WBBSE Class 3 Patabahar Chapter 12 Solution| Bengali Medium

Class 3 Chapter 12 Solution

ঢেউয়ের তালে তালে

Very Short Question Answer

১. অভিযানে লেখকের সঙ্গীর নাম কী?

 উত্তর: অভিযানে লেখকের সঙ্গীর নাম অ্যালবার্ট জর্জ ডিউক।

২. অভিযানের নৌকোটির নাম কী? (নবাব বাহাদুর ইন্সটিটিউশন)

উত্তরঃ অভিযানের নৌকাটির নাম কনৌজি আংরে।

৩. নৌকাটি কোন মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল?

 উত্তর: নৌকাটি ভারত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।

৪. লেখকের অভিযানের গন্তব্যস্থল কোথায় ছিল?

 উত্তর: লেখকের অভিযানের গন্তব্যস্থল ছিল আন্দামান।

৬. দুপুরবেলা মাছের সঙ্গে কার লড়াই চলছিল?

উত্তরঃ বড়ো একটা মাছের সঙ্গে লড়াই চলছিল একটা কচ্ছপের।

৭. আংরের চারধারে যে চিড়িয়াখানা তৈরি হয়েছিল তাতে কারা ছিল সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু?

 উত্তর: আংরের চারধারে যে চিড়িয়াখানা তৈরি হয়েছিল তাতে সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু ছিল নানা রঙের মাছ।

৮. লেখকদের নৌকার পিছনে কোন্ প্রাণী চলেছিল?

উত্তরঃ লেখকদের নৌকার পিছনে একটা বিরাট কচ্ছপ চলেছিল।

৯. কে গলা ছেড়ে গান গেয়েছিল?

উত্তরঃ লেখক গলা ছেড়ে গান গেয়েছিল।

১০. পিঁপড়েদের নৌকায় আসতে হলে কত মাইল সাঁতরাতে হবে?

উত্তরঃ পিঁপড়েদের নৌকায় আসতে হলে ২০০ মাইল সাঁতরাতে হবে।

১১. রান্না করা কার কাছে অসহ্য ব্যাপার?

উত্তর: লেখকের কাছে রান্না করা অসহ্য ব্যাপার।

১২. কী খুঁজতে লেখকের আধঘণ্টা সময় লেগেছিল?

 উত্তর: একটা জমানো দুধের টিন খুঁজতে লেখকের আধঘণ্টা সময় লেগেছিল।

১৩. লেখক কী ছুঁড়ে কচ্ছপকে মেরেছিল?

 উত্তর: লেখক একটা টর্চের ব্যাটারি ছুঁড়ে কচ্ছপকে মেরেছিল।

১৪. হাঙর তাড়াতে লেখকের অস্ত্র কী ছিল?

 উত্তর: হাঙর তাড়াতে ‘হাঙর তাড়ানোর কালি’ ছিল লেখকের অস্ত্র।

১৫. লেখকের বমি হওয়ার উপক্রম কেন হয়েছিল?

 উত্তর: লেখক সমুদ্রের জল দিয়ে চা বানিয়েছিল। সেই চা খেয়ে লেখকের বমি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

১৬. ‘জল কেটে এগিয়ে চলেছে আংরে।’- আংরে কী?

উত্তর: আংরে হলো এক ডিঙি নৌকা। সেটাই চড়ে লেখক ও তার সঙ্গী আন্দামানের পথে বেরিয়ে ছিলেন।

১৭. ‘সে মনে করিয়ে দিল’- কী মনে করিয়ে দিয়েছিল?

উত্তরঃ ডিউক মনে করিয়ে দিয়েছিল স্থল থেকে তারা দুশো মাইল দূরে সমুদ্রের মাঝে। সেখানে পিঁপড়েকে সাঁতরে আসতে হবে।

১৮. ‘এই একটা অসহ্য ব্যাপার’- অসহ্য ব্যাপার কী?

উত্তরঃ লেখককে রান্না করতে হবে, এটা তার কাছে অসহ্য ব্যাপার।

১৯. ‘তাক করে সজোরে ছুঁড়ে মারলাম।’- কী ছুঁড়ে মারার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: কচ্ছপকে তাক করে লেখকের টর্চের ব্যাটারি ছুঁড়ে মারার কথা বলা হয়েছে।

২০. ‘ডিউকের ধাক্কায় ঘুম ভেঙে দেখি’ দেখেছিলেন? লেখক কী
উত্তরঃ লেখক দেখেছিলেন একটা বড়ো মাছ আর কচ্ছপের লড়াই চলছে।

২১. গল্পে উল্লিখিত তিনটি খাদ্যবস্তুর নাম লেখো। 

উত্তরঃ গল্পে উল্লিখিত তিনটি খাদ্যবস্তু হল চা, দুধ এবং রসগোল্লা।

২২. পাঁচটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম লেখো।
 উত্তরঃ তিমি, হাঙর, কুমির, কচ্ছপ, শুশুক ইত্যাদি।

১.১ লেখকেরা এগিয়ে চলেছিলেন- (ভারত মহাসাগর/আরব সাগর/ বঙ্গোপসাগর/ প্রশান্ত মহাসাগর) এর দিকে।

উত্তরঃ লেখকেরা এগিয়ে চলেছিলেন ভারত মহাসাগরের দিকে।

১.২ লেখক চা বানিয়ে ছিলেন যে জলে – (বাড়ির/ বোতলের/ সমুদ্রের/ গঙ্গার)।

উত্তরঃ লেখক চা বানিয়ে ছিলেন সমুদ্রের জলে।

১.৩ লেখক ও তার সঙ্গী খেয়েছিলেন – (পানতুয়া/ রসগোল্লা/সন্দেশ/ক্ষীরকদম)।

উত্তর: লেখক ও তার সঙ্গি খেয়েছিলেন রসগোল্লা।

১.৪ লেখকের সঙ্গীর নাম – (ডিউক/ স্টুয়ার্ট/ অ্যালভারেজ/জন)।

উত্তর: লেখকের সঙ্গীর নাম ডিউক।

১.৫ আংরের চারপাশে বসেছিল- (মেলা/চিড়িয়াখানা/ যাত্রাপালা/গাজন)।

 উত্তর: আংরের চারপাশে বসেছিল চিড়িয়াখানা।

১.৬ গল্পটি একটি-(সমুদ্রাভিযান/মহাকাশ অভিযান/ পর্বতাভিযান)

 উত্তর: গল্পটি একটি সমুদ্রাভিযান।

১.৭ গল্পে লেখকের সঙ্গীর নাম- (হিউক/মিউক/ডিউক)

উত্তরঃ গল্পে লেখকের সঙ্গীর নাম ডিউক।

১.৮ লেখকরা- (আন্দামানের/ফকল্যান্ডের/ফুকেটের) উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।

উত্তর: লেখকরা আন্দামানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।

১.৯ লেখক ও তার সঙ্গী- (রসগোল্লা/পানতুয়া/সন্দেশ খেয়েছিলেন।

উত্তর: লেখক ও তার সঙ্গী রসগোল্লা খেয়েছিলেন।

১.১০ আংরের চারধারে- (মিউজিয়াম/চিড়িয়াখানা/মেলা বসেছিল।

 উত্তর: আংরের চারধারে চিড়িয়াখানা বসেছিল।

১.১১ লেখক এবং ডিউক-(কচ্ছপ/পাখি/মাছ) ধরবে ঠিক করেছিল।
উত্তরঃ লেখক এবং ডিউক মাছ ধরবে ঠিক করেছিল।

৫। বিপরীতার্থক শব্দ: বিরাট, পেছনে, বন্ধ, ঠিক, দিন।
 উত্তর: বিরাট- ক্ষুদ্র। পেছনে সামনে। বন্ধ – খোলা। ঠিক-ভুল। দিন- রাত।

Short Question Answer

৪। বাক্য রচনা: সমুদ্র, কচ্ছপ, নৌকো, পিঁপড়ে, সাঁতার, ঘুড়ি।

উত্তর: সমুদ্র – প্রথম সমুদ্র দেখার চমক মন থেকে কোনোদিন মোছেনি।

কচ্ছপ – কচ্ছপ ক্রমশ বিরল প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছে, তাই এর সংরক্ষণ প্রয়োজন।

নৌকো কনৌজি আংরে আসলে একধরনের ছোটো নৌকো।

পিঁপড়ে-অনেক বড়ো বড়ো প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও পিঁপড়ের বংশ কমেনি।

সাঁতার- বিদ্যালয় স্তরে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের সাঁতার শেখা বাধ্যতামূলক করা উচিত।

ঘুড়ি – বিশ্বকর্মা পুজোর সময় বাঙালিরা খুব ঘুড়ি ওড়ায়।

৫. ডিউক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিল কেন?

উত্তরঃ লেখক পিঁপড়ের ভয়ে রসগোল্লার রস ধুয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। লেখকের এই কাজ দেখে ডিউক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিলেন। কারণ সমুদ্রের জলের মধ্যে পিঁপড়ে থাকে না। পিঁপড়েকে আসতে হলে বহু পথ, অন্তত দুশো মাইল সাঁতরে আসতে হবে।

২. ভারতবর্ষের মানচিত্রে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, কলকাতা, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর- এদের অবস্থান শিক্ষিকা/ শিক্ষক মহাশয়ের কাছ থেকে দেখে জেনে নাও।

উত্তর: ভারতবর্ষের মানচিত্রের দক্ষিণ-পূর্বদিকে বঙ্গোপসাগরে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী মানচিত্রের পূর্বদিকে অবস্থিত। বঙ্গোপসাগর ভারতের মানচিত্রে পূর্বদিকে অবস্থিত। ভারত মহাসাগর মানচিত্রের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।

Long Question Answer

৩. অভিযান কাকে বলে? শিক্ষিকা/শিক্ষক মহাশয়ের কাছ থেকে যে-কোনো একটি পর্বতশৃঙ্গে অভিযান বা একটি মহাকাশ অভিযানের গল্প জেনে নিয়ে, সে সম্পর্কে চার-পাঁচটি বাক্য লেখো।

উত্তর: কোনো দুর্গম জায়গা-সমুদ্র, গভীর অরণ্য, পর্বতের শৃঙ্গ প্রভৃতি স্থানে যাওয়ার চেষ্টাকে অভিযান বলা হয়। অভিযান মাত্রই যথেষ্ট সাহসিকতার কাজ। মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হল যা দুঃসাধ্য বা কঠিন তা করা। যেখানে যাওয়া ভীষণ কষ্টসাধ্য সেখানেই মানুষ যাওয়ার চেষ্টা করে। যুগযুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুঃসাহসিক মানুষ কঠিন অভিযান করেছেন। তাদের সেসব অভিযানের কাহিনি নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার জন্য কত মানুষের কত চেষ্টা শেষ পর্যন্ত তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারির অভিযান সফল হয়েছিল। সেই দুঃসাহসিক অভিযানের কাহিনি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।

১. মনে করো, নৌকো চেপে তুমি কোথাও বেড়াতে গেছ -যাওয়ার সময় যা যা দেখতে পাবে, তা লেখো।

 উত্তর: কিছুদিন আগে নৌকো চেপে আমি গঙ্গাতীর ধরে | বরানগর থেকে উত্তরের দিকে গিয়েছিলাম। নৌকায়। বসে আমি গঙ্গার দুপাড়ের দৃশ্য দেখছিলাম। গঙ্গার দু পাড়েই অসংখ্য বাড়িঘর, কারখানার চিমনিই বেশি চোখে। পড়ে। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে দেখতে পেলাম বিখ্যাত। বেলুড় মঠ। দূর থেকেই তার শান্ত পরিবেশ মনকে আকর্ষণ করে। পুবপাড়ে দেখলাম কাচের মন্দির সহ। আরও অনেক ছোটোবড়ো মন্দির। উত্তর দিকে কিছুক্ষণ |

যাওয়ার পর দেখতে পেলাম পুবপাড়ে রামকৃষ্ণ দেবের সাধনক্ষেত্র দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির। আরও এগোতে অনেকগুলো কারখানার চিমনি দেখতে পেলাম। এ গুলোর নাম আমি জানি না। এছাড়া অনেক স্নানের ঘাট, বড়ো বড়ো প্রাচীন বট অশ্বত্থগাছ। এক একটা সুন্দর ঘরও দেখা গেল। তবে এই অঞ্চলে গঙ্গার কোনো পাড়েই বনজঙ্গল বা কৃষিভূমি নেই।