WBBSE Class 3 Patabahar Chapter 25 Solution| Bengali Medium

Class 3 Chapter 25 Bengali Medium

                                      উড়ুক্কু ভূত

Very Short Question Answer

১.১ ভূতকে প্রথমে কে দেখতে পেয়েছিল?

উত্তর:  ভূতটাকে প্রথমে দেখতে পেয়েছিল কাকের ছানাটা।

১.২ কাকের ছানাটা কোন গাছের ডালে বসেছিল?

উত্তর:  কাকের ছানাটা নিমগাছের ডালে ঘাপটি মেরে বসেছিল।

১.৩ আমড়াগাছে কে বসেছিল?

উত্তর: আমড়াগাছে হুতুমমুখো পেঁচাটা বসেছিল।

১.৪ কে কুটকুট করে বেগুন গাছের কচি পাতা খাচ্ছিল?

উত্তর:  একটা গুটিপোকা কুটকুট করে বেগুন গাছের কচি পাতা খাচ্ছিল।

৩.১ গুটি পোকা- (লঙ্কা গাছ/ বেগুন গাছ/জাম গাছ)

উত্তরঃ গুটি পোকা বেগুনগাছে বসেছিল।

৩.২ কাঠবেড়ালি – (পেয়ারা গাছ/লিচু গাছ/কলাগাছ) (কেটিপিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়)

উত্তর:  কাঠবেড়ালি পেয়ারাগাছে বসেছিল।

৩.৩ হুতুমমুখো পেঁচা- (আমড়া গাছ/আমগাছ/ কাঁঠালগাছ) (কেটিপিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়)

উত্তরঃ হুতুমমুখো পেঁচা আমড়া গাছে বসেছিল।

৩.৪ কাগের ছানা- (শিমগাছে/নিমগাছে/বেলগাছে) (কেটিপিপি প্রাথমিক বিদ্যালয়)

উত্তর: কাগের ছানা নিমগাছে বসেছিল।

১.১ ভূতকে প্রথম দেখতে পেয়েছিল- (কাক/কাগছানা/ কাঠবেড়ালি/পেঁচা)

উত্তরঃ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল কাঠবেড়ালি।

১.২ ভূত বসেছিল যে গাছে- (আম/জাম/পেয়ারা/কুল)

 উত্তর: সেদিন দুপুরবেলা ঝড় উঠেছিল।

১.৩ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল- (প্যাঁচা/গুটিপোকা/ কাকছানা/কাঠবেড়ালি)
উত্তরঃ ভূতকে প্রথম দেখতে পেয়েছিল কাগছানা।

৩.১ ‘এখন ভূতটাকে দেখতে পেয়েছিল কাক ছানাটা’। – কাক ছানাটা কোথায় ছিল?

উত্তরঃ ঝড়ের সময় কাকছানাটা নিমগাছের বাসায় বসেছিল। সেখানেই ভূত বসে তার ঘাড়ে পড়ে।

৩.২ ‘আবার ভূত ছুটল’। – ভূত কখন ছুটে ছিল?

উত্তরঃ যখন ঝড়ের তেজ বেড়ে ছিল তখন ভূত ছুটল।

৩.৩ ‘রং ফুরোলে মনে হল’- কী মনে হয়েছিল?

উত্তরঃ রং ফুরোলে মনে হয়েছিল কাকুর খবরের কাগজের একটা ছেঁড়া পাতা তাতে কে যেন ভূতের ছবি এঁকেছে।

৩.৪ ‘ভূতটাকে দেখে গ্রাহ্যি নেই’- কার গ্রাহ্যি নেই? সে কী করছিল?

উত্তরঃ ভূতটাকে দেখে গুটিপোকার গ্রাহ্যি নেই। সে কুটকুট করে বেগুন পাতা খাচ্ছিল।

Short Question Answer

২.১ ভূতের চেহারা কেমন ছিল? (দেবেন্দ্র বিদ্যাপীঠ অ. বে.প্রা.বি)

উত্তর:  ভূতের চেহারা ছিল অদ্ভুত-কিম্ভুত। তার ড্যাবরা-ড্যাবরা চোখ, থ্যাবড়া থ্যাবড়া নাক। আর চেহারা একেবারে ফিনফিনে ফুরফুরে। তার আবার হাত নেই পা নেই। ধড়টা কাটা, নড়াটা ছটকানো। দাঁতটা ছরকুট্টে- একেবারে ভয়াবহ, বীভৎস।

২.২ ভূতকে দেখে হুতুমমুখো পেঁচার অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তর: উড়ুক্কু ভূতকে দেখে হুতুমমুখো পেঁচাটার অবস্থা প্রথম থেকেই খুব কাহিল হয়ে পড়েছিল। সে বাঁ চোখের পর্দা ফেলে, ডানচোখটা খুলে ঝড়ের ঝঞ্ঝাট পাকানোটা দেখছিল। ভূতটা তার মাথায় টোকা মারতেই সে ধমকে উঠল। কিন্তু বাঁ চোখ খুলে যেই না ভূতকে দেখা অমনি তার পিলে চমকে গেল। তাকে আর দু চোখ খুলতে হল না। ঢোঁক গিলে কঁক করে দম আটকে একেবারে পটল তুলল অর্থাৎ স্বর্গে চলে গেল।

২.৩ গুটিপোকা ভূতকে দেখে কী করেছিল আর মনে মনেই বা কী বলেছিল?

উত্তর: গুটি পোকা বেগুনগাছের কচি পাতায় বসে কুটকুট করে পাতা খাচ্ছিল। সে ভূতটাকে দেখে কোনো গ্রাহ্যই করল না। যথারীতি খাওয়া চালিয়েই যাচ্ছিল। গুটি পোকা মনে মনে বলল ওই উড়ে এসে জুড়ে বসা ওটা ভূত না ছাই-অন্য কিছু।

২.৪ বৃষ্টি নামার পর ভূতের অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তরঃ বৃষ্টি নামার পর ভূতের আসল চেহারাটা বেরিয়ে গেল। তার সব রংটং জলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়ে সেটা মনে হতে লাগল যেন কাকুর খবরের কাগজের একটা ছেঁড়া পাতা।

Long Question Answer

৬। কাকুর খবরের কাগজের ছেঁড়া পাতায় আঁকা ভূতের ছবিটাই ঝড়ের ঝাপটায় উড়ে গিয়ে সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। তেমনিভাবে আর কী কী দেখে কীভাবে মানুষ অকারণে ভয় পেতে পারে, এ নিয়ে একটা ছোট্ট গল্প লেখো।

উত্তা: দৃষ্টিভ্রমে ভূতের ভয়:

ফুটফুটে জ্যোৎস্না রাত। পূর্ণিমাই হবে বোধ হয়। থমথমে আকাশ-তারায় তারায় সবটা ঢাকা। শুধু জ্যোৎস্নার ছটার তারার উজ্জ্বলতা বেশ কম। বুলটির খুব ভালো লাগে জ্যোৎস্নার মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজের সারা শরীরে জ্যোৎস্না মাখতে।

কিন্তু রাত বাড়লে বাগানে যেতে মা বারণ করে। কেন যে করে বুল্টি জানে না। সেদিন ছিল গুরু পূর্ণিমা, গুরু নানকের জন্মদিন। স্কুল ছি ছুটি। দুপুরবেলা মা জোর করে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিল। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করার পর বুল্টি ঘুমিয়ে পড়ল। অনেকক্ষণ ঘুমোল বুলটি। তার ফলে রাতে আর ঘুম আসে না। সবাই তো ঘুমিয়ে কাদা। শুধু বুলটির চোখে ঘুম নেই। মাঝরাতে বুলটি চুপি চুপি বিছানা ছেড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা ছাদে। এ আর এই ছাদ থেকেই তো বুল্টি সাদা থানপরা বিধবা ভূত-না, পেত্নিকে দেখল। বুল্টি স্পষ্ট দেখল সাদা ধবধবে পেত্নিটা দুটো আমগাছে হাতে ভর দিয়ে মাটির ওপরে দুলছে আর তাকে মাথা নেড়ে কেবলই কাছে ডাকছে। মুখটা বুলটি ঠিক দেখতে না পেলেও বুঝতে পারছিল পেতনিটা বড্ড একা। তাই তাকে কাছে ডাকছে। আর বুলটি জানে ও কাছে গেলেই তার ঘাড়টা সে মটকে দেবে।

বুল্টি ভীষণ ভয় পেয়ে এক ছুট্টে একেবারে মায়ের বুকের মধ্যে। মা বলল, ‘কী হয়েছে রে?’ বুল্টি বুকের মধ্যে মুখটা গুঁজে বিধবা পেত্নির কথা বলল। মা তখন বুল্টিকে তুলে ছাদে নয় জানলার ধারে নিয়ে গিয়ে দেখতে লাগল পেত্নি ভূতকে দেখা যায় কিনা। শুভ্র জ্যোৎস্নায় আলো আঁধারি খেলা চলছিল বাগানে। জ্যোৎস্নায় স্নাত আমগাছের মাঝখানে কলাগাছের বিশাল পাতায় কী রকম দৃষ্টিভ্রম ঘটিয়েছে তা মা বুল্টিকে বুঝিয়ে দিল। সাদা জ্যোৎস্না কলাগাছের পাতায় পিছলে পড়ে মাটিতে সাদা কালো ছায়া ফেলছে। আর সেটা আবার বাতাসে নড়ছে। ছায়াও নড়ছে। ধবধবে সাদা শাড়ির মতোই লাগছে। মনে হচ্ছে মাথা নেড়ে সে ডাকছে।

বুল্টির মা ভালো করে বুঝিয়ে দিল, আসলে সাদা থানপরা পেত্নি দেখা দৃষ্টি বিভ্রম ছাড়া আর কিছু নয়।

Fil In The Blanks

২.১ সেদিন—————-.ঝড় উঠেছিল।

উত্তর: ভূত বসেছিল পেয়ারা গাছে।

২.২ ————————গাছে একটা কাঠবেড়ালি ঝড়ের হাওয়ায় খাচ্ছিল। ডাল

 উত্তর: পেয়ারা গাছে একটা কাঠবেড়ালি, ঝড়ের হাওয়ায় ডাল জড়িয়ে জড়িয়ে দোল খাচ্ছিল।

২.৩ একেবারে —————–হয়ে মাটির উপর লটকে পড়ল।

উত্তর: একেবারে অজ্ঞান হয়ে মাটির উপর লটকে পড়ল।

২.৪ ———————করে বৃষ্টি এল।

উত্তরঃ ঝমঝম করে বৃষ্টি এল।।

২.৫ খবরের—————— মার্কা-আচ্ছা———————–

উত্তর: খবরের কাগজ মার্কা-আচ্ছা গোলমেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *