WBBSE Class 5 Amader Paribesh Chapter 6 পরিবেশ ও বনভূমি Solution | Bengali Medium

Class 5 Amader Paribesh Chapter 6 Solution

পরিবেশ ও বনভূমি

1. MCQs Question Answer

1. খঙ্গের জন্য মারা হয়-

(A) হাতি

(B) মোষ

(C) গন্ডার  

(D) হরিণ

2. সুন্দরবন যে জন্য বিখ্যাত-

(A) বাঘ  

(B) সিংহ

(C) চিতা

(D) ভালুক

3. দাঁতের জন্য মারা হয়-

(A) বাঘকে

(B) চিতাবাঘকে

(C) নেকড়েকে

(D) হাতিকে  

4. একটি অবলুপ্ত পাখি হল-

(A) ডোডো  

(B) পায়রা

(C) শকুন

(D) চিল (আরামবাগ হাইস্কুল (উ: মা:)

5. বাঘের স্বাভাবিক খাদ্য নয়-

(A) হরিণ

(B) শুয়োর

(C) বুনো মোষ

(D) মানুষ  

6. গায়ে ফুটকি আছে-

(A) নেকড়ে বাঘের

(B) শিয়ালের

(C) চিতার  

(D) বাঘের

7. যে পাখির পালক সুন্দর ছিল-

(A) কাক

(B) চিল

(C) শকুন

(D) হুইয়া  

8. বনে থাকা চাপ ও চিলোনি, লালি হল কয়েক রকমের-

(A) পশু

(B) গাছ   

(C) পাখি

(d) মৌমাছি

9. রডোডেনড্রন হল-

(A) পাহাড়ি গাছ   

(B) সমতলের গাছ

(C) সমুদ্রের গাছ

(d) সবগুলিই

10. কুমির, কামট দেখা যায়-

(A) সুন্দরবনে   

(B) ডুয়ার্সে

(C) মালদায়

(d) বহরমপুরে

11. একটি লতানো গাছ-      

(A) শাঁকালু   

(B) হরিতকী

(C) সুন্দরী

(D) সবগুলিই

12. পাহাড়ি বনের গাছ হল-         

(A) ডালিয়া

(B) গাঁদা

(C) চন্দ্রমল্লিকা

(D) পাইন   

 13. লোকালয়ের মধ্যেই যেসব ছোটো বন তৈরি হয়, সেগুলোকে বলে-

(A) সমাজভিত্তিক বন   

(B) সুন্দরবন

(C) সাহেব জেনের বন

(D) কোনোটিই নয়

14. গাছের পাতা আমাদের-

(A) অক্সিজেন  

(B) কার্বন ডাই অক্সাইড

(C) নাইট্রোজেন

(D) হাইড্রোজেন সরবরাহ করে

15. আগে গুরুত্ব বেশি ছিল-      

(A) হাতি-বনের   

(B) চিতা-বনের

(C) বাঘ-বনের

(D) সবগুলোর

16. খেতের ফসল নষ্ট করে-

(A) হাতি

(B) শুয়োর

(C) এই দুই প্রাণীই   

(d) কোনোটিই নয়

17. চাষের জমিতে লাগানো হল-

(A) আম গাছ

(B) কলা গাছ

(C) পেয়ারা গাছ

(d) সবগুলিই   

18. বনে যার ঝোপ দেখা যায়-

(A) বট

(B) আম

(C) ফার্ন   

(D) অশ্বত্থ

19. মানুষের খেতের ফসল তছনছ করে-

(A) হাতি

(B) বুনো শুয়োর

(C) দুটিই   

(D) কোনোটিই নয়

2. Vary Short Question Answer

1. কোন্ কাঠ বেঁকে যায়?

উত্তর: আম কাঠ বেঁকে যায়।

2. মাজার মানে কী?

উত্তর: মাজার মানে পির সাহেবের কবরস্থান।

3. কাঁঠাল কাঠ থেকে কী কী তৈরি হয়?

উত্তর: কাঁঠাল কাঠ থেকে বাড়ির দরজা, জানালা, খাট-চৌকি তৈরি হয়।

4. মাজারে কী করায় নিষেধ থাকে?

উত্তর: মাজারে গাছ কাটার নিষেধ থাকে।

5. বনে এখন কোন প্রাণী সংখ্যায় কমে গেছে?

উত্তর: বাঘ।

6. আমের ব্যাপারীরা কোথা থেকে আমগাছ জমা নেয়?

উত্তর: আমের ব্যাপারীরা পঞ্চায়েত থেকে আমগাছ জমা নেয়।

7. চাষের জমিকে মানুষ কীসের বাগানে পরিণত করল?

উত্তর: ফল।

8. লাল পান্ডা, প্রজাপতি, ঝরনা- কোথাকার বনে দেখতে পাওয়া যায়?

উত্তর: দার্জিলিং-এর বনে দেখতে পাওয়া যায়।

9. মানুষ প্রথমে কোন্ গাছ কাটা বন্ধ করল?

উত্তর: মানুষ প্রথমে ফলের গাছ কাটা বন্ধ করল।

10. বাতাসে ধুলো বাড়লে কোন্ রোগ বেশি বাড়ে?

উত্তর: বাতাসে ধুলো বাড়লে শ্বাসকষ্ট বেশি বাড়ে।

11. পুকুর পাড়ে মানুষ কী কী গাছ লাগল?

উত্তর: পুকুরপাড়ে মানুষ শাল, সেগুন গাছ লাগাল।

12. কোন্ বন্যপ্রাণী যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হত?

উত্তর: হাতি যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হত।

13. শিল্পকে টেকসই করতে গেলে কী করতে হবে?

উত্তর: শিল্পকে টেকসই করতে গেলে ছোটো বন তৈরি করতে হবে।

14. বনের এমন কোন প্রাণী আমাদের মতো আমিষ ও নিরামিষ দুই-ই খায়?

উত্তর: ভালুক।

15. লোকালয়ে কোন্ কোন্ প্রাণী উৎপাত করে?

উত্তর: লোকালয়ে বাঘ, চিতাবাঘ, হাতি, শুয়োর উৎপাত করে।

16. মালতি বলছে যে বনে বাঘ আছে, কুমির, কামটের ভয় আছে। সে কোথাকার বনের কথা বলছে?

উত্তর: মালতি সুন্দরবনের কথা বলছে।

17. ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এমন একটি প্রাণীর নাম করো।

উত্তর: চিতা।

18. তরাই ডুয়ার্স বনভূমিতে (আক্রমদের বন) কী কী গাছ দেখা যায়?

উত্তর: চাঁপা, চিলোনি, লালি প্রভৃতি গাছ দেখা যায়।

19. রাঢ় অঞ্চলের (বিশুদের বনে) বনে কী কী গাছ আছে?

উত্তর: শাল, সেগুন, হরিতকী, অর্জুন, আম, লিচু প্রভৃতি গাছ আছে।

20. গাছের কী থেকে দড়ি তৈরি হয়?

উত্তর: আঁশ।

21. বনের হাতি আমাদের কী ক্ষতি করে?

উত্তর: হাতি খাদ্যের জন্য মাঝে মাঝে বেরিয়ে এসে আমাদের ঘর বাড়ি ফসল নষ্ট করে দেয়।

22. বনের একটি বিরাট গাছের নাম করো।

উত্তর: অশ্বত্থ।

3. Short Question Answer

1. হুইয়া পাখি বিলুপ্ত হয়েছে কেন?  [রামপুরহাট জে. এল. বিদ্যাভবন]

উত্তর: সুন্দর পালকের লোভে একের পর এক হুইয়া পাখিকে মারা হয়েছে। তাই এরা বিলুপ্ত হয়েছে।

2. বন্যপ্রাণী সুরক্ষার প্রয়োজন কেন? [দিনহাটা সোনি দেবী জৈন হাইস্কুল (উঃমা:)]

উত্তর: বন্যপ্রাণী না বাঁচালে বন থাকবে না আর বন না থাকলে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বায়ুদূষণ ইত্যাদি নানারকম সমস্যার আমরা ভুগতে থাকবো। তাই বন্যপ্রাণী সুরক্ষার প্রয়োজন।

3. তোমার এলাকায় জঙ্গল কেটে বসতি স্থাপন করা হলে ভবিষ্যতে কী কী সমস্যা হতে পারে?  

উত্তর: জঙ্গল কেটে বসতি স্থাপন করলে ভবিষ্যতে-

(i) বাঘ, হাতির মতো প্রাণীগুলি খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে উৎপাত করবে।

(ii) বাতাস নোংরা হবে বলে সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টের মতো রোগগুলি বাড়বে।

(iii) মাটি ধসে যাওয়ার সমস্যা বাড়বে।

4. সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে?  [টাকী হাউস গভঃ এস. এস. স্কুল ফর বয়েজ]

উত্তর: ‘বনসৃজন’ মানে গাছ লাগিয়ে বন তৈরি করা। তুলনা- মূলকভাবে কম উর্বরতা যুক্ত এলাকায় যে বনসৃজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অরণ্য তৈরি করা হয়, তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে। এর মাধ্যমে যেমন পরিবেশ রক্ষা পায়, তেমনই কাঠের ব্যবহারের মাধ্যমেও মানুষ স্বনির্ভরতা পায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের আরাবাড়ি অরণ্য এভাবে তৈরি করা হয়েছে।

5. সমাজভিত্তিক বন কাকে বলে?  [বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুল]

উত্তর: সমাজ ও পরিবেশের কল্যাণের উদ্দেশ্যে অনুর্বর জমিতে মানুষ যে বন তৈরি করে, সেটিই সমাজভিত্তিক বন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, কেরলে এরকম বন আছে।

6. ভারতে রাজাদের কাছে হাতি-বনগুলির গুরুত্ব ছিল কেন?

উত্তর: আগে ভারতে যুদ্ধের কাজে হাতিদের গুরুত্ব ছিল খুব বেশি। আর হাতি বনগুলো থেকে যুদ্ধের কাজে লাগানোর মতো হাতি পাওয়া যেত। তাই রাজাদের কাছে এগুলির খুব গুরুত্ব ছিল।

7. সমাজে খাদ্যের অভাব কেন শুরু হল?

উত্তর: শহর বাড়তে থাকলে চাষের জমি কমতে থাকে। জনবসতি, রাস্তাঘাট ও কলকারখানার চাপে চাষের জমি কমতে থাকে। ফলে সমাজে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।

8. বন্যপশুরা লোকালয়ে চলে আসছে কেন?

উত্তর: বনে খাদ্য না পেয়ে খাদ্যের প্রয়োজনে পশুরা লোকালয়ে এসে ঘরবাড়ি ও ফসল নষ্ট করছে।

9. ফলের বাগান সৃষ্টি হচ্ছে কীভাবে?

উত্তর: ফলের দাম বেশ বলে ফলের গাছ কাটা বন্ধ করে পেয়ারা, কলা, আমগাছ চাষের জমিতে লাগানো হল। প্রথমে ফল ও ফসল দুই হলেও পরে সেগুলি ফলের বাগান হয়ে গেল।

10. সমাজভিত্তিক বন কোথায় কোথায় তৈরি হচ্ছে?

উত্তর: পুকুর পাড়ে, বাড়ির পাশে, চাষের জমিতে, কারখানার পাশে, রাস্তার ধারে শাল, সেগুন প্রভৃতি বনের গাছ লাগিয়ে মানুষ ছোটো বড়ো সমাজভিত্তিক বন তৈরি করছে।

11. কীভাবে অরণ্য থেকে নগরের সৃষ্টি হল?

উত্তর: অল্প কিছু দিন আগেও স্থলভাগের বেশির ভাগটাই ছিল বন। বনে অনেক মানুষ থাকত। ধীরে ধীরে লোক বাড়তে থাকে। ফলে বাড়তে থাকা খাদ্যের চাহিদার জন্য চাষের জমিও বাড়াতে হয়। নতুন থাকার জায়গারও প্রয়োজন হয়। জন্ম হল শহর-নগরের। ধ্বংস হল অরণ্য।.

12. ‘বন্যপ্রাণী সুরক্ষা’র জন্য আমাদের কী করা উচিত?  [হুগলি কলেজিয়েট স্কুল]

উত্তর: ‘বন্যপ্রাণী সুরক্ষা’র জন্য-

(i) যারা অন্যায়ভাবে পশু শিকার করে, তাদের খবর বনদপ্তরকে দেওয়া উচিত।

(ii) বন্যপ্রাণী বাঁচানোর জন্য প্রচার চালানো উচিত।

13. বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী? [পূর্ব বারাসত আদর্শ বিদ্যাপীঠ (উঃ মাঃ)]

অথবা, মানুষ বাঘ মারত কেন?  [সরিষা আর. কে. মিশন সারদা মন্দির]

উত্তর: বন্দুক দিয়ে বাঘ মারলে লোকে বীর বলবে এই চিন্তা থেকেও অনেকে বাঘ মেরেছে। তাছাড়া চামড়া, নখ, দাঁতের লোভেও এই প্রাণীটিকে মারা হয়। কখনও কখনও মানুষ মারবে এই ভুল ধারণায় লোকালয়ে আসা বাঘকে মারা হয়েছে। তাই বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

14. বনে কী কী প্রাণী ও উদ্ভিদ থাকে? [পান্নালাল ইনস্টিটিউশন]

উত্তর: বনে যে সব প্রাণী ও উদ্ভিদ থাকে, তাদের সম্বন্ধে উল্লেখ করা হল- (ক) প্রাণী: বাঘ, চিতাবাঘ, কালো ভাল্লুক, বাঁদর, হরিণ, ভোঁদড়, গিরগিটি ইত্যাদি (খ) উদ্ভিদ: চাঁপ, চিলোনি, শাল, সেগুন, হরিতকি, আম, বার্চ, রডোডেনড্রেন ইত্যাদি।

4. Long Question Answer

1. ব্যাখ্যা করো : বনের ব্যবহার।. অথবা, বনের গাছ আমাদের নানা কাজে লাগে-ব্যাখ্যা করো। [বালেতি গার্লস হাইস্কুল, (উ. মা.)]

উত্তর: বনকে আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। যেমন

(i) বনের গাছের ছাড়া অক্সিজেন আমরা শ্বাসের সঙ্গ নিই।

(ii) বনের নরম কাঠ থেকে কাগজ তৈরি হয়।

(iii) বনের গাছের কাঠ থেকে চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি; ছাল থেকে ওষুধ; পাতা থেকে থালা-বাটি ইত্যাদি তৈরি হয়।

(iv) অরণ্যে সাঁওতাল, এখনও জারোয়া ইত্যাদি বহু জাতির মানুষ বাস করেন। বনের ফলমূল আমাদের কাজে লাগে।

(v) বন্য পশুপাখি দেখতে আমরা বনে বেড়াতে যাই।

2. ব্যাখ্যা করো: তোমার জানা লুপ্তপ্রায় প্রাণী।   [পর্ষদ নমুনা]।

উত্তর: সাধারণত মানুষের লোেভ, জলে ও জমিতে নানারকম সার, কীটনাশক, প্লাস্টিক মিশে যাওয়া ইত্যাদি কারণে বহু প্রাণী ভারতে লুপ্তপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে। এদের মধ্যে কয়েকটি হল-

পশু–  বাঘ, নেকড়ে, চিতাবাঘ, একশৃঙ্গ গন্ডার, সিংহ ইত্যাদি।

পাখি–  রবিন, শকুন, হাড়গিলে, ধনেশ ইত্যাদি।

সরীসৃপ–  তক্ষক, সবুজ কাছিম ইত্যাদি।

মাছ –  ন্যাদোশ, খরশূলা, সরপুঁটি ইত্যাদি।

পোকা–  প্রজাপতি, ফড়িং ইত্যাদি।

সংক্ষিপ্তসার : আগে ভারতে অনেক বেশি বন ছিল বলে রাজার কাজের জন্য বন থেকে হাতি ধরে আনা হত। তাদের দিয়ে যুদ্ধ করানো কিন্তু যত লোকসংখ্যা বাড়তে শুরু করল চাষের জমি, শহর ইত্যাদি তৈরি করার জন্য বনজঙ্গল কাটা হতে লাগল। ফলে বাতাস, জল হতে লাগল। সমাজে রোগব্যাধি বাড়তে লাগল। এছাড়া খাবারের খোঁজে পশুরা লোকালয়ে আসতে শুরু করল। এসব দেখে অনেক মানুষ ফলের গাছ কাটা বন্ধ করল। কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাতে শুরু করল। এভাবে এল সমাজভিত্তিক ধারণা। বন থাকলে পরিবেশ বাঁচবে, মানুষও।

3. পশ্চিমবঙ্গের বন্যপ্রাণী সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করো। [হলদিবাড়ি হাই স্কুল]

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের-

(i) সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘ, শুয়োের, হরিণ, বাঁদর, সাপ, মেছোবিড়াল, ভোঁদড় আছে। জলে আছে কুমির, কামট।

(ii) বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমানে যে বনভূমি আছে সেখানে হাতি, হরিণ, খরগোশ আছে।

(iii) তরাইয়ের জঙ্গলে আছে বাঘ, হাতি, চিতাবাঘ, হরিণ, বাইসন, একশৃঙ্গ গন্ডার ইত্যাদি।

(iv) দার্জিলিং-এর কাছাকাছি পাহাড়ি বনে আছে চিতাবাঘ, লাল পাণ্ডা, কালো ভালুক ইত্যাদি।

পাঠ্যবইতে দেওয়া প্রশ্নগুলির সমাধান

4. বন বাঁচানোর ও তৈরি করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়?

উত্তর: বন বাঁচানোর ও তৈরির জন্য নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যেমন-

ⅰ) জঙ্গলে দরকারের অতিরিক্ত কাঠ কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি সরকারি উদ্যোগে অরণ্যেও বৃক্ষরোপণ হয়।

ii) মন্দির, কবরস্থান লাগোয়া বনে বা বনখণ্ডে গাছ কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

iii) চাষের জমিতে গাছ লাগিয়ে কৃষি বনসৃজন করা হয়।

iv) শিল্প কারখানার পাশে, বড়ো শহরের মধ্যে গাছ লাগিয়ে ছোটোখাটো বন তৈরি করা হয়। বেঙ্গালুরু, চন্ডীগড়ে এরকম দেখা যায়।

5. অরণ্যবিনাশের মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলি আলোচনা করো।

 উত্তর: অরণ্যবিনাশের মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলি হল-

ⅰ) কাষ্ঠআহরণ: কাষ্ঠ আহরণ শিল্প বনভূমি ধ্বংসের একটি প্রধান কারণ। ii) জ্বালানি কাঠ সরবরাহ : সারা বিশ্বে বিশেষত উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদার এক বৃহৎ অংশ কাঠের সাহায্যে মেটানো হয়।  iii) নগরায়ণ: রাস্তাঘাট, বাসগৃহ ইত্যাদি নির্মাণ করার প্রয়োজনে বনভূমি নির্বিচারে বিনাশ করা হচ্ছে। iv) খনন

কার্য: আকরিক লোহা, কয়লা, চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি উত্তোলন করার সময়ও বনভূমি বিনষ্ট হয়। v) জনসাধারণের মধ্যে চেতনার অভাব : উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলিতে বনবিনাশের ক্ষতিকর প্রভাবগুলির সম্বন্ধে চেতনার অভাবের কারণেও যথেচ্ছভাবে বনভূমি বিনাশপ্রাপ্ত হয়।

6. অরণ্যবিনাশের ফল কী?

উত্তর: অরণ্যবিনাশের পরিণাম তথা ফলাফলগুলি হল– i) পরিবেশে ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি ও মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাস, ii) বাতাসে অক্সিজেন কমে যাওয়া, কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। iii) উদ্বৃতা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাতের পরিমাপ হ্রাস, iv) জীববৈচিত্র্য ধ্বংসজনিত প্রভাব বৃদ্ধি, v) মরুভূমির প্রসার বৃদ্ধি, vi) ঝড়ঝঞ্ঝা ও উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ বৃদ্ধি, vii) কাঁচামালের জোগান ঘাটতি; viii) বনভূমি নির্ভর মানুষের জীবিকা বন্ধের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।

7. শহরে কীভাবে দূষণ সৃষ্টি হচ্ছে?

উত্তর: শহরে লোক বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন গাড়ি ও কলকারখানা। বাতাসে ধুলো, ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসের পরিমান বাড়ছে। গাছের পাতা ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে আর কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। বাড়াছে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ফুসফুসের রোগ প্রভৃতি এমনকি মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে।

সংক্ষিপ্তসার: অনেক সময় মন্দির, মাজার ইত্যাদির চার পাশে গড়ে ওঠা বনের নাম ওই মন্দির, মাজারের নামে হয়। এই বনের গাছ ব্যাপারী বা ব্যবসায়ীরা জমা নেয়। তারপর গাছের ফল বেচে।

        এছাড়া এই বনের কাঠ কেটে বাড়ি, আসবাব নির্মাণ করা হয়।

সংক্ষিপ্তসার: কারুর সঙ্গে গিয়ে একটা বন দেখে এসো। তারপর তার সম্বন্ধে লেখালেখি করো।

8. ব্যাখ্যা করো: বাঘের সংখ্যা হ্রাস ও সংরক্ষণ। [পর্ষদ নমুনা।

উত্তর: জঙ্গলের জৌলুস বাঘের সংখ্যা ভারতে এককালে চল্লিশ হাজারের বেশি থাকলেও এখন দুহাজারের আশেপাশে নেমে এসেছে। বীরত্ব দেখাতে, দাঁত-নখ-চামড়ার লোভে বন্দুকের গুলিতে কত বাঘ মারা পড়েছে তার ঠিক নেই। তাই ভারত সরকারের তরফ থেকে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে’র মাধ্যমে বাঘ হত্যা করা অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাঘকে তার বাসভূমি জঙ্গল সঠিক পরিমাণে ফিরিয়ে দিলেই সে আর লোকালয়ে আসবে না। থাকবার জন্য বড়ো অরণ্য, খাওয়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যায় হরিণ, শুয়োর, গৌর ইত্যাদি প্রাণীর উপস্থিতি আর চোরাশিকারের উৎপাত কমলেই বাঘ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। আর সেটা আমাদের পরিবেশের পক্ষে একান্ত কাম্য।

9. বন্যপ্রাণী কমে যাওয়ার কারণগুলি লেখো।  [পানিপারুল মুক্তেশ্বর হাই স্কুল (উঃ মাঃ)]

উত্তর: বন্যপ্রাণী কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে এবং সেগুলি হল-

(i) খঙ্গোর জন্য গন্ডার, দাঁতের জন্য হাতি এবং লোম-নখ -চামড়ার জন্য বাঘ, ভালুক, চিতা ইত্যাদি মারা হয়েছে এবং তারপর এই জিনিসগুলি নিয়ে ব্যাবসা করা।

(ii) পালকের লোভে হুইয়া, মাংসের লোভে ডোডো, তিতির পাখি মারা হয়েছে।

(iii) চাষবাসের জন্য ও বন কাটার জন্যও অনেক বন্যপ্রাণী তার বাসস্থান হারিয়ে মারা পড়েছে।

(iv) নিছক শখের জন্য অনেক বুনো পশু বা পাখি শিকার করা হয়।

(v) সার, কীটনাশকের মাধ্যমে জলদূষণও অনেক প্রাণীর প্রাণ কেড়েছে।

5. Fill in The blanks

1. বনের একটি লম্বা গাছ হল————————-।

Ans তাল,

2. গাছের ছাল থেকে———————— হয়।

Ans  ওষুধ

3. এখন গাছ থেকেই———————— তৈরি হয়।

Ans কাগজ

4. চারদিকে ছড়িয়ে থাকে —————————-গাছ।

Ans বট,

5.———————– হল লতানো গাছ।

Ans শাঁকালু,

6. ভিজে মাটিতে হয়—————————–।

Ans ফার্ন,

7. ———————–গাছের পাতা শীতে ঝরে যায়।

Ans আম।

8. ————————–একটি চিরসবুজ গাছ।

Ans  মেহগনি/শাল।

9.———————– জমি বাড়াতে গিয়ে বন কমতে থাকল।

Ans  চাষের

10. খাদ্যের অভাবে পশুরা———————– চলে আসে।

Ans লোকালয়ে,

11. আগে ভারতের———————-  বনের ওপর কড়া নজর  রাখত। 

Ans রাজারা,

12. লোক বাড়তেই শহরের বাতাসে ধুলো———————- বেড়ে গেল।

Ans ধোয়া

13. চাষের জমি কমতেই শুরু হল———————- অভাব।

Ans খাদ্যের,

14. সব জায়গা থেকে গাছ হারানো আটকায়———————— বনসৃজন।

Ans : সামাজিক।

 15. বনে বাসকারী একটি পতঙ্গ হল ————————।

Ans মৌমাছি।

16. দার্জিলিং-এর কাছের জঙ্গলে—————————- ঘোরে।

Ans লালপান্ডা/কালো ভালুক

17. সুন্দরবনে দেখা যায়————————– গাছ।

Ans হেতাল/ সুন্দরী।

18. উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে————————– গাছ পাওয়া যায়।

Ans লালি

19. বনে বাসকারী একটি সরীসৃপ হল————————।

Ans : সাপ।

6. True And false

1. গাছের পাতা আমাদের অক্সিজেন দেয়  (√)    

2. হাতি খেতের ফসল তছনছ করে।   (√)

3. সাধারণত মানুষ ছুরি দিয়ে বাঘ মারত। (x)

4. মাংসের লোভে হুইয়া পাখি শেষ করা হয়েছে।   (x)

5. গন্ডার মারা হয় তার দাঁতের জন্য।

6. বাঘের জন্য সুন্দরবনে লোকের গাছ কাটতে ভয় হয়।

7. যুদ্ধের কাজে ভারতে বাঘের ব্যবহার বেশি হত।   (x)

8. লোকে প্রথমে ফুলের গাছ কাটা বন্ধ করে।  (√)

9. মাঝে মাঝে লাল পান্ডা মানুষের ঘরে হামলা করে।   (x)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *