETAN

MCQs Quetion Answer

A. Choose the correct answer from the C given alternatives:

1. Name of the mango orchard

(a) Amrokunja

(b) Amro Bagan

(c) Amro House

(d) Amro Tower

2. Shyamoli is a –

(a) green house

(b) an earthen house

(c) golden house

 (d) the gateway

3. Santiniketan is a great centre of –

(a) art

(b) games

(c) education

(d) cinema

4. Santiniketan came up in —

(a) 1963

(b) 1861

(c) 1863

(d) 1763

Ans: (1)-(b); (2)-(d), (3)-(c), (4)-(d).

Very Short Quetion Answer

Answer the following questions:

1. Why are the students sitting in the open air?

Ans: The students are sitting in the open air because the earth is the sky is their roof. their classroom and

2. What will ring for the future generations?

Ans: The bell at Singhasadan, the gateway, will ring for future generations.

3. How is the courtyard of Punoscho used?

Ans: The courtyard of Punoscho is used for drama rehearsals.

4. What is Santiniketan also famous for?

Ans: Santiniketan is also famous as a great centre of education.

5. What is Santiniketan reminded of ?

Ans: Santiniketan is reminded of old days.

6. Who built Santiniketan?

Ans: Debendranath Tagore built Santiniketan.

7. What is Shymoli?

Ans: Shymoli is an earthen house.

8. What is Deholi?

Ans: . Deholi is a house which is now a children school.

Fill In The Blanks

A. Complete the statements with information from the text:

1. Santiniketan was built in—————.

Ans: Santiniketan was built in 1863.

2. The prayer house is made of——————.

Ans: The prayer house is made of coloured glass.

3. Santiniketan is also the land of——————-.

Ans: Santiniketan is also land of fun and friendship.

4. Deholi is a house which is now——————.

Ans: Deholi is a house which is now a children school.

5. Deholi is now——————.

Ans: Deholi is now a children’s school.

6. Prayer House is made of——————–.

Ans: Prayer House is made of coloured glass.

7. Amrokunja is a—————.

Ans: Amrokunja is a mango orchard.

8. Prayer House had lost—————————.

Ans: Prayer House had lost its five towers.

True And False

A. Write T for true statements and ‘F’ for false statements:

1. In Santiniketan students read in the open air.

2. Rabindranath Tagore built Santiniketan.

3. There was no electricity there then.

4. Punoscho stands by a copse of sal trees.

Ans: (1)-(T); (2)-(F); (3)-(T); (4)-(T).