WBBSE Class 10 Geography Chapter 1 বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ0

Class 10 Chapter 1 Solution

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ

1. MCQs

1. বৃষ্টিযুক্ত আর্দ্র অঞ্চলে যে প্রাকৃতিক শক্তি ভূমিরূপ পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা নেয়, তা হল- 

(i)  হিমবাহ

(ii) বায়ু 

(iii) নদী

(iv)  সূর্যতাপ

উত্তর: (iii) নদী

2. নদীর নিক পয়েন্টে সৃষ্টি হয়-

 (i) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

(ii) প্লাবনভূমি 

(iii) জলপ্রপাত 

(iv) পললশঙ্কু

উত্তর: (iii)  জলপ্রপাত

3. যে প্রক্রিয়ায় ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের সামঞ্জস্য তৈরি করে, তা হল-

 (i) ক্ষয়ীভবন 

 (ii) পর্যায়ন 

(iii) নগ্নীভবন 

(iv) আবহবিকার

 উত্তর: (ii) পর্যায়ন

4. পললশঙ্কু গঠিত হয় নদীর —

(i) পার্বত্যপ্রবাহে 

(ii) বদ্বীপপ্রবাহে উচ্চ ও মধ্য প্রবাহের সংযোগস্থলে 

(iii) উচ্চ ও মধ্য প্রবাহের সংযোগস্থলে

(iv) মধ্য ও নিম্ন প্রবাহের সংযোগস্থলে

 উত্তর: (iii) উচ্চ ও মধ্য প্রবাহের সংযোগস্থলে

5. পার্বত্যপ্রবাহে নদীর দুই পাশে যেসব সমান বা অসমান ধাপের মতো অল্প বিস্তৃত ভূভাগের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে- 

(i) নদীমঞ্চ 

(ii) স্বাভাবিক বাঁধ 

(iii) খরস্রোত 

(iv) কর্তিত স্পার

উত্তর: (i) নদীমঞ্চ 

6. অতিগভীর ‘v’-আকৃতির উপত্যকাকে বলে

 (i) গিরিখাত 

(ii) ক্যানিয়ন 

(iii) কর্তিত স্পার 

(iv) প্লাঞ্জপুল 

উত্তর:  (i) গিরিখাত 

7. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল- অববাহিকা নীল নদ অববাহিকা নদীর কোনো নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল বয়ে যায়, তাকে বলে- 

(i) কিউসেক 

(ii) কিউরেক  

(iii) কিউমেক 

(iv) কিউডেক

উত্তর: 

৪. নদীর কোনো নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল বয়ে যায়, তাকে বলে- 

(i) কিউসেক 

(ii) কিউরেক 

(iii) কিউমেক 

(iv) কিউডেক

উত্তর: (i) কিউসেক 

9. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত-

(i)  ইচাং গিরিখাত 

 (ii) কালিগণ্ডকী গিরিখাত 

(iii) মার্চিসন গিরিখাত 

(iv) গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

উত্তর: (iv) গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

10. পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত-

(i)  ভিক্টোরিয়া 

(ii) ইটাইপু 

(iii) নায়াগ্রা 

(iv) স্ট্যানলি

উত্তর: (iii) নায়াগ্রা 

11. লম্ফদান প্রক্রিয়াটি হল নদীর-

 (i) ক্ষয় 

(ii) বহন 

(iii) উত্থান

 (iv) অবক্ষেপণ 

উত্তর: (ii) বহন 

12. পৃথিবীর বৃহত্তম নদীগঠিত দ্বীপ হল-

(i) মারিয়ানা 

(ii) মারাজো 

(iii) সাগরদ্বীপ 

(iv) মাজুলি

উত্তর: (ii) মারাজো 

13. নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বেড়ে গেলে তার বহনক্ষমতা বাড়ে-

 (i) 7 গুণ

 (ii) 2 গুণ

 (iii) 6 গুণ 

(iv) 64 গুণ

উত্তর: (iv) 64 গুণ

14. কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে বলে-

 (i) ক্যাটারাক্ট 

(ii) কাসকেড

 (iii) র‍্যাপিড

 (iv) জলস্রোত

উত্তর:

15. একটি বহির্জাত ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া হল-

 (i) লাভা উদ্গিরণ 

(ii) ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি 

(iii) স্তূপ পর্বত নির্মাণ 

(iv) নদীর ক্ষয়কার্য

উত্তর: (iv) নদীর ক্ষয়কার্য

16. বহির্জাত প্রক্রিয়াতে সামগ্রিকভাবে ঘটে-

(i) পর্যায়ন 

(ii) ভূমি সঞ্চয় 

(iii) ভূমির ক্ষয় 

(iv) ভূমির উত্থান

উত্তর: (i) পর্যায়ন 

17. সুন্দরবনের দ্বীপগুলি ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়ার মূল কারণ-

 (i) অত্যধিক বৃষ্টিপাত 

 (ii) ঘূর্ণিঝড় 

 (iii) সমুদ্র জলতলের উত্থান

 (iv) সুন্দরবনের অবনমন

উত্তর:  (iii) সমুদ্র জলতলের উত্থান

18. নীল নদের বদ্বীপটি হল- তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ

 (i) ধনুকাকৃতি বদ্বীপ 

(ii) অবিন্যস্ত বদ্বীপ 

(iii) পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ

(iv) ধনুকাকৃতি বদ্বীপ 

উত্তর: (iv) ধনুকাকৃতি বদ্বীপ 

19. নদীবাঁকের উত্তল অংশের সঞ্চয়কে বলে-

(i) পুল 

(ii) বিন্দুবার 

(iii) প্লাঞ্জপুল

(iv)বিন্দুবার

উত্তর: (ii) বিন্দুবার 

20. কোন্টি সুন্দরবন এলাকার দ্বীপ নয়?- 

(i) ঘোড়ামারা 

(ii) পূর্বাশা 

(iii) মাজুলি 

(iv) লোহাচড়া

উত্তর: (iii) মাজুলি 

21. সুন্দরবনের একটি নিমজ্জিত দ্বীপ হল-

(i) ঘোড়ামারা 

(ii) সাগরদ্বীপ 

(iii) সন্দেশখালি 

(iv) নয়াচর

উত্তর: (i) ঘোড়ামারা 

22. নিম্নভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়-

(i)  আরোহণ প্রক্রিয়ায় 

(ii) অবরোহণ প্রক্রিয়ায় 

(iii)অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় 

(iv) নগ্নীভবন প্রক্রিয়ায়

উত্তর: (i)  আরোহণ প্রক্রিয়ায় 

23. পাখির পায়ের মতো আকৃতির বদ্বীপ দেখা যায়- 

(i) নীল নদের মোহানায় 

(ii) সিন্ধু নদের মোহানায়

(iii) হোয়াংহো নদীর মোহানায়

(iv) মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর মোহানায়

উত্তর: (iv) মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর মোহানায়

24. কোন্টি নদীর ক্ষয়কার্যের প্রক্রিয়া নয়?-

(i) লম্ফদান প্রক্রিয়া 

(ii) জলপ্রবাহ ক্ষয় 

(iii) ঘর্ষণ ক্ষয় 

(iv) অবঘর্ষ ক্ষয়

উত্তর: (i) লম্ফদান প্রক্রিয়া 

25. একটি ধনুকাকৃতি বদ্বীপের উদাহরণ হল-

(i) স্পেনের এব্রো নদীর বদ্বীপ 

(ii) মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ

(iii) নীল নদের বদ্বীপ

(iv) গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপ 

উত্তর: (iii) নীল নদের বদ্বীপ

26. কোন্টি নদীর বহনকার্যের প্রক্রিয়া নয়? –

 (i) লম্ফদান 

 (ii) ভাসমান 

(iii) অবঘর্ষ

(iv) টান

উত্তর: (iii) অবঘর্ষ

27. দুটি নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমিকে বলে-

 (i)  নদীর উৎস

 (ii) দোয়াব

 (iii) জলবিভাজিকা

 (iv) জলপ্রপাত

উত্তর:  (iii) জলবিভাজিকা

28. সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী বহির্জাত শক্তি হল- 

(i) নদী 

(ii) বায়ু 

(iii) হিমবাহ 

(iv) সমুদ্রতরঙ্গ

উত্তর: (i) নদী 

29. মন্থকূপ সৃষ্টি হয় যার ক্ষয়কার্যের ফলে-

(i) নদীর 

(ii) বায়ুর 

(iii) হিমবাহের 

(iv) সমুদ্রতরঙ্গের

উত্তর: (i) নদীর 

30. পললশঙ্কু দেখা যায়-

 (i) পর্বতের উচ্চভাগে 

(ii) পর্বতের পাদদেশে 

(iii) বদ্বীপ অঞ্চলে 

(iv) নদীর মধ্যপ্রবাহে

উত্তর: (ii) পর্বতের পাদদেশে 

2. Very Short Question Answer

1. গঙ্গা নদীর পার্বত্যপ্রবাহ কতদূর বিস্তৃত?

উত্তর: গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত

2. নদীর কোন্ গতি বা প্রবাহে সঞ্চয়কার্য প্রায় ঘটেই না?

উত্তর: উচ্চগতি বা পার্বত্যপ্রবাহে

3. ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত কোন্টি?

উত্তর: কর্ণাটকে সরাবতী নদীর ওপর যোগ বা গেরসাপ্পা জলপ্রপাত [ভিন্নমতে কর্ণাটকে ভারহি (Varahi) নদীর ওপর কুষ্ণিকল জলপ্রপাত]

4. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত কোন্টি?

উত্তর: ভেনেজুয়েলার অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত

5. আঁকাবাঁকা নদীর গতিপথকে কী বলে?

উত্তর: মিয়েন্ডার

6. হাতপাখার মতো আকারবিশিষ্ট নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ কী নামে পরিচিত?

 উত্তর: পলল ব্যজনী

7. নদীগঠিত তীব্র বাঁকসম্পন্ন হ্রদের নাম কী?

উত্তর:  অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

৪. ফানেল আকৃতির নদীর মোহানাকে কী বলে?

উত্তর: খাঁড়ি

9. ভূমিরূপ পরিবর্তনে প্রধান বহির্জাত শক্তি কোন্টি?

উত্তর: নদী

10. বুদ্বুদের ফলে শিলার গায়ে ছোটো ছোটো গর্ত সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়?

উত্তর: ক্যাভিটেশন

11. ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর উন্মুক্ত হওয়াকে কী বলে?

উত্তর: নগ্নীভবন

12. নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমা কোথায়?

উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠে

13. যে নদীর গতিপথে তিনটি গতি স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকে কী বলে?

উত্তর: আদর্শ নদী

14. নদীর জলের প্রবাহ পরিমাপের একককে কী বলে?

উত্তর: কিউসেক বা কিউমেক

15. নদী যে পরিমাণ বস্তু বহন করে তাকে কী বলে?

উত্তর:  নদীর বোঝা

16. বহির্জাত শক্তিকে কী ধরনের শক্তি বলে?

উত্তর: ভূমিরূপ বিবর্তনকারী শক্তি

17. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকার নাম কী?

উত্তর: আমাজন অববাহিকা

18. পৃথিবীর বৃহত্তম জলবিভাজিকাটির নাম কী?

উত্তর: আন্দিজ পার্বত্যভূমি

19. ঘোড়ামারা, লোহাচড়া দ্বীপগুলি ডুবে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর:  সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি

20.পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়িটি কোন্ নদীর মোহানায় অবস্থিত?

উত্তর: ওব নদীর মোহানায়

21. নদী যে খাতে প্রবাহিত হয় তাকে কী বলে? 

উত্তর: নদী উপত্যকা

22. ভূমিরূপ বিদ্যায় ‘গ্রেড’ কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?

উত্তর:  ভূবিজ্ঞানী গিলবার্ট

23. ভূমিরূপ বিদ্যায় পর্যায়নের ধারণাটি কে প্রবর্তন করেন?

উত্তর:  ভূবিজ্ঞানী চেম্বারলিন ও সলিসবেরি

24. বহির্জাত প্রক্রিয়ায় শক্তির মূল উৎস কী?

উত্তর: সূর্য

25. আবহবিকারজাত বিচূর্ণীভূত শিলার স্থানান্তরকে কী বলে?

উত্তর: ক্ষয়ীভবন

26. ভূপৃষ্ঠের উঁচু ভূমিভাগের উচ্চতা হ্রাসের প্রক্রিয়াকে কী বলে?

উত্তর: অবরোহণ

27. ভূমির ঢাল বরাবর আলগা মাটি ও শিলাখণ্ডের স্খলনকে কী বলে?

উত্তর: পুঞ্জিত ক্ষয়

28. কোন্ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়ের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য তৈরি হয়?

উত্তর: পর্যায়ন

29. নদী সংক্রান্ত আলোচনাকে কী বলে?

উত্তর: নদীবিদ্যা বা পোটামোলজি (Potamology)

30. ভূমির সমতলীকরণ প্রক্রিয়ার নাম কী?

উত্তর:  পর্যায়ন

31. ‘Meander’ শব্দটি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে?

উত্তর:  গ্রিক পৌরাণিক দেবতা মিয়েন্ড্রস-এর নামের ওপর ভিত্তি করে রাখা তুরস্কের মিয়েন্ডারেস নদীর নাম থেকে

32. আবহবিকার, ক্ষয়ীভবন এবং পুঞ্জিত ক্ষয়ের সম্মিলিত রূপকে কী বলে?

উত্তর: নগ্নীভবন

33. কিউমেক কী?

উত্তর: নদীর জলপ্রবাহ মাপার একক হল কিউমেক বা কিউবিক মিটার/সেকেন্ড

34. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ নদীর কোন্ গতিতে সৃষ্টি হয়? [সত্যভারতী বিদ্যাপীঠ]

উত্তর: নিম্নগতিতে

3. Short Question Answer

1 নদী বলতে কী বোঝ?

উত্তর সংজ্ঞা: কোনো পাহাড়, পর্বত, মালভূমি বা উচ্চভূমির হিমবাহ নির্গত জলধারা বা বৃষ্টির জলধারা যখন ভূমির ঢাল অনুসরণ করে নির্দিষ্ট খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ বা জলাভূমিতে এসে মেশে, তখন তাকে নদী বলে। উদাহরণ: গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা প্রভৃতি।

2. উপনদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর সংজ্ঞা: প্রধান নদীর গতিপথের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে অনেক ছোটো ছোটো নদী এসে মূল বা প্রধান নদীতে মিলিত হয়, সেগুলিকে বলা হয় উপনদী।

উদাহরণ: গঙ্গার প্রধান উপনদী যমুনা।

3 শাখানদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: সংজ্ঞা: মূলনদী থেকে যেসব নদী শাখার আকারে বের হয়, সেগুলিকে বলা হয় শাখানদী।

 উদাহরণ: গঙ্গার শাখানদী ভাগীরথী-হুগলি।

4 আদর্শ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: সংজ্ঞা: যে নদীর প্রবাহপথে উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন-এই তিনটি গতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, তাকে আদর্শ নদী বলে। এ ছাড়া আদর্শ নদীর মধ্য ও নিম্ন অংশ সুবিস্তৃত হয়, নদীর গতিপথ ঘন ঘন পরিবর্তিত হয় না এবং অববাহিকায় বন্যার প্রকোপ কম হয়।

উদাহরণ: আদর্শ নদীর এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হল গঙ্গা নদী।

5.  নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী? 

উত্তর ধারণা: নদীর বহন ক্ষমতা যেসব অবস্থার ওপর নির্ভর করে সেগুলির মধ্যে নদীর গতিবেগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনোভাবে নদীর গতিবেগ যদি দ্বিগুণ বেড়ে যায়, তখন তার বহনক্ষমতা 26 হারে বা 64 গুণ বাড়ে। এটিই হল নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র।

 6. নদী উপত্যকা কাকে বলে?

উত্তর: ধারণা: দুই উচ্চভূমির মধ্যবর্তী দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমিকে বলা হয় উপত্যকা। আর সেই সংকীর্ণ নিম্নভূমির মধ্য দিয়ে যখন নদী প্রবাহিত হয়, তখন তাকে বলা হয় নদী উপত্যকা। অর্থাৎ নদী যে অংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকেই নদী উপত্যকা বলে।

 7. কাসকেড কী?

উত্তর: ধারণা: পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে যদি নরম ও কঠিন শিলাস্তর এমনভাবে পরস্পর সংলগ্ন থাকে যে তার মাধ্যমে সেখানে সিঁড়ির মতো ধাপ উৎপন্ন হয়, তাহলে তার ওপর নদী অজস্র ধারায় ভাগ হয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে ছোটো ছোটো জলপ্রপাত সৃষ্টি করে ধাপে ধাপে বা লাফিয়ে লাফিয়ে নীচে নামে। এই ধরনের খুব কাছাকাছি বা সারিবদ্ধভাবে থাকা ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে একসঙ্গে কাসকেড বলে।

4. Long Question Answer

1. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য করে?

উত্তর: নদীর ক্ষয়কার্যের বিভিন্ন প্রক্রিয়া: নদী তার গতিপথে জলধারার সাহায্যে পাঁচভাবে ক্ষয়কার্য করে, এগুলি হল-

① দ্রবণজনিত ক্ষয়: কোনো কোনো পাথর, যেমন- চুনাপাথর, লবণ শিলা প্রভৃতি নদীর মৃদু অ্যাসিডযুক্ত জলের সংস্পর্শে গলে গিয়ে বা দ্রবীভূত হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

② জলপ্রবাহজনিত ক্ষয়: পার্বত্য অঞ্চলে নদীখাতের নরম ও আলগা ও পাথরগুলি জলস্রোতের আঘাতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং কালক্রমে ভেঙে গিয়ে জলস্রোতের দ্বারা বহুদূরে বাহিত হয়।

③ ঘর্ষণজনিত ক্ষয়: নদীর স্রোতের সঙ্গে বাহিত পাথরগুলি পরস্পরের সাথে ঘর্ষণে এবং ঠোকাঠুকিতে ক্ষয় হয়ে অবশেষে ক্ষুদ্রাকার কণায় পরিণত হয়।

④ অবঘর্ষজনিত ক্ষয়: নদীবাহিত পাথরগুলির সঙ্গে নদীখাতের ঘর্ষণ বা অবঘর্ষের ফলে নদীখাত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং নদীখাতে ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয়। গর্তগুলির জন্য নদীখাত আরও দ্রুত ক্ষয়ে যায়।

⑤ বুদবুদ ক্ষয়: নদীর জলের মধ্যে বুদ্বুদের আকারে বাতাস সামান্য সময়ের জন্য অবরুদ্ধ থাকে। সেই বুদ্বুদ হঠাৎ ফেটে গিয়ে নির্গত হলে যে শব্দ হয় সেই শব্দের কম্পন-তরঙ্গের আঘাতেও শিলাখণ্ড চূর্ণবিচূর্ণ ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

2 নদীর বহনক্ষমতা কীসের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর: নদীর বহনক্ষমতার উপর নির্ভরশীল বিষয়: নদীর বহনক্ষমতা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, এগুলি হল-

① নদীতে জলের পরিমাণ: নদীতে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে নদীর বহনক্ষমতা বেড়ে যায়।

② নদীর গতিবেগ: বহনক্ষমতা সবচেয়ে বেশি বাড়ে নদীর গতিবেগ বাড়লে। নদীর গতিবেগ আবার নির্ভর করে ভূমির ঢালের ওপর। ঢাল বেশি হলে নদীর গতিবেগও বেড়ে যায়। ফলে, নদীর বহন করার ক্ষমতাও বাড়ে।

③ নদীবাহিত বোঝার পরিমাণ: নদীবাহিত পাথরের আকৃতি ছোটো হলে নদীর বহনক্ষমতা বেড়ে যায়। আবার তা বড়ো হলে নদীর বহনক্ষমতা কমে যায়।

② জলপ্রবাহজনিত ক্ষয়: পার্বত্য অঞ্চলে নদীখাতের নরম ও আলগা ও পাথরগুলি জলস্রোতের আঘাতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং কালক্রমে ভেঙে গিয়ে জলস্রোতের দ্বারা বহুদূরে বাহিত হয়।

③ ঘর্ষণজনিত ক্ষয়: নদীর স্রোতের সঙ্গে বাহিত পাথরগুলি পরস্পরের সাথে ঘর্ষণে এবং ঠোকাঠুকিতে ক্ষয় হয়ে অবশেষে ক্ষুদ্রাকার কণায় পরিণত হয়।

④ অবঘর্ষজনিত ক্ষয়: নদীবাহিত পাথরগুলির সঙ্গে নদীখাতের ঘর্ষণ বা অবঘর্ষের ফলে নদীখাত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং নদীখাতে ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয়। গর্তগুলির জন্য নদীখাত আরও দ্রুত ক্ষয়ে যায়।

⑤ বুদবুদ ক্ষয়: নদীর জলের মধ্যে বুদ্বুদের আকারে বাতাস সামান্য সময়ের জন্য অবরুদ্ধ থাকে। সেই বুদ্বুদ হঠাৎ ফেটে গিয়ে নির্গত হলে যে শব্দ হয় সেই শব্দের কম্পন-তরঙ্গের আঘাতেও শিলাখণ্ড চূর্ণবিচূর্ণ ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

3 নদীর বহনক্ষমতা কীসের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর: নদীর বহনক্ষমতার উপর নির্ভরশীল বিষয়: নদীর বহনক্ষমতা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, এগুলি হল-

① নদীতে জলের পরিমাণ: নদীতে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে নদীর বহনক্ষমতা বেড়ে যায়।

② নদীর গতিবেগ: বহনক্ষমতা সবচেয়ে বেশি বাড়ে নদীর গতিবেগ বাড়লে। নদীর গতিবেগ আবার নির্ভর করে ভূমির ঢালের ওপর। ঢাল বেশি হলে নদীর গতিবেগও বেড়ে যায়। ফলে, নদীর বহন করার ক্ষমতাও বাড়ে।

③ নদীবাহিত বোঝার পরিমাণ: নদীবাহিত পাথরের আকৃতি ছোটো হলে নদীর বহনক্ষমতা বেড়ে যায়। আবার তা বড়ো হলে নদীর বহনক্ষমতা কমে যায়।

4 নদী কী কী প্রক্রিয়ায় বহন করে ?

উত্তর: নদীর বহন কাজের প্রক্রিয়াসমূহ: নদী চারভাবে বহন করে, এগুলি হল-

① দ্রবণের মাধ্যমে: চুনাপাথর, লবণ-জাতীয় শিলা প্রভৃতিকে জলে গুলে বা দ্রবণের মাধ্যমে নদী বয়ে নিয়ে চলে।

② ভাসমান প্রক্রিয়ায়: কাদা, পলি, বালি প্রভৃতি হালকা পদার্থগুলি নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নদী যে পরিমাণ পদার্থ বহন করে, তার প্রায় 70 শতাংশ বহন করে ভাসমান প্রক্রিয়ায়।

③ লম্ফনের মাধ্যমে: কিছুটা বড়ো বা মাঝারি আকৃতির পাথরগুলি স্রোতের সঙ্গে বাহিত হওয়ার সময় নদীখাতে বার বার ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে অগ্রসর হয়।

④ টান বা আকর্ষণ প্রক্রিয়ায়: খুব বড়ো বড়ো পাথর নদীর স্রোতের টানে বা আকর্ষণে বাহিত হয়।

5 কী কী অবস্থায় নদী সঞ্চয় করে?

উত্তর: নদীতে সঞ্চয়ের বিভিন্ন অবস্থা: প্রধানত চারটি অবস্থায় নদী সঞ্চয় করে। এগুলি হল-

① জলের পরিমাণ কমে যাওয়া: নদীতে জলের পরিমাণ কমে গেলে নদী সঞ্চয় করে। নদীতে জলের পরিমাণ কমে যায় কয়েকটি বিশেষ অবস্থায়; যেমন-[i] কম বৃষ্টিপাত হয় এমন অঞ্চলে নদী প্রবেশ করলে, [ii] খরার সময়ে, [iii] বৃষ্টিহীন ঋতুতে এবং [iv] চুনাপাথর, বেলেপাথর প্রভৃতি সচ্ছিদ্র প্রস্তরগঠিত অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে।

② ভূমির ঢাল কমে যাওয়া: ভূমির ঢাল কম হলে, অর্থাৎ নদীর গতিবেগ কমে গেলে নদী সঞ্চয় করে।

③ বোঝা বেড়ে যাওয়া: নদীতে বোঝার পরিমাণ বেড়ে গেলে নদী সঞ্চয় করে।

④ হ্রদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া: কোনো হ্রদের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে নদী সঞ্চয় করে।

এইভাবে নদী প্রবাহিত হওয়ার সময় পার্বত্য অঞ্চলে বড়ো বড়ো পাথরখণ্ড, আর সমভূমিতে ও মোহানার কাছে বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়।

6 নদীর গতিপথে কীভাবে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়?

উত্তর: ধারণা: নদীর জলপ্রবাহ যখন হঠাৎ কোনো উচ্চ স্থান থেকে নীচের দিকে লাফিয়ে পড়ে, তখন তাকে জলপ্রপাত বলে।

সৃষ্টির পদ্ধতি: নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ওপর-নীচে আড়া-আড়িভাবে বা অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে, প্রবল স্রোতে ওপরের কঠিন শিলাস্তর ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার ফলে নীচের কোমল শিলাস্তর বেরিয়ে পড়ে। কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বলে সেখানে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয় এবং তখন নদীস্রোত খাড়া ঢাল থেকে প্রবল বেগে নীচে আছড়ে পড়ে ও জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে। হিমবাহসৃষ্ট ঝুলন্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও নদীর গতিপথে আড়াআড়িভাবে চ্যুতি থাকলে, মালভূমির প্রান্তভাগ খুব খাড়াভাবে সমভূমিতে মিশলে এবং পুনর্যৌবনপ্রাপ্ত নদীর নিক পয়েন্টে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

উদাহরণ : উত্তর আমেরিকার সেন্ট লরেন্স নদীর নায়াগ্রা একটি বিখ্যাত জলপ্রপাত।

⑥ জলপ্রপাতের শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর: জলপ্রপাতের শ্রেণিবিভাগ: ভূবিজ্ঞানীরা নদীখাতে জলের পরিমাণ ও ভূমির ঢাল অনুসারে জলপ্রপাতকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেন। এগুলি হল-① র‍্যাপিড, ② কাসকেড এবং ও ক্যাটারাক্ট।

① র‍্যাপিড: জলপ্রপাতের ঢাল কম হলে তাকে র‍্যাপিড বলা হয়। এই ধরনের জলপ্রপাতের উচ্চতা মাত্র কয়েক মিটার হয়। উদাহরণ: ছোটোনাগপুরের মালভূমি অঞ্চলে এরকম জলপ্রপাত প্রায়ই দেখা যায়।

② কাসকেড: যখন কোনো জলপ্রপাতের জল অজস্র ধারায় বা সিঁড়ির মতো ঢাল বেয়ে ধাপে ধাপে নীচের দিকে নামে, তখন তার নাম কাসকেড। উদাহরণ: রাঁচির জোনা জলপ্রপাত।

③ ক্যাটারাক্ট: জলপ্রপাত যখন প্রবলবেগে, ভয়ংকরভাবে ফুলেফেঁপে উত্তাল জলরাশি নিয়ে অতল গহ্বরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন তার নাম ক্যাটারাক্ট। উদাহরণ: আফ্রিকার নীল নদে খার্তুম থেকে আসোয়ান পর্যন্ত অংশে মোট 6টি ক্যাটারাক্ট দেখা যায়।

7 পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্যই প্রাধান্য লাভ করে কেন?

উত্তর: পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্য প্রাধান্য লাভের কারণ: পার্বত্য প্রবাহে নদী প্রধানত ক্ষয় করে, কারণ-

① ভূমিঢাল: পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি। এজন্য নদী প্রবল বেগে নীচের দিকে নেমে আসে।

② প্রবল জলস্রোত: প্রবল জলস্রোতের মাধ্যমে নদী তার উপত্যকাকে ভীষণভাবে ক্ষয় করে। এখানে পার্শ্বক্ষয়ের তুলনায় নিম্নক্ষয় অনেক বেশি হয়। দ্রুতবেগে প্রবাহিত নদী এই অংশে প্রধানত জলপ্রবাহ ক্ষয়, ঘর্ষণ ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় উপত্যকায় ক্ষয়কাজ করে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থগুলিকে প্রবল স্রোতের মাধ্যমে নীচের দিকে বহন করে নিয়ে চলে। সুতরাং, পার্বত্যপ্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদীর ক্ষয়কার্যই প্রাধান্য লাভ করে।

৪ নদীর নিম্নগতিতে কীভাবে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়?

অথবা, নদীর মোহানায় বদ্বীপ কেন গড়ে ওঠে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: নদীর নিম্নগতিতে বদ্বীপ সৃষ্টির পদ্ধতি: নিম্নগতিতে নদী যতই মোহানার কাছে চলে আসে, ভূমির ঢাল ততই কমে যায় বলে নদীর স্রোতের বেগ এবং বহনক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এর ফলে তখন নদীর অবক্ষেপণ খুব বেড়ে যায়। নদীবাহিত কাদা, পলি, বালি মোহানায় ব্যাপকভাবে সঞ্চিত হয়। এ ছাড়া, নদীবাহিত এইসব পদার্থ সমুদ্রের লবণাক্ত জলের সংস্পর্শে এসে জোটবদ্ধ ও ভারী হয়ে মোহানায় জমা হতে শুরু করে। এগুলি জমতে জমতে ক্রমশ মোহানায় গ্রিক অক্ষর ডেল্টা (△) বা বাংলা অক্ষর মাত্রা ছাড়া ‘ব’-এর মতো নতুন ভূভাগ বা বদ্বীপ সৃষ্টি হয়। তবে বদ্বীপ গঠনের জন্য মোহানায় নদীর সঞ্চয়ের হার সমুদ্রস্রোতের অপসারণ ক্ষমতার তুলনায় বেশি হওয়া দরকার।

উদাহরণ: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর মোহানায় এইভাবে যে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে সেটি বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ।

9 বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর: বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ: আকৃতি অনুসারে বদ্বীপ প্রধানত চার প্রকারের, যথা-

(1) ধনুকাকৃতি বন্ধদ্বীপ: যখন মোহানায় খুব বেশি পরিমাণ নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হয় এবং দুর্বল সমুদ্রস্রোত সেগুলি অপসারণ করতে পারে না, তখন নদীবাহিত পদার্থগুলি সেখানে পাখার মতো ছড়িয়ে সঞ্চিত হয়। এভাবে সাগরের দিকে উত্তল প্রান্তবিশিষ্ট অর্থাৎ অর্ধবৃত্ত বা বৃত্তচাপের আকৃতিবিশিষ্ট যে বদ্বীপ গড়ে ওঠে তার নাম ধনুকাকৃতি বদ্বীপ। উদাহরণ: নীল নদের বদ্বীপ।

② পাখির পায়ের মতো বা পক্ষীপাদ বদ্বীপ: মোহানার কাছে নদীর জলের ঘনত্ব যদি সমুদ্রজলের ঘনত্বের তুলনায় কম হয় এবং নদীর গতিবেগ একটু বেশি থাকে, তাহলে নদীবাহিত পদার্থসমূহ মূল নদী ও তার শাখানদীসমূহের দুই পাশে সঞ্চিত হতে হতে সমুদ্রের যথেষ্ট দূর পর্যন্ত পৌঁছে অধঃক্ষিপ্ত হয়। এর ফলে যে বদ্বীপটি গড়ে ওঠে, তা দেখতে পাখির পায়ের মতো হয় বলে একে পাখির পায়ের মতো বা পক্ষীপাদ বদ্বীপ বলে। উদাহরণ: মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ।

③ তীক্ষ্ণাগ্র বা কাসপেট বদ্বীপ: যদি নদী মোহানায় প্রবল তরঙ্গের প্রভাব থাকে তখন পলিরাশি নদীর মধ্যভাগে সঞ্চিত না হয়ে দু-ধারে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে যে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়, তার সমুদ্রের দিকের অগ্রভাগ বেশ তীক্ষ্ণ অর্থাৎ করাতের দাঁতের মতো দেখতে হয়। এজন্য এর নাম তীক্ষ্ণাগ্র বা কাসপেট বদ্বীপ। উদাহরণ: এব্রো ও টাইবার নদীর বদ্বীপ।

④ ত্রিকোণাকার বদ্বীপ: মূল নদীর সঙ্গে শাখানদী যেখানে মিলিত হয়, সেখানে ত্রিকোণাকার বদ্বীপ গড়ে ওঠে। উদাহরণ: হুগলি ও জলঙ্গী নদীর মিলনস্থলে ত্রিকোণাকার বদ্বীপ আছে।

10 বদ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ উল্লেখ করো।

উত্তর: বদ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ: বদ্বীপ সৃষ্টি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুকূল পরিবেশগুলি হল-

① অবক্ষেপণের হার বেশি: মোহানায় নদীর অবক্ষেপণের হার সমুদ্রস্রোতের অপসারণ হারের তুলনায় বেশি হওয়া প্রয়োজন।

② সুদীর্ঘ নদী ও বেশি উপনদী: নদীর জলের সঙ্গে যাতে বেশি পরিমাণে পলি আসে, সেজন্য নদীকে সুদীর্ঘ হতে হবে। পাশাপাশি নদীর উপনদীর সংখ্যাও বেশি হতে হবে।

③ নদীর স্রোত কম হওয়া: নদীর মুখে বা মোহানায় যাতে পলি জমতে পারে, সেজন্য নদীর স্রোত কম হওয়া দরকার।

④ সমুদ্রের ঢাল কম হওয়া: সমুদ্রের যে অংশে নদী এসে মিশবে, সেখানে সমুদ্রের ঢাল কম হতে হবে, না হলে অবক্ষিপ্ত পলি গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যাবে।

⑤ জোয়ারভাটার প্রকোপ কম থাকা: মোহানায় জোয়ারভাটার প্রকোপ কম থাকলে সহজে বদ্বীপ গড়ে ওঠে।

⑥ বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ: মোহানায় নদীস্রোতের বিপরীত দিকে বায়ু প্রবাহিত হলে বদ্বীপ গঠনের কাজ দ্রুত হয়।

⑦ আংশিক বেষ্টিত সমুদ্র: উন্মুক্ত সমুদ্রের তুলনায় আংশিক বেষ্টিত সমুদ্রে বেশি বদ্বীপ গড়ে ওঠে।

⑧ সমতল ভূমি: নদী মোহানার সংলগ্ন ভূমি সমতল হওয়া প্রয়োজন।

11 নদীর উচ্চগতিতে V-আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর: নদীর উচ্চগতিতে -আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টির কারণ: পার্বত্য অঞ্চলের প্রবাহপথকে নদীর উচ্চগতি বলা হয়। এই অংশে নদীর গতিপথে ‘V’-আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হওয়ার কারণ-

① ভূমির ঢাল: পার্বত্য অঞ্চলের ভূমির ঢাল বেশি বলে নদী প্রবল বেগে নীচের দিকে নামে। প্রবল স্রোতের সঙ্গে বাহিত শিলাখণ্ডের সঙ্গে নদীগর্ভের ঘর্ষণ ও সংঘর্ষে নদী উপত্যকায় পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এভাবে নদী উপত্যকা ক্রমশ সংকীর্ণ ও গভীর হতে থাকে।

② বৃষ্টিবহুলতা ও আবহবিকার: বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে প্রথমে নদী উপত্যকার দুই পার্শ্বদেশ কিছুটা সংকীর্ণ থাকলেও রাসায়নিক আবহবিকার ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের প্রভাবে (পার্শ্বক্ষয়ের দ্বারা) নদী উপত্যকার উপরিভাগ ক্রমশ প্রশস্ত হয়ে ‘V’-আকৃতির উপত্যকা গঠন করে।

③ ভূমিধস: পার্বত্য নদী উপত্যকার দুই পাশ থেকে নদীতে ধস নামে ও কিছু উপনদীও এসে নদীখাতে মিলিত হয়। এর ফলে নদীখাত কিছুটা প্রশস্ত হয়ে ‘V’-আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি করে।

12 অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে তৈরি হয়?

উত্তর: অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ তৈরির পর্যায়সমূহ: মধ্যগতির শেষের দিকে এবং নিম্নগতিতে নদীর প্রবাহপথে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের (ox-bow lake) সৃষ্টি হয়। এই হ্রদ সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়গুলি হল-① এই সময় নদীর গতিবেগ খুব কম থাকে বলে সামান্য কোনো বাধা পেলেই নদী এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে বলা হয় মিয়েন্ডার। ② নদী যখন এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয় তখন প্রবাহপথের অন্তঃবাঁকের (উত্তল পাড়) তুলনায় বহিঃবাঁকে (অবতল পাড়) গতিবেগ বেশি থাকে। তাই বহিঃবাঁকে ক্ষয়কার্য চলে, কিন্তু অন্তঃবাঁকে পলি, কাদা ইত্যাদি সঞ্চিত হয়। ③ নদী যখন খুব বেশি এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়, দুই বাঁক বা জলধারার মধ্যবর্তী ভূমি কালক্রমে সম্পূর্ণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় (বহিঃবাঁকে ক্ষয় প্রক্রিয়ার জন্য)। ④ ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার ফলে তখন নদীর ওই দুটি বাঁক বা জলধারার সংযুক্তি ঘটে, অর্থাৎ বাঁকা পথ ছেড়ে নদী তখন সোজা পথে প্রবাহিত হয়। আর পরিত্যক্ত বাঁকটি হ্রদে পরিণত হয়। এই হ্রদ দেখতে গোরু বা ঘোড়ার খুরের মতো হয় বলে এর নাম অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ (oxbow lake)।

উদাহরণ: নিম্নগতিতে গঙ্গা এবং তার শাখানদীগুলির গতিপথে এই ধরনের অনেক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।

13 প্লাবনভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর অবস্থান: নদীর মধ্য ও নিম্ন গতিতে নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে প্লাবনভূমির (flood plain) সৃষ্টি হয়।

• সৃষ্টির কারণ: নদীতে হঠাৎ জলপ্রবাহের পরিমাণ বেড়ে গেলে বন্যা বা প্লাবন দেখা দেয়। এ সময় দুই তীর বা কূল ছাপিয়ে সেই জল অনেক দূর পর্যন্ত  প্লাবিত করে। নদীর জলের সঙ্গে যেসব পলি, বালি, কাদা থাকে সেগুলিও জলের সঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বন্যা শেষে ওই জল যখন নদীতে ফিরে আসে, তখন নদীর গতিবেগ কম থাকে বলে নদীবাহিত পদার্থের সবটা নদীখাতে ফিরে আসে না, অনেকটাই প্লাবিত অঞ্চলে সঞ্চিত হয়। এইভাবে বছরের পর বছর নদীর দুই পাশে বা উপত্যকায় পলি, বালি, কাদা সঞ্চিত হতে হতে নতুন যে ভূমিভাগ গঠিত হয়, তাকে বলা হয় প্লাবনভূমি বা প্লাবন সমভূমি।উদাহরণ: বিহারে গঙ্গা নদীর গতিপথের দুই পাশে এবং অসম উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাশে এই ধরনের প্লাবনভূমি দেখা যায়।

14 স্বাভাবিক বাঁধ কাকে বলে?

উত্তর: সংজ্ঞা: নদীর মধ্যগতি এবং নিম্নগতিতে ভূমির ঢাল খুব সামান্য থাকায় নদী খুবই ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীতে বর্ষাকালে প্রায়শই অতিরিক্ত জল এসে পড়লে দুই কূল প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় নদীর মধ্যে জল প্রবাহিত হলেও নদীর দুই পার্শ্বে স্থীর জল থাকায় নদীর জলস্রোতের সঙ্গে বাহিত পলি, বালি, কাদা প্রভৃতি নদীর দুই পার্শ্বে সঞ্চিত হতে থাকে। পরে প্লাবনের জল সড়ে গেলে দেখা যায় নদীর দুই পার্শ্বেই বাঁধের আকারে উঁচু হয়ে অবস্থান করছে। এই বাঁধ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বলে একে বলা হয় স্বাভাবিক বাঁধ (natural levee)। উদাহরণ: মধ্য ও নিম্ন গতিতে গঙ্গা নদীর দুই তীরে এবং মিশরে নীল নদের দুই পাশে উঁচু স্বাভাবিক বাঁধ দেখা যায়।

15 জলপ্রপাত পশ্চাদপসরণ করে কেন?

উত্তর: ধারণা: উচ্চগতিতে নদীর গতিপথে ভূমির ঢাল অসম হলে বা ভূমিঢালের হঠাৎ পরিবর্তন হলে সেখানে জল ওপর থেকে নীচে লাফিয়ে পড়ে। একেই জলপ্রপাত বলে। জলপ্রপাতের জল নীচে যেখানে পড়ে, নরম শিলাস্তর গঠিত সেই অঞ্চলে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়। ক্ষয়ের কারণে গর্তের আয়তন বেড়ে গেলে ওপরের কঠিন শিলাস্তর ঝুলতে থাকে এবং একসময় তা ভেঙে পড়ে। শিলাস্তর ভেঙে পড়ার কারণে জলপ্রপাতটি নদীর উৎসের দিকে বা পিছনের দিকে সরে যায়। একেই জলপ্রপাতের পশ্চাদপসরণ বলে।

অন্যদিকে, যেখানে জলপ্রপাত গঠিত হয়, সেখানে কঠিন শিলাস্তরের নীচে কোমল শিলাস্তর থাকলে, কোমল শিলাস্তর বেশি ক্ষয় পেয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। এর ফলে নদীস্রোতের চাপ সহ্য করতে না পেরে ওপরের কঠিন শিলাস্তরের সামনের অংশ ভেঙে পড়ে। এইভাবেও জলপ্রপাত ধীরে ধীরে পশ্চাদপসরণ করে।

উদাহরণ: ভারতের ইন্দ্রাবতী নদীর ওপর চিত্রকূট জলপ্রপাতটির পশ্চাদপসরণ ভালোভাবে বোঝা যায়।

16 কী কী কারণে জলপ্রপাত সৃষ্টি হতে পারে?

উত্তর: জলপ্রপাত সৃষ্টির কারণ: নানা কারণে জলপ্রপাত সৃষ্টি হতে পারে-

① কঠিন ও কোমল শিলা: নদীর চলার পথের কোথাও নরম ও কঠিন শিলাস্তর থাকলে নরম শিলা বেশি ক্ষয়ে গিয়ে নীচু হয়ে যায় এবং কঠিন শিলা উঁচু হয়ে থাকে। এর ফলে সেখানে নদী উঁচু থেকে নীচুতে পড়ে জলপ্রপাত সৃষ্টি করে।

② চ্যুতি: নদীর প্রবাহপথে চ্যুতি সৃষ্টি হলে সেখানে জলপ্রপাত সৃষ্টি হতে পারে।

③ মালভূমির প্রান্তভাগ: মালভূমির প্রান্তভাগে নদী খাড়াভাবে নেমে এলে সেখানে জলপ্রপাত তৈরি হতে পারে।

④ ঝলন্ত উপত্যকা: ঝুলন্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে জলপ্রপাত গঠিত হয়।

⑤ লাভাস্রোত: নদীর প্রবাহপথে লাভাস্রোত বেরিয়ে এলে ওই লাভা উঁচু হয়ে শিখর গঠন করে। ওই উঁচু শিখর থেকে জল নীচে লাফিয়ে পড়ে জলপ্রপাত গঠন করে।

17 জলচক্রের অংশ হিসেবে নদীর ভূমিকা কতখানি?

উত্তর: জলচক্রের অংশ হিসেবে নদীর ভূমিকা: পৃথিবীর বারিমণ্ডল বা জলমন্ডলের সব জল জলচক্রের মাধ্যমে একসূত্রে বাঁধা। সূর্যতাপে বিভিন্ন প্রকার জলাশয় থেকে জল ক্রমাগত বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে উঠে মেঘ হিসেবে ভেসে বেড়ায়। মেঘের মধ্যে ভাসমান জলকণাসমূহ ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি বা তুষাররূপে পৃথিবীতে নেমে আসে। শেষে ওই বৃষ্টি বা তুষারগলা জলের বেশিরভাগ অংশ নদনদীর মাধ্যমে সমুদ্রে ফিরে যায় এবং সেখান থেকে সূর্যতাপে বাষ্প হয়ে আবার ওপরে উঠে যায়। এইভাবে জল কখনও বাষ্প, কখনও মেঘ, কখনও অধঃক্ষেপণরূপে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে অবিরামভাবে আবর্তিত হয়ে জলচক্র সৃষ্টি করে। নদী হল ভূপৃষ্ঠে এই জলচক্রের অনুভূমিক অংশ এবং বাষ্পীভবন (নীচে থেকে ওপরে ওঠে) ও অধঃক্ষেপণ (ওপর থেকে নীচে নামে) হল উল্লম্ব অংশ। তাই জলচক্রের অনুভূমিক অংশ হিসেবে নদীর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে নদী আছে বলেই বৃষ্টির জল বা তুষারগলা জল ভূপৃষ্ঠে আটকে না থেকে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। অর্থাৎ নদী হল একটি সংযোগসূত্র, যার মাধ্যমে জলচক্র পূর্ণতা পায়।

18 বদ্বীপ অঞ্চলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় কেন?

উত্তর: বদ্বীপ অঞ্চলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখতে পাওয়ার কারণ: অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায়, কারণ-

① আঁকাবাঁকা নদীপথ: বদ্বীপ অংশে ভূমির ঢাল একেবারেই কমে যায়, তাই নদী তার গতিপথে সামান্য বাধা পেলে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়।

② নদীবাঁকে ক্ষয়: নদীর জল বাঁকাপথে কুন্ডলীর আকারে এগিয়ে যায়। সেজন্য অবতল পাড়ে ক্ষয় এবং উত্তল পাড়ে সঞ্চয় হয়।

③ নদীবাঁকের বিস্তার: ক্ষয় এবং সঞ্চয়ের জন্য নদীর বাঁক ক্রমশ বাড়তে থাকে।

④ অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ গঠন: নদীর বাঁক আরও বেড়ে গেলে বাঁক দুটি পরস্পরের কাছে এগিয়ে আসে এবং যুক্ত হয়ে যায়। তখন নদী পুরোনো গতিপথ ছেড়ে নতুন সোজা পথে প্রবাহিত হয়। আর পরিত্যক্ত অর্ধচন্দ্রাকৃতি নদীখাতটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ গঠন করে।

19 গঠনমূলক বদ্বীপ এবং ধ্বংসাত্মক বদ্বীপ কাকে বলে?

উত্তর: গঠনমূলক বদ্বীপ: নদী বিপুল পরিমাণ পলি অগভীর সমুদ্রে জমা করে বদ্বীপ গঠন করে। এই ধরনের বদ্বীপকে গঠনমূলক বদ্বীপ বলে। এই ধরনের বদ্বীপ দুই রকমের হতে পারে-① ধনুকাকৃতি বদ্বীপ এবং ② পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ। উদাহরণ: নীল নদের বদ্বীপ ধনুকাকৃতি বা ব্যজনী আকৃতির এবং মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ পাখির পায়ের মতো হয়।

ধবংসাত্মক বদ্বীপ: জোয়ারভাটা এবং সমুদ্রতরঙ্গের আঘাতে যেসব বদ্বীপের আকার এবং আয়তন সবসময় পরিবর্তিত হয়, সেই ধরনের বদ্বীপকে ধ্বংসাত্মক বদ্বীপ বলে। উদাহরণ: ব্রাজিলের সাও ফ্রান্সিসকো, আফ্রিকার নাইজার নদীর বদ্বীপ এরকম ধ্বংসাত্মক বদ্বীপ।

 20 নদীর সমভূমিপ্রবাহ বা মধ্যগতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। সমভূমিপ্রবাহ বা মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?

উত্তর:নদীর সমভূমিপ্রবাহ বা মধ্যগতি: পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী যখন সমভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন নদীর সেই গতিপথকে বলা হয় সমভূমিপ্রবাহ বা মধ্যগতি।

উদাহরণ: উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার থেকে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল পর্যন্ত অঞ্চল গঙ্গার সমভূমিপ্রবাহ বা  ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়-এই তিনটি কাজের মধ্যে মধ্যগতিতে বা সমভূমিপ্রবাহে  মধ্যগতি।

সমভূমিপ্রবাহে নদীর প্রধান কাজ: ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়-এই তিনটি কাজের মধ্যে মধ্যগতিতে বা সমভূমিপ্রবাহে নদী প্রধানত বহন কাজ করে। তবে স্থানভেদে এই প্রবাহে নদী ক্ষয় এবং সঞ্চয় কাজও করে থাকে। যদিও এই দুইপ্রকার কাজের পরিমাণ কম। অর্থাৎ মধ্যগতিতে নদী বেশি বহন, অল্প ক্ষয় এবং বেশ কিছুটা সঞ্চয় করে।

21 নদীর নিম্নগতিতে কেন সচরাচর বন্যা দেখা যায়?

উত্তর: নদীর নিম্নগতিতে সচরাচর বন্যা দেখতে পাওয়ার কারণ: নদীর নিম্নগতিতে সচরাচর বন্যা দেখতে পাওয়ার কারণগুলি হল-

① নদীস্রোতের অনুপস্থিতি: মোহানার কাছাকাছি বলে এই অংশে নদীতে যথেষ্ট পরিমাণে জল থাকে। কিন্তু ভূমির ঢাল খুব কমে যায় বলে এখানে নদীর স্রোত বিশেষ থাকে না।

② অগভীর নদীখাত: নদীর বহন করে আনা পলির সিংহভাগই নিম্নগতিতে নদীর খাতে সঞ্চিত হয়। এর ফলে নদীখাত ক্রমশ অগভীর হয়ে যায়। তাই বর্ষাকালে বা অতিবৃষ্টির সময় নদীতে হঠাৎ জলের জোগান বেড়ে গেলে তা বহন করার ক্ষমতা নদীর থাকে না-দুই কূল ছাপিয়ে নদীসংলগ্ন অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি করে।

22 বহির্জাত প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগুলি কী?

উত্তর: বহির্জাত প্রক্রিয়ার পদ্ধতি: মূলত তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে বহির্জাত প্রক্রিয়া কার্যকরী হয়, যথা-

① অবরোহণ প্রক্রিয়া: এই প্রক্রিয়ায় আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয়, নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বহির্জাত শক্তিসমূহের প্রভাবে ভূমিভাগের উচ্চতা ক্রমশ কমতে থাকে। যেমন-সুউচ্চ পর্বত ক্ষয় হতে হতে ক্ষয়জাত পর্বত, তারপর ক্ষয়জাত মালভূমি এবং শেষে ক্ষয়জাত সমভূমিতে পরিণত হয়।

② আরোহণ প্রক্রিয়া: আরোহণ কথার অর্থ ওপরে ওঠা। এই ধরনের প্রক্রিয়ায় ভূমিভাগের উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। নদী, হিমবাহ, বায়ু দ্বারা বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের নিম্নস্থান উঁচু বা ভরাট হয়। একে আরোহণ প্রক্রিয়া বলে। যেমন-বদ্বীপ, প্লাবন সমভূমি, লোয়েস সমভূমি।

প্রক্রিয়ায় ভূমিভাগের উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। নদী, হিমবাহ, বায়ু দ্বারা বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের নিম্নস্থান উঁচু বা ভরাট হয়। একে আরোহণ প্রক্রিয়া বলে। যেমন-বদ্বীপ, প্লাবন সমভূমি, লোয়েস সমভূমি।

③ জৈবিক প্রক্রিয়া: উদ্ভিদ এবং প্রাণী যখন ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়, তখন তাকে জৈবিক প্রক্রিয়া বলে। জলাভূমিতে শ্যাওলা, আগাছা, পাতা, ফুল ইত্যাদি জমে জলাভূমি ভরাট হয়ে যায়। মানুষ পাহাড় কেটে রাস্তা বানায়, সমুদ্রে বাঁধ দিয়ে সমুদ্রগর্ভ ভরাট করে, নতুন ভূমি তৈরি করে। এভাবে জৈবিক প্রক্রিয়া ক্রিয়াশীল থাকে।

23 পর্যায়নের মাধ্যমে কীভাবে ভূমিভাগের সমতলীকরণ ঘটে?

উত্তর: পর্যায়ন: দুই বিজ্ঞানী চেম্বারলিন ও স্যালিসবেরি প্রথম ‘পর্যায়ন’ বা ‘gradation’ শব্দটি ব্যবহার করেন। ক্ষয়, পরিবহণ ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে অসমতল এবং বন্ধুর ভূপ্রকৃতি সমতলভাগে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলে। এককথায় বলা যায়, অবরোহণ এবং আরোহণের সম্মিলিত ফল হল পর্যায়ন। একে ক্রমায়নও বলা হয়।

প্রক্রিয়া: পর্যায়ন দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্যকরী হয়; একটি অবরোহণ এবং অন্যটি আরোহণ। ভূমিভাগের উঁচু অংশগুলি নদী, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কাজের মাধ্যমে যেমন ধীরে ধীরে নীচু হয়, তেমন পরিবহণ ও সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে ক্ষয়ীভূত পদার্থগুলি ভূপৃষ্ঠের নীচু অংশে জমা হয়ে আরোহণ প্রক্রিয়ায় উঁচু হয়ে ওঠে। যতক্ষণ না সমগ্র ভূমিভাগ এইভাবে একই সমতলে আসে, ততক্ষণ এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

24 ধনুকাকৃতি, তীক্ষ্ণাগ্র এবং পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ কাকে বলে বা কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর: ধনুকাকৃতি বদ্বীপ: যখন নদীমোহানায় জমা হওয়া পলিরাশিকে দুর্বল সমুদ্রস্রোত অপসারণ করতে পারে না, তখন নদীবাহিত ওই পলিরাশি সমুদ্রের দিকে পাখার মতো ছড়িয়ে সঞ্চিত হয়। এর ফলে যে বদ্বীপটি গড়ে ওঠে তা সমুদ্রের দিকে ধনুকের মতো বেঁকে যায়। একেই বলে ধনুকাকৃতি বদ্বীপ। এই ধরনের বদ্বীপ অনেকটা জিভের মতো দেখতে হয় বলে একে ‘জিহ্বাগ্র বদ্বীপ’-ও বলে।

উদাহরণ: নীল নদের বদ্বীপ।

তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ: মোহানায় তরঙ্গের প্রভাব বেশি থাকলে নদীবাহিত পলিরাশি নদীর সম্মুখে সঞ্চিত না হয়ে দু-পাশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে যে বদ্বীপ গড়ে ওঠে তার সমুদ্রের দিকের অগ্রভাগ তীক্ষ্ণ হয়। এজন্য একে তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ বলে।

উদাহরণ: ইটালির টাইবার নদীর বদ্বীপ।

পাখির পায়ের মতো বা পক্ষীপাদ বদ্বীপ: মোহানায় নদীর জলের ঘনত্ব কম এ তৈরি কিন্তু গতিবেগ বেশি হলে নদীবাহিত পলিরাশি মূল নদী ও তার শাখানদী সমূহের দুই পাশে জমা হতে হতে সমুদ্রে বেশ দূর পর্যন্ত পৌঁছে অধঃক্ষিপ্ত 26 পল হয়। এর ফলে যে বদ্বীপটি গড়ে ওঠে তা দেখতে পাখির পায়ের মতো হয়। বলে একে পক্ষীপাদ বদ্বীপ বলে।

উদাহরণ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর বদ্বীপ।

24.  নদী অববাহিকা ও জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝ?

উত্তর: নদী অববাহিকা: কোনো নদী ও তার সব উপনদী এবং শাখানদী যে যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই সমগ্র অঞ্চলটিকে বলা হয় সেই নদীটির অববাহিকা।

অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই সমগ্র অঞ্চলটিকে বলা হয় সেই নদীটির অববাহিকা। 

জলবিভাজিকা: কাছাকাছি অবস্থিত দুই বা তার বেশি নদী অথবা নদী ব্যবস্থাকে যে উচ্চভূমি পৃথক করে, সেই উচ্চভূমিকে বলা হয় জলবিভাজিকা। সাধারণত পাহাড়, পর্বত জলবিভাজিকার কাজ করে।

25 নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার কাকে বলে?

 উত্তর: সংজ্ঞা: সমভূমিতে ভূমির ঢাল খুব কম বলে নদীর গতিবেগও কমে যায়। এর ফলে সামান্য বাধা পেলেই তা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নদী এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। বাঁকের যে অংশে নদীস্রোত আঘাত করে সেখানে ক্ষয় হয় বলে অবতল বা খাড়া পাড় গঠিত হয়। আর বিপরীত অংশে ক্ষয়িত পদার্থসমূহ সঞ্চিত হওয়ার জন্য উত্তল বা ঢালু পাড় গঠিত হয়। এইভাবে নদীখাতে ক্রমান্বয়ে ক্ষয় ও সঞ্চয়ের জন্য নদীতে অসংখ্য বাঁক সৃষ্টি হয়, যেগুলির মধ্য দিয়ে নদী সাপের মতো এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। এই বাঁকগুলিকেই বলে নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার। (তুরস্কের মিয়েন্ডারেস নদীর নামানুসারে এই ভূমিরূপের নামকরণ হয় মিয়েন্ডার)।

5. Fill in The Blanks

1. দুই নদী অববাহিকাকে যে ________ পৃথক করে, তাকে বলে জলবিভাজিকা।

 উত্তর: উচ্চভূমি

2. নদীপ্রবাহ পরিমাপের একক হল _______

উত্তর:  কিউসেক বা কিউমেক

3. নিম্নভূমি সঞ্চয়ের মাধ্যমে উঁচু হওয়াকে বলে _______ l

উত্তর: আরোহণ

4. পার্বত্যপ্রবাহে নদীর গতিপথে ________l সৃষ্টি হয়।

উত্তর: গিরিখাত

5. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবাহকে বলে _______l

উত্তর: পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি

6. পার্বত্য অংশে নদীর নিম্নক্ষয় প্রধানত প্রক্রিয়ায় ঘটে।

উত্তর: অবঘর্ষ

7. ভারতের ________ অঞ্চলে গিরিখাত দেখা যায়।

উত্তর: হিমালয়

৪. জলপ্রপাতের ঢাল বেশি হলে, তাকে ________ বলে।

উত্তর: ক্যাটারাক্ট

9. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী _____

উত্তর: নীল

10. লাতিন শব্দ ‘কাসপেট’-এর অর্থ হল _____

উত্তর:  তীক্ষ্ণ

11. _______ নদী পৃথিবীর সর্বাধিক জল বহন করে।

উত্তর: আমাজন

12. নদীর______ প্রবাহে প্লাবনভূমি গড়ে ওঠে।

উত্তর: সমভূমি/বদ্বীপ

13. একটি অন্তর্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী শক্তি হল ________

 উত্তর: পাতের চলন

14. নদী, হিমবাহের ক্ষয়কাজ একধরনের _________ প্রক্রিয়া।

উত্তর: বহির্জাত

15. বহির্জাত প্রক্রিয়ার কার্যের মাধ্যমে ক্ষয়ের ফলে ভূমির ঢালের একটি পর্যায় তৈরি হয়। একে ________ বলে।

উত্তর: পর্যায়ন

16. নদীর পার্বত্য প্রবাহের প্রধান কাজ _______

উত্তর: ক্ষয়

17. _______ প্রবাহে নদী সবচেয়ে কম ক্ষয় করে।

উত্তর: বদ্বীপ

18. গঙ্গা নদীর পার্বত্যপ্রবাহ গোমুখ থেকে _________ পর্যন্ত বিস্তৃত।

উত্তর: হরিদ্বার

19. লিভিংস্টোন জলপ্রপাতটি ________ নদীর ওপর অবস্থিত।

উত্তর: কঙ্গো বা জাইরে

20. মাজুলি একটি _______

উত্তর: নদীদ্বীপ

21. দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে —— বলে।

উত্তর: দোয়াব

22. অবরোহণ ও আরোহন প্রক্রিয়ার পরবর্তী অবস্থা হল ——- ।

উত্তর: পর্যায়ন

23. জলপ্রপাতের নীচের গর্তের নাম ——- ।

উত্তর: প্লাঞ্জপুল বা প্রপাতকূপ

24. নদীবাহিত প্রস্তরখণ্ডের পারস্পরিক ঠোকাঠুকিকে ——— বলে।

উত্তর: ঘর্ষণ

25. পার্বত্য প্রবাহে নদীর বুকে সৃষ্ট গর্তকে বলা হয় ——–

উত্তর: মন্ত্রকূপ

26. বহির্জাত প্রক্রিয়া অত্যন্ত ——- গতিতে কাজ করে।

উত্তর: ধীর

27. নদীখাতের একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয় তাকে ——— বলে ।

উত্তর: কিউমেক

28. নদীর প্রবাহপথে জলতলের প্রভেদকে –—— বলে।

উত্তর: জলপ্রপাত

6. True And False

1. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়।

উত্তর: শু

2. হিমরেখার ওপর নদীর কাজ শুরু হয় l

উত্তর:

3. মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ অনেকটা পাখির পায়ের মতো দেখতে।

উত্তর: শু

4. সরস্বতী নদীতে গঠিত গেরসোপ্পা ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত।

উত্তর:

5. কলকা নদীর এল ক্যানন দ্য কলকা পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত।

উত্তর: শু

6. নদীর উচ্চগতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিরূপ হল মন্থকূপ।

উত্তর: শু

7. অবঘর্ষ এবং ঘর্ষণে নদীখাতে গর্তের সৃষ্টি হয়।

উত্তর: শু

৪. সমুদ্রপৃষ্ঠ হল ক্ষয়ের শেষ সীমা।

উত্তর:

9. গোদাবরীকে ভারতের আদর্শ নদী বলা হয়।

উত্তর: শু

10. কলোরাডো নদীতে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখা যায়।

উত্তর: শু

11. ক্যানিয়নে নিম্নক্ষয়ের তুলনায় পার্শ্বক্ষয় বেশি হয়।

উত্তর:

12. নিম্নগতিতে নদীর দুই পাশে স্বাভাবিক বাঁধ তৈরি হয়।

উত্তর: শু

13. মাজুলি ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপ।

উত্তর: শু

14. ক্যানিয়ন আর্দ্র ক্রান্তীয় এবং গিরিখাত শুষ্ক অঞ্চলে গঠিত হয়।

উত্তর:

15. জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় নদীর নিম্নপ্রবাহে।

উত্তর:

16. নদীর বিজ্ঞানসম্মত আলোচনাকে পোটামোলজি বলে।

উত্তর: শু

17. স্রোতযন্ত্রের মাধ্যমে নদীর জলের প্রবাহ পরিমাপ করা হয়।

উত্তর: শু

18. খরস্রোত কাসকেডের তুলনায় আকারে বড়ো।

উত্তর:

19. জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে যায়।

উত্তর: শু

20. নিক পয়েন্টে জলপ্রপাত গঠিত হয়।

উত্তর: শু

21. নদীর পার্বত্য প্রবাহে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।

উত্তর:

22. জলপ্রপাতের তলদেশে মন্থকূপ তৈরি হয়।

উত্তর:

23. ক্যানিয়ন U-আকৃতির হয়।

উত্তর:

24. হরিদ্বা রের কাছে গঙ্গা নদীতে পললশঙ্কু গঠিত হয়েছে।

উত্তর:  শু

25. উত্তরপ্রদেশের অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদগুলিকে কোর বা তাল বলে।

উত্তর: শু

26. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত পেরুতে অবস্থিত।

উত্তর:

27. একটি ধনুকাকৃতির বদ্বীপ হল নীল নদের বদ্বীপ।

উত্তর: শু

28. হরিদ্বার থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহানা পর্যন্ত গঙ্গা নদীর বদ্বীপপ্রবাহ।

উত্তর:

29. নদী উৎপাটন ক্রিয়ায় ক্ষয় সাধন করে।

উত্তর:

30. অবরোহণ পদ্ধতির মাধ্যমে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

উত্তর:

31. 1980 খ্রিস্টাব্দ থেকে স্থায়ীভাবে লোহাচড়া দ্বীপটি প্লাবিত হয়।

উত্তর:শু

32. গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের বদ্বীপ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো।

উত্তর:

33. গঙ্গা নদীর অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা 

উত্তর: শু