WBBSE Class 5 Bangla Chapter 14 মায়াতরু অশোকবিজয় রাহা Solution | Bengali Medium

Class 5 Bangla Chapter 14

মায়াতরু অশোকবিজয় রাহা

1. Very Short Question Answer

1. নানা রকম রঙিন মাছ তুমি কোথায় দেখেছ? 

উত্তরঃ নানা রকম রঙিন মাছ আমি আমার বাড়ির অ্যাকোরিয়ামে দেখেছি।

2. ভোরের আলো তোমার কেমন লাগে? তখন তোমার কোথায় যেতে ইচ্ছা করে?

উত্তরঃ ভোরের আলো আমার ভালোই লাগে। তখন আমার সমুদ্রের ধারে যেতে ইচ্ছা করে।

3. নানা রকম রঙিন মাছ তুমি কোথায় দেখেছ? 

উত্তরঃ নানা রকম রঙিন মাছ আমি আমার বাড়ির অ্যাকোরিয়ামে দেখেছি।

4. ভোরের আলো তোমার কেমন লাগে? তখন তোমার কোথায় যেতে ইচ্ছা করে?

উত্তরঃ ভোরের আলো আমার ভালোই লাগে। তখন আমার সমুদ্রের ধারে যেতে ইচ্ছা করে।

5. আলোয় এবং অন্ধকারে একই গাছের দু’রকম চেহারা তোমার চোখে কীভাবে ধরা পড়ে?

উত্তরঃ কলাগাছ সকালে দেখতে একরকম লাগে। আর অন্ধকারে দেখলে যেন মনে হয় হাত নেড়ে ডাকছে।

6. এক যে ছিল গাছ, সন্ধে হলেই দুহাত তুলে জুড়তো ভূতের নাচ।

উত্তর: একটি গাছ ছিল। সন্ধে হলেই দু’হাত তুলে ভূতের মতো নাচ জুড়ত।

7. বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।

উত্তর: বিষ্টি হত। তখন কম্প দিয়ে জ্বর আসত।

8. সকাল হল যেই একটিও মাছ নেই।

উত্তরঃ সকাল হল। একটিও মাছ-এর দেখা নেই।

9. মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হীরার মাছ।

উত্তর: লক্ষ হীরার মাছ আছে। মাছগুলি মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে।

10. ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গর্গর্।

উত্তর: সে ভালুক হয়ে যেত। সে ঘাড় ফুলিয়ে গর্গর্ আওয়াজ করত

11. কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম ‘ভানুমতীর মাঠ’, ‘রক্তসন্ধ্যা’।

12. তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি কী ছিল?

উত্তরঃ তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয় ছিল নদী-পাহাড়- অরণ্যপ্রকৃতি।

13. ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ ‘মায়াতরু’ কবিতাটি ‘ভানুমতীর মাঠ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

13. গাছটি সন্ধে হলে কী করত?

উত্তর: গাছটি সন্ধে হলে দু’হাত তুলে ভূতের মতো নাচ জুড়ত।

15. কম্প দিয়ে কার কখন জ্বর আসত?

উত্তর: বৃষ্টি জলেই ভূত সাজা গাছটির কম্প দিয়ে জ্বর আসত।

14. বনের মাথায় চাঁদ উঠলে গাছটা কী করত?

উত্তরঃ বনের মাথায় চাঁদ উঠলে গাছটি ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে গর্গর্ করত।

2. Short Question Answer

1. তোমার চেনা এমন দুটি গাছের নাম লেখো অন্ধকারে। যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।

উত্তরঃ আমার চেনা এমন দুটি গাছ হল কলাগাছ ও খেজুর গাছ। । অন্ধকারে এই গাছগুলির বাতাসে নড়া দেখলে মনে হয়। মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।

2. দুই বন্ধু আর ভাল্লুককে নিয়ে যে গল্পটি আছে তা তোমরা শুনেছ? যদি না শুনে থাকো, তাহলে শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে গল্পটি নিজের খাতায় লেখো।

উত্তরঃ দুই বন্ধু একদিন বনে যায়। একটি বন্ধু গাছে উঠতে। পারত। আর এক বন্ধু পারত না। একটি ভাল্লুক আসে হঠাৎ-ই। তখন এক বন্ধু অপর বন্ধুকে না বাঁচিয়ে গাছে। উঠে যায়। আর যে গাছে উঠতে জানত না, সে জানত। যে ভাল্লুক মরা মানুষ ছোঁয় না। তাই সে নিশ্বাস বন্ধকরে মরার মতো পড়ে রইল। ভাল্লুক এল এবং মরা ভেবে চলে গেল। প্রাণে রক্ষা পেল বন্ধুটি এবং বিপদে পাশে না থাকা বন্ধুটিকে পরিত্যাগ করে চলে গেল। নীতিকথা: বিপদে যে পাশে থাকে, সেই প্রকৃত বন্ধু।

3. ‘মায়াতরু’ শব্দটির অর্থ কী? কবিতায় গাছকে মায়াতরু বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ ‘মায়াতরু’ কথাটির অর্থ হল মায়াবি গাছ। কবিতায় গাছটিকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে। কেন না গাছটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করত। কখনও সে ভূত, কখনও ভালুক, আবার কখনও বা মাছ হয়ে যেত। তার এই ধরনের অলৌকিক কার্যকলাপের জন্যই তাকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে।

4. দিনের বিভিন্ন সময় কবি গাছকে কোন্ কোন্ রূপে দেখেছেন?

উত্তর: কবি সন্ধেবেলায় গাছকে দেখেছেন ভূতের মতো নাচ করতে। রাত্রে আকাশে চাঁদ উঠলে তিনি গাছকে দেখেছেন  ভালুক বেশে। এক পশলা বৃষ্টি শেষে গাছ তাঁর কাছে ধরা পড়েছে মুকুটধারী লক্ষহীরা মাছ রূপে। ভোরের ঝিকিমিকি আলোয় তিনি এক ঝালর পড়ে থাকতে দেখেছেন।

5. ভেবে পাই নে নিজে”- কবি কী ভেবে পান না? 

উত্তরঃ সকাল হলেই কবি দেখতে পেতেন একটিও মাছ নেই।  শুধু পড়ে আছে আলোর ঝালর। এটা কী করে হল তা কবি ভেবে পেতেন না।

6. মায়াতরু’ কবিতায় কবি গাছটিকে ‘মায়াতরু’ বলেছেন কেন? (পর্ষদ নমুনা)

উত্তরঃ মায়াবির মতোই গাছটি কখনো ভালুক; কখনো লক্ষ হীরার মাছ সাজে। তাই কবি গাছটিকে ‘মায়াতরু’ বলেছেন।

3. Long Question Answer

 1. ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন কোন্ গল্প তুমি পড়েছ?

উত্তর: ভূত আর গাছের কথা আছে এমন এক গল্প আমি একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম। গল্পের নাম ছিল ‘পেত্নীর স্বাদ’। গল্পতে একটি বাড়ির পাশে এক তালগাছে এক পেত্নী থাকত। সে সুযোগে থাকত কবে সে বাড়িতে বৌ সেজে  বসবাস করতে পারবে। সে বাড়িটায় দুটি বাচ্চা মেয়ে থাকত। একদিন তাদের যা পাশের গ্রামে কাজে গিয়েছিল। খুব বৃষ্টি পড়ছিল। তাই তার ফিরতে দেরি হচ্ছিল। সেই সুযোগে পেত্নী মেয়েদুটির মায়ের বেশ ধরে তাদের বাড়িতে ঢোকে এবং মেয়েগুলিকে খুব আদর করতে থাকে। ছোটো মেয়েটি কোনো ভাবে বুঝতে পেরে যায় এটা তাদের মা নয়। সে তার দিদিকে কোনো ভাবে ইঙ্গিতে ব্যাপারটা জানিয়েও দেয় এবং পেত্নীকে মিথ্যে কথা বলে বাড়ির বাইরে গিয়ে গ্রামের লোকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সব কথা বলে। গ্রামের লোকেরাও পেত্নীর কথা জানত। তারা সকলে মিলে ঠিক করে ঘরে আগুন লাগিয়ে আজ পেত্নীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত পেত্নীটা আগুনে পুড়ে মারা যায়।

4. Fill In The Blanks

1. এক যে ছিল——————— ।

উত্তরঃ এক যে ছিল গাছ

2. বিষ্টি হলেই আসত——————–কম্প দিয়ে—————–।

উত্তরঃ বিষ্টি হলেই আসত আবার, কম্প দিয়ে জ্বর।

3. ——————— হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ মাছ।

উত্তরঃ মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হীরার মাছ।

4. ——————– পশলার ———————–।

উত্তরঃ এক পশলার শেষে

5. বনের মাথায় ঝিলিক মেরে——————- উঠত যখন ভাল্লুক হয়ে ঘাড় —————–  করত সে ———————।

উত্তরঃ বনের পশলার ঝিলিক মেরে চাঁদ উঠত যখন ভাল্লুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *