WBBSE Class 3 Patabahar Chapter 27 Solution | Bengali Medium

Class 3 Chapter 27 Solution

কে ছিলেন ইশপ

Very Short Question Answer

১.১ শেয়াল কিছুতেই কীসের নাগাল পায়নি?

উত্তর: শেয়াল অনেক চেষ্টা করেও মাচায় ঝুলন্ত পাকা আঙুরগুচ্ছের নাগাল পায়নি।

১.২ শেয়াল শেষে কী বলে চলে গিয়েছিল?

উত্তর: শেয়াল আঙুরগুচ্ছের অনেক চেষ্টার পর না পেয়ে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল যে ওই আঙুর ফলগুলো টক।

১.৩ খরগোশ কেমন ছিল?

উত্তরঃ খরগোশটা অহংকারী ছিল।

১.৪ খরগোশ কার কাছে দৌড় প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছিল?

উত্তরঃ খরগোশ কচ্ছপের কাছে দৌড় প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছিল।

১.৫ খরগোশ কেন হেরে গিয়েছিল?

উত্তর: খরগোশ ছিল অহংকারী। আর কচ্ছপ ছিল জেদি ও নিষ্ঠাবান। অহংকারী খরগোশ কচ্ছপের নিষ্ঠা ও জেদের কাছে হেরে গিয়েছিল।

১.৬ রাখাল ছেলে কী করত?

উত্তরঃ রাখাল ছেলে মিছিমিছি ‘বাঘ বাঘ’ বলে চিৎকার করত।

১.৭ ইশপ কোন দেশের মানুষ ছিলেন?

উত্তর: ইশপ গ্রিস দেশের মানুষ ছিলেন।

১.৮ ইশপ কাদের নিয়ে গল্প বানাতেন?

উত্তরঃ ইশপ মানুষদের স্বভাব পশুদের ওপর আরোপ করে পশুচরিত্র নিয়েই গল্প বানাতেন।

১.৯ ইশপের প্রভু কে ছিলেন?

উত্তরঃ ইশপের প্রভু ছিলেন রাজা ক্রোসাস।

১.১০ তিনি ইশপকে কোথায় পাঠিয়েছিলেন?

উত্তর: রাজা ক্রোসাস ইশপকে পাঠিয়েছিলেন ডেলফি নামক স্থানে।

১.১১ সেই জায়গাটি কেন বিখ্যাত ছিল?

উত্তর: ডেলফির পুরোহিতরা ছিলেন সব বিখ্যাত ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা। সেইজন্য জায়গাটা সকলের কাছে খুব বিখ্যাত ছিল।

১.১২ সেখানকার মানুষ কেমন ছিল?

উত্তর: ডেলফির মানুষগুলোর ছিল অপরিমেয় লোভ।

১.১৩ তাদের আচরণ দেখে ইশপ কোন গল্প বাঁধলেন?

উত্তর: ডেলফির লোভী মানুষগুলোর স্বভাব নিয়ে ইশপ ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁসের’ গল্প বাঁধলেন।

১.১৪ নীতিগল্প কাকে বলে?

উত্তর: যে সমস্ত গল্পে নীতিশিক্ষা লাভ করা যায়, সেই গল্পগুলিকে বলা হয় নীতিগল্প।

১.১৬ অনুবাদ বা তরজমা কাকে বলে?

উত্তর: এক ভাষায় লেখাকে অন্যভাষায় রূপান্তর ঘটানোকে বলা হয় অনুবাদ বা তরজমা।

১.১ ‘এই মানুষটি ছিলেন একজন ক্রীতদাস’।- কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে ইশপের কথা বলা হয়েছে।

১.২ ‘তারা ছিল বড়ো লোভী।’- কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে ডেলফির পুরোহিতদের কথা বলা হয়েছে।

১.৩ ‘সেই গল্পটি তিনি তাদের শুনিয়েও দিলেন।’ কোন্ গল্পের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে ডেলফির পুরোহিতদের দেখে ইশপের সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্পের কথা বলা হয়েছে।

Short Question Answer

১.১৫ আমাদের জীবনে কোন গুণগুলি জরুরি?

উত্তর: আমাদের মতো সামাজিক মানুষদের জীবনে দয়ামায়া,

ভালোবাসা, সততা, কৃতজ্ঞতা, পরোপকার, শ্রদ্ধা, ভক্তি-এইসব সদগুণগুলো থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

১.১৭ ইশপের গল্প বিভিন্ন দেশে কেন জনপ্রিয়?

উত্তরঃ ইশপের গল্পগুলির মধ্যে এমন সব নীতিকথা আছে যা সব দেশের সব কালের মানুষের উপযোগী। সেইজন্য ইশপের গল্পগুলো সর্বকালে সর্বদেশেই জনপ্রিয় হয়ে আছে।

১.১৮ ইশপকে কেন ‘মানৰজাতির সবচেয়ে বড়ো শিক্ষকদের একজন’ বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ইশপের সৃষ্ট গল্পগুলো মানুষকে কতকগুলো মৌলিক সদগুণের শিক্ষা দেয়- সেগুলি সামাজিক মানুষদের মধ্যে থাকা খুব জরুরি। সেইজন্যই ইশপকে ‘মানবজাতির সবচেয়ে বড়ো শিক্ষকদের একজন’ বলা হয়েছে।

১.৪ ‘সবই নীতি গল্প’ – নীতিগল্প কী?

উত্তাঃ কিছু গল্প পাঠে শুধু আনন্দই পাওয়া যায় না, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় খুব ভালো ভালো উপদেশ। এগুলি হলো নীতি গল্প।

১.৫ ‘এইসব সদ্‌গুণ যে আমাদের জীবনে কত জরুরি’ কোন্ সদ্‌গুণের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে দয়া, মায়া, ভালোবাসা, সততা, কৃতজ্ঞতা পরোপকার, শ্রদ্ধাভক্তি এইসব সদ্গুণের কথা বলা হয়েছে।

২। বিপরীত অর্থ লেখো: সৎ, অহংকারী, জড়ো, বাঁচাতে, প্রাচীন, উপহাস, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, জরুরি, কমেনি, কৃতজ্ঞতা।

উত্তরঃ সৎ-অসৎ। অহংকারী-নিরহংকার। জড়ো- ছড়ানো। বাঁচাতে মারতে। প্রাচীন-নব্য। উপহাস-কদর। ভালোবাসা-ঘৃণা। শ্রদ্ধা- অশ্রদ্ধা। জরুরি-অপ্রয়োজনীয়। কমেনি-বাড়েনি। কৃতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতা।

Long Question Answer

৫। এই গদ্যে বলা নেই, তোমার জানা ইশপের একটি গল্প নিজের ভাষায় লেখো:

একসময় এক বাঘের গলায় হাড় ফুটেছিল। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে বাঘ সকলকে অনুরোধ করছিল তার গলার হাড়টা বার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কেউ বাঘের অনুরোধ রক্ষা করতে বাঘের কাছেই ঘেঁষছিল না।

তখন বাঘ ঘোষণা করল, যে তার গলার হাড় বার করে দেবে তাকে সে অনেক পুরস্কার দেবে। কিন্তু তবুও কোনো জন্তু এগিয়ে এল না। বাঘ পড়ল মহা বিপদে। সে কোনো কিছু খেতেও পারে না। আবার যন্ত্রণা তো আছেই।

অবশেষে একটা লম্বা ঠোঁটওলা সারস পুরস্কারের লোভে বাঘের কাছে এসে বলল, ‘আমি তো তোমার গলার হাড় বার করে দেব। কিন্তু আমাকে তুমি পুরস্কার দেবে তো?

বাঘ ঘাড় নেড়ে পুরস্কার দেওয়ার কথা জানাল।

তারপর বাঘ তার গলাটা ফাঁক করল। সারস তার লম্বা চক্ষু বাঘের মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে আটকে থাকা হাড়টা বার করে আনল। হাড় বেরিয়ে আসতে বাঘ যন্ত্রণা মুক্ত হল। সারস এবার বলল, ‘আমাকে তোমার প্রতিশ্রুত পুরস্কার দাও’। বাঘ বলল, ‘তুই ব্যাটা বাঘের গলার মধ্যে তোর মাথা ঢুকিয়ে আবার বার করে আনতে পেরেছিস জীবন নিয়ে- এটাই কী তোর, সবচেয়ে বড়ো পুরস্কার নয়? যা ব্যাটা ভাগ, মেলা বকিস না।

সারসটি ভয়ে তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে পালিয়ে গেল। নীতিশিক্ষা: দুরাত্মাকে কখনও বিশ্বাস করতে নেই।

৬। ইশপের মতোই আমাদের দেবতা ছিলেন বিষ্ণু শর্মা। তাঁর লেখা ‘পঞ্চতন্ত্র’ গোটা পৃথিবীতেই বিখ্যাত এবং সমাদৃত। ‘পঞ্চতন্ত্র’ থেকে কোনো গল্প জানা থাকলে সেটি শ্রেণিকক্ষে সবাইকে শোনাও। আর যদি জানা না থাকে তবে শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছ থেকে জেনে নাও।

কাকটি হতাশ না হয়ে এদিক ওদিক তাকাল। দেখল চারধারে অনেক পাথর পড়ে আছে। সে একটা একটা করে পাথর ঠোঁটে করে নিয়ে এসে মাটির পাত্রের মধ্যে ফেলতে লাগল। আস্তে আস্তে দেখা গেল পাত্রের জলের স্তর পাথর ফেলার ফলে ক্রমশ ওপরের দিকে চলে আসছে।

অবশেষে জল একেবারে কাকের ঠোঁটের নাগালের মধ্যে এসে গেলে সে মনের সুখে জল পান করে তৃপ্ত হয়ে উড়ে গেল।