Class 4 Chapter 6 Solution
ছেলেবেলার দিনগুলি
Very Short Question Answer
১. পুণ্যলতা চক্রবর্তীর কয়েকজন ভাইবোনের নাম লেখো।
উ: পুণ্যলতা দেবীর কয়েকজন ভাইবোন হল- সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়চৌধুরী, সুখলতা রাও প্রমুখ।
২. তাঁর লেখা দু’টি বইয়ের নাম লেখো।
উ: তাঁর লেখা দুটি বই হল- ‘ছোট্ট ছোট্ট গল্প’, ‘রাজবাড়ি’।
৩. পাঠে উল্লিখিত নতুন বাড়িটি কোথায় ছিল?
উ: পাঠে উল্লিখিত নতুন বাড়িটি ছিল লেখিকার জ্যাঠামশাই ও পিসিমার বাড়ির কাছেই।
৪. সেই নতুন বাড়িতে কীসের অভাব ছিল না?
উ: সেই নতুন বাড়িতে সাথির অভাব ছিল না।
৫. লেখিকা ও তার সঙ্গীরা কোথা থেকে গঙ্গামাটি জোগাড় করেছিলেন?
উ: লেখিকা ও তার সঙ্গীরা ছাদের এক কোণে খোলা জলের ট্যাঙ্ক থেকে গঙ্গামাটি জোগাড় করেছিলেন।
৬. গঙ্গামাটি দিয়ে কী শুরু হল।
উ: গঙ্গামাটি দিয়ে ভীষণ ‘পটগুলটিশ ওয়ার’ শুরু হল।
৭. রান্না ঘরের উনুনের মধ্যে কী গুঁজে রাখা হত?
উ: রান্না ঘরের উনুনের মধ্যে গঙ্গা মাটির তৈরি গুলি গুঁজে রাখা হত।
৮. লেখিকার জ্যাঠামশাইয়ের গলার আওয়াজ কেমন ছিল?
উ: লেখিকার জ্যাঠামশাইয়ের গলার আওয়াজ ছিল গুরুগম্ভীর।
৯. লেখিকার জ্যেঠামশাই সম্পর্কে কী শোনা যেত?
উ: লেখিকার জ্যেঠামশাই সম্পর্কে শোনা যেত, তিনি মস্ত বড়ো খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁর গায়ে খুব জোর ছিল, আর রাগও ছিল খুব।
১০. বাড়ির চাকর সিঁড়ির আলোটা উসকিয়ে দেওয়ার পর কী দেখা গিয়েছিল?
উ: বাড়ির চাকর সিঁড়ির আলোটা উসকিয়ে দেওয়ার পর দেখা গিয়েছিল এক তাল থলথলে কালো মতো জিনিস।
১১. ছোটোদের পুতুলের বিয়েতে কেমন খাওয়া-দাওয়া হত?
উ: ছোটোদের পুতুলের বিয়েতে ছোটো ছোটো পাতায় করে লুচি-মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়া হত।
১২. দোতলা পুতুলঘর কেসুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন?
উ: দোতলা পুতুলঘর লেখিকার মা সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন।
১৩. কোন্ খেলার সময় লেখিকা ও তাঁর ভাই-বোনদের মন হালকা খুশিতে ভরে উঠত?
উ: ‘রাগ বানানো’ খেলার সময় লেখিকা ও তাঁর ভাইবোনদের মন হালকা খুশিতে ভরে উঠত।
১৪. কীভাবে লেখিকার বালা ভেঙে গিয়েছিল?
উ: চোর-পুলিশ খেলার সময় এক ঝটকায় লেখিকার দাদার হাত ছাড়াতে গিয়ে লোহার বালা ভেঙে গিয়েছিল।
১৫. পুতুলঘরে কীভাবে আগুন লেগেছিল?
উ: পুতুলের বিয়েতে ফুলপাতা নিশান দিয়ে বিয়ে বাড়ি সাজিয়ে লেখিকা ও তাঁর ভাইবোনেরা মোমবাতি জ্বেলেছিলেন। সেই মোমবাতি থেকে আগুন লেগে যায়।
১৬. সুন্দর কাকা লেখিকার দাদার পিঠ চাপড়ে কী বলেছিলেন?
উ: সুন্দরকাকা লেখিকার দাদার পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন যে, চুঞ্জু মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
১৭. লেখিকার দাদার প্রথম কবিতার নাম কী?
উ: লেখিকার দাদার প্রথম কবিতার নাম ‘নদী’।
১৮. তাঁর দ্বিতীয় কবিতাটি দাদা কত বছর বয়সে লিখেছিল?
উ: দ্বিতীয় কবিতাটি দাদা তাঁর নয় বছর বয়সে লিখেছিলেন।
১৯. লেখিকার বাবা বিদেশ থেকে কী পাঠাতেন?
উ: লেখিকার বাবা বিদেশ থেকে মজার মজার ছবি আর
Short Question Answer
১. কী ভাবে পটগুলটিশ খেলা চলত?
উ: বাড়ির ছাদের এক কোণে ঘোলা জলের ট্যাঙ্ক থেকে গঙ্গা মাটি তুলে জমা করা হত। সেই মাটি দিয়ে গোলাগুলি বানিয়ে ভীষণ যুদ্ধ, পেটগুলটিশ ওয়ার চলত।
২. লেখিকার জ্যেঠামশাই কেমন মানুষ ছিলেন?
উ: লেখিকার জ্যেঠামশাই গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁর চেহারা ও গলার স্বরে সেটাই প্রকাশ পেত। বাড়ির ছেলেরা তাঁকে খুব ভয় পেত। তিনি দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন বলে তাঁর গায়ে খুব জোর ছিল। এছাড়া তিনি খুব রাগিও ছিলেন। যদিও লেখিকা তাঁকে রাগতে দেখেন নি। বেশির ভাগ সময় লেখাপড়া নিয়ে থাকতেন।
৩. ‘রাগ বানানো’ খেলাটা কীভাবে খেলতে হত?
উ: ‘রাগ বানানো’ খেলায় অপছন্দের কোনো ব্যক্তিকে কল্পনার হাস্যকর কোনো অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রেখে তার সম্পর্কে অদ্ভুত গল্প বানিয়ে বানিয়ে বলা হত। সকলে তার পাল্লা দিয়ে বলত। তাকে নিয়ে শুধু মজা করার উদ্দেশ্যে এই খেলা হত।
৪. কোন্ কোন্ খেলার কথা পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?
উ: পাঠ্যাংশে খুঁজে পাওয়া খেলাগুলি হল- পটগুলটিশ ওয়ার, চোর-পুলিশ, ক্রিকেট, হকি, পুতুল খেলা, রাগ বানানো, কবিতায় গল্প বলা ইত্যাদি।
৫. কী ভাবে পটগুলটিশ গুলি তৈরি হত?
উ: বাড়ির ছাদের কোণায় রাখা ট্যাঙ্কের ঘোলাজল থেকে গঙ্গা মাটি তুলে তা দিয়ে গুলি বানানো হত। পরে দুপুরবেলা রান্না ঘরের নিভু নিভু উনুনে সেগুলি গুঁজে দেওয়া হত।
৬.মেয়েদের খেলাধুলোর কেমন ছবি পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?
উ: মেয়েদের খেলার ক্ষেত্রে কোনো বাছবিচার ছিল না। তারা ছেলেদের সঙ্গেও খেলত। সে খেলায় থাকত ‘পটগুলটিশ ওয়ার’, ক্রিকেট, হকি খেলত। তাছাড়া ছিল রাগ বানানো খেলা, কবিতার কথা বলা খেলা। পুতুলের বিয়ে দেবার মতো খেলাও চলত।
৭.’হযবরল’-র স্রষ্টা কে? তাঁকে লেখিকা কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উ: ‘হযবরল’ বইটির স্রষ্টা হলেন সুকুমার রায়। সুকুমার রায় ছিলেন লেখিকার দাদা। লেখিকা তার সঙ্গে ছোটোবেলায় নানা খেলা খেলেছেন। সুকুমার রায়ের প্রথম কবিতা ‘নদী’ আট বছর বয়সেই লেখা। নয় বছর বয়সে তাঁর দ্বিতীয় কবিতা হল ‘টিক টিক টং’ দাদাকে দেখেই তাঁর কবিতা লেখার ইচ্ছা জাগে। কবিতা বানানো খেলায় তাঁকে হারানো যেত না। রাগ বানানো খেলা তাঁরই মাথা থেকে বেরিয়েছিল।
৮. হযবরল’-র স্রষ্টা কে? তাঁকে লেখিকা কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উ:’হযবরল’ বইটির স্রষ্টা হলেন সুকুমার রায়। সুকুমার রায় ছিলেন লেখিকার দাদা। লেখিকা তার সঙ্গে ছোটোবেলায় নানা খেলা খেলেছেন। সুকুমার রায়ের প্রথম কবিতা ‘নদী’ আট বছর বয়সেই লেখা। নয় বছর বয়সে তাঁর দ্বিতীয় কবিতা হল ‘টিক টিক টং’ দাদাকে দেখেই তাঁর কবিতা লেখার ইচ্ছা জাগে। কবিতা বানানো খেলায় তাঁকে হারানো যেত না। রাগ বানানো খেলা তাঁরই মাথা থেকে বেরিয়েছিল।
Fill In The Blanks
১. জ্যেঠামশাইকেও বাড়ির ছেলেরা ভীষণ ——– করত।
উ: জ্যেঠামশাইকেও বাড়ির ছেলেরা ভীষণ ভয় করত।
২. হঠাৎ ——- করে কী একটা তার পায়ের কাছে পড়ল।
উ: হঠাৎ থ্যাপ করে কী একটা তার পায়ের কাছে পড়ল।
৩. ——– মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
উ: চুঞ্জু মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
৪. সেঁক দেয়, তেল মাখে, লাগায়——— ।
উ: সেঁক দেয়, তেল মাখে, লাগায় হরিদ্রা।
Grammar
১. প্রতিশব্দ লেখো:
সাথী, বিশ্রাম, মজা, সিঁড়ি, রান্নাঘর, নিশান
উ: সাথী – সঙ্গী, বন্ধু, মিত্র, সুহৃদ, সখা।
বিশ্রাম – বিরাম, আরাম, জিরানো, অবকাশ, নিবৃত্তি।
মজা –ক্কৌতুক, আনন্দ, পুলক, হর্ষ, আমোদ।
সিঁড়ি – সোপান, ধাপ, মই।
রান্নাঘর – রসুইঘর, পাকশালা, রন্ধনশালা।
নিশান – পতাকা, ঝান্ডা, ধ্বজা, কেতন।
২. বর্ণ বিশ্লেষণ করো:
অভাব, উনুন, আহত, টুকরো, মোমবাতি
উ: অভাব – অ + ভ্ + আ + ব্।
উনুন – ট্+ন্+উ+ন।
আহত – আ + হ্ + অ + ত্+অ।
টুকরো – ট্ + উ + ক্+অ+র+ও।
মোমবাতি – ম্ + ও +ম্+ব্+আ+ত্+ই।
৩. সন্ধি বিচ্ছেদ করো:
স্বস্তি, নগেন্দ্র, আরেক।
উ: স্বস্তি – সু + অস্তি।
নগেন্দ্র- নগ+ ইন্দ্র।
আরেক – আর + এক।
৪. প্রতিশব্দ লেখো:
সাথী, বিশ্রাম, মজা, সিঁড়ি, রান্নাঘর, নিশান
উ: সাথী- সঙ্গী, বন্ধু, মিত্র, সুহৃদ, সখা।
বিশ্রাম – বিরাম, আরাম, জিরানো, অবকাশ, নিবৃত্তি।
মজা- কৌতুক, আনন্দ, পুলক, হর্ষ, আমোদ।
সিঁড়ি- সোপান, ধাপ, মই।
রান্নাঘর – রসুইঘর, পাকশালা, রন্ধনশালা।
নিশান- পতাকা, ঝান্ডা, ধ্বজা, কেতন।
৫. বর্ণ বিশ্লেষণ করো:
অভাব, উনুন, আহত, টুকরো, মোমবাতি
উ: অভাব- অ+ভ্ + আ +ব।
উনুন – ট্+ন্+উ+ন।
আহত- আ+হ্ + অ + ত্+অ।