Class 3 Chapter 23 Solution
কিসের থেকে কি যে হয়
Very Short Question Answer
১.১ কিশোরী মেয়ে বনে কী করতে যায়?
উত্তর: কিশোরী মেয়ে বনে শুকনো কাঠ কাটতে যায়।
১.২ কার লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল?
উত্তর: কাঠবেড়ালির লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল।
১.৩ কিশোরী মেয়ে কোন হাতে কাটারি ধরেছিল?
উত্তর: কিশোরী মেয়েটি বাঁ হাতে কাটারি ধরেছিল।
১.৪ ছোটো পাখি কার কানে ঢুকে পড়েছিল?
উত্তর: ছোটো পাখি একটা হাতির কানের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল।
১.১ কিশোরীর হাতে কামড়েছিল- (পিঁপড়ে/কাঠপিঁপড়ে/ সাপ/পোকা)
উত্তর: কিশোরীর হাতে কামড়েছিল কাঠপিঁপড়ে।
১.২ কাঠপিঁপড়ে কিশোরীর যেখানে কামড়ে ছিল- (ডানহাত/ বামহাত/ডান পা/বাম পা)।
উত্তর: কাঠপিঁপড়ে কিশোরীর কামড়েছিল ডানহাত-এ।
১.৩ কিশোরীর কাটারিটা পড়ে গিয়েছিল-(জলে/ ঝোপে/মাঠে/রাস্তায়)।
উত্তর: কিশোরীর কাটারিটা পড়ে গিয়েছিল ঝোপে।
১.৪ হরিণের মাথায় পড়েছিল- (পাথর/ ফুল/ ফল/পাতা)
উত্তর: হরিণের মাথায় পড়েছিল ফল।
১.৫ হাতি খুব পাক খাচ্ছিল যে খেতে- (পাট/গম/ধান/ আলু)
উত্তাঃ হাতি খুব পাক খাচ্ছিল ধান খেতে।
১.৬ কাঠপিঁপড়ের পেটটা সরু হয়েছিল- (সুতোয় বাঁধা ছিল বলে/সুতোয় বেঁধে ঝোলানো ছিল/ব্যায়াম করেছিল বলে/কম খেয়েছিল বলে)
উ: কাঠপিঁপড়ের পেটটা সরু হয়েছিল সুতোয় বেঁধে ঝোলানো ছিল বলে।
২.১ সকালে কিছু খেয়ে যায়। মেয়েরা বনে কাঠ কাটতে
উত্তর : সকালে কিছু খেয়ে কিশোরী মেয়েরা বনে কাঠ কাটতে যান।
২.২ একটা তার হাতে কামড়ে ছিল।
উত্তর একটা কাঠপিঁপড়ে তার হাতে কামড়ে ছিল।
২.৩ সে ভয় পেয়ে, দৌড়ে পালাল।
উত্তর : সে ভয় পেয়ে তিরবেগে দৌড়ে পালাল।
২.৪ বনের মধ্যে হয়ে পাখিরা উড়ছে।
উত্তর : বনের মধ্যে দিশেহারা হয়ে পাখিরা উড়ছে।
২.৫ তার দেহ আর ফসল নষ্ট হতে লাগল। চারপায়ের চাপে
উত্তরঃ তার বিশাল, দেহ আর গোদা চারপায়ের চাপে ফসল নষ্ট হতে লাগল।
২.৬ সব নষ্টের গোড়ায় রয়েছে ওই
উত্তর: সব নষ্টের গোড়ায় রয়েছে ওই কাঠপিঁপড়ে।
৩.১ ‘সেইজলে কত ছোটো ছোটো মাছ।’- কোন্ জলের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে পাহাড়ি নদীর জলের কথা বলা হয়েছে।
৩.২ ‘কিশোরী ডান হাতটা ধরে বসে পড়ল।’ কেন?
উত্তরঃ একটা কাঠপিঁপড়ে কিশোরীর ডানহাতে কামড়েছিল। ব্যথায় সে তার ডান হাতটা ধরে বসে পড়ে।
৩.৩ ‘ছোট্ট লেজ গেল কেটে।’ – কীভাবে ছোট্ট লেজ কেটে যায়?
উত্তর : কিশোরীর হাতের কাটারি কাঠবেড়ালির লেজে পড়ে গেলে তা কেটে যায়।
৩.৪ ‘সে মাথা বাঁচাতে লাগল।’ ー ‘সে’ কেন মাথা ঝাঁকাচ্ছিল?
উত্তরঃ ‘সে’ অর্থাৎ হাতির কানে একটা ছোটো পাখি ঢুকে গিয়েছিল তাই সে মাথা ঝাকাচ্ছিল।
৩.৫ ‘ওকে শাস্তি দাও।’ – কাকে শাস্তি দেবার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে কাঠপিঁপড়েকে শাস্তি দেবার কথা বলা হয়েছে।
৩.৬ কিশোরী পিঁপড়েকে কী শাস্তি দিয়েছিল?
উত্তর: কিশোরী কাঠপিঁপড়ের কোমরে একটা সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এটাই ছিল তার শাস্তি।
Short Question Answer
২.১ কিশোরী মেয়েরা কীসের জন্য বনে যেত?
উত্তরঃ বনের ধারের গ্রামের কিশোরী মেয়েরা সকালে কিছু খেয়ে বনে কাঠ কাটতে যেত। শুকনো কাঠ উনুন জ্বালাতে লাগে, সেগুলো সংগ্রহ করতে তারা বনে যেত।
২.২ কাঠবেড়ালি রেগে গিয়েছিল কেন? রেগে গিয়ে সে কী করেছিল? (উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চবিদ্যালয়)
উত্তরঃ কিশোরী মেয়েটির বাঁ হাত থেকে খসে পড়া কাটারির আঘাতে কাঠবেড়ালির লেজটা কেটে গেল। লেজটা কেটে যেতে কাঠবিড়ালি ভীষণ ব্যথা পেল। ব্যথা পেয়ে কাঠবেড়ালিটি বেজায় রেগে গিয়েছিল। কাঠবেড়ালিটি রেগে গিয়ে তরতর করে গাছের ডগায় উঠে গিয়ে একটা মস্ত বড়ো ফলে কামড় দিল। ফলটা কামড় খেয়ে বোঁটা থেকে খসে পড়ল।
২.৩ হরিণ ভয় পেয়েছিল কেন? ভয় পেয়ে সে পাখির কী ক্ষতি করেছিল? (পুরুলিয়া জেলা স্কুল)
উত্তর: হরিণটা খুব আরাম করে মিষ্টি রোদে গাছের তলায় ঘুমোচ্ছিল। হঠাৎ মাথায় এসে পড়ল বোঁটা থেকে খস একটা বড়ো ফল। সে খুব চমকে উঠল, ভয়ও পেল আবার আঘাতও কম হল না।
হরিণটা ভয় পেয়ে তিরবেগে ছুট লাগাল। তার ছোটার পথে ঝুরো মাটি ছিল। ঝুরো মাটির মধ্যে ছোটো ছোটো পাখির বাসা ছিল। হরিণের পায়ের চাপে সেই পাখির বাসাগুলো ভেঙে গেল। পাখিদের খুব ক্ষতি হল।
২.৪ হাতি কেন চাষির ফসলের খেত নষ্ট করে দিয়েছিল? (নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয় প্রাথমিক)
উত্তর: হাতিটা তার মস্ত শুঁড় দিয়ে গাছের ডালপালা ভেঙে খাচ্ছিল। সন্ত্রস্ত ছোটো একটা পাখি দিশাহারা হয়ে উড়তে উড়তে হাতির কানের মধ্যে ঢুকে গেল। হাতি তার ফলে ব্যথাও পেল ভয়ও পেল। সে তখন ছুটতে লাগল। ছুটতে ছুটতে একটা চাষির পাকা ধানের খেতে গিয়ে পৌঁছোল। পাকা ধানের খেতে ছোটা থামিয়ে হাতি তার বিরাট দেহ আর গোদাগোদা পা নিয়ে ফসল মাড়িয়ে নষ্ট করে দিতে লাগল। তার রাগ আর ব্যথার জন্য সে চাষির সোনার ফসল নষ্ট করল।
৪। বিপরীত শব্দ লেখো:
সুন্দর, ঢাকা, ক্ষতি, ভেঙে, বিশাল, দোষ, সহ্য, সরু, বেঁধে
উত্তর :সুন্দর-কুৎসিত। ঢাকা-খোলা। ক্ষতি-লাভ।
ভেঙে–জুড়ে। বিশাল-ক্ষুদ্র। দোষ-গুণ।
সহ্য-অসহ্য। সরু-মোটা। বেঁধে-খুলে।
Long Question Answer
৯। নীচের যে প্রাণীদের নাম দেওয়া আছে তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর: হরিণ – হরিণ তৃণভোজী চতুষ্পদ স্তন্যপায়ী প্রাণী। হরিণ নানা রঙের হয়, অরণ্যের শোভা হরিণ।
কাঠবেড়ালি – গাছে গাছেই প্রধানত কাঠবেড়ালি থাকে। বাদাম জাতীয় ফলপাকড় খায়।
কাঠপিপড়ে – পিঁপড়েদের মধ্যে কাঠপিঁপড়ে আকারে বড়ো হয়। এই পিঁপড়ে কামড়ালে খুব যন্ত্রণা হয়।
স্থলচর প্রাণীদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড়ো। হাতি চতুষ্পদ স্তন্যপায়ী, তৃণভোজী প্রাণী।
পাখি – পাখি সাধারণত গাছে বাসা বেঁধে থাকে। এদের ডানা আছে, আকাশে উড়ে বেড়ায়। পাখিরা ডিম পাড়ে।
১১। কাহিনি সম্পূর্ণ করো: (পাঠ্যবই পৃ. ১১০-এর ছবিগুলো দ্যাখো)
উত্তর: ১১.১ কাঠপিঁপড়ে কামড়ে দেওয়ায় কিশোরীর হাত থেকে।
১১.২ ঝোপে দৌড়াদৌড়ি করছিল একটা কাঠবেড়ালি। কাটারিটা তার লেজের ওপর পড়ায় লেজটা কেটে গেল।
১১.৩ রাগে গরগর করতে করতে কাঠবেড়ালিটা গাছের আগায় উঠে গিয়ে একটা বড়ো ফলে কামড় দিতে ফলটা বোঁটা থেকে খসে একটা হরিণের মাথায় গিয়ে পড়ল।
১১.৪ হরিণটা ভয় পেয়ে তির বেগে ছুটতে লাগল ঝুরো মাটির ওপর দিয়ে। ফলে ছোট্ট পাখিরা তাদের বাসা থেকে বেরিয়ে ভয়ে উড়তে লাগল দিশাহারা হয়ে।
১১.৫ একটা ছোট্ট পাখি উড়তে উড়তে গাছের ডাল ভেঙে ভোজনরত-এক বিশাল হাতির কানে মধ্যে ঢুকে গেল।’
১১.৬ হাতি লাফিয়ে উঠল ভয়ে আর যন্ত্রণায়। সে ছুটতে ছুটতে এক চাষির পাকা ধানের খেতে ঢুকে খেতের ফসল নষ্ট করে দিল।
১১.৭ সব কিছুর জন্য দায়ী কাঠপিঁপড়ের কোমরে সুতো দিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হল।