Class 3 Chapter 1 Solution
সত্যি সোনা
MCQs
১.১ বুড়ো চাষির ছেলে ছিল এক/দুই/তিন/চারজন।
উত্তর: বুড়ো চাষির ছেলে ছিল একজন।
১.২ চাষির ছেলে ছিল- মূর্খ/ অলস/পরিশ্রমী/ভবঘুরে।
উত্তর: চাষির ছেলে ছিল অলস।
১.৩ ছেলের বউ ছিল- বুদ্ধিমতী/চালাক/ বোকা/ সেয়ানা।
উত্তর: ছেলের বউ ছিল বুদ্ধিমতী।
১.৪ বউ-এর পরামর্শে চাষির ছেলে মজুর ডেকেছিল- এক/দুই/তিন/চারজন।
উত্তর: বউ-এর পরামর্শে চাষির ছেলে দুইজন মজুর ডেকে ছিল।
১.৫ চাষির ছেলের মোট কত বিঘে জমি চষেছিল-দুই/ তিন/চার/পাঁচ।
উত্তর: চাষির ছেলের মোট পাঁচ বিঘে জমি চষেছিল।
Very Short Question Answer
১. চাষির ছেলের ধারণা কী ছিল?
উত্তর: চাষির ছেলের ধারণা ছিল তার বাবা কোথাও অনেক সোনা লুকিয়ে রয়েছে।
২. ‘ছেলের চোখ দুটো লোভে চকচক করে ওঠে’। কেন চোখ লোভে চকচক করেছিল?
উত্তরঃ চাষি মরার আগে তার ছেলেকে বলেছিল জমিতে সোনা পোঁতা আছে। তা শুনে তার চোখ লোভে চকচক করে উঠেছিল।
৩. ‘তবে আমাদের কপাল ফিরে যাবে’- কীভাবে কপাল ফিরে পাবার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: চাষির ছেলের বউ তার স্বামীকে জানিয়েছিল জমি খুঁড়ে তার তলা থেকে সোনা পেলে তাদের কপাল ফিরে যাবে।
৪. ‘মিছিমিছি আমায় খাটিয়ে মারলে’ একথা বলেছিল? কে, কখন
উত্তর: সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি খোঁড়ার পরে সোনা না পেয়ে চাষির ছেলে একথা বলেছিল।
৫. ‘তা সে ওই প্রথম জানল’- কী জানার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জমিতে যে এত ভালো ফসল হয় তা প্রথম জেনে ছিল চাষির ছেলে। এখানে সে কথাই বলা হয়েছে।
৬. ‘আমি আজ বুঝেছি’। – বক্তা কী বুঝেছিল?
উত্তর: বক্তা অর্থাৎ চাষির ছেলে বুঝেছিল বুদ্ধি খাটালে আর পরিশ্রম করলে তার পুরস্কার পেতে দেরি হ না।
৭. চাষির ছেলে জমিতে কীসের চাষ করেছিল?
উত্তরঃ চাষির ছেলে জমিতে ধানের চাষ করেছিল।
৮. চাষির ছেলে বউ কোন সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?
উত্তর: চাষির ছেলের বউ বর্ষার সময়কে মাঠে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।
৯. সে কোথা থেকে বীজ কিনে এনেছিল?
উত্তর : চাষির ছেলের বউ হাট থেকে সেরা বীজ কিনে আনল।
১০. সে কীসের বীজ কিনেছিল?
উত্তর: চাষির ছেলের বউ হাট থেকে ধানের বীজ কিনে এনেছিল।
১১. গল্পের কোন্ মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হল?
উত্তরঃ গল্পের মধ্যে সবচেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে চাষির ছেলের বউকে।
১২.বুড়ো চাষির সংসারে কে কে ছিল?
উত্তরঃ বুড়ো চাষির সংসারে তার একমাত্র ছেলে ও ছেলের বউ ছিল।
১৩. চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল? (সুনীতি আকাদেমি)
উত্তর: চাষির ছেলেটি অলস প্রকৃতির ছিল।
১৪. বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হল?
উত্তর: বাপের কথা শুনে ছেলের চোখ দুটো লোভে চকচক করে উঠল।
১৫. বুড়ো চাষি কোন্ কথাটা তাঁর ছেলেকে বলে যাননি? (দমদম মতিঝিল গার্লস হাইস্কুল)
উত্তর: বুড়ো চাষি ঠিক কোন্ জায়গায় সোনা পোঁতা আছে তা ছেলেকে বলে যাননি।
১৬. চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল? (বেথুন কলেজিয়েট স্কুল)
উত্তর: চাষির ছেলে মাটির মধ্যে থেকে লুকিয়ে রাখা সোনা পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি খুঁড়েছিল।
১৭. চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল?
উত্তরঃ চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ খুব খুশি হয়েছিল।
১৮. গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা আছে আর কী কী জিনিস দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে?
উত্তর: কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়া যায়। কোদাল ছাড়া লাঙল, কলের লাঙল ও ট্রাক্টর দিয়েও মাটি খোঁড়া যায়।
Short Question Answer
১. ‘তখন সে গজগজ করে’। ‘সে’ কে? কেন, সে গজগজ করেছিল?
উত্তর: এখানে ‘সে’ হল চাষির ছেলে। চাষির ছেলে অলস ছিল। সে চিরকাল শুয়ে বসে কাটিয়েছে। জমি চাষ করার কথা কখনও ভাবেনি।
বাবা মরার সময় জমির তলায় সোনা লুকিয়ে রাখার কথা বলে যান। বউ যখন সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে জমি খুঁড়ে সোনা খোঁজার কথা বলে তখন চাষির ছেলে ‘গজগজ’ করতে থাকে।
২. ‘বাবা নিশ্চয় আমায় বোকা বানিয়েছে’ – বাবা কে? বক্তার কখন এমন মনে হয়েছিল?
উত্তর: এখানে ‘বাবা’ বলতে চাষির কথা বলা হয়েছে। চাষি মরার সময় তার ছেলেকে জমির তলায় সোনা লুকিয়ে রাখার কথা বলেছিলেন। ছেলে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি খুঁড়ে কোথাও সোনার খোঁজ পায়নি। তখন রাগে বিরক্তিতে তার একথা মনে হয়েছিল।
৩. ‘এভাবে কাজ করতে দেখে গর্বে বুক ভরে যায়।’। – কার, কাকে, কীভাবে কাজ করতে দেখে কেন বুক ভরে যায়?
উত্তর: চাষির ছেলের বউয়ের তার স্বামীর কাজ করতে দেখে গর্বে বুক ভরে যায়।
জমি খুঁড়ে সোনা না পেয়ে বউয়ের কথা মতো চাষির অলস ছেলে শেষ পর্যন্ত জমিতে ধানের চাষ করে। সকাল দেখে সন্ধে পর্যন্ত সে জমিতে কাজ করে। বউ তার খাবার নিয়ে জমিতে যায়। এভাবে অলস স্বামীর কাজ করা থেকে তার বউয়ের বুক গর্বে ভরে যায়।
৪. ‘সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে’। – কে, কাকে, কখন একথাটি বলেছিল?
উত্তর: চাষির ছেলের বউ তার স্বামীকে একথাটি বলেছিল। অল্পদিনের মধ্যে খেত ফসলে ভরে যায়। মাঠ ভরা পাকা ধনের রাশি দেখে মনে হল কেউ যেন সারা মাঠে সোনা ঢেলে দিয়েছে। তখন চাষির ছেলের বউ এ কথাটি বলেছিল।
৫. ‘তাহলে বাবার কথাই ঠিক তো?’- কে, কাকে, কখন একথা বলেছিল? বাবার কথাটি কী ছিল?
উত্তর: চাষির ছেলের বউ তার স্বামীকে একথা বলেছিল। চাষির ছেলে মাঠের ফসল বিক্রি করে যখন এক থলি টাকা পেয়েছিল তখন তার স্ত্রী একথাটি বলেছিল। চাষি বলেছিল যে তার জমির মাটির নীচে সোনা পোঁতা আছে।
৬. ‘সেটা বলব বলেই তো ডেকেছি তোমায়’-কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে কী বলার জন্য ডেকেছিল?
উত্তর: বুড়ো চাষি এই কথাগুলো বলেছে। বুড়ো চাষি এই কথাগুলো বলেছে তার ছেলেকে। বুড়ো চাষি তার চাষের জমির মাটির নীচে যে লুকোনো সোনা আছে, সেই কথা বলার জন্য ছেলেকে ডেকেছিল।
৭. গল্পে চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে কীভাবে সাহায্য করেছে তা লেখো।
উত্তর: গল্পের চাষির ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী। সে নানাভাবে তার অলস স্বামীকে সাহায্য করেছিল। সে প্রথমে চাষির ছেলেকে গোটা জমিটা খুঁড়ে ফেলতে পরামর্শ দেয়। খোঁড়াখুঁড়ি করা খুব পরিশ্রমের। চাষির ছেলে প্রথমে মাটি খুঁড়তে চায় না। তখন চাষির ছেলের বউ মজুর লাগাতে বলে। মজুর লাগানো হলে চাষির ছেলের বউ বলে মজুররা মাটি খুঁড়ে যদি সোনার তাল সরিয়ে ফেলে চাষির ছেলেকে সেদিকে নজর রাখার জন্য কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়তে বলে।
তারপর জমি খোড়া হয়ে গেলে বউ হাট থেকে ধানের বীজ এনে বর্ষার সময় তা মাঠে ছড়িয়ে দিতে বলে। চাষির ছেলে তাই করে এবং সময়কালে মাঠ থেকে সত্যি সোনা পেয়ে যায়। আর তা পাওয়ার জন্য চাষির ছেলের বউ নানাভাবে তাকে সাহায্য করেছিল।
৮. ‘সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে’-কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন্ জিনিসকে বোঝানো হয়েছে? সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কী কী মিল আছে?
উত্তর: এই কথাগুলো চাষির ছেলের বউ বলেছে। সোনা বলতে এখানে সোনার মতো ফসলকে বোঝানো হয়েছে। আসলে মাঠে ধানের বীজ ছড়ানোর ফলে ধান গাছে মাঠ ভরে গেছে। ধানের সোনার মতো রং।
হলুদ সোনা রঙা ধান যেন সারা মাঠটা সোনায় ভরিয়ে। দিয়েছে। আর এই সোনার ধান হাটে বিক্রি করে এক থলে টাকা আসবে-তাও সোনার মতোই দামি হবে।
৯. চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কী কারণে খুব খুশি হল?
উত্তর: চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে চাষির বউ খুশি হল খুব। হাটে ফসল বিক্রি করে চাষির ছেলে এক থলি টাকা ঘরে আনল। এটা হল তার স্বামীর প্রথম রোজগার। আর এই রোজগার করতে গিয়ে। চাষির ছেলের আলস্য ঘুচে গেল। চাষির ছেলের বউ তাতে খুব খুশি হল।
১০. চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কী পুরস্কার পেয়েছে?
উত্তর: চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে চাষের জমি থেকে সত্যি সোনা অর্থাৎ পরিশ্রমের ফল হিসেবে একথলি টাকা পুরস্কার হিসেবে পেয়ে। গেল। তার চাষির ছেলে বুঝল, পরিশ্রম করলেই সোনা। পাওয়া যায়। তার তাই হল আসল সোনা বা সত্যি। সোনা।
১১. চাষির ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?
উত্তরঃ চাষির ছেলে ছিল অলস। সে কোনোদিন কোনো কাজকর্ম করেনি। কেবল শুয়ে বসে দিন কাটিয়েছে। তাই সে কোনোদিন নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।
১২. শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তর: চাষির ছেলে অলস হলেও খুব লোভী ছিল। তার বাবা মরার সময় তাকে বলে যান যে তাদের যে চাষের জমি আছে সেই জমির নীচে তিনি ছেলের জন্য সোনার তাল লুকিয়ে রেখেছেন। চাষির মৃত্যু হলে ছেলে যেন মাটির তলা থেকে সেই সোনার তাল মাটি খুঁড়ে বার করে নেয়। চাষির ছেলেকে সেই জন্য তার বউ-এর পরামর্শে কোদাল হাতে মাঠে কাজ করতে যেতে হল।
Long Question Answer
১. ‘সত্যি সোনা’ গল্পটির সাহায্য নিয়ে ছবিগুলির নীচে উপযুক্ত বাক্য লিখে কাহিনিটি সম্পূর্ণ করো। (পাঠ্যবই পৃ. ৮-এর ছবিগুলো দ্যাখো)
৭.১ মৃত্যুশয্যায় শায়িত বুড়ো চাষি ছেলেকে কোথায় তার সোনা পোতা আছে তা বলছেন।
৭.২ চাষির ছেলের বউ স্বামীকে পরামর্শ দিচ্ছে সোনা পাওয়ার জন্য মাঠটা কোপাতে হবে।
৭.৩ চাষির ছেলে দুজন মজুর নিয়োগ করে ৫ বিঘে চাষের জমি কোপাবার ব্যবস্থা করেছে।
৭.৪ মাটি ভালোভাবে কোপানো হলেও কোথাও সোনা পাওয়া না যাওয়ায় চাষির ছেলে মাটিতে বসে ভাবতে বসেছে।
৭.৫ বর্ষা নামতে চাষির ছেলে খোঁড়া মাঠে ধানের বীজ ছড়িয়ে দিল।
৭.৬ সময়কালে সারা মাঠটা সোনার মতো পাকা ধানের ভরে গেল। চাষির ছেলে আর বউ খুশি মনে সেই দিকে চেয়ে চেয়ে বাবার কথার আসল অর্থটা বুঝতে পেরেছে।
৭.৭ মাঠের পাকা ফসল হাটে বিক্রি করে এক থলি টাকা নিয়ে খুশি মনে চাষির ছেলে আর বউ বাড়ি ফিরছে।
Fil in the blanks
২.১ যাওয়ার সময় তোমাকে একটা বলে যাই। ———————–কথা
উত্তর: যাওয়ার সময় তোমাকে একটা দরকারি কথা বলে যাই।
২.২ টাকা পয়সার লোভ তার.———————–
উত্তর: টাকা পয়সার লোভ তার ষোলোআনা।
২.৩ ছেলের বউ খুব—————————–
উত্তর: ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী।
২.৪ জমিটা এখন ঠিক—————- করার মতো হয়েছে।
উত্তর: জমিটা এখন ঠিক চাষ করার মতো হয়েছে।
২.৫————— তার————— মুখের দিকে তাকাল।
উত্তর: ছেলে তার বউয়ের মুখের দিকে তাকাল।
২.৬ এই তার স্বামীর,————.————
উত্তর:এই তার স্বামীর প্রথম রোজগার।
২.৭ কঠোর—————– পেতে দেরি হয় না। করলে তার
৬.১ পিতলের থালাটা সোনার মতোই,—————————
উত্তর: পিতলের থালাটা সোনার মতোই চকচকে।
৬.২ পাকা ধান সোনার মতোই————————–।
উত্তর: পাকা ধান সোনার মতোই ঝলমলে।
৬.৩ ———————-সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না।
উত্তর: আসল সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না।
৬.৪ রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম——————-।
উত্তর: রূপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম দামি।