Class 4 Chapter 11 Solution
আমাজনের জঙ্গলে
Very Short Quetion Answer
১. অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো ।
উ: অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা দুটি বই হল- ‘শাদা ঘোড়া’ ও ‘হীরু ডাকাত’।
২. ভ্রমণ পত্রিকা ছাড়াও তিনি আর কোন্ পত্রিকার সম্পাদক?
উ: ‘ভ্রমণ’ পত্রিকা ছাড়াও তিনি ‘কর্মক্ষেত্র’ পত্রিকার সম্পাদক।
৩. লেখক কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন?
উ: লেখক আমাজনের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলেন।।
৪. লেখক কাকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন?
উ: লেখক উবা নামের একটি মেয়েকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন।
৫. জলের দেবতা বলে কাকে আমাজনের বাসিন্দারা মানে?
উ: আমাজনের বাসিন্দারা বোতোকে জলের দেবতা বলে মনে করত।
৬. উবা কোন্ শহরকে বালির দেশ বলে বুঝিয়েছিল?
উ: উবা কলকাতা শহরকে বালির দেশ বলে বুঝিয়েছিল।
৭. বালির দেশ- কথার অর্থ কী?
উ: বালির দেশ কথাটির অর্থ হল গাছপালাহীন শুষ্ক দেশ অর্থাৎ মরুভূমি।
৮. ‘ওতো শুধু বালির দেশ’-কে বলেছে?
উ: উবা একথা বলেছে।
৯. উবা কে?
উ: উবা আমাজনের জঙ্গল অঞ্চলে বাসকারী একটি ছোটো মেয়ে।
১০. উবা কোন্ শহরকে ‘বালির দেশ’ বলে বুঝিয়েছিল তা লেখো।
উ: উবা কলকাতাকে ‘বালির দেশ’ বলে বুঝিয়েছিল।
১১. জলের নীচে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীটির রং কেমন ছিল?
উ: জলের নীচে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীটির রং গোলাপির দিকেই ছিল।
১২. কলকাতায় কী কী আছে উবাকে বলা হয়েছিল?
উ: উবাকে বলা হয়েছিল কলকাতায় শহর ভরা ঘর-বাড়ি, গাড়ি-ঘোড়া, দোকানবাজার, লোকজন আছে।
Short Quetion Answer
১. কাকাদের সঙ্গে না থাকাকে পাঠ্যাংশের আগন্তুক ছেলেটি সৌভাগ্যজনক মনে করেছে কেন?
উ: কাকাদের সঙ্গে না থাকাকে আগন্তুক ছেলেটি সৌভাগ্যজনক মনে করেছে। কারণ, কাকারা থাকলে সে হারিয়ে যেত না। আর না হারালে আমাজনের অমন জঙ্গল, নদী, মানুষ, সে কিছুই দেখতে পেত না।
২. কোন্ উৎসবের কথা পাঠ্যাংশে রয়েছে? কীভাবেই বা সে প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে?
উ: পাঠ্যাংশে আমাজন অঞ্চলের নৌকা উৎসবের কথা আছে। ছেলেটি যখন উবার সঙ্গে নৌকা ভ্রমণ করছিল তখন সামনের নৌকা থেকে ভেসে আসছিল সুরেলা বাজনা। হঠাৎ সে বাজনা থেমে যায় বোতোর আগমনের কারণে। এই প্রসঙ্গেই নৌকা উৎসবের কথা এসেছে।
৩. ‘বোতো’ সম্পর্কে আমাজন অঞ্চলে প্রচলিত বিশ্বাসটি কী? তার সম্বন্ধে সকলে কী কল্পনা করে?
উ: বোতো সম্পর্কে আমাজন অঞ্চলের বিশ্বাস তিনি এখানকার দেবতা। তিনি সকলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। সকলের বিশ্বাস বোতো দেবতা তাদের রক্ষাকর্তা। জলের তলায় মস্ত শহর। সেখানে রয়েছে রঙিন পাথরে তৈরি তার বিশালাকৃতি প্রাসাদ।
৪. গল্প কথকের চোখে দেখা ‘বোতো’-র শারীরিক গঠনের পরিচয় দাও। তাকে দেখে আগন্তুক ছেলেটির কেমন লাগল?
উ: কথকের দৃষ্টিতে বোতো খুব লম্বা আকৃতির জলজ প্রাণী। তার নাক ও ঠোঁট খুব সরু। লম্বায় সে এক দেড় হাত। তার মাথা মানুষের মাথার চেয়েও বড়ো। আর পাঁচটা মাছের মতোই তার লেজ দু’ভাগ হয়ে গেছে। গায়ের রঙে গোলাপি আভা।তাকে দেখে আগন্তুক ছেলেটি অবাক হয়ে যায় এবং বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মনে মনে প্রার্থনা করে।
৫. বোতোর কাছে আগন্তুক ছেলেটির নীরব প্রার্থনাটি কী ছিল?
উ: বোতোর কাছে আগন্তুক ছেলেটির নীরব প্রার্থনা ছিল বোতো যদি সত্যই আমাজনের রক্ষাকর্তা হয় তাহলে সে যেন তাকে তার পরিবার পরিজনদের কাছে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে দেয়।
৬. ছবি এঁকে আগন্তুক ছেলেটি ‘উবা’- কে কী বোঝাতে চেয়েছিল?
উ: আগন্তুক ছেলেটি উবা-কে তার নিজের বাবা-মা, বন্ধু- বান্ধব, স্কুলের, কলকাতার কথা বোঝাতে চেয়েছিল।
৭. ‘উবা’-র কলকাতা সম্বন্ধে কী ধারণা হল?
উ: উবার কলকাতা শহর সম্পর্কে ধারণা হয়েছিল এটি একটি গাছপালাহীন শহর। এখানে বড়ো নদী নেই। থাকা খুবই কষ্টকর। কলকাতা তার কাছে ‘বালির দেশ’।
Grammar
১. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য রচনা করো:
ধীরে ধীরে, বসে বসে, আগে-আগে, হেঁটে-হেঁটে, জেগে-জেগে।
উ: ধীরে ধীরে – ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে এল, বুঝতেও পারলাম না।
বসে বসে – শুধু বসে বসে সময় না কাটিয়ে হাতের কাজগুলো সেরে নাও।
আগে আগে- স্কুলের এখনো অনেক দেরি, আগে আগে গিয়ে লাভ নেই।
হেঁটে হেঁটে – পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে হেঁটে পায়ে ব্যথা ধরে গেল।
জেগে জেগে- রবি রাত জেগে জেগে বই পড়ে।
২.বিপরীত অর্থ লেখো:
সতর্ক, সৌভাগ্য, নিঃশব্দে, আনন্দে, পরিষ্কার, ওস্তাদ।
উ: সতর্ক- অসতর্ক। সৌভাগ্য- দুর্ভাগ্য। নিঃশব্দে- সশব্দে। আনন্দে- দুঃখে। পরিষ্কার- অপরিষ্কার।
ওস্তাদ- শিক্ষানবিশ।
৩. প্রতিশব্দ লেখো: [OEQ]
বন, নৌকা, পাখি, জগৎ।
উ: বন– অরণ্য, বনানী, জঙ্গল।
.নৌকা– তরণি, তরী, নাও।
পাখি– বিহঙ্গ, খেচর, বিহগ।
জগৎ– বিশ্ব, ধরণী, ধরিত্রী।