WBBSE Class 6 Bangla Chapter 24 Solution | Sahityamela “সাহিত্যমেলা” Bengali Medium |

Class 6 Chapter 24 Solution

ননীদা নট আউট মতি নন্দী

MCQs

১.১ রূপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর হাড্ডাহাড্ডি ক্রিকেট-এর সূত্রপাত কবে? (চব্বিশ বছর আগে/ পঁচিশ বছর আগে / কুড়ি বছর আগে)।

উত্তরঃ পঁচিশ বছর আগে

১.২ রুপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর খেলা কত বছর হয়নি? (দশ/ এগারো / বারো)।

উত্তরঃ এগারো

১.৩ মোনাদা কোন্ দলের ক্যাপটেন? (রুপোলির / সি সি এইচ / বি বি এস-এর)।

উত্তরঃ সি সি এইচ

১.৪ “১৪ রানে সব আউট হয়ে যায়।” -কারা আউট হয়ে যায়? (সি সি এইচ / রুপোলি সংঘ / সোনালি সংঘ)।

উত্তরঃ সি সি এইচ

১.৫ “মোনাদা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন-” কোথায়? (খেলার মাঠে / স্টেডিয়ামে / ড্রেসিংরুমে)।

উত্তরঃ ড্রেসিংরুমে

১.৬ ননীদার প্রথম ওভারের প্রথম বলটা কেমন ছিল? (বলটিতে ছক্কা হয় / লেগস্টাম্পের অনেক বাইরে যায় / চার হয়)।

উত্তরঃ লেগস্টাম্পের অনেক বাইরে যায়

১.৭ ১০০ মিটারে সোনার মেডেল কে পেতে পারত? (মোনা / বিষ্টু / ননী)।

উত্তরঃ বিষ্টু

১.৮ “১০০ মিটারে সোনার মেডেল পাওয়া যেত।” -কোথায়? (ফ্রান্স অলিম্পিকে / রোম ওলিম্পিকে / ইংল্যান্ড অলিম্পিকে)।

উত্তরঃ রোম ওলিম্পিকে

১.৯ “স্কোর এখন সমান-সমান।” -কত স্কোর? (১৫ / ১৩ / ১৪)।

উত্তরঃ ১৪

১.১০ “সবাই অবাক।”- কেন? (বিষ্টুর হাত থেকে বল ফসকে যাওয়ায় / অতুলকে বল করতে না-দিয়ে বলটা বিষ্টুর হাতে দেওয়া হয় / অতুলের বলে আউট হওয়ায়)।

উত্তরঃ অতুলকে বল করতে না-দিয়ে বলটা বিষ্টুর হাতে দেওয়া হয় 

১.১১ “বিষ্টু মাটিতে বুটের ডগা দিয়ে বোলিং মার্ক কাটল।”- কীভাবে? (পঁচিশ কদম এগিয়ে / ছাব্বিশ কদম এগিয়ে / চার মিটার পিছিয়ে)।

উত্তরঃ ছাব্বিশ কদম এগিয়ে

১.১২ “ঘুরছে আবার পাক খাচ্ছে, লাফাচ্ছে” কে? (মোনা / ননীদা / বিষ্টু)।

উত্তরঃ বিষ্টু

১.১৩ ননীদা পকেট থেকে কী বের করলেন? (ক্রিকেট আইনের বই/ হকির আইনের বই/ ক্রিকেট বল)।

উত্তরঃ ক্রিকেট আইনের বই

১.১৪ “চাঁদ উঠল আকাশে।” -তখন ফিল্ডাররা কী করছিল? (মাঠেই ছিল / মাটিতে শুয়ে ছিল / জলপান করছিল)।

উত্তরঃ মাটিতে শুয়ে ছিল

১.১৫ “চটপট মঞ্জুর হয়ে গেল।”-কী মঞ্জুর হল? (ছুটি / খেলার মাঠে আলোর অভাবের আপিল / বোনাস পাওয়া)।
উত্তরঃ  খেলার মাঠে আলোর অভাবের আপিল

Very Short Question Answer

২.১ মোনাদা মাথায় হাত দিয়ে কোথায় বসে পড়েন?

উত্তরঃ মোনাদা মাথায় হাত দিয়ে ড্রেসিংরুমে বসে পড়েন।

২.২ সবাই অবাক হয়ে কার দিকে তাকাল?

উত্তরঃ সবাই অবাক হয়ে ননীদার দিকে তাকাল।

২.৩ ‘তাই নাকি’? এ কথা কে বলেছিলেন? 

উত্তরঃ এ কথা রুপোলি ক্যাপটেন মুচকি হেসে বলেছিলেন।

২.৪ মোনাদা কার কথায় খুব অপমানিত বোধ করেছিলেন?

উত্তরঃ মোনাদা রুপোলির ক্যাপটেনের কথায় খুব অপমানিত বোধ করেছিলেন।

২.৫ তিরিশ মাইল রোড রেসে কে পরপর তিন বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল?
উত্তরঃ তিরিশ মাইল রোড রেসে বিষ্টু পরপর তিন বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

২.১ মতি নন্দী তাঁর কোন্ উপন্যাসের জন্য ‘সাহিত্য অকাদেমি’ পুরস্কার পান?

উত্তরঃ মতি নন্দী তাঁর ‘সাদা খাম’ উপন্যাসের জন্য ‘সাহিত্য অকাদেমি’ পুরস্কার পান।

২.২’ননীদা নট আউট’ রচনাটিতে মতি নন্দীর কোন্ মূলগ্রন্থ থেকে নেওয়া?

উত্তরঃ ‘ননীদা নট আউট’ রচনাটি মতি নন্দীর ‘ননীদা নট আউট’ নামক মূল গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

২.৩ ‘ননীদা নট আউট’ রচনাটিতে কোন্ বাঙালি সাহিত্যিকের উল্লেখ আছে?

উত্তরঃ ‘ননীদা নট আউট’ রচনাটিতে বাঙালি সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তীর উল্লেখ আছে।

২.৪ ‘নট আউট’ শব্দটি কোন্ খেলার সঙ্গে যুক্ত?

উত্তরঃ ‘নট আউট’ শব্দটি ক্রিকেট খেলার সঙ্গে যুক্ত।

.২.৫ ক্রিকেট খেলায় ক-জন আম্পায়ার থাকেন?

উত্তরঃ ক্রিকেট খেলায় তিনজন আম্পায়ার থাকেন। দুজন মাঠে থাকেন অর্থাৎ, মূল আম্পায়ার এবং লেগ আম্পায়ার। এদের সাহায্য করার জন্য থাকেন তৃতীয় আম্পায়ার।

২.৬ ক-টি-বলে এক ওভার ধরা হয়?

উত্তরঃ ছটি বলে এক ওভার ধরা হয়।

২.৭ দুটি ঘরোয়া খেলার নাম লেখো।

উত্তরঃ দুটি ঘরোয়া খেলার নাম হল-লুডো এবং দাবা।

২.৮ ‘ননীদা নট আউট’ গল্পে ‘ননীটিকস্’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ‘ননীদা নট আউট’ গল্পে ননীদার ক্রিকেট বুদ্ধিজাত বিশেষ ট্যাকটিকস্ বা চালকে ‘ননীটিকস্’ বলে বোঝানো হয়েছে।

২.৯ ননীদার গল্পটি লেখক কার কাছ থেকে শুনেছিলেন?

উত্তরঃ ননীদার গল্পটি লেখক সি সি এইচ ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন মোনা চৌধুরির কাছ থেকে শুনেছিলেন।

২.১০ “মোনাদা এ খেলায় ক্যাপটেন ছিলেন।” মোনাদার পরিচয় কী?

উত্তরঃ মোনাদা অর্থাৎ মোনা চৌধুরি রূপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর ক্রিকেট খেলায় সি সি এইচ দলের ক্যাপটেন ছিলেন।

২.১১ “মোনাদা এ খেলায় ক্যাপটেন ছিলেন।” -‘এ খেলা’ বলতে কোন্ খেলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘এ খেলা’ বলতে রূপোলি সংঘ বনাম সি সি এইচ-দলের ক্রিকেট খেলার কথা বলা হয়েছে।

২.১২ “উনি না বললে …” -কার, কী বলার কথা ইঙ্গিত করেছেন লেখক?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটিতে ক্যাপটেন মোনা চৌধুরি-কথিত রূপোলি সংঘ বনাম সি সি এইচ-এর ক্রিকেট খেলার কথা বলা হয়েছে।

২.১৩ “এটাকে শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা গল্প বলেই ধরে নিতাম।” -‘শিবরাম চক্রবর্তী’ কে?

উত্তরঃ ‘শিবরাম চক্রবর্তী’ হলেন বাংলা ভাষার একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। তাঁর বেশিরভাগ রচনা হাস্যরসাত্মক।

২.১৪ “মোনাদা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন ড্রেসিংরুমে।” কেন?

উত্তরঃ সি সি এইচ প্রথম ব্যাট করে ১৪ রানে সব আউট হয়ে যায়। দলের এই বিপর্যয় দেখে তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন।

২.১৫ “ব্যাট চালায় গাঁইতির মতো” এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ আলোচ্য প্রসঙ্গে বিষ্টুর কথা বলা হয়েছে।

২.১৬ রূপোলি ব্যাট করতে নামার সময় কে বল করেন? 

উত্তরঃ রুপোলি ব্যাট করতে নামার সময় ননীদা প্রথম ওভার বল করেন।

২.১৭ ননীদার বল করার পর সাধারণত কে বল করতে নামে? 

উত্তরঃ ননীদার বল করার পর সাধারণত বল করতে নামে অতুল মুখুজ্জে।

২.১৮ ননীদার বল করার পর অতুল মুখুজ্জে বল করতে এলে কী ঘটনা ঘটে?

উত্তরঃ নদীদার বল করার পর অতুল মুখুজ্জে বল করতে এলে ননীদার নির্দেশে তার বদলে বিষ্টু হাতে বল তুলে নেয়।

২.১৯ রূপোলি সংঘ বনাম সি সি এইচ-এর ম্যাচ ক-টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল?

উত্তরঃ রুপোলি সংঘ বনাম সি সি এইচ-এর ম্যাচ বিকাল পাঁচটায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।

২.২০ বিষ্টু কখন বল করে?

উত্তরঃ সন্ধ্যা নামার পর চাঁদ যখন আকাশে ওঠে, তখনই বিষ্টু বল করে।

২.২১ ‘ননীদা নট আউট’-গল্পে ম্যাচ ড্র হলে রুপোলির ব্যাটসম্যান কী বলে প্রতিবাদ করে?

উত্তরঃ ম্যাচ ড্র হলে রুপোলির ব্যাটসম্যান প্রতিবাদে জানায় এই বলে যে, বল ডেলিভারির মাঝে যদি খেলা শেষ করা না-যায়, তাহলে ওভারের মাঝেও খেলা শেষ করা যাবে না।

২.২২ “শুরু হল তর্কাতর্কি।” -কাদের সঙ্গে এবং কেন?

উত্তরঃ রুপোলি সংঘের প্লেয়ারদের সঙ্গে সি সি এইচ দলের তর্কাতর্কি শুরু হয়। কারণ, ননীদা ‘ননীটিক্স’ খাটিয়ে ম্যাচ ড্র করিয়েছিলেন।

২.২৩ ননীদা কী ‘আপিল’ করেছিলেন?

উত্তরঃ ননীদা আলোর অভাবে খেলা বন্ধ করার আপিল করেছিলেন।

২.২৪ ননীদার কোন্ আপিল, কারা মঞ্জুর করেছিলেন?
উত্তরঃ ননীদার আলোর অভাবে খেলা বন্ধ করার আপিল, আম্পায়াররা মঞ্জুর করেছিলেন।

৬.১ রুপোলি সংঘের সঙ্গে কাদের খেলা হয়েছিল?

উত্তরঃ রূপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ দলের খেলা হয়েছিল।

৬.২ খেলাটিতে ক্যাপটেন কে ছিলেন?

উত্তরঃ খেলাটিতে ক্যাপটেন ছিলেন মোনাদা।

৬.৩ সি সি এইচ-এর খেলোয়াড়দের মুখ ম্লান হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ এক ওভারের শেষে দু-দলের স্কোর সমান সমান হওয়ায় সি সি এইচ-এর খেলোয়াড়দের মুখ ম্লান হয়ে গিয়েছিল।

৬.৪ বোলিং ক্রিজে পৌঁছোনোর আগে বিষ্টু কী কান্ড করেছিল?

উত্তরঃ বোলিং ক্রিজে পৌঁছোনোর আগে বিষ্টু কিছুটা পিছু হটে গিয়ে তারপর গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করেছিল।

৬.৫ ব্যাটসম্যান ফ্রিজ ছাড়ছিল না কেন?

উত্তরঃ ক্রিজ ছাড়লেই যদি বোলার বোল্ড করে দেয়- এই কারণেই ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছাড়ছিল না।

৬.৬ ফিল্ডাররা মাঠে কী করছিল?

উত্তরঃ ফিল্ডাররা কেউ মাঠের মধ্যে শুয়েছিল, কেউ বসেছিল।

৬.৭ সবার মুখ যখন ম্লান তখন ননীদার মুখে কোনো বিকার ছিল না কেন?
উত্তরঃ সবার মুখ যখন ম্লান, তখন ননীদার মুখে কোনো বিকার ছিল না। কারণ খেলার পরিণতি কী হবে, তা ননীদার জানা ছিল।

১.১ মতি নন্দীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ মতি নন্দীর লেখা দুটি বই হল-‘কোনি’ ও ‘কলাবতী’।

১.২ তিনি কোন্ ক্রিকেটারের জীবনকথা লিখেছেন?
উত্তরঃ মতি নন্দী ক্রিকেট সম্রাট স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের জীবনকথা লিখেছেন।

Short Question Answer

৩.১ রূপোলি সংঘ কাদের সঙ্গে কত বছর খেলেনি? কেন?

উত্তরঃ রুপোলি সংঘ সি সি এইচ দলের সঙ্গে এগারো বছর খেলেনি। রুপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর একটা ফ্রেন্ডলি হাফ-ডে খেলা হয়েছিল পঁচিশ বছর আগে। এই খেলাতে ননীদা তার ননীটিকস্ প্রয়োগ করায় ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। এই কারণে রুপোলি সংঘ সিসি এইচ-এর সঙ্গে এগারো বছর খেলেনি।

৩.২ “সবারই মুখ থমথম”- এটি কার লেখা কোন গল্পের অংশ? সবার মুখ কেন থমথমে ছিল?

উত্তরঃ এটি মতি নন্দীর লেখা, ‘ননীদা নট আউট’ গল্পের অংশ। রুপোলি সংঘের সঙ্গে সি সি এইচ-এর একটা ফ্রেন্ডলি হাফ ডে খেলা হয়েছিল পঁচিশ বছর আগে। এই খেলাতে প্রথম ব্যাট করতে নেমে সি সি এইচ দল চোদ্দো রান করে আউট হয়ে যায়। এই কারণে সি সি এইচ দলের সবারই মুখ থমথমে ছিল।

৩.৩ “তবে আমি যা বলব তাই করতে হবে”। এই অংশে ‘আমি’ কে? তিনি এরপর কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন?
উত্তরঃ  এই অংশে ‘আমি’ হল সি সি এইচ দলের খেলোয়াড় ননীদা। তিনি এরপর ওই দলেরই খেলোয়াড় বিষ্টুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

Long Question Answer

৭.১ ‘এটাকে শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা গল্প বলেই ধরে নিতাম।’-বক্তার এহেন মন্তব্যের কারণ কী? শিবরামের গল্পের কোন্ বিশেষত্বের গুণে তাঁর এমন মন্তব্য?

উত্তরঃ বক্তা অর্থাৎ, লেখক মতি নন্দী যে-বিষয়টিকে গল্পাকারে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন, তা তিনি মোনাদার কাছ থেকে শুনেছিলেন। মোনাদা তাঁকে শুনিয়েছিলেন যে, ননীদা ননীটিকস্ প্রয়োগ করে কীভাবে রুপোলি সংঘের সঙ্গে তাদের সি সি এইচ দলের ম্যাচটিকে ড্র করান। এই গল্পটি লেখকের এতটাই অদ্ভুত লেগেছিল যে, মোনাদা না-বললে এটাকে শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প বলেই ভাবা সংগত ছিল। এই কারণে বক্তা এমন মন্তব্য করছেন।

 শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত গল্পের মূল বিশেষত্ব হল গল্পগুলি বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুকের ছটায় উজ্জ্বল। শুধু গল্পরস জমানোর ক্ষেত্রেই নয়, শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অসাধারণ নৈপুণ্য ছিল তাঁর। তিনি ছিলেন কুশলী শব্দশিল্পী। তাঁর গল্পের এই বিশেষ গুণের জন্যই লেখক মতি নন্দী এমন মন্তব্য করেছেন।

৭.২ ‘সারা মাঠ অবাক, শুধু ননীদা ছাড়া।’-সারা মাঠকে অবাক করে দেওয়ার মতো কোন্ ঘটনা ঘটেছিল? ননীদা সে ঘটনায় অবাক হলেন না কেন?

উত্তরঃ ননীদার কৌশল অনুযায়ী বিষ্টু বল করতে এসে এক অদ্ভুত কান্ড করেছিল। বোলিং ক্রিজে পৌঁছোনোর আগেই সে কিছুটা পিছু হটে যায় এবং গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করে। সে কখনও ঘোরে, কখনও লাফায়, আবার কখনও বোলিং মার্কে ফিরে যায়। কিন্তু ব্যাটসম্যানকে বল করে না। বিষ্টুর এই কাণ্ড দেখে সারা মাঠ অবাক হয়ে গিয়েছিল।

বিষ্টুর এই ঘটনায় সকলে অবাক হয়ে গেলেও ননীদা একবিন্দুও অবাক হননি। কারণ তিনি জানতেন, বিষ্টু কেন এমন করছে। বিষ্টুর প্রতি তাঁর এমনই নির্দেশ ছিল। বিষ্টুর এই পাগলামি

কখন থামবে এবং খেলার পরিণাম কী দাঁড়াবে- সবই ননীদার জানা ছিল বলে তিনি অবাক হননি।

৭.৩ ‘যখন খেলা শেষ হয়ে যাবে।’ খেলা শেষের পর কোন্ ঘটনা ঘটবে?

উত্তরঃ ননীদার পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শেষ হওয়ার পর বিষ্টুর বল করতে ছোটা থামবে। ননীদা জানতেন, রুপোলি সংঘ এই ব্যাপারটিকে মেনে নিতে চাইবে না এবং এর ফলে আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হবে। এজন্য ক্রিকেটের আইন-বিষয়ক একটি বইকে তিনি পকেটে রেখেছিলেন। তিনি দেখেছেন, বোলার কতখানি দূরত্ব ছুটে এসে কোন্ সময়ে বল করবে, সে-বিষয়ে বইতে কোনো নিয়ম লেখা নেই। সুতরাং, বিষ্টুর বল না-করে ছোটাছুটি করার বিষয়টিতে কেউ প্রতিবাদ জানাতে পারবে না এবং এর ফলে খেলাটি অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হবে। ম্যাচ ড্র হলেই তাদেরকে নিয়ে রুপোলি সংঘ আর ঠাট্টা- বিদ্রুপ করতে পারবে না।

৭.৪ ‘ক্রিকেট আইনের বই বার করে দেখিয়ে দিলেন…’ – তোমার জানা ক্রিকেটের কিছু আইন যোগ করো। সঙ্গে অন্য কোনো ঘরের/বাইরের খেলার আইন-কানুনও যোগ করতে পারো।

উত্তরঃ ক্রিকেট খেলার কিছু সাধারণ ও পরিচিত আইন হল-

১। ক্রিকেট খেলা শুরু করার জন্য উভয় দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকতে হবে।

২। মূল খেলা পরিচালনার জন্য মাঠে দুজন আম্পায়ার থাকেন। একজন আম্পায়ার, অন্যজন লেগ আম্পায়ার। তাঁদের সাহায্য করার জন্য অন্য আরও একজন আম্পায়ার থাকেন। তাঁকে তৃতীয় আম্পায়ার বলা হয়।

৩। খেলা চলাকালীন একজন নিরপেক্ষ স্কোরার খেলার যাবতীয় পরিসংখ্যান আম্পায়ারের সংকেত অনুযায়ী স্কোর বুকে নথিভুক্ত করেন।

৪। বলের আকৃতি হবে গোলাকার এবং বলের ঠিক মাঝখান দিয়ে বলের সেলাই থাকবে। বলের ওজন কখনোই ৫২ আউন্স বা ১৫৫.৯ গ্রামের কম বা ৫ * আউন্স বা ১৬৩ গ্রামের বেশি হবে না এবং বলের পরিধি কখনোই ২২.৪ সেমির কম বা ২২.৯ সেমির বেশি হবে না।

৫। ব্যাটসম্যান যখন বোলারের করা বল, ব্যাট দিয়ে মেরে গড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন তখন আম্পায়ার বাউন্ডারির নির্দেশ দেন, ফলে ব্যাটসম্যান বা দল ৪ রান লাভ করে। আর ব্যাটসম্যানের ব্যাট দিয়ে আঘাত করা বল সোজাসুজি সীমানার বাইরে গিয়ে পড়লে ‘ওভার বাউন্ডারি’ হিসেবে ৬ রান যোগ হয়।

 ক্রিকেট খেলা ছাড়াও খো-খো খেলার কয়েকটি নিয়মকানুন নিম্নে যোগ করা হল-

১। খো-খো খেলা হয় দুটি দলের মধ্যে। প্রত্যেক দলে মোট ১২ জন করে খেলোয়াড় থাকে। তাদের মধ্যে থেকে ৯ জন খেলোয়াড় সক্রিয়ভাবে মূল খেলায় অংশগ্রহণ করবে এবং বাকি ৩ জন অতিরিক্ত হিসেবে মাঠের বাইরে থাকবে।

২। ধাবক দলের খেলোয়াড়রা তিনজন করে খেলোয়াড় নিয়ে একটি উপদল গঠন করবে। মোট তিনটি উপদলে ভাগ হয়ে প্রতিবার একটি করে উপদল মাঠে নামবে। ওই উপদলের তিনজন খেলোয়াড়ই আউট হয়ে গেলে আর-একটি উপদল সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নামবে।

৩। ‘খো’ পাওয়া অনুধাবক ধাবকের দিকে মুখ করে যে-কোনো একদিকে সোজা যেতে পারবে।

৭.৫ ‘আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু হলো।’ -আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল কেন? মাঠে চূড়ান্ত অস্থিরতার সময় ননীদা কেমন ভূমিকা নিলেন?

উত্তরঃ সি সি এইচ দলের বোলার বিষ্টু বল করতে এসে বোলিং ক্রিজে পৌঁছোনোর আগেই আবার পিছু হটতে শুরু করে এবং তারপর সে গোল হয়ে ঘুরতে থাকে। পাগলের মতো কখনও সে ঘুরতে থাকে, কখনও সে লাফাতে থাকে আবার কখনও সে বোলিং মার্কের দিকে এগোতে থাকে। কিন্তু ব্যাটসম্যানকে বল করছে না-দেখে রুপোলির ব্যাটসম্যান জিজ্ঞাসা করে যে, বোলার ওভাবে ছুটছে কেন? ননীদা গম্ভীর কণ্ঠে উত্তর দেন-বল করতে আসছে; কিন্তু বল করবে পাঁচটার পর অর্থাৎ, যখন খেলা শেষ হয়ে যাবে তখন। এরপরেই আম্পায়ারকে ঘিরে তর্কাতর্কি শুরু হয়।

 মাঠে চূড়ান্ত অস্থিরতার সময় ননীদা একজন যোগ্য এবং বুদ্ধিমান খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রথমবার তর্কাতর্কির সময় পকেট থেকে ক্রিকেট আইনের বই বের করে দেখিয়ে দেন যে, বোলার কতখানি দূরত্ব ছুটে এসে বল করবে, তা সম্পর্কে বইতে কিছু লেখা নেই। বল ডেলিভারির আগে পর্যন্ত সারাদিন সে ছুটে যেতে পারে। আবার রুপোলির ব্যাটসম্যান যখন প্রতিবাদ জানাল যে, বল ডেলিভারির মাঝখানে যদি খেলা শেষ করা না-যায়, তাহলে ওভারের মাঝখানেও খেলা শেষ করা যাবে না, তখন আবার শুরু হল বাদ-প্রতিবাদ। ননীদা তখন আবার বিপদ বুঝে তাড়াতাড়ি আম্পায়ারের কাছে আলোর অভাবের জন্য আবেদন জানালেন। আবেদন মঞ্জুর হল এবং শেষমেশ খেলা অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হল। এর থেকে বোঝা যায় যে, খেলার মাঠে ননীদা একজন দক্ষ নির্দেশকের ভূমিকা নিয়েছিলেন। 

৭.৬ ‘নতুন এক সমস্যার উদ্ভব হলো।’-উদ্ভূত নতুন সমস্যাটি কী?

উত্তরঃ রূপোলির সঙ্গে সি সি এইচ-এর অনুষ্ঠিত হাড্ডাহাড্ডি ২ ম্যাচ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল পাঁচটা। কিন্তু পাঁচটা বাজতে যখন পাঁচ মিনিট বাকি, দেখা দিল এক নতুন সমস্যা। বল ডেলিভারি দিতে গিয়ে বোলার ছুটছে, এর মধ্যেই খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করা যায় কি না, তা নিয়ে দু-জন আম্পায়ার একপ্রস্ত আলোচনা করেন। শেষে, তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, নির্ধারিত সময়ের আগে খেলা শেষ ঘোষণা করা যাবে না। কারণ, সেটি আইনবিরুদ্ধ হয়ে যাবে। এটিই ছিল উদ্ভূত নতুন সমস্যা।

৭.৭  ‘এরপর বিটু বল ডেলিভারি দিল।’-বল ডেলিভারির আগে বিষ্ট যা যা ঘটনা ঘটায় তা বিবৃত করো।

উত্তরঃ বল ডেলিভারি দেওয়ার আগে বিষ্টু ননীদার টিপস অনুযায়ী বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছিল। বোলিং করার আগে বিষ্টু গুনে গুনে ছাব্বিশ কদম গিয়ে মাটিতে বুটের ডগা দিয়ে বোলিং মার্ক কাটল। তারপর বল হাতে ছুটে বোলিং ক্রিজে পৌঁছোনোর আগে আবার পিছু হটে গিয়ে গোল হয়ে ঘুরপাক খেতে শুরু করল। পাগলের মতো কখনও ঘুরে, পাক খেয়ে, কখনও লাফিয়ে আবার কখনও বোলিং মার্কে ফিরে গিয়ে সে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করছিল। লাফিয়ে কিন্তু ব্যাটসম্যানকে বল করছিল না। খেলা শেষের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এভাবেই ছুটে গিয়েছিল বিষ্টু।

৭.৮ ‘চটপট মঞ্জুর হয়ে গেল।’-কোন্ আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল? আবেদনকারী কে ছিলেন? তার এমন আবেদনের কারণ কী ছিল?

উত্তরঃ সি সি এইচ দলের তরফ থেকে করা আলোর অভাবের আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল।

• আবেদনকারী ছিলেন সি সি এইচ দলের ননীদা।

• রুপোলির ব্যাটসম্যান জানাল যে, বল ডেলিভারির মাঝে যদি খেলা শেষ করা না-যায়, তাহলে ওভারের মাঝখানেও খেলা শেষ করা যাবে না। ফলে শুরু হয় তর্কাতর্কি। ননীদা বুঝে যান, বিষ্টুকে আরও পাঁচটা বল করতে হলে রুপোলি যেভাবেই হোক জেতার জন্য একটি রান করে ফেলবেই। তাই ননীদা দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি আলোর অভাবের আবেদন করে বসেন।