WBBSE Class 6 Geography Chapter 10 Solution | Bengali Medium |

Class 6 Chapter 10 Solution

আমাদের দেশ ভারত

MCQs

1. ভারতকে বলা হয়-

  1. শিল্পভিত্তিক দেশ
  2. কৃষিভিত্তিক দেশ
  3. বাণিজ্যভিত্তিক দেশ

2. জোয়ার, বাজরা, রাগি এই তিনটি শস্যকে একত্রে বলা হয়-

  1. মিলেট
  2. টোরি
  3. সরষে

3. একটি শর্করাজাতীয় ফসলের উদাহরণ হল-

  1. কফি
  2. কার্পাস
  3. বিট

4. ভারতের ধান গবেষণা কেন্দ্রটি অবস্থিত-

  1. কটকে
  2. লখনউতে
  3.  পুসায়

5. বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তার জন্য ভারতের কৃষিতে প্রয়োজন হয়-

  1. উন্নত সারের
  2. যোগাযোগের
  3. জলসেচের

6. গম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হল-

  1. 30-50 সেমি
  2. 50-100 সেমি
  3. 150-200 সেমি

7. কফি উৎপাদক একটি রাজ্যের নাম-

  1. পশ্চিমবঙ্গ
  2. কেরল
  3. বিহার

৪. তুলো উৎপাদক একটি রাজ্য হল-

  1. হিমাচলপ্রদেশ
  2. মহারাষ্ট্র
  3. রাজস্থান

9. জুমচাষ হয়-

  1. ধাপ কেটে
  2. সমোন্নতি রেখা বরাবর
  3. জঙ্গঙ্গল পুড়িয়ে

10. ভারতে একটি পানীয় ফসলের নাম হল-

  1. তৈলবীজ
  2. চা
  3. ধান

উত্তরমালা

1—B2—A3—C4—A5—C
5–B7—B8—B9—C10—B

11. পশ্চিমবঙ্গা গন্ডার সংরক্ষণ প্রকল্প-

  1. জলদাপাড়া
  2. চাপড়ামারি
  3. বেলাকোবা

12. পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই নির্বিচারে গাছপালা কেটে বন ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বন্যজন্তুর সংখ্যা-

  1. কমে যাচ্ছে
  2. বেড়ে যাচ্ছে
  3. একইরকম থাকছে

13. হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীটি হল-

  1. বুনো গাধা
  2. রেডপান্ডা
  3. কুমির

14. জীববৈচিত্র্যের বড়ো বাজার বনভূমি হল-

  1.  বণভূমি
  2.  তৃণভূমি
  3. জলাভূমি

15. যেখানে শিকার, পশুচারণ ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তাকে বলা হয়-

  1.  সুরক্ষিত অরণ্য
  2. সংরক্ষিত অরণ্য
  3.  অভয়ারণ্য

16. ভারতে অরণ্য সংরক্ষণ আইন চালু হয়-

  1. 1960 খ্রিস্টাব্দে
  2. 1980 খ্রিস্টাব্দে
  3. 1972 খ্রিস্টাব্দে

উত্তরমালা

1. A2. A3. C4. A5. B6.B

17. ভারতে প্রায় স্বাভাবিক উদ্ভিদের সংখ্যা-

  1. 4,000
  2. 5,000
  3. 6,000

18. ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্য দেখা যায়- 

  1. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে
  2. অস্ত্রপ্রদেশে
  3. গুজরাটে

19. সেগুন গাছ দেখা যায়-

  1. ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্য অঞ্চলে 
  2. কাঁটাঝোপ ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ অঞ্চলে
  3. ক্রান্তীয় পাতাঝরা অরণ্য অঞ্চলে

20. লবণাম্বু উদ্ভিদ দেখা যায়-

  1. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকাতে 
  2. লবণাক্ত মৃত্তিকাতে
  3.  লাল মৃত্তিকাতে

21. জম্মু ও কাশ্মীরে দেখা যায়-

  1.  নাতিশীতোয় অরণ্য 
  2. লবণাম্বু অরণ্য
  3.  ক্রান্তীয় পাতাঝরা অরণ্য 6

22. সর্দি-কাশি সারায়-

  1. নিম
  2. বাসক
  3. তুলসি

23. মেঘালয়ে ভেষজ বাগান আছে-

  1. তুলসীর
  2. চিরতার
  3. কালমেঘের

24. ভারতের মোট আয়তনের যে পরিমাণ অংশ বনভূমি দ্বারা আবৃত, তা হল-

  1. 19.45%
  2. 22.8%
  3. 26%

24. ত্বকের রোগ সারায়-

  1. সিঙ্কোনা
  2. বাসক
  3. কালমেঘ

26. হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়-

  1. গরান বৃক্ষ
  2. পাইন বৃক্ষ
  3. চন্দন বৃক্ষ

27. জাতীয় বননীতি গ্রহণ করা হয়-

  1. 1957 খ্রিস্টাব্দে
  2. 1952 খ্রিস্টাব্দে
  3. 1962 খ্রিস্টাব্দে

28. একটি জেরোফাইট উদ্ভিদের উদাহরণ হল-

  1. বাবলা
  2. মহুয়া
  3. সুন্দরী

29. বিশ্ব অরণ্য দিবস পালিত হয়-

  1. 20 মার্চ
  2. 21 মার্চ
  3.  23 মার্চ

30. ভারতের একটি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নাম হল-

  1. সুন্দরবন
  2. ওড়িশা
  3. কেরল

31. ম্যালেরিয়ার ওষুধ কুইনাইন তৈরি হয়-

  1. বাসক থেকে
  2. সিঙ্কোনা থেকে
  3. কালমেঘ থেকে

উত্তরমালা

1.B2. A3. C4. B5. A
6. B7. B8. A9. C10. B
11. B12. A13. B14. A15. B

32. যে বিজ্ঞান মাটি সম্পর্কে আলোচনা করে তাকে বলে-

  1. জিওলজি
  2. পেডোলজি
  3. মেটিরিওলজি

33. কালো মাটি দেখা যায়-

  1. ব্যাসল্ট শিলায়
  2. গ্র্যানাইট শিলায়
  3. চুনাপাথরে

34. লাল মাটিতে বেশি পরিমাণে থাকে

  1. অ্যালুমিনিয়াম
  2. সিলিকা
  3. লোহা

35. কালো মাটিতে ভালো জন্মায়-

  1. ধান
  2. তুলো
  3. গম

36. পলিমাটিতে ভালো জন্মায়-

  1. ধান
  2. তুলো
  3. বাদাম

37. পার্বত্য মাটিতে ভালো জন্মায়-

  1. গম
  2. তুলো
  3. চা

38. মরু অঞ্চলের মাটিতে ভালো জন্মায়-

  1. জোয়ার
  2. গম
  3. চা

39. মেঘালয় মালভূমি অঞ্চলে দেখা যায়-

  1. পলিমাটি
  2. ল্যাটেরাইট মাটি
  3. কালো মাটি

40. গ্র্যানাইট ও নিস শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সৃষ্টি হয়-

  1. লোহিত মাটি
  2. ল্যাটেরাইট মাটি
  3. পার্বত্য মাটি

41. নবীন পলিমাটিকে বলা হয়-

  1. ভাঙর
  2. খাদার
  3. ভাবর

উত্তরমালা

1.B2.A3.C4.B5.A
6.C7.A8.B9.A10.B

42. ভারতকে উত্তর-দক্ষিণে সমান দু-ভাগে ভাগ করেছে-

  1. মকরক্রান্তিরেখা
  2. কর্কটক্রান্তিরেখা
  3.  নিরক্ষরেখা

43. ভারতের জলবায়ু যে বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত তা হল-

  1.  সাময়িক বায়ু
  2. পশ্চিমা বায়ু
  3.  মৌসুমি বায়ু

44. ভারতের দক্ষিণ অংশে দেখা যায়-

  1.  ক্রান্তীয় জলবায়ু
  2.  উপক্রান্তীয় জলবায়ু
  3.  মেরু জলবায়ু

45. ভারতের চরমভাবাপন্ন জলবায়ু অঞ্চলটি অবস্থিত-

  1. দিল্লিতে
  2.  গোয়াতে
  3.  চেন্নাইতে

46. ভারতের দুটি সমভাবাপন্ন অঞ্চলের নাম হল-

  1. দিল্লি ও অসম
  2.  মুম্বই ও কলকাতা
  3. পুরী ও চেন্নাই

47. ভারতে শীতকালে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তা হল-

  1. পশ্চিমা বায়ু
  2. উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু
  3. মেরুবায়ু

48. ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল-

  1. শিলং
  2. চেরাপুঞ্জি
  3.  মৌসিনরাম

49. ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব দেখা যায়-

  1.  গ্রীষ্মকালে
  2. শরৎকালে
  3. শীতকালে

50. ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত উপকূল-

  1. মালাবার
  2.  কোঙ্কন
  3. করমণ্ডল

51. লু হল-

  1. আর্দ্র বায়ু
  2.  উন্ন ও আর্দ্র বায়ু
  3. উয় ও শুষ্ক বায়ু 

52. আঁধি হল-

  1. ধূলিঝড়
  2. তপ্ত বায়ুপ্রবাহ
  3.  ঘূর্ণাবর্ত

53. পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় দেখা যায়-

  1.  জুন-জুলাই মাসে
  2.  এপ্রিল-মে মাসে
  3. আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে

উত্তরমালা

.

1.B2.C3.A4.A5.C
6.B7.A8.C9.A10.C
11.A12.B

Very Short Question Answer

1. কানাহা কী জন্য বিখ্যাত।

উত্তব় : ব্যাঘ্র প্রকল্পের জন্য।

2. পৃথিবীর প্রথম জাতীয় উদ্যান কোল্টিন্ট?

উত্তব় : ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক।

3. আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থাকে সংক্ষেপে কী বলা হয়?

উত্তব় : IUCNI

4. ভারতে মোট ক-টি অভয়ারণ্য আছে?

উত্তব় : 421টি।

5. করবেট জাতীয় উদ্যানের পূর্বের নাম কী?

উত্তব় :  হেইলি জাতীয় উদ্যান।

6. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন কবে চালু হয়।

উত্তব় : 1972 খ্রিস্টাব্দে।

7. ভারতের বৃহত্তম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র কোনটি?

উত্তব় : গির অরণ্য।

৪. ভারতে মোট ক-টি জাতীয় উদ্যান আছে?

উত্তব় : 75টি।

9. কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কোথায় অবস্থিত?

উত্তব় : অসমে।

10. কোর্ডামা কোন ধরনের অরণ্য?
উত্তব় : সংরক্ষিত।

11. চাষের জমিটা কি উর্বর?

উত্তব় : হ্যাঁ, চাষের জমিটা উর্বর।

12.জলনিকাশি ব্যবস্থা কেমন?

উত্তব় : জলনিকাশি ব্যবস্থা অনুকূল।

13.বার্ষিক গড় উন্নতা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?

উত্তব় : বার্ষিক গড় উন্নতা 25°-27° সে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 100 সেমির মতো

14.জমিতে কি কোনো সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হয়?

উত্তব় : হ্যাঁ, জমিতে সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

15.জলসেচ দরকার হয় কি?

উত্তব় : হ্যাঁ, গ্রীষ্মকালে জলসেচ দরকার হয়।

16.বছরের কোন্ কোন্ সময়ে কী কী ফসল চাষ হয়?

উত্তব় : বর্ষা ও শরতে আমন ধান, পাট, তুলো, আখ, মিলেট প্রভৃতি এবং শীত ও গ্রীষ্মে গম, যব, আলু প্রভৃতি আর শীত ও বর্ষায় আউশ ধান, কুমড়ো, তরমুজ প্রভৃতি চাষ করা হয়।

17.ফসলগুলি বিক্রির বাজারটা জমি থেকে কত দূরে।

উত্তব় : ফসলগুলি বিক্রির বাজারটি জমি থেকে 100 কিমি দূরে।

18.যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা কেমন।

উত্তব় : যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা ভালো।

19.উৎপন্ন ফসল সংরক্ষণ করে রাখার কি কোনো ব্যবস্থা আছে?

উত্তব় : হ্যাঁ আছে।

20.চাষের জমিতে কতজন কাজ করে?

উত্তর : 10 থেকে 11 জন।

21.পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ক্ষয় রোধে ঢালু জমিতে ধাপ কেটে যে চাষ হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর : ধাপচাষ।

22. ভারতের কৃষিতে জলসেচের মূল কারণটি কী?

উত্তর : অনিয়মিত মৌসুমি বৃষ্টিপাত।

23. কোন ফসলকে বীজতত্ত্ব বলা হয়?

উত্তর : কার্পাসকে।

24. ভারতের দ্বিতীয় খাদ্য ফসল কোনটি??

উত্তর : নিগম।

25. ভারতের কোন অঞ্চলে জুমচাষ দেখা যায়?

উত্তর : উত্তর-পূর্বাঞ্চলে।

26. ভারতে সবুজ বিপ্লব কোন সময়ে হয়েছিল।

উত্তর : যাটের দশকের শেষে।

27. কোন রাজ্য পাট উৎপাদনে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গ ।

28. ভারতের শতকরা কত শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত আছে?

উত্তর : প্রায় ৩৩ শতাংশ।

29. কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়?

উত্তর :  উত্তরপ্রদেশে।

30. দুটি পানীয় ফসলের নাম লেখো।

উত্তর : চা ও কফি ।

31. মিলেট জাতীয় শস্য কোন ধরনের মাটিতে চাষ করা হয়?

উত্তর : বেলে মাটি ও বেলে-দোআঁশ মাটি।

32. জুমচাষ কী?

উত্তর : ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে আদিবাসী মানুষ বন কেটে ও পুড়িয়ে যে-চাষ করে, তাকে জুমচাষ বলে।

33. কোন মাটিতে ধান চাষ ভালো হয়?

উত্তর : পলি মাটিতে।

34. বাগিচা ফসল কাকে বলে?

উত্তর : বড়ো আকারের নির্দিষ্ট বাগানে যে অর্থকরী ফসলের চাষ করা হয় তাকে ‘বাগিচা ফসল’ বলে। যেমন-চা, কফি, রবার প্রভৃতি। 2.

35.তত্ত্ব জাতীয় ফসল কী?

উত্তর : যে ফসল থেকে আঁশ এবং সুতো উৎপাদন করা যায় তাকে তস্তু জাতীয় ফসল বলে। যেমন-পাট, কার্পাস প্রভৃতি।

36.শর্করা জাতীয় ফসল কী?

উত্তর : যে ফসল থেকে চিনি, গুড়, মিছরি ইত্যাদি তৈরি হয়,তাকে শর্করাজাতীয় ফসল বলে।

37. অর্থকরী ফসল কাকে বলে?

উত্তর : যে ফসল বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা

অর্জন করা যায় তাকে অর্থকরী ফসল বলে। যেমন-চা, পাট, কফি ইত্যাদি।

38. তৈলবীজ কী?

উত্তর : যেসব শস্য থেকে তেল পাওয়া যায় সেগুলিকে তৈলবীজ বলে। যেমন-সরিষা, তিল, তিসি প্রভৃতি। 

39.খারিফ শস্য কাকে বলে।

উত্তর : বর্ষাকালে প্রধানত বৃষ্টির জলে যেসব ফসলের চাষ হয় তাকে খারিফ শস্য বলে। যেমন-ধান, পাট। 

40.রবিশস্য কাকে বলে?

উত্তর : শীতকালে প্রধানত জলসেচের সাহায্যে যেসব ফসলের চাষ করা হয়, তাদের রবিশস্য বলে। যেমন-গম, যব, আলু।

41. ধাপচাষ কী?

উত্তর : চু পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ক্ষয় রোধে ঢালু জমিতে ধাপ কেটে যে চাষ করা হয় তাকে ধাপ চাষ বলে।

42. পশ্চিমঘাট পর্বতে কোন অরণ্য দেখা যায়?

উত্তব় : ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্য।

43. কাঁটাঝোপ ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ কোন জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত?

উত্তব় : চরমভাবাপন্ন।

44. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় লবণাম্বু উদ্ভিদ দেখা যায়?

উত্তব় : সুন্দরবনে।

45. ভারতের কোন ধরনের অরণ্যের উদ্ভিদে শ্বাসমূল দেখা যায়?

উত্তব় : ম্যানগ্রোভ।

46. দার্জিলিং জেলার মংপুতে কোন ভেষজ গাছ পাওয়া যায়?

উত্তব় : সিঙ্কোনা।

47.ভারত সরকারের অরণ্য গবেষণা কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত।

উত্তব় : দেরাদুনে।

48. ভারতে কোন ধরনের উদ্ভিদ সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

উত্তব় : পাতাঝব়া উদ্ভিদ

49. কোন ভেষজ উদ্ভিদ ত্বকের রোগ সারায়?

উত্তব় : কালমেঘ।

50. বনভূমি সংরক্ষণের প্রধান উপায় কোনটি?

উত্তব় : বনসৃজন বা গাছ লাগানো।

51. ম্যানগ্রোভ বনভূমি কোথায় বেশি দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তব় : বদ্বীপ অঞ্চলে।

52. পেডোলজি কী?
উত্তব় : মাটির উৎপত্তি, শ্রেণিবিভাগ ও মাটি সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে পেডোলজি বলে।

53. ভারতের নবীন পলিমাটি কী নামে পরিচিত?

উত্তব় : খাদার।

54. ভারতের অনুর্বর প্রাচীন পলিমাটি কী নামে পরিচিত।

উত্তব় :  ভাঙর।

55. কোন মাটি তুলো চাষের জন্য আদর্শ? 

উত্তব় : কালো মাটি।

56. রূপান্তরিত শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে কোন মাটি সৃষ্টি হয়।

উত্তব় : লাল মাটি।

57. লাল মাটিতে কীসের পরিমাণ বেশি থাকে বলে লাল রঙের হয়।

উত্তব় : লোহার।

58. লাল মাটিতে কী কী ফসল চাষ করা হয়?

উত্তব় : রাগি, বাদাম, তামাক, ধান, ছোলা প্রভৃতি।

59. পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অংশে কোন মাটি দেখা যায়?

উত্তব় : লাল মাটি।

60. শুষ্ক ও আর্দ্র অঞ্চলে কোন মাটি দেখা যায়?

উত্তব় : ল্যাটেরাইট মাটি

61. কীসের উপস্থিতির জন্য ল্যাটেরাইট মাটি ইটের মতো গাঢ় লাল রঙের দেখায়?

উত্তব় : লৌহ অক্সাইডের।

62. মালভূমি অঞ্চলে কোন মাটি লক্ষ করা যায়?

উত্তব় : ল্যাটেরাইট মাটি।

63. মরু অঞ্চলের মাটিতে কী জাতীয় শস্য চাষ করা হয়?

উত্তব় : মিলেট জাতীয় শস্য (জোয়ার, বাজরা, রাগি)।

64. কোন মাটির দানা মোটা ও ছিদ্রযুক্ত হয়?

উত্তব় : মরু অঞ্চলের মাটির।

65. ভারতের কোথায় মরু অঞ্চলের মাটি লক্ষ করা যায়।

উত্তব় : রাজস্থানের মরু অঞ্চলে।

66. কীরকম জলবায়ুতে পার্বত্য অঞ্চলের মাটি সৃষ্টি হয়?

উত্তব় : আর্দ্র নাতিশীতোয় জলবায়ুতে।

67. পার্বত্য অঞ্চলের মাটিতে কী কী চাষ ভালো হয়।

উত্তব় : কন চা, কফি ও বিভিন্ন ধরনের মশলা।

68. দাক্ষিণাত্যের কোথায় পার্বত্য অঞ্চলের মাটি দেখা যায়।

উত্তব় : নীলগিরি পার্বত্য অঞ্চলে।

69. কোন অঞ্চলের মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম এবং অনুর্বর।

উত্তব় : রু অঞ্চলের মাটি।

70. ভারতের কোন রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টি হয়?

উত্তব় : মেঘালয়ে।

71. মাটি ক্ষয়ের একটি কারণ লেখো।

উত্তব় : বৃক্ষচ্ছেদন।

72. মাটি সংরক্ষণের একটি উপায় লেখো।
উত্তব় : পশুচারণ নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় করা।.

73. ‘আঁধি’ কী?
উত্তব় : গ্রীষ্মকালে পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহের সঙ্গে প্রচণ্ডবেগে প্রবাহিত ধূলিঝড়কে আঁধি বলে।

74. কর্কটক্রান্তিরেখার দক্ষিণ অংশে কোন জলবায়ু দেখা যায়?

উত্তব় : ক্রান্তীয় জলবায়ু।

75. সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু কেমন হয়?

উত্তব় : সমভাবাপন্ন।

76. পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থান কোন্টি?

উত্তর :  মেঘালয়ের মৌসিনরাম।

77. ভারতকে কোন জলবায়ুর দেশ বলা হয়?

উত্তব় : ক্রান্তীয় মৌসুমি।

78. অত্যধিক শুষ্ক ও উন্ন বায়ু কী নামে পরিচিত?

উত্তব় : ‘লু’

79. পশ্চিম ভারতের ধূলিঝড়কে কী বলে?

উত্তব় : আঁধি।

80. বর্ষাকাল কোন মাস থেকে কোন মাস অবধি লক্ষ করা যায়?

উত্তব় : জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস অবধি।

৪1. ভারতের বৃষ্টিপাতের অসম বণ্টনের জন্য দায়ী কে?

উত্তব় : মৌসুমি বায়ু।

82. মেঘালয়ের মৌসিনরাম-এ গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?

উত্তর : 11,872 মিমি।

83. পশ্চিমঘাট পর্বতের কোন ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল লক্ষ করা যায়?

উত্তব় : পূর্বঢালে।

85. ভারতে প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু কোন দিক থেকে প্রবাহিত হয়?

উত্তব় : উত্তর-পূর্ব দিক থেকে।

86. শরৎকালে কোন মৌসুমি বায়ু লক্ষ করা যায়?

উত্তব় : উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু।

87. ভারতের কোন উপকূলে বছরে দু-বার বৃষ্টিপাত হয়?

উত্তব় : করমণ্ডল উপকূলে।

88. পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কোন ঋতুতে দেখা যায়?

উত্তব় : শীত ঋতুতে।

89. বিহু প্রধানত কোন্ রাজ্যের উৎসব?

উত্তব় : অসম রাজ্যের।

90. গ্রীষ্মকালে পশ্চিমবঙ্গের গড় তাপমাত্রা কত হয়?
উত্তব় : প্রায় 40° সে।

91. কোনো পর্বতের চূড়াকে কী বলে?

উত্তব়: পর্বতশৃঙ্গ।

92. ভারতের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কোন্টি?

উত্তব়: গডউইন অস্টিন।

93. ভারতের দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কী?

উত্তব়: সিয়াচেন।

94. হিমালয় কথার অর্থ কী?

উত্তব়: বরফের গৃহ।

95. পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কী?

উত্তব়: মাউন্ট এভারেস্ট।

96. ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত একটি পর্বতের নাম লেখো?

উত্তব়: টক কাঞ্চনজঙ্ঘা।

97. দুটি পর্বতের মাঝের সংকীর্ণ পথকে কী বলে?

উত্তব়:  গিরিপথ।

9৪. চলমান বরফের স্তূপকে কী বলে?

উত্তব়: হিমবাহ।

99. দুন কী?

উত্তব়: শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ উপত্যকা।

100. কয়াল কাকে বলে?

উত্তব়: মালাবার উপকূলের উপহ্রদগুলিকে কয়াল বলে।

101. ভারতের দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কী?

উত্তব়: সিয়াচেন।

102. দক্ষিণ হিমাচলের গড় উচ্চতা কত?

উত্তব়:3000 মিটার-এর বেশি।

103. শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশের ঘন অরণ্যাবৃত অঞ্চলকে কী বলে?

উত্তব়: তরাই।

104. ব্রহ্মপুত্র নদ তিব্বতে কী নামে পরিচিত?

উত্তব়: সাংপো।

105. ভারতের দীর্ঘতম নদী কাকে বলা হয়?

উত্তর: গঙ্গাকে।

106. ডিব্ৰুগড় কোন নদের তীরে অবস্থিত?

উত্তব়:ব্রহ্মপুত্র।

107. কোন হিমবাহ থেকে গঙ্গানদী উৎপত্তি হয়েছে?

উত্তর: গঙ্গোত্রী।

108. ভারতকে কী ধরনের দেশ বলা হয়?

উত্তব়:নদীমাতৃক।

109. ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদীর নাম লেখো?

উত্তব়:নর্মদা।

200. ভারতের বৃহত্তম নদীমধ্যবর্তী দ্বীপ কোনটি?

উত্তব়:মাজুলি।

201. এলাহাবাদ শহরটি কোন নদীর প্রবাহপথে অবস্থান করছে।

উত্তব়:গিলানদী।

202. পদ্মা ও যমুনার মিলিত প্রবাহ কী নামে পরিচিত।

উত্তব়: যমুনা।

203. পশ্চিমঘাট পর্বতের অপর নাম কী?

উত্তব়: সহ্যাদ্রি।

204. দাক্ষিণাত্য মালভূমির আন্নামালাই পর্বতের উচ্চতম শৃঙ্গ কোন্টি?

উত্তব়: আনাইমুদি।

205. মহানদীর উৎসস্থল কোথায়?

উত্তব়:দণ্ডকারণ্য উচ্চভূমির শিহাওয়া উচ্চভূমি।

206. দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা কাকে বলা হয়?

উত্তব়: গোদাবরীকে।

207. চারদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূভাগকে কী বলে?

উত্তব়:দ্বীপ।

208. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ক-টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত?

উত্তব়: 265টি।

209. ভারতের একটি প্রবাল দ্বীপের নাম লেখো।

উত্তব়:লাক্ষাদ্বীপ।

300. ক-টি দ্বীপ নিয়ে লাক্ষাদ্বীপ গড়ে উঠেছে?
উত্তব়: 25টি।

301. ভারত এশিয়া মহাদেশের কোন দিকে অবস্থিত?

উত্তব়:  দক্ষিণ দিকে।

302. ভারতের দক্ষিণে কোন মহাসাগর রয়েছে?

উত্তব়: ভারত মহাসাগর।

303. তিনদিক স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে কী বলে?

উত্তব়: উপসাগর।

304. তিনদিকে জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত স্থলভাগকে কী বলে?

উত্তব়: উপদ্বীপ।

305. নিরক্ষরেখার কোন্ দিকে ভারত অবস্থিত?

উত্তব়:উত্তরদিকে।

306. ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু কোন্টি?

উত্তব়: কন্যাকুমারিকা।

307. ভারতের রাজধানীর নাম লেখো।

উত্তব়: নিউদিল্লি।

30৪. বর্তমানে ভারতের রাজ্যের সংখ্যা কত?

উত্তব়:  ২৪টি।

309. ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা কত?

উত্তব়: ৪টি।

401. ভারতের সংবিধান স্বীকৃত ভাষার সংখ্যা ক-টি?

উত্তব়: 22টি।

402. ভারতের সংযোগকারী ভাষা কী?

উত্তব়: ইংরেজি।

403. ভারতের মূল ভূখণ্ডের পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তার কত?

উত্তব়: 2,933 কিমি।

404. ভারতের বৃহত্তম শহর কোন্টি?

উত্তব়: মুম্বাই।

405. ভারতের সাক্ষরতার হার কত শতাংশ?

উত্তব়: 74.04 শতাংশ।

406. জনসংখ্যার বিচারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত?

উত্তব়: দ্বিতীয়।

407. ভারতের উত্তর দিকের দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাম লেখো।
উত্তব়: নেপাল ও ভুটান।

Short Question Answer

1. সংরক্ষিত অরণ্য কাকে বলে?

উত্তব় :  যেখানে পশুশিকার ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তাকে সংরক্ষিত অরণ্য বলে। যেমন-কোডার্মা সংরক্ষিত অরণ্য।

2. অভয়ারণ্য কাকে বলে?

উত্তব় : অভয়ারণ্য বলতে সেই সব সংরক্ষিত বনভূমিকে বোঝায় যেখানে কিছু বিশেষ ধরনের লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাস করে এবং সেই সমস্ত প্রজাতির সুরক্ষা ও উন্নয়নের দিকে লক্ষ রাখা হয়। যেমন-উত্তরবঙ্গের গোরুমারা অভয়ারণ্য (একশৃত্য গন্ডার), জলদাপাড়া অভয়ারণ্য।

3.জাতীয় উদ্যান কাকে বলে? 

উত্তব় : জাতীয় উদ্যান বলতে সেই সমস্ত অঞ্চলকে বোঝায় যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ সব ধরনের গাছপালা ও জীবজন্তুকে তাদের নিজস্ব পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়। যেমন-কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, মানস জাতীয় উদ্যান।

4. সুরক্ষিত অরণ্য কাকে বলে?

উত্তব় : যেখানে অরণ্যের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা মানুষদের মাঝেমধ্যে শিকার ও পশুচারণের অধিকার দেওয়া হয়, তাকে সুরক্ষিত অরণ্য বলা হয়। যেমন-পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চল, ছোটোনাগপুরের অরণ্য।

5. ব্যাঘ্র প্রকল্প কী?

উত্তব় : স্বাভাবিক পরিবেশে বাঘকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার যে-পরিকল্পনা তাকে ব্যাঘ্র প্রকল্প বলে। যেমন-সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।

6. জীবমণ্ডল সংরক্ষণ অঞ্চল কাকে বলে?

উত্তর : যেখানে কোনো বিপন্ন প্রজাতি বা গোষ্ঠীর প্রাণী অথবা উদ্ভিদকে তাদের জীবনধারা অনুসারে সুদীর্ঘকাল ধরে সুরক্ষিত করা হয়, তাকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বা জীবমণ্ডল সংরক্ষণ অঞ্চল বলে। যেমন-পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জীবমণ্ডল সংরক্ষণ অঞ্চল।

7. ভারতে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে কেন?

উত্তব় : ভারতে বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণগুলি হল- (1) চোরাশিকারিদের কারবার,(2) বাঘের কম জন্মহার, (3) বনে খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব,(4) ঐ বন কেটে বসতি স্থাপন করায় তাদের বাসস্থান ও প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া। 

৪.পরিযায়ী পাখি কাকে বলে?

উত্তব় : যে সমস্ত পাখিরা বিশেষ ঋতুতে এক দেশ থেকে অন্যদেশে চলে যায়, আবার আর-একটি ঋতুর শুরুতে তারা নিজের দেশে ফিরে আসে, এই ধরনের পাখিদের পরিযায়ী পাখি বলে। আমাদের দেশে শীতকালে শীতপ্রধান দেশ থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের দেখা যায়। আবার গরমকালে তারা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যায়। যেমন-সাইবেরিয়ান কেন, গোল্ডেন সারস, পাফিক্স।

9. জাতীয় উদ্যান গঠনের উদ্দেশ্য কী?

উত্তব় : জাতীয় উদ্যান গঠনের উদ্দেশ্য হল- 

(1) বাস্তুতন্ত্রকেঅক্ষুণ্ণ রাখা, (2) জনগণকে পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করে তোলা, (3) এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করা।

10. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বলতে কী বোঝো?

উত্তব় : যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সুপরিকল্পিতভাবে পরিবেশের মধ্যে অনুকূল অবস্থা তৈরি করে লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষিত করা যায় ও প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করা হয়, তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বলে। এ বিষয়ে 1972 খ্রিস্টাব্দে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নামক একটি আইন চালু হয়েছে।

11. বন্যপ্রাণী কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
উত্তব় : (1) অভয়ারণ্য, (2) জাতীয় উদ্যান, (3) সংরক্ষিত বন প্রভৃতি বাসভূমি তৈরি করা। চোরাশিকার বন্ধ করা। অরণ্যে বন্যপ্রাণীদের উপযুক্ত পানীয় জল ও খাদ্যের জোগানের ব্যবস্থা করা। (4) গাছ কাটা বনধ করা। (5) বন্যপ্রাণী আইন কঠোরভাবে মেনে চলা ও জনসচেতনতা গড়ে তোলা।

12. সবুজ বিপ্লব কাকে বলে?

উত্তর : বিপ্লব বলতে বোঝায় প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। এক্ষেত্রে ষাটের দশকের শেষে বিভিন্ন কৃষি উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতের কৃষিতে এক অভূতপূর্ব সাফল্য লক্ষ করা যায়। অর্থাৎ, উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যায়। এটি ‘সবুজ বিপ্লব’ নামে পরিচিত।

13. শস্যাবর্তন (Crop rotation) কাকে বলে?

উত্তর : একই জমিতে বছরে শুধুমাত্র একটি ফসলের চাষ না-করে বছরের বিভিন্ন সময়ে একই জমিতে বিভিন্ন ফসলের পর্যায়ক্রমিক চাষকে ‘শস্যাবর্তন’ বলে। এর ফলে জমির উর্বরতা বজায় থাকে।

14. জুমচাষ কাকে বলে?

উত্তর : উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলের কিছু আদিবাসী 3. গোষ্ঠী অস্থায়ী চাষের উদ্দেশ্যে বন কেটে অথবা পুড়িয়ে কিছু সবজির চাষ করে থাকে এবং কিছু বছর বাদে ওই জায়গার মাটির উর্বরতা কমে গেলে তারা অন্যত্র চলে যায়। এই পদ্ধতির চাষকে জুমচাষ বলে।

15. গবেষণাগার (Research Centre) কাকে বলে?
উত্তর : যেখানে উন্নত ধরনের উৎপাদনের জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গবেষণা করা হয়, তাকে গবেষণাগার বলা হয়।

16. ভূপ্রকৃতি বলতে কী বোঝো?

উত্তব়: চিকন ভূমির রূপ বা প্রকৃতিকে ভূপ্রকৃতি বলে। ভূপৃষ্ঠের সব জায়গা একই রকম নয়। কোথাও উঁচু, কোথাও ঢেউ খেলানো, কোথাও নীচু সমতল। ভূপৃষ্ঠে প্রধান তিন প্রকার ভূমিরূপ দেখা যায়, যেমন-পর্বত, মালভূমি ও সমভূমি।

17. ভূপ্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে ভারতকে ক-টি ও কী কী ভাগে বিভক্ত করা হয়?

উত্তব়: ভারতকে ভূপ্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন- উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, উত্তরের নদীগঠিত সমভূমি অঞ্চল, মালভূমি অঞ্চল, পশ্চিমের মরু অঞ্চল, সমভূমি অঞ্চল ও দ্বীপপুঞ্জ। উপদ্বীপীয় উপকূলের

18. হিমালয়ের পর্বতশ্রেণিগুলির নাম লেখো।

উত্তব়: হিমালয়ের পর্বতশ্রেণিগুলি হল- শিবালিক হিমালয়, হিমাচল হিমালয়, হিমাদ্রি হিমালয়, টেথিস বা তিব্বতীয় হিমালয়। এই পর্বতশ্রেণিগুলির মধ্যে হিমালয়ের দক্ষিণ প্রান্তে শিবালিক, এরপর শিবালিকের উত্তরে ক্রমান্বয়ে হিমাচল, হিমাদ্রি ও টেথিস রয়েছে।

19. পর্বত বলতে কী বোঝো?

উত্তব়: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 1000 মিটারের বেশি উঁচু, বহুদূর বিস্তৃত ও শিলা দ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পর্বত বলে। যেমন-হিমালয় পর্বত, কারাকোরাম পর্বত প্রভৃতি।

20. পর্বতগ্রন্থি কী?

উত্তব়: জন যে উঁচু স্থান থেকে একাধিক পর্বতশ্রেণি বিভিন্ন দিকে বিস্তৃত হয়, তাকে পর্বতগ্রন্থি বলে। যেমন-এশিয়ার পামির গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে পূর্বদিকে কারাকোরাম, হিমালয়, তিয়েনসান, আলতিনতাগ, কুয়েনলুন এবং পশ্চিম দিকে হিন্দুকুশ, সুলেমান পর্বত নির্গত হয়েছে।

21. মালভূমি বলতে কী বোঝো?

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300 মিটারের বেশি উঁচু, বহুদূর বিস্তৃত, শিলাময়, খাড়া পার্শ্বঢাল ও প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত উপরিতলযুক্ত ভূমিভাগকে মালভূমি বলে। মালভূমিগুলির আকৃতি কিছুটা টেবিলের মতো হওয়ায় একে ‘টেবিলল্যান্ড’ বলা হয়। যেমন-দাক্ষিণাত্যের মালভূমি, ছোটোনাগপুর মালভূমি প্রভৃতি।

22. সমভূমি বলতে কী বোঝো?

টির স্থলভাগের যেসকল বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু (100 মিটারের মধ্যে, সর্বাধিক 300 মিটার), সামান্য ঢালু এবং উপরিতল প্রায় সমতল, তাদের সমভূমি বলে। যেমন-গাঙ্গেয় সমভূমি।

23. উপহ্রদ কাকে বলে?

উত্তর: যে জলভাগের তিনদিক স্থল দ্বারা বেষ্টিত এবং একদিক মূল জলভাগের বা সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে উপহ্রদ বলে। যেমন-ভারতের পূর্ব উপকূলের চিল্কা একটি উপহ্রদ। উপহ্রদগুলি সমুদ্রে উন্মুক্ত হয় বলে এদের জল লবণাক্ত।

24. কয়াল কী?

উত্তর: ভূআন্দোলনের ফলে ভারতের মালাবার উপকূলের বহু বার উত্থান ও পতনের চিহ্নস্বরূপ বহু জলাভূমি লক্ষ করা যায়, যাদের স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলে। যেমন-ভেম্বানাদ, অষ্টমুড়ি প্রভৃতি।

25. দুন কী?

উত্তব়: ‘দুন’ কথার অর্থ দুই পর্বতের মাঝে নীচু জমি। শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ উপত্যকা ‘দুন’ নামে পরিচিত। যেমন-দেরাদুন।

26. তরাই বলতে কী বোঝো?

উত্তর: না, শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশে নদীবাহিত নুড়ি, কাঁকর, বা পলি দ্বারা গঠিত ঘন অরণ্য অঞ্চলকে তরাই বলে। যেমন এর পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তা নদীর য় পশ্চিম দিকের অংশকে তরাই অঞ্চল বলে।

27. কচ্ছের রণ কী?

উত্তর: গুজরাট রাজ্যের উত্তরে এবং কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বদিকে বিস্তৃত অঞ্চলে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট অগভীর ■ জলাভূমিকে কচ্ছের রণ বলে। বর্ষাকালে এই অঞ্চল প্লাবিত হয়। গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চল শুষ্ক, উদ্ভিদহীন ও সাদা লবণময় প্রান্তরে পরিণত হয়।

28. কাশ্মীর উপত্যকার অবস্থান লেখো।

উত্তর: জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হিমাদ্রি হিমালয় ও পিরপাঞ্জালের মাঝখানে কাশ্মীর উপত্যকা অবস্থিত। এখানে বিখ্যাত ডাল হ্রদ রয়েছে। এর আকর্ষণে প্রতিবছর বহু দেশি ও বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে এই রাজ্যে।

29. পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত লোকবসতি কম হয় কেন?

উত্তর: পার্বত্য অঞ্চল অসমতল হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হয় না। পার্বত্য পাথুরে মাটি চাষবাসের পক্ষেও বিশেষ অনুকূল নয়। এ ছাড়া, প্রচণ্ড শীতে খুবই কষ্ট করে বেঁচে থাকতে হয়। এইসব কারণে পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত লোকবসতি অনেক কম হয়।

30. ভারতকে নদীমাতৃক দেশ কেন বলা হয়?
উত্তর: ছোটো, বড়ো অসংখ্য নদী জালের মতো ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীগুলি ভারতীয়দের জনজীবনে, কৃষিকার্যে, শিল্পে, যাতায়াত ব্যবস্থায়, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ভারতকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়।

31. অরণ্য আমাদের বন্ধু কেন?

উত্তব় : অরণ্যের সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। নিশ্বাস-প্রশ্বাস আদানপ্রদানে অরণ্য বাতাসে অক্সিজেন যোগ করে ও কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে। আবার আমাদের প্রয়োজনীয় বনজ সম্পদ যার ওপর মূলত মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল তার সরবরাহও এই অরণ্য করে থাকে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাত, খরা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে বাস্তুতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখে। কাজেই অরণ্যকে মানুষের বন্ধু বলাই শ্রেয়।

32. হিমালয় পর্বতের উচ্চ অংশে পার্বত্য নাতিশীতোয় বনভূমি দেখা যায়। ব্যাখ্যা করো।

উত্তব় : হিমালয় পর্বতের 1500 মিটারেরও বেশি উঁচু অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র শীতকালসহ বছরের বিভিন্ন সময়ে ‘তুষারপাত হয়, ফলে এই অঞ্চলে কেবলমাত্র তীর ঠান্ডা ও তুষারপাত সহ্যকারী ছুঁচোলো পাতা এবং মোচার মতো আকৃতিবিশিষ্ট নাতিশীতোয় বনভূমি জন্মায়। এ কারণেই পাইন, ফার, স্পুস-সহ বিভিন্ন নাতিশীতোয় বনভূমি এখানে প্রাধান্য লাভ করেছে।

> হিমালয় পাদদেশে সংলগ্ন সমভূমির স্থানীয় নাম তরাই।

33. পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের লবণাক্ত মাটিতে ম্যানগ্রোভ ।উদ্ভিদ ভালো হয় কেন? 

উত্তব় : গঙ্গা নদীর মোহানায় অবস্থিত সুন্দরবন অঞ্চলের খাড়িগুলিতে জোয়ারের সময় সমুদ্রের নোনা জল প্রবেশ করে মাটিকে লবণাক্ত করে তোলে। এই লবণান্ত মৃত্তিকার ভিতরে বাতাস না থাকার ফলে লবণান্ত বা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের স্বাসমূল মাটির ওপরে উল্লম্বভাবে অবস্থান করে। তাই লবণাক্ত মৃত্তিকাতে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ভালো হয়। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ এই শ্বাসমূলের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। যেমন-সুন্দরী, গরান প্রভৃতি ভালো হয়।

34. ভারতে বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে। কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তব় : বনভূমি মানুষের নানাভাবে উপকার করলেও জীবিকার প্রয়োজনে মানুষই নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। যে কোনো দেশের মোট জমির 33% অংশে বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ভারতের মোট আয়তনের প্রায় 19% বনভূমির অন্তর্গত। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই ভারতবাসীদের নিজেদের স্বার্থেই ভারতে বনভূমি সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন।

35.স্বাভাবিক উদ্ভিদ কাকে বলে?

উত্তব় :মানুষের চেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র প্রকৃতির ওপরে নির্ভর করে জন্মানো গাছপালাই হল স্বাভাবিক উদ্ভিদ। ভারতে প্রায় 5,000 রকমের স্বাভাবিক উদ্ভিদ আছে।

36. আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বলতে কী বোঝো?

উত্তব় :ভেষজ উদ্ভিদের ওপর ভিত্তি করে যে চিকিৎসা পদ্ধতি গড়ে উঠেছে তাকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বলে। ভারতে প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ উদ্ভিদের ওপর ভিত্তি করে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চালু আছে।

37. বনজ সম্পদ কাকে বলে?

উত্তব় : অরণ্য বা বন থেকে প্রয়োজনীয় যে সম্পদ পাওয়া যায়, যা মূলত মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলিকে বনজ সম্পদ বলে। যেমন-মধু, মোম, আঠা, ভেষজ ওষুধ, গাছের তেল, জ্বালানি ও আসবাবপত্র, যানবাহন তৈরির মূল্যবান কাঠ প্রভৃতি।

38. লবণাম্বুজ উদ্ভিদ কাকে বলে?

উত্তব় : নদীর মোহানায় নোনা মাটিতে বেড়ে ওঠা, শ্বাস নেওয়া ও পৃথক অঙ্কুরোদগম পদ্ধতিযুক্ত ঠেসমূল সমৃদ্ধ উদ্ভিদগুলিকে লবণাম্বুজ উদ্ভিদ বলে। যেমন-সুন্দরী গাছ।

39. তরাই বনভূমি কাকে বলে?

উত্তব় : হিমালয়ের অসংখ্য খরস্রোতা নদী পর্বতের পাদদেশে নুড়ি, পাথর, বালুকা সঞ্চয় করে যে ঢালু পাদদেশ সংলগ্ন সমভূমি গঠন করেছে, তার স্থানীয় নাম তরাই অঞ্চল। আর এই অঞ্চলে যে বনভূমি গড়ে উঠেছে, তাকে তরাই বনভূমি বলে।

40. সামাজিক বনসৃজন বলতে কী বোঝো?

উত্তব় :সমাজের মঙ্গলের জন্য অর্থাৎ, পরিবেশের সুস্থতা

কি পাতাঝরা উদ্ভিদ। ও জীবজগতের ভারসাম্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জনগণের সাহায্যে যখন বনসৃজন বা গাছ লাগানো হয়, তখন তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।

41. অরণ্য সংরক্ষণ কাকে বলে?

উত্তব় : ‘সংরক্ষণ’ কথাটির অর্থ বিশেষ উদ্দেশ্যে রক্ষা করা।। এক্ষেত্রে অরণ্য সংরক্ষণ বলতে বোঝায় অরণ্যের গুরুত্ব বুঝতে পেরে অরণ্যকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যবহার করা। এর ফলে বাস্তুতন্ত্র সুস্থ এবং অরণ্য সম্পদের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।

42. পাতাঝরা মৌসুমি অরণ্য ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যে দেখা যায়।
উত্তব় : কর্ণাটক, অস্ত্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম প্রভৃতি রাজ্যে পাতাঝরা মৌসুমি অরণ্য দেখা যায়।

43. স্বাভাবিক উদ্ভিদ দ্বারা তুমি কীভাবে উপকৃত হও?

উত্তব় : স্বাভাবিক উদ্ভিদ দ্বারা আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হই। যেমন-

(1) স্বাভাবিক উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করি।

(2) প্রয়োজনীয় বনজ সম্পদের জোগান স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। যার ওপর আমাদের অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল।

(3) বিভিন্ন শারীরিক অসুখের ওষুধের উপকরণ স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়।

45. এটা গাছ কেটে ফেললে কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে তোমার মনে হয়?

উত্তব় :চিকন গাছ কেটে ফেললে বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে, যেমন- ① বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ও অক্সিজেন কমে যাবে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। ③ মরুভূমির প্রসার ঘটবে। খরা বৃদ্ধি পাবে। মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পাবে। বনজ সম্পদের জোগান কমে যাবে। ⑦ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাবে।

46. সারাবছর গাছের পাতা সবুজ থাকার কারণ কী?

উত্তব় :সাধারণত প্রচুর বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রাযুক্ত স্থানে চিরসবুজ উদ্ভিদ জন্মায়। এই উদ্ভিদগুলি প্রয়োজনীয় জল ও তাপমাত্রা পর্যাপ্ত পরিমাণে পায় বলে গাছগুলির পাতায় সারাবছর ধরে সবুজভাব বিরাজ করে।

47.নির্দিষ্ট ঋতুতে গাছের পাতা ঝরে যায় কেন?

উত্তব় : মূলত শুদ্ধ ঋতুতে পর্ণমোচী বা পাতাঝরা উদ্ভিদেরা পত্ররন্দ্রের মাধ্যমে তাদের শারীরবৃত্তীয় জল যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে না যায় তার জন্য পাতা ঝরিয়ে দেয়। এই কারণে এদের পাতা ঝরে যায়। যেমন-শাল গাছ।

48. সরলবর্গীয় গাছের পাতাগুলি কেমন দেখতে হয়?
উত্তব় : তীব্র ঠান্ডা ও তুষারপাতের কারণে সরলবর্গীয় গাছের পাতাগুলি ছুঁচোলো হয়, যাতে বরফ ওই পাতায় জমে থাকতে না-পারে। যেমন-পাইন গাছ।

49. ভারতের বিভিন্ন জায়গার স্বাভাবিক উদ্ভিদের মধ্যে কত বৈচিত্র্য। এই বৈচিত্রা কেন হয়?

উত্তব় : ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত, উন্নতা, মাটি বিভিন্ন হওয়ার জন্য স্বাভাবিক উদ্ভিদের মধ্যে এত পার্থক্য লক্ষ করা যায়। যেমন-অধিক উয়তাতে চিরসবুজ বৃক্ষ জন্মায়। আবার মাঝারি থেকে খুব কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে কাঁটা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়।

50. কৃষকেরা মাঠে যে ফসল উৎপাদন করে বা আমরা টবে যে গাছ লাগাই সেগুলি কি স্বাভাবিক উদ্ভিদ?

উত্তব় : না, সেগুলি স্বাভাবিক উদ্ভিদ নয়।

51. উপকূলবর্তী অঞ্চলের মাটি কী প্রকৃতির হয়?

উত্তব় : উপকূলবর্তী অঞ্চলের মাটির প্রকৃতি-

(1) সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের মাটি লবণাক্ত হয়।

(2) এইপ্রকার মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে।

52. রেগুর মাটি কাকে বলে?

উত্তব় : দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর-পশ্চিমে ব্যাসল্ট শিলা থেকে সৃষ্ট যে অত্যন্ত উর্বর কালো মাটি আছে, তাকেই রেগুর মাটি বলা হয়।

53. মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে চাষবাস করা যায় না কেন?
উত্তব় : মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে অধিক বৃষ্টিপাত হয়। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মাটি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ধুয়ে যায় ফলে বিশেষ চাষবাস করা যায় না।

54. মাটির সংজ্ঞা লেখো।

উত্তব় : সূর্যতাপ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলাসমূহ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এবং জৈবপদার্থ-যুক্ত হয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে যে শিথিল আবরণ সৃষ্টি করে, সেই আস্তরণ বা আবরণকে মাটি বলে।

55. মাটির বন্ধু কাকে ও কেন বলা হয়?

উত্তব় : কেঁচোকে ‘মাটির বন্ধু’ বলা হয়। কারণ, মাটির ওপরের স্তরে বিভিন্ন আণুবীক্ষণিক জীব, পোকামাকড়, কেঁচো প্রভৃতি বসবাস করে। কেঁচো বিভিন্ন স্তরের মাটিকে মিশ্রিত করে মাটির মধ্যে জল, বাতাস ও পুষ্টি চলাচলে সাহায্য করে।

56. মাটিতে কী কী খনিজ উপাদান দেখা যায়?

উত্তব় : চিন মাটিতে বিভিন্ন খনিজ উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ করা হয়। যেমন-কোয়ার্টজ, অভ্র, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম বা অ্যালুমিনোসিলিকেট, লৌহ অক্সাইড, লবণ প্রভৃতি।

57. পেডোলজি কী?

উত্তব় : মাটির উৎপত্তি, শ্রেণিবিভাগ ও মাটি সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে পেডোলজি বলে।

58. রেগোলিথ কী?

উত্তব় : আদিশিলা প্রাকৃতিক শক্তি যেমন-বৃষ্টিপাত, উন্নতা, বিভিন্ন জৈবপদার্থ দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের ওপর অবিন্যস্তভাবে সঞ্চিত হয়, তাদের রেগোলিথ বলে। এই রেগোলিথ থেকে মাটির সৃষ্টি হয়।

59. হিউমাস কাকে বলে?
উত্তব় : চিজর বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মাটির ওপরের স্তরে সঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন সূক্ষ্ম জীবাণুর দ্বারা বিয়োজিত হয়ে একধরনের কালো রঙের মাটি সৃষ্টি হয়। একে হিউমাস বলে। এই মাটি খুব উর্বর হয়।

Long Question Answer

1. সবুজ বিপ্লব কী?

উত্তর. সংজ্ঞা: ষাটের দশকের শেষে (1965 খ্রিস্টাব্দের পর ভারতীয় কৃষির উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি ও কৃষি পদ্ধতির আমূল পরিবর্তনকে সবুজ বিপ্লব বলা হয়।

> কারণ:

(1) উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার।

(2)  রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার।

(3) উপযুক্ত জলসেচের ব্যবস্থা।

(4) কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি।

> প্রভাব-

(1) গমের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।

(2) ধান, ডাল তৈলবীজ প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।

(3)কৃষকদের আয় ও দেশের আয় বৃদ্ধি পায়।

(4) অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকে

2. চা ও ধান উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশগুলি আলোচনা করো।

উত্তর : চা উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশগুলি নিম্নরূপ-

1• উন্নতা: চা উৎপাদনের জন্য 20°-30° সে উন্নতার প্রয়োজন হয়।

2• বৃষ্টিপাত: 150-200 সেমি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।

3• মাটি : উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থাযুক্ত ঢালুজমি এবং হিউমাস ও জলযুক্ত দোআঁশ মাটি দরকার।

> ধান উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশগুলি হল-

1• উন্নতা: 22°-32° সে উন্নতা ধান চাষের জন্য প্রয়োজন।

2• বৃষ্টিপাত : 150-300 সেমি বৃষ্টিপাত হলে ধান চাষ ভালো হয়।

3• মাটি: পলিযুক্ত দোআঁশ মাটি এই চাষের উপযুক্ত। জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকা প্রয়োজন।

3.ভারতীয় কৃষির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উত্তর : ভারতীয় কৃষির বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

(1) মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীলতা।

(2) খারিফ ও রবিশস্যের পর্যায়ক্রমিক উৎপাদন।

(3) খাদ্যশস্যের উৎপাদনে প্রাধান্য।

(4) মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ কম।

(5) আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন।

(6) ক্ষুদ্র চাষিদের প্রাধান্য।

(7) শস্যাবর্তন কৃষির প্রচলন।

4. ভারতীয় কৃষির সমস্যাগুলি লেখো।

উত্তর : ভারতীয় কৃষির সমস্যাগুলি নিম্নলিখিত-

(1) মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ কম।

(2) ব্যাপক মৃত্তিকা বা ভূমিক্ষয়।

(3) প্রয়োজনের তুলনায় জলসেচের কম জোগান।

(4)  বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

(5) প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি।

(6) কৃষিশিল্প ও সংগঠনের অভাব।

(7)  উপযুক্ত শস্যাগারের অভাব।

(8) স্বায়ী মূলধনের অভাব প্রভৃতি কারণে ভারতের কৃষি খুবই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

5. কাঁটাযুক্ত গাছের কাঁটাগুলি আসলে গাছের কোন অংশ?

উত্তব় :চামবুজাতীয় উদ্ভিদ জল কম পাওয়ার কারণে প্রস্বেদন কম হয় বলে তাদের পাতাগুলি ছোটো ছোটো হয়। আবার কখনো-কখনো পাতাগুলি ছোটো হওয়ার পরিবর্তে কাঁটায় পরিণত হয়। যেমন-ক্যাকটাস গাছ।

6.  তুমি অরণ্য বাঁচাতে কী কী ব্যবস্থা নেবে? 

উত্তব় : অরণ্য বাঁচাতে যে যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেগুলি হল-

(1) নিজের এলাকার বিভিন্ন স্থানে যেমন-নদীর ধার, খেলার মাঠের পাশে, স্কুলে, পুকুরের পাশে, ধর্মীয় স্থান সংলগ্ন স্থানে সবাই মিলে গাছ লাগাতে হবে।

(2) অপরিণত গাছ যাতে কেউ না কাটে সেই বিষয়ে বন্ধুরা মিলে প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন

করতে হবে।

(3) অরণ্যের মধ্যে পশুচারণের ক্ষতিকর দিক বিষয়ে গ্রামে বা নিজের এলাকায় আলোচনা সভার মাধ্যমে জনগণকে একত্রিত করে সচেতন করতে হবে।

(4) চোরাচালানকারীদের প্রশাসনের নজরে আনতে হবে।

7. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য ও উৎপন্ন ফসলের পরিচয় দাও।

উত্তব় : ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নলিখিত-

(1) শুষ্ক ও আর্দ্র ঋতুতে ল্যাটেরাইট মাটি সৃষ্টি হয়।

(2) লৌহ অক্সাইডের উপস্থিতির জন্য এই মাটির রং ইটের মতো গাঢ় লাল হয়।

(3) ল্যাটেরাইট মাটি খুব অনুর্বর হয়।

(4) চিনেবাদাম, জোয়ার, বাজরা, রাগি প্রভৃতি ফসল এই মাটিতে উৎপাদিত হয়।

8.. মরু অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উত্তব় : মরু অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য-

(1) মরু অঞ্চলের মাটি মোটাদানা ও ছিদ্রযুক্ত হয়।

(2) এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম।

(3) মরু অঞ্চলের মাটি অনুর্বর হয়।

(4) অধিক বাষ্পীভবনের কারণে এই অঞ্চলের মাটিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে।

(5) মরু অঞ্চলের মাটিতে প্রধানত মিলেট জাতীয় শস্যের (জোয়ার, বাজরা ও রাগি) চাষ করা হয়।

9. কী কী কারণে মাটির ক্ষয় হয়?

উত্তব় :মাটির ক্ষয়ের কারণগুলি হল-

(1) অতিরিক্ত মাত্রায় বৃক্ষচ্ছেদন করলে মাটি আলগা হয়ে যায়। এরফলে সহজেই মাটিক্ষয় হয়।

(2) বৃষ্টিপাতের ফলে জল সরাসরি মাটিতে পড়ে। ফলে মাটি আলগা ও দুর্বল হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

(3) খনিজ সম্পদ উত্তোলন বা বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার সময় প্রচুর মাটির ক্ষয় হয়।

(4) মাত্রারিক্ত পশুচারণের ফলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়ে থাকে।

10. নদীতীরের মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উত্তব় : নদীতীরের মাটির বৈশিষ্ট্য-

(1) নদীতীরের মাটি প্রধানত পলিমাটি দিয়ে গঠিত হয়। 

(2) বর্ষাকালে নদীতে বন্যার ফলে নদীবাহিত পলি, বালি ও কাদা নদীতীরবর্তী অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে পলিমাটির সৃষ্টি করে।

(3) এই মাটি খুব উর্বর হয়।

11. মাটি সংরক্ষণের উপায়গুলি কী?

উত্তব় : মাটি সংরক্ষণের উপায়গুলি নিম্নলিখিত-

(1) পশুচারণ নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় করা উচিত।

(2) মাটির বেশি গভীরের খনিজ সম্পদ আহরণ বন্ধ করা।

(3)গাছ কাটা বন্ধ করা উচিত।

(4) বৃক্ষ রোপন করা।

(5) বেশি ঢাল-যুক্ত অঞ্চলে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করা।

12. মাটির বিভিন্ন ব্যবহারগুলি লেখো।

উত্তব় : মাটির বিভিন্ন ব্যবহারগুলি হল-

(1) মাটি হল জীবকুলের আবাসস্থল।

(2) মাটিতে কৃষিকার্য করা হয়।

(3) পশুপালনের জন্য মাটির দরকার হয়।

(4) পরিবেশের আর্দ্রতা রক্ষা করে মাটি ।

(5) বাগানে ফুলগাছ লাগাতেও মাটির প্রয়োজন হয়।

(6) এ ছাড়া প্রতিমা নির্মাণ, ঘর-বাড়ি নির্মাণ, কুটির শিল্পে মাটিকে ব্যবহার করা হয়।

Fill in the blanks

1.___________ -এর ওপর ভারতের কৃষিকাজ অনেকাংশই

উত্তর: মৌসুমি বৃষ্টিপাত

2.________ -কে ভারতের ‘আখরাজ্য’ বলা হয়।

উত্তর: উত্তরপ্রদেশ

3. কৃষিকাজের প্রয়োজনে কৃষিজমিতে কৃত্রিমভাবে জল সরবরাহ করাকে__________বলে।

উত্তর: জলসেচ

4. ভারতের চা গবেষণাগারটি_________-এ অবস্থিত।

উত্তর: জোড়হাট (অসম)

5. ষাটের দশকের শেষে ভারতের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন____________নামে পরিচিত।

উত্তর: সবুজ বিপ্লব

6.___________ চাষের ক্ষেত্রে জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকা প্রয়োজন।

উত্তর:  ধান

7. ____________মৃত্তিকা তুলো চাষের জন্য বিখ্যাত।

উত্তর: কালো

৪ . হিউমাসযুক্ত মৃত্তিকা_________ চাষের পক্ষে আদর্শ

উত্তর: চা/কফি

9. পলিযুক্ত কাদা মাটি __________চাষের উপযুক্ত।

উত্তর: পাট

10. পশ্চিমবঙ্গে ___________চাষ খুব ভালো হয়।

উত্তর: ধান

1. ঋতু নিয়ন্ত্রিত পাখিদের___________বলা হয়।

উত্তর: পরিযায়ী

2. গির অরণ্য____________রাজ্যে অবস্থিত।

উত্তর: গুজরাট

3. কচ্ছের রণে___________দেখা যায়।

উত্তর: বুনোগাধা

4.প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহটি ভারতে___________হিসেবে পালিত হয়।

উত্তর: বন্যপ্রাণ সপ্তাহ
5.___________জাতীয় উদ্যানটি 1935 খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রথম গড়ে তোলা হয়।

উত্তর: করবেট

True and False

1. ভারতের কৃষিকাজ মৌসুমি জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল।

উত্তর: শুদ্ধ

2. ভারতের একটি খাদ্য ফসল হল মিলেট।

উত্তর: শুদ্ধ

3. চা একটি তন্তুজাতীয় ফসল।

উত্তর: অশুদ্ধ

4. ধান উৎপাদনে 22°-32° সে উন্নতা প্রয়োজন।

উত্তর: শুদ্ধ

5. দোআঁশ মাটিতে গম চাষ ভালো হয়।

উত্তর: অশুদ্ধ

6. পাট চাষের জন্য কালো মাটি প্রয়োজন।

উত্তর:অশুদ্ধ

7. অল্প ঢালু জমিতে আখ চাষ ভালো হয়।

উত্তর: শুদ্ধ

৪. কর্ণাটক রাজ্যে কফি উৎপাদিত হয়।

উত্তর: শুদ্ধ

9. চা চাষের জন্য 150-200 সেমি বৃষ্টিপাত প্রয়োজন।

উত্তর: শুদ্ধ
10. মহারাষ্ট্রে তুলো চাষ ভালো হয়।

উত্তর: শুদ্ধ