Class 10 Sciences Chapter 3 Solution
বংশগতি
1. MCQs Question Answer
1. যে প্রক্রিয়ায় পিতামাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত। । হয়, তাকে বলে-
(i) অভিব্যক্তি
(ii) বংশগতি
(iii) অভিযোজন
(iv) জিনোম
উত্তর: (ii) বংশগতি
2. ‘জেনেটিকস্’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন-
(i) জোহানসেন
(ii) খোরানা
(iii) বেটসন
(iv) ডারউইন
উত্তর: (iii) বেটসন
3. মেন্ডেল যে দেশের মানুষ ছিলেন-
(i) অস্ট্রেলিয়া
(ii) ইংল্যান্ড
(iii) সুইডেন
(iv) অস্ট্রিয়া
উত্তর: (iv) অস্ট্রিয়া
4. সুপ্রজননবিদ্যা বা বংশগতির জনক হলেন-
(i) মরগান
(ii) বেটসন
(iii) জোহানসেন
(iv) মেন্ডেল
উত্তর: (iv) মেন্ডেল
5. জীবদেহের প্রধান জেনেটিক পদার্থ হল-
(i) DNA
(ii) RNA
(iii) উভয়ই
(iv) DNA অথবা RNA
উত্তর: (i) DNA
6. বংশগতির একক হল-
(i) ক্রোমোজোম
(ii) জিন
(iii) DNA
(iv) RNA
উত্তর: (ii) জিন
7. মেন্ডেল বর্ণিত চরিত্রের জন্য দায়ী ‘ফ্যাক্টর’-কে জিন নামে অভিহিত করেন-
(i) মেন্ডেল
(ii) জোহানসেন
(iii) বেটসন
(iv) মরগান
উত্তর: (ii) জোহানসেন
৪. এক-একটি প্রজাতির জীবসমষ্টির যত জিন আছে, তাদের সমষ্টিকে বলে-
(i) জিনপুল
(ii) জিনোম
(iii) অ্যালিল
(iv) জাইগোট
উত্তর: (i) জিনপুল
9. জিনের গঠনগত স্থায়ী পরিবর্তনকে বলে-
(i) অ্যালিল
(ii) অভিব্যক্তি
(iii) অভিযোজন
(iv) পরিব্যক্তি
উত্তর: (iv) পরিব্যক্তি
10. পরিব্যক্তির ধারণা প্রথম দেন-
(i) মেন্ডেল
(ii) ডারউইন
(iii) মরগ্যান
(iv) দ্য ভিস
উত্তর: (iv) দ্য ভিস
11. জিনগত পরিবর্তনে জীবের বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য সৃষ্টির ঘটনাকে বলে-
(i) অভিযোজন
(ii) প্রকরণ
(iii) বংশগতি
(iv) জিন
উত্তর: (ii) প্রকরণ
12. মেন্ডেলীয় বংশগতির উদাহরণ হল-
(i) রোলার ও স্বাভাবিক জিভ
(ii) মুক্ত ও সংযুক্ত কানের লতি
(iii) বাদামি ও নীল মণি
(iv) সবকটি
উত্তর: (iv) সবকটি
13. মানুষের অটোজোমবাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত বৈশিষ্ট্য হল-
(i) সংযুক্ত কানের লতি
(ii) মুক্ত কানের লতি
(iii) হিমোফিলিয়া
(iv) বর্ণান্ধতা
উত্তর: (i) সংযুক্ত কানের লতি
14. মানুষের রোলার জিভ যে প্রকার বৈশিষ্ট্য, তা হল-
(i) প্রকট
(ii) প্রচ্ছন্ন
(iii) অসম্পূর্ণ প্রকট
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (i) প্রকট
15. একই জিনের বিভিন্ন রূপগুলি হল-
(i) অ্যালিল
(ii) লোকাস
(iii) জিনপুল
(iv) জিনোটাইপ
উত্তর: (i) অ্যালিল
16. ক্রোমোজোমের যে স্থানে জিন অবস্থান করে, তাকে বলে-
(i) লোকাস
(ii) ফ্যাক্টর
(iii) অ্যালিল
(iv) সবগুলি
উত্তর: (i) লোকাস
17. AA x aa হল-
(i) মনোহাইব্রিড ক্রস
(ii) ডাইহাইব্রিড ক্রস
(iii) টেস্ট ক্রস
(iv) ব্যাক ক্রস
উত্তর: (i) মনোহাইব্রিড ক্রস
18. জীবের বাহ্যিক প্রকাশিত বৈশিষ্ট্যকে বলে-
(i) জিনোটাইপ
(ii) অ্যালিল
(iii) জিন
(iv) ফিনোটাইপ
উত্তর: (iv) ফিনোটাইপ
19. জীবের অ্যালিল তথা জিনগত বৈশিষ্ট্যকে বলে-
(i) অ্যালিলোমর্ফ
(ii) জিন
(iii) জিনোটাইপ
(iv) ফিনোটাইপ
উত্তর: (iii) জিনোটাইপ
2. Very Short Question Answer
1. যে পদ্ধতিতে জনিতৃর বৈশিষ্ট্য অপত্যে সঞ্চারিত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: বংশগতি।
2. জেনেটিক্স কাকে বলে?
উত্তর: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জিন ও বংশগতি-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যা বা সুপ্রজননবিদ্যা বলে।
3. মেন্ডেল কী কারণে বিখ্যাত?
উত্তর: মেন্ডেল হলেন জেনেটিক্স-এর জনক। তিনি ‘পৃথকীভবন সূত্র’ এবং ‘স্বাধীন বিন্যাস সূত্র’ আবিষ্কার করেন।
4. মেন্ডেলকে সুপ্রজননবিদ্যার জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: গ্রেগর জোহান মেন্ডেলই সর্বপ্রথম জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বংশগত অনুসরণের প্রাথমিক সূত্র প্রণয়ন করেন। এই কারণে তাঁকে সুপ্রজননবিদ্যার জনক বলা হয়।
5. মেন্ডেলবাদ বা মেন্ডেলিজম কী?
উত্তর: মেন্ডেল আবিষ্কৃত বংশগতি-সংক্রান্ত মৌলিক সূত্র সমন্বিত তত্ত্বকে মেন্ডেলবাদ বা মেন্ডেলিজম বলে।
6. জিন কী?
উত্তর: জিন হল DNA-এর বিশেষ অংশ যা বংশগতির ধারক ও বাহক।
7. জিন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: জিন ক্রোমোজোমে অবস্থিত।
৪. ‘জিন’ কথাটি সর্বপ্রথম কে, কত সালে ব্যবহার করেন?
উত্তর: ‘জিন’ কথাটি সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জোহানসেন, 1909 সালে ব্যবহার করেন।
9. জীবদেহের প্রধান জেনেটিক পদার্থ কী?
উত্তর: DNA বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড।
10. মানুষের দুটি প্রকরণের উদাহরণ দাও।
অথবা, মানুষের মধ্যে বংশানুক্রমে সঞ্চারিত একটি প্রকরণের উদাহরণ দাও।
অথবা, সুস্থ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, এমন একটি সঞ্চারিত প্রকরণের উদাহরণ দাও।
বংশানুক্রমিকভাবে
উত্তর: মুক্ত ও যুক্ত কানের লতি, রোলার ও স্বাভাবিক বা নন্-রোলার জিভ।
11. গিনিপিগের একটি চরিত্র ও তাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: গিনিপিগের একটি চরিত্র হল লোমের বর্ণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য হল কালো ও সাদা।
12. কোনো হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের একটি লোকাসে অবস্থিত জিনের রূপভেদগুলিকে কী বলে?
উত্তর: অ্যালিল।
13. লোকাস কাকে বলে?
উত্তর: ক্রোমোজোমের যে নির্দিষ্ট স্থানে জিন অবস্থিত, তাকে লোকাস বলে।
14. দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সংকরায়ণ পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
উত্তর: একসংকর জনন।
15. বংশগতিতে ‘Tt’ থেকে তুমি কী বোঝ?
উত্তর: বংশগতিতে ‘TT’ দ্বারা একটি সংকর জীবের জিনোটাইপকে বোঝায়, যেখানে ‘T’ একটি প্রকট অ্যালিল এবং ‘t’ একটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিলকে নির্দেশ করে।
16. সংকরায়ণের সময়ে নির্বাচিত বিশুদ্ধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব দুটিকে কী বলে?
উত্তর: জনিতৃ জনু।
17. মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় প্রথম অপত্য জনু (F₁ জনু)- তে যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রকট বৈশিষ্ট্য।
18. মটর গাছের ফুলের রঙের প্রকট বৈশিষ্ট্য কোন্টি?
উত্তর: বেগুনি রং।
19. মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় F₁ জনুতে যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয় না, তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।
20. সংকরায়ণ পরীক্ষায় অপত্য জনুর বাহ্যিক লক্ষণের অনুপাতকে কী বলে?
উত্তর: ফিনোটাইপিক অনুপাত।
21. সংকরায়ণ পরীক্ষায় অপত্য জনুর জিনগত লক্ষণের অনুপাতকে কী বলে?
উত্তর: জিনোটাইপিক অনুপাত।
22. বংশগতির গঠনগত ও কার্যগত একক হল
উত্তর: জিন
23. ক্রোমোজোম বা জিনের সংখ্যা অথবা গঠনের স্থায়ী পরিবর্তনকে বলে।
উত্তর: পরিব্যক্তি/ মিউটেশন
24. পরিব্যক্তি বা মিউটেশনের ফলে সৃষ্টি হয়।
উত্তর: প্রকরণ
25. একজোড়া জিন মুক্ত কানের লতি সৃষ্টি করে।
উত্তর: প্রকট
26. জিভ রোল করার ক্ষমতাসম্পন্ন জিনটি প্রকৃতির।
উত্তর: অটোজোমীয় প্রকট
27. একই জিনের বিভিন্ন রূপকে বলে।
উত্তর: অ্যালিল
28. মেন্ডেল বর্ণিত পরবর্তীকালে জিন হিসেবে শনাক্ত হয়।
উত্তর: ফ্যাক্টর
29. একটি চরিত্রের সাপেক্ষে জীবের সংকরায়ণকে বলে।
উত্তর: একসংকরায়ণ
30. হেটেরোজাইগাস জীবে বৈশিষ্ট্যটি সর্বদা অপ্রকাশিত থাকে।
উত্তর: প্রাচ্ছন্ন
31. পৃথক অ্যালিলযুক্ত গ্যামেটের মিলনে উৎপন্ন জাইগোটকে বলে।
উত্তর: হেটেরোজাইগোট
32. পিতামাতার যে বৈশিষ্ট্যটি অপত্যে প্রকাশিত হয়, তাকে বৈশিষ্ট্য বলে।
উত্তর: প্রকট
33. পিতামাতার যে বৈশিষ্ট্যটি অপত্যে অপ্রকাশিত থাকে, তাকে বৈশিষ্ট্য বলে।
উত্তর: প্রাচ্ছন্ন
34. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন উভয় অ্যালিলযুক্ত জীবকে জীব বলে।
উত্তর: সংকর
35. Bb বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবটিকে বলে জীব।
উত্তর: সংকর
36. অবস্থায় জীবদেহে প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।
উত্তর: হোমোজাইগাস ও হেটেরোজাইগাস
37. রোলার জিভ মোড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন জিনটি
উত্তর: প্রকট
38. ক্রোমোজোমের যে নির্দিষ্ট স্থানে জিন অবস্থান করে, তাকে বলে।
উত্তর: লোকাস
3. Short Question Answer
1. বংশগতি কাকে বলে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় পিতামাতার চারিত্রিক গুণাবলি বংশপরম্পরায় সন্তানসন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে। বংশগতির মাধ্যমে কোনো জীব তার মতোই জীব সৃষ্টি করে। যেমন-আম গাছ থেকে আম গাছ, ছাগল থেকে ছাগল, মানুষ থেকে মানুষ জন্মায়।
2. জিনোম কাকে বলে?
উত্তর: ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোমসম্পন্ন (2n) জীবের প্রতিটি হ্যাপ্লয়েড (n) ক্রোমোজোম সেটে বিন্যস্ত জিনগুলিকে একত্রে জিনোম বলে। অর্থাৎ, জননকোশের বা গ্যামেটের হ্যাপ্লয়েড ক্রোমোজোমের সমস্ত জিনকে একত্রে জিনোম বলে। এগুলি গ্যামেটের মাধ্যমে জনিতৃ জীব থেকে অপত্যের দেহে সঞ্চারিত হয়।
3. . পরিব্যক্তি বা মিউটেশন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: পরিব্যক্তি বা মিউটেশন: ক্রোমোজোম বা জিনের সংখ্যা ও গঠনের পরিবর্তনের ফলে জীবের চরিত্রের পরিবর্তনকে পরিব্যক্তি বা মিউটেশন বলে।
[ উদাহরণ: থ্যালাসেমিয়া, বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়া প্রভৃতি রোগ পরিব্যক্তির ফলে সৃষ্টি হয়।
4. কোনো জীবের বৈশিষ্ট্য বা প্রলক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো জীবের বাহ্যিক বিশেষত্ব বা গুণকে বলে বৈশিষ্ট্য বা প্রলক্ষণ। প্রতিটি বৈশিষ্ট্য একটি অ্যালিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন-মটর গাছের লম্বা হওয়াটি একটি বৈশিষ্ট্য। একইভাবে মটরের বীজপত্রের সবুজ বর্ণ, ফুলের বেগুনি বর্ণ প্রভৃতি হল পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্য।
5. কোনো জীবের চরিত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো জীবের চরিত্র বলতে বোঝায় জিন নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে। যেমন-মটর গাছের উচ্চতা হল একটি চরিত্র। এই চরিত্রের অন্তর্গত দুটি বৈশিষ্ট্য হল লম্বা ও বেঁটে। একইভাবে বীজপত্রের রং চরিত্রটির অন্তর্গত দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্য হল হলদে ও সবুজ।
6. সংকরায়ণ কাকে বলে?
অথবা, সংকরায়ণ কী?
উত্তর: কোনো চরিত্রের সাপেক্ষে বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত একই প্রজাতির দুটি জীবের মধ্যে যৌন জননকে সংকরায়ণ বলে। যেমন-বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের মিলনে সংকর লম্বা মটর গাছ সৃষ্টি করার পদ্ধতি।
7. সংকর জীব বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের যৌন জনন বা পরনিষেকের ফলে উৎপন্ন জীবটিকে সংকর জীব বলা হয়। যেমন-বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলযুক্ত (VV) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত (vv) মটর গাছের সংকরায়ণের ফলে সৃষ্ট বেগুনি ফুলযুক্ত মটর গাছ হল সংকর উদ্ভিদ।
8. জনিতৃ জনু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষায় শুরুতে যে দুটি জীব নিয়ে প্রজনন করানো হয়, তাদের জনিতৃ জনু বা P জনু (P=parental) বলা হয়। যেমন-একটি একসংকর জনন পরীক্ষায় জনিতৃ জনু হল বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলবিশিষ্ট মটর গাছ (VV) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলবিশিষ্ট মটর গাছ (vv)।
9. প্রথম অপত্য জনু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষায় জনিতৃ জনু থেকে উৎপন্ন নতুন জীবগুলিকে প্রথম অপত্য জনু বা F₁ জনু (F₁ =first filial) বলা হয়। যেমন-বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলবিশিষ্ট (VV) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলবিশিষ্ট (vv) জনিতৃ জনু থেকে উৎপন্ন সংকর বেগুনি ফুলবিশিষ্ট (Vv) সমস্ত মটর গাছই হল প্রথম অপত্য জনু।
10. এজন বিশুদ্ধ রোলিং জিভযুক্ত পুরুষ ও স্বাভাবিক জিভযুক্ত মহিলার বিবাহে অপত্যদের জিভের প্রকৃতি কী হবে?
উত্তর: রোলিং জিভ একটি প্রকট অটোজোমাল অ্যালিল (R)। পক্ষান্তরে স্বাভাবিক জিভ একটি প্রচ্ছন্ন অটোজোমাল অ্যালিল (r)। সুতরাং, |
4. Long Question Answer
1. প্রকরণ কাকে বলে?
মানবদেহে বংশানুক্রমিকভাবে সঞ্চারিত প্রকরণ, দুটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রকরণ: যৌন জনন ও পরিব্যক্তির ফলে, কোনো জীবপ্রজাতিতে যে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র্য দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বা ভেদ বা ভ্যারিয়েশন বলা হয়।
[⇨ মানুষের ক্ষেত্রে প্রকরণের উদাহরণ: মানুষের ক্ষেত্রে পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্য বা প্রকরণ দেখা যায়। তার উদাহরণ নিম্নরূপ-
① মুক্ত ও সংযুক্ত কানের লতি: মানুষের কানের লতির নীচের ভাগ মুখমণ্ডলে সংযুক্ত অথবা মুক্ত প্রকৃতির হয়। দেখা গেছে যে, একজোড়া প্রকট জিন মুক্ত কানের লতি সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে একজোড়া মিউটেশনযুক্ত জিন সংযুক্ত কানের লতি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, প্রকরণ বা ভ্যারিয়েশনের কারণেই মানুষের কানের লতিতে এই বাহ্যিক বৈচিত্র্য দেখা যায়।
② রোলার ও স্বাভাবিক জিভ: 65-81% মানুষ তার জিভকে পার্শ্বীয়ভাবে গোটাতে বা রোল করতে পারে। পক্ষান্তরে বাকি ব্যক্তিরা জিভ গোটাতে অক্ষম হয়। জিভ গোটানোটি (রোলার জিভ) একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য, যা দুটি প্রকট জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অপরপক্ষে জিভ গোটাতে অক্ষম হওয়া (স্বাভাবিক জিভ) হল প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য, যা নিয়ন্ত্রণ করে একজোড়া মিউটেশনযুক্ত প্রচ্ছন্ন জিন। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও বৈচিত্র্যের কারণ হল প্রকরণ।
2. মেন্ডেলের মটর গাছ নির্বাচনের কারণগুলি লেখো।
অথবা, সংকরায়ণের পরীক্ষার জন্য মেন্ডেল কর্তৃক মটর গাছ নির্বাচনের প্রধান কারণগুলি উল্লেখ করো।
অংশ প্রশ্ন, বংশগতি সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য মেন্ডেলের মটর গাছ নির্বাচনের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষায় মেন্ডেল কর্তৃক মটর গাছ নির্বাচনের কারণ
① সংক্ষিপ্ত জীবনচক্র: মটর গাছ একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। তাই স্বল্প সময়ে একাধিক জনু ধরে বংশগতির পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো সম্ভব।
② চাষযোগ্যতা: মটর গাছ স্বল্প জয়গাতেই কম খরচে চাষ করা যেতে পারে।
③ উভলিঙ্গ ও স্বপরাগী উদ্ভিদ: মটর গাছের ফুলগুলি উভলিঙ্গ হওয়ায় এবং পাপড়ি দ্বারা স্ত্রী ও পুংস্তবক ঢাকা থাকায় প্রাকৃতিকভাবে এতে স্বপরাগযোগ ঘটে। তাই সহজেই বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ পাওয়া সম্ভব হয়।
④ ইতর পরাগযোগে সক্ষম: মটর গাছের ফুলগুলি উভলিঙ্গ হওয়ায় এবং আকারে বড়ো হওয়ায় প্রয়োজনে সহজেই কৃত্রিমভাবে ইতর পরাগযোগ সম্পন্ন করা যায়।
⑤ সংকর উদ্ভিদের প্রকৃতি: ইতর পরাগযোগে উৎপন্ন সংকর অপত্য উদ্ভিদগুলি প্রজননক্ষম হয়। সে কারণে সহজেই একাধিক জনু ধরে অপত্য সৃষ্টি এবং অপত্য জনুগুলিতে বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করা সহজ হয়।
⑥ একাধিক ভেদ বা প্রকরণ: মটর গাছে অনেকগুলি সুস্পষ্ট বিপরীতধর্মী ভেদ বা প্রকরণের সমাবেশের কারণে বিভিন্ন প্রকারভেদ দেখা যায়।
⑦ উৎপাদনশীলতা: গাছ প্রতি মটর বীজ উৎপাদন সংখ্যা যথেষ্ট বেশি হওয়ায় পরীক্ষার ফল বিচারে ভুলের সম্ভাবনা কমে। মটর গাছ বংশ পরম্পরায় নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে খাঁটি অপত্য উদ্ভিদ উৎপাদন করতে পারে।
3.মেন্ডেলের বংশগতিসংক্রান্ত পরীক্ষায় সাফল্যলাভের কারণ লেখো।
অনুরূপ প্রশ্ন, “বংশগতির বৈজ্ঞানিক ধারণা গড়ে তুলতে মেন্ডেলের মটর গাছ সংক্রান্ত পরীক্ষাগুলি যুগান্তকারী”-এই পরীক্ষাগুলিতে তাঁর সাফল্যলাভের তিনটি কারণ উল্লেখ করো। [Madhyamik ’18] অংশ প্রশ্ন, মেন্ডেলের সাফল্যের তিনটি কারণ লেখো। (Madhyamik ’23] অংশ প্রশ্ন, বংশগতি সংক্রান্ত পরীক্ষায় মেন্ডেলের সাফল্য লাভের দুটি কারণ লেখো। [Madhyamik ’22]
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষায় মেন্ডেলের লাফল্য লাভের কারণ
① মটর গাছ নির্বাচন: মেন্ডেল তাঁর বংশগতি পরীক্ষার জন্য মটর গাছ নির্বাচন করেন। মটর গাছ সহজে চাষ করা যায়। এটি স্বপ্রজননক্ষম ও অনেকগুলি বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হওয়ায় মেন্ডেলের সংকরায়ণ পরীক্ষা করতে সুবিধা হয়েছিল।
② বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য নির্বাচন: মেন্ডেল তাঁর সংকরায়ণ পরীক্ষার জন্য যে সকল বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য বেছে নিয়েছিলেন, সেগুলি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। ফলে তিনি সৃষ্ট অপত্যগুলির সহজেই শনাক্তকরণ ও শ্রেণিভুক্তকরণ করতে পেরেছিলেন এবং সঠিক অনুপাত নির্ধারণ করতে পেরেছিলেন।
③ দক্ষতা: মেন্ডেল সংকরায়ণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মটর গাছের মধ্যে ইতরপরাগযোগ ঘটিয়ে ছিলেন।
④ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ: মেন্ডেল একসঙ্গে এক বা দু-জোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সংকরায়ণ পরীক্ষা করেন। এর ফলে তথ্যসংগ্রহ ও বিশ্লেষণে সুবিধা হয়েছিল। এছাড়া ওই একজোড়া বাদু জোড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে উদ্ভিদগুলির মধ্যে রেসিপ্রোকাল ক্রস সম্পন্ন করেন ও তাদের পর্যবেক্ষণ করেন।
⑤ গাণিতিক বিশ্লেষণ: মেন্ডেল সমস্ত পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন এবং সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্যে নির্ভুলভাবে তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
4. মটর গাছের ওপর মেন্ডেলের কাজ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করো।
অনুরূপ প্রশ্ন, মেন্ডেল কীভাবে মটর ফলে ইতর পরাগযোগ ঘটান, তা আলোচনা করো।
উত্তর: মটর গাছের ওপর মেন্ডেলের কাজ: বংশগতি-সংক্রান্ত সংকরায়ণ পরীক্ষায় মেন্ডেল মটর গাছ (Pisum sativum) নিয়ে কাজ করেন। তিনি মটর গাছের সাত জোড়া চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বেছে নেন যেগুলি খালি চোখে স্পষ্টভাবে পার্থক্যযোগ্য। সংকরায়ণের সময়ে তিনি পরপর কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি ঘটান। এই সকল ধাপগুলি হল- ① মেন্ডেল ইতর পরাগযোগের সময়ে বেগুনি ফুলযুক্ত একটি মটর গাছের সব বেগুনি ফুলের পুংকেশর (পরাগরেণু পরিণত হওয়ার আগেই) কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। ফলে সেই ফুলগুলিতে স্বপরাগযোগ সম্ভব হয় না। ② এরপর বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত, অর্থাৎ সাদা ফুলযুক্ত একটি মটর গাছের ফুল থেকে
পরাগরেণু তুলির সাহায্যে তুলে এনে বেগুনি ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থাপন করেন। ③ আবার, একইভাবে তিনি একটি মটর গাছের সব সাদা ফুলের পুংকেশর বাদ দেন ও বেগুনি ফুলের পরাগরেণু নিয়ে পুংকেশরহীন সাদা ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থাপন করেন। এইপ্রকার পারস্পরিক ইতর পরাগযোগকে রেসিপ্রোকাল ক্রস বলা হয়। ④ এই রেসিপ্রোকাল ক্রসের ফলে উৎপন্ন মটরগুলি চাষ করে তিনি F₁ জনুতে সব বেগুনি ফুলযুক্ত মটর গাছ পান। ⑤ মেন্ডেল F₁ জনুতে প্রাপ্ত অপত্য সংকর উদ্ভিদগুলির মধ্যে স্বপরাগযোগ হতে দেন। এইভাবে, তিনি পরবর্তী জনুর অপত্য উদ্ভিদ লাভ করেন। ⑥ উৎপন্ন সমস্ত মটর গাছের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তিনি লিপিবদ্ধ করেন ও সংখ্যাতত্ত্বের সম্ভাবনা সূত্র দ্বারা তাঁর পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণ করেন। ⑦ একইভাবে তিনি ভিন্ন ভিন্ন বিপরীত বৈশিষ্ট্যের সাপেক্ষে মটর গাছের ওপর সংকরায়ণ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
5. মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষায় প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য কাকে বলে? ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা: মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় প্রথম অপত্য জনুতে (F_{1}) সমস্ত গাছ লম্বা (সংকর লম্বা-Tt) হয়। মেন্ডেল, মটর গাছে প্রকাশিত লম্বা বৈশিষ্ট্যের নাম দেন প্রকট বৈশিষ্ট্য। পক্ষান্তরে, মটর গাছে প্রথম অপত্য জনুতে অপ্রকাশিত বেঁটে বৈশিষ্টের নাম দেন প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।
[ ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ ব্যাখ্যা: মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষায় দ্বিতীয় অপত্য জনুতে (F_{2}) দু-ধরনের গাছ দেখতে পান। এদের ক্ষেত্রে লম্বা ও বেঁটে মটর গাছের অনুপাত = 3/11 আবার, এই লম্বা মটর গাছগুলির জিনোটাইপ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এদের এক ভাগ বিশুদ্ধ লম্বা এবং দু-ভাগ সংকর লম্বা মটর গাছ। সেক্ষেত্রে ফিনোটাইপিক, অর্থাৎ মটর গাছের বাহ্যিক প্রকাশিত বৈশিষ্ট্যের অনুপাত = 3/1 [অর্থাৎ 3 ভাগ লম্বা (TT ও Tt) এবং 1 ভাগ বেঁটে (tt)] এবং জিনোটাইপিক, অর্থাৎ জিনঘটিত বৈশিষ্ট্যের অনুপাত = (1/2) / 1 [অর্থাৎ, একভাগ বিশুদ্ধ লম্বা (TT), দু-ভাগ সংকর লম্বা (Tt) এবং একভাগ বিশুদ্ধ বেঁটে (tt)]।
6. বিশুদ্ধ বেগুনি ফুল (প্রকট) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুল (প্রচ্ছন্ন) ধারণকারী দুটি মটর গাছের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে F_{2} জনুতে বিশুদ্ধ বেগুনি ও বিশুদ্ধ সাদা ফুল ধারণকারী উদ্ভিদের অনুপাত কী হবে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যাখ্যা: ধরা যাক, বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলযুক্ত (প্রকট বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন) গাছের জিনোটাইপ = VV এবং বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত (প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন) গাছের জিনোটাইপ = vv |
এদের মধ্যে ইতর পরাগযোগের মাধ্যমে সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য জনুতে (F_{1}) যে গাছ জন্মাবে তার সবকটিই বেগুনি ফুল উৎপাদন করবে। কারণ, বেগুনি ফুল প্রকট বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এবার এই F_{1} জনুতে উৎপন্ন গাছের মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটালে F_{2} জনুতে ফিনোটাইপ হিসেবে তিন ভাগ বেগুনি ফুলযুক্ত গাছ এবং এক ভাগ সাদা ফুলযুক্ত গাছ জন্মাবে। উপরোক্ত তিন ভাগ বেগুনি ফুলগাছের ভিতর জিনোটাইপ হিসেবে এক ভাগ বিশুদ্ধ বেগুনি এবং দু-ভাগ সংকর বেগুনি ফুল ধারণকারী উদ্ভিদ জন্মাবে। সুতরাং, এই পরীক্ষায় দেখা যায়, F_{2} জনুতে এক ভাগ (25%) বিশুদ্ধ বেগুনি দু-ভাগ
(50%) সংকর বেগুনি এবং এক ভাগ (25%) বিশুদ্ধ সাদা ফুল ধারণকারী উদ্ভিদ জন্মাবে। ক্রস ও চেকার বোর্ডের সাহায্যে উক্ত পরীক্ষাটি নীচে দেখানো হল।
7. একটি সংকর কালো লোমযুক্ত গিনিপিগের সঙ্গে বিশুদ্ধ সাদা লোমযুক্ত গিনিপিগের সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য (F₁) জনুর গিনিপিগগুলির ফিনোটাইপ কী হবে ও কেন-যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।
অথবা, একটি সংকর কালো গিনিপিগের সঙ্গে বিশুদ্ধ সাদা গিনিপিগের মিলন ঘটালে যে যে ধরনের অপত্য গিনিপিগ উৎপন্ন হতে পারে তা চেকার বোর্ডের সাহায্যে নিরূপণ করো।
অনুরূপ প্রশ্ন, হেটেরোজাইগাস লম্বা মটর গাছের সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ খর্ব মটর গাছের সংকরায়ণে উৎপন্ন অপত্যগুলির জিনোটাইপিক ও ফিনোটাইপিক অনুপাত নির্ণয় করো।
উত্তর: গিনিপিগের সংকরায়ণ পরীক্ষা: একটি সংকর কালো লোমযুক্ত (Bb) গিনিপিগের সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ সাদা লোমযুক্ত (bb) গিনিপিগের সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য জনু (F₁)-তে সৃষ্ট গিনিপিগগুলির ফিনোটাইপিক অনুপাত হবে-সংকর কালো লোম: বিশুদ্ধ সাদা লোম = 1 : 1। ক্রস ও চেকার বোর্ডের সাহায্যে পরীক্ষাটি (সংকরায়ণ) নীচে দেখানো হল।
ব্যাখ্যা: ① জনিতৃ (P) জনুর সংকর কালো লোমযুক্ত গিনিপিগের (2n) জিনোটাইপ হল Bb। অর্থাৎ, সংকর কালো গিনিপিগের থেকে দুই প্রকার গ্যামেট (n) সৃষ্টি হবে। ② এগুলি হল কালো অ্যালিলযুক্ত (B) এবং সাদা অ্যালিলযুক্ত (b) গ্যামেট। ③ পক্ষান্তরে বিশুদ্ধ সাদা লোমযুক্ত P জনুর বিপরীত লিঙ্গের গিনিপিগটির (2n) জিনোটাইপ হল bb। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র একপ্রকার অ্যালিল থাকায় উৎপন্ন সকল গ্যামেটই (n) হবে। এটি হল সাদা অ্যালিলযুক্ত (b) গ্যামেট। ④ চেকার বোর্ডে সংকর কালো গিনিপিগের B এবং ৮ গ্যামেটের বিপরীতে সাদা লোমের গিনিপিগের (b) স্থাপিত করলে দেখা যায় (চেকার বোর্ড লক্ষণীয়) প্রথম অপত্য জনু বা F₁ জনুতে কালো অ্যালিলযুক্ত (B) গ্যামেট এবং সাদা অ্যালিলযুক্ত (b) গ্যামেটের মিলনে F₁ জনুতে 50% গিনিপিগ কালো ফিনোটাইপযুক্ত হবে (যদিও তা সংকর কালো বা Bb জিনোটাইপবিশিষ্ট)। ⑤ P জনুর সংকর কালো গিনিপিগের সাদা অ্যালিলযুক্ত (b) গ্যামেটটি P জনুর সাদা গিনিপিগের থেকে উৎপন্ন ৮ গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হলে F, জনুতে বাকি 50% গিনিপিগ সাদা ফিনোটাইপযুক্ত হবে। (এই সাদা গিনিপিগগুলি বিশুদ্ধ বা bb জিনোটাইপযুক্ত হবে)। [সংকর লম্বা (Tt) ও বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) মটর গাছের সংকরায়ণেও অনুরূপ লাফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে লম্বা বৈশিষ্ট্যটি প্রকট ও বেঁটে বৈশিষ্ট্যটি প্রচ্ছন্ন।]
8. মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত দুটি সিদ্ধান্ত বিবৃত করো। গিনিপিগে খর্ব লোম প্রকট গুণ (S) এবং লম্বা লোম প্রচ্ছন্ন গুণ (৪)। দুটি হেটেরোজাইগাস গিনিপিগের মধ্যে জনন হলে তাদের সন্তানসন্ততি কী রকম হবে? 3+2
অংশ প্রশ্ন, গিনিপিগের কালো লোম প্রকট ও সাদা লোম প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য। দুটি সংকর কালো লোমবিশিষ্ট গিনিপিগের মধ্যে সংকরায়ণের ফলাফল চেকার বোর্ডের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর: একসংকর জনন পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত দুটি সিদ্ধান্ত: মটর গাছের একসংকর জনন পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে মেন্ডেল যে দুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন তা হল-① পৃথকীভবনের সিদ্ধান্ত এবং ② প্রকটতা ও প্রচ্ছন্নতার সিদ্ধান্ত।
① পৃথকীভবনের (সূত্র) সিদ্ধান্ত: কোনো জীবের একটি চরিত্রের অন্তর্গত একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য একটি জনু (জনিতৃ জনু) থেকে অপর একটি জনুতে (অপত্য জনু) সঞ্চারিত হওয়ার সময়ে একত্রিত হলেও বৈশিষ্ট্যগুলি কখনোই মিশ্রিত হয় না বরং গ্যামেট উৎপাদনের সময়ে বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলি পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়।
② প্রকটতা ও প্রচ্ছন্নতার (সূত্র) সিদ্ধান্ত: কোনো জীবে দুটি বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী জিন উপস্থিত থাকলে, যে জিনটি হেটেরোজাইগাস অবস্থায় অপর জিনের বৈশিষ্ট্যকে অবদমিত করে নিজের বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায়, তাকে প্রকট জিন এবং এর দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যকে প্রকট বৈশিষ্ট্য বলে। আবার, হেটেরোজাইগাস অবস্থায় যে জিনটি নিজ বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটাতে পারে না, তাকে প্রচ্ছন্ন জিন এবং এর দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে। মটর গাছের উচ্চতার ক্ষেত্রে লম্বা বৈশিষ্ট্যটি হল প্রকট এবং খর্বতার বৈশিষ্ট্যটি হল প্রচ্ছন্ন।
[+ হেটেরোজাইগাস গিনিপিগের মধ্যে একসংকর জনন: ধরা যাক, গিনিপিগের খর্ব লোম প্রকট বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ ১ এবং লম্বা লোম প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ ৪।
এখানে হেটেরোজাইগাস গিনিপিগ বলতে বোঝানো হয়েছে খর্ব লোম ও লম্বা লোমের জিনযুক্ত সংকর গিনিপিগ (Ss)। দুটি হেটেরোজাইগাস গিনিপিগের (Ss) মধ্যে জনন সম্পন্ন হলে প্রথম অপত্য জনুতে (F, জনু) কী প্রকার ফলাফল হবে তা চেকার বোর্ডের মাধ্যমে দেখানো হল।
অর্থাৎ, হেটেরোজাইগাস গিনিপিগের সন্তানসন্ততিদের ক্ষেত্রে, ফিনোটাইপিক অনুপাত হবে-খর্ব লোম: লম্বা লোম = 3:1 এবং জিনোটাইপিক অনুপাত হবে-বিশুদ্ধ খর্ব লোম: সংকর খর্ব লোম: বিশুদ্ধ লম্বা লোম = (1/2) / 1 |
[দুটি সংকর কালো লোমযুক্ত (জিনোটাইপ-Bb) গিনিপিগের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। এখানে কালো লোম (B) প্রকট ও সাদা লোম (b) প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।]
9. অনুরূপ প্রশ্ন, প্রমাণ করো যে ‘অসম্পূর্ণ’ প্রকটতার ক্ষেত্রে F₂ জনুতে ফিনোটাইপিক ও জিনোটাইপিক অনুপাত সমান হয়।”
অংশ প্রশ্ন, সন্ধ্যামালতী ফুলের ক্ষেত্রে F₂ জনুতে মেন্ডেলের বংশগতি সংক্রান্ত প্রথম সূত্রের বিচ্যুতি কীভাবে প্রকাশিত হয়, তা একটি ক্রসের মাধ্যমে দেখাও।
উত্তর: অসম্পূর্ণ প্রকটতা: দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিশুদ্ধ জীবের মধ্যে যৌন জনন বা সংকরায়ণ ঘটানো হলে যদি প্রথম অপত্য জনুতে (F₁ জনুতে) দুটি বৈশিষ্ট্যের কোনোটিই প্রকাশিত না হয়ে কোনো অন্তর্বর্তী বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে, তাহলে তাকে অসম্পূর্ণ প্রকটতা বলে।
[• উদাহরণসহ ব্যাখ্যা: অসম্পূর্ণ প্রকটতার ঘটনা নীচে সন্ধ্যামালতী (Mirabilis jalapa) উদ্ভিদের সাপেক্ষে ব্যাখ্যা করা হল। সন্ধ্যামালতী নামক উদ্ভিদে লাল এবং সাদা এই দুইপ্রকার ফুল হয়। এই উদ্ভিদে ফুলের লাল রং, সাদা রং-এর ওপর অসম্পূর্ণভাবে প্রকট। বিশুদ্ধ লাল ফুলযুক্ত (RR) সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদের সঙ্গে বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত (1) সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদের সংকরায়ণ ঘটানো হলে প্রথম অপত্য জনুতে (F₁ জনু) উৎপন্ন উদ্ভিদগুলি লাল বা সাদা ফুলযুক্ত না হয়ে সবই গোলাপি ফুলযুক্ত হয়। এই F₁ জনুর উদ্ভিদগুলির মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটানো হলে দ্বিতীয় অপত্য জনুতে (F2 জনু) তিনপ্রকার ফিনোটাইপ (লাল, গোলাপি ও সাদা) ও তিনপ্রকার জিনোটাইপযুক্ত উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়।
F₂ জনুতে ফিনোটাইপিক অনুপাত-লাল: গোলাপি: সাদা = 1:2:1 এবং জিনোটাইপিক অনুপাত-বিশুদ্ধ লাল (RR): সংকর গোলাপি (Rr): বিশুদ্ধ সাদা (rr) = 1:2:11
অর্থাৎ, অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে F₂ জনুতে উৎপন্ন অপত্য উদ্ভিদগুলির ফিনোটাইপিক অনুপাত ও জিনোটাইপিক অনুপাত একই (1:2:1)।
5. True And False
1. বংশগতিবিদ্যার জনক হলেন গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।
উত্তর: সত্য [সূত্র-চরিত্রের বংশানুসরণ সর্বপ্রথম মেন্ডেলই বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।]
2. বংশগতি-সংক্রান্ত আলোচনা বিজ্ঞানের যে শাখায় করা হয় তাকে জিনতত্ত্ব বলে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-বংশগতি-সংক্রান্ত আলোচনা বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স শাখায় করা হয়।]
3. ক্রোমোজোম বা জিনের সংখ্যা অথবা গঠনের স্থায়ী পরিবর্তনকে প্রকরণ বলে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-একে পরিব্যক্তি বলে।]
4. রোলার জিভ অটোজোমাল প্রচ্ছন্ন জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রত হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটি অটোজোমাল প্রকট জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।]
5. একই জিনের বিভিন্ন রূপভেদকে অ্যালিল বলে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-সাধারণত একটি জিনের দুটি অ্যালিল থাকে।]
6. মেন্ডেল তাঁর বংশগতি সংক্রান্ত পরীক্ষাগুলির বর্ণনায় ‘জিন’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-মেন্ডেল বংশগতির উপাদানকে ফ্যাক্টর বলে উল্লেখ করেন; তাঁর সময় জিনের ধারণা ছিল না।]
7. T ও গ্যামেটদ্বয়ের মিলনের ফলে হোমোজাইগোট তৈরি হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এক্ষেত্রে হেটেরোজাইগোট তৈরি হয়।]
৪. জীবের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যকে ফিনোটাইপ বলে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-অ্যালিলগত গঠন পৃথক হলেও বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য এক হতে পারে।]
9. যদি কোনো মটর গাছে TT বা । বৈশিষ্ট্য থাকে, তবে এই অ্যালিলের সাপেক্ষে মটর গাছটি হেটেরোজাইগাস হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-যদি কোনো মটর গাছে TT বা । বৈশিষ্ট্য থাকে, তবে এই অ্যালিলের সাপেক্ষে মটর গাছটি হোমোজাইগাস হয়।]
1. MCQs Question Answer
1. জিনের আকস্মিক ও স্থায়ী পরিবর্তনকে বলে-
(i) অ্যানিউপ্লয়েডি
(ii) ইনভারশান
(iii) উটেশন
(iv) রিকম্বিনেশন
উত্তর: (iii) উটেশন
2. অটোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন বংশগত রোগ হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) বর্ণান্ধতা
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) স্কার্ভি
উত্তর: (iii) থ্যালাসেমিয়া
3. মানুষের অটোজোমে থাকা জিন দ্বারা যে বৈশিষ্ট্যটি নিয়ন্ত্রিত হয়, সেটি হল-
(i) রোলার জিভ
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) কানের লতি
(iv) সবকটিই
উত্তর: (iii) কানের লতি
4. থ্যালাসেমিয়া রোগের একটি লক্ষণ হল-
(i) স্কার্ভি
(ii) অ্যানিমিয়া
(iii) রিকেট
(iv) ম্যালেরিয়া
উত্তর: (ii) অ্যানিমিয়া
5. দেহে লোহা জমে হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের ক্ষতি হয় যে বংশগত রোগে তা হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) অ্যানিমিয়া
(iii) ব্লাড ক্যানসার
(iv) থ্যালাসেমিয়া
উত্তর: (iv) থ্যালাসেমিয়া
6. যে রোগে প্লিহা, যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) অ্যানিমিয়া
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (ii) থ্যালাসেমিয়া
7. যে রোগের জন্য গ্লোবিন পেপটাইড শৃঙ্খলের অস্বাভাবিক গঠন দায়ী, তা হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) ম্যালেরিয়া
(iv) স্কার্ভি
উত্তর: (ii) থ্যালাসেমিয়া
৪. থ্যালাসেমিয়া-সংক্রান্ত ভুল তথ্যটি হল-
(i) এটি সেক্স ক্রোমোজোম সংযোজিত রোগ
(ii) এটি বংশগত রোগ
(iii) এই রোগে হিমোগ্লোবিন গঠনে ত্রুটি দেখা যায়
(iv) এই রোগে দেহে লৌহ সঞ্চিত হয়
উত্তর: (i) এটি সেক্স ক্রোমোজোম সংযোজিত রোগ
9. থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগটির অপর নাম হল-
(i) পারনিসিয়াস অ্যানিমিয়া
(ii) অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া
(iii) নরমোক্রোমিক অ্যানিমিয়া
(iv) মেডিটেরিনিয়ান অ্যানিমিয়া
উত্তর: (iii) নরমোক্রোমিক অ্যানিমিয়া
10. থ্যালাসেমিয়া মাইনর আর যে নামে পরিচিত, তা হল-
(i) থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট
(ii) থ্যালাসেমিয়া হাইড্রপ্স
(iii) কুলির থ্যালাসেমিয়া
(iv) থ্যালাসেমিয়া চাইল্ড
উত্তর: (i) থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট
11. থ্যালাসেমিয়া রোগটি যে প্রোটিনের অস্বাভাবিকতার ফলে সৃষ্টি হয়, তা হল-
(i) ফাইব্রিন
(ii) গ্লোবিন
(iii) ফ্ল্যাভিন
(iv) থাইমিন
উত্তর: (ii) গ্লোবিন
12. মানুষের যে ক্রোমোজোমে ৫-গ্লোবিন জিন থাকে, তা হল-
(i) 11 নং
(ii) 12 নং
(iii) 14 নং
(iv) 16 নং
উত্তর: (iv) 16 নং
13. মানুষের যে ক্রোমোজোমে ẞ-গ্লোবিন জিন থাকে, তা হল-
(i) 11 নং
(ii) 12 নং
(iii) 14 নং
(iv) 16 নং
উত্তর: (i) 11 নং
14. ẞ থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীর সংখ্যা পৃথিবীর সমস্ত আক্রান্ত ব্যক্তির প্রায়-
(i) 8%
(ii) 10%
(iii) 12%
(iv) 14%
উত্তর: (ii) 10%
15. কুলির অ্যানিমিয়ার কারণ হল-
(i) মিউটেশন
(ii) পয়েন্ট মিউটেশন
(iii) Hbs
(iv) HbF
উত্তর: (i) মিউটেশন
16. কুলির অ্যানিমিয়া হল-
(i) α থ্যালাসেমিয়া মেজর
(ii) α থ্যালাসেমিয়া মাইনর
(iii) ẞ থ্যালাসেমিয়া মেজর
(iv) থ্যালাসেমিয়া মাইনর
উত্তর: (iii) ẞ থ্যালাসেমিয়া মেজর
17. নীচের যেটি সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত বংশগত রোগ নয়, সেটি হল-
(i) অ্যানিমিয়া
(ii) স্কার্ভি
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) সবকটিই
উত্তর: (iv) সবকটিই
18. পিতা ও মাতা উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে ওই দম্পতির যে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কত?
(i) 100%
(ii) 25%
(iii) 75%
(iv) 50%
উত্তর: (ii) 25%
19. কোন্ রোগটি অটোজোমাল জিন দ্বারা সৃষ্ট নয়?
(i) সিক্স সেল অ্যানিমিয়া
(ii) হিমোফিলিয়া
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) অ্যালবিনিজম
উত্তর: (ii) হিমোফিলিয়া
20. যে বংশগত রোগে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হল-
(i) লিউকেমিয়া
(ii) হিমোফিলিয়া
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) বর্ণান্ধতা
উত্তর: (ii) হিমোফিলিয়া
21. মানবদেহে হিমোফিলিয়া রোগের জন্য দায়ী জিনটি-
(i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রকট
(ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রচ্ছন্ন
(iii) অটোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রকট
(iv) অটোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রচ্ছন্ন
উত্তর: (ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রচ্ছন্ন
22. মানুষের অটোজোমে থাকা জিন দ্বারা নীচের কোন্ট্রি নিয়ন্ত্রিত হয় না?-
(i) রোলার জিভ
(ii) হিমোফিলিয়া
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) কানের যুক্ত লতি
উত্তর: (ii) হিমোফিলিয়া
23. হিমোফিলিয়ার প্রধান সমস্যা হল-
(i) রং চিনতে না পারা
(ii) দেহাভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ
(iii) দেহাভ্যন্তরে রক্ততঞ্চন
(iv) তীব্র জ্বর ও প্রদাহ
উত্তর: (ii) দেহাভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ
24. হিমোফিলিয়ায় যে প্লাজমা প্রোটিনটি তৈরি হয় না, সেটি হল-
(i) অ্যালবুমিন
(ii) গ্লোবিউলিন
(iii) ফাইব্রিন
(iv) কাইটিন
উত্তর: (iii) ফাইব্রিন
25. অ্যান্টিহিমোফিলিক গ্লোবিউলিন ফ্যাক্টরটি হল-
(i) ফ্যাক্টর VII
(ii) ফ্যাক্টর VIII
(iii) ফ্যাক্টর IX
(iv) ফ্যাক্টর X
উত্তর: (ii) ফ্যাক্টর VIII
26. প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট হল-
(i) ফ্যাক্টর VII
(ii) ফ্যাক্টর VIII
(iii) ফ্যাক্টর XI
(iv) ফ্যাক্টর X
উত্তর: (iii) ফ্যাক্টর XI
27. হিমোফিলিয়া ‘A’ ঘটে রক্ততঞ্চনের জন্য দায়ী যে ফ্যাক্টরটির অভাবে-
(i) VI
(ii) VII
(iii) VIII
(iv) IX
উত্তর: (iii) VIII
28. রাজকীয় হিমোফিলিয়া বা রয়্যাল হিমোফিলিয়া বা ক্রিস্টমাস ডিজিস বা হিমোফিলিয়া B হয় রক্ততঞ্চনের কোন্ ফ্যাক্টরের অভাবে?
(i) VI
(ii) VII
(iii) VIII
(iv) IX
উত্তর: (iv) IX
29. ক্লাসিক হিমোফিলিয়া বলা হয়-
(i) হিমোফিলিয়া A-কে
(ii) হিমোফিলিয়া B-কে
(iii) হিমোফিলিয়া C-কে
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (i) হিমোফিলিয়া A-কে
30. ক্রিস্টমাস রোগটি হল-
(i) হিমোফিলিয়া A
(ii) বর্ণান্ধতা রয়্যাল
(iii) হিমোফিলিয়া
(iv) হিমোফিলিয়া B
উত্তর: (iv) হিমোফিলিয়া B
31. আমাদের দেশে হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হিমোফিলিয়া A বা ক্লাসিক হিমোফিলিয়ার শতকরা ভাগ-
(i) 10
(ii) 20
(iii) 40
(iv) 80
উত্তর: (iv) 80
32. আমাদের দেশে হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগের শতকরা ভাগ-
(i) 10
(ii) 20
(iii) 40
(iv) 80
উত্তর: (ii) 20
33. রক্ততঞ্চনে সাহায্যকারী ফ্যাক্টর VIII-এর অপর নাম-
(i) ABB
(ii) НВА
(iii) РТA
(iv) AHF
উত্তর: (iv) AHF
34. রক্ততঞ্চনে সাহায্যকারী ফ্যাক্টর XI-এর অপর নাম-
(i) AHF
(ii) HBA
(iii) HBB
(iv) PTA
উত্তর: (iv) PTA
35. রক্তে যে ফ্যাক্টরের অনুপস্থিতিতে হিমোফিলিয়া হয়, সেটি হল-
(i) ফ্যাক্টর VIII
(ii) ফ্যাক্টর IX
(iii) ফ্যাক্টর III
(iv) (i) ও (ii) উভয়ই
উত্তর: (iv) (i) ও (ii) উভয়ই
36. হিমোফিলিক পুরুষ ও হোমোজাইগাস স্বাভাবিক মহিলার বিবাহে হিমোফিলিক সন্তানের শতকরা সম্ভাবনা হল-
(i) 75%
(ii) 50%
(iii) 25%
(iv) 0%
উত্তর: (iv) 0%
37. হিমোফিলিয়ার বাহক মাতা ও স্বাভাবিক পিতার সঙ্গে কন্যাসন্তানদের হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হল-
(i) 75%
(ii) 50%
(iii) 100%
(iv) 0%
উত্তর: (iv) 0%
38. একজন হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে একজন স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহে হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত পুত্র হবে-
(i) 100%
(ii) 75%
(iii) 50%
(iv) 25%
উত্তর: (i) 100%
39. হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ ও বাহক মহিলার সন্তানরা হবে-
(i) সকলেই হিমোফিলিক
(ii) 50% হিমোফিলিক
(iii) 33.3% হিমোফিলিক
(iv) 25% হিমোফিলিক
উত্তর: (ii) 50% হিমোফিলিক
40. পিতা স্বাভাবিক এবং মাতা বাহক হলে তাদের শিশুর হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হল-
(i) 100%
(ii) 75%
(iii) 50%
(iv) 25%
উত্তর: (iv) 25%
41. হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত পুত্র ও স্বাভাবিক কন্যা রয়েছে এমন পিতামাতার সম্ভাব্য জিনোটাইপ কী কী হতে পারে তা নীচেরগুলি থেকে নির্ধারণ করো-
(i) H||h, h
(ii) HH, H
(iii) HHhH
(iv) H||h, H
উত্তর: (iv) H||h, H
42. হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত পিতা এবং স্বাভাবিক মাতার মিলনে স্বাভাবিক পুত্র সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা হল-
(i) 75%
(ii) 50%
(iii) 100%
(iv) 25%
উত্তর: (iii) 100%
43. বর্ণান্ধ মানুষ পৃথক করতে পারে না-
(i) লাল-হলদে বর্ণ
(ii) লাল- সবুজ বর্ণ
(iii) হলদে-সাদা বর্ণ
(iv) লাল-নীল বর্ণ |
উত্তর: (ii) লাল- সবুজ বর্ণ
44. সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত একটি বংশগত রোগ হল-
(i) বর্ণান্ধতা
(ii) রাতকানা
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) ম্যালেরিয়া
উত্তর: (i) বর্ণান্ধতা
45. বর্ণান্ধতা রোগটির অ্যালিল-
(i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
(ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রকট
(iii) অটোজোমে অবস্থিত প্রকট
(iv) অটোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
উত্তর: (i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
46. বর্ণান্ধতা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিনটি অবস্থান করে-
(i) X ক্রোমোজোমে
(ii) Y ক্রোমোজোমে
(iii) z ক্রোমোজোমে
(iv) M ক্রোমোজোমে
উত্তর: (i) X ক্রোমোজোমে
47. যেপ্রকার বর্ণান্ধতায় কোনো ব্যক্তি লাল রং দেখতে পায় না, তাকে বলে-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) প্রোটানোপিয়া
(iv) ডিউটেরানোপিয়া
উত্তর: (iii) প্রোটানোপিয়া
48. নিম্নলিখিত যে রোগটি পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, সেটি হল-
(i) লাল-সবুজ বর্ণান্ধতা
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) ক্যানসার
(iv) যক্ষ্মা
উত্তর: (i) লাল-সবুজ বর্ণান্ধতা
49. ডিউটেরানোপিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কোন্ রং দেখতে অক্ষম?
(i) নীল
(ii) হলদে
(iii) লাল
(iv) সবুজ
উত্তর: (iv) সবুজ
50. সবুজ বর্ণান্ধতাকে কী বলা হয়?
(i) প্রোটানোপিয়া
(ii) ডিউটেরানোপিয়া
(iii) ট্রাইটানোপিয়া
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (ii) ডিউটেরানোপিয়া
2. Very Short Question Answer
1. থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য দায়ী জিন মানুষের কোন্ ধরনের ক্রোমোজোম বহন করে?
উত্তর: অটোজোম।
2. মানুষের দুটি X ক্রোমোজোমাল প্রচ্ছন্ন রোগের নাম বলো।
অথবা, দুটি সেক্স লিংকড রোগের নাম বলো।
উত্তর: বর্ণান্ধতা ও হিমোফিলিয়া।
3. কে, কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম থ্যালাসেমিয়া নামকরণ করেন?
উত্তর: হুইপল এবং ব্রাডফোর্ড (Whipple and Bradford) 1932 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম থ্যালাসেমিয়া নামকরণ করেন।
4. a. থ্যালাসেমিয়া কী?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনের α শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির জন্য যে থ্যালাসেমিয়া হয়, তাকে a α থ্যালাসেমিয়া বলা হয়।
5. থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনে a বা ẞ শৃঙ্খল কোন্ কারণের জন্য অনেক সময় সম্পূর্ণ তৈরি হয় না?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনে a বা ẞ শৃঙ্খল পরিব্যক্তির জন্য অনেক সময় সম্পূর্ণ তৈরি হয় না, ফলে RBC-র সংখ্যা হ্রাস পায়।
6. মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনে a থ্যালাসেমিয়া হয়?
উত্তর: মানুষের 16 নং ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনের ফলে a থ্যালাসেমিয়া হয়।
7. ẞ থ্যালাসেমিয়া কী?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনের ৪ শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির ফলে যে থ্যালাসেমিয়া হয়, তাকে ẞ থ্যালাসেমিয়া বলে।
৪. মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনে ẞ থ্যালাসেমিয়া হয়?
উত্তর: মানুষের 11 নং ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনের ফলে ẞ থ্যালাসেমিয়া হয়।
9. ভারতে কোন্ প্রকার থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়?
উত্তর: ভারতে ৫ থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
10. থ্যালাসেমিয়ার ত্রুটিপূর্ণ জিন মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমে অবস্থান করে?
উত্তর: 16 নং ক্রোমোজোম (৫ থ্যালাসেমিয়া) ও 11 নং ক্রোমোজোম (B থ্যালাসেমিয়া)।
11. থ্যালাসেমিয়া রোগে কোন্ সংযুক্ত প্রোটিন কম পরিমাণে তৈরি হয়?
উত্তর: হিমোগ্লোবিন নামক সংযুক্ত প্রোটিন কম পরিমাণে তৈরি হয়।
12. থ্যালাসেমিয়া রোগ হলে অথবা ঘনঘন রক্ত বদলানোর ফলে দেহে কোন্ ধাতু অধিক পরিমাণে সঞ্চিত হয়?
উত্তর: লোহা।
13. দেহে লোহা সঞ্চিত হলে কোন্ কোন্ অঙ্গ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়?
উত্তর: দেহে লোহা সঞ্চিত হলে হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ এবং অন্তঃক্ষরা তন্ত্র বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
14. হিমোগ্লোবিনের জিনগত ত্রুটির জন্য যে রোগ হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি।
15. হিমোগ্লোবিনে কত শতাংশ লোহা থাকে?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনে প্রায় 0.34% লোহা থাকে।
16. হিমোগ্লোবিন কত ml অক্সিজেন বহন করে?
উত্তর: 1g হিমোগ্লোবিন 1.34 ml অক্সিজেন বহন করে।
17. যে রোগে রক্ত তঞ্চিত না হওয়ার ফলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না, তাকে কী বলে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া।
18. একটি বিশেষ হিমোফিলিয়ার নাম লেখো যা লিঙ্গ সংযোজিত নয়।
উত্তর: হিমোফিলিয়া C অটোজোম সংযোজিত হিমোফিলিয়া, এটি লিঙ্গ সংযোজিত নয়। এক্ষেত্রে রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর IX উৎপন্ন হয় না।
19. রক্তের ফ্যাক্টর VIII-এর অভাবজনিত রোগটি কী?
উত্তর: হিমোফিলিয়া AI
20. রক্তের ফ্যাক্টর IX-এর অভাবজনিত রোগটি কী?
উত্তর: হিমোফিলিয়া B
21. হিমোফিলিয়া B রোগটি আর কী নামে পরিচিত?
উত্তর: ক্রিস্টমাস রোগ বা রাজকীয় হিমোফিলিয়া।
22. রক্তমোক্ষণকারী রোগটি আর কী নামে পরিচিত?
উত্তর: হিমোফিলিয়া।
23. হিমোফিলিয়া B কী জাতীয় রোগ?
উত্তর: হিমোফিলিয়া B হল, X ক্রোমোজোমঘটিত একটি প্রচ্ছন্ন বংশগত রোগ।
24. হিমোফিলিয়া রোগের সৃষ্টি হয় কী কারণে?
উত্তর: X ক্রোমোজোম সংযোজিত প্রচ্ছন্ন জিনের পরিব্যক্তির কারণে হিমোফিলিয়া রোগের সৃষ্টি হয়।
25. হিমোফিলিয়া রোগের জিন মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমে অবস্থান করে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া রোগের জিন মানুষের X ক্রোমোজোমে অবস্থান করে।
26. হিমোফিলিয়া A আর কী নামে পরিচিত?
উত্তর: ক্লাসিক হিমোফিলিয়া।
27. ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া সর্বপ্রথম যে রোগের প্রচ্ছন্ন জিনটি ধারণ করেন, সেটির নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: হিমোফিলিয়া B।
28. কোন্ হিমোফিলিয়াকে রয়্যাল হিমোফিলিয়া বলে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া B-কে রয়্যাল হিমোফিলিয়া বলে, কারণ এটি ইংল্যান্ডের রাজবংশে প্রথম দেখা গিয়েছিল।
29. ব্লিডার্স ডিজিজ কোন্ রোগকে বলে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া।
30. কোন্ রোগকে ক্রিস্টমাস ডিজিজ বলে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া B রোগকে।
31. যে বর্ণান্ধতায় মানুষ লাল বর্ণ চিনতে পারে না, তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রোটানোপিয়া।
3. Short Question Answer
1. মানুষের সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত এবং অটোজোম বাহিত দুটি করে রোগের নাম লেখো।
উত্তর: মানুষের সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত দুটি বংশগত রোগ হল- ① হিমোফিলিয়া এবং② বর্ণান্ধতা।
মানুষের অটোজোম বাহিত দুটি বংশগত রোগ হল-① থ্যালাসেমিয়া এবং ② অ্যালবিনিজম।
2. মানুষের জনগোষ্ঠীতে প্রকাশিত হয় এমন দুটি জিনগত রোগের নাম লেখো।
উত্তর: মানুষের জনগোষ্ঠীতে প্রকাশিত হয় এমন দুটি জিনগত রোগ হল-থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া।
3. থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া হল অটোজোম বাহিত এক ধরনের বংশগত রোগ, যা হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন-পেপটাইড শৃঙ্খলের অস্বাভাবিক গঠনের ফলে সৃষ্টি হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হিমোগ্লোবিন গঠিত হয় না বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পায়, লোহিত রক্তকণিকা ক্ষুদ্র হয় এবং এর আয়ু কম (RBC-র গড় আয়ু 120 দিন)-ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়। থ্যালাসেমিয়া রোগী
4. থ্যালাসেমিয়া মেজর বলতে কী বোঝ?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কারণে হিমোগ্লোবিনের এবং ẞ শৃঙ্খল দুটির প্রত্যেকটিই মিউটেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া মেজর বলে।
5. থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলতে কী বোঝ?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কারণে হিমোগ্লোবিনের a বা শৃঙ্খল দুটির মধ্যে যে-কোনো একটি শৃঙ্খল মিউটেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলে।
6. থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহে কোন্ তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগে মানব দেহের যে তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলি হল-① যকৃৎ② হৃৎপিণ্ড এবং প্লিহা। যকৃৎ ও প্লিহা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং জন্ডিস দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে অধিক পরিমাণ লোহা সঞ্চিত হওয়ার কারণে হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক সংকোচন- প্রসারণ ক্ষমতা ব্যাহত হয়।
7. থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণগুলি লেখো।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণগুলি হল-① কালো বর্ণের মূত্র ত্যাগ, ② অস্থি গঠনে সমস্যা (বিশেষত মুখমণ্ডলের অস্থি), ③ হলুদাভ বিবর্ণ ত্বক, ④ তীব্র ক্লান্তি ও দুর্বলতা, ⑤ বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া।
8. থ্যালাসেমিয়া রোগে হেপাটোমেগালি ও স্পিনোমেগালি ঘটে কেন?
উত্তর: বারবার রক্ত সঞ্চারনের ফলে থ্যালাসেমিয়া রোগে যকৃতে ও প্লিহাতে আয়রন অতিরিক্ত মাত্রায় সঞ্চিত হয় ও তাদের আকার বৃদ্ধি পায় ও যথাক্রমে হেপাটোমেগালি ও স্পিনোমেগালি অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও রক্তসঞ্চারণের সময় হেপাটাইটিস সংক্রমণ এবং ওই অঙ্গ দুটিতে RBC উৎপাদনের কারণে তাদের আকারের বৃদ্ধি ঘটে থাকে।
9. থ্যালাসেমিয়াকে ‘ভূমধ্যসাগারীয় রক্তাল্পতা’ বলে কেন?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া, বিশেষত মৃদু থ্যালাসেমিয়া রোগটি ইতালি ও অন্যান্য ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে বেশি দেখা যায়। এজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগটিকে ভূমধ্যসাগরীয় রক্তাল্পতা বলা হয়।
10. থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ঘন ঘন রক্ত নিতে হয় কেন? এভাবে রক্ত নেওয়ার ফলে রোগীর কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: প্রশ্নের উত্তরের জন্য এই subtopic-এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের নেং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
[ এভাবে রক্ত নেওয়ার ফলে রোগীর দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অতিরিক্ত লোহা জমতে থাকে। এর ফলে থাইরক্সিন হরমোনের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ ও অন্তঃক্ষরা তন্ত্র বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হৃৎপিণ্ডের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে হার্ট ফেলিওরও ঘটে।
11. থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহে লোহার আধিক্য ঘটে কেন?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে তীব্র রক্তাল্পতা দেখা দেয়। এই কারণে রোগীকে 2-4 সপ্তাহ অন্তর রক্ত দিতে হয়। বাইরে থেকে যে রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়, তার RBC বার বার ভেঙে যাওয়ার রোগীর শরীরে প্রচুর পরিমাণ লোহা সঞ্চিত হয়। এই কারণে
থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহে লোহার আধিক্য ঘটে।
12. একদিন শিক্ষার্থীরা খবরের কাগজে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে একটি প্রবন্ধ পড়ল এবং একজন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির পরিণতি জেনে ভীত হল। জনগোষ্ঠী থেকে এই রোগ দূর করার জন্য তারা কী কী উদ্যোগ নিতে পারে তা লেখো।
অথবা, জনগোষ্ঠী থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ দূর করতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া দূরীকরণে যে উদ্যোগগুলি শিক্ষার্থীরা নিতে পারে, তা হল- সাধারণ মানুষকে থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা তা নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা। ② বিয়ের আগে জেনেটিক কাউন্সিলারের কাছে যেতে উদ্বুদ্ধ করা ও জেনেটিক কাউন্সিলারের পরামর্শ নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা। ও রোগটি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা।
13. বংশে থ্যালাসেমিয়া রোগের ইতিহাস থাকলে জিনগত পরামর্শের প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর: বংশে থ্যালাসেমিয়া রোগের ইতিহাস থাকলে কোনো বাহক ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কোনো বাহক মহিলার বিবাহে অপত্যে রোগটি প্রকাশের সম্ভাবনা থাকে। অপত্য যাতে রোগাক্রান্ত না হয় সেইজন্য জেনেটিক কাউন্সিলারের পরামর্শ গ্রহণ জরুরি।
14. নিম্নলিখিত কারণ অনুসারে থ্যালাসেমিয়ার প্রকৃতি নির্ণয় করো- @ হিমোগ্লোবিনের দুটি ‘৫-গ্লোবিন অণুই ত্রুটিপূর্ণ, একটি ẞ-গ্লোবিন অণু ত্রুটিপূর্ণ। হিমোগ্লোবিনের
উত্তর: হিমোগ্লোবিনের দুটি ৫-গ্লোবিন অণুই ত্রুটিপূর্ণ হলে ‘a -থ্যালাসেমিয়া মাইনর’ দেখা দেয়। হিমোগ্লোবিনের একটি ẞ-গ্লোবিন অণু ত্রুটিপূর্ণ হলে ‘ẞ থ্যালাসেমিয়া মাইনর’ দেখা দেয়।
15. সমাজকে থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত করার জন্য কোন্ পদ্ধতি তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে তুমি মনে করো এবং কেন?
উত্তর: সমাজকে থ্যালাসেমিয়া রোগমুক্ত করার জন্য যে পদ্ধতিটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি, সেটি হল জেনেটিক কাউন্সেলিং। আমার কাছে এই পদ্ধতিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ① জেনেটিক কাউন্সেলিং বিবাহের পরে জিনগত রোগাক্রান্ত শিশুর জন্ম প্রতিরোধ করে। ② এটি শিশুর জিনগত রোগের সম্ভাবনা নির্ণয় ও তার মোকাবিলায় সঠিক পন্থা অবলম্বনে সাহায্য করে। ③ ভ্রুণ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় ও সুস্থ শিশুর জন্ম গ্রহণে জিনগত পরামর্শ সাহায্য করে।
16. হিমোফিলিয়া রোগ বলতে কী বোঝ? অথবা, হিমোফিলিয়া কী?
উত্তর: মানুষের X ক্রোমোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যে বংশগত রোগের ফলে ক্ষতস্থানে রক্ত তঞ্চিত হয় না, তাকে হিমোফিলিয়া বলা হয়। সাধারণত রক্তে তঞ্চন ফ্যাক্টর VIII বা IX-এর অভাবে এই ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়।
17. হিমোফিলিয়া রোগ কত প্রকারের হয় ও কী কী? এর মধ্যে রাজকীয় হিমোফিলিয়া বা ক্লাসিক্যাল হিমোফিলিয়া কোন্টি?
উত্তর: হিমোফিলিয়া রোগের প্রকার: হিমোফিলিয়া রোগ প্রধানত দু- প্রকারের হয়। যথা-হিমোফিলিয়া A এবং হিমোফিলিয়া B। এ ছাড়াও হিমোফিলিয়া C নামক অপর একপ্রকার হিমোফিলিয়া দেখা যায়।
[ হিমোফিলিয়া A-কে ক্লাসিক্যাল হিমোফিলিয়া বলে। এই রোগে ফ্যাক্টর VIII বা AHF তৈরি হয় না।
18. হিমোফিলিয়া A রোগীদের দেহের কোন্ কোন্ স্থানে অত্যধিক রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া A রোগীদের দেহের অস্থিসন্ধি, পেশি, মিউকাস পর্দা, পরিপাকনালী, মূত্রনালী, মস্তিষ্ক প্রভৃতি অংশে অত্যধিক রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
19. হিমোফিলিয়া A রোগের কারণ কী?
উত্তর: X ক্রোমোজোমের একটি জিনের প্রচ্ছন্ন পরিব্যক্তি ঘটলে থ্রম্বোপ্লাস্টিন বা তঞ্চন ফ্যাক্টর VIII বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর (AHF) সৃষ্টি হয় না। এর ফলে রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং হিমোফিলিয়া A রোগ হয়।
20. হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস হিমোফিলিয়া রোগের কারণ কী?
উত্তর: X ক্রোমোজোমের একটি জিনের প্রচ্ছন্ন পরিব্যক্তি ঘটলে ফ্যাক্টর IX বা ক্রিস্টমাস ফ্যাক্টর স্বাভাবিকের তুলনায় কম তৈরি হয় বা
একদমই তৈরি হয় না। এর ফলে রক্ত তঞ্চিত হতে পারে না এবং হিমোফিলিয়া B রোগ হয়।
21. হিমোফিলিয়া রোগটি মহিলাদের থেকে পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি প্রকাশিত হয় কেন?
উত্তর: হিমোফিলিয়া রোগের জন্য দায়ী প্রচ্ছন্ন জিনটি X ক্রোমোজোমে অবস্থিত হওয়ায় এবং পুরুষদের একটিমাত্র X ক্রোমোজোম থাকায়, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি প্রকাশিত হয়। পক্ষান্তরে মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকায় অনেকসময়ই স্বাভাবিক X ক্রোমোজোম দ্বারা স্বাভাবিক X ক্রোমোজোমের পরিপূরণ ঘটে যায়। ফলে রোগটির বাহক হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে তা প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
. হিমোফিলিয়া B-কে ক্রিস্টমাস হিমোফিলিয়া বলে কেন?
উত্তর: স্টিফেন ক্রিস্টমাস নামে একজন রোগীর দেহে হিমোফিলিয়া B রোগ প্রথম ধরা পড়ে। তাই একে ক্রিস্টমাস হিমোফিলিয়া বলা হয়।
27. যদি X ^ h+ ,X^ h যথাক্রমে স্বাভাবিক ও হিমোফিলিয়ার অ্যালিল হয়; তাহলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে জিনোটাইপ নির্ধারণ করো। ① স্বাভাবিক পুরুষ ② আক্রান্ত পুরুষ ও বাহক মহিলা ④ আক্রান্ত মহিলা
উত্তর: [ X ^ h+ স্বাভাবিক ও X ^ h হিমোফিলিয়ার অ্যালিল হলে ① স্বাভাবিক পুরুষ হবে X ^ h+ Y ② আক্রান্ত পুরুষ হবে Xhy③ বাহক মহিলা হবে X^ h+ X ^ h ও ④ আক্রান্ত মহিলা হবে X ^ h * X ^ h ।
28. বর্ণান্ধতা কাকে বলে?
উত্তর: X ক্রোমোজোম সংযোজিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত যে বংশগত রোগে মানুষ প্রধানত লাল, সবুজ অথবা নীল বর্ণ শনাক্ত করতে পারে না, সেই রোগকে বর্ণান্ধতা বলে।
29. একজন বর্ণান্ধ কন্যার পিতার ফিনোটাইপ কী হবে?
অনুরূপ প্রশ্ন, একজন হিমোফিলিক কন্যার পিতার ফিনোটাইপ কী হবে?
উত্তর: বর্ণান্ধ কন্যার দুটি X ক্রোমোজোমেই বর্ণান্ধতার অ্যালিল থাকবে। যেহেতু সে একটি X ক্রোমোজোম বাবার থেকে পায় তাই বাবার জিনোটাইপ হবে X ^ c * Y বা, অর্থাৎ বাবা বর্ণান্ধ ফিনোটাইপবিশিষ্ট হবে।
4. Long Question Answer
1. থ্যালাসেমিয়া কী? এর প্রকারভেদগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া: জিনগত ত্রুটির কারণে সৃষ্ট যে বংশগত রোগে হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন অংশে কোনো একটি পেপটাইড শৃঙ্খল সংশ্লেষিত হয় না অথবা স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় কম সংশ্লেষিত হয়, সেই বংশগত রোগকেই থ্যালাসেমিয়া বলে। এই রোগ হলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পায়, লোহিত রক্তকণিকা ক্ষুদ্র হয় এবং স্বল্পদিন বাঁচে। ফলস্বরূপ অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
[ থ্যালাসেমিয়ার প্রকারভেদ: থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই প্রকারের হয়। যথা-৫ থ্যালাসেমিয়া ও ẞ থ্যালাসেমিয়া। আবার রোগের তীব্রতা অনুযায়ী দু-প্রকারের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। যথা-থ্যালাসেমিয়া মেজর ও থ্যালাসেমিয়া মাইনর। ৫ ও ẞ উভয় থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রেই, থ্যালাসেমিয়া রোগটি মেজর ও মাইনর রূপে প্রকাশ পায়।
① আলফা (৫) থ্যালাসেমিয়া: হিমোগ্লোবিনের আলফা পেপটাইড শৃঙ্খলের সংশ্লেষণ হ্রাস পেলে বা বন্ধ হলে, তাকে আলফা থ্যালাসেমিয়া বলা হয়। মানুষের 16 নং ক্রোমোজোম জোড়ার প্রতিটিতে দুটি করে মোট চারটি ৫ শৃঙ্খল উৎপাদনকারী অ্যালিল থাকে। এর মধ্যে দুটি অ্যালিলের মিউটেশন হলে ৫ থ্যালাসেমিয়া মাইনর ও চারটিতেই মিউটেশন ঘটলে ৫ থ্যালাসেমিয়া মেজর দেখা যায়।
② বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া: হিমোগ্লোবিনের বিটা পেপটাইড শৃঙ্খলের উৎপাদন বন্ধ হলে বা হ্রাস পেলে, তাকে বিটা থ্যালাসেমিয়া বলে। বিটা থ্যালাসেমিয়ার আবিষ্কর্তা আমেরিকান চিকিৎসক থমাস বেনটন কুলি (Thomas Benton Cooley, 1925)-র নামানুসারে একে কুলির অ্যানিমিয়া (Cooley’s anaemia) বলে। এটিও মেজর এবং মাইনর দুই প্রকার হয়। 11 নং ক্রোমোজোম জোড়ায় অবস্থিত শৃঙ্খল সংশ্লেষকারী দুটি অ্যালিলের মিউটেশন ঘটলে B থ্যালাসেমিয়া মেজর ও একটির মিউটেশন ঘটলে ẞ থ্যালাসেমিয়া মাইনর ঘটে।
2. থ্যালাসেমিয়া রোগের উপসর্গগুলি উল্লেখ করো। অথবা, থ্যালাসেমিয়া লক্ষণগুলি কী কী?
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কোনো শিশুর দেহে কী কী লক্ষণ প্রকাশিত হয়?
থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগের উপসর্গ/লক্ষণ
① অ্যানিমিয়া সৃষ্টি: হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে তীব্র অ্যানিমিয়া সৃষ্টি হয়। অক্সিজেন পরিবহণ ব্যাহত হয়।
② লৌহ সঞ্চয়: রোগীর দেহে বারবার রক্ত সঞ্চারণের প্রয়োজন হয় বলে দেহের বিভিন্ন অংশে লৌহ সঞ্চিত হয়, যার ফলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেমন-হৃৎপিণ্ড, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি, যকৃৎ, প্লিহা প্রভৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
③ হাড়ের গঠন বিকৃতি: অস্থিমজ্জা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় বলে হাড়ের গঠন-বিকৃতি ঘটে এবং রোগীর মুখ ও মাথার খুলির হাড়ের গঠন অস্বাভাবিক হয়।
④ যকৃৎ ও প্লিহার বৃদ্ধি: যকৃৎ ও প্লিহার বৃদ্ধি ঘটে। এদের যথাক্রমে হেপাটোমেগালি ও স্পিনোমেগালি বলা হয়।
⑤ অন্যান্য: এ ছাড়া, এই রোগে বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং জনডিস, ক্লান্তি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়। থ্যালাসেমিয়ার প্রকারভেদ অনুসারে মানুষের দেহে রোগের তীব্রতা ও লক্ষণগুলি আলাদা হয়।
[ থ্যালাসেমিয়ার কারণ: এই রোগে হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিউলার বা গ্লোবিন প্রোটিনের উৎপাদন ব্যাহত হয়। হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন পেপটাইড
আলফা (a) ও বিটা (β)-দুটি শৃঙ্খল দ্বারা গঠিত। আলফা শৃঙ্খলের দুই জোড়া জিন (HBA1 ও HBA2) মানুষের 16 নং ক্রোমোজোমে (অটোজোমে) এবং বিটা শৃঙ্খলের এক জোড়া জিন (HBB) মানুষের 11 নং ক্রোমোজোম (অটোজোমে) থাকে। জিনের পরিব্যক্তির (মিউটেশনের) ফলে আলফা ও বিটা গ্লোবিন প্রোটিন সঠিক বা উপযুক্ত অনুপাতে সংশ্লেষিত হয় না। এর ফলে হিমোগ্লোবিন গঠিত হয় না। এই কারণেই থ্যালাসেমিয়া রোগ দেখা দেয়।
3. একজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত পুরুষ (a-থ্যালাসেমিয়া মাইনর) একজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত স্ত্রীকে (a -থ্যালাসেমিয়া মাইনর) বিবাহ করলে তাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কীরূপ তা ছকের সাহায্য দেখাও।
থ্যালাসেমিয়ার মোকাবিলায় জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর ভূমিকা লেখো।
অনুরূপ প্রশ্ন, থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর সময় কী পরামর্শ দেওয়া হয়?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া মাইনর আক্রান্ত পুরুষ ও স্ত্রীর বিবাহের ফলে, উৎপন্ন সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া হওয়ার প্রবণতা কীরূপ তা নীচে চেকার বোর্ডের সাহায্যে দেখানো হল-
[ থ্যালাসেমিয়া ও জেনেটিক কাউন্সেলিং: ① বাবা ও মা উভয়েই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে অপত্যে থ্যালাসেমিয়া রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জেনেটিক কাউন্সিলার সেক্ষেত্রে ভ্রুণের থ্যালাসেমিয়া রোগটি সৃষ্টি হয়েছে কি না তা নির্ধারণ করেন এবং প্রয়োজনে ভ্রূণ বিনষ্ট করে নতুন গর্ভাধানের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ② প্রথমে পরামর্শ গ্রহণকারী ব্যক্তির বিভিন্ন বংশগত রোগের পারিবারিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করা হয়। ③ এরপর ওই ব্যক্তির কলাকোশ বা রক্ত সংগ্রহ করে, জিনগত পরীক্ষা করে সেই ব্যক্তি রোগের বাহক কিনা নির্ণয় করা হয়। ④ বিবাহ পূর্বে দুইজন পার্টনারই বাহক নির্ণীত হলে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হয়। সম্ভব হলে এই বিবাহ এড়িয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। ⑤ যে-কোনো একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক হলে শিশু রোগটির বাহক হতে পারে সেই সম্বন্ধে বাবা-মাকে সচেতন করা হয়। জেনেটিক কাউন্সিলার জন্মের পর শিশুটির জিনগত অবস্থাও নির্ধারণ করানোর পরামর্শ দান করেন। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুটির পরিবার পরিকল্পনায় তা সাহায্য করে। ⑥ থ্যালাসেমিয়ার বাহক মাতা গর্ভাবস্থায়
অনেক সময় অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগেন। জেনেটিক কাউন্সিলার সে বিষয়টি তাঁর পরিবারের কাছে তুলে ধরেন।
4. ‘a -থ্যালাসেমিয়া ẞ -থ্যালাসেমিয়া অপেক্ষা কম ক্ষতিকর’- উক্তিটির যথার্থতা লেখো। হিমোফিলিয়া রোগের উত্তরাধিকার চেকার বোর্ডের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর: আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর, যে ক্ষেত্রে চারটি অ্যালিলই মিউটেশনযুক্ত হয়, তারা জন্মের আগেই ভ্রূণাবস্থায় মারা যায়। তাই তাদের ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা প্রকাশিত হয় না। পক্ষান্তরে বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর শিশু জন্ম লাভ করে ও তীব্র রোগলক্ষণ দেখায়।
আবার, বিটা থ্যালাসেমিয়া পৃথিবীর নানা জায়গায় নানা মিউটেশনের কারণে হয়ে থাকে। তাই রোগলক্ষণের নানারকম বিভিন্নতা ও তীব্রতা দেখা দেয়। [ হিমোফিলিয়া রোগের উত্তরাধিকার চেকার বোর্ডের সাহায্যে দেখানো হয়েছে-রচনাধর্মী 5 নং প্রশ্নোত্তরের প্রথম অংশে।
5. একজন পুরুষের (যার পিতা স্বাভাবিক ও মাতা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত) সঙ্গে একজন মহিলার (যার পিতা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ও মাতা স্বাভাবিক) বিবাহ হলে তাদের কত শতাংশ সন্তান হিমোফিলিয়া আক্রান্ত হবে তা ক্রসের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর: ① স্বাভাবিক পিতা বা পুরুষ (XHY) এবং হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত মাতা বা মহিলা (xhxh) -এর ক্রস থেকে প্রাপ্ত পুরুষ (XhY) হল হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ।
③ যার পিতা স্বাভাবিক ও মাতা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত এমন পুরুষ হল হিমোফিলিয়া আক্রান্ত পুরুষ Xhy এবং যার পিতা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ও মাতা স্বাভাবিক-এমন মহিলা হল স্বাভাবিক বাহক মহিলা XHxh |
জনিতৃ জনু —-হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ X স্বাভাবিক বাহক মহিলা
ফলাফল: চেকার বোর্ড অনুযায়ী মোট চার প্রকার জিনোটাইপ পাওয়া যাবে। ① কন্যাদের মধ্যে 50% স্বাভাবিক হলেও হিমোফিলিয়ার বাহক এবং 50% হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হবে। আবার, ② পুত্রদের মধ্যে 50% হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত এবং 50% স্বাভাবিক হবে।
6. হিমোফিলিয়া কী? হিমোফিলিয়ার প্রকারভেদগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: হিমোফিলিয়া: মানুষের X ক্রোমোজোম সংযোজিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত যে বংশগত রোগের ফলে দেহের আঘাতপ্রাপ্ত স্থান বা ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে ও তা সহজেই তঞ্চিত হয় না, বরং অবিরাম ক্ষরণ হতে থাকে, সেই রোগকে হিমোফিলিয়া বলে।
[ হিমোফিলিয়ার প্রকারভেদ: হিমোফিলিয়া প্রধানত তিন প্রকারের। যথা-① হিমোফিলিয়া A বা ক্লাসিক হিমোফিলিয়া, ② হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগ বা রয়্যাল হিমোফিলিয়া এবং ও হিমোফিলিয়া C।
① হিমোফিলিয়া A বা ক্লাসিক হিমোফিলিয়া: এইজাতীয় হিমোফিলিয়া রক্তের প্লাজমায় অবস্থিত রক্ততঞ্চনে সাহায্যকারী ফ্যাক্টর VIII বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর-এর অভাবের কারণে ঘটে। এইজাতীয় হিমোফিলিয়া মারাত্মক প্রকৃতির। আমাদের দেশের ৪০% হিমোফিলিয়াই এই ধরনের।
② হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগ: এইজাতীয় হিমোফিলিয়া রক্তের প্লাজমায় অবস্থিত প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন কমপোনেন্ট (PTC) বা ফ্যাক্টর IX-এর অভাবের কারণে ঘটে। এটি অতটা মারাত্মক নয়। আমাদের দেশে 20% হিমোফিলিয়া এইজাতীয়। এটি ক্রিস্টমাস রোগ নামেও পরিচিত।
③ হিমোফিলিয়া C: এটি অটোজোমাল জিনঘটিত অসম্পূর্ণভাবে প্রচ্ছন্ন একটি রোগ। এই রোগটি সাধারণত রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর XI বা প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট বা PTA-এর অভাবে ঘটে।
7. হিমোফিলিয়ার কারণ লেখো। হিমোফিলিয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
উত্তর: হিমোফিলিয়ার কারণ
① ক্লাসিক হিমোফিলিয়া বা হিমোফিলিয়া A-এর কারণ: আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় তঞ্চন ফ্যাক্টর VIII বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টরের অনুপস্থিতি বা অভাব।
② হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগের কারণ: আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন কমপোনেন্ট (PTC) বা ফ্যাক্টর IX-এর অনুপস্থিতি বা অভাব।
| ③ হিমোফিলিয়া C রোগের কারণ: রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর XI বা প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট (PTA)-এর অভাবে এই রোগ হয়।
[⇨ হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: এই রোগের লক্ষণগুলি, রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। তীব্রতা অনুযায়ী রোগটি তিন প্রকার। মৃদু হিমোফিলিয়া, মধ্যম হিমোফিলিয়া ও তীব্র হিমোফিলিয়া। বিভিন্ন তীব্রতায় এর লক্ষণগুলি নিম্নরূপ।
① মৃদু হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: মৃদু হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রে বহুদিন পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে এর লক্ষণ বোঝা যায় না। তবে বয়স বাড়লে রক্ততঞ্চনে সমস্যা দেখা যায়। বিশেষত শল্যচিকিৎসার সময়ে দীর্ঘক্ষণ রক্তক্ষরণের সমস্যা দেখা যায়।
② মধ্যম হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: এই রোগের ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া এই রোগে বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ দেখা যায়। এর
হিমোফিলিয়ার ফলে অস্থিসন্ধির স্ফীত অবস্থা ফলে অস্থিসন্ধিতে শক্তভাব, ফুলে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা যায়।
③ তীব্র হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: এই রোগের ক্ষেত্রে দেহ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তক্ষরণ, অস্থিসন্ধিতে ঘনঘন রক্তক্ষরণ ও অস্থিসন্ধির বিকৃতি (হিমারথ্রোসিস) লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া এই রোগে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় ও করোটির মধ্যেও রক্তক্ষরণ হয়, ফলে প্যারালাইসিস এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
8. বর্ণান্ধতার প্রকারভেদ করা। এর কারণ লেখো।
উত্তর: বর্ণান্ধতার প্রকারভেদ: বর্ণান্ধতার প্রকারগুলি নিম্নরূপ-
① প্রোটানোপিয়া বা লাল বর্ণান্ধতা: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি লাল বর্ণ শনাক্ত করতে পারেন না। তাঁরা লাল বর্ণকে কালো বা গাঢ় বাদামি দেখেন, কমলা-হলদে-সবুজকে বিভিন্ন গাঢ়ত্বের হলদে এবং বেগুনি বর্ণকে নীল দেখেন।
② ডিউটেরানোপিয়া বা সবুজ বর্ণান্ধতা: ডিউটেরানোপরা সবুজ বর্ণ শনাক্ত করতে পারেন না। তবে এঁরা লাল, কমলা ও হলদে বর্ণকে
সঠিকভাবে চিনতে না পারলেও প্রোটানোপদের মতো অস্পষ্ট বা আবছা দেখেন না।
③ ট্রাইটানোপিয়া বা নীল বর্ণান্ধতা: এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি নীল বর্ণ শনাক্ত করতে পারেন না।
[• বর্ণান্ধতার কারণ: মানুষের চোখে বর্ণ চেনার জন্য দায়ী কোশ হল কোন (cone) কোশ। এগুলি সাধারণত তিন প্রকারের হয়, যথা-লাল সংবেদী কোন কোশ, সবুজ সংবেদী কোন কোশ ও নীল সংবেদী কোন কোশ। এই কোশগুলি যথাক্রমে লাল, সবুজ ও নীল বর্ণ শনাক্ত করতে সাহায্য করে। এই কোশগুলিতে লাল, সবুজ ও নীল বর্ণ সংবেদী ফোটোপসিন রঙ্গক থাকে। এই রঙ্গকগুলির মধ্যে লাল ও সবুজ বর্ণ সংবেদী ফোটোপসিনের সংশ্লেষ X ক্রোমোজোমস্থিত জিন দ্বারা এবং নীল বর্ণ সংবেদী ফোটোপসিনের সংশ্লেষ অটোজোমস্থিত জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই জিনগুলিতে মিউটেশন ঘটলে ফোটোপসিন সংশ্লেষিত হয় না, ফলে সংশ্লিষ্ট বর্ণের সাপেক্ষে বর্ণান্ধতা দেখা দেয়।
9. অনেক সময় দেখা যায় যে, বাবা ও মা উভয়ই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের এক ছেলে বর্ণান্ধ হয়েছে। এটি কীভাবে সম্ভব হয় তা একটি চেকার বোর্ডের মাধ্যমে ব্যাখা করো।
অনুরূপ প্রশ্ন, একজন বর্ণান্ধতার বাহক মহিলা ও স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহে অপত্যের মধ্যে বর্ণান্ধতার সম্ভাবনা কীরূপ তা দেখাও।
অথবা, স্বাভাবিক পিতা-মাতার বর্ণান্ধ সন্তান কীভাবে সম্ভব তা চেকার বোর্ডের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বর্ণান্ধ পুত্র পিতার থেকে Y ক্রোমোজোম ও মাতার থেকে একটি X ক্রোমোজোম পেয়েছে। অর্থাৎ, বর্ণান্ধ পুত্র তার X ক্রোমোজোমে বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী প্রচ্ছন্ন জিনটি বহন করছে যা ক্রিস-ক্রস উত্তরাধিকারের মাধ্যমে সে তার মা-এর থেকে পেয়েছে। অথচ মা স্বাভাবিক, অর্থাৎ তার অপর X ক্রোমোজোমে প্রকট জিনটি রয়েছে। যেহেতু, পুত্রের ক্ষেত্রে মাতা থেকে প্রাপ্ত X ক্রোমোজোমটিতে বর্ণান্ধতার প্রচ্ছন্ন জিন বর্তমান তাই সে বর্ণান্ধ হয়েছে। বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী প্রচ্ছন্ন জিনকে ও প্রকট জিনকে c+ দ্বারা নির্দেশিত করলে, বাবা-এর জিনোটাইপ হবে X+Y এবং মা-এর জিনোটাইপ হবে Xc+X°। এখানে চেকার বোর্ডের সাহায্যে সমগ্র বিষয়টি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হল।
10. একটি ক্রস দ্বারা দেখাও যে, X ক্রোমোজোম বাহিত রোগগুলির দ্বারা পুরুষদের অধিক আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উত্তর: পুরুষদের ক্ষেত্রে X ক্রোমোজোম একটি থাকে বলে X ক্রোমোজোম বাহিত জিনগুলির পরিপূরণ (complementation) হয় না। অর্থাৎ, X ক্রোমোজোমে কোনো রোগের জন্য দায়ী জিন থাকলে তা রোগকে প্রকাশিত করে দেয়। যেমন-হিমোফিলিয়া বা বর্ণান্ধতা রোগগ্রস্ত কোনো মহিলার সঙ্গে একজন স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহ হলে সমস্ত পুত্রসন্তানই হিমোফিলিক বা বর্ণান্ধ হয়।
[12 নং প্রশ্নের ক্রসটি দ্রষ্টব্য।]
এক্ষেত্রে পুত্রসন্তান বর্ণান্ধ জিনযুক্ত X ক্রোমোজোমটি মা-র থেকে সবসময়ই পাবে এবং তা পরিপূরণের অভাবে (অর্থাৎ অন্য X ক্রোমোজোমের অবর্তমানে) প্রকাশিত হবে। কিন্তু কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে মা-র থেকে প্রাপ্ত বর্ণান্ধ জিনযুক্ত X ক্রোমোজোমটির বাবার থেকে প্রাপ্ত স্বাভাবিক জিন দ্বারা পরিপূরণ ঘটে। তাই কন্যারা বাহক হলেও বর্ণান্ধ রোগের প্রকাশ এক্ষেত্রে ঘটে না।
11. বাবা ও মায়ের জিনের প্রকৃতি কীরূপ হলে 50% পুত্র স্বাভাবিক 50% পুত্র হিমোফিলিয়া ও 100% কন্যা স্বাভাবিক হবে? উপযুক্ত উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আমরা জানি, হিমোফিলিক জিন X ^ h ও স্বাভাবিক জিন X ^ h+ 1
① যেহেতু পুত্রেরা Y ক্রোমোজোম পিতার থেকে পাবে, তাই X ক্রোমোজোম তারা পাবে মাতার থেকে, এক্ষেত্রে পুত্রেরা স্বাভাবিক হলে, তাদের জিনোটাইপ হবে X ^ h+ Y অর্থাৎ পুত্রেরা একটি স্বাভাবিক X ক্রোমোজোম মাতার থেকে পাবে। আবার পুত্রেরা হিমোফিলিক হলে, তাদের জিনোটাইপ হবে xhy অর্থাৎ তারা হিমোফিলিক জিনবাহী X ক্রোমোজোম মাতার থেকে গ্রহণ করবে। যেহেতু প্রশ্নে বলা রয়েছে 50% পুত্র সন্তান স্বাভাবিক ( X ^ h+ Y) ও 50% অসুস্থ (X ^ h * Y) হবে। তাই এখান থেকে অনুধাবন করা যায় যে, এক্ষেত্রে মাতা বাহক (X^ h+ X ^ h ) হবে। ② আবার প্রশ্নে বলা হয়েছে কন্যারা সকলে স্বাভাবিক হবে, অর্থাৎ যেহেতু কন্যারা একটি X ক্রোমোজোম মাতার থেকে ও অপরটি পিতার থেকে পায় তাই কন্যাকে স্বাভাবিক রাখতে হলে পিতা সর্বদা স্বাভাবিক ( X ^ h+ Y) হবে। নতুবা কন্যা যদি মাতার থেকে হিমোফিলিয়ার জিনবাহী X ক্রোমোজোমের পাশাপাশি পিতারও হিমোফিলিয়ার জিনবাহী X ক্রোমোজোম পায় তাহলে কন্যা হিমোফিলিক হয়ে পড়বে। তাই একমাত্র মাতা বাহক (X^ h+ X ^ h ) ও
12. একজন বর্ণান্ধ রোগের বাহক মহিলা, একজন বর্ণান্ধ পুরুষকে বিবাহ করল। তাদের একটি কন্যাসন্তান হল। এই কন্যাসন্তানটির বর্ণান্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা তা বিশ্লেষণ করে লেখো।
উত্তর: একজন বর্ণান্ধ রোগের বাহক মহিলার দুটি X ক্রোমোজোমের একটিতে বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটি উপস্থিত থাকে (XC+XC) আবার বর্ণান্ধ পুরুষের একটি X ক্রোমোজোমেই বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটি উপস্থিত থাকে (XY)। উভয়ের বিবাহে কন্যা সন্তান হলে স্বভাবতই সে
একটি X ক্রোমোজোম মাতার থেকে ও অপর X ক্রোমোজোম পিতার থেকে পায়। যদি কন্যা মাতার থেকে বর্ণান্ধতার জিনবাহী X ক্রোমোজোম পায় তবে পিতার থেকেও বর্ণান্ধতার জিনবাহী X ক্রোমোজোম পাওয়ায়, কন্যা বর্ণান্ধ হয় (XCXC)। কিন্তু যদি কন্যা মাতার থেকে স্বাভাবিক X ক্রোমোজোম পায়, তখন পিতার থেকে বর্ণান্ধতার জিনবাহী X ক্রোমোজোম পেলেও সে বর্ণান্ধ না হয়ে বর্ণান্ধতার বাহক হয় (XC+XC) কারণ বর্ণান্ধতা একটি X ক্রোমোজোম সংযোজিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোেগ। এটি তখনই প্রকাশিত হয়, যখন উভয় X ক্রোমোজোমেই বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিন উপস্থিত থাকে। তাই কন্যা হয় বাহক হবে না হয় বর্ণান্ধ হবে।
5. Fill in The Blanks
1. থ্যালাসেমিয়া মানুষের একটি—————রোগ।
উত্তর: বংশগত
2. একটি অটোজোমাল জিনগত রোগ হল———————-।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া
3. ————– রোগে রক্তের ০₂ পরিবহণ ক্ষমতা কমে যায়।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া
4. ——————— উৎপাদন ব্যাহত হলে তীব্র অ্যানিমিয়া সৃষ্টি হয়।
উত্তর: হিমোগ্লোবিন
5. রোগীর দেহে বারবার রক্ত সঞ্চারণের ফলে——————— সঞ্চিত হয়।
উত্তর: লৌহ
6. ———————- হল একটি লিঙ্গ সংযোজিত জিন দ্বারা সৃষ্ট রোগ।
উত্তর: হিমোফিলিয়া
7. মানুষের ——————— নং ক্রোমোজোমে & গ্লোবিন জিনের সমস্যায় ∝ থ্যালাসেমিয়া হয়।
উত্তর: 16
৪. মানুষের নং ———————ক্রোমোজোমে ẞ গ্লোবিন জিন থাকে।
উত্তর: 11
9. থ্যালাসেমিয়া 11 নং এবং —————-নং ক্রোমোজোমের মিউটেশনের ফলে ঘটে।
উত্তর: 16
10. কুলির অ্যানিমিয়া বলা হয়————– রোগকে।
উত্তর: B থ্যালাসেমিয়া মেজর
11.———– নামক জিনঘটিত রোগে রক্তাল্পতা ঘটে।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া
12. ইংল্যান্ডের রাজপরিবারে যে জিনগত রোগটি দেখা যায়, সেটি হল———————।
উত্তর: হিমোফিলিয়া
13. রক্তমোক্ষণকারী রোগটি ———————নামে পরিচিত।
উত্তর: হিমোফিলিয়া
14. হিমোফিলিয়া হল মানুষের একটি ——————–ক্রোমোজোম সংযোজিত রোগ।
উত্তর: X
15. প্রায় ———————% হিমোফিলিয়াই AHF কম তৈরি হওয়ার ফলে ঘটে।
উত্তর: 80
16. ফ্যাক্টর IX কম তৈরি হওয়ায় হিমোফিলিয়া B বা——————- রোগ হয়।
উত্তর: ক্রিস্টমাস
17. কন্যা হিমোফিলিয়া রোগাক্রান্ত হয় যখন——————- হিমোফিলিয়া রোগী হয়।
উত্তর: পিতা ও মাতা উভয়েই
18. দুটি X ক্রোমোজোমের একটিতে হিমোফিলিয়া মিউট্যান্ট জিন থাকলে সেই মহিলা———————-হবে।
উত্তর: হিমোফিলিয়ার বাহক
19. মানুষের পপুলেশনে ‘X’ ক্রোমোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত একটি রোগ হল————————।
উত্তর: হিমোফিলিয়া/বর্ণান্ধতা
20. হিমোফিলিয়া B-এর কারণ হল রক্ততঞ্চনের জন্য দায়ী ফ্যাক্টর ——————এর অনুপস্থিতি
উত্তর: IX/ক্রিস্টমাস ফ্যাক্টর
21. হিমোফিলিয়ার জন্য দায়ী জিনটি প্রচ্ছন্ন হওয়ায় একমাত্র ——————–অবস্থায় এই রোগের লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।
উত্তর: হোমোজাইগাস
22. বর্ণান্ধতা বা হিমোফিলিয়া বেশি দেখা যায়————————।
উত্তর: পুরুষে
23. বর্ণান্ধতা একপ্রকার ——————–বংশগত রোগ।
উত্তর: X-লিংকড
24. প্রোটানোপিয়ায় ———————–বর্ণ চিনতে পারা যায় না।
উত্তর: লাল
25. সবুজ বর্ণান্ধতাকে —————-বলে।
উত্তর: ডিউটেরানোপিয়া
26. নীল বর্ণান্ধতাকে——————— বলে।
উত্তর: ট্রাইটানোপিয়া
27. মানুষের চোখে রং চিনবার জন্য দায়ী কোশ হল——————কোশ।
উত্তর: কোন
28. নীল বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটি ———————প্রকৃতির হয়।
উত্তর: অটোজোমাল
29. মাতা বর্ণান্ধ হলে ও বাবা স্বাভাবিক হলে সকল ——————–বর্ণান্ধ হবে।
উত্তর: পুত্র
6. True And False
1. থ্যালাসেমিয়া রোগে অস্থিমজ্জা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে অস্থিবিকৃতি ঘটে থাকে।]
2. থ্যালাসেমিয়া হল একটি লিঙ্গ সংযোজিত রোগ।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটি অটোজোম বাহিত রোগ।]
3. হিমোফিলিয়া মানুষের অটোজোম বাহিত রোগ।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটি X ক্রোমোজোম বাহিত রোগ।]
4. হিমোফিলিয়া রোগের ক্ষেত্রে পুরুষরা সর্বদা বাহক হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-পুরুষদের একটিমাত্র X ক্রোমোজোম থাকে, তাই ওই ক্রোমোজোমে হিমোফিলিয়ার অ্যালিলটি থাকলে তা প্রকাশিত হয়ে যায়, সেজন্য বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।]
5. তীব্র হিমোফিলিয়া-র ক্ষেত্রে রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর স্বাভাবিকের 1%-এর বেশি থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-রক্ত তঞ্চনকারী ফ্যাক্টর 50% -এর নীচে নেমে যায়।]
6. ফ্যাক্টর VIII-এর উৎপাদন ব্যাহত হলে হিমোফিলিয়া A রোগ হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই ফ্যাক্টরের অপর নাম AHF বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর।]
7. হিমোফিলিয়া রোগের জিনটি প্রচ্ছন্ন ও X-ক্রোমোজোমস্থিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-পুরুষদের রোগটি বেশি প্রকাশিত হয়।]
8. IX নম্বর ফ্যাক্টরটি ক্রিস্টমাস রোগের জন্য দায়ী।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে হিমোফিলিয়া B রোগ হয়।]
9. লিঙ্গ সংযোজিত বৈশিষ্ট্যগুলির উত্তরাধিকার সূত্রে পুরুষেরা বাহক হতে পারে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-পুরুষদের অ্যালোজোমের প্রকৃতি XY হওয়ায়, পুরুষেরা কখনোই লিঙ্গ সংযোজিত বৈশিষ্ট্যগুলির বাহক হতে পারে না।]
10. মাতা হিমোফিলিয়ার বাহক হলে পুত্রসন্তানদের মধ্যে হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা 100%।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-50% সম্ভাবনা থাকে, কারণ বাহক মাতার স্বাভাবিক অ্যালিলটি 50% পুত্র সন্তানদের মধ্যে। সঞ্চারিত হয়।]
11. নীল বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটি 7 নং ক্রোমোজোমে অবস্থিত।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই ধরনের বর্ণান্ধতায় ব্যক্তি নীল বর্ণ চিনতে পারে না।]
12. মানুষের চোখের বর্ণ চিনতে সাহায্য করে রড কোশ।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-কোন কোশ এই কাজ করে থাকে।]
13. একজন বর্ণান্ধ পিতার বর্ণান্ধ পুত্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উত্তর: সত্য [সূত্র-পুত্র, বাবার থেকে Y ক্রোমোজোম পায়। পক্ষান্তরে রোগটি X ক্রোমোজোম বাহিত হয়।]
14. X ক্রোমোজোম বাহিত একটি রোগ হল রাতকানা।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-ভিটামিন A-এর অভাবে তা ঘটে। লাল-সবুজ বর্ণান্ধতা X ক্রোমোজোম বাহিত রোগ।]
15. X ক্রোমোজোম বাহিত রোগকে লিঙ্গ সংযোজিত রোগ বলে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-X ক্রোমোজোম লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য দায়ী, তাই এই ক্রোমোজোম বাহিত রোগকে লিঙ্গ সংযোজিত রোগ বলে।]
16. জিনগত রোগবিহীন সুস্থ সন্তানলাভে সাহায্য করার প্রক্রিয়াকে জেনেটিক কাউন্সেলিং বলে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এ ছাড়াও জেনেটিক কাউন্সেলিং ভবিষ্যতে সন্তানদের জেনেটিক সমস্যাও তুলে ধরে।]
17. বিবাহের পূর্বে জেনেটিক কাউন্সেলিং করতে হয়, থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-থ্যালাসেমিয়া বাহকদের দম্পতি না হওয়া, এবং হলেও ভবিষ্যতে তাদের শিশুসন্তানদের রোগ সম্ভাবনা নির্ণয়ে জেনেটিক কাউন্সেলিং জরুরি।]